النوم اخو الموت
ঘুমানোর সুন্নাত তরিকা
ঘুম হলো মৃত্যুর ভাই
তাই প্রত্যেক মোমেনেরজন্য সব সময় মৃত্যুকে স্বরন করেই কাজ কাম করা উচিৎ
তেমনি ঘূম ও একটি কাজ
সকল প্রানী জীব জন্তু গাছ-পালা সবাই ঘুমায় তাই সৃষ্টির সেরা মানুষ ও ঘুমায় , কিন্তু মানুষ ও অন্যান্য জীবের ঘুমের মধ্যে আবশ্যই পার্থক্য আছে.
মানুষেরা আল্লাহর হুকুম ও নবী সাঃ এর তরীকা অনুসরন করেই ঘুমায় ,আর জীব জানোয়ারর মধ্যে তা নেই, তা ছাডা তারা মা"মূরবিহী ও নয় ৷
তাই এখানে
ঘুমানোর সুন্নাহ তরীকা সমূহ বননা করা হলো
ঘুমানোর সুন্নাহ সমূহ
***********************
১·ইশার সালাতের পর যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি ঘুমাতে চেষ্টা করা, যাতে তাহাজ্জুদের জন্য উঠা সহজ হয়। (বুখারী হা: নং-৫৪৭)
২·ওজু করে শয়ন করা। (বুখারী হা: নং-৬৩১১)
৩·শয়নের পূর্বে বিছানা ভালভাবে ঝেড়ে নেয়া। (বুখারী হা: নং-৬৩২০)
৪·শয়নের পূর্বে পরিহিত কাপড় পরিবর্তন করে ঘুমের কাপড় পরিধান করা। (আল মাদখাল, ৩/১৬২ )
৫·শয়নের পূর্বে বিসমিল্লাহ পড়ে নিম্নের কাজগুলো করা।
ক·দরজা বন্ধ করা।
খ. পানি ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের পাত্র ঢেকে রাখা। ঢাকার জন্য কোন বস্তু না পাওয়া গেলে বিসমিল্লাহ পড়ে কোন একটি লাঠি বা কোন ছড়ি রেখে দেয়া।
গ. বাতি নিভানো। (বুখারী হাঃ নং-৫৬২৩-২৪)
৬·ঘুমানোর পূর্বে তিনবার করে সুরমা লাগানো। (মুস্তাদরিক হাঃ নং-৮২৪৯)
এটা নবী সাঃ করতেন , তাই এটা সুন্নাত , তাছাডা দিনের বেলায় চোখে ধূলা বালু পডে থাকলে তা চোখে সুরমা ব্যবহারের দ্বারা বাহির হয়ে যায়, আর সুরমা চোখের জ্যুতি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, ইহা রোগ প্রতিরোধক
৭·ঘুমানো পূর্বে কিছু পরিমান কুরআন তিলাওয়াত করা। বিশেষ করে সূরা ফাতিহা, সূরা কাফিরূন, আয়াতুল কুরছি, আমানার রাসূল থেকে সূরা বাকারার শেষ পর্যন্ত, সূরা মূলক, আলিফ লাম মীম সাজদাহ ইত্যাদি তিলাওয়াত করা। এত কিছু তিলাওয়াত করতে না পারলে কমপক্ষে ২/৩ টি ছোট ছোট সূরা পড়া।
(তাবরানী কাবীর, হা: নং-২১৯৫) (আল আদাবুল মুফরাদ হা: নং-১২০৯) (বুখারী হা: নং-২৩৭৫)
৮. ঘুমানোর পূর্বে কয়েকবার দুরূদ শরীফ পড়া এবং তাসবিহে ফাতিমী পাঠ করা অর্থাৎ-৩৩ বার ছুবহানাল্লাহ, ৩৩ আলহামদুলিল্লাহ ও ৩৪ বার আল্লাহু আকবার বলা। (বুখারী হা: নং-৩১১৩)
৯. সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক সূরা নাছ প্রত্যেকটা তিনবার করে পড়ে হাতে ফুঁ দিয়ে যতটুকু সম্ভব মাথাথেকে পা পর্যন্তসমস্তশরীরে হাত মুছে দেয়া। তিনবার এমন করা। (বুখারী হা: নং-৫০১৭)
১০. ঘুমানোর সময় ডান কাতে কিবলামূখী হয়ে শোয়া। উপুর হয়ে শোয়া নিষেধ কারণ এভাবে শয়ন করাকে আল্লাহ ত‘য়ালা পছন্দ করেন না। (বুখারী হাঃ নং-৬৩১৪)
