হাজী সাহেবান গন মক্কা মদীনায় অবস্হান কালীন সময়ে
করনীয় কিছু
পরামর্শ
এম এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া
১৷ হারাম শরীফে যথা সম্ভব আজানের ১ঘন্টা/আধাঘন্টা আগে যাওয়া, নতুবা ভিতরে জায়গা পাবেন্ না ,দেরীতে আসলে জায়নামাজ আবশ্যই সাথে আনবেন ৷
২৷ পেটে বা প্রস্রাবের সমস্যা থাকলে পানি ও খাওয়া দাওয়া কন্ট্রোল করুন ,
৩ ৷ জুতা সেন্ডেল পলিথিন করে সাথেই রাখুন ৷
৪৷ মানুষের চলাচলের রাস্তা এডিয়ে বসুন ৷
৫৷ সাথিদের ফোন নং ,মোয়ালি্লমের ফোন নং সাথেই রাখুন ৷ এবং সাথে পরিচিত প্রবাসী কারো নং থাকলে সাথে রাখুন।
৬৷হারাম শরীফের প্রবেশ পথ তথা গেইট নং খেয়াল রাখুন ৷যাতে আসা যাওয়ায় পথ ভূলে না যান ৷
৭ ৷ সাথী/ তাবু/হোটেল হারিয়ে ফেললে অযথা ঘূরা ঘূরি না করে অধৈয্য না হয়ে নিজের সাথে থাকা কার্ড নিরাপত্তা কর্মিদের দেখান , বা সাথিদের কে ফোন করুন ৷
৮৷সাথীদের কয়েক জনের মোবাইল নাম্বার রাখুন
৯৷ যে কোন সময় ,যে,কোন, সফরের দিন তারিখ ও সময় গাডির নং ভাল করে জেনে নিন ৷
১০৷ কংকর নিক্ষেপের সময় তাডা হুডা না করে , ধীরস্হীর ভাবে সূযোগ বুঝেই অগ্রসর হবেন৷
11/ মক্কায় আপনজন থাকলে তাদের ফোন নং সাথে রাখুন।
12/ সাথে ছোট একটা পানির বোতল রাখুন যাতে পিপাসা লাগলে দূরে যেতে না হয় ৷
13/ আর আপনি পুরান হলে নতুনদের সাহায্যের মনো ভাব নিয়ে চলুন।
14/ হজের মাসালা গুলো জায়গা মত করনীয় কাজ গুলো না জানলে জেনে নিন , বা অপর কে বারংবার জিজ্ঞাসা করুন ,
15/ অপরিচিত কোন লোকের দেয়া কোন কিছু খাওয়ার থেকে বিরত থাকুন , তবে সংঘ বদ্ধ ভাবে কেউ /কুম্পানি কোন খাবার ,জুস , পানি , দুধ , লেবন ইত্যাদি বিতরন করলে তা খেতে পারেন , কারন এ গুলো সরকারী ব্যবস্হাপনায় , বা সাধারন মানুষ হাজি সাহেবানদের দিয়ে থাকেন ৷
16/ নিজের বাসা বা হোটেল থেকে অজু ইস্তিঞ্জা সেরে মসজিদে বা হারাম শরীফে যাওয়ার চেষ্টা করবেন ৷নতুবা হারাম শরীফের টয়লেটে দীর্ঘক্ষন অপেক্ষা করতে হবে।
17/ মক্কার ঐতিহাসীক স্হান গুলোর যেমন মাকামে ইব্রাহীম , হাজরে আসওয়দ , হাতিম , সাফ-মারওয়াহ ,আরাফাত মিনা,সহ ঐতিহসীক স্হান গুলোর ইতিহাস জেনে নিন ৷ তাহলে হজ্বের গুরুত্ব মাহাত্য দিলে স্হান পাবে ৷
18/ আর মুয়াল্লীম হযরাত সহ হজ্বের দায়িত্বে নিয়োজীত সকল কে ব্যবসায়ীক মানসীকতা পরিহার করে আল্লাহর মেহমানদের মেহমানদারী যাবতীয় সূযোগ সূবিধার দিকে লক্ষ রাখতে হবে ৷ যাতে কেউ কোন কষ্ট না পায় ৷ আপনি আগত মেহমানদের খাদেম হিসাবে খেদমত করুন আল্লাহ পাক আপনাকে ব্যবসায় ও সফলতা দিবেন , সাথে আপনি পাচ্ছে আখেরাতে বিশাল এক নেকীর পাহাড ৷
