সোমবার, ২৯ মার্চ, ২০২১

কওমী ‎সনদের ‎স্বীকৃতি ‎ভবিষ্যত ‎পজন্মের ‎জন্য ‎ দেশ গডার শক্তিশালী ‎হাতিয়ার ‎

ক্বওমী সনদের স্বীকৃতি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দেশ গডার এক শক্তিশালী হাতিয়ার --

হাইয়্যাতুল উলইয়ার পরীক্ষা বর্জন করা বা কওমি সনদের স্বীকৃতি বর্জনের ডাক দেওয়া কেমন যেন বউয়ের সাথে রাগ করে নিজের কামাই করা নিজের ঘরের খাবার  না খাওয়ার নামান্তর। 

পরীক্ষা বর্জন করে কী লাভ হবে আমি ক্লিয়ার না। তাতে সরকারের কিছু যায় আসেনা। নিজেদের পায়ে কুঠারাঘাত করার নামান্তর, এটি আমাদের অধিকার কারো করুণা নয়। 

পরীক্ষা বর্জন, হাইয়্যাকে বর্জন, এগুলো করে মারাত্মক ভুল করছে ছাত্র ভাইয়েরা।এ গুলো অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত। এবং অতি-আবেগের বহিঃপ্রকাশ। 

বর্তমান  মৌদি বিরোধী আন্দোলন  এর সাথে পরীক্ষা বর্জনের কি সম্পর্ক?  বা
হাইয়্যাতুল উলইয়ার সাথে কি সম্পর্ক?  
 হ্যাঁ, পরীক্ষার তারিখ পেছানোর আবেদন করা যেতে পারে সেটা ভিন্ন কথা। কেউ  পরীক্ষা  বর্জন করলে সেটা তার ব্যক্তিগত জীবনের জন্যই ক্ষতি কারো কিছুই  যায় আসেনা।

সনদের স্বীকৃতি যদিও আমাদের বডরা দীর্ঘ  সংগ্রামের পর হাসিনা সরকার থেকে আদায় করে নিয়েছে এটা তো আমাদের  অধিকার এটা কারো করুনা নয়।
 সরকার আসবে যাবে পরিবর্তন  হবে এতে কিছু যায় আসেনা কিন্তু  মূল অধিকার আমাদের আদায় করে নিতে হবে যে কোন সরকার থেকে সে যেইই হউক না কেন? 

হাইয়্যার পরীক্ষা বর্জন আত্মঘা‌তি হ‌বে ।
হাটহাজা‌রি পটিয়া  মাদ্রাসা সহ যেসব  মাদ্রাসার ছাত্ররা পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিচ্ছে এ‌তে তা‌দের নি‌জে‌দেরই ক্ষ‌তি হ‌বে । তাই এসব চিন্তা প‌রিত‌্যাগ করা উ‌চিৎ । 


আর সনদ বা‌তি‌লের দা‌বিও যৌ‌ক্তিক নয় । 
কারণ এ সনদ শায়খুল হাদীস আ‌জিজুল হক রহঃ শায়খুল ইসলাম আহমদ শ‌ফি রহঃ শায়খ হারুন ইসলামাবাদী রহঃ,  শায়খুল হা‌দিস আব্দুল বা‌সিত বরকতপু‌রি রহঃ সহ আসংখ‌্য অগ‌নিত ওলামা‌য়ে কেরা‌মের ঘাম ঝরা‌নো প‌রিশ্রমের ফসল ।
এটা কওমী ওলামা তালাবা‌দের প্রাপ‌্য অ‌ধিকার । এটা সরকা‌রের দয়া ও দান দ‌ক্ষিণা নয় ।
তাই  এ অ‌ধিকার ফি‌রি‌য়ে দেওয়ার জন‌্য জন সমর্থন আদা‌য়ের চেষ্টা করাও কল‌্যানকর ন‌হে ।

এ সনদের স্বীকৃতির বিলের প্রতিটি লাইন ও বাক্য  ভাল করে পডে দেখুন ছাত্র  ভাইয়েরা,
  সেখানে কি কি লেখা আছে। একটু অনুধাবনের চেষ্টা করুন  আমাদের বডরা খুব বিচক্ষণতার  সাথে সেই  স্বকৃীতি আদায় করে নিয়েছেন। 

আজকে  যদি কোন  কওমী সনদধারী ওসী হাটহাজারী থানায় থাকত তাহলে  কি এ ঘটনা ঘটত?

