রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

;;ইসলামী রাষ্ট্রের সংবিধানে নিম্নবর্ণিত বিধানাবলির সুস্পষ্ট উল্লেখ থাকা আবশ্যক

হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ তাকী উসমানী দামাত বারাকাতুহুম রচিত ‘ইসলাম আওর সিয়াসী নযরিয়াত



’ থেকে গৃহীত ও অনূদিত। অনুবাদ : মাওলানা আনসারুল্লাহ হাসান}



 ১. একমাত্র আল্লাহ রাববুল আলামীনই বিধানদাতা। প্রকৃতির বিধান তো তাঁরই, মানবজাতির জীবনযাপনের বিধানও একমাত্র তিনিই দান করতে পারেন।

২. রাষ্ট্রের সকল বিধি-বিধানের ভিত্তি হবে কুরআন-সুন্নাহ। কুরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন প্রণয়ন করা যাবে না এবং কোনো ব্যবস্থাপনাগত বিধানও কুরআন-সুন্নাহর পরিপন্থী হতে পারবে না।

৩. রাষ্ট্র কোনো শ্রেণী, ভাষা, ভূ-খন্ড বা এ জাতীয় কোনো চেতনার ভিত্তিতে গঠিত হবে না। রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি হবে সেই সব বিধান ও লক্ষ্য, যার বুনিয়াদ ইসলামপ্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা।

৪. ইসলামী রাষ্ট্রের অবশ্য কর্তব্য হবে কুরআন-সুন্নাহ নির্দেশিত ন্যায় ও সত্যের প্রতিষ্ঠা এবং অন্যায় ও অসত্যের মূলোৎপাটন। ইসলামের শিআর ও নিদর্শনসমূহের স্বমহিমায় পুনরুজ্জীবন এবং স্বীকৃত ইসলামী দলগুলোর জন্য তাদের নিজস্ব মতাদর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ইসলামী শিক্ষা-দীক্ষার ব্যবস্থা।

৫. ইসলামী রাষ্ট্রের অপরিহার্য কর্তব্য হবে, বিশ্ব মুসলিমের সাথে ঐক্য ও একাত্মতাকে সুদৃঢ় করা এবং রাষ্ট্রের মুসলিম অধিবাসীদের মাঝে জাহহেলিয়াতের বিভেদ-বিভাজনের প্রেরণা যথা-বংশ, ভাষা, অঞ্চল ও অন্যান্য পার্থিব বৈশিষ্ট্যভিত্তিক বিভেদ-চেতনার পথ রুদ্ধ করে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি রক্ষার শক্তিশালী ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

৬. রাষ্ট্র জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে এমন সকল নাগরিকের অপরিহার্য প্রয়োজন পূরণের অর্থাৎ খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার দায়িত্বশীল হবে, যারা উপার্জনে সক্ষম নয়, কিংবা কর্মহীনতা বা অন্য কোনো কারণে বর্তমানে আয়-উপার্জনে অক্ষম।

৭. রাষ্ট্রের নাগরিকগণ ইসলাম প্রদত্ত সকল অধিকার লাভ করবেন। অর্থাৎ আইনী সীমারেখার মধ্যে জানমাল, ইজ্জত-আব্রুর নিরাপত্তা, স্বাধীনতা, ইবাদত ও উপাসনার অধিকার, ব্যক্তি-স্বাধীনতা, মত প্রকাশের অধিকার, নিরাপদে চলাচলের অধিকার, সভা-সমাবেশের অধিকার, আয়-উপার্জনের অধিকার, উন্নতির ক্ষেত্রগুলোতে সমতা এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সেবা গ্রহণের অধিকার।

৮. উপরোক্ত কোনো নাগরিক অধিকার ইসলামী আইনের বৈধ সনদ ছাড়া কোনোভাবেই হরণ করা যাবে না। কোনো অপরাধের অভিযোগে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ ও আদালতের রায় ছাড়া কোনো প্রকারের শাস্তি দেওয়া যাবে না।

৯. স্বীকৃত ইসলামী দলগুলো আইনের ভেতর থেকে সম্পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করবে। অনুসারীদেরকে ধর্মীয় শিক্ষা প্রদানের অধিকার তাদের থাকবে। তারা তাদের মতামত স্বাধীনভাবে প্রচার করতে পারবে। তাদের ব্যক্তিগত সমস্যার সমাধান তাদের ফিকহী মাযহাব অনুযায়ী হবে এবং এ রকম ব্যবস্থাও উপযোগী হবে যে, তাদের বিচারকই এই ফয়সালা করবেন।

১০. রাষ্ট্রের অমুসলিম নাগরিকদেরও আইনের মধ্যে থেকে তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, শিক্ষা-সংস্কৃতি ও ধর্মীয় শিক্ষা-দীক্ষার পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে। তাদের নিজস্ব সমস্যার সমাধান তাদের ধর্মীয় বিধান ও প্রথা অনুযায়ী করার অধিকার থাকবে।

১১. রাষ্ট্রের অমুসলিম নাগরিকদের সাথে শরীয়তের গন্ডির মধ্যে যে সব চুক্তি করা হয়েছে তা মেনে চলা অপরিহার্য। ৭ নং ধারায় যে সব নাগরিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে, দেশের অমুসলিম নাগরিকরাও তা সমানভাবে লাভ করবেন।

১২. রাষ্ট্রপ্রধানকে অবশ্যই মুসলিম পুরুষ হতে হবে, যার সততা, যোগ্যতা ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা সম্পর্কে নাগরিকদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা (আহলুল হাল্লি ওয়াল আকদি) আস্থাশীল থাকবেন।

১৩. রাষ্ট্রপ্রধানই হবেন রাষ্ট্রের শান্তি-শৃঙ্খলার মূল দায়িত্বশীল। তবে তিনি তার দায়িত্ব ও ক্ষমতার কিছু অংশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নিকট অর্পণ করতে পারবেন।

১৪. রাষ্ট্রপ্রধানের রাষ্ট্র পরিচালনা একনায়কসূলভ হবে না। বরং তা হবে শূরা ভিত্তিক অর্থাৎ তিনি শূরার সদস্য ( সংসদ সদস্য) ও মনোনীত মন্ত্রী পরিষদ (নির্বাহী পরিষদ) এর সাথে পরামর্শ করে তাঁর দায়িত্ব পালন করবেন।

১৫. রাষ্ট্রপ্রধান সম্পূর্ণ সংবিধান বা তার অংশবিশেষ বাতিল করে শূরাবিহীন রাষ্ট্র পরিচালনার অধিকারী হবেন না।

১৬. যারা রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত হবেন তারা অধিকাংশের মতের ভিত্তিতে তাকে অপসারণের ক্ষমতাও সংরক্ষণ করবেন।

১৭. নাগরিক অধিকার ও সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপ্রধান সাধারণ মুসলমানদের সমপর্যায়ের হবেন এবং আইনের জবাবদিহিতার উর্ধ্বে হবেন না।

১৮. সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং সাধারণ নাগরিক সবার জন্য অভিন্ন আইন ও নীতি প্রযোজ্য হবে এবং উভয় শ্রেণীর উপর সাধারণ আদালতই তা কার্যকর করবে।

১৯. বিচার বিভাগ প্রশাসন থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ও স্বাধীন থাকবে, যাতে বিচারিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে প্রশাসনের দ্বারা প্রভাবিত না হয়।

২০. এমন কোনো মতবাদ ও চিন্তাধারা প্রচার নিষিদ্ধ থাকবে, যা ইসলামী রাষ্ট্রের মৌলিক নীতি ও আদর্শ ধ্বংসের কারণ হয়।

২১. রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রদেশ ও বিভাগ একই রাষ্ট্রের প্রশাসনিক অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে। গোষ্ঠি, ভাষা বা বংশভিত্তিক আলাদা আলাদা অংশ নয়। শুধু ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনিক কর্মকান্ডের সুবিধার্থে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে কার্যনির্বাহী প্রতিষ্ঠান হিসেবে তাদের উপর দায়িত্ব অর্পণ করা বৈধ হবে। তারা কখনো কেন্দ্র থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার অধিকার লাভ করবে না।

২২. সংবিধানের এমন কোনো ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য হবে না, যা কুরআন-সুন্নাহর বিরোধী।

মুসলমানদের ১৫ টি প্রশংসনীয় চারিত্রিক গুণাবলী

ইসলামী চরিত্রের মৌলিক বিষয়সমূহ







abdullah nezami 
 nurulgoni islami aqademi
mirshari
chittagong
bangladesh


 ১ সত্যবাদিতা:

আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের যে সকল ইসলামী চরিত্রের নির্দেশ দিয়েছেন, তার অন্যতম হচ্ছে সত্যবাদিতার চরিত্র। আল্লাহ তাআলা বলেন,


“হে ঈমানদারগণ আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমরা সত্যবাদীদের সাথী হও।” সূরা আত-তাওবাহ : ১১৯



রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,


“তোমরা সততা অবলম্বন গ্রহণ কর, কেননা সত্যবাদিতা পুণ্যের পথ দেখায় আর পূণ্য জান্নাতের পথ দেখায়, একজন লোক সর্বদা সত্য বলতে থাকে এবং সত্যবাদিতার প্রতি অনুরাগী হয়, ফলে আল্লাহর নিকট সে সত্যবাদী হিসাবে লিপিবদ্ধ হয়ে যায়।” মুসলিম



২ আমানতদারিতা :

মুসলমানদের সে সব ইসলামী চরিত্র অবলম্বনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে তার একটি হচ্ছে আমানতসমূহ তার অধিকারীদের নিকট আদায় করে দেয়া। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ


“নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন আমানতসমূহ তার হকদারদের নিকট আদায় করে দিতে।” সূরা আন নিসা : ৫৮



রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সম্প্রদায়ের নিকট আল আমীন উপাধি লাভ করেছিলেন, তারা তাঁর নিকট তাদের সম্পদ আমানত রাখত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তার অনুসারীদের মুশরিকরা কঠোর ভাবে নির্যাতন শুরু করার পর যখন আল্লাহ তাকে মক্কা হতে মদীনা হিজরত করার অনুমতি দিলেন তিনি আমানতের মালসমূহ তার অধিকারীদের নিকট ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা না করে হিজরত করেননি। অথচ যারা আমানত রেখেছিল তারা সকলেই ছিল কাফের। কিন্তু ইসলাম তো আমানত তার অধিকারীদের নিকট ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছে যদিও তার অধিকারীরা কাফের হয়।



৩ অঙ্গীকার পূর্ণ করা:

ইসলামী মহান চরিত্রের অন্যতম হচ্ছে অঙ্গীকার পূর্ণ করা। আল্লাহ তাআলা বলেন :


“আর অঙ্গীকার পূর্ণ কর, কেননা অঙ্গীকার সম্বন্ধে জিজ্ঞাসিত হবে।” সূরা ইসরা : ৩৪



আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিশ্রতি ভঙ্গকরা মুনাফিকের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে গণ্য করেছেন।

৪ বিনয় :

ইসলামী চরিত্রের আরেকটি হচ্ছে একজন মুসলমান তার অপর মুসলিম ভাইদের সাথে বিনয়ী আচরণ করবে। সে ধনী হোক বা গরীব। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ


“তুমি তোমার পার্শ্বদেশ মুমিনদের জন্য অবনত করে দাও।” সূরা আল হিজর : ৮৮



রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,


“আল্লাহ তাআলা আমার নিকট ওহী করেছেন যে, ‘তোমরা বিনয়ী হও যাতে একজন অপরজনের উপর অহংকার না করে। একজন অপর জনের উপর সীমালংঘন না করে।” -মুসলিম।



৫ মাতা-পিতার প্রতি সদ্ব্যবহার:

মাতা-পিতার প্রতি সদ্ব্যবহার উত্তম চরিত্রের অন্যতম। আর এটা তাদের অধিকার মহান হওয়ার কারণে, যে অধিকার স্থান হল আল্লাহর হকের পরে।আল্লাহ তাআলা বলেনঃ


‘আর আল্লাহর ইবাদত কর, তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক করো না, এবং মাতা-পিতার প্রতি সদ্ব্যবহার কর।” [সূরা আন-নিসা : ৩৫ আয়াত]



আল্লাহ তাআলা তাদের আনুগত্য, তাদের প্রতি দয়া ও বিনয় এবং তাদের জন্য দু’আ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন :


“তাদের উভয়ের জন্য দয়ার সাথে বিনয়ের ডানা নত করে দাও এবং বল, হে আমার রব! তাদের প্রতি দয়া কর যেভাবে শৈশবে আমাকে তারা লালন-পালন করেছেন।” [ সূরা আল ইসরা : ২৪ ]



এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করল,


‘হে আল্লাহর রাসূল! আমার উত্তম আচরণ পাওয়ার সবচেয়ে বেশী অধিকারী ব্যক্তি কে ? তিনি বললেন, ‘তোমার মা।’ অত:পর জিজ্ঞেস করল তারপর কে? তিনি উত্তর দিলেন, ‘তোমার মা।’ অতঃপর জিজ্ঞেস করল তার পর কে? তিনি উত্তর দিলেন, ‘তোমার মা।’ অতঃপর জিজ্ঞেস করল তার পর কে? উত্তর দিলেন, ‘তোমার পিতা।’ [বুখারী ও মুসলিম]



মাতা-পিতার প্রতি এ সদ্ব্যবহার ও দয়া অনুগ্রহ অতিরিক্ত বা পূর্ণতা দানকারী বিষয় নয় বরং তা হচ্ছে সকল মানুষের ঐক্যমতের ভিত্তিতে ফরযে আইন।



৬ আত্মীয়তার সর্ম্পক বজায় রাখা :

আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা ইসলামী চরিত্রের অন্যতম। আর তারা হচ্ছে নিকটাত্মীয়গণ যেমন, চাচা, মামা, ফুফা, খালা, ভাই, বোন প্রমূখ।

আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা ওয়াজিব, আর তা ছিন্ন করা জান্নাত হতে বঞ্চিত ও অভিশাপের কারণ। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ



“ যদি তোমরা ক্ষমতা পাও, তাহলে কি তোমরা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করবে? তারা তো ঐ সব লোক যাদের প্রতি আল্লাহ অভিশাপ করেছেন। এতে তিনি তাদেরকে বধির করে দিয়েছেন এবং তাদের দৃষ্টি অন্ধ করে দিয়েছেন।” [সূরা মুহাম্মাদ : ২২-২৩]



রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,


“আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী বেহেশ্তে প্রবেশ করবে না।” [বুখারী ও মুসলিম]



৭ প্রতিবেশীর প্রতি সুন্দরতম ব্যবহার:

প্রতিবেশীর প্রতি সুন্দরতম ব্যবহার হচ্ছে ইসলামী চরিত্রের অন্যতম। প্রতিবেশী হচ্ছে সে সব লোক যারা আপনার বাড়ীর আশে পাশে বসবাস করে। যে আপনার সবচেয়ে নিকটবর্তী সে সুন্দর ব্যবহার ও অনুগ্রহের সবচেয়ে বেশী হকদার। আল্লাহ তাআলা বলেন,


“আর মাতা-পিতার প্রতি সদ্ব্যবহার কর, নিকটাত্মীয়, এতিম, মিসকীন নিকটতম প্রতিবেশী ও দূরবর্তী প্রতিবেশীর প্রতিও।” [সূরা আন-নিসা : ৩৬]



এতে আল্লাহ নিকটতম ও দূরবর্তী প্রতিবেশীর প্রতি সদ্ব্যবহার করতে ওসিয়ত করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেনঃ


‘জিবরীল আমাকে প্রতিবেশীর ব্যাপারে ওসিয়ত করতেছিল এমনকি আমি ধারণা করেনিলাম যে, প্রতিবেশীকে উত্তরাধিকার বানিয়ে দেয়া হবে।’ [বুখারী ও মুসলিম]



অর্থাৎ আমি মনে করেছিলাম যে ওয়ারিশদের সাথে প্রতিবেশীর জন্য মিরাসের একটি অংশ নির্ধারিত করে দেবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবু যর রা. কে লক্ষ্য করে বলেন,


‘হে আবু যর! যখন তুমি তরকারী পাক কর তখন পানি বেশি করে দাও, আর তোমার প্রতিবেশীদের অঙ্গীকার পূরণ কর।” [ মুসলিম]



প্রতিবেশীর পার্শ্বাবস্থানের হক রয়েছে যদিও সে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের প্রতি অবিশ্বাসী বা কাফের হয়।



৮ মেহমানের আতিথেয়তা:

ইসলামী চরিত্রের আরেকটি হচ্ছে মেহমানের আতিথেয়তা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী,


“যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং পরকালের প্রতি বিশ্বাস করে সে যেন তার মেহমানকে সম্মান করে।” [বুখারী ও মুসলিম]



৯ সাধারণভাবে দান ও বদান্যতা:

