Translate

মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০১৪

namajer samna toking m, m,abdullah bhuiyan













http://351224351224.blogspot.com/2014/07/blog-post_1470.html 





http://351224351224.blogspot.com/2014/07/blog-post_15.html  





http://351224351224.blogspot.com/2014/07/blog-post_3627.html



প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের ওপর সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব। নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিককে সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে।




দ্বিতীয় হিজরিতে উম্মতে মুহাম্মদির ওপর রমজান মাসের রোজা ফরজ করার সঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.) মুসলমানদের ‘সাদাকাতুল ফিতর’ আদায় করার নির্দেশ দেন, একে সাধারণত রোজার ‘ফিতরা’ বলা হয়। এটা মূলত মাহে রমজানেরই নির্ধারিত সাদকা বা দান। শরিয়তের পরিভাষায় রমজান মাস শেষে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপন উপলক্ষে মাথাপিছু যে নির্দিষ্ট পরিমাণ আর্থিক সাহায্য গরিব-মিসকিনদের সাদকা করা হয়, একে ‘সাদাকাতুল ফিতর’ বলে। রোজা পালনে বা সিয়াম সাধনায় অত্যন্ত সতর্কতা সত্ত্বেও যেসব ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়, তার প্রতিকার ও প্রতিবিধান বা ক্ষতিপূরণের জন্য রমজান মাসের শেষে সাদাকাতুল ফিতরকে ওয়াজিব করে দেওয়া হয়েছে। ধনীদের পাশাপাশি গরিবেরাও যেন ঈদের আনন্দে শরিক হতে পারে, সে জন্য ইসলামি শরিয়তে ঈদুল ফিতরে ধনীদের ওপর ‘সাদাকাতুল ফিতর’ ওয়াজিব করা হয়েছে।
সাদাকাতুল ফিতরের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য হচ্ছে ঈদের খুশিতে গরিব শ্রেণীর লোককেও শামিল করে নেওয়া। সাদাকাতুল ফিতর দ্বারা রোজার মধ্যে ত্রুটি-বিচ্যুতির ক্ষতিপূরণও হবে এবং গরিব-দুঃখী মুসলমান নিশ্চিন্ত মনে খাওয়া-পরার জিনিসপত্র সংগ্রহ করে অন্য মুসলমানের সঙ্গে ঈদের জামাতে শরিক হতে পারবেন। এর মাধ্যমে ধনী-গরিবের মধ্যে অর্থনৈতিক ব্যবধান কমে আসে এবং সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি গড়ে ওঠে। নবী করিম (সা.) সাদাকাতুল ফিতর এ জন্য নির্ধারিত করেছেন যাতে ভুলক্রমে অনর্থক কথাবার্তা ও গুনাহ থেকে রোজা পবিত্র হয় এবং মিসকিনদের খাওয়া-পরার ব্যবস্থা হয়। হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, ‘সাদাকাতুল ফিতর দ্বারা রোজা পালনের সকল দোষত্রুটি দূরীভূত হয়, গরিবের পানাহারের ব্যবস্থা হয়।’ (আবু দাউদ)
যে ব্যক্তির কাছে ঈদের দিন সুবহে সাদিকের সময় জীবিকা নির্বাহের অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ ব্যতীত সাড়ে ৭ তোলা সোনা অথবা সাড়ে ৫২ তোলা রুপা অথবা সমমূল্যের অন্য কোনো সম্পদ থাকে তার ওপর সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব। এ পরিমাণ সম্পদকে শরিয়তের পরিভাষায় ‘নিসাব’ বলা হয়। প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের ওপর সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব। নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিককে সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে। এসব সম্পদ বা অর্থ যদি কারও হাতে ঈদের দিন সুবহে সাদিকের সময়ও আসে, তবু তাকে ফিতরা দিতে হবে। কেউ যদি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নাও হন, অথচ আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সাদাকাতুল ফিতর আদায় করেন, তাহলে তিনি অশেষ সওয়াব পাবেন।
রমজান মাস শেষ দশক আসার সঙ্গে সঙ্গে রোজাদারের অপরিহার্য কর্তব্য হলো নির্ধারিত পরিমাণে সাদাকাতুল ফিতর বা ফিতরা আদায় করা। খেজুর, কিশমিশ, মুনাক্কা এবং যব দ্বারা সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা হলে ১ সা অর্থাৎ তিন কেজি ৩০০ গ্রাম অথবা এর মূল্য আদায় করতে হবে। আটা বা গম দ্বারা সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা হলে অর্ধ সা অর্থাৎ এক কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর সমান মূল্য আদায় করতে হবে। মাথাপিছু এক কেজি ৬৫০ গ্রাম গম বা আটা অথবা এর স্থানীয় বাজারমূল্যের সমান ফিতরা দিতে হয়। (উল্লেখ্য, এবারের ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন 65 টাকা করে নির্ধারণ করা হয়েছে।)



 গম ছাড়া খেজুর, কিশমিশ, পনির ও যব দিয়েও সাদাকাতুল ফিতর আদায়ের নির্দেশনা হাদিস শরিফে উল্লেখ রয়েছে। তবে এসব খাদ্যপণ্য তিন কেজি ২৭০ গ্রামের বাজারমূল্য হিসাব করে আদায় করতে হবে।

তাই এগুলোর মধ্য থেকে যেকোনো একটির বাজারমূল্য দিয়েও যে কেউ ইচ্ছে করলে সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে পারে। সে ক্ষেত্রে সামর্থ্য অনুযায়ী অধিক মূল্যমান খাদ্যপণ্যের বাজারমূল্য হিসাবে আদায় করাই উত্তম।

দেশের বিভিন্ন বাজারমূল্যে তারতম্য হতে পারে। তাই যেকোনো বাজারমূল্য হিসাব করে আদায় করলেও সাদাকাতুল ফিতর আদায় হয়ে যাবে। এখানে শুধু ঢাকার বাজারমূল্য সংগ্রহ করে হিসাব করা হয়েছে। নিম্নে এসব খাদ্যপণ্যের বাজারমূল্য দেয়া হলো।

খেজুর-৭০ টাকা কেজি বাজারদরে মাথাপিছু-২৩০ টাকা; ২. খেজুর-৪৮০ টাকা কেজি বাজারদরে মাথাপিছু-১৫৭০ টাকা; ৩. খেজুর-১০০০ টাকা কেজি বাজারদরে মাথাপিছু-৩২৭০ টাকা; ৪. কিশমিশ-৩৭০ টাকা কেজি বাজারদরে মাথাপিছু-১২১০ টাকা; ৫. পনির-৪৫০ টাকা কেজি বাজারদরে মাথাপিছু-১৪৭০ টাকা; ৬. যব-১৮০ টাকা কেজি বাজারদরে মাথাপিছু ৫৮৮ টাকা। বিজ্ঞপ্তি।