এ সনদ আমাদের ছাত্রদের ভবিষ্যৎ  উজ্জল  করার ধার উন্মোচন করেছে।
কিন্তু যারা পিছনের টেবিলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে  মতরখায়ী করতে করতে সময় পার করেছেন তাদের তো কোন ভবিষ্যৎ  নেই  তাদের স্বীকৃতিরও দরকার কি  সনদের ও দরকার কি? 
তারা বর্জন করলেও লাভ কি না করলে ও লাভ কি? কিন্তু যারা মেধাবী  দেশের জন্য কিছু করতে চায় তাদের জন্য  এ স্বীকৃতি  অতি গুরুত্বপূর্ণ। 

সনদের স্বীকৃতি  এ দেশের ক্বওমীর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য   কার্যকর  একটি হাতিয়ার ও বটে। কিন্তু  অপরিপক্ক  ছাত্রদের সেটা বুঝে আসার করা নয়। 

এম এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া

কওমী ‎সনদের ‎স্বীকৃতি ‎আমাদের ‎অধিকার ‎করুনা ‎নয় ‎

কওমী সনদে সরকারী স্বীকৃতি আমার অধিকার অনুগ্রহ নয়  
এম এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া 

কওমী সনদের সরকারী স্বীকৃতির আদায়ের জন্য  যুগ যুগ ধরে এদেশের অনেক রাহবর মনিষীগন আন্দোলন সংগ্রাম করে গেছেন তাদের মধ্যে 
আল্লামা শামসুল হক ফরিদপুরী রহঃ,আল্লামা হারুন ইসলামাবাদী রহঃ, 
খতিবে আজম ছিদ্দিক সাহেব রহঃ, শাইখুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক, চরমোনাই মরহুম পীর সাহেব, মুফতি আমিনী সাহেব অন্যতম।

 তারা    সকলই কওমি সনদের সরকারী স্বীকৃতির জন্য আমরণ আন্দোলন করে গেছেন। কিন্তু  স্বীকৃতি আদায় করতে পারেনি, সর্ব শেষ শাইখুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফি রহঃ কওমী   স্বকীয়তা বজায় রেখে কওমি সনদের সরকারি স্বীকৃতি আদায় করেন। এটাকে হেলায়ে হেলিয়ে নস্যাত করা যাবেনা বরং  এটাকে আরও বেগবান করতে হবে।

সম্প্রতি  ২৬ মার্চ ২০২১ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটে যাওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে কওমী সনদের স্বীকৃতি বাতিল অথবা হাইয়্যাতুল উলইয়ার পরীক্ষা বর্জনের মত কর্মসূচি নিচ্ছে  অনেকে  আবেগের বহিঃপ্রকাশ  হিসাবে যা কোন প্রকারে কাম্য নয়। 


    পাকিস্তান বেফাক বোর্ড ও দারুল উলুম দেওবন্দ ও দারুল উলুম নদোয়া সহ স্বকীয়তা বজায় রেখে সনদে সরকারি স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছেন, ভারত সরকার থেকে যার অনুসরণ করছেন বাংলাদেশের কওমি বোর্ড গুলো। 
  এখন যারা সনদের বা সাটিফিকেটে সরকারি স্বীকৃতি বাতেল করতে চান তাদের নিকট প্রশ্ন------------
 (১) পাকিস্তান বেফাক ও দারুলউলুম দেওবন্দ সরকারী স্বীকৃতি নিলেন, অনুরুপ আমরাও নিলে সমস্যা কি? একটু বললেন কি?

 (২) অভিন্ন প্রশ্নে সমস্ত কওমি মাদ্রাসার পরীক্ষা' অনুষ্টিত হওয়া'র বিরোধিতা কোন উদ্দেশ্যে? নিজেদের দুর্বলতা প্রকাশ হওয়ার ভয়?  নাকি অন্য কিছু? 

(৩) সংবিধান অনুযায়ী দেশের নাগরিকত্ব পেতে দেশের প্রচলিত সংবিধান ( যা অনৈসলামিক বা কুফরি) মেনেই  নাগরিক হতে হবে। আপনারা কি এখন নিজেদের নাগরিকত্ব বাতেল করবেন?

(৪) আন্দোলন হরতাল প্রতিবাদ মিটিং মিছিল এসব একজন নাগরিকের গনতান্ত্রিক অধিকার? গনতন্ত্র হারাম বিধায় আপনারা এসব অধিকার বাদ দিবেন কি? 

