Translate

বৃহস্পতিবার, ২৮ মে, ২০২০

বন্ধ্যাত্বের কারণ চিকিৎসা ও পরামর্শ

বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা ও পরামর্শ ঃ

দুই বৎসর বা তার থেকে বেশি সময় চেষ্টা করার পড়েও গর্ভধারণে ব্যার্থ হলে তাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বন্ধ্যত্ব বলে। 
৮% দম্পতি বন্ধ্যত্বের শিকার হন। বন্ধ্যত্ব স্বামী বা স্ত্রী উভয়ের কারণে হতে পারে। 

বন্ধ্যত্ব দু ধরনের যথা:
প্রাথমিক বন্ধ্যত্ব (Primary infertility): বিবাহের পর সকল সুবিধা থাকা সত্ত্বেও কখনই গর্ভধারণ না হওয়াকে প্রাথমিক বন্ধ্যত্ব বলে।
পরবর্তী বা দ্বিতীয় পর্যায়ের বন্ধ্যত্ব (Secondary infertility): কোন মহিলা প্রথম বার গর্ভধারণের পর দ্বিতীয় বার আর যদি গর্ভধারণ করতে না পারে তবে তাকে পরবর্তী বা দ্বিতীয় পর্যায়ের বন্ধ্যত্ব বলে।
কারণ (Cause):
বন্ধ্যত্ব স্বামী বা স্ত্রী যে কোন একজনের কারণে হতে পারে। কিন্তু আমাদের সমাজে অন্যায় ভাবে শুধুমাত্র স্ত্রীদেরকে দোষারোপ করা হয় এমন কি কোন কোন ক্ষেত্রে স্বামীকে দ্বিতীয় বা তৃতীয় বিয়েতে উৎসাহিত করা হয়।

স্বামীর কারণে বন্ধ্যত্ব:
(ক) স্বামীর বীর্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শুক্রাণু না থাকলে। মৃত শুক্রাণু বা শুক্রাণু বিহীন বীর্যের কারণে
(খ) একটি অণ্ডকোষ/লুপ্ত প্রায়  অপারেশনের কারনে।
(গ) অণ্ডকোষ জন্মগত ভাবে না থাকলে।
(ঘ) অণ্ডকোষের প্রদাহ, মাম্পস বা গলা ফুলা রোগের প্রদাহের কারণে।
(ঙ) বিকৃত শুক্রাণু থাকলে।
(চ) যৌন ক্রিয়ায় অক্ষম হলে। টাইমিং কম হলে। 
(ছ) শুক্রাণু বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় তাপ ও পরিবেষ অণ্ড কোষে না থাকলে।
(গ) যৌনাঙ্গে যক্ষ্মা, সিপিলিস্, গনোরিয়া প্রভৃতি রোগ থাকলে।

স্ত্রীর কারণে বন্ধ্যত্ব:

(ক) যদি জরায়ুর আকার ছোট হয়।
(খ) ডিম্বাশয় যদি সঠিক ভাবে কাজ না করে।
(গ) মাসিকের গণ্ডগোল থাকলে।
(ঘ) বস্তি কোটরের প্রদাহ হলে।
(ঙ) বংশগত। জরায়ুতে টিউমার হলে।
(চ) জরায়ু অপারেশন হলে 
(ছ) যক্ষ্মা গনোরিয়া ইত্যাদি রোগ হলে।
(জ)  ছাড়াও স্ত্রীর ডিম্ব ক্ষরণের সময় যৌনমিলন না হলে গর্ভধারণ হয় না।

রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষা (Diagnosis): 

বন্ধ্যত্বের কারণ নির্ণয়ে প্রথমে স্বামীর বীর্য পরীক্ষা করে দেখতে হবে। এবং স্বামীর শারীরিক পরীক্ষা করে দেখতে হবে। যদি কোন অসুবিধা ধরা না পড়ে তখন স্ত্রীকে পরীক্ষা করতে হবে। স্ত্রীর পরীক্ষাগুলো ব্যয়বহুল বিধায় প্রথমে স্বামীকে পরীক্ষা করা উচিত।

পরামর্শ (Consultation):
যদি কোন দম্পতির একবারেই সন্তান না হয় অথবা সন্তান হওয়ার পর দ্বিতীয় সন্তান কাঙ্ক্ষিত সময়ে না হয় তবে তাদেরকে নিন্মলিখিত পরামর্শ দেয়া উচিত: 


স্বামী ও স্ত্রীকে আশ্বস্ত করে দুশ্চিন্তা কমাতে হবে (সব ঠিক থাকার পরেও শতকরা ২০ ভাগ দম্পতির ১ বছরে বাচ্চা নাও হতে পারে, শতকরা ১০ ভাগ দম্পতির ২ বছরে বাচ্চা নাও হতে পারে)। 

স্ত্রীর ডিম্বক্ষরনের সময় অর্থাৎ মাসিক শুরুর ১১ তম দিন থেকে ১৮ তম দিন পর্যন্ত প্রতিদিন সম্ভব না হলে ১ দিন পরে পরে স্বামীর সাথে মিলনের পরামর্শ দিতে হবে। 

স্বামীর বা স্ত্রীর কোন জটিল রোগ বা যৌন রোগ থাকলে তার চিকিৎসা করাতে হবে। স্বামী বা স্ত্রীর ধূমপান, মদ্যপান, যে কোন নেশা গ্রহণ, একনাগাড়ে দীর্ঘদিন এন্টিহিস্টামিন খাওয়া বর্জন করতে হবে। অতিরিক্ত পরিশ্রম, দুশ্চিন্তা,  
কোলেস্টরল ওজন থাকলে কমাতে হবে।

চিকিৎসা ঃ 
ভেষজ দিয়ে 
অর্শগন্ধা,তেতুল বিচি, শিমুল মুল,শতমুল, জাপরান,
খেজুর বাদাম দুধ ডিম কালোজিরা ফুলের মধু, আনার, বাদাম, ফলমূল ইত্যাদি খেতে হবে। নিয়মকরে ৩-৬ মাস। 

মর্ডান চিকিৎসা

টিটানিয়াম
এষাজ
মাজুন আরদে খোরমা
জিরিয়ান আর জেলী
মেডিকাগো স্যাটাইভা 
মুকাব্বি খাস। 

উন্নত চিকিৎসা ঃ 
sexfill usa,
vimax,
jinsing,   
স্পারুলিনা,
মাশরুম,
কর্ডিসেপ 
GL 
RG
ইত্যাদি চিকিৎসক এর পরামর্শ এ  ৬-১২ মাস ঔষধ সেবন করতে হবে। 

বিঃদ্রঃ এ জন্য কিছু অর্থের প্রয়োজন ও  আছে। কিন্তু  সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হল আল্লাহ তায়ালার রহম হলে  বাবা- মা হওয়া যায়, এটা একান্ত আল্লাহর ইচ্ছা  তাই  চিকিৎসার সাথে দোয়াও করা চাই। 

রাব্বানা হাব্ লানা মিন্ আয্ -ওয়াজীনা 
ওয়া- যুর্রিয়াতীনা ক্বুর্রাতা আই'য়ুনিন্। 
ওয়া- জা'য়ালনা লীল্ মুত্তাক্বীনা ঈমা-মা। রাব্বি হাব্-লী মিল্লা- দুনকা যুর্রীয়াতান তাইয়্যেবাহ ইন্নাকা ছামীয়ুত্- দোয়া-।রাব্বী লা- তাযার্- নী পার্ দাঁও ওয়া আনতা খাইরুল্ ওয়ারেছীন্।
এ দোয়াটি সকল নামাজের পর সকল দম্পতীকে পাঠ করা অত্যাবশ্যক।

সৌজন্যে 
ভূঁইয়া ন্যাচরাল হার্বস মিরসরাই চট্টগ্রাম 
এম এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া  
০১৮২৯৩১৮১১৪  /০০৯৬৬৫০৪৯৬৭৮৬৩
শুধু মাত্র ইমু ওয়াতসাফ এ, 

স্বায়ী ভাবে স্বাস্থ্য বান হওয়ার উপায় পরামর্শ ও চিকিৎসা

প্রাকৃতিক  ভাবে  স্বাস্থ্যবান হওয়ার সহজ পরামর্শ ও চিকিৎসা   

মোটা হলে যেমন দেখতে ভালো লাগে না তেমনি অতিরিক্ত চিকন হলেও দেখতে খুবই খারাপ লাগে। অনেকেই আছে যারা মোটা হতে অনেক কিছুই ট্রাই করে থাকেন কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই কোন উপকার পাচ্ছেন না। বয়স আর উচ্চতার তুলনায় ওজন কম হওয়া বা আন্ডারওয়েট হওয়া কিন্তু খুবই সমস্যার ব্যাপার। তাই আজকে আমরা আপনাদের জানাবো মোটা হওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে।

মোটা হওয়ার সহজ উপায়
কোন সমস্যার সমাধান জানার আগে ওই সমস্যার কারণগুলো সম্পর্কে জেনে রাখা ভালো। মোটা হওয়ার সহজ উপায়গুলো জানার আগে চলুন জেনে নেই ওজন কম হওয়ার কারণ সম্পর্কে।