ইসলামী চরিত্রের অন্যতম দিক হচ্ছে দান ও বদান্যতা। আল্লাহ তাআলা ইনসাফ, বদান্যতা ও দান কারীদের প্রশংসা করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

“যারা আল্লাহর রাস্তায় নিজেদের সম্পদ ব্যয় করে অতঃপর যা খরচ করেছে তা থেকে কারো প্রতি অনুগ্রহ ও কষ্ট দেয়ার উদ্দেশ্য করে না, তাদের জন্য তাদের প্রতিপালকের নিকট প্রতিদান রয়েছে। তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুশ্চিন্তাও করবে না।” [সূরা আল বাকারাহ : ২৬২]



রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,

‘যার নিকট অতিরিক্ত বাহন থাকে সে যেন যার বাহন নেই তাকে তা ব্যবহার করতে দেয়। যার নিকট অতিরিক্ত পাথেয় বা রসদ রয়েছে সে যেন যার রসদ নেই তাকে তা দিয়ে সাহায্য করে।” [মুসলিম]



১০ ধৈর্য্য ও সহিষ্ণুতা:

ধৈর্য্য ও সহিষ্ণুতা হচ্ছে ইসলামী চরিত্রের অন্যতম বিষয়। অনুরূপভাবে মানুষদের ক্ষমা করা, দুর্ব্যবহারকারীকে ছেড়ে দেয়া ওজর পেশকারীর ওজর গ্রহণ করা বা মেনে নেয়াও অন্যতম। আল্লাহ তাআলা বলেন :


“আর যে ধৈর্য্য ধারণ করল এবং ক্ষমা করল, নিশ্চয়ই এটা কাজের দৃঢ়তার অন্তর্ভূক্ত।” [সূরা আশ শুরা : ৪৩]



রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,


‘তারা যেন ক্ষমা করে দেয় এবং উদারতা দেখায়, আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করে দেয়া কি তোমরা পছন্দ কর না?’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “দান খয়রাতে সম্পদ কমে যায় না। আল্লাহ পাক ক্ষমার দ্বারা বান্দার মার্যাদাই বৃদ্ধি করে দেন। যে আল্লাহর জন্য বিনয় প্রকাশ করে আল্লাহ তার সম্মানই বৃদ্ধি করে দেন।” [মুসলিম ] তিনি আরো বলেন, “দয়া কর, তোমাদের প্রতি দয়া করা হবে। ক্ষমা করে দাও তোমাদেরও ক্ষমা করে দেয়া হবে।” [আহমাদ]





১। ১ মানুষের মাঝে সমঝোতা ও সংশোধন:

ইসলামী চরিত্রের আরেকটি হচ্ছে মানুষের মাঝে সমঝোতা ও সংশোধন করে দেয়া, এটা একটি মহান চরিত্র যা ভালবাসা সৌহার্দ প্রসার ও মানুষের পারষ্পারিক সহযোগিতার প্রাণের দিকে নিয়ে যায়।আল্লাহ তাআলা বলেন:


“তাদের অধিকাংশ শলাপরামর্শের মধ্যে কল্যাণ নেই। কেবল মাত্র সে ব্যক্তি ব্যতীত যে সাদকাহ, সৎকর্ম ও মানুষের মাঝে সংশোধনের ব্যাপারে নির্দেশ দেয়। যে আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে এসব করে অচিরেই আমরা তাকে মহা প্রতিদান প্রদান করব।” [সূরা আন নিসা : ১১৪]



১।২ লজ্জা:

ইসলামী চরিত্রের অন্যতম আরেকটি চরিত্র হচ্ছে লজ্জা। এটা এমন একটি চরিত্র যা পরিপূর্ণতা ও মর্যাদাপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের দিকে আহবান করে। অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা হতে বারণ করে। লজ্জা আল্লাহর পক্ষ হতে হয়ে থাকে। ফলে মুসলমান লজ্জা করে যে, আল্লাহ তাকে পাপাচারে লিপ্ত দেখবে। অনুরূপভাবে মানুষের থেকে এবং নিজের থেকেও সে লজ্জা করে। লজ্জা অন্তরে ঈমান থাকার প্রমাণ বহন করে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,

‘লজ্জা ঈমানের বিশেষ অংশ।’ [বুখারী ও মুসলিম]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন, “লজ্জা কল্যাণ ছাড়া আর কিছুই নিয়ে আসে না।” [বুখারী ও মুসলিম]



১।৩ দয়া ও করুণা:

ইসলামী চরিত্রের আরেকটি উল্লেখযোগ্য চরিত্র হচ্ছে দয়া বা করুণা। এ চরিত্রটি অনেক মানুষের অন্তর হতে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। ফলে তাদের অন্তর পাথরের মত অথবা এর চেয়েও শক্ত হয়ে গেছে। আর প্রকৃত মু’মিন হচ্ছে দয়াময়, পরোপকারী, গভীর অনুভূতি সম্পন্ন উজ্জল অনুগ্রহের অধিকারী। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ


“অত:পর সে তাদের অন্তর্ভূক্ত হয় যারা ঈমান এনেছে পরস্পর পরস্পরকে ধৈর্য্য ও করুণার উপদেশ দিয়েছে। তারা হচ্ছে দক্ষিণ পন্থার অনুসারী।” [সূরা আল-বালাদ : ১৭- ১৮]



রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,


“মুমিনদের পারস্পরিক সৌহার্দ্য, করুণা, অনুকম্পার উপমা হচ্ছে একটি শরীরের মত। যখন তার একটি অঙ্গ অসুস্থ হয় গোটা শরীর নিদ্রাহীনতা ও জ্বরে আক্রান্ত হয়।” [মুসলিম]



১।৪ ইনসাফ বা ন্যায়পরায়ণতা:

ন্যায় পরায়ণতা ইসলামী চরিত্রের আরেকটি অংশ। এ চরিত্র আত্মার প্রশান্তি সৃষ্টি করে। সমাজে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা এবং বিভিন্ন প্রকার অপরাধ বিমোচনের দিকে নিয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন:


“নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা ইহসান ও নিকটাত্মীয়দের দান করতে নির্দেশ দেন।” [সূরা আল নাহাল : ৯০]



আল্লাহ তাআলা বলেন :


“ইনসাফ কর, এটা তাক্বওয়ার অতীব নিকটবর্তী।” [সূরা আল মায়িদা : ৮]



রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,


“ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিরা আল্লাহর নিকট নূরের মিম্বরের উপর বসবে। তারা হল সে সব লোক, যারা বিচার ফয়সালার ক্ষেত্রে, পরিবার-পরিজনের ক্ষেত্রে এবং যে দায়িত্বই পেয়েছে তাতে ইনসাফ করে।”


১।৫ চারিত্রিক পবিত্রতা:

ইসলামী চরিত্রের অন্যতম বিষয় হচ্ছে চারিত্রিক পবিত্রতা। এ চরিত্র মানুষের সম্মান সংরক্ষণ এবং বংশে সংমিশ্রন না হওয়ার দিকে পৌঁছে দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন :


“যাদের বিবাহের সামর্থ নেই, তারা যেন চারিত্রিক পবিত্রতা গ্রহণ করে। যতক্ষণ না আল্লাহ তার অনুগ্রহে তাকে সম্পদশালী করেন।” [ সুরা আন নূর-৩৩ ]



রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেছেন,


“তোমরা আমার জন্য ছয়টি বিষয়ের জিম্মাদার হও। তাহলে আমি তোমাদের জন্য জান্নাতের জিম্মাদার হব। যখন তোমাদের কেউ কথা বলে সে যেন মিথ্যা না বলে। যখন তার কাছে আমানত রাখা হয় তখন যেন খেয়ানত না করে। যখন প্রতিশ্র“তি দেয় তা যেন ভঙ্গ না করে। তোমরা তোমাদের দৃষ্টি অবনত কর। তোমাদের হস্তদ্বয় সংযত কর। তোমাদের লজ্জাস্থান হেজাফত কর।” [ হাদীসটি তাবারানী বর্ণনা করেছেন এবং হাদীসটিকে ‘হাসান’ বলেছেন ]



ইসলামের এ সব চরিত্রে এমন কিছু নেই যা ঘৃণা করা যায়। বরং এসব এমন সম্মান যোগ্য মহৎ চারিত্রাবলী যা প্রত্যেক নিষ্কলুষ স্বভাবের অধিকারীর সমর্থন লাভ করে। মুসলমানগণ যদি এ মহৎ চরিত্র ধারণ করত তাহলে সর্বস্থান থেকে তাদের নিকট মানুষ আগমন করত এবং দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে তারা প্রবেশ করত যেভাবে প্রথম যুগের মুসলমানদের লেন-দেন ও চরিত্রের কারণে সে সময়ের মানুষ ইসলামে প্রবেশ করেছিল।

