রবিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১২

বাংলাদেশের বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ/গবেষক/ও ওলামায়ে কেরামদের মহা মূল্যবান বয়ানের লিংক

সংকলনে,
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া /নিজামী
প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক,
  নুরুলগনি ইসলামীক একাডিমী
  কাটাছরা, মিরসরাই ,চট্টগ্রাম
         বাংলাদেশ
       **********
  1  Moulana Abdul Halim Bukhar Principle_Al-Jami'ah Al-Islami'a

http://www.youtube.com/watch?v=BrMFYKbcTIA

2 মৌলানা আবদুল্লাহ ভূঁইয়া

   ফাজায়েলে দরুদ শরীফ
লিংক--
http://www.youtube.com/watch?v=N6F7kat1UfI&feature=channel&list=UL

3 মৌলানা খালেদ সাইফুল্লাহ

http://www.youtube.com/watch?v=2SSxSuwkqoI&feature=related

4 Maulana Ainuddin Al Azad (Rah.) 
http://www.youtube.com/watch?v=7gHZ7E_GZ6M&feature=related

5 মৌলানা আবদুল্লাহ ভূঁইয়া
ছোট্ট আমল
http://www.youtube.com/watch?v=u2oWs19xkwo&feature=relmfu

6 Maulana Jamal Udiin Rh Surah Al-Fajr-Er Tafsir
     মাওঃ গাজী জামালউদ্দিন// জান্নাত-জাহান্নামও সুরাহ আল-ফাজর এর তাফসীর
 http://www.youtube.com/watch?v=0LRK4FL8RUA&feature=relmfu

7 Sheikul Hadith Allama Azizul Hoque Al-Madani - Santir Dhorma Islam

http://www.youtube.com/watch?v=OImaGLl_2Y8&feature=related


8 MAULANA SHAH JAMIR UDDIN RAH

http://www.blogger.com/blogger.g?blogID=1563896843655415173#editor/target=post;postID=1827512032249245333

  9  ALLAMA SHAH AHAMED SUFI DB A1 AHALEM(TAFSEER MAHFIL
               আল্লামাহ আহমদ শফী ছাঃ মাঃ জিঃ
http://www.youtube.com/watch?v=q0wZ8GegE_s&feature=relmfu

10  Maulana Jomiruddin Nanupuri
http://www.youtube.com/watch?v=lJhpjQNZGa0&feature=related

   11  মুফতি আহমদউল্লাহ মাঃ জিঃ [ তাক্বলীদ কি?]
http://www.youtube.com/watch?v=eOTECyOWJNk

 12 ALLAMA DR A.F.M KHALED HOSSAIN(Right Answer TO World BANK Questions)
    ডঃ আ ফ ম খালিদ হোছাইন ছাঃ
http://www.youtube.com/watch?v=FYsxAXjVsCY

13  MAULANA DR .A.F.M KHALED HOSSAIN
http://www.youtube.com/watch?v=08P465-UcLY&feature=relmfu

 14 Maulana Zunaid Al Habib
http://www.youtube.com/watch?v=ji-95CHnyBw&feature=related

 15 Allama Delwar Hossain Sayeedi

http://www.youtube.com/watch?v=TqEoEf7vHaU

16 Maulana Tarek Monawar Hossain
http://www.youtube.com/watch?v=EHpBSzQvBUs&feature=related

 17   বাংলাদেশে খৃষ্টান মিশনারী তৎপরতা             
http://www.youtube.com/watch?v=8kUE2DLsro0&feature=BFa&list=ULN6F7kat1UfI

  18 বাংলাদেশে খৃষ্টান মিশনারী তৎপরতা
             ডঃ আ ফ ম খালিদ             
http://www.youtube.com/watch?v=oV6DnuBzYvk&feature=channel&list=UL


ওয়েবসাইট-

abduallah.nezami@yahoo.com

abdullahnezami123@gmail.com

http://www.blogger.com/blogger.g?blogID=1563896843655415173#allposts/postNum=0
http://www.facebook.com/abduallah.nezami

শনিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১২

অহদাতুল ওজুদ” নিয়ে কথিত আহলে হাদীসদের মিথ্যাচারঃ একটি দলিল ভিত্তিক বিশ্লেষণ

অহদাতুল ওজুদ” নিয়ে কথিত আহলে হাদীসদের মিথ্যাচারঃ একটি দলিল ভিত্তিক বিশ্লেষণ
কুকুরের ঘেউ ঘেউ সূর্যের আলো ম্লান করতে পারে না



পূর্ণিমা চাঁদের স্নিগ্ধালোর সৌন্দর্যতা বুঝার ক্ষমতা কুকুরের নেই। তাই পূর্ণিমা দেখা দিলেই সে ঘেউ ঘেউ করে চলে অবিরাম। চমৎকার নান্দনিক পরিবেশকে করে তোলে ভীতিকর। নোংরা।
অমানিশি রাতের কৃষ্ণাধার দূরিভূতকারী দিগন্ত প্রসারী, আলোবন্যাধারী দীবাকর পছন্দনীয় নয় চামচিকার। সূর্য উঠতেই তাই চোখ বন্ধ করে অভিশাপ দিয়ে যায় সূর্যের বিরুদ্ধে দেদার। বাচ্চার কাছে ইটের টুকরোর মতই বে-দামী আর মূল্যহীন মনে হয় স্বর্ণের টুকরোকে। তাই বলে পূর্ণিমা চাঁদ, প্রদীপ্ত দীবাকর আর মহামূল্যবান স্বর্ণ যেমন মূল্যহীন ও সৌন্দর্যহীন বাতিল বস্তু বলে সাব্যস্ত হয় না, তেমনি আমাদের আকাবীর, আমাদের পিতৃতুল্য পূর্বসূরী বুযুর্গানে দ্বীন, যাদের নিরলস মেহনত, ইখলাসপূর্ণ প্রচেষ্টার বদৌলতে আল্লাহ তায়ালা আমাদের দ্বীনে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নেবার তৌফিক দিয়েছেন, যাদের সদাজাগ্রত মেধার পরিস্ফুটিত দ্বীনী চেতনার আলোকে পেয়েছি আল্লাহ পাওয়ার পথ। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের প্রকৃত ব্যাখ্যা। সেই স্বর্ণপুরুষদের ইংরেজ সৃষ্ট কথিত আহলে হাদীস গোষ্ঠি সহ্য করতে না পারলেও তাদের নাম মুছবে না আমাদের হৃদয় থেকে কিয়ামত পর্যন্ত। তাদের নাম শ্রদ্ধার সাথে, ভক্তির সাথে, জান্নাতের উঁচু মাকাম পাওয়ার দুআর সাথে করে যাবে মুসলমান কিয়ামত পর্যন্ত ইনশাআল্লাহ।