ওজন কম হওয়ার কারণঃ 

বিভিন্ন কারণে ওজন কম হতে পারে। অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, জেনেটিক কারণ, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, ডায়রিয়া, ক্যান্সার, ডায়বেটিস, এইডস, হাইপারথাইরয়েডিজম, আর্থ্রাইটিস, যক্ষ্মা, কিডনির সমস্যা, ফুসফুসের সমস্যা, ড্রাগ নেওয়া ইত্যাদি।তাছাডা অতিরিক্ত স্বপ্ন দোষ,  অপরিনত বয়সের আগে অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের অভ্যাস  লাগাতার পেটের ঔষুখ ও অপুষ্টির  ইত্যাদি কারণে শরীর হৃষ্টপুষ্ট হয়না বা মোটা  স্বাস্হবান হয়না   এছাড়া বয়সের জন্যও ওজন কমবেশি হয়ে থাকে। ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম এইদিকগুলো লক্ষ্য রাখতে হবে। এবং সর্ব প্রথম এ গুলোর চিকিৎসা নিতে হবে।তার পর মোটা স্বাস্থ্য বান হওয়ার চিন্তা। শরীর রোগ মুক্ত হলে এমনিতেই স্বাস্থ্যবান হয়ে উঠবেন।

মোটা হওয়ার জন্য কিছু সহজ পদ্ধতি চলুন জেনে নেই।

(১) ব্যায়াম করা
মোটা হওয়ার জন্য ব্যায়াম -

অনেকেই ভেবে থাকেন ওজন কমাতেই ব্যায়াম প্রয়োজন, কিন্তু এই ধারণা মোটেও ঠিক না। ওজন কমাতে যেমন ব্যায়াম  প্রয়োজন ঠিক তেমনি ওজন বাড়াতেও ব্যায়াম করা খুবই প্রয়োজন। এক্ষেত্রে শুধু দৌড় ঝাঁপই যথেষ্ট না। দরকার প্রতিদিন নিয়ম করে জিম করা। জিমে অভিজ্ঞ ট্রেইনার থাকেন। আপনার ওজন এবং চেহারা দেখে তিনিই আপনাকে বলে দিবেন কোন ব্যায়াম আপনার করতে হবে।

(২) বার বার খাবার গ্রহণ 
বার বার খাবার গ্রহণ প্রতিটি মানুষেরই করা উচিৎ। প্রতি ২ ঘন্টা অন্তর অন্তর অল্প করে কিছু খেতে হবে। কিন্তু যারা ওজন বৃদ্ধি করতে চাচ্ছেন তারা ২ ঘন্টা পর পর বেশি করে খেতে হবে। এসময় আপনি দুধ, দই, ফল, ছানা  পনির, ডিম  ইত্যাদি দিয়েই পূরণ করতে পারেন। এতে আপনার শরীরে পুষ্টির পাশাপাশি ওজনও বৃদ্ধি পাবে। এটি মোটা হওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায়।

(৩) খাবারে রাখুন কার্বোহাইড্রেড 
মোটা হওয়ার জন্য খাবারে রাখুন কার্বোহাইড্রেড। 

ওজন বৃদ্ধিতে কার্বোহাইড্রেড খুবই প্রয়োজন। খাবারের তালিকায় কার্বোহাইড্রেড অবশ্যই রাখবেন। ভাত ও রুটি কার্বোহাইড্রেডের প্রধান উৎস। তাই প্রতিদিন অন্তত ২ বার কার্বোহাইড্রেড খাবেন। ভাত ও রুটি কার্বোহাইড্রেডের প্রধান উৎস তার মানে এই নয় যে বেশি বেশি খাবেন। আপনাকে অতিরিক্ত ফ্যাটের দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। তাই প্রতিদিন কার্বোহাইড্রেড খাবেন পরিমিত কিন্তু সাধারণের তুলনায় কিছুটা বেশি। মোটা হওয়ার সহজ উপায় গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।

(৪)সিদ্ধ আলু বা আলুর চিপস্ খেতে পারেন। সাথে মিষ্টি ফল শাক সবজি পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে পারেন নিয়ম করে। 

(৫) সঠিক প্রোটিন গ্রহণ
ওজন বৃদ্ধি করতে শুধুমাত্র ক্যালোরিই যথেষ্ট না। ক্যালোরির পাশাপাশি সঠিক প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে। সঠিক প্রোটিন গ্রহন না করলে ক্যালোরি বাড়তি ফ্যাটের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন ডিম, ডাল ও দুধ অবশ্যই রাখবেন।

(৬) ড্রাই ফ্রুটস খাবেন 
মোটা হওয়ার জন্য ড্রাই ফ্রুটস খাবেন - 

ড্রাই ফ্রুটসে আছে প্রচুর ক্যালোরি ও ফ্যাট যা ওজন বৃদ্ধিতে অনেক কাজে দিবে। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই ৫টি কাজু ও ১০টি কিসমিস,৫ টি কাঠবাদাম,৫ টি পেস্তা বাদাম  ১০ টি চিনা বাদাম  খাবেন। ৩ টা খোরমা,এইটা কোনভাবেই ভুলবেন না। আর সকালের নাস্তায় রাখুন আমন্ড বা পেস্তা। ওজন বৃদ্ধিতে আপনার ডায়েট চার্টে বাদামের পরিমাণ বেশি রাখুন। এভাবে নিয়ম মেনে ড্রাই ফ্রুটস খেলে দেখবেন এক মাসের মধ্যেই আপনার ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

(৭) টেনশনমুক্ত থাকুন
সব সমস্যার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে টেনশন। ওজন বৃদ্ধিতে যেমন টেনশনমুক্ত থাকা প্রয়োজন ঠিক তেমনি ওজন কমাতেও টেনশনমুক্ত থাকা খুবই আবশ্যক। আজকাল টেনশনমুক্ত থাকা খুবই কঠিন তাও চেষ্টা করবেন যতটা সম্ভব টেনশনমুক্ত থাকার।

(৮) মোটা হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম 

শরীর ঠিক রাখতে ঘুম খুবই প্রয়োজন। প্রতিদিন ৮ ঘন্টা অবশ্যই ঘুমাতে হবে। এর থেকে কম হওয়া যাবে না। এছাড়া ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন নিয়ম করে ইয়োগা বা যোগাসন করুন। এতে আপনার ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।

(৯) ঘুমানোর আগে দুধ মধু খান
ঘুমোতে যাওয়ার আগে এমন কিছু খেতে পারেন যা বেশ পুষ্টিকর এবং ক্যালোরিযুক্ত। কারণ সেটা ঘুমিয়ে পরছেন বলে খরচ হচ্ছে না এবং পুরো রাত আপনার শরীরে ক্যালোরির কাজ করবে এবং ওজন বৃদ্ধি করবে। তাই প্রতিদিন ঘুমানোর আগে দুধ ও মধু মিশিয়ে খান। এটি ওজন বৃদ্ধিতে পরীক্ষিত এবং মোটা হওয়ার সহজ উপায়। 

(১০) দৈনিক ২/৩ টি ডিম খেতে পারেন সিদ্ধ  ডিমের সাদা অংশটা বেশ উপকারী লাগাতার ২/৩ মাস খেতে হবে।

(১১) বাহিরের খাবার
মোটা হওয়ার জন্য বাহিরের খাবার 
সচরাচর বাহিরের খাবার খেতে আমরা নিষেধ করে থাকি। কিন্তু ওজন বৃদ্ধিতে বাহিরের খাবার যেমন আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিঙ্কস, বার্গার ইত্যাদি খাবার খুবই কার্যকরী। তাই আপনি চাইলে এগুলো খেতে পারেন কিন্তু তা হবে পরিমাণমতো। আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে চকলেট এবং চিজও রাখতে পারেন।

(১২)ওজন বৃদ্ধি, হ্রাস অথবা শারীরিক যেকোন কাজের ক্ষেত্রেই পানি খুব উপকারী। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। নিয়ম করে এই মোটা হওয়ার সহজ উপায় লক্ষ্য করলেই আপনি ওজন বৃদ্ধি করে পাবেন সুন্দর স্বাস্থ্য। নিজের যত্ন নিন ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন। 
(১৩) সিদ্ধ  আলু বা আলুর সিপ্স ও খেতে পারেন।  
(১৪) পিউর খাঁটি ঘি আপনার দৈনিক খাবারে ম্যানুয়ালে রাখতে পারেন 
(১৫) ধুমপান ও যাবতীয় নেশা থেকে আবশ্যই দূরে থাকতে হবে।

উপরোক্ত  টিপস গুলোর মধ্যে আপনাদের সুবিধা মত কয়েকটি ফর্মুলা  এক সাথে ব্যবহার করতে পারেন। তবে নিয়ম করে কয়েক মাসের জন্য রুটিন তৈরি করে সেবন করুন।
তবে ১৫ দিন বা ১ মাসে শরীর মোটা তাজা করার ট্যাবলেট এডিয়ে চলুন এ গুলো সেবনে অনেক সময় শরীরে পানি এসে যায় যা কিডনী ডেমেজের কারন ও বটে।তবে সাধারণ নিয়মমাফিক ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসার বিকল্প নেই। 

