Translate

শনিবার, ৪ জুন, ২০২২

শাহীদানা বা হালীম দানার উপকারীতা

#শাহীদানা বা #হালীমদানা,র উপকারিতা:-

☑️আয়রনের উৎস:
অনেক মা বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে চান কারণ তারা মনে করেন যে তারা বাচ্চাদের প্রয়োজনীয়তার জন্য যথেষ্ট দুধ উৎপাদন করছেন না। এটি স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য উপকারী, এছাড়াও এটি আয়রন সমৃদ্ধতার কারণে নার্সিং মায়েদের লাড্ডু আকারে ব্যবহার করা হয়। শরীরে আয়রন শোষণ বাড়াতে লেবুর রস (ভিট সি) সঙ্গে হালিম পানি সম্পূরক।

☑️নিরাময় PCOD:
গার্ডেন ক্রেস বীজ PCOD নিরাময় একটি জাদুকরী প্রভাব হতে পারে।

☑️প্রোটিন ভর্তি:

হালিম বীজ বা শাহী দানা বীজ প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
খালি পেটে এক গ্লাস পানির সাথে মিশ্রিত এক টেবিল চামচ যারা অতিরিক্ত ওজন কমাতে চেষ্টা করছেন তাদের জন্য খুবই উপকারী। 

☑️বদহজম এবং কোষ্ঠকাঠিন্য :

শাহী দানা বীজ যারা প্রায়ই বদহজম এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সম্মুখীন হয় তাদের জন্য একটি আশীর্বাদ হতে পারে। বীজ খাওয়া হজম উন্নতি এবং কোষ্ঠকাঠিন্য মোকাবেলা করতে সাহায্য করে।

☑️মাসিক চক্র নিয়ন্ত্রণ করে:

হালিম বীজের প্রচুর পরিমাণে ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে যা এস্ট্রোজেনের সমতুল্য, হরমোন যা মহিলা শরীরে বিভিন্ন ভূমিকা পালন করে। এই বীজের সক্রিয় উপাদানগুলি মাসিক চক্র নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। যদি আপনি ইতিমধ্যে আপনার হরমোনগুলিকে প্রভাবিত করে এমন ওষুধে থাকেন তবে আপনার খাদ্যে শাহী দানা অন্তর্ভুক্ত করার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। এছাড়াও, অল্প বয়সী মেয়েদের এই বীজ হওয়ার আগে প্রথমে তাদের ডাক্তারের সাথে আলোচনা করা উচিত।

☑️ভাজা হালিম বীজ বা শাহী দানা:

শুকনো  শাহী দানা গুলি ভুনা করুন এবং তাদের ঠান্ডা হতে দিন।তারপরে এটিকে কনটেইনারে রেখে দিন।আপনি আপনার স্যুপ, সালাদ  এই বীজগুলি ছিটিয়ে দিতে পারেন।সর্বদা প্রস্তাবিত সীমাতে থাকার কথা মনে রাখবেন।

☑️হালিম জল বা শাহী দানা জল :

1 গ্লাস জল নিন এবং এটিতে 1 টেবিল চামচ হালিম বীজ রাতারাতি ভিজিয়ে রাখুন।পরদিন সকালে, পানিতে 1 চামচ তাজা লেবুর রস যোগ করুন এবং পান করুন।এটি আপনাকে শক্তিশালী, তৃপ্ত এবং স্বাস্থ্যকর রাখবে!

শাহী দানা বা হালিম দানার 
ক্যালসিয়ামের উতস
গাড,কোমর জয়েন্টের ব্যথার জন্য  খুব কার্যকর। 
সেবনবিধিঃ 
★১ চা চামচ পরিমাণ  শাহীদানা তথা হালীম দানা ১ গ্লাস দুধে জাল দিয়ে সেব্য
★অথবা ১ চা চামচ পরিমাণ শাহীদানা ১ গ্লাস গরম পানিতে মিশিয়ে সেব্য। 
অথবা ঠান্ডা পানিতে ২/৩ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে সেব্য।

★অথবা একটা শুকনো খেজুরের বিচি ফেলে দিয়ে তার মধ্যে  শাহীদানা পুরিয়ে সেব্য ৩-৫ টি খেজুর।

সৌজন্যে 
ভূঁইয়া ন্যাচরাল হার্বস 
০১৮২৯৩১৮১১৪

শুক্রবার, ৩ জুন, ২০২২

ইরেকটাইল ডিসফাংশন কি কেন হয়

ইরেকটাইল ডিসফাংশন কী?

**যৌন মিলনের পূর্বশর্ত হলো, পুরুষের লিঙ্গের উত্থান ঘটবে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, মিলনের পূর্বে পুরুষের লিঙ্গের পর্যাপ্ত উত্থান ঘটছে না। কিংবা কারো কারো আবার উত্থান ঘটলেও, তা বেশিক্ষণ দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। এর ফলে পরিপূর্ণ যৌন মিলনও সম্ভব হচ্ছে না। একজন পুরুষের লিঙ্গের এরুপ উত্থানজনিত সমস্যাকেই বলা হয়ে থাকে ইরেকটাইল ডিসফাংশন।

তবে মাঝে মাঝে কোনো পুরুষের লিঙ্গের উত্থানে সমস্যা হলেই এমনটা বলা যাবে না যে তিনি ইরেকটাইল ডিসফাংশনের শিকার। এগুলো নিছকই বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কিন্তু বিষয়টি কপালে ভাঁজের কারণ হয়ে দাঁড়ায় তখনই, যখন একজন পুরুষ ক্রমাগত এই সমস্যার সম্মুখীন হতে থাকেন। এর ফলে তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন, অবসাদ তাদেরকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে, তারা আত্মবিশ্বাসহীনতায় ভুগতে থাকেন, এবং তাদের দাম্পত্য সম্পর্কও ঝুঁকির মুখে পড়ে। লিঙ্গের উত্থানে ব্যর্থতা কিংবা তা ধরে রাখতে না পারার পেছনে অন্য কোনো শারীরিক সমস্যাও ভূমিকা রাখ রাখতে পারে।

★★★ইরেকটাইল ডিসফাংশনের লক্ষণ
একজন ব্যক্তি যে ইরেকটাইল ডিসফাংশনের শিকার, তা বলা যাবে যদি তিনি নিয়মিত নিম্নোক্ত সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হন:

লিঙ্গের উত্থান ঘটাতে না পারা;
লিঙ্গের উত্থান ধরে রাখতে না পারা;
যৌন আকাঙ্ক্ষা হ্রাস পাওয়া কিংবা কখনোই আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত না হওয়া।

দেখা দিতে পারে কিছু বিরল লক্ষণও;
এছাড়া আরো কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে:

দ্রুত বীর্যপাত হওয়া;
বিলম্বে বীর্যপাত হওয়া;
টেস্টোস্টেরন বা পুরুষের যৌন হরমোনের মাত্রা কম হওয়া;
অ্যানোর্গাজমিয়া দেখা দেয়া, অর্থাৎ পর্যাপ্ত উত্তেজনা সত্ত্বেও অর্গাজম লাভে ব্যর্থ হওয়া।
কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে
ইরেকটাইল ডিসফাংশন হয়েছে, এমন মনে করলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। এবং সেক্ষেত্রে অবশ্যই যথাযথ যোগ্যতাসম্পন্ন চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হবে। তবে যেহেতু অনেকেই লজ্জার কারণে চিকিৎসকের কাছে যেতে সংকোচ বোধ করেন, তাই তারা প্রথমে ব্যক্তিগতভাবে নিজের মধ্যে নিম্নোক্ত সমস্যাগুলো আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে পারেন:

আপনি কি লিঙ্গের উত্থান বা স্থিতাবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট নন?
আপনার কি দ্রুত বা বিলম্বে বীর্যপাত ঘটছে?
আপনার কি ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা আছে?
যদি এই তিনটি প্রশ্নেরই, কিংবা যেকোনো দুটি বা একটির উত্তর 'হ্যাঁ' হয়, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। তবে ভালো হয় প্রথমে পারিবারিক চিকিৎসক বা যে চিকিৎসকের কাছে নিঃসংকোচে সব সমস্যা শেয়ার করা যায়, তার পরামর্শ গ্রহণ করা।
★★★ইরেকটাইল ডিসফাংশন কেন হয়?