আমাদের আকাবীরদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করার জন্য ওরা বেছে নিয়েছে এমন এক জঘন্য পন্থা, যা খুবই স্পর্শকাতর। যেই সকল শব্দ দুর্বোধ্য, সাধারণ মানুষের মোটা মেধার বাইরের বিষয়, সেই সকল বিষয়ের অবতারণা করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী রহঃ এর মত জগতবিখ্যাত বুযুর্গের বিরুদ্ধে। সন্দিহান করে তুলছে মানুষকে হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজেরে মক্কী রহঃ এর মত সুবিদিত আল্লাহর অলী সম্পর্কে। অপরাধীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে দাওয়াত ও তাবলীগের প্রাণ পুরুষ মাওলানা ইলিয়াস রহঃ, জগতবিখ্যাত শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দের প্রতিষ্ঠাতা কাসেম নানুতবী রহঃ, কালের শ্রেষ্ঠ বুযুর্গ মাওলানা রশীদ আহমাদ গঙ্গুহী রহঃ ও শায়েখ জাকারিয়া রহঃ এর মত আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের।



শিরক ও বিদআতের বিরুদ্ধে যাদের সংগ্রাম ছিল আমরণ। মৃত্যু পর্যন্ত যেই শিরক ও বিদআতকে উপমহাদেশ থেকে বিদূরিত করতে যারা করে গেছেন ঘামঝরা মেহনত। ছড়িয়ে গেছেন আল্লাহ ও তার রাসূলের নিরেট ও খাঁটি বাণী। সেই মহাপুরুষদের আজ ইংরেজদের জারজ সন্তান কথিত আহলে হাদীস গোষ্ঠি শিরকের দোষে দুষ্ট করছে, বিদআতের প্রবক্তা বলে চালাচ্ছে অপপ্রচার।



যেই সকল দুর্বোধ্য বিষয় নিয়ে আমাদের আকাবীরদের বিরুদ্ধে ইংরেজ সৃষ্ট দলটি অপপ্রচার করছে

তার মাঝে অন্যতম

 একটি বিষয় হল-“অহদাতুল ওজুদ”।
=================================


এটি তাসাউফ শাস্ত্রের একটি পরিভাষা।


সাধারণ মানুষের বুঝ শক্তির বাইরে এর সঠিক মর্মার্থ। নির্বোধ, অশিক্ষিত, অগভীর জ্ঞানের অধিকারী কথিত আহলে হাদীস গ্রুপ এই শব্দটির মর্মার্থ উদ্ধার করতে অক্ষম হয়ে শিরক-বিদআত ধ্বংসকারী মহান ব্যক্তিদের মুশরিক বানিয়ে দিয়েছে।



 চালাচ্ছে অপপ্রচার নেট থেকে নিয়ে লেখনীর মাধ্যমে



। তাই বাধ্য হয়ে এই বিষয়টি নিয়ে কলম ধরলাম। আশরাফ আলী থানবী রহঃ কেউ ওরা বেশি গালি দেয় এই বিষয়টি নিয়ে। তাই আশরাফ আলী থানবী রহঃ এর লিখা গ্রন্থ থেকেই অহদাতুল ওজুদ বিষয়ে তার বিশ্বাস ও আক্বিদা বিধৃত করা হল। পাঠকের হাতে ছেড়ে দিলাম এর বিচারের ভার। অহদাতুল ওজুদের যে ব্যাখ্যা হযরত আশরাফ আলী থানবী রহঃ করেছেন এর নাম যদি শিরক হয়, তাহলে আমাকে বলতে হবে একত্মবাদের বিশ্বাস কাকে বলে?




বুযুর্গানে দ্বীন ও ফক্বীহদের সমালোচনাকারী দল এই উম্মতের বর্ধিত বাতিল ফিরক্বার নাম
================================================================



বনী ইসরাঈলের মাঝে ছিল ৭২ ফিরক্বা। এর মাঝে ১টি ফিরক্বা ছিল জান্নাতী। আর ৭১ টি ফিরক্বা ছিল জাহান্নামী।
আর এই উম্মতের মাঝে হবে ৭৩টি ফিরক্বা। এর মাঝে ১টি ফিরক্বা হবে জান্নাতী আর ৭২টি ফিরক্বা হল জাহান্নামী।

নবী কারীম সাঃ ইরশাদ করেছেন-পূর্বের উম্মত যাই করেছে এই উম্মতও তাই করবে নাফরমানীর দিক থেকে। তথা ওরা যত পদ্ধতিতে নাফরমানী করেছে এই উম্মতও সেই পদ্ধতীতে নাফরমানী করবে। সুতরাং আল্লাহ তায়ালার নাফরমানী করার ৭১টি পদ্ধতিওয়ালা বাতিল ফিরক্বা পূর্ব উম্মত থেকে গ্রহণ করবে এই উম্মত। তথা ৭১টি বাতিল ফিরক্বার মত ও পথ পূর্ব উম্মতের মত এই উম্মতেও থাকবে।
আর জান্নাতী ছিল পূর্ব উম্মতের ৭২ ফিরক্বার মাঝে একটি ফিরক্বা। সেটিও এই উম্মতে পূর্ব পদ্ধতি অনুযায়ী থাকবে। শুধু বাড়বে একটি বাতিল ফিরক্বা এই উম্মতে। যেই বাতিল ফিরক্বার কোন নজীর পূর্ব উম্মতের মাঝে ছিল না। সেই বর্ধিত বাতিল ফিরক্বাটি কারা? আল্লামা কুরতুবী রহঃ তার প্রণীত তাফসীরে কুরতুবীতে লিখেন-


. وقد قال بعض العلماء العارفين : هذه الفرقة التي زادت في فرق أمة محمد صلى الله عليه وسلم هم قوم يعادون العلماء ويبغضون الفقهاء ، ولم يكن ذلك قط في الأمم السالفة.( الجامع لأحكام القرآن
المؤلف : أبو عبد الله محمد بن أحمد بن أبي بكر بن فرح الأنصاري الخزرجي شمس الدين القرطبي (المتوفى : 671)



যেই ফিরক্বাটি উম্মতে মুহাম্মদীদে বাড়বে তারা হল-ওলামাদের সাথে শত্রুতা করবে, আর ফুক্বাহাদের প্রতি রাখবে বিদ্বেষ। এই গ্রপটি পূর্ব উম্মতের মাঝে ছিল না। {তাফসীরে কুরতুবী, তাফসীর সূরাতুল আনআম}
স্বীকৃত বুযুর্গদের যারা মুশরিক বলে, যারা বেদআত ও শিরকের বিরুদ্ধে আমরণ করে গেছেন জিহাদ সে সকল জগত বিখ্যাত আলেম ও ফক্বীহদের যারা শিরক ও বিদআতের দোষে দুষ্ট করতে চায় ওরা যে, এই উম্মতের বাতিল ফিরক্বা একথা বুঝতে নিশ্চয় কষ্ট হবার কথায় নয়।




অহদাতুল ওজুদ কি শিরক? না চূড়ান্ত পর্যায়ের একত্মবাদের বিশ্বাস?





اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلاَ نَوْمٌ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ

আল্লাহ তায়ালা ব্যতীত কোন মাবুদ নাই। তিনি চিরঞ্জীব, স্ব-প্রতিষ্ঠিত বিশ্বধাতা। তাকে স্পর্শ করে না তন্ত্রা, না নিদ্রা। আসমান এবং জমিনে যা কিছু আছে সব তারই। {সূরা বাকারা-২৫৫}

هُوَ الأَوَّلُ وَالآخِرُ وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ (3)

তিনিই আদি, তিনিই অন্ত, তিনিই প্রকাশ্য, তিনিই গুপ্ত। তিনিই সর্ব বিষয়ে সম্মক জ্ঞাত {সূরা হাদীদ-৩}





كُلُّ شَيْءٍ هَالِكٌ إِلاَّ وَجْهَهُ لَهُ الْحُكْمُ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ (88)



তাঁর সত্তা ব্যতীত সব কিছুই ধ্বংসশীল। {সূরা আনকাবুত-৮৮}

كُلُّ مَنْ عَلَيْهَا فَانٍ (26) وَيَبْقَى وَجْهُ رَبِّكَ ذُو الْجَلالِ وَالإِكْرَامِ (27)


সব কিছুই হবে ধ্বংস। অবশিষ্ট থাকবে কেবল তোমার প্রতিপালকের সত্তা, যিনি মহিমাময়, মহানুভব। {সূরা আর রহমান-২৬,২৭}


উপরোক্ত আয়াতে কারীমা থেকে একথা সুস্পষ্ট প্রমানিত যে, আল্লাহ তায়ালাই একমাত্র সত্তা, যিনি আদি, এবং অনন্ত। তিনি তন্দ্রাও যান না, যান না নিদ্রাও। সব কিছুই ধ্বংস হবে কিন্তু ধ্বংস হবে না আল্লাহ তায়ালার সত্তা।


তাহলে কি দাঁড়াল? আল্লাহ তায়ালা ছাড়া সকল সৃষ্টির বিদ্যমানতা নশ্বর। একমাত্র অবিনশ্বর হলেন মহান রাব্বুল আলামীন। আর পৃথিবীতে যা কিছু আছে এগুলোর অস্তিত্বও আছে কেবল আল্লাহর ইচ্ছায়। তিনি যদি চান তাহলে সবই ধ্বংস হয়ে যাবে।


 সৃষ্টির নিজ ই্চ্ছায় বেঁচে থাকার কোন ক্ষমতা নেই। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা তাঁর অস্তিত্বের জন্য তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। তিনি সর্বেসর্বা। বাকি সবই ধ্বংসশীল।

তাহলে আল্লাহ তায়ালার অস্তিত্বের বিপরীতে বাকি সকল সৃষ্টির অস্তিত্ব যেন নেই। এমন নয় কি? যেমন আখেরাতে হবে অগণিত বছর, যার কোন শেষ নেই, সেই হিসেবে আমাদের দুনিয়ার জীবন! এটা আখেরাতের দিনের তুলনায় কি?

কোন ধর্তব্যতা আছে? হাজার কোটি, অফুরন্ত বছরের তুলনায় আমাদের ৭০/৮০ বা ১০০ বছরের জীবন কি উল্লেখযোগ্য? না নগণ্য? বলতে গেলে আখেরাতের দিনের তুলনায় যেন দুনিয়ার জীবনটা নেই।


এই বিষয়টি বুঝে থাকলে অহদাতুল ওজুদ বুঝা সহজ হবে।



অহদাতুল ওজুদ এর অহদাতুন এর অর্থ হল একক। আর ওজুদ মানে হল বিদ্যমান।

 সুতরাং অহদাতুল ওজুদ অর্থ দাঁড়ায় এক সত্বার বিদ্যমানতা। যখন কোন সৃষ্টি ছিল না, তখন আল্লাহ ছিলেন, আবার যখন কিছুই থাকবে না, তখনও আল্লাহ তায়ালাই থাকবেন, সকল বস্তুই মরণশীল বা ধ্বংসশীল একমাত্র আল্লাহ তায়ালা ছাড়া। প্রতিটি বস্তুরই সূচনা আছে আবার সমাপ্তি আছে। কিন্তু আল্লাহ তায়ালার সূচনাও নাই আবার সমাপ্তিও নাই। সকল বস্তু যেকোন সময় নিস্প্রাণ হয়ে পড়তে পারে, কিন্তু আল্লাহ তায়ালা কখনোই নিদ্রাও যান না, তন্ত্রায়ও আচ্ছন্ন হন না। অস্তিত্বহীন হবার প্রশ্নই উঠে না। তো যেই সত্তা সর্বদা ছিলেন, সর্বদা আছেন, সর্বদা থাকবেন, সর্বদাই যিনি সচল। এরকম সত্তার বিদ্যমানতাইতো মূলত বিদ্যমানতা।

আর বাকিগুলো সবই ধ্বংসশীল। তাই সেই সবের এই ক্ষণিকের বিদ্যমানতা যেন মূলত অস্তিত্বহীন। আল্লাহ ছাড়া বাকি সবই অস্তিত্বহীন মনে করার নামই হল অহদাতুল ওজুদ।


সকল কিছুকে আল্লাহ তায়ালার সামনে অস্তিত্বহীন মনে করার নাম যদি শিরক হয় তাহলে তাওহীদ কাকে বলে?
==================================================================



বর্তমান জমানার ভয়ংকর ফেতনা ইংরেজ সৃষ্ট কথিত আহলে হাদীস গ্রুপ যাদের মাধ্যমে
===================================

= আমরা দ্বীন পেয়েছি সেই সকল পিতৃতুল্য আমাদের আকাবীরদের মুশরিক বলার মত স্পর্ধা দেখাচ্ছে এই অহদাতুল ওজুদ বিষয়টিকে তুলে ধরে। অথচ এই নিগুঢ় তাৎপর্যময় এই জটিল বিষয়টির আসল অর্থটি বুঝতে অক্ষমতার কারণে ওরা ছড়াচ্ছে এই বিভ্রান্তি।



যেই হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী রহঃ এর মত বিশ্ববরেণ্য বুযুর্গকেও ওরা মুশরিক বলতে দ্বিধা করেনি এই আহম্মক গোষ্ঠি,

 আসুন দেখি সেই তিনি অহদাতুল ওজুদ এর বিষয়ে কি ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
আশরাফ আলী থানবী রহঃ লিখিত “আত তাকাশশুফ” কিতাবে অহদাতুল ওজুদের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে লিখেন-
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم : ( قال الله عز و جل يؤذيني ابن آدم يسب الدهر وأنا الدهر بيدي الأمر أقلب الليل والنهار [صحيح البخارى-كتاب التفسير، باب تفسير سورة حم ( الجاثية ) ، رقم الحديث-4549، 5827 ، 5829 ، 7053 ]



আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, আদম সন্তান জমানাকে মন্দ বলে আমাকে কষ্ট দেয়, অথচ জমানাতো আমিই। [অর্থাৎ] আমারই আয়ত্বে সকল কাজ। [যা জমানা ও কালের মাঝে সংঘটিত হয়]। রাত দিনকে [যা কাল সময়ের অংশ] আমিইতো পরিবর্তন করি। [যেদিকে মানুষ ঘটনাবলীকে সম্পৃক্ত করে। অতএব জমানাতো তার মধ্যকার যাবতীয় বিষয়সহ আমারই অধীন। তাই এসব কার্যকলাপ সবইতো আমারই। একে মন্দ বললেতো আমাকেই মন্দ বলা অবধারিত হয়। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৪৫৪৯,৭০৫৩,৫৮২৯,৫৮২৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৬০০০, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৫২৭৬}
ইহা প্রকাশ্য ব্যাপার যে, আল্লাহ তায়ালা এবং জমানা বা সময় এক নয়। কিন্তু এক না হওয়া সত্বেও উপরোক্ত হাদীসে এক হওয়ার শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। তত্ত্ববিদগণের দৃষ্টিতে এই ব্যাখ্যা হিসেসেই [হামাউস্ত] তথা “সবই তিনি” বলা হয়েছে।


এর বিশ্লেষণ হল-দুনিয়ার সমুদয় বস্তু নিজ ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াসহ আল্লাহ তায়ালার ক্ষমতাধীন। অতএব প্রকৃত ক্রিয়াশীল এবং স্ব-অস্তিত্বে অস্তিত্ববান শুধু আল্লাহ তায়ালা, আর সমুদয় বস্তু কিছুই নয়। তাই হাদীস দ্বারা সুফিয়ানে কিরামের উক্তি হামাউস্ত তথা সবই তিনি এর পোষকতা স্পষ্টরূপে বুঝে আসছে।
দুনিয়ার যাবতীয় জিনিস বাহ্যদৃষ্টিতে বিদ্যমান। কিন্তু মূলত কিছুই বিদ্যমান নেই। অর্থাৎ পূর্ণ সত্তা গুণে কিছুই গুণান্বিত নয়। এক আল্লাহ পাকের সত্তা ছাড়া। এই বিষয়টিকেই ‘হামাউস্ত’ তথা সবই তিনি শব্দ দ্বারা প্রকাশ করা হয়।



দৈনন্দিন কথাবার্তার ন্যায় এটাও একটি প্রচলিত বাক্য।
যেরূপে কোন বিচারক কোন ফরিয়াদীকে বলে-“তুমি কি পুলিশে রিপোর্ট করেছো? কোন উকিলের সাথে পরামর্শ করিয়াছো?” সে বলে-“হুজুর! পুলিশ আর উকিল সবইতো আপনিই”। একথার দ্বারা অর্থ কিছুতেই এরূপ নয় যে, বিচারক, পুলিশ এবং উকিল সবই এক। তাদের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। বরং অর্থ হল-পুলিশ, উকিল গণনার যোগ্য কোন বিষয় নয়, আপনিই এই বিষয়ে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। তেমনি এখানেও বুঝে নিতে হবে, ‘হামাউস্ত’ তথা তিনিই সব অর্থ এই নয় যে, সব সৃষ্ট বস্তু আর তিনি এক। বরং এ কথার উদ্দেশ্য হল-সকল বস্তুর সত্তা গণনার অযোগ্য। শুধু আল্লাহর সত্তাই গণনার যোগ্য। অবশ্য আল্লাহ ছাড়া অন্য যা কিছু বিদ্যমান, সত্তা সেগুলিরও আছে, কিন্তু সেগুলির সত্তা আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ সত্তার সামনে শুধু বাহ্যিক সত্তা। প্রকৃত ও পরিপূর্ণ সত্তা নয়।


এটার বিস্তারিত বিবরণ হল-প্রত্যেক গুণের দু’টি পর্যায় থাকে।
*************************************************

একটি হল পূর্ণাঙ্গ, অপরটি অপূর্ণাঙ্গ।

আর নিয়ম এই যে, পূর্ণাঙ্গের সামনে অপূর্ণ সর্বদা অস্তিত্বহীন মনে করা হয়। এটার দৃষ্টান্ত হয়-যেমন কোন নিম্ন আদালতের বিচারক এজলাসে বসে নিজ কর্তৃত্বের বাহাদুরী প্রদর্শন করছিল, এবং নিজের পদ-গৌরবে কোন লোককে কিছুই মনে করছিল না। হঠাৎ করে সেখানে দেশের বাশাহ পরিদর্শন করতে এজলাসে আসলেন। বাদশাহকে দেখামাত্রই চেতনা বিলুপ্ত প্রায় হয়ে তার সমস্ত বাগাড়ম্বর, গৌরব ও অহংকার তিরোহিত হয়ে গেল। এখন নিজের ক্ষমতাকে যখন বাদশাহের শাহী ক্ষমতার সামনে দেখে, তখন তার নিজের পদমর্যাদার কোন অস্তিত্বই কোথাও খুঁজে পায় না। পড়ি কি মরি অবস্থা। না কোন শব্দ বের হচ্ছে, না মাথা তুলিতে পারছে। এই সময় যদিও তার পদমর্যাদা বিলীন হয়নি। কিন্তু বিলুপ্তপ্রায় হয়েছে। এমনই বুঝতে হবে যে, জগতের জিনিস সমূহ সব কিছু যদিও বিদ্যমান


, কেননা আল্লাহ তা’আলা এগুলোকে সত্তা দান করেছেন, কিন্তু আল্লাহ তা’আলার সত্তার সামনে ওগুলোর সত্তা অতিশয় অপূর্ণাঙ্গ, দুর্বল ও তুচ্ছ বটে।

এ জন্য সৃষ্টির সত্তাকে আল্লাহ তা’আলার সত্তার সামনে যদিও বিলীন বলবো না, কিন্তু বিলীন সদৃশ্য নিশ্চয় বলবো। সুতরাং সৃষ্টি যখন বিলীন সদৃশ্য গণ্য হল, তখন গণনার যোগ্য সত্তা শুধু একটিই রয়ে গেল।

 অহদাতুর ওজুদের [একক সত্তা] অর্থ এটাই। কেননা এর শাব্দিক অর্থ সত্তা এক হওয়া। অতওব এক হওয়ার অর্থ অপর সত্তা থাকলেও না থাকার মত। এটাকেই একটু বাড়িয়ে ওহদাতুল ওজুদ বা একক সত্তা বলা হয়। মহান আল্লাহ তা’আলাকে জীবন্ত সদৃশ্য মনে কর। আর সমগ্র বিশ্ব ও সৃষ্টিকে মৃত সদৃশ্য মনে কর।