(৫) আমার জানা মতে দেশের অনেক কওমী মাদ্রাসায়  সরকারী বিশেষ  মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ অনুদান ও পেয়ে থাকেন। ঐসব অনুদান বাদ দিবেন কিনা? 
  এসব প্রশ্নের জবাব যদি না' সূচক হয়, তাহলে কোন মতলবে সনদের স্বীকৃতি বাতেল করে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন? 

  সরকারী সাটিফিকেটদারী জামায়াত শিবিরের ভাইয়েরা ও আলিয়া মাদ্রাসা'র বিভিন্ন সংস্হা সংগঠন কওমী সাটিফিকেটে সরকারী স্বীকৃতির বিরোধিতা করে মামলাও করেছে, যাতে কওমী আলেম সমাজ ও ভবিষ্যত প্রজন্ম স্বকীয়তা নিয়ে দাঁড়াতে না পারে। কওমী শত্রুদের কাজটা এখন আপনারা কেন করছেন? 

আমার সাথী ভাই  km Habibullah খুব চমৎকার  লিখেছেন  হুবহু তুলে ধরা হল।

১/ হাইয়াতুল উলিয়া কওমিদের দ্বারা পরিচালিত হয়। সরকার দ্বারা নয়।  
২/ হাইয়ার অধীনে যে সনদ দেয়া হয়েছে সেটা সরকারী সনদ। কোনো দলের নয়। 
৩/ এই সনদ নেয়ার সময় যেসব শর্ত আদায় করা হয়েছে তাতে সরকারী হস্তক্ষেপের বিন্দুমাত্র ফাঁকফোকর রাখা হয়নি। 

৪/ এই সনদের স্বীকৃতি সংবিধানে বিধিবদ্ধ করা হয়েছে এবং সেখানে কওমিদেরকে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। অনেকেই বলবেন কোনো জাহেল আমাকে আহলে সুন্নাহ স্বীকৃতি দিলেও কী? আর না দিলেও কী? কিন্তু এখানে কথা আছে। কোনো কওমি সনদধারী আলেমকে যদি কেও ধর্মব্যবসায়ী, ধর্মান্ধ, বেদাতী, খারেজি ইত্যাদি বলে তাহলে তিনি সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংবিধান অবমাননার মামলা করতে পারবেন। এই সুযোগ রাখা হয়েছে সংবিধানে। যা অন্য ঘরাণার আলেমের জন্য রাখা হয়নি।

 ৫/ কওমি সনদের সরকারী স্বীকৃতির উপকার এবং অনেক সুবিধা আছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকারী চাকরি পাওয়ার বিষয়টি তেমন বড় ফায়দা বলে আমিও মনে করছি না, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই সনদ বাংলাদেশে ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য অনেক বড় হাতিয়ার হিসেবে প্রমাণিত হবে। সেটা ব্যবহার করতে জানা বা না জানার সমস্যার আলোচনা ভিন্ন সময় করা যাবে।

৬/ কওমি আলেমদের জন্য বিদেশে অধ্যায়ন ও চাকরির সুযোগ এই সনদে আছে যা আমরা দ্বীনের খেদমতের নিয়তে করতে পারি।
 
তবে
সরকারের হস্তক্ষেপের সুযোগ না রাখা সত্বেও কিছু কওমি আলেম নিজ থেকে জেঁচে গিয়ে সরকারের কাছে ধর্ণা দেয়ার কারণে কিছু সমস্যা হচ্ছে। এ কারণে অনেকের কাছে মনে হচ্ছে এটা সনদের দোষ। আসলে দোষ সনদের নয়, বরং আমাদের কিছু অদূরদর্শী ও অপরিণামদর্শী আচরণ এর জন্য দায়ী। 
 
 কওমিরা বার বার বুঝিয়ে দিয়েছে যে, তাদেরকে অন্য অনেকের মত দমিয়ে রাখা যাবে মনে করলে ভুল হবে। কিন্তু তারা নিজেরাই কেন ইচ্ছে করে দমে যাবে? "রাগ করে আমি খানা খাব না" বলার সময় এখন নাই। এখন সময় হলো "রাগ করে আমি খানা খেয়ে ফেলব" বলার। 

আর
কওমি সনদের ক্ষতির যে একেবারেই আশংকা নাই তাও কিন্তু নয়, তবে সেটা যতটা না অন্যের কারণে হবে তারচেয়ে বেশি আমাদের নিজের কারণে হবে। সেটা আমরা আজ না হয় কাল কাটিয়ে উঠতে পারব ইনশা আল্লাহ।
 