পুরুষের লিঙ্গের উত্থান মূলত যৌনোদ্দীপনার সাথে সম্পর্কিত। আর পুরুষের যৌনোদ্দীপনা খুবই জটিল একটি প্রক্রিয়া, যেটির সাথে সরাসরি সংযোগ রয়েছে তাদের মস্তিষ্ক, হরমোন, আবেগ, স্নায়ু, পেশি ও রক্তসংবহনতন্ত্রের। ইরেকটাইল ডিসফাংশন এগুলোর যেকোনো একটির সমস্যা বা অস্বাভাবিকতার কারণে হয়ে থাকতে পারে। এছাড়া চাপ, বিষণ্ণতা বা অন্যান্য মানসিক সমস্যার ফলেও ইরেকটাইল ডিসফাংশন হতে পারে, বা আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে।

কখনো কখনো ইরেকটাইল ডিসফাংশনের পেছনে শারীরিক ও মানসিক দু'ধরনের কারণই প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন ধরুন, কোনো একটি ছোটখাট শারীরিক সমস্যার কারণে হয়তো সাময়িকভাবে আপনার যৌন উদ্দীপনার মাত্রা কমে গেল। কিন্তু এ নিয়ে আপনি এত বেশি চিন্তিত হয়ে পড়লেন যে, সে কারণে পরবর্তীতে আপনার লিঙ্গের উত্থান ঘটা বা ধরে রাখা আরো বেশি কঠিন হয়ে পড়ল। এভাবেই শারীরিক সমস্যার সাথে মানসিক সমস্যা যোগ হয়ে ইরেকটাইল ডিসফাংশনের মাত্রা বহু গুণে বাড়িয়ে দিল।

ইরেকটাইল ডিসফাংশনের শারীরিক কারণ
বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণে ইরেকটাইল ডিসফাংশন দেখা দিতে পারে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

হৃদরোগ;
রক্তনালী সংকীর্ণ হয়ে যাওয়া, 
উচ্চ কোলেস্টেরল;
উচ্চ রক্তচাপ;
ডায়াবেটিস;
ওবেসিটি;
 , কোমরের কাছে অতিরিক্ত চর্বি ও উচ্চ কোলেস্টরল জন্মানো;
প্রোস্টেট ক্যান্সার;
স্লিপ ডিজঅর্ডার বা ঘুমের সমস্যা;
শ্রোণী এলাকা বা মেরুদণ্ডে জখম।

ইরেকটাইল ডিসফাংশনের মনস্তাত্ত্বিক কারণঃ

লিঙ্গের উত্থানের পেছনে মস্তিষ্ক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মস্তিষ্কের থেকে পাওয়া সংকেতের মাধ্যমেই একজন পুরুষ তার দেহে যৌন উদ্দীপনা অনুভব করতে থাকেন, তার মধ্যে বিভিন্ন শারীরিক পরিবর্তন আসতে থাকে, এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে তার লিঙ্গের উত্থান ঘটে। কিন্তু মস্তিষ্ক যদি স্বাভাবিক না থাকে, তার প্রভাব পড়ে লিঙ্গের উত্থানে, ফলে সৃষ্টি হয় ইরেকটাইল ডিসফাংশন। মস্তিষ্ক স্বাভাবিক না থাকার কারণসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য:

অবসাদ, দুশ্চিন্তা ও অন্যান্য মানসিক সমস্যা;
মানসিক চাপ;
অন্যমনস্কতা;
সম্পর্কের অবনতি বা অধারাবাহিকতার কারণে উদ্ভূত চাপ;
আত্মবিশ্বাসহীনতা;
ভীতি।

রিস্ক ফ্যাক্টরঃ

একজন পুরুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে যৌন ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। ফলে একজন মধ্যবয়সী বা প্রৌঢ় পুরুষের তরুণ বয়সের মতো সহজেই লিঙ্গের উত্থান ঘটে না, আর লিঙ্গ খুব বেশি শক্তও থাকে না। তখন বারবার স্পর্শ করে লিঙ্গ উত্থিত ও শক্ত রাখতে হয়।

তবে আজকাল বয়স বিশ বা ত্রিশের কোঠায় আসা মাত্রও অনেকে ইরেকটাইল ডিসফাংশনের শিকার হচ্ছেন। এর পেছনে পেছনে বেশ কিছু রিস্ক ফ্যাক্টর কাজ করতে পারে, যেমন:

 বিশেষ করে ডায়াবেটিস বা হৃদরোগ;
তামাক ব্যবহার, যেটি রক্তনালী বা ধমনীতে রক্তপ্রবাহ আটকে দেয়, ফলে সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক জটিলতা দেখা যায়, যা ইরেকটাইল ডিসফাংশনের জন্ম দিতে পারে;
অতিরিক্ত শারীরিক ওজন থাকলে, বিশেষত ওবেসিটি বা অতিস্থূলতার শিকার হলে;
কোনো চোট বা জখম, বিশেষত তা যদি স্নায়ু বা উত্থান নিয়ন্ত্রণকারী ধমনীকে আক্রান্ত করে;
কিছু বিশেষ ওষুধ ব্যবহার করলে, যেমন অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট, অ্যান্টিহিস্টামিন কিংবা উচ্চ রক্তচাপ, ব্যথা বা প্রোস্টেটে সমস্যার ওষুধ;
বিভিন্ন মানসিক অবস্থা, যেমন- দুশ্চিন্তা, চাপ, অন্যমনস্কতা বা অবসাদ;
মাদকের নেশা, বিশেষত কেউ যদি দীর্ঘদিন ধরে নেশা করে আসে বা মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ করে।
উদ্ভূত জটিলতা
ইরেকটাইল ডিসফাংশনের ফলে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। যেমন:

অসন্তুষ্ট যৌন জীবন;
সঙ্গীর সাথে সম্পর্কে অবনতি;
মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা বৃদ্ধি;
নিজের উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলা;
সঙ্গীকে গর্ভবতী করতে না পারা।

বাঁচার উপায়ঃ-
একবার যদি কোনো ব্যক্তি ইরেকটাইল ডিসফাংশনের শিকার হয়েই যান, সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে ওষুধ সেবন করতে হবে,  কিংবা নিছকই নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করতে হবে। আর যারা এখনো ইরেকটাইল ডিসফাংশনের সম্মুখীন হননি, তাদের উচিত হবে সুস্থতা ধরে রাখার জন্য নিম্নোক্ত কাজগুলো যথাযথভাবে পালন করা:

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা;
শারীরিক সমস্যার অতীত ইতিহাস থাকলে, কিংবা না থাকলেও, প্রতিবছর অন্তত একবার চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চেক-আপ ও মেডিকেল স্ক্রিনিং টেস্ট করিয়ে আসা;
ধূমপান পুরোপুরি বর্জন করা, অ্যালকোহল গ্রহণের মাত্রা সীমিত করা কিংবা নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ না থাকলে পুরোপুরি এড়িয়ে চলা, অবৈধ নেশাদ্রব্য ব্যবহার না করা;
নিয়মিত শরীরচর্চা করা;
অনিয়মিত খাদ্যগ্রহণের বদলে সুষম ও স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য গ্রহণ করা;
রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো ও কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রাম নেয়া;
মানসিক চাপ, অবসাদ, দুশ্চিন্তা বা অন্যান্য সমস্যাকে অবহেলা না করে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।

লেখকঃ
ডা: শ্রী মোহন কুমার
( ডি. এইচ. এম.  এস) বি. এইচ. বি, ঢাকা
হোমিওপ্যাথিক কনসালটেন্ট, হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন
কপি কৃত। 

বিঃদ্রঃ  
এ রোগের জন্য  হোমিওপ্যাথি ও হউনানী আয়ুর্বেদিক হারবাল চিকিৎসা ভাল ফলাফল পাওয়া যায়। 
তবে নিয়ম মেনে ১২০/১৮০ দিন লাগাতার  চিকিৎসার বিকল্প নেই। 


সৌজন্যে 
ভূঁইয়া ন্যাচরাল হার্বস 
০১৮২৯৩১৮১১৪

সোমবার, ২৮ মার্চ, ২০২২

আলেম মুক্তি যোদ্ধা

মুক্তিযুদ্ধে আলেমদের অবদান!
 গোপন রাখা ইতিহাস! 