 যেমন মৃত লাশও এক পর্যায়ে সত্তার অধিকারী। কারণ দেহ তারও আছে। কিন্তু জীবিতদের তুলনায় সেই সত্তা গণনার যোগ্য নয়। কেননা মৃতের সত্তা অপূর্ণ, আর জীবিতদের সত্তা কামেল বা পূর্ণাঙ্গ। পূর্ণাঙ্গের সামনে অপূর্ণাঙ্গ একেবারেই দুর্বল ও অস্তিত্বহীন। এই বিষয়টিকে এলমী পর্যালোচনা ও তাৎপর্যের বিশ্লেষণে তাওহীদ বলা হয়, যা অর্জন করা কোন কামাল বা পূর্ণতা নয়।


 অহদাতুশ শুহুদের সারমর্মও এটাই।
===============================




 অর্থাৎ বাস্তাবে বহু সত্তা বিদ্যমান থাকলেও আল্লাহর পথের পথিক এক সত্তাকেই প্রত্যক্ষ করে। আর সকল সত্তা তার সামনে অস্তিত্বহীন বলে মনে হয়। যেমন পূর্ব বর্ণিত দৃষ্টান্তগুলোর দ্বারা পরিস্কারভাবে বুঝানো হয়েছে। আর একটি উজ্জ্বল উদাহরণ শেখ সাদী রহঃ বর্ণনা করেছেন-
“রাত্রিকালে যে জোনাকী প্রদীপের ন্যায় জ্বলে, তাকে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করল, দিনের বেলা তুমি বাহিরে আস না কেন? জোনাকী চমৎকার জবাব দিল, আমিতো দিবানিশি মাঠে প্রান্তরেই থাকি, কিন্তু সূর্যের দীপ্তির সামনে আমার আলো প্রকাশ পায় না।


এরই নাম অহদাতুল ওজুদ। এতে কোন স্থানে শিরকের অর্থ আছে???????????????????????????


হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানভী(রহ) তার রচিত তা’লিমুদ্দীন কিতাবের দ্বিতীয় খন্ডে আরো পরিষ্কারভাবে ‘ওয়াহদাতুল অজুদ’কে ব্যাখ্যা করেছেনঃ
***************************************************

এটাতো প্রকাশ্য ব্যাপার যে, সমস্ত পূর্ণাঙ্গতা বা বৈশিষ্ট্য প্রকৃতপক্ষে একমাত্র আল্লাহ পাকের জন্যই সুপ্রতিষ্ঠিত। আর সৃষ্টির কামালত বা গুণগুলো সবই অস্থায়ী। আল্লাহ পাকের দান ও হেফাযতের কারণে সমগ্র সৃষ্টিতে এটা বিদ্যমান। এধরণের সত্তাকে পরিভাষায় وجود ظلى বা “ছায়া সত্তা” বলা হয়।

 সাবধান!

 এখানে যিল্ল বা ছায়া দ্বারা কেউ এমন ধারণা যেন না করে যে, আল্লাহ তা’আলা দেহবিশিষ্ট সত্তা, আর এই জগত তার ছায়া। এখানে ছায়া শব্দ এই অর্থে বলা হয়েছে যে, যেমন লোকেরা বলে থাকে যে, “আমরা আপনার ছায়াতলে থাকি”। অর্থাৎ আপনার অনুগ্রহ ও আশ্রয়ে থাকি এবং আমাদের নিরাপত্তা ও সুখ-শান্তি আপনারই কৃপা দৃষ্টির বরকত। এরূপে আমাদের অস্তিত্ব আল্লাহ তা’আলার মেহেরবানীর দৌলতেই বিদ্যমান। এ জন্য এটাকে ছায়া অস্তিত্ব বলা হয়।

অতএব, এ বিষয়টি নিশ্চিতরূপে প্রমাণিত হল যে, সৃষ্টির সত্তা প্রকৃত ও মৌল সত্তা নয়, অস্থায়ী ছায়া স্বরূপ। এখন যদি ছায়া সত্তাকে গণ্য করা না হয়, তবে একমাত্র প্রকৃত বা মূল সত্তার অস্তিত্বই প্রমাণিত হবে এবং সেই সত্তাকে একক সত্তা বলা যাবে। এটাই অহদাতুল ওজুদ।


 আর যদি কিছুটা গণ্য করা হয় যে, কিছু একটা তো আছে, একেবারে অস্তিত্বহীন তো নয়, যদিও নূরে হাকীকীর প্রবলতার কারণে কোন স্থানে আল্লাহ পথের পথিকের দৃষ্টিতে তা উদ্ভাসিত হচ্ছেনা, তবে এটা অহদাতুশ শুহুদ।

এটার প্রকৃত দৃষ্টান্ত হল-চন্দ্রের আলো সূর্যের কিরণ থেকে আহরিত হয়। এখন যদি এই প্রতিবিম্বিত জ্যোতিকে আলো বলে গণ্য করা না হয়, তবে সূর্য দীপ্তিময় ও চন্দ্রকে অন্ধকার বলতে হবে। এটা অহদাতুল ওজুদের উদাহরণ। আর যদি চন্দ্রের আলোকেও আলো বলে গণ্য করা হয় এবং বলা হয় যে, তার কিছু প্রভাবতো আছে, যদিও সূর্যকিরণ প্রতিভাত হওয়ার সময় উহা একেবারেই নিষ্প্রভ হয়ে যায়। এটা অহদাতুশ শুহুদ তথা সব কিছুই আল্লাহ সত্তা বিদ্যমান সেটার স্বাক্ষ্য দেয়। মূলত অহদাতুশ শুহুদ ও অহদাতুল ওজুদের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। দু’টোরই শেষ ফল এক।

“সব কিছুই আল্লাহ” এটা কি অহদাতুল ওজুদ?
======================================



নাউজুবিল্লাহি মিন জালিক। সব কিছুকেই আল্লাহ বিশ্বাস করা অহদাতুল অজুদ নয় বলা যায় সব অহদাতশ শিরক এটাই চূড়ান্ত শিরক।

“সব কিছুই আল্লাহ” এই ভ্রান্ত বাতিল অর্থটি আমাদের আকাবীরদের নয়, নির্বোধ কথিত আহলে হাদীসদের। আমাদের কথা হল সব কিছুতেই আল্লাহ যে স্রষ্টা এটি বুঝা যায়। সব কিছু আল্লাহ নয়, সব কিছুতে একমাত্র স্রষ্টা আল্লাহর পরিচয় পাওয়া যায়।


আমরা যখন কোন বস্তু দেখি তখন যেমন বুঝতে পারি এর একজন নির্মাতা আছেন। তেমনি গোটা সৃষ্টিজগত আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করেছেন, তো সৃষ্টি জগতের দিকে তাকালে এর সুনিপূণ স্রষ্টাকে মনে আসার নাম অহদাতুল ওজুদ।

সেই সৃষ্টিটা আল্লাহ নয়, বরং সে বস্তুর স্রষ্টা আল্লাহ। সব সৃষ্টি আল্লাহ নয়, সব সৃষ্টির সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ। বস্তু দেখার মাধ্যমে আমরা এর নির্মাতাকে কল্পনা করি, এখন যদি আমরা মাঝখান থেকে বস্তুটি বাদ দিয়ে কেবল নির্মাতার কথা কল্পনা করি তাহলে কি দাঁড়াল?