সামর্থ্যবান পিতার ওপর তার নাবালক ছেলেমেয়েদের পক্ষ থেকেও সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব। সুতরাং নিজের ও নাবালক সন্তানাদির পক্ষ থেকে সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে। মহিলাদের কেবল নিজের পক্ষে ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। নাবালক সন্তানের নিজের সম্পদ থাকলে তা থেকেই ফিতরা দেওয়া হবে। আর বালক সন্তানের পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা মুস্তাহাব। গৃহকর্তা এবং তার পোষ্যদের সংখ্যাকে হিসাব করে প্রতিজনের বিপরীতে নির্ধারিত অর্থমূল্যে সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা বাঞ্ছনীয়। ফিতরা সেসব গরিব-মিসকিনই পাবেন, যাঁরা জাকাত পাওয়ার উপযুক্ত।
সাদাকাতুল ফিতর ঈদের দু-তিন দিন আগে আদায় করলে অধিক সওয়াব পাওয়া যায়। ফিতরা ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে আদায় করা সুন্নত। তবে ঈদের নামাজের আগে আদায় করতে না পারলে ঈদের নামাজের পর অবশ্যই আদায় করতে হবে। ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সাদাকায়ে ফিতরের ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন, যেন তা লোকেরা সালাতের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার আগেই আদায় করে। নবী করিম (সা.) নিজেও ঈদের দু-এক দিন আগে ফিতরা আদায় করে দিতেন।’ (আবু দাউদ)
ঈদের নামাজের আগেই ফিতরা দিয়ে দেওয়া উত্তম, নতুবা পরে আদায় করতে হবে। মহানবী (সা.) ঈদের দু-তিন দিন আগেই লোকদের একত্র করে ফিতরা বের করার নির্দেশ দিতেন। এতে করে গরিব-মিসকিনরা নিজ নিজ প্রয়োজন পূরণে সক্ষম হবেন এবং ঈদের দিনে তাঁরাও পানাহারের ব্যবস্থা করতে সমর্থ হবেন। ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) রোজাদার ব্যক্তির অসৎ কাজকর্ম থেকে সিয়ামকে পবিত্র করার জন্য এবং অভাবীদের ঘরে খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য সাদাকাতুল ফিতরের বিধান দিয়েছেন। যে ব্যক্তি ঈদের নামাজের আগে এ ফিতরা আদায় করে দেবেন, তা জাকাত হিসেবে কবুল হবে আর নামাজের শেষে আদায় করা হলে তখন তা সাদকা হিসেবে কবুল হবে।’ (আবু দাউদ, ইবনে মাজা)
মাহে রমজানে মনপ্রাণ খুলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে আর্তমানবতার সেবায় কয়েক হাজার টাকা সাদকা-ফিতরা প্রদান তেমন কষ্টকর কিছু নয়, প্রয়োজন শুধু সদিচ্ছার। সুতরাং দাতার কথাবার্তা বা কার্যকলাপ দ্বারা যেন এ কথা প্রকাশ না পায় যে সে গ্রহীতাকে সাহায্য করছে। এ সাদকা তো দাতার দান নয়, বরং সাদকা দিয়ে সে দায়মুক্ত হলো মাত্র। আর সওয়াব বা প্রতিদান তো আল্লাহরই কাছে পাবেন। উপরন্তু গ্রহীতা তা গ্রহণের ফলেই দাতা দায়িত্বমুক্ত হতে পেরেছে। এ অর্থে বরং গ্রহীতাই দাতার উপকার করেছে। এ জন্য মাহে রমজানে সাদাকাতুল ফিতর বা ফিতরা যথাসম্ভব রোজা শেষ হওয়ার আগেই দিয়ে দেওয়া উচিত।
 

যাকাতুল ফিতর কাদের উপর ফরয ও তার পরিমাণ কি ?ফিতরা কাদের দেয়া যাবে বা যাবে না ?

যাকাতুল ফিতর কি? যাকাতুল ফিতর কখন আদায় করতে হবে ? @ ইবনু আব্বাস (রা) সুত্রে বর্নিত, তিনি বলেন রাসুল (সা) যাকাতুল ফিতর যরয করেছেন অশ্লীল কথা ও খারাপ কাজ হতে রোযাকে পবিত্র করতে এবং মিশকিনদের খাদ্যের জন্য । যে ব্যক্তি সলাতের (নামাযের) পুর্বে তা আদায় করে সেটা কবুল সদকাহ গণ্য হবে, আর যে ব্যক্তি সালাতের পর তা আদায় করবে তা সাধারণ দান হিসেবে গৃহিত হবে । (আবু দাউদ, ১ম খন্ড,হা/১৬০৯; ইবনু মাজাহ,হা/১৮২৭)

২. যাকাতুল ফিতর কাদের উপর ফরয ও তার পরিমাণ কি ?
@ ইবনু উমার (রা) হতে বর্নিত, রাসুল (সা) যাকাতুল ফিতর ফরয করেছেন প্রত্যেক স্বাধীন বা গোলাম, পুরুষ কিংবা নারী নির্বিশেষে সকল মুসলিমের উপর মাথা পিছু এক সা’ খেজুর বা যব রমজানের ফিত্রা আদায় করা । (বুখারী,হা/১৫০৩; মুসলিম,হা/৯৮৪)

৩. যাকাতুল ফিতরের খাদ্য দ্রব্য কি ? @ আবু সাঈদ খুদরী (রা) বলেন, রাসুল (সা) এর যুগে ইদুল ফিতরের দিন আমরা এক সা’ খাদ্য ফিতরা দিতাম । তখন আমাদের খাদ্য ছিল যব, কিসমিস, পনীর ও খেজুর ।(বুখারী/১৫০৬; মুসলিম/৯৮৫; আবু দাউদ/১৬১৬)
সুতরাং দেশের প্রধান খাদ্য দ্বারা ফিতরা আদায় করতে হবে । প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে উপরোক্ত হাদিসে যে খাদ্য দ্রব্যের কথা বলা হয়েছে তা সে দেশের প্রধান ও প্রচলিত খাদ্য দ্রব্য ছিল । তাই তা থেকে তারা যাকাতুল ফিতর প্রদান করতেন ঐ সকল খাদ্য দ্রব্য দিয়ে । হাদিসে বর্নিত খাদ্য দ্রব্যের যে উল্লেখ রয়েছে তা উদাহরণ হিসাবে নির্ধারণ হিসেবে নয় । তাই দেশের প্রধান ও প্রচলিত খাদ্য দ্রব্য দিয়ে ফিতরা প্রদান করতে হবে ।

৪. ধানের ফিতরা আদায় করা যাবে কি ?
@ আমরা আমাদের দেশে প্রধানতঃ খাদ্য হিসেবে চালের ব্যবহার করে থাকি কারণ ধান আমাদের প্রধান খাদ্য নয় এবং সরাসরি আহার্য বস্তুও নয়। আমরা বাস্তব ক্ষেত্রে চালের ব্যবহার করি এবং ব্যবহার হতে দেখি, যেমন; ১. মিড ডে মিল প্রোগ্রামের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি বিদ্যালয়ে সরকার চাল সরবরাহ করে থাকে, কোনো বিদ্যালয়ে ধান দেওয়া হয় না ।
২. সরকার বা বহিরাগত দেশ থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সাহায্য আসলে চাল ও গম ছাড়া কোনো দিন ধান আসতে দেখিনি ।
৩. বি.পি.এল কার্ডধারী দুঃস্থ লোকেদের সরকার খুব সস্তায় চাল ও গম দেয় ।
সুতরাং বাঙালীদের প্রধান খাদ্য চালের ফিতরা আদায় করতে হবে । যবের উপর ক্বিয়াস করে ধানের ফিত্রা সিদ্ধ হবে না ।



৬. ফিতরা পাওয়ার হকদার কারা ?
@ ইবনে আব্বাসের (রা) বর্নিত হাদিসে রাসুল (সা) শুধু মাত্র ফকীর ও মিশকীনদের মধ্যে বন্টন করতে নির্দেশ দিয়েছেন । সুতরাং ফকীর ও মিশকিনরা শুধু মাত্র ফিতরা পাওয়ার অধিকারি । (আবু দাউদ/১৬০৯; ইবনু মাজাহ/১৮২৭)