 আসুন এবার বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেয়া বেশ কয়েকজন প্রসিদ্ধ আলেমের নাম উল্লেখ করছি। নিঃসন্দেহে এর বাহিরে শতশত মুসলিম স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন যারা যুদ্ধ করেছিলেন ততকালীন পাকিস্তানিদের জুলুমের বিরুদ্ধে। তারা সেকুলার রাস্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে যুদ্ধ করে নি। 

৬৬ জন আলেম বীর মুক্তিযোদ্ধার
 তালিকা 👇
১/ মুক্তিযুদ্ধের অগ্রসেনানী মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষানী (টাঙ্গাইল) 
২/ বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মোহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর (নোয়াখালী) 
৩/ বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা শাহ আহমদুল্লাহ আশ্রাফ (ঢাকা) 
৪/ বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশ 
৫/ বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ বু্দ্ধীজীবি মাওলানা অলিউর রহমান 
৬/ বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা উবায়দুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী (সিলেট) 
৭/ বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা আব্দুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী (সিলেট) 
৮/ বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা আব্দুর রহমান (কুমিল্লা) 
৯/ হাতিয়া দ্বীপের সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মুস্তাফির রহমান (হাতিয়া দ্বীপ) 
১০/ মুক্তিযুদ্ধে অকুতোভয় সৈনিক মুহাদ্দিস আব্দুস সোবহান 
১১/ মুক্তিযোদ্ধা মুফতি আব্দুস সালাম (চট্টগ্রাম) 
১২/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা আবু ইসহাক 
১৩/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা আবুল কালাম 
১৪/ মুক্তিযোদ্ধা মৌলভী আব্দুল মালেক (পটিয়া) 
১৫/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা দলিলুর রহমান (চন্দ্র কোনা) 
১৬/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মতিউর--রাসুল (রানীর হাট) 
১৭/ সাহসী বীর গেরিলা কমান্ডার মাওলানা মৌলভী সৈয়দ (চট্রলা) 
১৮/ মুক্তিযোদ্ধা আল্লামা দানেশ (পটিয়া) 
১৯/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা নোমান আহমদ 
২০/ মুক্তিযোদ্ধা মৌলভী মোঃ মকসুদ আহমদ 
২১/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা আব্দুল মতিন মজুমদার (কুমিল্লা) 
২২/ মুক্তিযোদ্ধা মৌলভী নুরুল আফসার (ফেনী) 
২৩/ মুক্তিযোদ্ধা নানু ক্বারী (কুমিল্লা) 
২৪/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা কাজী আব্দুল মতিন (চাঁদপুর) 
২৫/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মতিউর রহমান (নারায়ণগঞ্জ) 
২৬/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মির্জা মোঃ নূরুল হক (নারায়ণগঞ্জ) 
২৭/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা আলিফুর রহমান (রংপুর) 
২৮/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা ক্বারী আব্দুস সালাম সরকার (রংপুর) 
২৯/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মোহাম্মদ আলী 
৩০/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মাহতাফ উদ্দিন (কুড়িগ্রাম) 
৩১/ সেক্টর কমান্ডার মাওলানা সামসুল হুদা (কুড়িগ্রাম) 
৩২/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা আমজাদ হোসেন (কুড়িগ্রাম) 
৩৩/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা কামরুজ্জামান (নরসিংদী) 
৩৪/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা বশির উদ্দিন (টাঙ্গাইল) 
৩৫/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা বজলুর রহমান 
৩৬/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মাহমুদুল হাসান (ময়মনসিংহ) 
৩৭/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা কাজী মুতাসিম বিল্লাহ 
৩৮/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা সাইফুল মালেক সাহেব (জামালপুর) 
৩৯/ মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলী খাঁন (চরমোনাই মাদ্রাসা) 
৪০/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা ইউসুফ 
৪১/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা ইসহাক রহঃ (চরমোনাই) 
৪২/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মৌলভী মির্জা আব্দুল হামিদ (বরিশাল) 
৪৩/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মুখলিসুর রহমান (চান্দিনা) 
৪৪/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা লোকমান আহমেদ আমিনী 
৪৫/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মোঃ ফিরোজ আহমদ (নোয়াখালী) 
৪৬/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা উসমান গণি (নোয়াখালী) 
৪৭/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা আব্দুল আউয়াল (চাঁদপুর) 
৪৮/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা আতাউর রহমান খাঁন (কিশোরগঞ্জ) 
৪৯/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা আতাহার আলী রহঃ (কিশোরগঞ্জ) 
৫০/ মুক্তিযোদ্ধা মৌলভী আব্দুস সোবহান (চট্টগ্রাম) 
৫১/ মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবু ইউসুফ (চট্টগ্রাম) 
৫২/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা ফজলুল হক (নূর নগরী) 
৫৩/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা খায়রুল ইসলাম (যশোর) 
৫৪/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মহিউদ্দিন (ময়মনসিংহ) 
৫৫/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা ক্বারী আব্দুল খালেক সাহেব 
৫৬/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা সামসুদ্দিন কাশেমী (ঢাকা) 
৫৭/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা জহিরুল হক (বি-বাড়ীয়া) 
৫৮/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা ইসহাক ওবায়দী (নোয়াখালী) 
৫৯/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মুফতি নূরুল্লাহ রহঃ (বি-বাড়ীয়া) 
৬২/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মিরাজ রহমান (যশোর) 
৬৩/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা শওকত আলী (শরীয়তপুর) 
৬৪/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা এমদাদুল হক আড়াই হাজারী (চট্টগ্রাম) 
৬৫/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ (কিশোরগঞ্জ) 
৬৬/ মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী (মোমেন শাহী)। 
❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️
বিস্তারিত 👇
 বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে আলেম সমাজের ভূমিকা অস্বীকার করার প্রবণতা শুরু হয়েছে বহুদিন। এর ধারাবাহিকতায় '৭১ এ আলেম সমাজের ভূমিকাকে খাঁটো করার প্রবণতাও শুরু হয়েছে। রাজাকারের তকমা দেয়া হচ্ছে তাদের দীর্ঘদিন ধরে। অথচ রাজাকারদের কারো মুখে দাড়ির সামান্য প্রমাণ আজ অবধি খুঁজে পাওয়া যায়নি। যারা এ কুকাজটি করছে তাদের বেশীরভাগ মুক্তিযুদ্ধই করেনি। কেউ কেউ আবার ছিল পাকিদের দোশর। শাহরিয়ার কবির তার জলন্ত উদাহরণ। সে মুক্তিযুদ্ধের সাথে সম্পৃক্ত না থাকলেও, এখন ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সে আহবায়ক। তার মানবাধিকার মানে হলো হিন্দু অধিকার। কেননা হিন্দুদের বিষয়েই তাকে সবসময় সরব হতে দেখা যায়। ভারতের মাটিতে মুসলিম নির্যাতনে সে বরাবরই নিরব। 

এরাই এখন বলে বেড়াচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল একটি সেকুলার রাস্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে। শেখ মুজিব কি কখনও একটি বারের জন্য এ কথা উচ্চারণ করেছিলঃ এবারের সংগ্রাম সেকুলার রাস্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম? বলেনি। তাহলে তারা কেন এ মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে? আসলে সেকুলার রাস্ট্র প্রতিষ্ঠার গল্প নাস্তিক ও ইসলামের দুশমনদের বানানো তথ্য। ইসলামকে হ্যায় করার জন্য এটা আমদানি করা। এরা যে কারণে এধরনের মিথ্যা তথ্য দেয়ার প্রয়াস পাচ্ছে তার অন্যতম কারণগুলো হলোঃ
১. আমাদের আলেম সমাজ প্রচার বিমুখ
২. আমাদের নিউ জেনারেশনকে সঠিক ইতিহাস থেকে বঞ্চিত করা
৩. আমাদের নিজেদেরও ইতিহাস চর্চার ব্যাপারে অনাগ্রহ 

ইতিহাসের পাতায় ৬৬ জন আলেম বীর মুক্তিযোদ্ধা

মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ, কিশোরগঞ্জ

জালেমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ,মজলুমের পক্ষে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ মূখর হয়ে উঠা সকল ধর্ম ও শ্রেষ্ঠ মতাদর্শ গুলোর প্রাণ কথা। আর ইসলাম তো এ ব্যাপারে শত ভাগ আপোষহীন। তাই ইসলামের সত্য, সুন্দর এবং মানবতা ও শান্তির ধারক বাহক উলামায়ে-কেরাম সব সময় জালেমের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে আপোষহীন থেকে মানব সমাজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছেন। 

পাকিস্তানিদের দ্বারা পূর্ব পাকিস্তান তথা আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের নিরীহ মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল নির্মম ভাবে। তখন পাক জালিমদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন এই দেশের লড়াকু আমজনতার সঙ্গে তৎকালীন আলেম সমাজও। প্রতিরোধ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছিলেন দুর্বার গতিতে। এটা ইতিহাসের অবিসংবাদিত সত্য ও অবিচ্ছেদ্য অধ্যায়। স্বাধীনতার পর ৪৯ বছর পর্যন্ত এই সত্যকে পদদলিত করা হয়েছে। ইতিহাসের পবিত্র দেহকে করা হয়েছে ক্ষতবিক্ষত। আলেম সমাজ সহ সাধারণ জনগণ যারা ধর্মের কারণে দাড়ি, টুপি ব্যবহার করে তাদের গায়েও ঢালাও ভাবে সেঁটে দেয়া হয়েছে রাজাকার,আল-বদর ও আল-সামসের অভিশপ্ত ফলক। তারা প্রজন্ম ৭১-এর পরে জন্ম হলেও!