পুরনো বাইবেলে বিশ্বনবীর সা. আগমনী বার্তা: ভ্যাটিকানে তোলপাড়

লন্ডন, ২৫ ফেব্রুয়ারি: হযরত ঈসা (আ.) বা যিশু খ্রিস্ট কর্তৃক হযরত মুহাম্মদের সা. আবির্ভাবের ভবিষ্যদ্বাণী সম্বলিত বাইবেলের একটি প্রাচীন সংস্করণ দেখতে চেয়েছেন ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ। বৃটেনের ডেইলি মেইল এ খবর দিয়ে জানিয়েছে, ১৫০০ বছরের পুরনো এ বাইবেল সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে এবং তা গত ১২ বছর ধরে তুরস্কে গোপন রাখা হয়েছে। অনেকেই মনে করেন এই বাইবেলই নির্ভরযোগ্য প্রাচীন ইঞ্জিল বা হযরত ঈসার আ. প্রাথমিক বাণী বা শিক্ষা সম্বলিত বাইবেল হিসেবে খ্যাত ‘বার্নাবাসের বাইবেল।’





পোপ ষোড়শ বেনিডিক্ট এই বাইবেল দেখতে চেয়েছেন বলে খবর এসেছে। এক কোটি ৪০ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড মূল্যের এ বাইবেল স্বর্ণাক্ষরে এবং হযরত ঈসার আ. নিজ ভাষা তথা আরামীয় ভাষায় লিখিত।



তুরস্কের পুলিশ ২০০০ সালে চোরাচালান দমনের এক অভিযানে পশুর মোটা চামড়ায় লেখা এবং চামড়া দিয়ে বাঁধাই করা এ বাইবেলটি উদ্ধার করে। ২০১০ সালের আগ পর্যন্ত বইটি কড়া প্রহরার মধ্যে গোপন রাখা হয় এবং এরপর আঙ্কারার প্রত্নতাত্তিক জাদুঘরে হস্তান্তর করা হয়। সামান্য কিছু সংস্কারের পর বইটিকে শিগগিরই জনসমক্ষে প্রদর্শন করা হবে। হস্তলিখিত বইটির একটি পৃষ্ঠার ফটোকপির দাম ১৫ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড বলে মনে করা হচ্ছে।


তুরস্কের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী এর্তুগরোল গুনায় বলেছেন, প্রাচীন এই বাইবেল ইঞ্জিল শরীফের নির্ভরযোগ্য সংস্করণ হতে পারে এবং হযরত ঈসা আ. সম্পর্কিত ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গে এ বাইবেলের মিল থাকায় বইটি হয়ত খ্রিস্টান গির্জার ক্ষোভের শিকার হয়েছিল।



তিনি আরো বলেছেন, ভ্যাটিকান এ পাণ্ডুলিপি দেখার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জানিয়েছেন। প্রোটেস্টান্ট পাদ্রী ইহসান ওজবেক তুরস্কের জামান পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সম্ভবত বার্নাবাসের কোনো অনুসারী এ বাইবেল লিখেছেন এবং বার্নাবাসের বাইবেলের বিষয়বস্তুর সঙ্গে এর কোনো মিল নাও থাকতে পারে। ধর্মতত্ত্বের অধ্যাপক ওমর ফারুক হারম্যান বলেছেন, এ বাইবেলের ওপর বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হলেই এটা স্পষ্ট হবে যে তা কত বছরের পুরনো।


http://www.barta24.net/index.php?view=details&data=Islam&news_type_id=1&menu_id=67&news_id=32288







বার্তা২৪ ডটনেট/জিসা


দেখতে পারেন------------------

http://sonarbangladesh.com/blog/DaliaNuzha/69692

রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

ঈদে মিলাদুন্নবী কোনো ঈদ নয়

ঈদে মিলাদুন্নবী কোনো ঈদ নয়








এ লিংকা দেখতে অনূরোধ করছি

http://www.youtube.com/watch?v=sa6udG78QQ0&context=C311f8f0ADOEgsToPDskJowGk7wkDblaWKjYjxL-Mc





[এক]

মানুষ শুধু উৎসবের পেছনে দৌঁড়ায়। ব্যস্ত ও একঘেঁয়ে জীবনের খোলস ছেড়ে একটু বেরিয়ে আসতে চায় সে। একটু শান্তি আর সুখ লাভের জন্য ছটফট করতে থাকে সবসময়। তাই কোনো নাম-কা-ওয়াস্তে উসিলা পেলেই নেচে ওঠে তার মন। ছুটে যায় সে দিকে। মেতে ওঠে উৎসবে।



কালের কণ্ঠের গতকালের ‘রাজকূট’ টা বাসে বসে পড়ছিলাম। প্রচ্ছদ রচনা “রক্তের অক্ষরে লেখা শহীদের নাম ভেসে গেছে ভ্যালেন্টাইনের জোয়ারে” মনযোগ দিয়ে পড়লাম। কীভাবে শোকের কথা ভুলে গিয়ে শুধু একটু সুখের আশায় মানুষ সহজেই একটি বানিজ্যিক দিনকে গ্রহণ করে উৎসবের দিন হিসেবে -রচনাটি সে কথাই আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দেয় আমাদেরকে।



আমাদের অবস্থা তো এখন এমন যে, কোনো উৎসব পালন করতে তার ইতিহাসও ঘেটে দেখি না আমরা। মিডিয়া বলে ভালোবাসা দিবস, ভালোবাসতে শুরু করি আমরা। মিডিয়া বলে এপ্রিল ফুল, ফুল বানাতে ব্যস্ত হয়ে যাই আমরা। মিডিয়া প্রচার করে ঈদে মিলাদুন্নবি, ঈদ পালন করতে শুরু করি আমরা। এলাকার ছেলেরা পটকা ফোটানো শুরু করে। কোরমা-পোলাও আর শিন্নি-সেমাই রান্না হয় ঘরে ঘরে। আশ্চর্য!



[দুই]

ঈদে মিলাদুন্নবি নামে ইসলামে কোনো ঈদ নেই। ধর্মের নামে কোনো কিছু প্রচার করতে হলে উপযুক্ত দলিল-প্রমাণ লাগে। ঈদে মিলাদুন্নবির প্রচারকদের কাছে তা নেই। দলিল-প্রমাণ বলতে তারা যা উপস্থাপন করেন, তাকে প্রমাণ তো বলাই যায় না, সাপোর্টার বলতেও লজ্জা হয়।



আর কুরআন-হাদিস ও সাহাবা-তাবেয়ীদের জীবনী থেকে প্রমাণ ছাড়া ধর্মের নামে নতুন কিছু করাকে বলা হয় বেদাত। নবী স. বেদাতের বিরুদ্ধে সবসময় কঠোর ছিলেন। কোনো বক্তব্য শুরু করার সময় তিনি যে ভূমিকা বলতেন, তাতেই বেদাতের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি থাকত। বুখারী রহ. সহ সব হাদিসবেত্তাই সেসব বণর্না উল্লেখ করেছেন।



বেদাতের বিরুদ্ধে এত কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করার কারণ, ধর্মকে তার মূল অবয়বে রক্ষা করা। কেননা বেদাতের সৃষ্টি সবসময়ই সুন্দর অবয়বে হয়ে থাকে। বেদাতকারীদের উদ্দেশ্যও অধিকাংশ সময় সওয়াব লাভ করা হয়ে থাকে। কিন্তু এভাবে কুরআন-হাদিসে যেসব নেই, সেসব যদি ধর্মের নামে সংযোজন হতে শুরু করে, তাহলে ধর্মের অবয়বই একদিন হারিয়ে হয়ে যাবে।



[তিন]

নবী স. এর জন্ম দিবসকেই তারা ঈদে মিলাদুন্নবি বলেন। অথচ এমন কোনো দিবস নবী স. নিজেও পালন করেন নি, তার সাহাবী-তাবেয়ী কেউ পালন করেন নি। নি:সন্দেহে নবীর স. সাহাবীগণ আমাদের চেয়ে নবীর স. প্রতি বেশি ভালোবাসা পোষণ করতেন। এরপরও তাদের এ দিবস পালন না করা এ দিনের কোনো ধর্মীয় অনুমোদন না থাকারই প্রমাণ।



আরবি বছর কবে থেকে গণনা করা হবে -এ নিয়ে যখন ওমর রা. এর উদ্যোগে পরামর্শ সভা ডাকা হয়, তখন কিছু সাহাবী নবী স. এর জন্ম দিবস থেকে বছর গণনা করার পরামর্শ দেন। কিন্তু ওমর রা. সহ বড় সাহাবীগণ তা কঠোরভাবে প্রতিহত করেন। পরে হিজরত থেকেই বছর গণনা শুরু হয়।