৭. ফিতরা কাদের দেয়া যাবে না ?
@ ১. যাদেরকে যাকাত দেয়া বৈধ নয় ২. কোনো ধনী ব্যক্তিকে ৩. ইসলামের দুশমনকে ৪. কাফিরকে ৫. মুরতাদকে ৬. ফাসিককে ৭. ব্যাভিচারী বা ব্যাভিচারিনীকে ৮. রোজগার করার ক্ষমতা রাখে এমন ব্যক্তিকে ৯. জিম্মি ব্যক্তিকে ১০. নিজের স্বামীকে ১১. নিজের স্ত্রীকে ১২. নিজের পিতাকে এবং সন্তান সন্ততিকে ১৩. কুরাইশ বংশের হাশিম বংশধরদের ১৪. মসজিদ নির্মানে বা জনকল্যান মুলক কাজে ফিতরা দেয়া যাবে না ।

৮. ফিতরার মাল এক জায়গায় জমা করা যায় কি না ?
@ ইবনু উমার (রা) হতে বর্নিত, ইদুল ফিতরের একদিন কিংবা দু দিন পুর্বে আদায়কারী বা একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তির নিকট তা জমা দিতেন । তিনি আরও বলেন, সাহাবীরা ঐ ব্যক্তির নিকট জমা দিতেন, সরাসরি ফকির মিশকীনদের দিতেন না । (বুখারি/২০৫ পৃষ্টা; আবু দাউদ ১ম খন্ড ২২৭ পৃষ্ঠা) সুতরাং ফিতরার দ্রব্য কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে বন্টনের জন্য জমা করা যেতেই পারে ।
 

শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০১৪

যাকাত আদায়যোগ্য সম্পদ ,যাকাত ফরয হওয়ার জন্য শর্ত নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বলতে যা বুঝায়

যাকাত আদায়যোগ্য সম্পদ ,যাকাত ফরয হওয়ার জন্য শর্ত

 

যাদের উপর যাকাত ফরজ

 সামর্থবান লোকর উপর যাকাত ফরজ।

 তবে যাকাত ফরয হওয়ার জন্য কতগুলো শর্ত রয়েছে। যথা
ক. মুসলমান হওয়া।
খ. সুস্থ জ্ঞান সম্পন্ন হওয়া।
গ. বালেগ তথা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া, নাবালেগ না হওয়া।
ঘ. নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া। নেসাবের পরিমাণ হলো-নিত্য দিনের প্রয়োজন পূরণ এবং নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বাদ দেয়ার পর সাড়ে বায়ান্ন তোলা পরিমাণ তথা ৬১২.৩৬ গ্রাম পরিমাণ রূপা অথবা সাড়ে সাত তোলা পরিমাণ বা ৮৭.৪৮ গ্রাম পরিমাণ স্বর্ণ থাকা অথবা এর সমমূল্যের ব্যবসার মালের মালিক হওয়া।
ঙ. নিসাব পরিমাণ সম্পদ পূর্ণ এক বছর মালিকানায় থাকা। যদি পূর্ণ এক বছর না হয় তাহলে যাকাত আদায় করা ওয়াজিব হবে না। হুজুর (সা) ইরশাদ করেছেন কোন সম্পদের যাকাত বছর অতিবাহিত হওয়া ব্যতিত ওয়াজিব হবে না। (হিদায়া ১/১৮৫)
চ. নিসাবের মালিক ব্যক্তি ঋণগ্রস্থ না হওয়া।

 


=======================
নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বলতে যা যা বুঝায়
=======================
 মৌলিক প্রয়াজনের তথা জীবন ধারণের জন্য যে সব বস্তু ও উপকরণ আবশ্যক, তার অতিরিক্ত সম্পদ কারো নিকট থাকলে যাকাত ওয়াজিব হয়। আর এ সব নিত্য প্রয়োজনীয় বস্তুসমূহে যাকাত আসে না। যেমন- বাসস্থান, প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড়, ঘরোয়া আসবাবপত্র, আরোহনের যানবাহন, গাড়ী-মটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, ফ্রিজ-ইস্ত্রী, ব্যবহৃত জিনিসপত্র ও যন্ত্রপাতি ইত্যাদির যাকাত আসে না। তদ্রুপ খাদ্যদ্রব্য, সাজ-সজ্জা ও বিলাসিতার জন্য গ্রহণকৃত বস্তুসমূহেও যাকাত আসে না। হীরা-জহরত, মণি-মাণিক্য, ইয়াক্বুত-যমরদ ইত্যাদি পাথর সমূহ যত মূল্যবানই হোক না কেন, কোন ব্যবসার উদ্দেশ্যে না হলে যাকাত ওয়াজিব হবে না।  এমনিভাবে ukil engeneyar  and আলেমদের কিতাবসমূহ বা ব্যক্তিগত অধ্যয়ণের জন্য ব্যবহৃত হয় এমন জিনিস এবং বিভিন্ন পেশার লোকদের পেশা সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতির উপর যাকাত ওয়াজিব নয়। এসব গুলোই মৌলিক প্রয়োজনের অন্তর্ভূক্ত। [ ফতওয়ায়ে আলমগীরি; উদ্র্ূ:৪/৭, ইলমূল ফিক্বহ: ৪/১৪] 
-=======================================

 

যাকাত আদায়যোগ্য সম্পদ

===============
 ১ স্বর্ণ: [যে কোন আকৃতিতে আপন মালিকানাস্বত্বে বিদ্যমান]

২ রূপা: [যে কোন আকৃতিতে আপন মালিকানাস্বত্বে বিদ্যমান]

নোট: স্বর্ণ-রূপার অলংকারের ক্ষেত্রে মূল স্বর্ণ-রূপার মূল্য ধর্তব্য হবে। মেকিং চার্জ বা অলংকার মূল্য ধর্তব্য নয়।
৩ নগদ, নগদায়নযোগ্য অর্থ ও প্রাপ্য ঋণ .যে কোন সূত্রে আপন মালিকানায় বিদ্যমান,
ক. নিজ হাতে বা ব্যক্তি বিশেষের নিকট গচ্ছিত মজুদ অর্থ।
খ. ভবিষ্যত পরিকল্পনা পূরণের (যেমন, হজ্জ, বিবাহ, গৃহ নির্মাণের) উদ্দেশ্যে জমাকৃত অর্থ।
গ. বৈদেশিক মুদ্রা rryal , youro,dolar  (দেশীয় মূল্যে তার মূল্যমান অর্থ   )
ঘ. ব্যাংক, সমবায় সমিতি বা অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে (চলতি, সঞ্চয়ী, দীর্ঘ মেয়াদী) যে কোন ধরনের জমাকৃত অর্থ ও তার বৈধ মুনাফা।

উল্লেখ্য, এ হিসাব চন্দ্রবর্ষের শেষে ব্যাংকের স্ট্যাটমেন্ট দেখে নির্ধারণ করতে হবে এবং ট্যাক্স ও সার্ভিস চার্জ কাটা গেলে তা হিসাব থেকে বাদ দিতে হবে।