জনপ্রিয় লেখক সাংবাদিক শাকের হুসাইন শিবলী ইতিহাসের অনির্বায্য সত্যকে স্ব-মহিমায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। উন্মোচিত করেছেন চেপে রাখা এক অধ্যায়ের। এ জন্য তিনি বাংলাদেশের প্রতিটি শহর,গ্রাম ঘুরে বেড়িয়ে কষ্টিপাথরে যাচাই করে রচনা করেছেন একটি প্রামান্য গ্রন্থ ‘আলেম মুক্তিযোদ্ধার খোঁজে’ উক্ত গ্রন্থ থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের অংশ গ্রহণ কারী কয়েক জন আলেম মুক্তিযোদ্ধার নাম প্রকাশ করা হল। যাতে আলেম সমাজ সম্পর্কে সৃষ্ট ভূল ধারনার অবসান ঘটে।

আমাদের আলেম সমাজ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে দেশকে শত্রুমূক্ত করেছিলেন এবং এটা যে সূর্যালোকের ন্যায় স্পষ্ট তার কিঞ্চিত নমুনা পেশ করা হল মাত্র। বিস্তারিত জানতে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস গুলো অধ্যায়ন করুন।
❣️🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩❣️
বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদগণের মাগফেরাত কামনা করি, আমিন। 

[তথ্য সূত্রঃ-স্মৃতির পাতায় হাফেজ্জী]

বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ, ২০২২

নূরুলগনি ইসলামি একাডেমীর পরিচালকের বাণী ২০২২

অদ্য ২৪ শে মার্চ বৃহস্পতিবার ২০২২ 
নূরুলগনি ইসলামি একাডেমী কাটাছরা মিরসরাই’র চট্টগ্রাম এর উদ্যোগে একাডেমি প্রাঙ্গনে 
মাষ্টার রফিকুল ইসলাম বি এ বি এড সাহেবের সভাপতিত্বে ৪র্থ বার্ষিক মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত  মাহফিলে  এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ সর্বস্তরের ধর্মপ্রান মুসল্লিদের স্বতঃস্ফূর্ত  উপস্থিতি চোখে পডার মত।


উক্ত মাহফিলে একাডেমির  সন্মানিত প্রতিষ্ঠা ও পরিচালক মাওলানা  আবদুল্লাহ ভূঁইয়া  বিশেষ কারণে উপস্থিত  হতে না পারার কারণে  তিনি সন্মানিত  এলাকা বাসী শুভাকাঙ্ক্ষী ও মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে  লিখিত  বক্তব্য  প্রেরণ করেছেন। 

একাডেমির উন্নয়ন কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক জনাব আবুল কালাম আজাদ সাহেব  মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে পাঠ করে শুনান।


তাঁর  প্রেরীত বানিটি হুবহু তুলে ধরা হল।


আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ

সকল প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য যার অশেষ মেহেরবানী আর দয়ায় নূরুলগনি ইসলামি একাডেমী ৪র্থ বর্ষ পূর্ণ করে ৫ম বর্ষে পদার্পন করেছে এ জন্য শাহেনশাহে রাজাধীরাজ মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে  শোকর গুজার করছি ’ আলহামদুলিল্লাহ’ ।

এবং লাখো কোটি দরুদ ও ছালাম প্রেরণ করছি তাজেদার মদীনা, রাহমাতু্ল্লীল আলামিন, খাতামুন নাবিয়্যীন ওয়াল মুরছালীন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ  
সাঃ এর উপর এবং তার প্রিয় ছাহাবী ও বংশধর সহ সকল মুত্তাকীনদের উপর ।

সন্মানীত এলাকাবাসী,
আজকের এ মুহর্তে   শত চেষ্টার পরও আপনাদের মাঝে উপস্হিত  হতে না পেরে আন্তরীক ভাবে দুঃখিত।আমার অনূপুস্হিতে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সর্বস্তরের মুরুব্বিয়ানে কেরাম ও যুব সমাজ যারা এ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের উন্নতি কল্পে এগিয়ে আসছেন   তাদের কে জানাই আন্তরিক মেবারকবাদ।

বিশেষত এ করোনা পরিস্হিতে মাহফিল পরিচালনার ক্ষেত্রে যে আন্তরিক সহযোগিতা সহমর্মিতা দিয়ে সহায়তা করেছেন তাদের সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।

কারণ রসুল সাঃ বলেছেন যে ব্যক্তি মানুষের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেনা সে আল্লাহর  শুকরিয়া ও আদায় করেনা।তাই আমি পুনরায় মক্কার পবিত্র ভূমি থেকে আপনাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।দোয়া করি আল্লাহ যেন সকলের শ্রমকে কবুল ও মন্জুর করে দ্বীনের এক নিষ্ঠ খাদেম হিসাবে  সবাইকে কবুল করে নেন  আমিন। 

পেয়ারে হাজেরীন,
অত্র প্রতিষ্ঠান 
জাতীয় সম্পদ,সমাজের সম্পদ,এবং আপনাদেরই সম্পদ,আপনাদেরই প্রতিষ্ঠান তাই সে হিসাবে এর রক্ষনা-বেক্ষন, সূনাম- দূর্ণাম,উন্নতি-অবনতি সব কিছুই আল্লাহর ইচ্ছা ও আপনাদের উপর নির্ভর তাই অদূর ভবিষ্যতেও আপনাদের সকলের দোয়া পরামর্শ ও সহযোগিতা এ প্রতিষ্ঠানের সাথেই থাকবে এটাই আমার প্রত্যাশা।

সন্মানীত উপস্হিতী,
বর্তমান  বাংলাদেশ সহ বিশ্ব পরিস্থিতির দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই যে, এক শ্রেনীর  মানুষ  মুসলিম পরিবারে  জন্ম গ্রহণ  করা সত্বেও 
পারিবারিক ভাবে  ধর্মীয় ও নৈতিক  শিক্ষার অভাবের কারণে সামাজিক বিভিন্ন  অপকর্ম সহ নাস্তিক্যবাদের দিকে ধাবিত হচ্ছে  আল্লাহ কে অস্বীকার  করছে    স্রস্টা কে অস্বীকার করছে। অনুসন্ধানে   এটার বিভিন্ন  কারণের মধ্যে  একটি কারণ  হল পারিবারিক ভাবে  ধর্মীয় শিক্ষার অভাব। 

তাই আমরা  এ নূরানী শিক্ষার মাধ্যমে  ধর্মীয় শিক্ষার প্রাথমিক অভাবটা পুরন করার চেষ্টা করছি মাত্র । কারণ 
আমাদের নূরানী সিষ্টেমের প্রতিষ্ঠান গুলোর মূল উদ্যেশ্য হল কৌমলমতি শিশুদের অন্তরে ইসলামের মূল শিক্ষা তথা কোরআনের শিক্ষা আর ঈমানের নূরটা ঢেলে দেয়া।
কারণ শিশুকালের যে কোন শিক্ষা শিশুদের অন্তরে পাথরে খোদাইকরা নকশার মত অংকৃত হয়ে থাকে।যার ফলশ্রুতিতে এ শিশু বড হয়েও বিজাতীয় অপসংস্কৃতি ঈমান ও ইসলাম বিরোধী যে কোন কার্যকলাপে লিপ্ত হতে তার অন্তরে থাকা 
কোরআন হাদিসের এই নূর বা আলো তাকে বাধা প্রদান করবে। এবং 
নাস্তিক্যবাদে আকৃষ্ট হতে বাধা দিবে
ফলে সে ঈমানহারা হওয়ার থেকে রক্ষা পাবে ইনশাআল্লাহ । 