  এখন যা দরকার
 সমস্ত কওমি মাদ্রাসা দ্বীনি ও দুনিয়াবি বিষয়াদিতে একতাবদ্ধ থাকা। শরিয়তের মাসালা, রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও কর্মসূচী গ্রহণের ক্ষেত্রে সবাই একই কথার মধ্যে থাকা। দাওয়াত ও সামাজিক কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য সবাই এক পরিবারের মত মিলেমিশে কাজ করা। 
 অনেকেই মনে করেন কওমিদের একতা হবে না। আমি মনে করি কওমিরা সবসময় ঐক্যবদ্ধ ছিল এবং এখনো আছে। সেটা প্রয়োজনের সময় বার বার দেখা গিয়েছে। তবে কিছুটা দুর্বলতা যা আছে সেটা কাটিয়ে উঠার জন্য এখনই কাজ করতে হবে। অভিজ্ঞ ওলামায়ে কেরাম সামান্য কষ্ট করলেই সেই দুর্বলতা কেটে উঠা যাবে ইনশা আল্লাহ।

 যেমনঃ প্রথমে বোর্ডগুলোর দায়িত্বশীলরা বসুন। তারপর বড় বড় মাদ্রাসাগুলোর দায়িত্বশীলরা বসুন। এরপর বোর্ডের অধীনে থাকা মাদ্রাসাগুলোকে একতার কথা জানিয়ে দিন। কাজটা বেশি কঠিন নয়। 
 আপাতত সরকারের সাথে সংঘাতে যাওয়ার দরকার নাই। তবে গায়ে পড়ে কেউ ঝগড়া করতে আসলে তাকে ছেড়ে কথা বলারও দরকার নাই। ঘটে যাওয়া হরতাল ও বিক্ষোভের পরে কওমি ছাত্র ও হেফাজতকর্মীদেরকে হয়রানী না করার জন্য কঠিন হুশিয়ারি দিন। কঠিন হুশিয়ারি দিলে রাস্তায় আর নামতে হবে না। আর হুশিয়ারি না দিলে ওরা সমস্যা করবে। পরিষ্কার বলে দিন সরকারের সাথে ঝগড়া করার কোনো ইচ্ছা আমাদের নাই। তবে আমাদেরকে হয়রানী করলে অবস্থা খারাপ হবে। আপনারাও শান্তিতে থাকুন,আর আমাদেরকেও শান্তিতে থাকতে দিন।

আর  
 সরকারের সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য অভিজ্ঞ আলেমদের একটি দল থাকা চাই। যারা সরকারকে সৎ পরামর্শ দেবেন তবে সুবিধা গ্রহণ করবেন না, আবার ভয়ও করবেন না। তারা সরকারী চাকরিজীবী ও সরকারী দলের নেতা-কর্মীদেরকে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে দ্বীনি দাওয়াত ও তালিম দেবেন।

আমরা চাইনা আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে এমন কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা থেকে রাহবর ওলামায়ে কেরাম বিরত থাকবেন  ইনশাআল্লাহ।

মঙ্গলবার, ২ মার্চ, ২০২১

খোসপাঁচড়া ‎চুলকানি ‎এলার্জি ‎সমস্যায় ‎করনীয় ‎

ত্বকের  স্ক্যাবিস বা  চর্মরোগ খোসপাঁচড়া  চিকিৎসা 
ডা: মুহাম্মদ জিয়াউল হায়দার 

স্ক্যাবিস আমাদের ত্বকের একটি অতি সাধারণ সমস্যা। একটু সচেনতার সাথে চিকিৎসা করলে এ রোগ সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়। আবার একটু অবহেলার কারণে কিডনি ও হৃদযন্ত্রের জটিলতাসহ বিভিন্ন ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। স্ক্যাবিস নতুন কোনো রোগ নয় বরং ঝধৎপড়ঢ়ঃবং ংপধনবর নামক মথ দ্বারা প্রায় ২৫ হাজার বছর ধরে মানুষে বিস্তৃত হচ্ছে। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩০ কোটি মানুষ প্রতি বছর এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

 ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার তারতম্যের কারণে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে যেকোনো বয়সে স্ক্যাবিস হতে পারে। তবে সুসংবাদ হলো খুব সহজেই এ রোগ নির্র্ণয় ও চিকিৎসা সম্ভব।

