টুডে ব্লগঃ ইসলাম জঙ্গীবাদরে ধর্ম নয় এবং জঙ্গীবাদকে সমর্থনও করে না, বিশ্বে সন্ত্রাসী হামলার ৯০ শতাংশই ঘটায় অমুসলিম সন্ত্রাসীরা।
“ইসলাম জঙ্গীবাদরে ধর্ম নয় এবং জঙ্গীবাদকে সমর্থনও করে না,বর্তমানে জঙ্গিবাদ এটা একটা আলাদা একটি ধর্ম-বা কালসার,যেমন বর্তমানে নাস্তিক্যবাদ একটি কালসার্ আজকে আমরা বিভিন্ন গবেষনায় জানতে পারি বিশ্বে যত গুলো সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে তন্মধ্যে 90% ই অমুসলিমরাই ঘটিয়েছে। কিন্তু আপসোস এর বিষয় হল আজকে মুসলিমদের হাতে মিডিয়ার কতৃত্ব না থাকার কারনে , এ সত্যটা প্রকাশ পাচ্ছেনা বরং উল্টো মুসলমানদের সন্ত্রাসী বানানো হচ্ছে ।এই জন্য আজকে মুসলিমদের জন্য অপরিহার্য কাজ , যেটা তাহল বস্তু নিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের জন্য মিডিয়া প্রতিষ্ঠা করতে হবে, মিডিয়ার নিয়ন্ত্রন নিতে হবে । নতুবা এ ঘানী আরও কতকাল সইতে হবে আল্লাহই ভাল জানেন ।
দেখুন নীচে আমি এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন সংযোজন করলাম ।
মুসলিম সন্ত্রাসী'- এই শব্দযুগল ব্যবহার করে কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই যে কাউকে অভিযুক্ত করতে নিয়মিতই নিজেদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম। কোথাও কালে ভদ্রে দুয়েকটি হামলা/সন্ত্রাসের ঘটনা কোনো বিপথগামী মুসলমানের দ্বারা হলেই আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে হায় হায় রব উঠে।
যদিও প্রকৃত তথ্য এবং পরিসংখ্যান বলে ভিন্ন কথা। ২০১৩ সালে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এর একটি রিপোর্ট থেকে জানা যায়, সেদেশের মাটিতে গড়ে যত সংখ্যক হামলা হয় তার ৯০ শতাংশই ঘটিয়ে থাকে অমুসলমি সন্ত্রাসীরা।
এফবিআইয়ের ওই প্রতিবেদনে দেখানো হয়, ১৯৮০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত মোট হামলার ৯০ শতাংশই ঘটায় অমুসলিম সন্ত্রাসীরা।
সবচেয়ে বেশি হামলার ঘটনা ঘটিয়ে থাকে ল্যাটিন আমেরিকান সন্ত্রাসীরা। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হার শতকরা ৪২ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা চরম বামপন্থী সন্ত্রাসীরা ২৪ শতাংশ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটায়। ৭ শতাংশ সন্ত্রাসী কার্যক্রমের জন্য দায়ী ইহুদীবাদী সন্ত্রাসীরা। মুসলিম নামধারী সন্ত্রাসীরা দায়ী মাত্র ৬ শতাংশ ঘটনার জন্য। কমিউনিস্ট ৫ শতাংশ এবং অন্যান্যরা ঘটিয়ে থাকে ১৬ শতাংশ সন্ত্রাসী ঘটনা। সূত্র: ওয়াশিংটন ব্লগ -http://amarbangladesh-online.com