বলা হয়, পরবর্তীকালে কোনো এক খলিফার সময় এ দিবসটির প্রচলন শুরু হয়। যা আজও কিছু মানুষ লালন করে আসছে।



[চার]

রবিউল আউয়াল মাস আসলেই আমাদের ভেতর নবী-প্রেম জেগে ওঠে। আবেগে তাড়িত হই আমরা। ভালো। কিন্তু আমরা কি আবেগটাকে সঠিক পথে কাজে লাগাতে পারি? কেন, এসব বেদাতে না জড়িয়ে নবীর স. জীবনের উপর আলোচনা-পর্যালোচনা-গবেষণা আর সভা-সেমিনার আয়োজন করলে কি ভালো হত না? নবীর স. জন্মের মাস, আবার তাঁর ইন্তেকালেরও মাস এটা। এ মাসে তাঁর জীবনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।



আসুন ভাবি, চিন্তা করি। চিন্তাশীলদের কাছে যাই। আলোচনা করি। নবীর স. জীবন নিয়ে, তাঁর আদর্শ নিয়ে, তাঁর দর্শন নিয়ে।



শেষকথা : যারা ঈদে মিলাদুন্নবি পালন করেন তাদের অনেকেরই উদ্দেশ্য নবী স. এর ভালোবাসা। কাজেই তাদেরকে দমন করার নামে তাদেরকে কষ্ট দেয়া কাম্য নয় কখনোই। বরং, সুন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে, জ্ঞান ও প্রজ্ঞার মাধ্যমে কাছে টেনে নিতে হবে তাদের। নবী প্রেম তবেই ফুটে উঠবে স্বার্থক ভাবে। আল্লাহ আমাদের তাওফীক দিন।



http://www.sonarbangladesh.com/blog/DaliaNuzha/89970



ওজুর ফরজ চারটি ও গোসলের ফরজ ৩টি

পবিত্রতা অর্জন করার ২টি মাধ্যম অজু-গোসল




কারো মুখ ভরে ভূমি হলে ,শরীরের কোন অঙ্গের থেকে ফূঁজ-রক্ত বাহির হলে, সিঙ্গা বসাইলে , পায়খানা প্রস্রাব করলে , গুপ্তাঙ্গ থেকে বাতাস -পোকা -পাথর ইত্যাদি যে কোন কিছু বাহির হওয়ার কারনে সাময়িক শরীরে যে অপবিত্রতা হয় তা থেকে পবিত্রতা অর্জন করার

জন্যই অজু করতে হয় ৷





অজুর ফরজ ৪টি

============



১· মাথার চুলের গোড়া থেকে থুতনীর নিচ পর্যন্ত এবং এক কানের লতি থেকে অপর কানের লতি পর্যন্ত সমস্ত মুখ কমপক্ষে একবার ধোয়া।



২· দুই হাত কনুই সহ কমপক্ষে একবার ধোয়া।



৩· মাথার চার ভাগের এক ভাগ কমপক্ষে একবার মাছেহ করা।



৪· দুই পা টাকনু সহ কমপক্ষে একবার ধোয়া।



উপর্যুক্ত কাজগুলো ইচ্ছায় হোক কিংবা অনিচ্ছায় হোক যথাযথভাবে না করলে ওজু হবে না।১ চুল পরিমান ও যাতে শুকনো না থকে ৷



-সূরা মায়িদা-৬০





আর উপরোক্ত ধৌত করার স্হান গুলো ১ বার ধৌত করা ফরজ আর ৩ বার ধৌত কর সুন্নাত , আর সমস্ত মাথা শুধু মাত্র ১ বার মাছেহ করা সুন্নাত , আর চার ভাগের এক ভাগ একবার মাছেহ করা ফরজ ৷*********************************************************************





]











ফরজ গোসলের ফরজ ৩টি

----------------------

-----------------------

সাধারনত সহবাস , স্বপ্ন দোষ, হস্তমৈথুন, ও মহিলাদের ঋতুস্রাব হলে , বা সন্তান জন্মের পর নেফাসের কারনে শরীর স্হায়ী ভাবে যে অপবিত্র হয় , তা থেকে পবিত্রতা অর্জনের জন্য যে গোসল করা হয় তাকে ফরজ গোসল বলা হয় ,



আর এ গোসলের ফরজ কাজ হলো ৩টি





১/ গড়গড়ার সাথে কুলি করা

২/ এমন ভাবে নাকে পানি দেয়া যাতে নাকের ডগায় পর্যন্ত পোঁছে যায় .

৩/ সমস্ত শরীরে এমন ভাবে পানি পৌঁছানো যাতে ১ চূল বরাবর ও জায়গা শুকনো না থাকে



এ কার্যগুলো সম্পাদন করন ব্যতিরেকে গোসল করলে শরীর পাক হবেনা , সার্বক্ষন নাপাকই থেকে যাবে ৷









এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া

প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক

নুরুলগনি ইসলামী একাডিমী

মিরসরাই

চট্টগ্রাম





ঘুমানোর সুন্নাত তরীকা


ঘুম হলো মৃত্যুর ভাই

তাই প্রত্যেক মোমেনেরজন্য সব সময় মৃত্যুকে স্বরন করেই কাজ কাম করা উচিৎ

তেমনি ঘূম ও একটি কাজ

সকল প্রানী জীব জন্তু গাছ-পালা সবাই ঘুমায় তাই সৃষ্টির সেরা মানুষ ও ঘুমায় , কিন্তু মানুষ ও অন্যান্য জীবের ঘুমের মধ্যে আবশ্যই পার্থক্য আছে.



মানুষেরা আল্লাহর হুকুম ও নবী সাঃ এর তরীকা অনুসরন করেই ঘুমায় ,আর জীব জানোয়ারর মধ্যে তা নেই তাই এখানে

ঘুমানোর সুন্নাহ তরীকা সমূহ বননা করা হলো





১· ঘুমানোর সুন্নাহ সমূহ

১·ইশার সালাতের পর যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি ঘুমাতে চেষ্টা করা, যাতে তাহাজ্জুদের জন্য উঠা সহজ হয়। (বুখারী হা: নং-৫৪৭)



২·ওজু করে শয়ন করা। (বুখারী হা: নং-৬৩১১)



৩·শয়নের পূর্বে বিছানা ভালভাবে ঝেড়ে নেয়া। (বুখারী হা: নং-৬৩২০)



৪·শয়নের পূর্বে পরিহিত কাপড় পরিবর্তন করে ঘুমের কাপড় পরিধান করা। (আল মাদখাল, ৩/১৬২ )



৫·শয়নের পূর্বে বিসমিল্লাহ পড়ে নিম্নের কাজগুলো করা।



ক·দরজা বন্ধ করা।



খ. পানি ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের পাত্র ঢেকে রাখা। ঢাকার জন্য কোন বস্তু না পাওয়া গেলে বিসমিল্লাহ পড়ে কোন একটি লাঠি বা কোন ছড়ি রেখে দেয়া।



গ. বাতি নিভানো। (বুখারী হাঃ নং-৫৬২৩-২৪)



৬·ঘুমানোর পূর্বে তিনবার করে সুরমা লাগানো। (মুস্তাদরিক হাঃ নং-৮২৪৯)



৭·ঘুমানো পূর্বে কিছু পরিমান কুরআন তিলাওয়াত করা। বিশেষ করে সূরা ফাতিহা, সূরা কাফিরূন, আয়াতুল কুরছি, আমানার রাসূল থেকে সূরা বাকারার শেষ পর্যন্ত, সূরা মূলক, আলিফ লাম মীম সাজদাহ ইত্যাদি তিলাওয়াত করা। এত কিছু তিলাওয়াত করতে না পারলে কমপক্ষে ২/৩ টি ছোট ছোট সূরা পড়া।



(তাবরানী কাবীর, হা: নং-২১৯৫) (আল আদাবুল মুফরাদ হা: নং-১২০৯) (বুখারী হা: নং-২৩৭৫)



৮. ঘুমানোর পূর্বে কয়েকবার দুরূদ শরীফ পড়া এবং তাসবিহে ফাতিমী পাঠ করা অর্থাৎ-৩৩ বার ছুবহানাল্লাহ, ৩৩ আলহামদুলিল্লাহ ও ৩৪ বার আল্লাহু আকবার বলা। (বুখারী হা: নং-৩১১৩)