এই জন্যই আমাদের মূল টার্গেট হল ৩ বছরে পূর্ণাঙ্গ কোরআন শরীফ ছহিহ শুদ্ধ ভাবে পডার সাথে সাথে প্রাথমিক ভাবে অজু গোসল ও নামাজের মাছয়ালা মাছায়েল সহ জরুরীয়াতে দ্বীন গুলো শিক্ষা দান করা।
যার ফলশ্রুতিতেই 
এ শিশু পরবর্তিতে উচ্ছতর কোন শিক্ষা অর্জনে ব্যর্থ হলেও কিন্তু নামাজ রোজা কোরআন তেলাওয়াত ছহীহ শুদ্ধ ভাবে আদায়ে সক্ষম হবে। এবং ঈমান  আমল নিয়ে  বেচে থাকতে পারবে।
যা একজন মুসলিম হিসাবে অত্যন্ত জরুরী।
এবং এর সাথে বাংলা অংক ইংরেজী ও ভূগোল ইত্যাদি পাঠ দানের মাধ্যমে একটা শিশুকে যে কোন প্রতিষ্ঠানে ৪র্থ শ্রেনীতে ভর্তি হওয়ার মত যোগ্যতা সম্পন্ন করে গডে তোলা হয়ে থাকে। 


কিন্তু আপনার শিশুকে প্রাথমিক ভাবে কোরআনের শিক্ষা দেয়া আপনার আমার সকলের ঈমানী দায়িত্ব এবং সন্তানের অধিকার। 
কিন্তু এ দায়িত্ব ও অধিকার নিয়ে আমরা কে  কতটুকু সচেতন বা পালন করছি  সেটা কিন্তু আমাদের সকল কে কেয়ামতের ময়দানে আল্লাহর দরবারে জবাবদেহী করতে হবে।এ জন্য আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। 


হে সন্মানীত অতিথিবৃন্দ ,
আপনাদের আগমন ও পদচারনায় অত্র একাডেমী ও এলাকাবাসী আজ ধন্য ।আমরা জানি আপনারা অত্যন্ত ব্যস্ততা সত্বেও আমাদের মাঝে উপস্হিত হয়েছেন বলে আমরা এলাকাবাসী ও একাডেমী কর্তৃপক্ষ কৃতজ্ঞ।

অত্র প্রতিষ্ঠান চায় আপনাদের মত যোগ্য খোদাভিরু দানবীর শিক্ষাবিধ ও সমাজসেবকদের অকৃত্রিম ভালবাসা ও পৃষ্ঠপোষকতা ।আমরা দোয়া করি যেন আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলের শ্রমকে কবুল করে দ্বীনের একনিষ্ঠ 
খাদেম হিসাবে কবুল করে নেন আমিন। 

পেয়ারে হাজেরীন, 
আপনারা সকলেই   একাডেমির উন্নয়নের অংশীধার তাই 
এখন আপনাদের সামনে  ১ লা জানুয়ারী ২০২১ হ'তে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত   পুরো এক বছরের  সংক্ষিপ্ত হিসাব  সফলতার কারগুজারী ও  চলতি সনের বাজেট  ঘোষনা করছি।


জমা -- খরচ ২০২১
============ 
জমাঃ★★
ছাত্র ছাত্রী ভর্তির ফিস আদায়-১৯,৮০০
ছাত্র ছাত্রী দের বেতন  আদায়- ১,০৫,৭০০
এককালীন চাঁদা/ উন্নয়ন -  ৮২,০২৫
৩য় বার্ষিক মাহফিলের আয় -১,৩৬,৪১৮ 
মাদরাসা বাডি /ষ্টোর আয় - ৫০০০
জাকাত বাবত  ৪০,৩২৫ 
========= 
সর্বমোট  জমা= ৩,৮৯,২৬৮ টাকা  


খরচঃ ★★
শিক্ষক বেতন/ভাতা -২,৬৩,৫৮৬
নির্মাণ /উন্নয়ন -১৬,৯৬০
অফিসিয়াল -৮,৪২০
৩ য় বার্ষিক মাহফিলের খরচ-৮৬,৭৭৬
মেহমানী-/রমজানের ইফতারী বিতরণ =২,৯৬৫ 
বিদ্যুৎ বিল ও অন্যান্য -৪,৩২৬
গরীব ছাত্র ছাত্রীদের সহায়তা-৬,০৬০ 
======== ===========
সর্বমোট খরচ= ৩,৮৯,০৯৩ টাকা     


সর্বমোট  জমা= ৩,৮৯,২৬৮ টাকা 
সর্বমোট  খরচ = ৩,৮৯,০৯৩ টাকা  
=================
 ক্যাশ ১৭৫ টাকা। 

★★
একাডেমির  বর্তমান  কর্জ 

২০১৮ সনের কর্জ =  ১,০৫,৬৫৪
২০২০ সনের কর্জ= ৪,৩৩৬
গত বছরের শেষ পর্যন্ত অর্থাৎ  ৩১ শে ডিসেম্বর  ২০২১ পর্যন্ত  শিক্ষকদের বেতন ভাতা বকেয়া প্রায়  = ৭১,৪৮৬
============ 
সর্বমোট  কর্জ  ১,৮১,৪৭৬  টাকা।  



২০২২ সনের বাজেট 
================ 
এ বছর  আমাদের এখানে নার্সারি থেকে ৩ য় শ্রেণী পর্যন্ত মোট ৪ ক্লাসে 
প্রায়  ৮৫ জন ছাত্র ছাত্রী অধ্যয়ন রত আছে ও নূরানী বোর্ড কর্তৃক ট্রেনিং প্রাপ্ত  অভিজ্ঞতা  সম্পন্ন  ৪ জন শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত করা হচ্ছে। সে হিসাবে  একাডেমির বার্ষিক খরচ দিন দিন   বেড়েই চলেছে তাই আপনাদের সকলের আন্তরিক দোয়া ভালবাসা  ও সহযোগিতা কামনা করছি। 

চলতি বছর আনুমানিক  বাজেট। 

শিক্ষক বেতন/ভাতা = ৩,১৮,০০০
ফ্লোর পাকা করণ=১,২৫,০০০
দমদমা স্হাপন = ২৫,০০০ 
পূর্ব পাশে অফিস কক্ষ তৈরী =২৫,০০০
অফিসিয়াল আসবাব পত্র  = ৪০,০০০
কুতুবখানার  কিতাব খরিদ ২০,০০০ 
বিদ্যুত ও অন্যান্য ১৫,০০০
===========================
সর্বমোট ===== ৫,৬৮,০০০ টাকা 

উক্ত বাজেট পুরনে আপনাদের  সকলের  সহযোগিতা  ও দোয়া কামনা করছি। 

★★সফলতার কারগুজারী★★

সন্মানীত উপস্হিতী,
এখন আপনাদের সামনে প্রতিষ্ঠানের সফলতার কারগুজারী তুলে ধরছি।আমাদের ২টি ফান্ড আছে চাঁদা ও ছদকা ফান্ড,। 
চাঁদা ফান্ড থেকে প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় খরচ বহন করা হয়ে থাকে এবং ছদকা ফান্ড থেকে দুস্ত ও গরীব ছাত্র ছাত্রীদের কে বিভিন্ন ধরনের সাহার্য্য সহযোগিতা করা হয়ে থাকে। 
সে হিসাবে   গত বছর  ২০২১ সনে  মোট ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা ছিল প্রায়  ৭৫ জন,  তন্মধ্যে  ২ জন ছাত্র  কে সম্পূর্ণ ভাবে  ফ্রী  এবং  ৫ জন কে আংশিক  ফ্রী  বাবত সহায়তা করা হয়েছে।