তেমনি যদি আমার কাছে সৃষ্টি বাদ দিয়ে সৃষ্টার কল্পনা চলে আসে সৃষ্টি দেখলেই। মাঝখান থেকে সৃষ্টির কথা মনেই থাকে না, অর্থাৎ সব সৃষ্টি দেখলে আল্লাহর মেহেরবানী, তার অনুগ্রহ, করূণার দৃষ্টি প্রতিভাত হয়, তখন সৃষ্টি নয়, আমাদের মূল নিবদ্ধতা হয়ে পরে স্রষ্টার দিকে, এরই নাম সকল সৃষ্টিতেই আল্লাহকে পাওয়া যায়। সব সৃষ্টিই আল্লাহ নয়, সব সৃষ্টিতেই আল্লাহ যে স্রষ্টা সেটা বুঝা যায়।

এই হল ওহদাতুল ওজুদ।
 নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে সবাই বলুনতো-এই ওহদাতুল ওজুদ কি সবাইকে স্রষ্টা বানানো? না সবাইকে বাতিল করে একমাত্র আল্লাহর অস্তিত্বকেই একমাত্র বাকি থাকে স্বীকার করে চূড়ান্ত পর্যায়ের তাওহীদ প্রকাশ!


 হায়রে গায়রে মুকাল্লিদ বা কথিত আহলে হাদীস!


 আল্লাহ তায়ালা কেমন করে অন্ধ করে দিলেন ওদের জ্ঞানের চোখকে। বুঝার দরজাকে।
আশা করি সাধারণ পাঠকদের এই বিষয়ে সন্দেহ দূরিভূত হবে এই প্রবন্ধটির মাধ্যমে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের আহলে হাদীস ফিতনা থেকে আমাদের দেশের সরলমনা মুসলমানদের হিফাযত করুন। আমীন।

 abdullah bhuiya nezami
abduallah.nezami@yahoo.com





বৃহস্পতিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১২

আত্মহত্যা কি? মানুষ কেন আত্মহত্যা করে? ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে আত্মহত্যার পরিনাম ও আত্মহত্যা থেকে মুক্তির উপায়।

আত্মহত্যা কি? মানুষ কেন আত্মহত্যা করে? ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে আত্মহত্যার পরিনাম ও আত্মহত্যা থেকে মুক্তির উপায়।
========================================
আত্মহত্যা কি?

আত্মহত্যা মানে নিজকে নিজে ধ্বংস করা। নিজ আত্মাকে চরম যন্ত্রণা ও কষ্ট দেয়া। নিজ হাতে নিজের জীবনের সকল কর্মকাণ্ডের পরিসমাপ্তি ঘটানো।

মানুষ কেন আত্মহত্যা করে?

মানুষ কেন আত্মহত্যা করে সে বিষয়ে দৃষ্টি দেয়া যাক। আত্মহত্যার অনেক কারণ আছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ

১. স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য, যৌতুকের কারনে ঝগড়া বিবাদ
২. পিতা-মাতা ও ছেলে-মেয়ের মধ্যে মনোমালিন্য,
৩. পরীক্ষায় ব্যর্থতা,
৪. দীর্ঘস্থায়ী রোগ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া,
৫. প্রেম-বিরহ, মিথ্যা অভিনয়ের ফাঁদে পড়ে
৬. ব্যবসায়ে বারে বারে ব্যর্থ হওয়া,
৭. শক্রর কাছে ধরা না দেয়া ইত্যাদি।

যখন জ্ঞান-বুদ্ধি-উপলব্ধি-অনুধাবন শক্তি লোপ পায়, নিজকে অসহায়-ভরসাহীন মনে হয়, তখনই মানুষ আত্মহত্যা করে বসে।

ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে আত্মহত্যার পরিনাম

ইসলামী দৃষ্টিকোণে বিষয়টি আলোচনা করা যায়। আল্লাহ মানুষকে মরণশীল করে সৃষ্টি করেছেন। তিনিই মৃত্যু ঘটান। কিন্তু আত্মহত্যার ক্ষেত্রে বান্দা স্বাভাবিক মৃত্যুকে উপেক্ষা করে মৃত্যুকে নিজের হাতে নিয়ে নিজেই নিজকে হত্যা করে ফেলে। এ কারণে এটি একটি গর্হিত কাজ। তাই আলাহ তা মোটেই পছন্দ করেন না। এ কারণে যদিও শরিয়তে আত্মহত্যাকারীর জানাযা হয় তবু রাসূল (সাঃ) তা নিজে পড়াননি। সাহাবী দ্বারা তা পড়ানো হয়। এ সূত্র ধরে আমাদের সমাজেও উচ্চ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন আলেমের স্থলে অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন আলেম দ্বারা আত্মহত্যা কারীর জানাযার নামায পড়ানো হয়।

কোরআনের বানীঃ

আত্মহত্যা মহাপাপ। এ কাজ থেকে বিরত থাকতে মহান আল্লাহ্‌ তা’আলা বিশেষভাবে নির্দেশ দান করেছেন এবং এর পরিনামের কথা ভাববার জন্য কঠোর ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির বর্ণনা দিয়ে মহা পবিত্র আল কুরআনে আয়াত অবতীর্ণ করেছেন।

মহান আল্লাহ রাববুল আলামীন বলেন, “আর তোমরা নিজেদের হত্যা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়ালু। এবং যে কেউ জুলুম করে, অন্যায়ভাবে উহা (আত্মহত্যা) করবে, অবশ্য আমি তাকে অগ্নিদগ্ধ করবো, আল্লাহর পক্ষে উহা সহজসাধ্য।” (সূরা-নিসা-২৯-৩০)

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর বানীঃ

ক) সাহাবা আবু হোরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজেকে পাহাড়ের ওপর থেকে নিক্ষেপ করে আত্মহত্যা করে, সে জাহান্নামের মধ্যে সর্বদা ঐভাবে নিজেকে নিক্ষেপ করতে থাকবে।

খ) যে ব্যক্তি বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে সেও জাহান্নামের মধ্যে সর্বদা ঐভাবে নিজ হাতে বিষপান করতে থাকবে।