৯. সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক সূরা নাছ প্রত্যেকটা তিনবার করে পড়ে হাতে ফুঁ দিয়ে যতটুকু সম্ভব মাথাথেকে পা পর্যন্তসমস্তশরীরে হাত মুছে দেয়া। তিনবার এমন করা। (বুখারী হা: নং-৫০১৭)



১০. ঘুমানোর সময় ডান কাতে কিবলামূখী হয়ে শোয়া। উপুর হয়ে শোয়া নিষেধ কারণ এভাবে শয়ন করাকে আল্লাহ ত‘য়ালা পছন্দ করেন না। (বুখারী হাঃ নং-৬৩১৪)



১১· ঘুমানোর পূর্বে তিনবার নিম্নের ইস্তেগফার পড়া:



اَسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِيْ لَاْ اِلَهَ اِلّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّوْمُ وَ اَتُوْبُ اِلَيْكَ



(তিরমিযী হা: নং-৩৩৯৭)



১২·এই দু‘য়াটি পড়া



اَلَّلهُمَّ بِاسْمِكَ اَمُوْتُ وَ اَحْىَ



(বুখারী হা: নং-৬৩১৪)



১৩·শয়ন করার পর ভয়ে ঘুম না আসলে এই দু‘য়া পড়া



اَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ غَضَبِهِ وَ عِقَابِهِ وَ شَرِّ عِبَادِهِ وَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيْطَانِ وَ اَنْ يَحْضُرُوْنَ



(তিরমিযী হা: নং-৩৫২৮)



১৪·স্বপ্নে ভয়ংকর কিছু দেখে ঘুম ভেঙ্গে চক্ষু খুলে গেলে তিনবার



اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ



পড়ে বাম দিকে থুথু ফেলে পার্শপরিবর্তন করে শোয়া। অতপর নিম্নোক্ত দু‘য়াটি পড়লে আর ক্ষতির কোন আশংকা থাকে না:



اَلَّلهُمَّ اِنِّيْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ هَذِهِ الرُّؤْيَا





(মুসলিম শরীফ হা:নং-২২৬২)



এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া

প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক

নুরুলগনি ইসলামী একাডিমী

মিরসরাই

http://www.sonarbangladesh.com/blog/DaliaNuzha/88369

যিনি সকল প্রাণীর রিজিকের দায়িত্ব নিয়েছেন’। কে তিনি? [১টি সত্য ঘটনা]

  • আল্লাহ তায়ালা মানব সৃ্ষ্টির ২০০০ বৎসর পূর্বেই সকলের রিজিকের বন্দোবস্হ / বাজেট করে রেখেছেন



    ইমাম কুরতুবী রহ. وَمَا مِنْ دَابَّةٍ فِي الْأَرْضِ إِلَّا عَلَى اللَّهِ رِزْقُهَا (সূরা হুদ: ৬) আয়াতের তাফসীর প্রসঙ্গে হযরত আবু মূসা রা.ও হযরত আবু মালেক রহ.প্রমূখ আশআরী গোত্রের একটি ঘটনা উল্লেখ করে বলেন যে, তারা ইয়েমেন থেকে হিজরত করে মদীনা শরীফ পৌঁছলেন। তাঁদের সাথে পাথেয় সরূপ আহার্য পানীয় যা ছিল, তা নিঃশেষ হয়ে গেলে তারা নিজেদের পক্ষ থেকে একজন মূখপাত্র প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ স.এর নিকট প্রেরণ করলেন যেন তিনিতাদের জন্য কোন আহার্যের ব্যবস্থা করেন। এ প্রতিনিধি যখন রাসূলে আকরাম স·এর গৃহদ্বারে হাযির হলেন, তখন গৃহাভ্যন্তর হতে রাসূলে পাক স·এর কুরআন তিলাওয়াতের সুমধুর ধ্বনি ভেসে এলো। তিনি পাঠ করছিলেনঃ



    وَمَا مِنْ دَابَّةٍ فِي الْأَرْضِ إِلَّا عَلَى اللَّهِ رِزْقُهَا.............



    অর্থাৎ-পৃথিবীতে বিচরণকারী এমন কোন প্রাণী নেই, যার রিযিকের দ্বায়িত্ব আল্লাহ গ্রহণ করেননি।



    (সূরা হুদ: ৬)



    সাহাবী এ আয়াতে কারীমা শ্রবন করে মনে করলেন যে, আল্লাহ তা‘য়ালা স্বয়ং যখন সকল প্রাণীকূলের দায়িত্ব নিয়েছেন এবং আমরা আশআরী গোত্রের লোকেরা আল্লাহ তা‘য়ালার নিকট নিশ্চয় অন্যান্য জন্তু জানোয়ারের চেয়ে নিকৃষ্ট নই। অতএব তিনি অবশ্যই আমাদের জন্য রিঝিকের ব্যবস্থা করবেন। এ ধারণা করে তিনি রাসূলুল্লাহ সা·কে নিজেদের অসুবিধার কথা না বলেই সেখান থেকে ফিরে গিয়ে সাথীদেরকে বললেন-“শুভ সংবাদ, তোমাদের জন্য আল্লাহর সাহায্য আসছে।” তাঁরা এ কথার অর্থ বুঝলেন যে, তাদের মূখপাত্র নিজেদের দুরবস্থার কথ রাসূলে পাক স·কে অবহিত করেছে। তিনি তাঁদের আহার্য ও পানীয়ের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন। তাই তারা নিশ্চিত মনে বসে রইল।



    তাঁরা উপবিষ্টই ছিলেন, এমন সময় দুই ব্যক্তি গোশত-রুটিপূর্ণ একটিقصعة অর্থাৎ বড় খাঞ্চা বহন করে উপস্থিত হয়ে আশআরীদের দান করলেন। অতপর আশআরী গোত্রের লোকদের আহার করার পরও প্রচুর গোশত-রুটি রয়ে গেল। তখন তারা পরামর্শ করে অবশিষ্ট খানা রাসূলুল্লাহ সা.এর সমীপে প্রেরণ করা বাঞ্চনীয় মনে করলেন, যেন তিনি প্রয়োজন অনুসারে ব্যয় করতে পারেন। সিদ্ধান্তঅনুযায়ী তাঁরা তাঁদের দুই ব্যক্তির মাধ্যমে অবশিষ্ট খাবারগুলো রাসূল সা·এর খেদমতে পাঠিয়ে দিলেন।



    তাঁরা খাঞ্চা নিয়ে রাসূল সা·এর দরবারে উপস্থিত হয়ে বললেন, “ইয়া রাসূলুল্লাহ সা.আপনার প্রেরিত রুটি-গোশত অত্যন্তসু-স্বাদু ও উপাদেয় এবং প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত হয়েছে।” উত্তরে রাসূল সা·বললেন, আমি তো কোন খাদ্য প্রেরণ করিনি।



    তখন তাঁরা পূর্ণ ঘটনা বর্ণনা করলেন যে, আমাদের অসুবিধার কথা আপনার কাছে ব্যক্ত করার জন্য অমুক ব্যক্তিকে আপনার নিকট প্রেরণ করেছিলাম। তিনি ফিরে গিয়ে এ কথা বলেছিল। আমরা মনে করেছি যে, আপনিই খানা প্রেরণ করেছেন। এসব কিছু শুনে রাসূল সা·বললেন, ‘আমি নই বরং এসব খাবার ঐ পবিত্র সত্তা প্রেরণ করেছেন যিনি সকল প্রাণীর রিঝিকের দায়িত্ব নিয়েছেন’।



    সূত্রঃ তাফসীরে মা‘আরিফুল কুরআন, পৃঃ ৬২২ (সংক্ষিপ্ত)





    এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া[ নিজামী]

    প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক

    নুরুলগনি ইসলামী একাডিমী
 
http://www.sonarbangladesh.com/blog/DaliaNuzha/89002
http://www.youtube.com/user/abdullahnezami
 
 
 
 
 
 

আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামায়াত এর আকিদাহ ২য় পব


সায়্যিদিল মুরছলীন আমাদের প্রিয় নবী ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে সম্পৃক্তঃ** আক্বাইদ

===================**************************************************





 তিনি সকল সৃষ্টি জীব থেকে শ্রেষ্ট ।তিনি শেষ ও সর্ব শ্রেষ্ট নবী . তিনি আখেরী নবী .তাঁর পর দুনিয়াবাসীর প্রয়োজনে আর কোন নবী-রসুলএর আগমন হবেনা , তাঁর দ্বারাই নবুয়তের দরজা বন্দ হয়ে গেছে ,