২০২১ সনে  অত্র একাডেমীর সর্ব প্রথম  কেন্দ্রীয় সনদ পরীক্ষায় ৩য় শ্রেণী হতে  ১৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেছিল তন্মধ্যে   শত ভাগ পাশ  করতে সক্ষম হয়েছে । আজকে  সকল ছাত্র ছাত্রী দের মাঝে আনুষ্ঠানিক ভাবে  সনদ পত্র বিতরণ  করা হয়েছে।  এবং  ১ ম ২ য় ও ৩য় স্হান অধিকারকারীদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। এর সাথে
বর্তমান  রানিং ছাত্র ছাত্রী যারা ১ ম ২য় ও ৩ য় শ্রেনীতে উত্তীর্ণ হয়ে ১ম ২য় ও ৩য় স্হান অধিকারী মোট ৯ জন ছাত্র ছাত্রী কে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
এবং ক্লাসে সর্বোচ্চ  উপস্থিতির জন্য  ৩  ক্লাস থেকে ৩ জনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। এ বছর সর্বমোট  ১৫ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। 

চলতি বছর ও  এখন পর্যন্ত ৩ জন ছাত্র কে সম্পূর্ণ ফ্রীতে অধ্যয়নের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। 

চলতি বছর  ৪  জন শিক্ষকের বেতন ভাতা  ইত্যাদি সহ অন্যান্য  আনুষাঙ্গিক খরচাদী বাবত
প্রায়  ৬  লাখ টাকার মত খরচ  হবে  কিন্তু এর জন্য  নির্ধারিত কোন ফান্ড নেই  এক মাত্র  আল্লাহর  মেহেরবানী  দয়ার উপর নির্ভর। 
এ জন্য বিশেষত  সকল এলাকাবাসী সন্মানীত অতিথিবৃন্দ শুভাকাঙ্খি শুভানুধ্যায়ীদের কাছে দোয়া  পরামর্শ ও সহযোগিতা  কামনা করছি।

পরিশেষে যারা অত্র একাডেমীর অগ্রযাত্রায়  মেধা, শ্রম, অর্থ ও বুদ্ধিপরামর্শ ও দোয়া দিয়ে সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলের নেক হায়াত ও উজ্জল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।
                                    ইতি 
দোয়ার মোহতাজ 
এম এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া 
            খাদেম নূরুলগনি ইসলামি একাডেমী কাটাছরা জোরারগঞ্জ মিরসরাই চট্টগ্রাম ।
             ২৪/৩/২০২২ 


আমন্ত্রিত ওলামায়ে কেরাম
সন্মানিত  অতিথি বৃন্দ  যে বিষয় ভিত্তিক  তাদের আলোচনা  পেশ করছেন

১,, মাওলানা  শোয়াইব  ছাহেব 
 মুফতি ও মুহাদ্দিস   আল-জামেয়াতুল ইসলামিয়া আজিজিয়া কাসিমুল উলুম  ছাগলনাইয়া  ফেনী।

বিষয় বস্তু ঃ
 রমজানের  গুরুত্ব ও ফাজায়েল বিষয়ক।


২,, মাওলানা  আশরাফুর রহমান ছাহেব। 
মুফতি ও মুহাদ্দিস 
জামেয়াতুল মানহাল্  কওমীয়া   ঢাকা।

বিষয় বস্তু ঃ   সুন্নতের  গুরুত্ব  ও   শীর্ক ও কুসংস্কার এর কুফল  

৩,, মাওলানা  কারী ইব্রাহিম সাহেব 
খতিব  মিঠাছরা বাজার জামে মসজিদ  ও সিনিয়র  শিক্ষক দারুল-উলূম মাদরাসা  ওয়ার্লেস মিরসরাই।

বিষয় বস্তু ঃ   ধর্মীয়  শিক্ষা  তথা  নূরানী  শিক্ষার গুরুত্ব, ও দান ছদকার গুরুত্ব। 

৪,, বিদ্রোহী ইসলামী সংগীত শিল্পী
 আছহাব উদ্দিন আল আজাদ লেকচারার কোরআন ও বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র চট্টগ্রাম।

বিষয় বস্তু ঃ  কোরআন ও বিজ্ঞান, তথা  বিজ্ঞান গবেষণায়  মুসলিমদের অবদান। 
  
পরিশেষে  
মাওলানা মুফতি  শোয়াইব সাহেবের আখেরী মুনাজাত ও সভাপতি সাহেবের  সমাপনি বক্তব্যে  মাধ্যমে  মাহফিলের সমাপ্তি হয়।


বুধবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা উত্থান জনিত সমস্যার সমাধান

ম্যাজিক বটিকা   
কার্যকরীতাঃ

ইরেকটাইল ডিসফাংশন তথা 
উত্থানজনিত সমস্যা, টেস্টোস্টেরণ  হরমোন বাডাতে সাহায্য করবে,ও বিশেষ অঙ্গের  রক্ত সঞ্চালন বাডাতে  কার্যকর।
  
সেবনবিধিঃ 

দৈনিক  সকাল বিকাল 
ভরা পেটে  ৩-৪ টি  বটিকা চিবিয়ে সেব্য কমাজকম লাগাতার ৬০  দিন। 
এমন কি সহবাসের ১০ মিনিট আগেও সেবন করতে পারেন।
তবে যাদের সমস্যা জটিল তাদের জন্য  চিকিৎসক এর পরামর্শে সাথে অন্য খাদ্য পথ্য ও দেয়া যেতে পারে। 

১০০% প্রাকৃতিক  
১২০ বটিকা ৪০০ টাকা মাত্র  ১৫ দিন যাবে। কমাজকম ৬০ দিন সেবন করতে হবে। 

সৌজন্যে 
ভূঁইয়া ন্যাচরাল হার্বস 
০১৮২৯৩১৮১১৪ 


১০০% প্রাকৃতিক ফুড সাপ্লিমেন্ট হিসাবে বিবেচিত। 

 ম্যাজিক বটিকা 

ইরেকটাইল ডিসফাংশন কী?

**যৌন মিলনের পূর্বশর্ত হলো, পুরুষের লিঙ্গের উত্থান ঘটবে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, মিলনের পূর্বে পুরুষের লিঙ্গের পর্যাপ্ত উত্থান ঘটছে না। কিংবা কারো কারো আবার উত্থান ঘটলেও, তা বেশিক্ষণ দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। এর ফলে পরিপূর্ণ যৌন মিলনও সম্ভব হচ্ছে না। একজন পুরুষের লিঙ্গের এরুপ উত্থানজনিত সমস্যাকেই বলা হয়ে থাকে ইরেকটাইল ডিসফাংশন।

তবে মাঝে মাঝে কোনো পুরুষের লিঙ্গের উত্থানে সমস্যা হলেই এমনটা বলা যাবে না যে তিনি ইরেকটাইল ডিসফাংশনের শিকার। এগুলো নিছকই বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কিন্তু বিষয়টি কপালে ভাঁজের কারণ হয়ে দাঁড়ায় তখনই, যখন একজন পুরুষ ক্রমাগত এই সমস্যার সম্মুখীন হতে থাকেন। এর ফলে তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন, অবসাদ তাদেরকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে, তারা আত্মবিশ্বাসহীনতায় ভুগতে থাকেন, এবং তাদের দাম্পত্য সম্পর্কও ঝুঁকির মুখে পড়ে। লিঙ্গের উত্থানে ব্যর্থতা কিংবা তা ধরে রাখতে না পারার পেছনে অন্য কোনো শারীরিক সমস্যাও ভূমিকা রাখ রাখতে পারে।

★★★ইরেকটাইল ডিসফাংশনের লক্ষণ
একজন ব্যক্তি যে ইরেকটাইল ডিসফাংশনের শিকার, তা বলা যাবে যদি তিনি নিয়মিত নিম্নোক্ত সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হন:

লিঙ্গের উত্থান ঘটাতে না পারা;
লিঙ্গের উত্থান ধরে রাখতে না পারা;
যৌন আকাঙ্ক্ষা হ্রাস পাওয়া কিংবা কখনোই আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত না হওয়া।

দেখা দিতে পারে কিছু বিরল লক্ষণও;
এছাড়া আরো কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে:

দ্রুত বীর্যপাত হওয়া;
বিলম্বে বীর্যপাত হওয়া;
টেস্টোস্টেরন বা পুরুষের যৌন হরমোনের মাত্রা কম হওয়া;
অ্যানোর্গাজমিয়া দেখা দেয়া, অর্থাৎ পর্যাপ্ত উত্তেজনা সত্ত্বেও অর্গাজম লাভে ব্যর্থ হওয়া।
কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে
ইরেকটাইল ডিসফাংশন হয়েছে, এমন মনে করলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। এবং সেক্ষেত্রে অবশ্যই যথাযথ যোগ্যতাসম্পন্ন চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হবে। তবে যেহেতু অনেকেই লজ্জার কারণে চিকিৎসকের কাছে যেতে সংকোচ বোধ করেন, তাই তারা প্রথমে ব্যক্তিগতভাবে নিজের মধ্যে নিম্নোক্ত সমস্যাগুলো আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে পারেন:

আপনি কি লিঙ্গের উত্থান বা স্থিতাবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট নন?
আপনার কি দ্রুত বা বিলম্বে বীর্যপাত ঘটছে?
আপনার কি ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা আছে?
যদি এই তিনটি প্রশ্নেরই, কিংবা যেকোনো দুটি বা একটির উত্তর 'হ্যাঁ' হয়, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। তবে ভালো হয় প্রথমে পারিবারিক চিকিৎসক বা যে চিকিৎসকের কাছে নিঃসংকোচে সব সমস্যা শেয়ার করা যায়, তার পরামর্শ গ্রহণ করা।
★★★ইরেকটাইল ডিসফাংশন কেন হয়?