আমার এ ব্লগে সকল দর্শকদের জানাই আন্তরীক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা . উক্ত ব্লগে শুধু মাত্র কুরআন হাদীসের আলোকে ইসলামী মূল্যবোধের উপর বিশদ আলোচনা করা হবে , দর্শকদের যে কোন যূক্তি ও গঠন মূলক মনতব্য সাদরে গ্রহন করা হবে , ধন্যবাদন্তে--======================== এম,এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া
মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
৪ মাযহাবের কুদরতী সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তায়ালাই
মাযহাব কে সৃষ্টি করেছেন? =
==========================
আমরা বলবো যে মাযহাব সৃষ্টিকারী আল্লাহ তায়ালাই, কারণ আল্লাহ তায়ালা কুদরতী ভাবেই এমাযহাব সৃষ্টি করেছেন।তবে একটু খোলাসা করে বললে বিষয়টা বুঝতে সহজ হবে।
যেমন মানুষ মূলত ২টি জিনিষের সমষ্টির নাম, দেহ এবং রূহ,আর রূহ বিহীন দেহকে লাশ বলা হয়। আর এই দেহ বা শরীরের রক্ষনা-বেক্ষণ হয় খাদ্য ও পানীয় দ্বারা, সেই হিসাবে বাংলাদেশীদের প্রধান খাদ্য ভাত-মাছ তরিতরকারী আরবদের প্রধান খাদ্য খেজুর,আর পাকিস্তানীদের গোস্ত-রুটি ,ইউরোপিয়ানদের প্রধান খাদ্য আলু।এখন কোন বাংলাদেশী যদি আরবদের মত খেজুর বা পাকিস্তানীদের মত গোস্ত-রুটি খাওয়া আরম্ভ করে,বা কোন আরবী বাংলাদেশীদের মত ভাত-মাছ-তরিতরকারী ইত্যাদী খাওয়া আরম্ভ করেদে তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে তার পেট খারাপ হয়ে অসুস্হ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ প্রত্যেক এলাকার আবহাওয়া আর পরিবেশের কারণে খাদ্যের মধ্যে এমন তারতম্য হয়ে থাকে। সারা পৃথিবীতে এক এক এলাকার লোকদের জন্য এক এক প্রকারের খাদ্যের তারতম্য কে তৈরী করেছেন? নিশ্চয় বলবো আল্লাহ তায়ালাই এক এক এলাকার আবহাওয়া ও পরিবেশের কারণে কুদরতী ভাবে মানব দেহের হেফাজতের জন্য খাদ্যের এতারতম্য সৃষ্টি করেছেন।
তেমনি ভাবে মানব দেহের অপর অংশ "রূহ" আর এই রূহের গেজার জন্য মহান রাব্বুল আলামীন মাযহাব সৃষ্টি করেছেন পরিবেশের তারতম্য অনুসারে।তাকেমন করে একটু চিন্তা করলেই আমাদের বুঝতে কারো কষ্ট হবেনা।যেমন ইমামে দারুল হিজরাত ইমাম মালেক রঃ,তাঁর জন্ম মৃত্যু এলেম অর্জন প্রচার-প্রসার সব কিছুই মদীনা-মনোয়য়ারাহ হওয়া সত্বেও তাঁর মাযহাব বা মতাদর্শ মদীনায় প্রতিষ্ঠিত হয়নি,বরং তিউনিশিয়া ,স্পেইন সহ পশ্চিমা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কেউ সেখানে টেনে নেননি ঠেলেও দেননি বরং আল্লাহর কুদরতই সেখানে টেনে নিয়ে গেছেন ।
ঈমাম শাফেয়ী আলকোরায়শি রাহঃ জন্ম হেজাজে মোকাদ্দাসায় জ্ঞান অর্জনসহ প্রচার প্রসার মক্কায় হওয়া সত্বেও তার মাযহাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আফ্রিকার দেশ গূলোতে। সেখানে কে টেনে নিয়ে গেলেন?আবশ্যই আল্লাহর কুদরত।