কিভাবে স্ক্যাবিস হয় ?
আণুবীক্ষণিক এ মথটি খালি চোখ দেখা যেতে পারে। আট পা বিশিষ্ট গোলাকার ক্ষুদ্র এ মথটি ত্বকে লুকিয়ে থাকে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিশেষ ধরনের অ্যালারজিক ক্রিয়ার ফলে ত্বক চুলকায় যা অনেক সময় এত বেশি হতে পারে যে, চুলকানোর ফলে রোগী রাতে ঘুম হতে জেগে যেতে পারে।
ঘনিষ্ঠ স্পর্শের মানুষের মধ্যে স্ক্যাবিস ছড়ায়। ছেলেমেয়ে, বন্ধু-বান্ধব অথবা পরিবারের অন্য যেকোনো সদস্য স্ক্যাবিসের উৎস হতে পারে। ঘনবসতিপূর্ণ জায়গা যেমন শিশু সদন, এতিমখানা, জেলখানা, হাসপাতালে স্ক্যাবিস সহজে ছড়াতে পারে। যাদের মধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব রয়েছে এবং যারা একই বিছানা, পরিধেয় বস্ত্র ভাগাভাগি করে ব্যবহার করে তাদের মধ্যে এ রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়।
উষ্ণতা ও গন্ধের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে স্ত্রী মথ প্রথমত ত্বকে লুকিয়ে থাকে পরে ডিম পাড়ে এবং বিষ নিঃসরণ করে অ্যালারজিক বিক্রিয়া ঘটায়। লার্ভা বা নতুন মথ ত্বকের উপর দিয়ে চলাফেরা শুরু করে এবং শরীরের গুপ্তস্থানে থেকে পরিণত হয়। নখের আঁচড়ে সৃষ্ট ত্বকের ভাঁজে মথটি ২৪ ঘণ্টা বা এর চেয়ে বেশি দিন বাঁচতে পারে। যারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে বিশেষ করে যারা নিয়মিত গোসল করে তারা এক মাস পর প্রথম চুলকানি অনুভব করতে পারে।

রোগের উপসর্গ
স্ক্যাবিসের প্রাথমিক এবং অতি পরিচিত উপসর্গ চুলকানি, বিশেষ করে রাতে চুলকানোর প্রকোপ বেড়ে যায়। লাল ক্ষুদ্র ফুসকরি দেখা যেতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না হলে পরে ত্বক খসখসে বা মাছের আঁশের মতো হতে পারে।
স্ক্যাবিস সৃষ্টকারী আনুমানিক ০.৪ মি.মি মথ যা খালি চোখে দৃশ্যমান
স্ক্যাবিস উষ্ণ স্থান পছন্দ করে। এ কারণে নি¤œ লিখিত জায়গয় স্ক্যাবিস বেশি দেখা যায়-
শরীরের গুপ্তস্থানে
আঁটসাট পোশাকের নিচে
দুই আঙুলের ফাঁকে বা নখের নিচে
কনুই বা কবজির ওপরে
নিতম্ব বা কোমরের নিচে
স্তন বৃন্তের চারদিকে
পুংলিঙ্গের ওপরে
ঘড়ি, চুড়ি বা আংটির নিচে মথটি লুকিয়ে থাকতে পারে
শিশুদের ক্ষেত্রে হাত ও পায়ের তালু, মাথাসহ শরীরের যেকোনো জায়গায় হতে পারে চুলকানিজনিত কারণে রাতে ঘুম না হওয়ায় শিশুরা ক্লান্ত ও খিটখিটে হয়ে যায়।
আঁচড়ের কারণে স্ক্যাবিস আক্রান্ত ত্বক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হয়ে জটিল আকার ধারণ করতে পারে।

রোগ নির্ণয় : 

চর্ম বিশেষজ্ঞ মাথা হতে পা পর্যন্ত অত্যন্ত সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করে রোগটি নির্ণয় করে থাকেন।
কারা স্ক্যাবিসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ?
স্ক্যাবিসের জন্য তারা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ যারা অন্যদের সাথে শারীরিক স্পর্শে আসে যেমন
শিশু, শিশুদের মা, যৌনকার্য সক্ষম পরিণত নর-নারী,
আশ্রমে বসবাসকারী বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, শিশুদের পায়ের তালুতে স্ক্যাবিস, নাভি ও কোমরে স্ক্যাবিস
স্ক্যাবিস থেকে মুক্তির উপায়
ভালো করে সাবান দিয়ে গোসল করার পর শরীর ভালো করে মুছে শুকাতে হবে। এর পর ৫ শতাংশ পারমিথ্রিন ক্রিম (বাজারে ঝপধঢ়বৎ, ংপধৎরহ, ংপধনবী ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়) হাত ও পায়ের তালু, নখ, কুঁচকিসহ গলা থেকে পা পর্যন্ত শরীরের সব জায়গায় লাগাতে হবে। এর পর ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর আবার সাবান দিয়ে গোসল করতে হবে। এক সপ্তাহ পর আবার একইভাবে চিকিৎসা নিতে হবে।
পারমিথ্রিন ক্রিমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ত্বক সাময়িক জ্বালা-পোড়া করতে পারে।
আবার স্ক্যাবিস দ্বারা আক্রান্ত হলে চর্ম বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