পুরুষের লিঙ্গের উত্থান মূলত যৌনোদ্দীপনার সাথে সম্পর্কিত। আর পুরুষের যৌনোদ্দীপনা খুবই জটিল একটি প্রক্রিয়া, যেটির সাথে সরাসরি সংযোগ রয়েছে তাদের মস্তিষ্ক, হরমোন, আবেগ, স্নায়ু, পেশি ও রক্তসংবহনতন্ত্রের। ইরেকটাইল ডিসফাংশন এগুলোর যেকোনো একটির সমস্যা বা অস্বাভাবিকতার কারণে হয়ে থাকতে পারে। এছাড়া চাপ, বিষণ্ণতা বা অন্যান্য মানসিক সমস্যার ফলেও ইরেকটাইল ডিসফাংশন হতে পারে, বা আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে।

কখনো কখনো ইরেকটাইল ডিসফাংশনের পেছনে শারীরিক ও মানসিক দু'ধরনের কারণই প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন ধরুন, কোনো একটি ছোটখাট শারীরিক সমস্যার কারণে হয়তো সাময়িকভাবে আপনার যৌন উদ্দীপনার মাত্রা কমে গেল। কিন্তু এ নিয়ে আপনি এত বেশি চিন্তিত হয়ে পড়লেন যে, সে কারণে পরবর্তীতে আপনার লিঙ্গের উত্থান ঘটা বা ধরে রাখা আরো বেশি কঠিন হয়ে পড়ল। এভাবেই শারীরিক সমস্যার সাথে মানসিক সমস্যা যোগ হয়ে ইরেকটাইল ডিসফাংশনের মাত্রা বহু গুণে বাড়িয়ে দিল।

ইরেকটাইল ডিসফাংশনের শারীরিক কারণ
বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণে ইরেকটাইল ডিসফাংশন দেখা দিতে পারে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

হৃদরোগ;
রক্তনালী সংকীর্ণ হয়ে যাওয়া, 
উচ্চ কোলেস্টেরল;
উচ্চ রক্তচাপ;
ডায়াবেটিস;
ওবেসিটি;
 , কোমরের কাছে অতিরিক্ত চর্বি ও উচ্চ কোলেস্টরল জন্মানো;
প্রোস্টেট ক্যান্সার;
স্লিপ ডিজঅর্ডার বা ঘুমের সমস্যা;
শ্রোণী এলাকা বা মেরুদণ্ডে জখম।

ইরেকটাইল ডিসফাংশনের মনস্তাত্ত্বিক কারণঃ

লিঙ্গের উত্থানের পেছনে মস্তিষ্ক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মস্তিষ্কের থেকে পাওয়া সংকেতের মাধ্যমেই একজন পুরুষ তার দেহে যৌন উদ্দীপনা অনুভব করতে থাকেন, তার মধ্যে বিভিন্ন শারীরিক পরিবর্তন আসতে থাকে, এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে তার লিঙ্গের উত্থান ঘটে। কিন্তু মস্তিষ্ক যদি স্বাভাবিক না থাকে, তার প্রভাব পড়ে লিঙ্গের উত্থানে, ফলে সৃষ্টি হয় ইরেকটাইল ডিসফাংশন। মস্তিষ্ক স্বাভাবিক না থাকার কারণসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য:

অবসাদ, দুশ্চিন্তা ও অন্যান্য মানসিক সমস্যা;
মানসিক চাপ;
অন্যমনস্কতা;
সম্পর্কের অবনতি বা অধারাবাহিকতার কারণে উদ্ভূত চাপ;
আত্মবিশ্বাসহীনতা;
ভীতি।

রিস্ক ফ্যাক্টরঃ

একজন পুরুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে যৌন ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। ফলে একজন মধ্যবয়সী বা প্রৌঢ় পুরুষের তরুণ বয়সের মতো সহজেই লিঙ্গের উত্থান ঘটে না, আর লিঙ্গ খুব বেশি শক্তও থাকে না। তখন বারবার স্পর্শ করে লিঙ্গ উত্থিত ও শক্ত রাখতে হয়।

তবে আজকাল বয়স বিশ বা ত্রিশের কোঠায় আসা মাত্রও অনেকে ইরেকটাইল ডিসফাংশনের শিকার হচ্ছেন। এর পেছনে পেছনে বেশ কিছু রিস্ক ফ্যাক্টর কাজ করতে পারে, যেমন:

 বিশেষ করে ডায়াবেটিস বা হৃদরোগ;
তামাক ব্যবহার, যেটি রক্তনালী বা ধমনীতে রক্তপ্রবাহ আটকে দেয়, ফলে সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক জটিলতা দেখা যায়, যা ইরেকটাইল ডিসফাংশনের জন্ম দিতে পারে;
অতিরিক্ত শারীরিক ওজন থাকলে, বিশেষত ওবেসিটি বা অতিস্থূলতার শিকার হলে;
কোনো চোট বা জখম, বিশেষত তা যদি স্নায়ু বা উত্থান নিয়ন্ত্রণকারী ধমনীকে আক্রান্ত করে;
কিছু বিশেষ ওষুধ ব্যবহার করলে, যেমন অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট, অ্যান্টিহিস্টামিন কিংবা উচ্চ রক্তচাপ, ব্যথা বা প্রোস্টেটে সমস্যার ওষুধ;
বিভিন্ন মানসিক অবস্থা, যেমন- দুশ্চিন্তা, চাপ, অন্যমনস্কতা বা অবসাদ;
মাদকের নেশা, বিশেষত কেউ যদি দীর্ঘদিন ধরে নেশা করে আসে বা মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ করে।
উদ্ভূত জটিলতা
ইরেকটাইল ডিসফাংশনের ফলে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। যেমন:

অসন্তুষ্ট যৌন জীবন;
সঙ্গীর সাথে সম্পর্কে অবনতি;
মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা বৃদ্ধি;
নিজের উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলা;
সঙ্গীকে গর্ভবতী করতে না পারা।

বাঁচার উপায়ঃ-
একবার যদি কোনো ব্যক্তি ইরেকটাইল ডিসফাংশনের শিকার হয়েই যান, সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে ওষুধ সেবন করতে হবে,  কিংবা নিছকই নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করতে হবে। আর যারা এখনো ইরেকটাইল ডিসফাংশনের সম্মুখীন হননি, তাদের উচিত হবে সুস্থতা ধরে রাখার জন্য নিম্নোক্ত কাজগুলো যথাযথভাবে পালন করা:

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা;
শারীরিক সমস্যার অতীত ইতিহাস থাকলে, কিংবা না থাকলেও, প্রতিবছর অন্তত একবার চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চেক-আপ ও মেডিকেল স্ক্রিনিং টেস্ট করিয়ে আসা;
ধূমপান পুরোপুরি বর্জন করা, অ্যালকোহল গ্রহণের মাত্রা সীমিত করা কিংবা নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ না থাকলে পুরোপুরি এড়িয়ে চলা, অবৈধ নেশাদ্রব্য ব্যবহার না করা;
নিয়মিত শরীরচর্চা করা;
অনিয়মিত খাদ্যগ্রহণের বদলে সুষম ও স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য গ্রহণ করা;
রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো ও কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রাম নেয়া;
মানসিক চাপ, অবসাদ, দুশ্চিন্তা বা অন্যান্য সমস্যাকে অবহেলা না করে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।