ঈমাম আহমদ বিন হাম্বল তিনি তাঁর জ্ঞানচর্চা ও এর প্রচার-প্রসার ইরাকের কুফায় হওয়া সত্বেও সেখানে তাঁর মাযহাব প্রতিষ্ঠিত হয়নি বরং আল্লাহ তায়ালা কুদরতীভাবে টেনে নিয়ে গেলেন মক্কা-মদীনাহ সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলোতে সেখানে কেউ টেনেও নেননি ঠেলও দেননি বরং মহান আল্লাহর কুদরতের ইচ্ছায় সেই এলাকার মানুষের রুহানী খোরাক আহমদ বিন হাম্বলের মছলক বা মাযহাব দ্বারায় দিয়েছেন।
তেমনি ভাবে ইমাম আবু হানিফা রাহঃ ইরাকের কুফায় মৃত্যু পর্যন্ত সেখানে জ্ঞানচর্চা, গবেষনা,ও বিতরণ সহ সব কিছুই কুফাতে হওয়া সত্বেও আল্লাহর কুদরতে তাঁর মতবাদ বা মাযহাব টেনে নিয়ে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্ত তথা দক্ষিন এশিয়ার দেশ গুলোতে প্রতিষ্ঠিত করলেন অর্থাৎ ইসলাম প্রচারের পর থেকে উক্ত এলাকাগুলোতে বসবাসরত ইসলামী দার্শনীক মুজতাহীদ ওলামাগন ইমামে আজম আবু হানিফা রাঃ এর গবেষনাধর্মী ফরয়য়ী মাছায়েল গুলোকে কোরআন সুন্নাহর আলোকে হক্ব হিসাবে মেনে নিয়েছেন।এরং হাজার বছর থেকে এর উপর সমস্ত উম্মতের আমলও জারী রয়েছ।তেমনি ভাবে অন্যান্য ইমাম ও মাযহাবের বেলায়ও।তবে একটা কথা সকলেরই জানা দরকার চার ইমামের সকলেই ফরয়য়ী মাছালায় ভিন্নতা হলেও কিন্তু উসূলী মাছয়ালায় সকলেই ঐক্যমত পোষন করেছেন।এটা সকলেই জানেন।
আসলে আবস্হা দৃষ্টেমনে হয় যা অনেক ওলামাগন মনে করেন যে, (সাধারণ ছোটখাটো তথা ফরয়য়ী মাছায়েলের ভিন্নতা কিন্তু এজতেহাদের কারণেই হয়ে থাকে,যদি মোজতাহিদের এজতেহাদ ছহীহ হয় তাহলে দ্বীগুন ছাওয়াব অন্যথায় একটি ছাওয়াব যা হাদীস দ্বারা প্রমানীত)আল্লাহ তায়ালার মনসা ছিল যে তাঁর প্রিয় হাবীবের করা প্রত্যেকটি আমল সারা পৃথিবীতে বাস্তবায়ন হউক।এখন এই চার মাযহাবের ভিন্নতার কারণে নবী সাঃ এর প্রত্যেকটি কাজ কোননা কোন প্রকারে পৃথিবীতে বাস্তবায়ন হচ্ছে। সুতরাং এই ৪ মাযহাবের কুদরতী সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তায়ালাই।
==========================
আমরা বলবো যে মাযহাব সৃষ্টিকারী আল্লাহ তায়ালাই, কারণ আল্লাহ তায়ালা কুদরতী ভাবেই এমাযহাব সৃষ্টি করেছেন।তবে একটু খোলাসা করে বললে বিষয়টা বুঝতে সহজ হবে।
যেমন মানুষ মূলত ২টি জিনিষের সমষ্টির নাম, দেহ এবং রূহ,আর রূহ বিহীন দেহকে লাশ বলা হয়। আর এই দেহ বা শরীরের রক্ষনা-বেক্ষণ হয় খাদ্য ও পানীয় দ্বারা, সেই হিসাবে বাংলাদেশীদের প্রধান খাদ্য ভাত-মাছ তরিতরকারী আরবদের প্রধান খাদ্য খেজুর,আর পাকিস্তানীদের গোস্ত-রুটি ,ইউরোপিয়ানদের প্রধান খাদ্য আলু।