 ঙ  ব্যাংক লকারে গচ্ছিত সম্পদের অর্থমূল্য
চ ফেরতযোগ্য বীমা পলিসিতে জমাকৃত প্রিমিয়াম
ছ যে কোন বন্ড, ডিবেঞ্চার ও ট্রেজারী বিল ইত্যাদির ক্রয়মূল্য
জ ঐচ্ছিক প্রভিডেন্ট ফান্ডের সমুদয় অর্থ .
ঝ কাউকে ঋণ হিসেবে প্রদত্ত অর্থ (যদি ঋণগ্রহীতা তা স্বীকার করে এবং প্রাপ্তির আশা থাকে)
ঞ  পাওনা বেতন [যদি প্রাপ্তির আশা থাকে]

ট বিক্রিত পণ্যের মূল্য, যা এখনও হস্তগত হয়নি বা বিল অফ এক্সচেঞ্জ প্রাপ্তির আশা থাকে]
ঠ যে কোন স্থাপনা ভাড়া নেয়ার সময় (জামানত হিসেবে) প্রদত্ত সিকিউরিটি মানি, এ্যাডভান্স মানি কিংবা ব্যাংক গ্যারান্টি মানি, যদি তা ফেরতযোগ্য হয়। [এমনকি গ্যারান্টি মেয়াদকালে তা উত্তোলন নিষিদ্ধ হলেও] উল্লেখ্য: শেষোক্ত চার প্রকার সম্পদের যাকাত তাৎক্ষনিক আদায় জরুরী নয়, বরং যখন নূন্যতম ১০.৫ তোলা (১২২.৪৭ গ্রাম) রূপার মূল্য পরিমাণ পাওয়া যাবে, তখন পূর্বের সব বছরের যাকাত আদায় করতে হবে। এ জন্য প্রত্যেক বছরই অন্যান্য সম্পদের সাথে এ গুলোর যাকাত আদায় করে নেয়া উত্তম।


 

৪ ব্যবসা পণ্যের মূল্য (যার নিম্নোক্ত অবস্থা হতে পারে)
ক বিক্রয়যোগ্য মজুদ পণ্য, উৎপাদিত পণ্য
খ পণ্য তৈরীর জন্য মজুদ কাঁচামাল
গ প্রক্রিয়াধীন পণ্য, প্যাকেটিং, প্যাকেজিং পণ্য
ঘ লাভে বিক্রির উদ্দেশ্যে ক্রয় করা যাবতীয় পণ্য (যেমন, জমি, প্লট, ফ্ল্যাট, ধান, গম, আলু ইত্যাদি
ঙ যৌথ কারবারে বিনিয়োগকৃত অর্থের নগদ অংশ, তা দ্বারা ক্রয়কৃত ব্যবসাপণ্য ও যাকাতযোগ্য লভ্যাংশ
[উল্লেখ্য, ব্যবসাপণ্যের ক্ষেত্রে সকল পণ্যের একত্র পাইকারী বিক্রয়মূল্য ধর্তব্য হবে। নিজ ক্রয়মূল্য বা খুচরা বিক্রয়মূল্য ধর্তব্য নয়।]

খ. বিয়োগকৃত সম্পদসমূহ

=============


 ১ মৌলিক প্রয়োজন (চিকিৎসা, ব্যয়নির্বাহ) পূরণে নেয়া ঋণ
২ প্রবৃদ্ধি বা ব্যবসার উদ্দেশ্যে নেয়া এমন ঋণ যা দ্বারা যাকাতযোগ্য সম্পদ (কাঁচামাল, ব্যবসাপণ্য) ক্রয় করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ডেভেলপমেন্ট বা উন্নয়নমূলক লোন, জমি, বিল্ডিং, মেশিনারিজ দ্রব্য ক্রয়ে নেয়া ঋণ বিয়োগ করা হবে না।
৩ ক্রয়কৃত পণ্যের অপরিশোধিত মূল্য, যা এ বছরই আদায় করতে হবে।
৪ দেনমোহর, যা চলতি বছর আদায়ের আশা আছে।
৫ বিভিন্ন স্থাপনা ভাড়া দেয়ার ক্ষেত্রে নেয়া ফেরতযোগ্য সিকিউরিটি বা এ্যাডভান্স মানি
৬ অধিনস্থদের অনাদায়ী বেতনÑভাতা
৭ অনাদায়ী ট্যাক্স, বাড়ী-দোকান ভাড়া, যাবতীয় সার্ভিস বিল
৮ অতীতের অনাদায়ী যাকাত (কেননা, তা পূর্ণই আদায় করতে হবে।
উল্লেখ্য, পূর্বে একাধিক বছরে যাকাত আদায় না করে থাকলে সে বছরগুলির আনুমানিক গড় স্থিতি বের করে ২.৫% যাকাত হিসেবে আদায় করে দিবে। সন্দেহ মুক্তির জন্য নীট হিসাব হতে কিছু বেশি দিবে এবং ভুল-ত্রুটি ও বিলম্বের জন্য ইস্তেগফার করবে।
৯ সুদ, অবৈধ মুনাফা, বন্ড-লটারী পুরস্কার ও হারাম পন্থায় অর্জিত সমুদয় অর্থ (এসব সম্পদ সম্পূর্ণই সওয়াবের নিয়ত ব্যতিরেকে দান করে দিতে হবে।

 

যাকাত আদায়যোগ্য সম্পদ ,যাকাত ফরয হওয়ার জন্য শর্ত

যাদের উপর যাকাত ফরজ

 সামর্থবান লোকর উপর যাকাত ফরজ।

 তবে যাকাত ফরয হওয়ার জন্য কতগুলো শর্ত রয়েছে। যথা
ক. মুসলমান হওয়া।
খ. সুস্থ জ্ঞান সম্পন্ন হওয়া।
গ. বালেগ তথা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া, নাবালেগ না হওয়া।
ঘ. নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া। নেসাবের পরিমাণ হলো-নিত্য দিনের প্রয়োজন পূরণ এবং নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বাদ দেয়ার পর সাড়ে বায়ান্ন তোলা পরিমাণ তথা ৬১২.৩৬ গ্রাম পরিমাণ রূপা অথবা সাড়ে সাত তোলা পরিমাণ বা ৮৭.৪৮ গ্রাম পরিমাণ স্বর্ণ থাকা অথবা এর সমমূল্যের ব্যবসার মালের মালিক হওয়া।
ঙ. নিসাব পরিমাণ সম্পদ পূর্ণ এক বছর মালিকানায় থাকা। যদি পূর্ণ এক বছর না হয় তাহলে যাকাত আদায় করা ওয়াজিব হবে না। হুজুর (সা) ইরশাদ করেছেন কোন সম্পদের যাকাত বছর অতিবাহিত হওয়া ব্যতিত ওয়াজিব হবে না। (হিদায়া ১/১৮৫)
চ. নিসাবের মালিক ব্যক্তি ঋণগ্রস্থ না হওয়া।

 


=======================
নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বলতে যা যা বুঝায়
=======================
 মৌলিক প্রয়াজনের তথা জীবন ধারণের জন্য যে সব বস্তু ও উপকরণ আবশ্যক, তার অতিরিক্ত সম্পদ কারো নিকট থাকলে যাকাত ওয়াজিব হয়। আর এ সব নিত্য প্রয়োজনীয় বস্তুসমূহে যাকাত আসে না। যেমন- বাসস্থান, প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড়, ঘরোয়া আসবাবপত্র, আরোহনের যানবাহন, গাড়ী-মটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, ফ্রিজ-ইস্ত্রী, ব্যবহৃত জিনিসপত্র ও যন্ত্রপাতি ইত্যাদির যাকাত আসে না। তদ্রুপ খাদ্যদ্রব্য, সাজ-সজ্জা ও বিলাসিতার জন্য গ্রহণকৃত বস্তুসমূহেও যাকাত আসে না। হীরা-জহরত, মণি-মাণিক্য, ইয়াক্বুত-যমরদ ইত্যাদি পাথর সমূহ যত মূল্যবানই হোক না কেন, কোন ব্যবসার উদ্দেশ্যে না হলে যাকাত ওয়াজিব হবে না।  এমনিভাবে ukil engeneyar  and আলেমদের কিতাবসমূহ বা ব্যক্তিগত অধ্যয়ণের জন্য ব্যবহৃত হয় এমন জিনিস এবং বিভিন্ন পেশার লোকদের পেশা সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতির উপর যাকাত ওয়াজিব নয়। এসব গুলোই মৌলিক প্রয়োজনের অন্তর্ভূক্ত। [ ফতওয়ায়ে আলমগীরি; উদ্র্ূ:৪/৭, ইলমূল ফিক্বহ: ৪/১৪] 
-=======================================