স্ক্যাবিস চিকিৎসায় আইভারমেক্টিন নামক মুখে খাবার ওষুধ পাওয়া যায়, যা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে সেবন করা উচিত। শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের এ ওষুধ দেয়া হয় না।
চিকিৎসার পরিপূর্ণ সুফল পেতে যা করণীয়
যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা গ্রহণ
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
পরিবারে আক্রান্ত সবাই একই সাথে চিকিৎসা গ্রহণ। আক্রান্ত সবাই একই সাথে চিকিৎসা গ্রহণ না করলে কখনোই চিকিৎসা সম্পন্ন হবে না।
পরিধেয় বস্ত্র ধুয়ে ইস্ত্রি করে পরতে হবে
বিছানা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে আবার ব্যবহার করতে হবে।
স্ক্যাবিস প্রতিরোধের উপায়
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে
নিয়মিত সাবান দিয়ে গোসল করতে হবে
স্ক্যাবিস আক্রান্ত ব্যক্তির শারীরিক স্পর্শ থেকে দূরে থাকতে হবে
স্ক্যাবিস আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত পোশাক বা বিছানা ব্যবহার না করা
লেখক : সহকারী রেজিস্ট্রার, মেডিসিন বিভাগ
মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল,বগুড়া। 

এলার্জি  চুলকানি  খোসপাঁচড়া  সারাতে ভেষজ চিকিৎসা  


এলার্জি জনিত  চুলকানি পীডিবাত নিরাময়ে 
===========০০০=======
যে কোন এলার্জি যুক্ত খাবার গ্রহণের কারণে শরীরে লালচে চাকা চাকা হয়ে লালচে হয়ে  ফুলে যাওয়া,পীডিবাত, চুলকানি, চামডার ভাজে ভাজে চুলকানি, সারা শরীরে চুলকানি  ইত্যাদি এলার্জি নিরাময়ে ১০০% প্রাকৃতিক ভাবে তৈরীকৃত।

১,"সুফুপ এলার্জি " 
২০০ গ্রাম ২০০ ৳ মাত্র।  
১/৪ চা চামচ পরিমান চূর্ণ ১ কাপ পানিতে মিশিয়ে খালি পেটে সকাল সেব্য    ১ মাস  । 

২,"সুফুপ নীম "১০০ গ্রাম ১০০ ৳। 
১/৪ চা চামচ চূর্ণ ১ চা চামচ ইসুবগুল ভুষি পানিতে ভিজিয়ে রেখে আধা ঘন্টা পর সকালে খালি পেটে, দুপুরে ভরা পেটে ও রাতে শোয়ার পূর্বে সেব্য ২১ দিন।  
   
৩, ত্রিফলা 
২০০ গ্রাম ১৫০ ৳, 
রাতে ২ চা চামচ পরিমান চূর্ণ রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে সেব্য    ১-৩ মাস  ।     


৪, সুফুপ  কালমেঘ 

২০০ গ্রাম  ২০০ টাকা।
১০০% প্রাকৃতিক।
চিকিৎসক এর পরামর্শে সেবন করতে পারেন। 

আবার আবস্হা সমস্যা  জটিল হলে অন্য চিকিৎসা ও দেয়া যেতে পারে চিকিৎসক এর পরামর্শে।
যেমন 
৪// হারবাল লোশন 
৫//নীম তেল 
৬// স্কীনকেয়ার  ক্যাপ ও ট্যাব
৭// সুফুপ স্কীন কেয়ার 
 ইত্যাদি। 

কুরিয়ারে নিতে চাইলে সার্ভিস সার্জ প্রযোজ্য। ১২০-১৫০৳। 


সৌজন্যে
 ভূঁইয়া ন্যাচরাল হার্বস    
এম এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া 
০১৮২৯৩১৮১১৪ 
০০৯৬৬৫০৪৯৬৭৮৬৩ 
ওয়াতসাফ ইমু তে