গ) যে কোন ধারালো অস্ত্র দ্বারা আত্মহত্যা করেছে তার কাছে জাহান্নামে সে ধারালো অস্ত্র থাকবে যার দ্বারা সে সর্বদা নিজের পেটকে ফুঁড়তে থাকবে।

ঘ) রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সে দোজখে অনুরূপভাবে নিজ হাতে ফাঁসির শাস্তি ভোগ করতে থাকবে। আর যে বর্শা ইত্যাদির আঘাত দ্বারা আত্মহত্যা করে- দোজখেও সে সেভাবে নিজেকে শাস্তি দেবে।

ঙ) হযরত জুনদুব ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, তোমাদের পূর্বেকার এক লোক আহত হয়ে সে ব্যথা সহ্য করতে পারেনি। তাই সে একখানা চাকু দিয়ে নিজের হাত নিজেই কেটে ফেলে। এর পর রক্তক্ষরণে সে মারা যায়। আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা নিজেকে হত্যা করার ব্যাপারে বড় তাড়াহুড়া করে ফেলেছে। তাই আমি তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিলাম।

আত্মহত্যা থেকে মুক্তির উপায়ঃ

১. পিতা-মাতার কাজ হবে ছেলে-মেয়েদের অযথা ধমক না দেয়া, ভৎসনা না করা।

২. এমন মানসিক কষ্ট না দেয়া যাতে তাদেরকে আত্মহত্যার মতো চরম পদক্ষেপ দিতে বাধ্য করে।

৩. মারাত্মক ও কষ্টদায়ক অসুখে পড়লে নামাযে দাঁড়িয়ে যাওয়া। দাঁড়াতে না পারলে বসে পড়া, তা না পারলে শুয়ে ইশারায় পড়া এবং সেজদায় এ দোওয়া করা। হে আমার রব। আমাকে রোগে কষ্ট দিচ্ছে। আপনি তো দয়ালুদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু। আমাকে রোগ-মুক্ত করুন। আইয়ুব (আঃ) তাঁর ভীষণ অসুখে এ দোওয়া পড়েছিলেন (সূরা আম্বিয়া আয়াত ৮৩ “রাব্বি আন্নি মাস্যানিয়াত দুররু ও আনাতা আরহাদুর রাহেমিন”। এ দোওয়া পড়ে রোগমুক্ত হন।

৪. ব্যবসায় ক্রমাগত ক্ষতি হলে মাঝে মাঝে নফল নামাযে সেজদায় গিয়ে এ দোওয়া পড়াঃ আল্লাহুম্মার জুকনা রিযকান হাসানা। আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবুকা মিনাল ফাকরি অলকিল্লাতি অজজিল্লা”। অর্থ হলোঃ হে আল্লাহ। আমাকে মঙ্গলকর জীবিকা দান করুন। আমি আপনার নিকট গরিবী স্বল্পতা ও হীনতা থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। আপনিই তো একমাত্র রিজিকের মালিক এবং দাতা। আপনি সূরা জুমার ৫৩ আয়াতে বলেছেন “ আমার দয়া থেকে নিরাশ হয়ো না”। তাই আমার রুজি বাড়িয়ে দিন।

৫. পরীক্ষা এসে গেলে আগে থেকে ছাত্রদের মাঝে মাঝে নফল নামাযে সেজদায় গিয়ে এ দোওয়া করা। হে আল্লাহ। আপনিই তো জ্ঞান-প্রতিভা-মেধা ও ফল দেয়ার মালিক। এগুলো দিয়ে আমাকে অনুগ্রহ করুন যাতে আমি পরীক্ষায় ভাল ফল করতে পারি। কোরআনের ভাষায় এ দোওয়া হলো “রাব্বি জিদনি এলমা।” অর্থ হলো। হে প্রভু। আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।

৬. আত্ম-হত্যার কথা মনে, আসলে এ বিপদ থেকে রক্ষাকল্পে নফল নামাযে দাঁড়িয়ে যাওয়া এবং সিজদায় গিয়ে বিনীতভাবে আল্লাহর আগ্রহ-দয়া-সাহায্য কামনা করা প্রয়োজন। প্রতি মুহূর্তে ধৈর্য ধারণ করতে হবে।

৭. এ ঘাত-সংঘাতময় জীবনে মাঝে মাঝে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হবে- এটা তো স্বাভাবিক। আল্লাহ কোরআনে বলেছেন, স্বামী-স্ত্রী একে অপরের পরিচ্ছদ। একে অপরের শান্তিদাতা ও শান্তিদাত্রী। দোষ-গুণ নিয়েই মানুষ। কারও মাঝে সব গুণের একত্র সমাহার বিরল। স্বামীর যেমন কিছু গুণ থাকে তেমনি কিছু দোষও থাকে। স্ত্রীর ব্যাপারেও একথা সমভাবে প্রযোজ্য। তাই উভয়কে সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিতে হবে। নিজেদের মধ্যে সংলাপ-সহযোগিতা-সমঝোতা-সহমর্মিতা থাকতে হবে। উভয়কে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। আল্লাহ সূরা ফুরকান আয়াত ৭৪ এ ব্যাপারে দোওয়া শিখিয়ে দিয়েছেন যা হলো “রাব্বানা হাবলানা মিন আগওগানা ও জুর রিয়্যাতেনা কুররাতা আ’য়ুনু অজআলনা লিল মুত্তাকিনা ইমাম।” অর্থ হলোঃ হে আমাদের প্রতিপালক। আমাদের স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানদেরকে নয়ন তৃপ্তিকর করে দিন এবং মোত্তাকীদের আমাদের জন্য আদর্শ স্বরূপ করে দিন।

পরিশেষেঃ.............................................

মোট কথা যখনই নিজেকে অসহায় ও আশাহত মনে হয় এবং আত্মহত্যার চিন্তা আসে তখনই মনে করতে হবে এখন শয়তান এসেছে। ইসলামে আত্মহত্যা নাজায়েয এবং তার পরিণতি জাহান্নাম। তাই এ থেকে দূরে থাকা ব্যাঞ্ছ্যনীয়। সাথে সাথে মনে করতে হবে আল্লাহই আমার সহায় এবং আশার আলো। তাই পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামায পড়ার সাথে নফল নামাযের মাধ্যমে আল্লাহর দয়া ও সাহায্য কামনা করতে হবে। প্রতি মুহূর্তে সবর অর্থাৎ ধৈর্য ধারণ করতে হবে। এতে ইনশাআল্লাহ মন ও হ্নদয় প্রশান্ত থাকবে এবং বিপদ দূরীভূত হবে।

হে মহান আল্লাহ। সকল স্তরের নর-নারী ও সন্তান-সন্তুতিকে আত্মহত্যার মত পাপ থেকে বেঁচে থাকার মত জ্ঞান বুদ্ধি ও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার মত সুচিন্তা ও চেতনা দান করুন। আমীন

বুধবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১২

বাংলা দেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন কওমী মাদ্রাসা/জামেয়ার ওয়েবসাইট





Bangladesh:


      বিষয় ভিত্তিক  ইসলামী গবেষনা মূলক ব্লগ
ব্লগার -
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া [ নিজামী ]
http://www.blogger.com/blogger.g?blogID=1563896843655415173#allposts/postNum=1 

http://www.facebook.com/abduallah.nezami?sk=notes_drafts#!/abduallah.nezami

http://www.facebook.com/#!/pages/%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%97%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A7%80/279402125466038


http://www.youtube.com/watch?v=R5i56gpdbjE&feature=BFa&list=ULpD6E6SXt6C4


     Jamiatul Asad Al Islamia, Dhaka: http://jamiatulasad.com

http://www.youtube.com/watch?v=zfQ4wPm3Wq0&feature=BFa&list=ULR5i56gpdbjE

Jamia Rahmania Dhaka : http://rahmaniadhaka.com

Jatrabari Madrasah (Dawatul Haq) : http://dawatul-haq.com

Darul Uloom Madani Nagar : http://darululoommadaninagar.com

Jamiya Shariyyah Malibag, Dhaka : http://malibagjamia.blogspot.com/ (Unofficial site)

Jamiatur Rashad : http://jamiaturrashad.com

Madrasatul Hikmah, Uttara : http://www.hikmabd.com/

Darul Ulum Muinul Islam, Hathazari, Chittagong : http://www.darululum-hathazari.com/

Boruna Madrasah, Sylhet : http://www.borunamadrasha.com/

Jamea Madania, Kazirbazar, Sylhet : http://www.jameamadania.com/

Al Jamiya Al Islamia Patiya, Chittagong : http://www.aljameahpatiya.com/

Jamea Muhammadia Darul Uloom Chandarpur, Sylhet : http://www.chandarpurshariahacademy.org/

Jamiya Kasimiya Ashraful Ulum, Mirpur, Dhaka : http://jamiakasimia.org/

CANADA:

Al-Rashid Islamic Institute, Cornwall, Ontario
Aishah Siddiqah Islamic Institute for Girls, Bowmanville : http://www.alimahprogram.org/
Jamia Islamia Canada : http://www.jamiaislamia.org/

India:

Darul Uloom Deoband : http://darululoom-deoband.com/
Darul Uloom Nadwatul Ulama, Lucknow : http://www.nadwatululama.org/
Jamia Nizamia, Hydrabad : http://www.jamianizamia.org/
Jamiatul Qasim Darul Ulumil Islamia : http://www.jamiatulqasim.com/

Pakistan:

Darul Uloom Karachi: www.darululoomkarachi.edu.pk
Jamia Ashrafia Lahore Pakistan: http://www.ashrafia.org.pk/
Jamia Binnoria : http://www.binoria.org/
Darul Uloom Amjadia : http://www.darululoomkhi.edu.pk/
Madrassa Ibn Abbas in Karachi : http://ibnabbasaisha.edu.pk/
Jamia Farooqia Karachi : http://www.farooqia.com/
Darul Uloom Naeemia, Karachi : http://www.naeemia.com/
Darul Uloom Ilaahiya, Kashmir : http://www.islamkashmir.org/

Jamia Darul Uloom Islamia Jatoi, Punjab : http://www.darululoomjatoi.com/

South Africa:

Madrasa In’aamiyyah : http://www.al-inaam.com/
Madrasah Arabia Islamia, Azadville
Madrasah Zakariyyah
Madrasah Ta’limuddin, Isipingo Beach : http://alhaadi.org.za
Jameah Mahmoodiyah, Springs : http://www.mahmoodiyah.org.za/
Dar al-Ulum al-Arabiyyah al-Islamiyyah, Strand : http://www.duai.co.za
Port Elizabeth Darul Ulum, Darul Ulum Abubakr : http://www.intisaarul.netfirms.com/
Darul Ulum Newcastle : http://www.darululoomnewcastle.co.za/
Darul Uloom Pretoria : http://www.darululoompretoria.com/

Girls:

Madrasah Islaahul Banaat, Landsdowne
Madrasah Banaatul Islaam, Korsten, Port Elizabeth
Madrasatul Banaat, Azaadville
Madrasah Muneeratul Islam lil Banaat, Azaadville
Madrasah Zakariyyah, Lenasia
Madrasatul Banaat, Stanger
Madrasah Swaalihaat, 30 Tarndale Avenue, Asherville
Madrasah Talimun Niswan, PMBurg

West Indies:

Darul Uloom Trinidad and Tobago: http://www.darululoomtt.org/ , http://www.duloom.org

UK:

Jamea Al Kauthar : http://www.jamea.co.uk/
Darul Uloom Birmingham: http://www.darululoom.org.uk/
Darul Uloom London : http://www.darululoomlondon.co.uk/
Darul Uloom Dewsbury :
Jame’ah Riyaadul ‘Uloom, Leicester : http://www.jru.org.uk/
Jame’ah Uloomul Qur’an (For Boys & Girls), Baggrave Street, Leicester : www.jameah.co.uk
Darul Uloom Al-Arabiah Al-Islamiah : www.darululoom.org.uk
Darul Uloom Leicester : www.darululoomleicester.co.uk
Madinatul Uloom Al-Islamiya, Butts Lane, Kidderminster
Al Jamia Al Islamiyyah , Willows Lane, Bolton
Jameah Islameah, Catts Hill, Mark Cross, Crowborough, East Sussex : http://www.islamicjameah.org.uk/
Al Jamiah Al Islamiyyah Darul Uloom Bolton, Institute of Islamic Higher Education : http://www.al-jamiah-al-islamiyyah.org.uk/
Darul Uloom Dawatul Imaan : http://www.dawatulimaan.org.uk/

US:

Darul Uloom Madania, Buffalo http://www.madania.org/
Darul Uloom Mary Land : http://www.darululoommaryland.com/
Darul Uloom New York : http://www.darululoomny.org/
Daru Uloom Azizia : http://www.darululoom.us
Darul Uloom Austin, Austin, Texas : http://www.darululoomaustin.org/

Online Darul Ulooms:

IIE Online : http://iieonline.org/
Draul Ulum Online : http://www.darululum.org/
Shariah Program : ShariahProgram.ca
As Suffa : http://www.as-suffa.org/



সংগ্রহে
 ======
মৌলানা আবদুল্লাহ ভূঁইয়া   এন্ড নিজমী
প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ---
    নুরুলগনি ইসলামিক একাডিমী
কাটাছরা , মিরসরাই , চট্টগ্রাম
      বাংলাদেশ
১৮/৪/২০১২ ইং
২৫/৫/১৪৩৩ হিজরী
৫/১/১৪১৯ বঙ্গাব্দ   
 http://www.facebook.com/abduallah.nezami

 abduallah.nezami@yahoo.com
 
abdullahnezami123@gmail.com