 

যাকাত আদায়যোগ্য সম্পদ

===============
 ১ স্বর্ণ: [যে কোন আকৃতিতে আপন মালিকানাস্বত্বে বিদ্যমান]

২ রূপা: [যে কোন আকৃতিতে আপন মালিকানাস্বত্বে বিদ্যমান]

নোট: স্বর্ণ-রূপার অলংকারের ক্ষেত্রে মূল স্বর্ণ-রূপার মূল্য ধর্তব্য হবে। মেকিং চার্জ বা অলংকার মূল্য ধর্তব্য নয়।
৩ নগদ, নগদায়নযোগ্য অর্থ ও প্রাপ্য ঋণ .যে কোন সূত্রে আপন মালিকানায় বিদ্যমান,
ক. নিজ হাতে বা ব্যক্তি বিশেষের নিকট গচ্ছিত মজুদ অর্থ।
খ. ভবিষ্যত পরিকল্পনা পূরণের (যেমন, হজ্জ, বিবাহ, গৃহ নির্মাণের) উদ্দেশ্যে জমাকৃত অর্থ।
গ. বৈদেশিক মুদ্রা rryal , youro,dolar  (দেশীয় মূল্যে তার মূল্যমান অর্থ   )
ঘ. ব্যাংক, সমবায় সমিতি বা অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে (চলতি, সঞ্চয়ী, দীর্ঘ মেয়াদী) যে কোন ধরনের জমাকৃত অর্থ ও তার বৈধ মুনাফা।

উল্লেখ্য, এ হিসাব চন্দ্রবর্ষের শেষে ব্যাংকের স্ট্যাটমেন্ট দেখে নির্ধারণ করতে হবে এবং ট্যাক্স ও সার্ভিস চার্জ কাটা গেলে তা হিসাব থেকে বাদ দিতে হবে।


 ঙ  ব্যাংক লকারে গচ্ছিত সম্পদের অর্থমূল্য
চ ফেরতযোগ্য বীমা পলিসিতে জমাকৃত প্রিমিয়াম
ছ যে কোন বন্ড, ডিবেঞ্চার ও ট্রেজারী বিল ইত্যাদির ক্রয়মূল্য
জ ঐচ্ছিক প্রভিডেন্ট ফান্ডের সমুদয় অর্থ .
ঝ কাউকে ঋণ হিসেবে প্রদত্ত অর্থ (যদি ঋণগ্রহীতা তা স্বীকার করে এবং প্রাপ্তির আশা থাকে)
ঞ  পাওনা বেতন [যদি প্রাপ্তির আশা থাকে]

ট বিক্রিত পণ্যের মূল্য, যা এখনও হস্তগত হয়নি বা বিল অফ এক্সচেঞ্জ প্রাপ্তির আশা থাকে]
ঠ যে কোন স্থাপনা ভাড়া নেয়ার সময় (জামানত হিসেবে) প্রদত্ত সিকিউরিটি মানি, এ্যাডভান্স মানি কিংবা ব্যাংক গ্যারান্টি মানি, যদি তা ফেরতযোগ্য হয়। [এমনকি গ্যারান্টি মেয়াদকালে তা উত্তোলন নিষিদ্ধ হলেও] উল্লেখ্য: শেষোক্ত চার প্রকার সম্পদের যাকাত তাৎক্ষনিক আদায় জরুরী নয়, বরং যখন নূন্যতম ১০.৫ তোলা (১২২.৪৭ গ্রাম) রূপার মূল্য পরিমাণ পাওয়া যাবে, তখন পূর্বের সব বছরের যাকাত আদায় করতে হবে। এ জন্য প্রত্যেক বছরই অন্যান্য সম্পদের সাথে এ গুলোর যাকাত আদায় করে নেয়া উত্তম।


 

৪ ব্যবসা পণ্যের মূল্য (যার নিম্নোক্ত অবস্থা হতে পারে)
ক বিক্রয়যোগ্য মজুদ পণ্য, উৎপাদিত পণ্য
খ পণ্য তৈরীর জন্য মজুদ কাঁচামাল
গ প্রক্রিয়াধীন পণ্য, প্যাকেটিং, প্যাকেজিং পণ্য
ঘ লাভে বিক্রির উদ্দেশ্যে ক্রয় করা যাবতীয় পণ্য (যেমন, জমি, প্লট, ফ্ল্যাট, ধান, গম, আলু ইত্যাদি
ঙ যৌথ কারবারে বিনিয়োগকৃত অর্থের নগদ অংশ, তা দ্বারা ক্রয়কৃত ব্যবসাপণ্য ও যাকাতযোগ্য লভ্যাংশ
[উল্লেখ্য, ব্যবসাপণ্যের ক্ষেত্রে সকল পণ্যের একত্র পাইকারী বিক্রয়মূল্য ধর্তব্য হবে। নিজ ক্রয়মূল্য বা খুচরা বিক্রয়মূল্য ধর্তব্য নয়।]

খ. বিয়োগকৃত সম্পদসমূহ

=============


 ১ মৌলিক প্রয়োজন (চিকিৎসা, ব্যয়নির্বাহ) পূরণে নেয়া ঋণ
২ প্রবৃদ্ধি বা ব্যবসার উদ্দেশ্যে নেয়া এমন ঋণ যা দ্বারা যাকাতযোগ্য সম্পদ (কাঁচামাল, ব্যবসাপণ্য) ক্রয় করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ডেভেলপমেন্ট বা উন্নয়নমূলক লোন, জমি, বিল্ডিং, মেশিনারিজ দ্রব্য ক্রয়ে নেয়া ঋণ বিয়োগ করা হবে না।
৩ ক্রয়কৃত পণ্যের অপরিশোধিত মূল্য, যা এ বছরই আদায় করতে হবে।
৪ দেনমোহর, যা চলতি বছর আদায়ের আশা আছে।
৫ বিভিন্ন স্থাপনা ভাড়া দেয়ার ক্ষেত্রে নেয়া ফেরতযোগ্য সিকিউরিটি বা এ্যাডভান্স মানি
৬ অধিনস্থদের অনাদায়ী বেতনÑভাতা
৭ অনাদায়ী ট্যাক্স, বাড়ী-দোকান ভাড়া, যাবতীয় সার্ভিস বিল
৮ অতীতের অনাদায়ী যাকাত (কেননা, তা পূর্ণই আদায় করতে হবে।
উল্লেখ্য, পূর্বে একাধিক বছরে যাকাত আদায় না করে থাকলে সে বছরগুলির আনুমানিক গড় স্থিতি বের করে ২.৫% যাকাত হিসেবে আদায় করে দিবে। সন্দেহ মুক্তির জন্য নীট হিসাব হতে কিছু বেশি দিবে এবং ভুল-ত্রুটি ও বিলম্বের জন্য ইস্তেগফার করবে।
৯ সুদ, অবৈধ মুনাফা, বন্ড-লটারী পুরস্কার ও হারাম পন্থায় অর্জিত সমুদয় অর্থ (এসব সম্পদ সম্পূর্ণই সওয়াবের নিয়ত ব্যতিরেকে দান করে দিতে হবে।

  note ======================

http://351224351224.blogspot.com/2014/07/blog-post.html

 

মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০১৪

যাকাত আদায়যোগ্য সম্পদ পরিমাণ / মূল্য

 যাকাত আদায়যোগ্য সম্পদ পরিমাণ / মূল্য

====================
 ১ স্বর্ণ: [যে কোন আকৃতিতে আপন মালিকানাস্বত্বে বিদ্যমান]

২ রূপা: [যে কোন আকৃতিতে আপন মালিকানাস্বত্বে বিদ্যমান] নোট: স্বর্ণ-রূপার অলংকারের ক্ষেত্রে মূল স্বর্ণ-রূপার মূল্য ধর্তব্য হবে। মেকিং চার্জ বা অলংকার মূল্য ধর্তব্য নয়।
৩ নগদ, নগদায়নযোগ্য অর্থ ও প্রাপ্য ঋণ
(যে কোন সূত্রে আপন মালিকানায় বিদ্যমান, যার নিম্নোক্ত অবস্থা হতে পারে।
ক. নিজ হাতে বা ব্যক্তি বিশেষের নিকট গচ্ছিত মজুদ অর্থ।
খ. ভবিষ্যত পরিকল্পনা পূরণের (যেমন, হজ্জ, বিবাহ, গৃহ নির্মাণের) উদ্দেশ্যে জমাকৃত অর্থ।
গ. বৈদেশিক মুদ্রা (দেশীয় মূল্যে তার মূল্যমান)
ঘ. ব্যাংক, সমবায় সমিতি বা অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে (চলতি, সঞ্চয়ী, দীর্ঘ মেয়াদী) যে কোন ধরনের জমাকৃত অর্থ ও তার বৈধ মুনাফা।


 উল্লেখ্য, এ হিসাব চন্দ্রবর্ষের শেষে ব্যাংকের স্ট্যাটমেন্ট দেখে নির্ধারণ করতে হবে এবং ট্যাক্স ও সার্ভিস চার্জ কাটা গেলে তা হিসাব থেকে বাদ দিতে হবে।


 ঙ

ব্যাংক লকারে গচ্ছিত সম্পদের অর্থমূল্য
চ ফেরতযোগ্য বীমা পলিসিতে জমাকৃত প্রিমিয়াম
ছ যে কোন বন্ড, ডিবেঞ্চার ও ট্রেজারী বিল ইত্যাদির ক্রয়মূল্য
জ ঐচ্ছিক প্রভিডেন্ট ফান্ডের সমুদয় অর্থ এবং বাধ্যতামূলক প্রভিডেন্ট ফান্ডের স্বেচ্ছাপ্রদত্ত অতিরিক্ত অংশ
ঝ কাউকে ঋণ হিসেবে প্রদত্ত অর্থ (যদি ঋণগ্রহীতা তা স্বীকার করে এবং প্রাপ্তির আশা থাকে)
ঞ পাওনা বেতন [যদি প্রাপ্তির আশা থাকে] ট বিক্রিত পণ্যের মূল্য, যা এখনও হস্তগত হয়নি বা বিল অফ এক্সচেঞ্জ
ঠ যে কোন স্থাপনা ভাড়া নেয়ার সময় (জামানত হিসেবে) প্রদত্ত সিকিউরিটি মানি, এ্যাডভান্স মানি কিংবা ব্যাংক গ্যারান্টি মানি, যদি তা ফেরতযোগ্য হয়। [এমনকি গ্যারান্টি মেয়াদকালে তা উত্তোলন নিষিদ্ধ হলেও] উল্লেখ্য: শেষোক্ত চার প্রকার সম্পদের যাকাত তাৎক্ষনিক আদায় জরুরী নয়, বরং যখন নূন্যতম ১০.৫ তোলা (১২২.৪৭ গ্রাম) রূপার মূল্য পরিমাণ পাওয়া যাবে, তখন পূর্বের সব বছরের যাকাত আদায় করতে হবে। এ জন্য প্রত্যেক বছরই অন্যান্য সম্পদের সাথে এ গুলোর যাকাত আদায় করে নেয়া উত্তম।


৪ ব্যবসা পণ্যের মূল্য (যার নিম্নোক্ত অবস্থা হতে পারে)
ক বিক্রয়যোগ্য মজুদ পণ্য, উৎপাদিত পণ্য
খ পণ্য তৈরীর জন্য মজুদ কাঁচামাল
গ প্রক্রিয়াধীন পণ্য, প্যাকেটিং, প্যাকেজিং পণ্য
ঘ লাভে বিক্রির উদ্দেশ্যে ক্রয় করা যাবতীয় পণ্য (যেমন, জমি, প্লট, ফ্ল্যাট, ধান, গম, আলু ইত্যাদি
ঙ যৌথ কারবারে বিনিয়োগকৃত অর্থের নগদ অংশ, তা দ্বারা ক্রয়কৃত ব্যবসাপণ্য ও যাকাতযোগ্য লভ্যাংশ
[উল্লেখ্য, ব্যবসাপণ্যের ক্ষেত্রে সকল পণ্যের একত্র পাইকারী বিক্রয়মূল্য ধর্তব্য হবে। নিজ ক্রয়মূল্য বা খুচরা বিক্রয়মূল্য ধর্তব্য নয়।] চ ক্রয়কৃত শেয়ার মূল্য
[শেয়ার যদি মূল্য বৃদ্ধি পেলে বিক্রি করার উদ্দেশ্য ক্রয় করে তাহলে পূর্ণ বাজারদরের উপর যাকাত আসবে।

 আর যদি কোম্পানী হতে বাৎসরিক মুনাফা অর্জনের নিমিত্তে ক্রয় করা হয় তাহলে কোম্পানীর যে পরিমাণ সম্পদ যাকাতযোগ্য, শেয়ার প্রতি তার আনুপাতিক হারের উপর যাকাত আসবে, যা কোম্পানীর ব্যালেন্সশীট দেখে নির্ণয় করা যাবে। যদি যাকাতযোগ্য সম্পদের পরিমাণ জানা অসম্ভব হয় তাহলে সতর্কতামূলক পূর্ণ বাজারমূল্যের যাকাত দিতে হবে।]