এখন কোন বাংলাদেশী যদি আরবদের মত খেজুর বা পাকিস্তানীদের মত গোস্ত-রুটি খাওয়া আরম্ভ করে,বা কোন আরবী বাংলাদেশীদের মত ভাত-মাছ-তরিতরকারী ইত্যাদী খাওয়া আরম্ভ করেদে তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে তার পেট খারাপ হয়ে অসুস্হ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ প্রত্যেক এলাকার আবহাওয়া আর পরিবেশের কারণে খাদ্যের মধ্যে এমন তারতম্য হয়ে থাকে। সারা পৃথিবীতে এক এক এলাকার লোকদের জন্য এক এক প্রকারের খাদ্যের তারতম্য কে তৈরী করেছেন? নিশ্চয় বলবো আল্লাহ তায়ালাই এক এক এলাকার আবহাওয়া ও পরিবেশের কারণে কুদরতী ভাবে মানব দেহের হেফাজতের জন্য খাদ্যের এতারতম্য সৃষ্টি করেছেন।
তেমনি ভাবে মানব দেহের অপর অংশ "রূহ" আর এই রূহের গেজার জন্য মহান রাব্বুল আলামীন মাযহাব সৃষ্টি করেছেন পরিবেশের তারতম্য অনুসারে।তাকেমন করে একটু চিন্তা করলেই আমাদের বুঝতে কারো কষ্ট হবেনা।যেমন ইমামে দারুল হিজরাত ইমাম মালেক রঃ,তাঁর জন্ম মৃত্যু এলেম অর্জন প্রচার-প্রসার সব কিছুই মদীনা-মনোয়য়ারাহ হওয়া সত্বেও তাঁর মাযহাব বা মতাদর্শ মদীনায় প্রতিষ্ঠিত হয়নি,বরং তিউনিশিয়া ,স্পেইন সহ পশ্চিমা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কেউ সেখানে টেনে নেননি ঠেলেও দেননি বরং আল্লাহর কুদরতই সেখানে টেনে নিয়ে গেছেন ।
ঈমাম শাফেয়ী আলকোরায়শি রাহঃ জন্ম হেজাজে মোকাদ্দাসায় জ্ঞান অর্জনসহ প্রচার প্রসার মক্কায় হওয়া সত্বেও তার মাযহাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আফ্রিকার দেশ গূলোতে। সেখানে কে টেনে নিয়ে গেলেন?আবশ্যই আল্লাহর কুদরত।
ঈমাম আহমদ বিন হাম্বল তিনি তাঁর জ্ঞানচর্চা ও এর প্রচার-প্রসার ইরাকের কুফায় হওয়া সত্বেও সেখানে তাঁর মাযহাব প্রতিষ্ঠিত হয়নি বরং আল্লাহ তায়ালা কুদরতীভাবে টেনে নিয়ে গেলেন মক্কা-মদীনাহ সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলোতে সেখানে কেউ টেনেও নেননি ঠেলও দেননি বরং মহান আল্লাহর কুদরতের ইচ্ছায় সেই এলাকার মানুষের রুহানী খোরাক আহমদ বিন হাম্বলের মছলক বা মাযহাব দ্বারায় দিয়েছেন।
তেমনি ভাবে ইমাম আবু হানিফা রাহঃ ইরাকের কুফায় মৃত্যু পর্যন্ত সেখানে জ্ঞানচর্চা, গবেষনা,ও বিতরণ সহ সব কিছুই কুফাতে হওয়া সত্বেও আল্লাহর কুদরতে তাঁর মতবাদ বা মাযহাব টেনে নিয়ে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্ত তথা দক্ষিন এশিয়ার দেশ গুলোতে প্রতিষ্ঠিত করলেন অর্থাৎ ইসলাম প্রচারের পর থেকে উক্ত এলাকাগুলোতে বসবাসরত ইসলামী দার্শনীক মুজতাহীদ ওলামাগন ইমামে আজম আবু হানিফা রাঃ এর গবেষনাধর্মী ফরয়য়ী মাছায়েল গুলোকে কোরআন সুন্নাহর আলোকে হক্ব হিসাবে মেনে নিয়েছেন।এরং হাজার বছর থেকে এর উপর সমস্ত উম্মতের আমলও জারী রয়েছ।তেমনি ভাবে অন্যান্য ইমাম ও মাযহাবের বেলায়ও।তবে একটা কথা সকলেরই জানা দরকার চার ইমামের সকলেই ফরয়য়ী মাছালায় ভিন্নতা হলেও কিন্তু উসূলী মাছয়ালায় সকলেই ঐক্যমত পোষন করেছেন।এটা সকলেই জানেন।