যারা প্রাকৃতিক ব্যবহারে অনীহা তাদের জন্য রয়েছে 

১, আমলকী ( ক্যারট এন্ড আমলকী) 
২,এযাজ ক্যাপ
৩,শরবত সেব
৪,মুকাব্বি খাস
৫,শরবত মিছালী
৬,সয়াভেজিটাবল মিল্ক
৭,হার্বালাইফ সয়া ফ্রোটিন
৮,হার্বালাইফ চকলেট শিশু
৮,বডি প্লাস ৪০০০৳ ১ ফাইল মাত্র।  
ইত্যাদি  চিকিৎসক এর পরামর্শ এ সেবন। 

সৌজন্যে
ভূঁইয়া ন্যাচরাল হার্বস
হাকীম এম এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া। 
০১৮২৯৩১৮১১৪

মঙ্গলবার, ২৬ মে, ২০২০

নারীদের যৌন শীতলতার কারণ ও চিকিৎসা

নারীদের যৌন শীতলতার কারণ ও চিকিৎসা 
টেস্টোস্টেরণ হরমোন বৃদ্ধির উপায় ঃ 

আমরা সর্বদা পুরুষদের যৌন সমস্যার কথা আলোচনা করে থাকি বা শুনে থাকি অথচ  জন সংখ্যার অর্ধেকই নারী তাহলে কি তাদের এ সমস্যাটা নেই তাহলে কেন আলোচনা হয়না, তাই আজকে আমরা নারীদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবো। 
মূলত নারীরা লাজুক স্বভাব হওয়ার কারনে তারা প্রকাশ করতে চান না, আসলে যে কোন রোগ হলেই  চিকিৎসার বিকল্প নেই। 

নারীদের যৌন শীতলতার অনেক কারণ  আছে 
যেমনঃ
দাম্পত্য জীবনে কলহ ঝগডা লেগে থাকা,, মনমত সাথী বা স্বামী না পাওয়া, 
মানসিক কারনে,বয়ঃসন্ধির আগে সহবাস, গর্ভাবস্থায়, বুডো বয়সে, স্হায়ী ভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি  গ্রহণ, সন্তান ধারনে অক্ষম হলে,জরায়ুতে অপারেশন হলে,
হরমোনের  ঘাটতি হলে, যৌন রস বাহির না হওয়ার কারনে, বা কম বের হলে , সহবাস কালীন যৌনাঙ্গে ব্যাথা হলে,রুগ্ন ভগ্ন শরীর হলে, বিভিন্ন রোগ- শোক ভোগার কারনে, অপুষ্টিতে ভোগার কারনে যৌন কর্মে অনীহা আসতে পারে, ইত্যাদি অনেক কারন থাকতে পারে।

চিকিৎসা হিসাবে ডাক্তারের পরামর্শে, ৩/৬  মাস চিকিৎসা নিলে আশা করি সুফল পাবেন ইনশাআল্লাহ। 

১, টিটানিয়াম,
২,লিউকোরিয়া প্লাস 
বা অশোকা3 x,
৩,মুকাব্বি খাছ ক্যাপ 
৪,হিপার সালফ ক্লাভাটাম 
৫,জিংসিং +
৬, মাজুন আরদে খোরমা 

ইত্যাদি ঔষধ  চিকিৎসক এর পরামর্শে ব্যবহার করা যেতে পারে। 

তাছাডা টেস্টেস্টেরন হরমোন নারী পুরুষ,শুক্র, শুক্রানু বৃদ্ধি ও শক্তিশালী করতে,যৌনশক্তি বাডাতে  বিভিন্ন পুষটিকর খাবার ও চিকিৎসার বিকল্প নেই। 

যেমনঃ 
১, দৈনিক ১০ টি খেজুর,১০ টি কিসমিস, ২০ টি বাদাম,৩ মাস লাগাতার সেবন করতে পারেন।
২, কালোজিরা ফুলের মধু,কালোজিরা তেল,ও জয়তুন তেল ১ চামচ করে মিশিয়ে সেব্য ৩ মাস।
৩, তাছাডা পদ্ধ ফুলের মধু,আধা সিদ্ধ ডিম,দুধ  ৩ মাস সেবনে আশানুরূপ সাফল্য অর্জন করতে পারেন। 


তাছাডা চিকিৎসা হিসাবে হরমোনের ঘাটতি পুরনে  সেবন করতে পারেন। 

১, মাজুন আরদে খোরমা,জিংসিং ক্যাপ,আর জেলী ক্যাপ,জিংসিং ইকোনো ট্যাব, ব্যবহার করা যেতে পারে কমাজকম ৩/৬ মাস।
টেস্টোস্টেরণ হরমোন বৃদ্ধি ও যৌন ও প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অত্যন্ত কার্যকর। 


সৌজন্যে
ভূঁইয়া ন্যাচরাল হার্বস 
হাকীম এম এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া। 
০১৮২৯৩১৮১১৪ 
শুধু মাত্র ইমু ওয়াতসাফ এ

সোমবার, ২৫ মে, ২০২০

যৌন চিকিৎসার সমাধান কি ১ সাপ্তাহে সম্ভব?

(ক)ভেষজ চিকিৎসা নিতে হলে করনীয় কি?
(খ) যৌন সমস্যার সমাধান কি এক সপ্তাহে সম্ভব?

আজকে আমি এখানে  উপরোক্ত দূটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।

উত্তর (ক) সর্ব প্রথম যারা ভেষজ চিকিৎসা নিতে হলে করনীয়  এ ব্যাপারে জানার চেষ্টা করবো,
যারা আমাদের প্রাকৃতিক চিকিৎসা নিয়েছেন বা নিতে আগ্রহী বা অন্য কোথাও থেকে চিকিৎসা নিতে চান   তাদের প্রতি নিবেদন।

আমরা রোগ হলে বিভিন্ন চিকিৎসা নিয়ে থাকি এটাই এ ধরণীর সিস্টেম কিন্তু সকলকে একটা কথা বুঝতে হবে যে, যে রোগ দাতা ও মুক্তি দাতা হলেন আল্লাহ তায়ালা ,"ওয়া ইজা মারিয্তু ফা-হুয়া ইয়াস্- ফিন্ " আমরা যখন অসুস্হ হই আল্লাই শেফা দেন,
কেননা আল্লাহু হুয়াশ শাফী" একমাত্র আল্লাহই শেফা দান কারী।
কিন্তু রোগ হলে চিকিৎসা নেয়া সুন্নাতুল আম্বিয়ার অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু ডাক্তার কবিরাজ বা ঔষধ শেফা দানকারী নয়। তা একটা উসিলা মাত্র।
তাই দেখা যায় কোন কোন বড ডাক্তার যেখানে ফেইল সেখানে সাধারণ একজন ডাক্তারের চিকিৎসায় আরোগ্য লাভ করেন।
সে হিসাবে কোন ডাক্তার বা কবিরাজ বা চিকিৎসা কে অবগ্ঘা করতে নেই। সব ঔষধ সকলকে কাজ করেনা আবহাওয়া পরিবেশ বয়স মেজাজ সহ রোগ নতুন পুরাতন ইত্যাদি অনেক কারণ থাকতে পারে।সঠিক রোগ ও ডোজ নির্ণয় ও একটা ব্যাপার আছে।

তাছাডা আধ্যাত্মিক বিষয় যেমন ঔষধ সেবনের পর ঐ ঔষধ আল্লাহর কাছে অনুমতি প্রার্থনা করেন যে, সে তার কার্যকরীতা বা ক্ষমতা প্রয়োগ করবে কিনা? আল্লাহর পক্ষ থেকে অনুমতি প্রাপ্ত হলেই সে তার কার্যক্রম প্রয়োগ করেন এবং রুগি সুস্হ হয়ে উঠেন রোগ থেকে মুক্তি লাভ করেন।
এ জন্য যে কোন ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে হলে আপনাকে ধৈর্য্যশীল হতে  হবে। নিয়মিত আপডেট জানাতে হবে প্রয়োজনে ঔষধ পরিবর্তন পরিবর্ধণ সহ পরামর্শ দিবেন। তাছাডা কোন কোন রোগের জন্য ৩ দিন ১৪ দিন ২১ দিন, ১ মাস থেকে ৩ মাস ৬ মাস ১ বছর এমন কি সারা জীবনও নিয়মিত ঔষধ সেবন করতে হতে পারে।যাকে রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা বলে যেমন ডায়বেটিস প্যাসার এলার্জি ইত্যাদি । তাই বলে এক দিন বা সাপ্তাহ বা এক ফাইল ঔষধ সেবনে কেউ রোগ মুক্তির গ্যারান্টি দিতে পারেনা বা পারবেনা।আমরাও পারিনা।
অনেক সময় দেখা যায় ডাক্তার বলছেন ৩/৬ মাস ঔষধ সেবন করতে হবে এমতাবস্হায় যদি ১/২ মাস সেবনে ঔষধ সেবন বন্ধ করে দেন তখন কি হবে ভেবে দেখুন, না-এধার না- ওধার। 
তবে আমরা আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা ও চিন্তা ভাবনা করে চিকিৎসা বা পরামর্শ দিয়ে থাকি।
সুতরাং আল্লাহই শেফাদানকারী এ কথা আমাদের কে মনে প্রানে বিশ্বাস করতে হবে।
তাছাডা ভেষজ চিকিৎসা ধীরগতি হলেও দীর্ঘ স্হায়ী, স্হায়ী চিকিৎসা যা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন। আর যারা দ্রুত আরোগ্য পেতে চান তারা ভেষজ চিকিৎসা বা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা না নেয়াই শ্রয়।
আর ভেষজ চিকিৎসা এটাই পৃথিবীর সর্ব প্রথম চিকিৎসা যা হযরত আদম আঃ নিজে ব্যবহার করেছিলেন "স্পুরিলীনা "দ্বারায়।
ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় সকল নবী রসুলগন সহ মহামনিষীগন এ প্রাকৃতিক চিকিৎসা গ্রহন করেছিলেন। আর আমাদের প্রিয় নবী সাঃ ও ১২ ভেষজ দিয়ে চিকিৎসা নিয়েছিলেন বলে বিভিন্ন গবেষণার ফুটে উঠে।  আজকালও সারা পৃথিবীতে ভেষজ নিয়ে অনেক গবেষণা হচ্ছে, মানুষ আবার প্রকৃতির দিকে ধাবিত হচ্ছে।
বাংলাদেশে দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম আর গবেষনা করে আসছেন লায়ন ডাঃ আলমগীর মতি,তিনি একটি নাম, একটি ইতিহাস একটি প্রতিষ্ঠান mxn মর্ডান হরাবাল কোং লিঃ এর স্বতাধিকারী ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। দেশী বিদেশী আন্তর্জাতিক স্বকৃতী প্রাপ্ত, ইউরোপিয় ইউনিয়নের এ ওয়ার্ড প্রাপ্ত হারবাল চিকিৎসক ও গবেষক।
আমরা মূলত তারই গবেষণা লব্ধ ঔষধ সহ আরও বিভিন্ন নামিদামী দেশী বিদেশী ঔষধ দিয়ে চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ দিয়ে থাকি।সুতরাং আপনাদের যে কোন সমস্যায় ফ্রী পরামর্শ দিতে আমরা কুন্ঠবোধ করবোনা মানব সেবাই পরম ধর্ম বা ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ সে হিসাবে আমরা সদা প্রস্তুত।