১১· ঘুমানোর পূর্বে তিনবার নিম্নের ইস্তেগফার পড়া:
اَسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِيْ لَاْ اِلَهَ اِلّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّوْمُ وَ اَتُوْبُ اِلَيْكَ
(তিরমিযী হা: নং-৩৩৯৭)
১২·এই দু‘য়াটি পড়া
اَلَّلهُمَّ بِاسْمِكَ اَمُوْتُ وَ اَحْىَ
(বুখারী হা: নং-৬৩১৪)
১৩·শয়ন করার পর ভয়ে ঘুম না আসলে এই দু‘য়া পড়া
اَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ غَضَبِهِ وَ عِقَابِهِ وَ شَرِّ عِبَادِهِ وَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيْطَانِ وَ اَنْ يَحْضُرُوْنَ
(তিরমিযী হা: নং-৩৫২৮)
১৪·স্বপ্নে ভয়ংকর কিছু দেখে ঘুম ভেঙ্গে চক্ষু খুলে গেলে তিনবার
اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ
পড়ে বাম দিকে থুথু ফেলে পার্শপরিবর্তন করে শোয়া। অতপর নিম্নোক্ত দু‘য়াটি পড়লে আর ক্ষতির কোন আশংকা থাকে না:
اَلَّلهُمَّ اِنِّيْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ هَذِهِ الرُّؤْيَا
(মুসলিম শরীফ হা:নং-২২৬২)
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া
প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক
নুরুলগনি ইসলামী একাডিমী
মিরসরাই
ঘুমানোর সুন্নাত তরিকা
ঘুম হলো মৃত্যুর ভাই
তাই প্রত্যেক মোমেনেরজন্য সব সময় মৃত্যুকে স্বরন করেই কাজ কাম করা উচিৎ
তেমনি ঘূম ও একটি কাজ
সকল প্রানী জীব জন্তু গাছ-পালা সবাই ঘুমায় তাই সৃষ্টির সেরা মানুষ ও ঘুমায় , কিন্তু মানুষ ও অন্যান্য জীবের ঘুমের মধ্যে আবশ্যই পার্থক্য আছে.
মানুষেরা আল্লাহর হুকুম ও নবী সাঃ এর তরীকা অনুসরন করেই ঘুমায় ,আর জীব জানোয়ারর মধ্যে তা নেই, তা ছাডা তারা মা"মূরবিহী ও নয় ৷
তাই এখানে
ঘুমানোর সুন্নাহ তরীকা সমূহ বননা করা হলো
ঘুমানোর সুন্নাহ সমূহ
***********************
১·ইশার সালাতের পর যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি ঘুমাতে চেষ্টা করা, যাতে তাহাজ্জুদের জন্য উঠা সহজ হয়। (বুখারী হা: নং-৫৪৭)
২·ওজু করে শয়ন করা। (বুখারী হা: নং-৬৩১১)
৩·শয়নের পূর্বে বিছানা ভালভাবে ঝেড়ে নেয়া। (বুখারী হা: নং-৬৩২০)
৪·শয়নের পূর্বে পরিহিত কাপড় পরিবর্তন করে ঘুমের কাপড় পরিধান করা। (আল মাদখাল, ৩/১৬২ )
৫·শয়নের পূর্বে বিসমিল্লাহ পড়ে নিম্নের কাজগুলো করা।
ক·দরজা বন্ধ করা।
খ. পানি ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের পাত্র ঢেকে রাখা। ঢাকার জন্য কোন বস্তু না পাওয়া গেলে বিসমিল্লাহ পড়ে কোন একটি লাঠি বা কোন ছড়ি রেখে দেয়া।
গ. বাতি নিভানো। (বুখারী হাঃ নং-৫৬২৩-২৪)