19/ মক্কা-মদীনার বিশালাকার অট্যালিকা দেখে নিজেকে ছোট ভাববেননা এসবই আল্লাহ দান ।এই জন্য শুকরিয়া আদায় করুন।
20/ হজ্ব উপলক্ষ্যে সারা পৃথিবী থেকে আগত বিভিন্ন মানুষের কথা-চলাফেরা-কালচার দেখে দোষ তালাশ করবেন না। কারণ এলাকা ভেদে মানুষের কালচারের সাথে আপনার মিল নাও হতে পারে,যা তাদের জন্য হয়তো ভাল।
21/ মক্কা-মদীনায় বিভিন্ন মানুষের চলাফেরা ,খাদ্যাঅভ্যাস নীচু মান ,কি উঁচু মান এগুলো নিয়ে সমালোচনা না করে নিজের আমলের চিন্তা নিজে করুন।
22/হজের সফরে পারিবারীক, রাজনৈতিক আলোচনা পরিহার করুন,কারণ এগুলো সারা জীবনই করছেন ও করবেন ,তবে হজ্বের এই গুরুত্ব পূর্ণ সফরে আল্লাহর বিশেষ মেহমান হয়ে আসছেন সেই হিসাবে নিজের আমিত্বকে বিসর্জন দিয়ে এবাদতে মগ্ন থাকুন।
23/ নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত নিরাপর্তা কর্মিদের কমান্ড মেনে চলুন।
২৪/মোয়াল্লিম বা কারো কাছ থেকে কোন কষ্ট পেলে, ঝগডা, মারামারি,কথাকাটাকাটি থেকে বিরত থাকুন, নাহয় অাপনার হজ্ব পালন শুদ্ধ হবেনা। সামান্য একটু লবন পানির জন্য হজের মত গুরুত্বপূর্ণ এবাদতকে নষ্ট করবেন না।
২৫/খাওয়া দাওয়া ও ঘুম সহ আবশ্যকীয় জরুরত ছাডা রুমে বেশি সময় না কাটিয়ে হারাম শরীফের কাটানোর চেষ্টা করুন ,কারণ মক্কার হারাম শরীফে প্রতিটি এবাদত এক লক্ষ গুন বৃদ্ধি পাবে,আর মদীনায় ৫০ হাজার গুন। বাডি,অফিস আর কর্মস্হলেতো সারাটা জিবন কাটিয়েছেন ভবিষ্যতেও কাটাবেন কিন্তু এ সূযোগতো আর কখনো ফিরে নাও আসতে পারে।
২৬/ মক্কায় অবস্হান কালীন সময়ে বেশী করে তাওয়াফ, তসবিহ-তাহলীল তেলাওয়াত ও এসতেগফার ও মদীনায় বেশী বেশী দরুদ শরীফ পাঠে মনোযোগী হবেন। এবং দোয়া কবুলের সময় ও স্হানের খেয়াল রেখে নিজেের জন্য ও পরিবার পরিজন আত্বীয়স্বজন বন্ধু-বান্ধব সহ সমগ্র মুসলিম জাহানের মঙ্গল ও মাগফেরাতের জন্য বারংবার দোয়া করতে থাকুন।
২৭/হজ্ব সংক্রান্ত বিভিন্ন মাছায়েল জানার চেষ্টা করুন যাতে হজ্ব পালনে কোন ক্রুটি না হয় প্রয়োজনে আলেম ওলামাদের স্বরনাপন্ন হউন বই পুস্তুক সংগ্রহ/ অধ্যয়ন করুন।
লেখক কে ভূলবেননা আপনাদের দোয়ার মধ্যে ,দোয়াই কামনা
আল্লাহ সকলকে হজ্বে মাবরুর নছীব করুন আমিন
এম এম অাবদুল্লাহ ভুইয়া
নূরুলগনি ইসলামি একাডেমী কাটাছরা মিরসরাই চট্টগ্রাম
০১৮২৯১৩৮১১৪
০০৯৬৬৫০৪৯৬৭৮৬৩