আসলে আবস্হা দৃষ্টেমনে হয় যা অনেক ওলামাগন মনে করেন যে, (সাধারণ ছোটখাটো তথা ফরয়য়ী মাছায়েলের ভিন্নতা কিন্তু এজতেহাদের কারণেই হয়ে থাকে,যদি মোজতাহিদের এজতেহাদ ছহীহ হয় তাহলে দ্বীগুন ছাওয়াব অন্যথায় একটি ছাওয়াব যা হাদীস দ্বারা প্রমানীত)আল্লাহ তায়ালার মনসা ছিল যে তাঁর প্রিয় হাবীবের করা প্রত্যেকটি আমল সারা পৃথিবীতে বাস্তবায়ন হউক।এখন এই চার মাযহাবের ভিন্নতার কারণে নবী সাঃ এর প্রত্যেকটি কাজ কোননা কোন প্রকারে পৃথিবীতে বাস্তবায়ন হচ্ছে। সুতরাং এই ৪ মাযহাবের কুদরতী সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তায়ালাই।
শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
হজের সফরে মৃত্যু বরনকারী হাজী সাহেবানদের মর্যাদা
টুডে ব্লগঃ হজের সফরে মৃত্যু বরনকারী হাজী সাহেবানদের মর্যাদা
হজের সফরে মৃত্যু বরনকারী হাজী সাহেবানদের মর্যাদা =
প্রতি বছরই হজের সময় সৌদি আরবের মক্কা বা মদিনায় অবস্থানকালে অনেক হজযাত্রী মারা যায়।
এই বছরও গত কাল ১১/৯/2015 ঘটে যাওয়া প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও বর্ষনের কারণে নির্মানাধীন বিল্ড়িংয়ে স্হাপিত ক্রেন ভেঙ্গে পড়ে ১০৭ জন নিহত ও ১৩৮ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এই জন্য আমরা নিহত সকল হাজী সাহেবানদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। এবং নিহতের সকল পরিবারের জন্য সমবেদনা জানাচ্ছি যাতে তারা এই শোক কাটিয়ে উঠতে পারেন আমিন ।
নিয়ম অনুযায়ী হজ করতে যাওয়া কোনো হজযাত্রী মারা গেলে তার লাশ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয় না। এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণাপত্র প্রত্যেক হাজিকে হজের প্রস্ততিকালেই দিতে হয়। মক্কায় মারা গেলে মক্কায় ,এবং মদিনায় মারা গেলে মদিনায় দাফন করা হয়।
জান্নাতুল মোয়াল্লা মসজিদুল হারামের পূর্ব দিকে অবস্থিত মক্কা শরিফের একটি বিখ্যাত কবরস্থান। এই কবরস্থানের কোনো কবর বাঁধানো নয়, নেই কোনো কবরে নামফলক। এখানে অনেক সাহাবির কবর আছে। আছে নবী করিম (সা.)-এর স্ত্রীদের কবর। আগে হজ করতে এসে কেউ মক্কায় মারা গেলে এখানে কবর দেওয়া হতো। স্থান সংকুলান না হওয়ায় এখন ভিন্ন কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আর কেউ মদিনায় মারা গেলে তাকে ‘জান্নাতুল বাকী’ নামক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এই কবরস্থানটি মসজিদে নববীর সন্নিকটে পূর্ব দিকে অবস্থিত। এখানে অনেক সাহাবি, নবী (সা.) এর পরিবারের অনেক সদস্যদের কবর রয়েছে।