(খ) যৌন সমস্যার সমাধান কি আসলে ১ সাপ্তাহে সম্ভব?

হাজারো লাখো মানুষের মনের কথা অনেকে মনে করেন যৌন সমস্যার সমাধান ১ সাপ্তাহে বা ১ মাসেই সম্ভব আসলে কি তাই!কারণ হাটে বাজারে এ রকম অনেক পোস্টার বিজ্ঞাপন দেখতে পাই । আসলে কিন্ত তা সম্পূর্ণ ভূল ধারণা,
কারণ কারো যৌন সমস্যা ১ দিনে বা ১ মাসের সমস্যার কারণে হয়না বরং দীর্ঘ দিনের বিভিন্ন শারিরীক মানসিক সমস্যা রোগ- শোক অনিয়ম,,হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ ও শরীরের উপর অপকল্পনীয় অত্যাচার সহ অপুষ্টি ইত্যাদির কারনে হয়ে থাকে ।বিশেষত স্বপ্নদোষ আর হস্তমৈথুনের কারনে সৃষ্ঠ যৌন সমস্যা কিন্তু খুব জটিল। অপরিনত বয়সে অপরিপক্ক হওয়ার আগে বা সাথে সাথে যখন হস্তমৈথুন করে যৌন জীবনের শুরুতেই আগাটা ভেঙ্গে দেয়া হয় তখন আসল জিনিষটা হারিয়ে যাওয়ার কারণে যতই চেষ্টা আর চিকিৎসা গ্রহন করুননা কেন একেবারেই ১০০% সুস্হ হওয়ার আশা করা যায়না।তবে হ্যাঁ ৭০% ৮০% সুস্হ হওয়া যায় যদি নিয়মিত অভিজ্ঞ ডাক্তারের শরনাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নেয়া যায় কিন্তু তার সমাধান ১ সাপ্তাহ বা ১ মাসের চিকিৎসায় স্হায়ী চিকিৎসা কোন দিন সম্ভব না, তবে হতে পারে তা সাময়িক মাত্র। তবে সেক্সুয়াল সমস্যার জন্য ওয়ানটাইম মেডিসিন একেবারেই অনূচিত অনেক সময় দেখা যায় ওয়ানটাইম মেডিসিনে অভ্যস্হ হলে পরবর্তিতে নৃপুঃ হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে ।
তবে স্হায়ী চিকিৎসা নিতে হলে বা স্হায়ী সমাধান পেতে হলে আবস্হা ভেদে দীর্ঘ স্হায়ী যেমন ৩/৬/৯/১২/মাস নিয়মিত চিকিৎসার সাথে বিভিন্ন পুষ্টিকর খাদ্য -পথ্য সেবনের বিকল্প নেই। বাস্তব অভিগ্গতা তাই বলে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় ২/৩/৪ প্রকারের সমস্যা নিয়ে অনেক রুগি আসেন যেমন পেশাবের সাথে ধাতু যাওয়া ,স্বপ্নদোষ, হস্তমৈথুনের কারনে বীর্য পাতলা , লিঙ্গের সমস্যা টাইমিং সমস্যা ,পেটের পীডাসহ ইত্যাদি নানানবিধ শারিরীক অন্যান্য সমস্যা নিয়ে আসেন আর বলেন যে আমাকে ১/২ সাপ্তাহের মধ্যে ভাল চিকিৎসা দিন।

এখানে একটা কথা স্বরণ রাখতে হবে যে এখানে মূলত পৃথক পৃথক ৪ টা সমস্যা প্রত্যেকটার জন্য ভিন্ন ভিন্ন চিকিৎসার বিকল্প নেই তাই এক সাথে ৪ টার চিকিৎসা ও সম্ভব না তাই একেকটা করে ধারাবাহিক চিকিৎসা নিতে হবে । প্রত্যেকটির ব্যাপারে ৩ মাসের কোর্স নিলেও ১২ মাসের প্রয়োজন কিন্তু তা না করে ধারাবাহিক চিকিৎসা না করে অনেকে ২ সাপ্তাহ ১ মাস বা ২ মাস ঔষধ সেবন করে ক্ষান্ত হন ফলে তেমন কোন উপকার পান না এবং এতে করে হাকিম কবিরাজ আর হারবাল ঔষধের বদনাম ছডাতে থাকেন।
আপনি হাকিম কবিরাজদের পরামর্শে আবস্হাভেদে কমাজকম ৩/৬ মাস ৯ মাস বা ১ বছর চিকিৎসা নিয়ে দেখুন কি হয়। 
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্হার গবেষণা মতে  যৌন দূর্বলতা  ধাতুদৌর্বল্য চিকিৎসায় ভাল ফলাফল পেতে হলে যে কোন চিকিৎসা  নিয়মিত   ধারাবাহিকতা রক্ষা করেই যদি কেউ  ১২০ থেকে ১৮০ দিন চিকিৎসা  নেন তাহলে আশানুরূপ ফলাফল পেতে পারেন। 
যারা ধৈর্য্য ধরে চিকিৎসা নেন তারা আবশ্যই সুস্হ হবেন।অনেক সময় রুগির শারীরিক ও আর্থীক আবস্হা ভেদেও অনেক সময় চিকিৎসা দেয়া হয় প্রাথমিক আবস্হায় নরমাল কমদামী ঔষধ দিয়ে চিকিৎসায় আশানুরুপ ফলাফল না পেলে উচ্ছ পাওয়ারী মেডিসিন প্রয়োগ করতে হয় যেটা সকল ডাক্তারাই করেন ,অনেক সময় রুগিরা অধৈর্য্য হয়ে হারবাল ঔষধের বদনাম করতে থাকে এবং চিকিৎসা থেকে বিরত থাকেন এটা মূলত অজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ হারবাল চিকিৎসাই হল আদি আসল ও নিরংস্কুশ পার্শ প্রতিক্রিয়াহীন একটি চিকিৎসা ব্যবস্হা বর্তমানে সারা পৃথিবীতে হারবাল গবেষক ও বৈজ্ঞানিকগন নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
তাছাডা রাস্তার পাশে গাডিতে বা বাজারে বিভিন্ন হেন্ডবিল বা কেম্বাচারদের লিকচার শুনে কেউ প্রতারিত না হয়ে রেজিষ্টার্ড/হেকিম কবিরাজ/ ডাক্তারদের শরনাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নেয়া বুদ্ধি মানদের কাজ।
তাছাডা আমরা
MxN মডার্ণ হারবাল গ্রুপ তথা বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ও ১ নং এ লাইসেন্স প্রাপ্ত নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কোম্পানী। ডাঃআলমগির মতি স্যার এর প্রতিষ্ঠিত ও গবেষণাকৃত ঔষুধ / পথ্য সহ দেশী বিদেশী বিভিন্ন ঔষধ/ পথ্য দিয়ে যৌন চিকিৎসা সহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা /ও ফ্রি পরামর্শ দিয়ে থাকি।
তাছাডা আবস্হা ভেদে বিভিন্ন দেশি- বিদেশী ঔষধ সেবনের মাধমে ও চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকি।অত এব আপনাদের যে কোন সমস্যা যোগাযোগ করতে পারেন।

যোগাযোগ
ভূঁইয়া ন্যাচরাল হার্বস 
মিরসরাই চট্টগ্রাম 
ওয়াতসাফ /ইমু
০০৯৬৬৫০৪৯৬৭৮৬৩
০১৮২৯৩১৮১১৪