খ. বিয়োগকৃত সম্পদসমূহ
১ মৌলিক প্রয়োজন (চিকিৎসা, ব্যয়নির্বাহ) পূরণে নেয়া ঋণ
২ প্রবৃদ্ধি বা ব্যবসার উদ্দেশ্যে নেয়া এমন ঋণ যা দ্বারা যাকাতযোগ্য সম্পদ (কাঁচামাল, ব্যবসাপণ্য) ক্রয় করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ডেভেলপমেন্ট বা উন্নয়নমূলক লোন, জমি, বিল্ডিং, মেশিনারিজ দ্রব্য ক্রয়ে নেয়া ঋণ বিয়োগ করা হবে না।
৩ ক্রয়কৃত পণ্যের অপরিশোধিত মূল্য, যা এ বছরই আদায় করতে হবে।
৪ দেনমোহর, যা চলতি বছর আদায়ের আশা আছে।
৫ বিভিন্ন স্থাপনা ভাড়া দেয়ার ক্ষেত্রে নেয়া ফেরতযোগ্য সিকিউরিটি বা এ্যাডভান্স মানি
৬ অধিনস্থদের অনাদায়ী বেতনÑভাতা
৭ অনাদায়ী ট্যাক্স, বাড়ী-দোকান ভাড়া, যাবতীয় সার্ভিস বিল
৮ অতীতের অনাদায়ী যাকাত (কেননা, তা পূর্ণই আদায় করতে হবে।
উল্লেখ্য, পূর্বে একাধিক বছরে যাকাত আদায় না করে থাকলে সে বছরগুলির আনুমানিক গড় স্থিতি বের করে ২.৫% যাকাত হিসেবে আদায় করে দিবে। সন্দেহ মুক্তির জন্য নীট হিসাব হতে কিছু বেশি দিবে এবং ভুল-ত্রুটি ও বিলম্বের জন্য ইস্তেগফার করবে।
৯ সুদ, অবৈধ মুনাফা, বন্ড-লটারী পুরস্কার ও হারাম পন্থায় অর্জিত সমুদয় অর্থ (এসব সম্পদ সম্পূর্ণই সওয়াবের নিয়ত ব্যতিরেকে দান করে দিতে হবে।



http://351224351224.blogspot.com/2014/07/blog-post_8.html
 

যাকাতের পরিচয় , যাকাত এর সূচনা .নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বলতে যা যা বুঝায়


যাকাতের পরিচয়
===========

‘যাকাত’ শব্দটি ‘তাযকিয়াতুন’ ধাতু থেকে নির্গত, অর্থ- পবিত্র করা, বৃদ্ধি করা, বিশুদ্ধ করা, ক্রমবৃদ্ধি ও আধিক্য ইত্যাদি। যাকাতের কারণে যেহেতু যাকাত দাতার মনে ও সম্পদে পবিত্রতা অর্জিত হয় এবং সম্পদ বরকতযুক্ত হয় এজন্য যাকাতকে যাকাত নামে অভিহিত করা হয়।
ইসলামের পরিভাষায় নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক মুসলমান প্রতি বছর তাঁর সম্পদের যে নির্ধারিত অংশ শরিয়তের নির্দেশ মুতাবিক গরীবদের মধ্যে ব্যয় করতে বাধ্য, তাকে যাকাত বলে।

 যাকাত এর সূচনা

 দ্বীন ইসলামের সূচনা হযরত আদম আ. থেকে। দ্বীন সব সময় এক ও অভিন্ন। কিন্তু বিভিন্ন নবী ও রাসূলের যুগে শরীয়ত ভিন্ন ভিন্ন ছিল। এতদসত্ত্বেও নামাজ ও যাকাত সকল নবী ও রাসূলের যুগেই চিরন্তন শরঈ বিধান হিসেবে কার্যকর ছিল। তাওরাত, যাŸুর, ইঞ্জিল প্রভৃতি সকল আসমানী কিতাবেই যাকাতের কথা বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “এ কিতাবে ইসমাঈলের কথা স্মরণ করো, সে সত্যিকার প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারী রাসূল ও নবী ছিল। সে তাঁর পরিবারের লোকদেরকে নামাজ ও যাকাতের নির্দেশ দিত এবং তার প্রতিপালকের সন্তোষভাজন ছিল।” (সূরা মারয়াম: ১৯/৫৪-৫৫) অন্যত্র এসেছে, “যদি তারা তওবা করে, নামাজ কায়েম করে আর যাকাত আদায় করে, তবে তারা তোমাদের দ্বীনী ভাই। (সূরা তওবা,৯/১১) উল্লেখিত আয়াতদ্বয় প্রমাণ বহন করে যাকাত পূর্ববর্তী নবিদের শরিয়তেও বিদ্যমান ছিল। আমাদের শরিয়তে হিজরি দ্বিতীয় সনে রোযা ফরয হওয়ার পূর্বে যাকাত ফরয হয়েছে। (শরহে নুক্বায়াহ ঃ ১/১৪৫)

 যাদের উপর যাকাত ফরজ

 সামর্থবান লোকর উপর যাকাত ফরজ। তবে যাকাত ফরয হওয়ার জন্য কতগুলো শর্ত রয়েছে। যথাÑ
ক. মুসলমান হওয়া।
খ. সুস্থ জ্ঞান সম্পন্ন হওয়া।
গ. বালেগ তথা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া, নাবালেগ না হওয়া।
ঘ. নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া। নেসাবের পরিমাণ হলো-নিত্য দিনের প্রয়োজন পূরণ এবং নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বাদ দেয়ার পর সাড়ে বায়ান্ন তোলা পরিমাণ তথা ৬১২.৩৬ গ্রাম পরিমাণ রূপা অথবা সাড়ে সাত তোলা পরিমাণ বা ৮৭.৪৮ গ্রাম পরিমাণ স্বর্ণ থাকা অথবা এর সমমূল্যের ব্যবসার মালের মালিক হওয়া।
ঙ. নিসাব পরিমাণ সম্পদ পূর্ণ এক বছর মালিকানায় থাকা। যদি পূর্ণ এক বছর না হয় তাহলে যাকাত আদায় করা ওয়াজিব হবে না। হুজুর (সা) ইরশাদ করেছেন কোন সম্পদের যাকাত বছর অতিবাহিত হওয়া ব্যতিত ওয়াজিব হবে না। (হিদায়া ১/১৮৫)
চ. নিসাবের মালিক ব্যক্তি ঋণগ্রস্থ না হওয়া।


নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বলতে যা যা বুঝায়
=======================
 মৌলিক প্রয়াজনের তথা জীবন ধারণের জন্য যে সব বস্তু ও উপকরণ আবশ্যক, তার অতিরিক্ত সম্পদ কারো নিকট থাকলে যাকাত ওয়াজিব হয়। আর এ সব নিত্য প্রয়োজনীয় বস্তুসমূহে যাকাত আসে না। যেমন- বাসস্থান, প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড়, ঘরোয়া আসবাবপত্র, আরোহনের যানবাহন, গাড়ী-মটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, ফ্রিজ-ইস্ত্রী, ব্যবহৃত জিনিসপত্র ও যন্ত্রপাতি ইত্যাদির যাকাত আসে না। তদ্রুপ খাদ্যদ্রব্য, সাজ-সজ্জা ও বিলাসিতার জন্য গ্রহণকৃত বস্তুসমূহেও যাকাত আসে না। হীরা-জহরত, মণি-মাণিক্য, ইয়াক্বুত-যমরদ ইত্যাদি পাথর সমূহ যত মূল্যবানই হোক না কেন, কোন ব্যবসার উদ্দেশ্যে না হলে যাকাত ওয়াজিব হবে না। প্রয়োজনীয় ব্যয়ের উদ্দেশ্যে কিছু মুদ্রা ক্রয় করলে তাতে যাকাত ওয়াজিব হবে না। এমনিভাবে আলেমদের কিতাবসমূহ বা ব্যক্তিগত অধ্যয়ণের জন্য ব্যবহৃত হয় এমন জিনিস এবং বিভিন্ন পেশার লোকদের পেশা সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতির উপর যাকাত ওয়াজিব নয়। এসব গুলোই মৌলিক প্রয়োজনের অন্তর্ভূক্ত। [ ফতওয়ায়ে আলমগীরি; উদ্র্ূ:৪/৭, ইলমূল ফিক্বহ: ৪/১৪] 