৬·ঘুমানোর পূর্বে তিনবার করে সুরমা লাগানো। (মুস্তাদরিক হাঃ নং-৮২৪৯)
এটা নবী সাঃ করতেন , তাই এটা সুন্নাত , তাছাডা দিনের বেলায় চোখে ধূলা বালু পডে থাকলে তা চোখে সুরমা ব্যবহারের দ্বারা বাহির হয়ে যায়, আর সুরমা চোখের জ্যুতি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, ইহা রোগ প্রতিরোধক
৭·ঘুমানো পূর্বে কিছু পরিমান কুরআন তিলাওয়াত করা। বিশেষ করে সূরা ফাতিহা, সূরা কাফিরূন, আয়াতুল কুরছি, আমানার রাসূল থেকে সূরা বাকারার শেষ পর্যন্ত, সূরা মূলক, আলিফ লাম মীম সাজদাহ ইত্যাদি তিলাওয়াত করা। এত কিছু তিলাওয়াত করতে না পারলে কমপক্ষে ২/৩ টি ছোট ছোট সূরা পড়া।
(তাবরানী কাবীর, হা: নং-২১৯৫) (আল আদাবুল মুফরাদ হা: নং-১২০৯) (বুখারী হা: নং-২৩৭৫)
৮. ঘুমানোর পূর্বে কয়েকবার দুরূদ শরীফ পড়া এবং তাসবিহে ফাতিমী পাঠ করা অর্থাৎ-৩৩ বার ছুবহানাল্লাহ, ৩৩ আলহামদুলিল্লাহ ও ৩৪ বার আল্লাহু আকবার বলা। (বুখারী হা: নং-৩১১৩)
৯. সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক সূরা নাছ প্রত্যেকটা তিনবার করে পড়ে হাতে ফুঁ দিয়ে যতটুকু সম্ভব মাথাথেকে পা পর্যন্তসমস্তশরীরে হাত মুছে দেয়া। তিনবার এমন করা। (বুখারী হা: নং-৫০১৭)
১০. ঘুমানোর সময় ডান কাতে কিবলামূখী হয়ে শোয়া। উপুর হয়ে শোয়া নিষেধ কারণ এভাবে শয়ন করাকে আল্লাহ ত‘য়ালা পছন্দ করেন না। (বুখারী হাঃ নং-৬৩১৪)
১১· ঘুমানোর পূর্বে তিনবার নিম্নের ইস্তেগফার পড়া:
اَسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِيْ لَاْ اِلَهَ اِلّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّوْمُ وَ اَتُوْبُ اِلَيْكَ
(তিরমিযী হা: নং-৩৩৯৭)
১২·এই দু‘য়াটি পড়া
اَلَّلهُمَّ بِاسْمِكَ اَمُوْتُ وَ اَحْىَ
(বুখারী হা: নং-৬৩১৪)
১৩·শয়ন করার পর ভয়ে ঘুম না আসলে এই দু‘য়া পড়া
اَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ غَضَبِهِ وَ عِقَابِهِ وَ شَرِّ عِبَادِهِ وَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيْطَانِ وَ اَنْ يَحْضُرُوْنَ
(তিরমিযী হা: নং-৩৫২৮)
১৪·স্বপ্নে ভয়ংকর কিছু দেখে ঘুম ভেঙ্গে চক্ষু খুলে গেলে তিনবার
اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ
পড়ে বাম দিকে থুথু ফেলে পার্শপরিবর্তন করে শোয়া। অতপর নিম্নোক্ত দু‘য়াটি পড়লে আর ক্ষতির কোন আশংকা থাকে না:
اَلَّلهُمَّ اِنِّيْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ هَذِهِ الرُّؤْيَا
(মুসলিম শরীফ হা:নং-২২৬২)
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া
প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক
নুরুলগনি ইসলামী একাডিমী
মিরসরাই