বীর্য সংক্রান্ত অজানা তথ্য

মানুষের মহামূল্যবান বীর্য সংক্রান্ত  অজানা তথ্য 

বীর্যের যাবতীয় তথ্য - 
আপনার বীর্যের গুনাগুন কি সঠিক আছে?
গড়পড়তা প্রতি বীর্যস্থলনে উত্‍পাদিত
বীর্যের পরিমান ২ থেকে ৫ মিঃলিঃ। 
বীর্যের পরিমান এবং পুর্বের বীর্যপাতের সময় ব্যবধানের হিসাব অনুযায়ী বীর্যের ঘনত্বের
তারতম্য হিসাবে ১ বার বীর্যপাতে
২,৭০,১৬,৪০৯ টি শুক্রকীট বের হয় আসে। প্রতিবার বীর্যের সাথে। 
(একেকবারের স্থলনে) শুক্রানুর
সংখ্যা ৪ (চার) কোটি থেকে ৬০
(ষাট) কোটি পর্যন্ত হতে পারে।
বীর্যে শতকরা ২০ ভাগ শুক্রানু জীবিত
না হলে সে পুরুষ বন্ধা ।পুরুষাঙ্গ
থেকে বীর্য নির্গত হবার গড়পড়তা
বেগ ঘন্টায় ২৮ কিলোমিটার। কিন্তু
এটা নারী যোনীতে প্রবেশের পর
গতি হ্রাস পায়।
মাত্র ৬ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের যোনী নালী
অতিক্রম করতে শুক্রানুগুলোর ৫ মিনিট
সময় লাগে। এবং নারীর ডিম্ব খুজে
পেতে ৭২ ঘন্টারমত সময় ব্যায় হয়।
শুরুতেই বলে রাখি - বীর্য শুধুমাত্র
পুরুষের প্রজননতন্ত্র থেকে নির্গত হয়।
নারীর বীর্য বলে কোন কিছু নেই।
নারীর কখনো বীর্য নির্গত হয়না। তবে
যেহেতু নারীর যৌনাঙ্গ এবং মুত্রথলি
খুব কাছাকছি অবস্থিত এবং মিলনকালে
মুত্রথলিতে যথেষ্ট চাপ পড়ে তাই মিলনে
পুর্নতৃপ্তিতে শেষের দিকে সামান্য
পরিমান প্রস্রাব বেরিয়ে যেতে পারে
যাকে পুরুষ/নারী অজ্ঞতাবশত বীর্য
বলে ধরে নেন।

বীর্য কি?
বীর্য হল অসচ্ছ, সাদা রঙের শাররীক
তরল যা বীর্যস্থলনের সময় পুংলিঙ্গের
ভিতর দিয়ে প্রবাহিত মুত্রনালীর
মাধ্যমে শরীর থেকে বাহিরে নির্গত
হয়। বীর্যের বেশি অংশ যৌন অনুভুতির
সময় পুরুষ প্রজননতন্ত্রের ক্ষরন/নিঃসরন
হতে সৃষ্ট।
৬৫% বীর্য-তরল ধাতুগত
গুটিকা (seminal vesicles)
দ্বারা উত্‍পাদিত।
৩০% থেকে ৩৫% মূত্রস্থলীর গ্রীবা সংলগ্ন
গ্রন্থিবিশেষ থেকে সরবরাহকৃত। ৫%শুক্রাশয় এবং অন্ডকোষের epididymes নামক অংশ হতে।
বীর্যে প্রাপ্ত রাসায়নিক পদার্থগুলো
হলো যথাক্রমে - সাইট্রিক এসিড, ফ্রি
এ্যামিনো এসিড, ফ্রাকটোস, এনজাইম,
পসপোহ্‌রিলকোলিন, প্রোষ্টাগ্লেন্ডিন,
পটাশিয়াম এবং জিংক। গড়পড়তা প্রতি
বীর্যস্থলনে উত্‍পাদিত বীর্যের পরিমান
২ থেকে ৫ মিঃলিঃ। বীর্যের পরিমান
এবং পুর্বের বীর্যপাতের সময় ব্যবধানের
হিসাব অনুযায়ী বীর্যের ঘনত্বের
তারতম্য এবং প্রতিবার বীর্যের সাথে
(একেকবারের স্থলনে) শুক্রানুর সংখ্যা
৪ (চার) কোটি থেকে ৬০ (ষাট) কোটি
পর্যন্ত হতে পারে। বীর্যে শতকরা ২০
ভাগ শুক্রানু জীবিত না হলে সে পরুষ
বন্ধা - অর্থাত্‍ সন্তান জন্মদানে অক্ষম।
ডাক্তারী পর্যবেক্ষনের জন্য সাধারনত
হস্তমৈথুনের সাহায্যে বীর্যের নমুনা
সংগ্রহ করা হয়। তবে বীর্যদাতা যদি
শারিরীক মিলন ব্যতিত বীর্যস্থলনে
অসমর্থ্য হন, সেক্ষেত্রে রাসায়নিক
বিক্রিয়া হয়না এবং শুক্রনিধক পদার্থ
নেই এমন কনডম ব্যবহার করে বীর্যের
নমুনা সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।
############################
স্বাভাবিক/সাধারন বীর্য দেখতে কেমন?
১,বাহ্যিক রূপঃ
বীর্য সাধারনত দেখতে মেঘলা সাদা
অথবা কিছুটা ধুসর তরল। বীর্যস্থলেনের
সাথে সাথে এটি দেখতি গাঢ় এবং
জেলীর মত ইষত্‍ শক্ত। তবে পরবর্তি ৩০
মিনিটের মধ্যে বীর্য তরল এবং পানির
মত পাতলা হয়ে যায়। বীর্যের পুরু এবং
তরলীকরণ প্রজনন তথা সন্তান জন্ম
দেবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপুর্ন একটি বিষয় ।
২,গন্ধ:
বীর্যে ক্লোরিন এর মত একপ্রকার
স্বাভাবিক গন্ধ থাকে।

৩,স্বাদ:
অধিক মাত্রায় ফলশর্করা (fructose)
থাকার কারনে এটি কিছুটা মিষ্টি
স্বাদযুক্ত। তবে ব্যাক্তিবেধে বীর্যের
স্বাদের পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। এমনকি
খাদ্যাভ্যাসের পার্থক্য থেকে বীর্যের
স্বাদের পরিবর্তন হতে পারে।

৪,কি রকম বীর্যকে 'অস্বাভাবিক বীর্য'
বলা হবে ?
অল্প পরিমানে বীর্য বের হওয়া:
বীর্যস্থলনে বীর্যের পরিমান কম হবার
কারন হতে পারে ধাতুগত গুটিকা (seminal
vesicles) অথবা বীর্য নিঃসরন নালীর
(ejaculatory duct) প্রতিবন্ধকতা।

৫,অল্প পরিমান বীর্যরস নির্গত হওয়া
হয়তো বিপরিতগামী বীর্যস্থলনের
কারনেও হতে পারে, যদি বীর্য
নিঃসরনের সময় বীর্যের প্রবাহ
মুত্রনালী দিয়ে বাহিরের দিকে না হয়ে
উল্টোপথে মুত্রথলির দিকে প্রবাহিত হয়
- সে অবস্থায় এমনটি হতে পারে।
বীর্যের এই বিপরিতমুখীতা মূত্রস্থলীর
গ্রীবা সংলগ্ন গ্রন্থির সংক্রমন, পুর্বের
কোন মূত্রস্থলীর গ্রীবা সংলগ্ন গ্রন্থির
(prostate) অস্ত্রপ্রচার, ডায়াবেটিস
এবং অনেক ঔষধের পাশ্বাপ্রতিক্রিয়ায়ও হতে পারে। 

৬,অতিরিক্ত গাঢ় এবং পিন্ডাকার বীর্য ঃ
শরীরে পানিশুন্যতার কারনে বীর্য
হয়তো অস্বাভাবিক গাঢ় হতে পারে ,
তবে এটি একটি অস্থায়ী অবস্থা।
গাঢ় / পিন্ডাকার বীর্যের একটু ভয়ানক
কারন হল শুক্রাশয় এর নিন্মমুখী স্তর।
যদি আপনার বীর্য একনাগাড়ে দুই থেকে
তিন সপ্তাহ এ রকম আস্বাভাবিক দেখা
যায় তবে অবশ্যই ডাক্তারের শরনাপন্ন
হতে হবে।
৭,লাল অথবা বাদামী রঙের বীর্য:
যদি আপনার বীর্য লাল অথবা বাদামী
রঙের দেখা যায় তাহলে মূত্রস্থলীর
গ্রীবা সংলগ্ন গ্রন্থি (prostate) তে
হয়তো বিস্ফোরিত রক্তপ্রবাহ হচ্ছে।
এটি সাধারন বীর্যস্থলনের সময়ও দেখা
যেতে পারে। এবং সাধারনত এক কিংবা
দুই দিনে বীর্য তার স্বাভাবিক রঙে
ফিরে আসতে পারে। যদি বীর্যের এই রঙ
পরিবর্তন একটানা কয়েকদিন থেকে
দেখা যায় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের
কাছে পরামর্শের জন্য যেতে হবে।
অবিরাম বীর্যের মধ্যে রক্তের
উপস্থিতি হয়তো কোন প্রকার সংক্রমন,
রক্তক্ষরন (হয়তো মানসিক আঘাত জনিত
কারনে), এবং বিরল ক্ষেত্রে ক্যন্সারের
কারনে দেখা যেতে পারে।