 

যাকাতের কতিপয় আধুনিক মাসআলা

যাকাতের কতিপয় আধুনিক মাসআলা
১. মিল-কারখানা ঃ
মিল-কারখানা ইত্যাদির যন্ত্রপাতির উপর যাকাত ফরয নয়। তবে মিল-কারখানা থেকে উৎপাদিত পণ্যের উপর যাকাত ফরয। আসবাব-পত্র ইত্যাদি তৈরির উদ্দেশ্যে যে সব কাঁচামাল কারখানায় রাখা হয়। তার উপর যাকাত ফরয। [ফাতওয়ায়ে শামী: ২/৬৫৫]

২. এ্যাডভান্স/আগাম প্রদানকৃত টাকা ঃ

এ্যাডভান্স/আগাম প্রদানকৃত টাকা যেহেতু অগ্রিম ভাড়ার অন্তর্ভুক্ত এবং উক্ত টাকা প্রদানকারীর মালিকানা তার উপর রয়েছে তাই তাকেই তার যাকাত আদায় করতে হবে। তবে শর্ত হল নিসাব পরিমাণ হতে হবে।

 ৩. প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকার যাকাত ঃ


প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা যা এখনো উত্তোলন করা হয়নি, তার উপর যাকাত ফরয নয়; কিন্তু চাকুরি শেষ হওয়ার পর যখন প্রভিডেন্ট ফা-ের টাকা হস্তগত হবে, তখন সে টাকা নেসাব পরিমাণ হলে যাকাত আদায় করা ফরয। হস্তগত হওয়ার পূর্বে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকার যাকাত আদায় করা ফরয নয়। [কিফায়াতুল মুফতি ঃ ৪]

৪. শেয়ারের যাকাতের বিধান ঃ

শেয়ারের বিভিন্ন অবস্থা হতে পারে। অবস্থাভেদে হুকুম পরিবর্তন হবে। যেমন, যদি কেউ শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করে, তাহলে পূর্ণ শেয়ারের মূল্যের উপর যাকাত দিতে হবে। কেননা, তখন তা ব্যবসায়ী পণ্য বলে গণ্য হবে। আর যদি মুনাফা ভোগের উদ্দেশ্যে কেউ কোম্পানির শেয়ার ক্রয় করে, তখন তাকে ব্যবসায়ী পণ্য হিসেবে গণ্য করা যায় না। [জাদিদ মায়িশাত ও তিজারাত]

শেয়ারের কোন মূল্যের ভিত্তিতে যাকাত দিবে। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ বিষয়ে সমাধান হলো, বর্তমান মূল্য হিসাবে যাকাত দিবে। অর্থাৎ একব্যক্তি কোন ব্যবসায়ী কোম্পানীর শেয়ার ক্রয় করে। যখন কোম্পানী শুরু হয় তখন প্রতি শেয়ারের মূল্য ছিল ৫০০/- আর যখন সে ক্রয় করে তখন তার মূল্য ছিলো ১০০০/- কিন্তু বর্তমানে প্রত্যেক শেয়ারের মূল্য ৫০০/- টাকায় দাড়ালো। এখন তার করণীয় হলো সে বর্তমান মূল্য অনুযায়ী ৫০০/- ধরে যাকাতের হিসাব করবে। [ফতওয়া দারুল উলূম:৬/১৪৬, রদ্দুল মুহতার: ২/৩০]

 ৫. হারাম মালের যাকাত বিধান ঃ

 অবৈধ পন্থায় উপার্জিত সম্পদকে হারাম মাল বলা হয়। যেমন জুয়া, লটারী, ইত্যাদি। হারাম মালের ক্ষেত্রে আসল বিধান হচ্ছে, যদি মালিকের নিকট উক্ত মাল পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়, তাহলে তার নিকট পৌছিয়ে দিবে। তার উপর যাকাত ওয়াজিব নয়। অন্যথায় সাওয়াবের নিয়ত না করে বরং হারাম সম্পদের কুফল ও শাস্তি হতে পরিত্রাণের নিয়্যতে সদকা করতে হবে। [জাদীদ ফেকহী মাসয়িল ঃ ৫০]


৬. হালাল ও হারাম মিশ্রিত সম্পদের উপর যাকাত ফরয।

দুররে মুখতার কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বাদশাহ যদি জোর পূর্বক উসূলকৃত সম্পদ নিজস্ব সম্পদের সাথে মিশ্রিত করে ফেলে তবে সে উক্ত সম্পদের মালিক হয়ে যাবে। অতএব, তার উপর যাকাত ফরয হবে। [আদদুররুল মুখতার ঃ ২/৯০]

৭. অন্যের নিকট পাওয়া টাকার যাকাত ঃ

 কাউকে টাকা কর্য দেয়া হয়েছে এবং গ্রহীতাও তা স্বীকার করে আদায়ের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। অথবা প্রদানকারী ব্যক্তির নিকট এমন প্রমাণাদী রয়েছে যদ্বারা আদালতের শরণাপন্ন হয়ে তা উসূল করা সম্ভব, এরূপ টাকা/সম্পদের যাকাত দেয়া ওয়াজিব। এ ধরনের না হলে পাওনা টাকা হস্তগত না হওয়া পর্যন্ত যাকাত ওয়াজিব নয়।

আদ্ দুররুল মুখতার শামী ঃ ২/২৬৭]

৮. ফেরতযোগ্য বীমার টাকা নিসাব পরিমাণ পৌছার পর ১ বছর অতিক্রান্ত হলে যাকাত দিতে হবে।

 ৯. বর্তমানে আমাদের দেশে ব্যবসার উদ্দেশ্যে হাঁস মুরগি ও গরু ইত্যাদির ফার্ম করে থাকে, তাতেও যাকাত ওয়াজিব হবে যদি নেসাব পরিমাণ হয়।


 ১০. শুধু স্বর্ণ বা রূপার যাকাত ঃ


কোন ব্যক্তি যদি সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মালিক হয়, চাই সে তা ব্যবহার করুক বা না করুক, ঋণমুক্ত অবস্থায় তার কাছে যদি এক বছর থাকে তাহলে এগুলোর যাকাত দেয়া ফরয।
যদি তার নিকট অন্য কোন সম্পদ না থাকে তাহলে উক্ত স্বর্ণ বা রূপার চল্লিশ ভাগের এক ভাগ কিংবা সমপরিমাণ মূল্য যাকাত হিসেবে আদায় করতে হবে।
প্রয়োজনে উক্ত স্বর্ণ বা রূপার কিছু অংশ বিক্রি করে হলেও যাকাত আদায় করা জরুরী। [আদদুররুল মুখতার: খ:২ পৃ: ২৯৫]

১১. টাকা ও স্বণ-রূপা মিলে নেসাব পরিমাণ হলে তার হুকুম ঃ

কারো যদি স্বর্ণ বা রূপার কোন গহনা থাকে কিন্তু নেসাব পরিমাণ না হয়, তাহলে দেখতে হবে উক্ত গহনার সাথে নগদ টাকা যা সারা বছর হাতে থাকে [চাই তা পাঁচ টাকা বা দশ টাকাই হোক না কেন] যোগ করলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার দামের সমান হয়, তাহলে তার উপর যাকাত আদায় করা জরুরী। [রদ্দুল মুহতার:খ:২ পৃ:২৯৬, ফতওয়া দারুল উলূম: খ:৬ 


http://islambikas.com/%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%a4-%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a7%8b-%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%87-%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%ac/#comment-261