বস্তুত মৃত্যুর জন্য প্রত্যেক হজযাত্রী মানসিকভাবে প্রস্তত থাকেন। এবং ইহরামের কাপড় পরিধান করে এর স্বীকৃতিও দিয়ে থাকেন। এভাবে হজের সফরে বেরিয়ে মারা গেলে তার আমলনামায় হজের সওয়াব লেখা হয়।
আসলে একজন মুমিন তার সারা জীবনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হবার দ্বারপ্রান্তে গেল, হজের জন্য ঘর থেকে বের হল, আর তখনই হয়তো এসে পড়ল তার সেই অবধারিত মুহূর্ত যা খণ্ডানো বা এড়ানোর কোনো উপায় নেই। তবে মুমিনের জন্য তাতে খুব দুঃখিত হওয়ার বা কোনো কষ্ট পাওয়ার কারণ নেই। দয়াময় আল্লাহতায়ালার দয়ায় হজ সম্পন্ন না করেও তিনি হজের সওয়াব পেতে থাকবেন।
এ বিষয়ে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি হজের উদ্দেশ্যে বের হয়েছে; অতপর সে মারা গেছে, তার জন্য কিয়ামত পর্যন্ত হজের নেকি লেখা হতে থাকবে। আর যে ব্যক্তি উমরার উদ্দেশ্যে বের হয়েছে; অতপর সে মারা গেছে, তার জন্য কিয়ামত পর্যন্ত উমরার নেকি লেখা হতে থাকবে।’ -তারগিব ওয়াত তারহিব: ১১১৪
অন্য আরেক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। জনৈক মুহরিম (হজের জন্য ইহরাম পরিধানরত) ব্যক্তিকে তার সওয়ারি ভূপাতিত করলে তার মৃত্যু হয়। তখন হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমরা তাকে বরই পাতার পানি দ্বারা গোসল দাও এবং তার দু’টি কাপড়েই (ইহরামের দুই কাপড়) তাকে কাফন পরাও। তবে তার মাথা ও চেহারা ঢেকো না। কেননা, কিয়ামত দিবসে সে তালবিয়া পাঠ করা অবস্থায় উত্থিত হবে। -সহিহ মুসলিম: ১২০৬ ,
হয়তো আপনারা অনেকে হারাম শরীফে অনেক মৃত ব্ব্যক্তির মাথাও চেহারা খোলা আবস্হায় জানাযা ও দাপনের কাজ সমপন্ন করতে দেখেছেন । কারণ সে কেয়ামতে তালবিয়াহ পাঠ করতে করতে উঠবেন এই জন্যই চেহারা ও মাথা খোলা রাখা হয়
প্রতি বছরই হজের সময় সৌদি আরবের মক্কা বা মদিনায় অবস্থানকালে অনেক হজযাত্রী মারা যায়।
এই বছরও গত কাল ১১/৯/2015 ঘটে যাওয়া প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও বর্ষনের কারণে নির্মানাধীন বিল্ড়িংয়ে স্হাপিত ক্রেন ভেঙ্গে পড়ে ১০৭ জন নিহত ও ১৩৮ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এই জন্য আমরা নিহত সকল হাজী সাহেবানদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। এবং নিহতের সকল পরিবারের জন্য সমবেদনা জানাচ্ছি যাতে তারা এই শোক কাটিয়ে উঠতে পারেন আমিন ।
নিয়ম অনুযায়ী হজ করতে যাওয়া কোনো হজযাত্রী মারা গেলে তার লাশ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয় না। এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণাপত্র প্রত্যেক হাজিকে হজের প্রস্ততিকালেই দিতে হয়। মক্কায় মারা গেলে মক্কায় ,এবং মদিনায় মারা গেলে মদিনায় দাফন করা হয়।