৮,হলুদ কিংবা সবুজ রঙের বীর্য:
সাধারন বীর্যে ধুসর সাদা কিংবা ইষত্‍
হলুদ বনর্চ্ছটা থাকতে পারে।
হলুদ কিংবা সবুজ রঙের বীর্য হয়তো
রোগ সংক্রমনতা নির্দেশ করে , হতে
পারে এটি যৌনবাহিত রোগ ' গনোরিয়া '
র' লক্ষন।
আপনার পাশ্ববর্তী কোন চিকিত্‍সালয়ে
যান যেখানে যৌন বাহিত রোগের চিকিত্‍সা সেবা দেয়া হয়।
যদি বীর্যের এই বিবর্নতা গনোরিয়ার
কারনে হয়ে থাকে তাহলে উপযুক্ত
এ্যান্টিবায়োটিক ঔষধে চিকিত্‍সা
সম্ভব।
৯, বিরক্তিকর গন্ধযুক্ত বীর্য:
বীর্যের বিরক্তিকর গন্ধের প্রায়শঃ
প্রধান কারন হলো রোগ সংক্রমনের
লক্ষন। বীর্যে দুর্গন্ধ পরিলক্ষিত হলে
তাড়াতাড়ি ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে
হবে।


১০,স্পার্ম মরপোলোজি - শুক্রানুর আকার
এবং গঠন ঃ 
পুরুষ বন্ধত্বের জন্য সিমেন এ্যানালাইসিস এর একটি অংশ হল স্পার্ম মরপোলোজি। স্পার্ম মরপোলোজি পরীক্ষা দিয়ে মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে বীর্যে
শুক্রানুর হার দেখা হয়।স্বাভাবিক শুক্রানুর মাথা ডিম্বাকার এবং লম্বা লেজ থাকে (দেখেতে অনেকটা বাঙাচির মত)। অস্বাভাবিক
শুক্রানুর মাথা অথবা লেজ বিকৃত , যেমন
খুব বড় আকৃতির মাথা , ভাংগা অথবা
একই শুক্রানুর দুইটি লেজ থাকে। এ সকল
অস্বাভাবিকতা হয়ত শুক্রানুর ডিম্বের কাছে যাওয়া ব্যহত করে।

১১,যাইহোক, বীর্যে সংখ্যার হার হিসেবে
বিশাল অংকের অস্বাভাবিক শুক্রানু
থাকা একটি সাধারন বিষয়, এবং এটি
নারীর গর্ভধারনের ক্ষেত্রে কোন বড়
বিবেচ্ছ্য নয়। বস্তুতঃপক্ষে একজন
পুরুষের শুক্রাণু নমুনা স্বাভাবিক
বিবেচিত হয়না, যদি না অধিকাংশ
শুক্রাণু আকৃতির অস্বাভাবিক পরিসীমায় না হয়।
অস্বাভাবিক শুক্রানুর নিষেকে যদি
নারী গর্ভধারন করেন তাহলে গর্ভের
সন্তান অস্বাভাবিক হবার কোন সম্ভাবনা নেই।


১২,শুক্রানুর আকার ছাড়াও স্পার্ম
মরপোলোজি দ্বারা শুক্রানুর সংখ্যা
এবং এর চলার ক্ষমতা পরীক্ষা করা হয়।
চলার অক্ষমতা এবং স্বল্প সংখ্যক
শুক্রানু উপস্থিতি স্বাভাবিক ভাবেই
অস্বাভাবিক স্পার্ম মরপোলজিতে
দেখা যায় এবং এটা পুরুষ বান্ধত্বের
কারনও হতে পারে।
যদি বীর্য পরীক্ষায় অস্বাভাবিক
স্পার্ম মরপোলজি অথবা অন্য কোন
অনিয়ম পাওয়া যায় তাহলে প্রথমতঃ
'ওয়েট এন্ড সি' মানে রোগীকে
অপেক্ষা করা এবং পুনঃপরীক্ষার জন্য
বলা হয়। 

পরবর্তী পরীক্ষা সাধারনত চার
থেকে ছয় সপ্তাহ পর করা হয় এবং দেখা
হয় প্রাকৃতিক ভাবে শুক্রানুতে কোন
পরিবর্তন এসেছে কিনা? যদি দ্বিতীয়
পরীক্ষায়ও আশানুরুপ ফলাফল পাওয়া
না যায় তখন এর কারন উদঘাটনের জন্য
অন্যান্য আনুষাঙ্গিক পরীক্ষা করা হয়ে
থাকে।


১৩, কিছু কিছু ক্ষেত্রে শুক্রানুর সমস্যাগুলো
জন্মগত এবং তা চিকিত্‍সা করা অসম্ভব।
অন্য ক্ষেত্রে যে সকল কারনে শুক্রানুর
সমস্যা তা চিকিত্‍সার মাধ্যমে শুক্রানুর
কোয়ালিটি ইমপ্রুভ হতে পারে। কিছু
সাধারন ক্ষেত্রে শুক্রানু অস্থায়ী
ভাবে কিংবা স্থায়ীভাবে চিকিত্‍সা
করা যায়। যেমন:
অন্ডকোষের ভিতর শিরা-উপশিরার
আকার বৃদ্ধির সাহায্যে (varicocele)
উচ্চমাত্রায় উষ্ণতা/তাপ এর সাহায্যে।
কিছু নির্দ্ধিষ্ট নিষিদ্ধ ঔষধ ব্যবহার
করে।
সংক্রামন অস্বাভাবিক স্পার্ম মরপোলজি ,
শুক্রানুর চলমানতা সমস্য অথবা কম
সংখ্যায় শুক্রানুর উপস্থিতিতেও হয়তো
গর্ভধারন সম্ভব ! যাইহোক গর্ভধারন সব
সময় সঠিক সময়ে আসেনা। কিছু যুগলের
ক্ষেত্রে এর জন্য বছর লেগে যায়। যদি
অনেক চেষ্টায়ও আপনি গর্ভধারনে সফল
হচ্ছেন না, বর্তমান যুগে প্রজুক্তির
বিশাল বিকাশে এ বিষয়ে বেশি চিন্তা
না করলেও চলে।

১৪,বীর্যের মাথায় ক্রোমোজম থাকে এটি
পুরুষের উর্বরতার উদ্ভব ঘটায়। এক ফোঁটা
বীর্যের মাথা হল একটি ক্ষুদ্র পিনের
মাথার আকারের সমান। অণুবীক্ষণ
যন্ত্রের সাহায্যে এটি দেখা যায়।

সংকলিত।  
সূত্র ঃ 
https://m.dailyhunt.in/news/india/bangla/anm+news-epaper-anmban/18+aapanar+biryer+gad+gatibeg+kat+janen+jene+nin+biry+sampark+aarao+nanan+tathy-newsid-106691477

বীর্য তথা শুক্র বা শুক্রানু কি? বীর্য কেন কি ভাবে পরীক্ষা করা হয়?

বীর্য কেন পরীক্ষা করা হয়?বীর্য পরীক্ষায়  অস্বস্তির সমাধান, বীর্য কি ভাবে পরীক্ষা করাবেন?

কেন শুক্রাণু বিশ্লেষণ  বা পরীক্ষা  করা হয়?
শুক্রাণু বিশ্লেষণ বন্ধ্যাত্বের মূল্যায়নের একটি অপরিহার্য অংশ। বেশিরভাগ দম্পতির মধ্যে পুরুষের এইএকটি মাত্র পরীক্ষারই দরকারহয়। যখন সন্তান জন্মদানে কাউকে অক্ষম মনে হলে তখন বীর্য পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায় যে তার শরীররে শুক্রকিট সবল নাকি দূর্বল, বা এর পরিমান কত টুকু শুক্র কিট  জিবীত না মৃত এগুলো জানার জন্য মুলত বীর্য বা শুক্র পরীক্ষা।
তবে,শুধু একটি অস্বাভাবিক বীর্যবিশ্লেষণ মানেই পুরুষের অস্বাভাবিকতা বোঝায়না। একজন পুরুষের শুক্রাণু উৎপাদনের জন্য ৩ মাস লাগে এবং এজন্য শরীরের বাকি অংশের তুলনায় শীতল তাপমাত্রা প্রয়োজন। এইকারণেই, শুক্রাশয় শরীরের বাইরে অণ্ডকোষের মধ্যে ঝুলতে থাকে। 

সুতরাং, আজকের বীর্য বিশ্লেষণ ৩ মাস আগে একজন মানুষের স্বাস্থ্যকে প্রতিফলিত করে। যদি কোন কারণে (উদাহরণস্বরূপ জ্বর,টাইট আন্ডারওয়্যার, হট টাবে স্নানইত্যাদি), পুরুষের স্বাস্থ্য ৩ মাস আগে অস্বাভাবিক ছিল, তবে বীর্যবিশ্লেষণ অস্বাভাবিক হতে পারে। আবার, ফলাফলগুলি এক ল্যাবরেটরি থেকেঅন্য জায়গায় পরিবর্তিত হতে পারে।

বীর্যএবং শুক্রাণু মধ্যে কোন পার্থক্যআছে?