এর পর কেউ নিজেকে নবী বলে ঘোষনা /দাবী করলে , সে হবে কাফের ,মুরতাদ , ও দাজ্জালের সহচর , ও ইহুদী-খৃষ্টানদের দালাল ৷



আল্লাহর প্রেরিত রাসূলগণের প্রতিও ব্যাপক ও বিশদভাবে বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। সুতরাং আমরা বিশ্বাস করি যে, আল্লাহপাক আপন বান্দাদের প্রতি তাদের মধ্য হতে বহু সংখ্যক রাসূল-শুভসংবাদবাহী, ভীতি প্রদর্শণকারী ও সত্যের পানে আহবায়ক রূপে প্রেরণ করেছেন। যে ব্যক্তি তাদের আহবানে সাড়া দিয়েছে সে সৌভাগ্যের পরশ লাভ করেছে, আর যে তাদের বিরোধিতা করেছে সে হত্যাশা ও অনুশোচনার শিকারে নিপতিত হয়েছে।



এর নিদ্দিষ্ট পরিমান আল্লাহই ভাল জানেন و তবে ১২৪০০০ নবী-রসুলদের সংখ্যাটি কোন কোন ঐতিহাসীক গন বননা করেছেনو





“প্রত্যেক জাতির প্রতি আমি রাসূল পাঠিয়েছি এই আদেশ সহকারে যে,তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এবং তাগুতের (শয়তান বা শয়তানী শক্তির) ইবাদত থেকে দূরে থাক”। (সূরা আন-নাহল: ৩৬)



আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:



“আমি তাদর সবাইকে শুভসংবাদবাহী ও সতর্ককারী রাসূল হিসেবে প্রেবণ করেছি যাতে এ রাসূলগণের আগমণের পর মানুষের পক্ষে আল্লাহর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না থাকে”। (সূরা নিসা-১৬৫)



আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন:



“মুহাম্মদ তোমাদের পুরুষদের মধ্যে কারো পিতা নন বরং তিনি তো আল্লাহর রাসূল ও সর্বশেষ নবী”। (সূরা আল-আহ্‌যাব: ৪০)



ঐ সমস্ত নবী –রাসূলগণেরে মধ্যে আল্লাহ যাদের নাম উল্লেখ করেছেন বা যাদের নাম রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত হয়েছে তাদের প্রতি আমরা বিশদভাবে ও নির্দিষ্ট করে বিশ্বাস স্থাপন করি। যেমন: - হযরত আদম হযরত শীশ.ইদ্রীস হযরত নূহ, হযরত হুদ, হযরত সালেহ, হযরত ইবরাহীম হযরত মুসা হযরত ঈসা হযরত ইউছুপ আঃ হযরত যাকারিয়া হযরত দাউদ সুলাইমান ইউছুপ আঃও অন্যান্য রাসূলগণ। আল্লাহ তাঁদের সকলের উপর, তাদের পরিবারবর্গ ও অনুসারীদের উপর রহমত ও শান্তি বর্ষণ করুন।





আর যাদের নাম জানা নেই তাদের প্রতি ও ঈমান /বিশ্বাস করি ,





সায়্যিদিল মুরছলীন আমাদের প্রিয় নবী ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে সম্পৃক্তঃ***********************************************



****** তিনি সকল সৃষ্টি জীব থেকে শ্রেষ্ট ।তিনি শেষ ও সর্ব শ্রেষ্ট নবী . তিনি আখেরী নবী .তাঁর পর দুনিয়াবাসীর প্রয়োজনে আর কোন নবী-রসুলএর আগমন হবেনা , তাঁর দ্বারাই নবুয়তের দরজা বন্দ হয়ে গেছে ,





****তিনি নিষ্পাপ



*** তিনি সাঃ আঃ [= বাশার] মানুষ ছিলেন তবে তিনি আমাদের মত সাধারন মানুষ নহে , তিনি অসাধারন মানুষ তাঁর সমতূল্য সমকক্ষ কেউ নেই , তাঁর জ্ঞান মযাদার সাথে কারো তুলনা করা যায়না , এমন কি পূর্বেকার কোন নবী রসুলদের সাথে ও তাঁর তুলনা হয়না . তিনি অতুলনীয় . তিনি মানুষ আকৃতিতে প্রেরীতত হলেও আমাদের মত সাধারন মানুষের সাথে তাঁর ৫৩টি প্রাথক্য রয়েছে .৷



*** তাঁর পুনাঙ্গ অনূকরন-অনূসরন করা ওয়াজীব



**** তাঁর মেরাজ সত্য و তিনি স্ব-শরীরে জাগ্রত অবস্থায় মিরাজে গিয়েছেন ।



*** মিরাজে তিনি স্ব-চোখে আল্লাহ তায়লার দীদার লাভ করেছেন ।।



**** গায়েবের এলেম আল্লাহ বাদে আর কেউ জানেনা , আল্লাহ তায়ালা তাঁকে যতটুকু গায়িব এর এলেম শিক্ষা দিয়েছেন।তাই তিনি জানেন যত পরিমান মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর হাবীবকে শিক্ষা দিয়েছেন ।এর বেশী নয়

যেমন বেহেশত-দোজখ-হাশর -কবর -ও কেয়ামতের আলামত ইত্যাদি সমপর্কীত ভবিষ্যৎ বানী .



**** রাসুলে পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রওজ়া মো্বারকে স্ব-শরীরে জীবিত আছেন ।

তবে কেমন বা কি আবসহায় আছেন আল্লাহ ভান জানেন





*** কিয়ামতের ময়দানে তাঁর উসীলা কামনা করা জায়েয ।



**** প্রিয় হাবীব(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিয়ামতের ময়দানে তাঁর উম্মতের জন্য শাফায়াত করবেন ।

[একমাত্র পূনাঙ্গ তাওহীদবাদী. কুফর-শীরক মুক্ত মুমীনদের জন্য ]

এবং আল্াহ তায়লা ও তা গ্রহন করবেন কিন্তু বেদআতীগন তার সুপারীশ থেকে বঞ্ছিত হবে ৷



এ মর্মে দ্বীনের মধ্যে নতুন কোন প্রথা যেমন জশন জুলুশ এর মত অনুষ্ঠান ,ঈদে মিলাদুন্নবী ওরসন্নুবী ইত্যাদী অনুষ্ঠন এবাদতের অংশ হিসাবে উৎযাপন করন বেদআত



** সমস্ত নাবী-রাসুলগণ সহ আমাদর প্রিয় নবী সাঃ মাছূম (ছোট কিংবা বড় সব গুনাহ থেকে মুক্ত) ।



*** হাউযে-কাউছার সত্য ও কেয়ামতের কঠিন দিবসে তাঁর তাওহীদবাদী উম্মতকে পান করাইবেন





ফেরেশতাদের প্রতি ঈমান



===========================





ফেরেশতাগণের প্রতি ব্যাপক ও বিশদভাবে বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। একজন মুসলিম ব্যাপকভাবে এ বিশ্বাস স্থাপন করবে যে, আল্লাহ তা‘আলার বিপুল সংখ্যক ফেরেশতা রয়েছেন। তাদেরকে তিনি নিজ আনুগত্যের জন্যে সৃষ্টি করেছেন। তাদের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেছেন যে, তারা আল্লাহর আগেভাগে কোন কথা বলে না, বরং তারা সবর্দা তাঁর আদেশানুসারে নিজ নিজ পালন করে থাকে।



তারা সকলেই নূরের তৈরী তারা অবাধ্য নহে ৷



আল্লাহ তা‘আলা বলেন:



“তারা আল্লাহর সম্মানিত বান্দাহ। তাঁর (আল্লাহর) আগেভাগে তারা কথা বলে না বরং তারা সর্বদা তাঁকেই আদেশানুযায়ী দায়িত্ব পালন করে। তাদের সম্মুখে এবং পশ্চাতে যা কিছু আছে সবকিছুই তাঁর জানা রয়েছে। যাদের পক্ষে সুপারিশ করবে। আর তারা (ফেরেশতারা) আল্লাহর ভয়ে সদা সর্বদা ভীত সন্ত্রস্ত থাকে”। (সূরা আম্বিয়া-২৬-২৮)



আল্লাহর ফেরেশতাগণ অনেক প্রকার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। তম্মধ্যে একদল তাঁর আরশ উত্তোলন কাজে, অপর একদল বেহেশ্‌ত-দোযখের তত্বাবধানে এবং আরেক দল মানুষের আমলনামা সংরক্ষণের দায়িত্বে , তেমনী কবরের ২ জন মুনকার-নকীর, দুই কাঁধে নেকী-বদী কাজের হিসাব সংরক্ষন, রসুল সাঃ এর উপর পাঠকৃত দরুদশরীফ পৌঁছানো সহ আরও অসংখ্য কাজে