জান্নাতুল মোয়াল্লা মসজিদুল হারামের পূর্ব দিকে অবস্থিত মক্কা শরিফের একটি বিখ্যাত কবরস্থান। এই কবরস্থানের কোনো কবর বাঁধানো নয়, নেই কোনো কবরে নামফলক। এখানে অনেক সাহাবির কবর আছে। আছে নবী করিম (সা.)-এর স্ত্রীদের কবর। আগে হজ করতে এসে কেউ মক্কায় মারা গেলে এখানে কবর দেওয়া হতো। স্থান সংকুলান না হওয়ায় এখন ভিন্ন কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আর কেউ মদিনায় মারা গেলে তাকে ‘জান্নাতুল বাকী’ নামক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এই কবরস্থানটি মসজিদে নববীর সন্নিকটে পূর্ব দিকে অবস্থিত। এখানে অনেক সাহাবি, নবী (সা.) এর পরিবারের অনেক সদস্যদের কবর রয়েছে।
বস্তুত মৃত্যুর জন্য প্রত্যেক হজযাত্রী মানসিকভাবে প্রস্তত থাকেন। এবং ইহরামের কাপড় পরিধান করে এর স্বীকৃতিও দিয়ে থাকেন। এভাবে হজের সফরে বেরিয়ে মারা গেলে তার আমলনামায় হজের সওয়াব লেখা হয়।
আসলে একজন মুমিন তার সারা জীবনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হবার দ্বারপ্রান্তে গেল, হজের জন্য ঘর থেকে বের হল, আর তখনই হয়তো এসে পড়ল তার সেই অবধারিত মুহূর্ত যা খণ্ডানো বা এড়ানোর কোনো উপায় নেই। তবে মুমিনের জন্য তাতে খুব দুঃখিত হওয়ার বা কোনো কষ্ট পাওয়ার কারণ নেই। দয়াময় আল্লাহতায়ালার দয়ায় হজ সম্পন্ন না করেও তিনি হজের সওয়াব পেতে থাকবেন।
এ বিষয়ে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি হজের উদ্দেশ্যে বের হয়েছে; অতপর সে মারা গেছে, তার জন্য কিয়ামত পর্যন্ত হজের নেকি লেখা হতে থাকবে। আর যে ব্যক্তি উমরার উদ্দেশ্যে বের হয়েছে; অতপর সে মারা গেছে, তার জন্য কিয়ামত পর্যন্ত উমরার নেকি লেখা হতে থাকবে।’ -তারগিব ওয়াত তারহিব: ১১১৪
অন্য আরেক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। জনৈক মুহরিম (হজের জন্য ইহরাম পরিধানরত) ব্যক্তিকে তার সওয়ারি ভূপাতিত করলে তার মৃত্যু হয়। তখন হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমরা তাকে বরই পাতার পানি দ্বারা গোসল দাও এবং তার দু’টি কাপড়েই (ইহরামের দুই কাপড়) তাকে কাফন পরাও। তবে তার মাথা ও চেহারা ঢেকো না। কেননা, কিয়ামত দিবসে সে তালবিয়া পাঠ করা অবস্থায় উত্থিত হবে। -সহিহ মুসলিম: ১২০৬ ,
হয়তো আপনারা অনেকে হারাম শরীফে অনেক মৃত ব্ব্যক্তির মাথাও চেহারা খোলা আবস্হায় জানাযা ও দাপনের কাজ সমপন্ন করতে দেখেছেন । কারণ সে কেয়ামতে তালবিয়াহ পাঠ করতে করতে উঠবেন এই জন্যই চেহারা ও মাথা খোলা রাখা হয়