বীর্যে দুটি অংশ থাকে- শুক্র ও শুক্রাণু, শুক্র যা তরল ("সেমিনাল প্লাজমা")। আর শুক্রাণু হল কিট, যা  খালি চোখে দেখা যায়না। যা আপনি দেখতে পারেন তাহল বীর্য। তাই,বীর্য এবং শুক্রাণু একইনয়। 

কিভাবে বীর্য পরীক্ষা করা হয়?


ল্যাবরেটরিতে কিছু নির্দিষ্ট প্যারামিটার যেমন- ভলিউম (বীর্য-পরিমাণ), লিক্যুইফেকশন টাইম (তরল হতে বীর্যের যে সময় লাগে), রঙ ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়।

শুক্রাণুর মোট সংখ্যা, মোটিলিটি (শুক্রাণুর চলাচলের ক্ষমতা), মর্ফোলজি (শুক্রাণুর আকার), ভাইটালিটি (শুক্রাণু জীবিত না মৃত) ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়। 

গবেষণাগারে WHO ২০১০ এর নিয়মানুসারে বীর্য বিশ্লেশণ করা উচিত (১৯৯২ সালের মতো পুরোনো মত-অনুসারে নয়)। কখনও কখনও, প্রাথমিক রিপোর্টের উপর নির্ভর করে বীর্যের আরও বিশেষ কিছুপরীক্ষা করা হতে পারে।

কিভাবে বীর্য  সংগ্রহএবং বিশ্লেষণ করা হয়? 


সবচেয়ে সহজ এবং সবচেয়ে ব্যবহৃত পদ্ধতি হল হস্তমৈথুন। 
আপনার পর্যাপ্ত গোপনীয়তা এবং স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রেখে পরীক্ষাগারে একটি কক্ষে এটি সংগ্রহ করা উচিত। অবশ্যই অধিকাংশ পুরুষের জন্য বাড়ি থেকে দূরে অজানা পরিবেশে বীর্য সংগ্রহ করা অস্বস্তিকর মনে হতে পারে। সাধারণত ল্যাবরেটরিগুলিতে একটি পৃথক কক্ষ থাকে, যেখানে আপনি আপনার স্ত্রীকেও আপনার সাথে আনতে পারেন।

কি ধরণের প্রস্তুতি প্রয়োজন?

৩ থেকে ৫ দিন (৫ বছরের কম নয়,৩ এর কম নয়) জন্য বিরতি বজায় রাখুন। এর মানে পরীক্ষার ৩-৫ দিন পূর্বে যৌন সম্পর্ক এবং হস্তমৈথুন এড়িয়ে চলা উচিত।তার কারণ, দীর্ঘমেয়াদী (একসপ্তাহেরও বেশি) এবং স্বল্প (২ দিনের কম সময়ের) বিরতির ফলে শুক্রাণু গুণমানও পরিমাণের তারতম্য হতে পারে।

কি ভাবে বীর্য সংগ্রহ করবেন? 

স্বাচ্ছন্দ্যে থেকে সংগ্রহের আগে সঠিকভাবে হাতধুয়ে নিন। সমস্ত বীর্য সংগ্রহ পাত্রে সংগ্রহ করা এবং কোন অংশ বাইরে বাহির করা না  গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি কোন সমস্যা বোধ করেন তাহলে আপনার ডাক্তারকে বলতে দ্বিধা করবেন না।

আমি পরীক্ষাগারে sperm সংগ্রহ করার জন্য লজ্জা বোধ করি। আমার কি করা উচিৎ?
এই বিশেষ করে অনেক পুরুষদের জন্য বিব্রতকর, যদি আপনি প্রথমবার পরীক্ষা করছেন। কিন্তু মনে রাখবেন, এটি একটি পরীক্ষাগারের সাধারণ পরীক্ষা। নিরুদ্বেগ হতে চেষ্টা করুন.

কিছু পুরুষ বীর্য সংগ্রহ করতে পারে না, কেবল মানসিক চাপের কারণে। কাউন্সিলিং এর  সাহায্যে চাপমুক্ত হয়ে অনেক মানুষ এই সমস্যা দূর করতে পারেন।যদি সংগ্রহের সময় আপনার সমস্যাটি Erection এর সমস্যার কারণে হয়, তবে কিছু কিছু ঔষধ আপনার erection উন্নত করার জন্য দেওয়া হয়। যদি আপনার erection থাকে কিন্তু Ejaculation না হয় তবে ভাইব্রো- ইজাকুলেটর আপনাকে সাহায্য করতে পারেন।

আমি চেষ্টা করেছি কিন্তু পরীক্ষাগারে শুক্রাণু সংগ্রহ করতে পারিনি। আমার কি করা উচিৎ? 


পরীক্ষাগারে বীর্য সংগ্রহ করা সর্বোত্তম পদ্ধতি। কিন্তু যদি এটি সম্ভব না হয়, তাহলে আপনি বাড়িতে এটি সংগ্রহ করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে, আপনার বুকের পকেটে তা অবশ্যই বহন করতে হবে এবং সংগ্রহের ৩০ মিনিটের মধ্যে পরীক্ষাগারে পৌঁছতে হবে। সংগ্রহের সময় সম্পর্কে ল্যাবরেটরিকে জানান।

আমি হস্তমৈথুন করতে পারিনা, আমার কি করা উচিৎ? 


চিন্তার কিছু নেই, কিছু মানুষের এই সমস্যা হয়। বিকল্প পদ্ধতি হল্ 

১,ভাইব্রো- ইজাকুলেটর- একটি ছোট ডিভাইস লিঙ্গের সম্মুখ অংশ ("গ্লানস পেনিস")-এ প্রয়োগ করে Ejaculation করা।

২,অ-বিষাক্ত কনডম - বিশেষ কনডম (সাধারণ কন্ডোম নয়) দ্বারা ঘর্ষণ।

৩,৪,সহবাস- কিছু পুরুষ Coitus Interruptus (নিঃসরণের পূর্বেই লিঙ্গ বের করা) করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে অথবা সহবাসের সময় অ-বিষাক্ত কনডম ব্যবহার করা যায়। 

অনেকে বলেন যে সহবাসের সময়ও আমি Ejaculation করতে পারি না।আমি কিভাবে পরীক্ষা করতে পারি?

আপনার ডাক্তারকে জানান। 
কিছু সার্জারি, স্নায়বিক সমস্যা, মেরুদণ্ডের আঘাত, প্রোস্টেট রোগ বা জন্মের সময় সমস্যার কারণে এই সমস্যা হতে পারে। নিম্নোক্ত পদ্ধতিগুলি শুধু শুক্রাণু পরীক্ষার জন্যই দরকারী নয়, ভবিষ্যতে চিকিত্সার জন্য শুক্রাণুগুলি হিমায়িত করে জমিয়ে রাখা যেতে পারে।

১,অ-বিষাক্ত কনডম - যদি আপনার "স্বপ্নদোষ" ("নাইট ফল") থাকে তবে আপনি এই কনডমটি ঘুমানোর সময় লিঙ্গের উপর ব্যবহার করতে পারেন এবংশুক্রাণু সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে নিয়ে যেতে পারেন। যাই হোক, পরিবহন ক্ষেত্রে বিলম্বের কারণে সমস্ত parameter পরীক্ষা করা যাবে না।

২,ভাইব্রো- ইজাকুলেটর- অনেক ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে 
৩,প্রস্রাব পরীক্ষা- কিছু মানুষের সমস্যাটি Retrograde Ejaculation হতে পারে (বীর্য সামনে না এসে মূত্রথলিতে যাওয়া), এ ক্ষেত্রে, হস্তমৈথুনের পরে অবিলম্বে প্রস্রাব থেকে শুক্রাণু সংগ্রহ করা যেতে পারে।

৪, প্রোস্টেট মেসাজ - যদি প্রস্রাব পরীক্ষায় কোন শুক্রাণু না দেখায়, আপনার ডাক্তার আপনার মলদ্বারের মধ্যে দিয়ে আপনার প্রোস্টেট-গ্রন্থিটিকে উত্তেজিত করতে পারেন, যদিওএটি অস্বস্তিকর 
৫,ইলেক্ট্রো-ইজাকুলেশন- যদি প্রোস্টেট মেসাজও ব্যর্থহয়, তবে জেনারেল এনেস্থেশিয়ার অধীনে মলদ্বারের মধ্য দিয়ে একটি ছোট প্রোব ব্যবহারকরে আপনার প্রোস্টেট গ্রন্থিকে উত্তেজিত করা যেতে পারে।

৬, টেস্টিকুলার বায়োপসি - যদি উপরের সব পদ্ধতি ব্যর্থ হয়, তবে শুক্রাণু ভিতরে ভিতরে তৈরি হচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করতে শুক্রাশয়ের মধ্যে সূঁচ ঢুকিয়ে দেখা যেতে পারে (TESA)। 
৭, যদি তা ব্যর্থ হয় তবে শুক্রাশয়ের থেকে শুক্রাণু সংগ্রহ করার জন্য ছোট করে কাটা যেতে পারে (TESE)।

অবশেষে,
বীর্যসংগ্রহের সময় সমস্যা অনেকেরই হয়। সৌভাগ্যবশত,তাদের অধিকাংশ নিজেরাই এই বিব্রতকর পরিস্থিতির কাটিয়ে উঠতে পারেন। আপনি যদি কোনও সমস্যাবোধ করেন, তাহলে আপনার ডাক্তারকে বলতে দ্বিধা করবেন না।কারণ ডাক্তার সাহেবই আপনাকে পরামর্শদিয়ে সাহায্য করবেন  ।  