নিয়োজিত রয়েছেন।

এ সকল এর উপর ঈমান /বিশ্বাস রাখতে হবে >



তাছডা-----------------------------------------------



আর আমরা বিশদভাবে ঐসব ফেরেশতাদের প্রতি ও বিশ্বাস স্থাপন করব, যাদের নাম আল্লাহ ও তাঁর রাসূল উল্লেখ করেছেন। যেমন-জীব্রাইল, মিকাঈল,আজরাইল ইস্রাফিল আঃ ৷



জীব্রাইল ==== তিনি সকল নবীদের কাছে ওহী নিয়ে আসার দায়িত্বে নিয়োজীত ,

ইসরাফীল-== তিনি মহাপ্রলয়ের দিন শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়ার দায়িত্বে রয়েছেন।

আজরাঈল=== তিনি সৃষ্টি জীবের রূহ কবজ করার কাজে নিয়োজীত,

ও মিকাঈল ==== তীনি সৃষ্টি জীবের রিজীক বনটনের কাজ ও ঝড-বৃষ্টি ইত্যাদীর দয়িত্বে নিয়োজীত ৷যাহা

একাধিক সহীহ হাদীসে তাঁর কথা উল্লেখ আছে।



আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা) হতে বর্ণিত এক সহীহ হাদীসে আছে যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “ফেরেশতাগণ নুরের সৃষ্টি, জ্বিনকুল খাঁটি আগুন থেকে সৃষ্টি এবং আদমকে যা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন তা আল্লাহ তা‘আলা (কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে) তোমাদেরকে বলে দিয়েছেন”। ইমাম মুসলিম উক্ত হাদীসটি সহীহ সনদে স্বীয় গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।





আসমানী কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান

==============================



এভাবে আল্লাহ তা‘আলার কিতাবসমূহের প্রতি ইমান আনয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে এ বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে যে, আল্লাহ পাক আপন সত্যের ঘোষণা এবং এর প্রতি আহ্‌বান জানানোর উদ্দেশ্যে তাঁর নবী ও রাসূলগণের উপর অসংখ্য কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। আল্লাহ বলেন:



“আমি আমার রাসূলগণকে সুস্পষ্ট নিদর্শনাদিসহ পাঠিয়েছি এবং তাঁদের সাথে কিতাব ও মানদন্ড নাজিল করেছি, যাতে মানুষ ইনসাফ ও সুবিচারের উপর প্রতিষ্ঠিত হতে পারে”। (সূরা হাদীদ : ২৫)



আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:



“প্রথমদিকে মানুষ একই পথের অনুসারী ছিল। অনন্তর আল্লাহ নবীদের প্রেরণ করেন সঠিক পথের অুসারীদের জন্য সুসংবাদদাতা এবং বিভ্রান্তদের জন্য ভীতি প্রদর্শণকারী হিসেবে। আর, তাদের সাথে নাজিল করেন সত্যের প্রতীকসমূহ, এ উদ্দেশ্যে যে, লোকদের মধ্যে যেসব বিষয়ে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে তিনি তার চুড়ান্ত ফায়সালা করে দেন”। (সূরা আল-বাকারা:২১৩)







আর বিশদভাবে আমরা ঐসব কিতাবের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবো যেগুলির নাম আল্লাহ তা‘আলা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন। যেমন, তাওরাত, ইঞ্জিল, যাবুর ও কুরআন।





এগুলির মধ্যে কুরআনই সর্বোত্তম ও সর্বশেষ কিতাব যা পূর্ববর্তী অপর কিতাবসমূহের সংরক্ষক ও সত্যয়নকারী।



সমগ্র উম্মতকে ইহারই অনুসরণ করতে হবে এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত সহীহ সুন্নাতসহ ইহারই ফায়সালা মেনে নিতে হবে।



কেননা, আল্লাহপাক তাঁর নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সমগ্র জ্বিন ও ইনসানের প্রতি রাসূল হিসেবে প্রেরণ করেছেন এবং তাঁর প্রতি এই মহান কিতাব ‘কুরআন শরীফ’ নাযিল করেছেন, যাতে তিনি ইহা দ্বারা লোকদের মধ্যে ফায়সালা করেন। উপরন্তু, আল্লাহ তা‘আলা এই কুরআনকে তাদের অন্তরস্থ যাবতীয় ব্যাধির প্রতিকার, তাদের প্রতিটি বিষয়ের স্পষ্ট প্রতিপাদক এবং মু’মিনদের জন্য হেদায়াত ও রহমতস্বরূপ অবতীর্ণ করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:



“আর, ইহা এক মাহকল্যাণময় গ্রন্থ যা আমি অবতীর্ণ করেছি। সুতরাং তোমরা ইহারই অনুসরন কর এবং তাকওয়াপূর্ণ আচরণ-বিধি গ্রহণ কর। তাহলে তোমাদের প্রতি রহমত নাজিল হবে”। (সূরা আল-আনআম: ১৫৫)



আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:



“আমি মুসলিমদের জন্য প্রত্যেকটি বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা, পথ নির্দেশ, রহমত ও সুসংবাদস্বরূপ এই কিতাব অবতীর্ণ করলাম”। (সূরা আন-নাহল: ৮৯)







আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন:



“(হে রাসূল) বল, ওহে মানবমন্ডলী ! নিশ্চয়ই আমি তোমদের সকলের প্রতি প্রেরিত সেই আল্লাহর রাসূল যিনি জমীন ও আকাশ সমূহের একচ্ছত্র মালিক। তিনি ব্যাতীত আর কোন মা‘বুদ নেই, তিনিই জীবন মৃত্যু দান করেন। অতএব, তোমরা আল্লাহ ও তাঁর নিরক্ষর নবীর প্রতি ঈমান আন, যে আল্লাহ ও তাঁর সকল বাণীর প্রতি বিশ্বাস রাখে। আর তোমরা তার অনুসরণ কর যাতে তোমরা সরল সঠিক পথের সন্ধান লাভ করতে পার”। (সূরা আল-আ‘রাফ: ১৫৮)





পূনাঙ্গ

কোরআন করীমের আমান্য/অস্বীকার করা /বা একটি সূরা /আয়াত এর অস্বীকার একই কথা , এমনকি একটি অক্ষর ও অস্বীকার করা যাবেনা /এমন কি এর কোন একটা হকুম ও আমান্য করা যাবেনা / এমনকি কোন ুহুকুমের উপর সন্দেহ করা যাবেনা , যদি এমনটি হয় , তাহলে ঈমানদারের খাতায় নাম থাকবেনা ৷





পরকাল সম্পর্কে

===========



আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক প্রদত্ত যাবতীয় সংবাদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন আখেরাতের দিনের উপর ঈমানের অন্তর্ভুক্ত।







মৃত্যুর পর যা কিছু ঘটবে যেমন: কবরের পরীক্ষা, সেখানকার আযাব ও নেয়ামত, কেয়ামতের ভয়াবহতা ও প্রচন্ডতা, পুলসিরাত, দাঁড়িপাল্লাহ, হিসাব-নিকাশ, প্রতিফল প্রদান, মানুষের মধ্যে তাদের আমলনামা বিতরণ:



তখন কেউবা তা ডান হাতে গ্রহণ করবে আবার কেউবা তা বাম হাতে বা পিছনের দিক হতে গ্রহন করবে ইত্যাদি সব কিছুর উপর বিশ্বাস স্থাপন উক্ত ঈমানের আওতাভূক্ত।







এতদ্ব্যতীত আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম

************-এর অবতরনের জন্য নির্ধারিত হাউজে কাউসার, বেহেশত-দোযখ, মুমিন বান্দাগণ কর্তৃক তাদের প্রভু পাকের দর্শন লাভে এবং তাদের সাথে আল্লাহর কথোপকথনসহ অন্যান্য যা কিছু কুরআনে কারীম ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বিশুদ্ধভাবে বর্ণিত হাদীসে উল্লেখ রয়েছে তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপনও আখেরাতের দিনের উপর ঈমানের অন্তর্ভুক্ত।





সুতরাং উপরোক্ত সব কয়টি বিষয়ের উপর আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কর্তৃক নির্দেশিত পন্থায় বিশ্বাস করা আমাদের উপর ওয়াজিব।





দ্রষ্ট্বব্য=========দেখুন





আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামায়াত এর আকিদাহ ১ম পর্ব



http://www.sonarbangladesh.com/blog/DaliaNuzha/93019