কপি 
সংকলন সংযোজন 
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া 
সৌজন্যেভূঁইয়া ন্যাচরাল হার্বস 
০১৮২৯৩১৮১১৪   

বুধবার, ১৩ মে, ২০২০

করোনা পরবর্তী অভাব অনটন থেকে মুক্তি পেতে সুরায়ে ওয়াক্বেয়ার আমল

সুরা ওয়াকিয়াহ তিলাওয়াতের বিশেষ কিছু ফজিলত ঃঃ 
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ [রা.] বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন রাতে সুরা ওয়াক্বিয়াহ তেলাওয়াত করবে তাকে কখনো দরিদ্রতা স্পর্শ করবে না। হজরত ইবনে মাসউদ [রা.] তাঁর মেয়েদেরকে প্রত্যেক রাতে এ সুরা তেলাওয়াত করার আদেশ করতেন। [বাইহাকি:শুআবুল ঈমান-২৪৯৮] 


সুরা আর রাহমান, সুরা হাদিদ ও সুরা ওয়াকিয়া’র তেলাওয়াতকারীকে কেয়ামতের দিন জান্নাতুল ফিরদাউসের অধিবাসী হিসেবে ডাকা হবে। অন্য এক হাদিসে আছে, সুরা ওয়াকিয়াহ হলো ধনাঢ্যতার সুরা, 

সুতরাং তোমরা নিজেরা তা পড় এবং তোমাদের সন্তানদেরকেও এ সুরার শিক্ষা দাও। অন্য এক বর্ণনায় আছে: তোমাদের নারীদেরকে এ সুরার শিক্ষা দাও। আম্মাজান হজরত আয়েশা [রা.] কে এ সুরা তেলাওয়াত করার জন্য আদেশ করা হয়েছিল। 

তাছাড়া এ সুরা শারিরিক সুস্থতা রক্ষা ও অসুস্থতা দূরীকরণেও উপকারী। ইমাম গাজালী রহ. বলেন: মাশায়েখদের কাউকে আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে, আমাদের আওলিয়ায়ে কিরামের মধ্যে যে অভাবের সময় সুরা ওয়াকিয়াহ তেলাওয়াতের আমল জারী আছে তার উদ্দেশ্য কি এটা নয় যে, এর উছিলায় আল্লাহ তায়ালা যেনো অভাব মোচন করে দেন এবং দুনিয়াবী প্রাচুর্য দান করেন, তাহলে আখেরাতের আমল দিয়ে দুনিয়াবী সম্পদ কামনা করা কি বৈধ হলো? 

তখন তিনি উত্তরে বলেছিলেন, এ আমলের দ্বারা তাদের উদ্দেশ্য ছিল, আল্লাহ তায়ালা যেনো তাদেরকে যে হালাতে রেখেছেন তার উপরই তুষ্ট থাকার তৌফিক দান করেন। অথবা এমন রিজিক দান করেন যার দ্বারা তারা ইবাদতের শক্তি যোগাবেন অথবা ইলম অর্জনের পাথেয় যোগাবেন। তাই এখানে দুনিয়া তলব করা উদ্দেশ্য হলো না বরং নেকীর কাজের উদ্দেশ্য করা হলো। তাছাড়া অভাবের সময় এ সুরার আমলের কথাটা তো হাদিস দ্বারাই প্রমানিত। এমনকি বর্ণিত আছে যে হজরত ইবনে মাসউদ [রা.] কে যখন তার সন্তানদের জন্য একটি দিনারও রেখে না যাওয়ার কারণে তিরস্কার করা হলো তখন তিনি উত্তরে বলেছিলেন, তাদের জন্য আমি সুরা ওয়াকিয়াহ রেখে গেলাম।

(এখানে একটা কথা না বললে নয় তাহল, আমাদের দেশে প্রায় সকল ক্বওমী মাদরাসায় মাগরীবের পর অধ্যয়ন শুরুর আগে সুরায়ে ওয়াকেয়া তেলাওয়াতের উপর জোর তাগিদ দেয়া হয়। এবং গুরুত্ব সহকারে এ আমলটি করা হয়।এবং ফজরের পর সুরায়ে ইয়াসিনের আমল করা হয়। এবংরাতে  শোয়ার পূর্বে সুরায়ে মুলক্ এর আমল।ও শেষ রাতে তাহাজ্জতের আমল।
রীজিকের পরাগতের  সাথে সাথে দুনিয়া আখেরাতের মঙ্গল ও কামিয়াবীর নিয়তেই মূলত এ আমলটি করা হয়।  আল্লাহ তায়ালা এ আমল এর বরকতে সকল ক্বওমী মাদরাসায় সরকারী কোন দান অনুদান সহযোগিতা ছাডা গায়েবী মদদ নাজেল করেন আমলের বরকতে। এতে সন্দেহের অবকাশ নাই। 
তাছাডা যে কেউ সুরায়ে ওয়াক্বেয়ার আমল করে রীজিকের পারগত সহ দুনিয়া আখেরাতের মঙ্গল কামনার্থে আমলটি করতে পারেন। আমরা অনেক আলেম ওলামা আউলিয়ায়ে কেরামের জিন্দেগী অধ্যয়ন করলে ও এ আমলের কথা জানতে পারি। 

বর্তমান করোনার পরবর্তী পরিস্থিতিতে যারা অভাব অনটনের আশংকা করছেন তাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ তারা প্রতি দিন মাগরীবের পর সুরায়ে ওয়াকিয়ার আমল করতে পারেন। আশা করি আল্লাহ তায়ালা রহম করবেন পরাগত দান করবেন। ইনশাআল্লাহ।  ) 

 [ফয়জুল কাদির-৪/৪১] মূল- হজরত মাওলানা ইউনুস বিন উমর পালনপূরী অনুবাদ- মাওলানা মিরাজ রহমান।। 

সংযোজন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া 

মঙ্গলবার, ৫ মে, ২০২০

কাটাছরা নূরুলগনি ইসলামি একাডেমীর উন্নয়ন কমিটি গঠিত

নূরুলগনি ইসলামিএকাডেমী কাটাছরা মিরসরাই চট্টগ্রাম জানুয়ারি  ২০১৮ সনে প্রতিষ্ঠা লাভ করে অধ্যাবদী  এলাকার কোমলমতি শিশুদের যুগোপযোগী শিক্ষার পাশাপাশি   ও  আধুনিক   নূরানী পদ্ধতি অনুস্বরন করে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে   দ্বীনি শিক্ষাদান করে আসছে।  বর্তমানে ৩ জন শিক্ষকের তত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে আসলেও আগামীতে আরও   শিক্ষক নিয়োগ দান সহ একাডেমিক পর্যায়ের  অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ  এর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। তাই প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের লক্ষ্যে  উন্নয়ন কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছ, তাই একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এম এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া সাহেবের  একান্ত প্রচেষ্টায় ।
আলহাজ্ব মাষ্টার  রফিকুজ্জমান বিকম,বিএড,এর নেতৃত্বে একটি     শক্তিশালী উন্নয়ন কমিটি  গঠন করা হয়।          

এমদাদিয়া তথা উন্নয়ন কমিটি গঠনঃ 
বিগত ১০/১/২০২০ তারিখে একাডেমী মিলনায়তনে এলাকার সর্বসাধারণের সন্মতিতে এলাকার সন্মানীত শিক্ষাবিধ ও শিক্ষানূরাগীর সম্নয়ে ১৩ জন বিশিষ্ট এমদাদিয়া তথা উন্নয়ন কমিটি গঠন করা হয়। 

সন্মানিত সদস্য বৃন্দ

সভাপতিঃজনাব, আলহাজ্ব মাষ্টার রফিকুজ্জমান বিকম, বিএড সাহেব।
 সিনিয়র সহ-সভাপতিঃজনাব,মোঃশাহ আলম হকসাব।

সহ সভাপতিঃ জনাব,এস.এম.সালাউদ্দিন। 

সাধারণ সম্পাদকঃ এম.এম.আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া। 

যুগ্ম সম্পাদকঃ(১)-মোঃআবুল কালাম আজাদ।

যুগ্ম সম্পাদক (২)মোঃশাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী আরমান।  

কোষাধ্যক্ষঃজনাব,মোঃঈসমাইল হোসেন।

সম্মানিত সদস্যঃ
১।জনাব,মোঃনুরুল আলম(সাংবাদিক)
২।মোসলেহ উদ্দিন মান্নান
৩।মোঃনুরুল কবির(দুলাল)
৪।পারভেজ চৌধুরী
৫।মোঃআতিকুল ইসলাম রাহাত
৬।হাফেজ মোঃবেলাল হোসেন।  

  আল্লাহর মেহেরবানীতে ১৩ জন বিশিষ্ট উন্নয়ন কমিটির নাম ঘোষণা করতে পেরে শাহেনশাহে রাজাধিরাজ এর দরবারে শোকর শুকরিয়া আদায় করেন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা আবদুল্লাহ ভূঁইয়া।      
তিনি বলেন ৩ বছরের জন্য আল্লাহ তায়ালা কমিটির সকল সদস্যদের কে লিল্লাহিয়্যাতের সাথে একাডেমীর উন্নয়নে মনোনিবেশ করার তাওফিক দান করতে পারেন  সেই কামনাই করছেন।