ডা: শ্রী মোহন কুমার
( ডি. এইচ. এম.  এস) বি. এইচ. বি, ঢাকা


শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

Korean red Jensen কোরিয়ান রেড জিংসিং কোথায় পাবেন



জিংসিং এর অসাধারণ  স্বাস্থ্য উপকারিতা---

জিংসিং সম্পর্কে সাধারণের একটা ধারণা হল এটা শুধু  যৌন সমস্যার জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে আসলে কিন্তু  তা নয় বরং  জিংসিং এর বহুবিধ  ব্যবহার রয়েছে তন্মধ্যে  যৌন সমস্যার সমাধান অন্যতম  
সে হিসাবে  কয়েকটি  উপকারীতা  সম্পর্কে  আলোকপাত করা হল।

সাধারণত  জিংসিং  প্রাপ্ত বয়স্ক  মহিলা পুরুষ উভয়ে ব্যবহার করতে পারেন। 


১। এটি শারিরিক শক্তি বাড়ায় এবং দুশ্চিন্তা ও হতাশা দূর করে।
২।মানসিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৩।পুরুষের যৌন সমস্যার একমাত্র সমাধান। তবে এটি ওয়ানটাইম কোন ঔষধ হিসাবে  নয় বরং  স্হায়ী  ভাবে উপকৃত করে। বিশেষত  উত্থান জনিত সমস্যা, টাইমিং সমস্যার স্হায়ী ভাবে করতে কার্যকর। 
৪।মনযোগ, স্মৃতিশক্তি, কথা শোনার সাথে সাথে বুঝতে পারার ক্ষমতা,শেখার ক্ষমতা,কল্পনাশক্তি, বিচারবুদ্ধি, চিন্তা শক্তি ও সমস্যা সমাধান করে কোন একটা সিদ্ধান্তে পৌছানোর ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

৬।কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।
৭।শক্তি বর্ধক হিসেবে জিনসেং দারুন কার্যকরী। চলাফেরা করতে পারে না এরকম বয়স্ক পিতা ও মাতার   শারীরিক শক্তির জন্য ।
৮।অনিদ্রা জনিত কারনে শারীরিক ও মানসিক সৃষ্ট রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৯।ব্রেনের সক্রিয়তা  বজায় রাখে ও ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে।
১০।অস্থিরতা দূর করে মনকে সতেজ ও প্রফুল্ল রাখতে সাহায্য করে।
১১।চেহারায় বয়সের ছাপ পড়া থেকে রক্ষা করে।
১২, মেয়েলী হরমোন বৃদ্ধি করে । 
১৩, সকল প্রাপ্ত বয়স্ক  মহিলা পুরুষ উভয়ের জন্য  উপকারী। 


এবার আসুন  আরও বিস্তারিত 

জিনসেং এর উপকারিতা কী ? *

জিনসেং ও লিংগোত্থানে অক্ষমতাঃ

 জিনসেং এর গুনাবলীর মধ্যে সবচেয়ে বেশী যা প্রমানিত তা হলো, পুরুষের লিংগোত্থানে অক্ষমতা রোধে এর ভূমিকা। University of Ulsan এবং the Korea Ginseng and Tobacco Research Institute ৪৫ জন ইরেকটাইল ডিসফাংশন (লিংগোত্থানে অক্ষম ব্যাক্তি) এর রোগীর উপর একটি পরীক্ষা চালান। তাদের কে ৮ সপ্তাহের জন্য দিনে ৩বার করে ৯০০ মিগ্রা জিনসেং খেতে দেয়া হয়, এরপর দুই সপ্তাহ বিরতি দিয়ে আবার ৮ সপ্তাহ খেতে দেয়া হয়। তাদের মধ্যে ৮০% জানান যে, জিনসেং গ্রহনের সময় তাদের লিংগোত্থান সহজ হয়েছে। ২০০৭ সনে Asian Journal of Andrology এ ৬০ জন ব্যাক্তির উপর করা এবং Journal of Impotent Research এ ৯০ জন ব্যাক্তির উপর করা অনুরুপ আরো দুটি গবেষনা প্রকাশিত হয়। ২০০২ সালের একটি গবেষনায় বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন যে, জিনসেং কিভাবে লিংগোত্থানে সহায়তা করে। পুরুষের যৌনাংগে corpus cavernosum নামে বিষেশ ধরণের টিস্যু থাকে। নাইট্রিক অক্সাইডের উপস্থিতিতে এই টিস্যু রক্তে পরিপূর্ণ হয়ে লিংগোত্থান ঘটায়। জিনসেং সরাসরি দেহে নাইট্রিক অক্সাইডের পরিমান বাড়িয়ে লিংগোত্থানে সহায়তা করে।

★★★তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম যে গবেষণার ফলাফল  লাগাতার ৮ সাপ্তাহ বা ২ মাস সেবন করার পর  ১৫ দিন বিরতি দিয়ে  আবার পুনরায়  ২ মাস লাগাতার সেবন করতে হবে। ★★

জিনসেং ও দ্রুত বীর্যস্খলনঃ
যদিও কাচা জিনসেং এর মূল এই রোগে কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা জানা যায় না তবে জিনসেং এর তৈরী একটি ক্রীম (ss cream) পুরুষদের দ্রুত বীর্যস্খলন রোধে বিশ্বব্যাপী ব্যবহার হয়ে আসছে যা মিলনের একঘন্টা আগে লিঙ্গে লাগিয়ে রেখে মিলনের আগে ধুয়ে ফেলতে হয়। Journal of Urology তে ২০০০ সনে প্রকাশিত একটি গবেষনা অনুযায়ী এটি বীর্যস্খলনের সময় কাল কার্যকরী ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ভাবে বাড়ায়। আসলে, জিনসেং শব্দটাই এসছে চাইনিজ শব্দ “রেনসেং” থেকে। “রেন” অর্থ পুরুষ ও “সেন” অর্থ “পা”, যৌনতা বৃদ্ধিতে এর অনন্য অবদান এর জন্যই এর এইরকম নাম (অবশ্য এটি দেখতেও পা সহ মানুষের মত)।

জিনসেং ও cognitive function:
cognitive function বলতে বুঝায় বিভিন্ন মানসিক ক্ষমতা যেমন মনযোগ, স্মৃতিশক্তি, কথা শোনার সাথে সাথে বুঝতে পারার ক্ষমতা,কল্পনাশক্তি, শেখার ক্ষমতা, বিচারবুদ্ধি, চিন্তা শক্তি ও সমস্যা সমাধান করে কোন একটা সিদ্ধান্তে পৌছানোর ক্ষমতা। সোজা ভাষায় বলতে গেলে মানুষের বুদ্ধিবৃত্তি। জিনসেং স্নায়ুতন্তের উপর সরাসরি কাজ করে মানসিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।


 ২০০৫ সনে Journal of Psychopharmacology তে প্রকাশিত গবেষনা অনুযায়ী ৩০ জন সুস্বাস্থ্যবান যুবার উপর গবেষনা করে দেখা গিয়েছে যে জিনসেং গ্রহন তাদের পরীক্ষার সময় পড়া মনে রাখার ব্যাপারে পজিটিভ ভূমিকা রেখেছিল। একই জার্নালে ২০০০ সালে করা একটি গবেষনা, যুক্তরাজ্যের Cognitive Drug Research Ltd কর্তৃক ৬৪ জন ব্যাক্তির উপর করা একটি গবেষনা এবং চীনের Zhejiang College কর্তৃক ৩৫৮ ব্যাক্তির উপর করা একটি গবেষনা অনুযায়ী জিনসেং মধ্যবয়স্ক ও বৃদ্ধ ব্যাক্তির স্মরণশক্তি ও সার্বিক বৃদ্ধিতেও সহায়ক বলে প্রমাণিত হয়েছে।

 ২০০৫ সনে Annals of Neurology তে প্রকাশিত ইদুরের উপর করা গবেষনা অনুযায়ী জিনসেং মস্তিষ্কের কোষ বিনষ্টকারী রোগ যা স্মৃতিশক্তি বিনষ্ট করে (যেমন পারকিন্সন ডিজিজ, হান্টিংটন ডিজিজ ইত্যাদি) সেসব প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।

জিনসেং ও ডায়াবেটিসঃ
২০০৮ সনে ১৯ জন টাইপ ২ ডায়বেটিস এর রোগীর উপর করা গবেষনা অনুযায়ী জিনসেং টাইপ ২ ডায়বেটিস ম্যানেজমেন্টে কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়েছে।

জিনসেং ও কোলেস্টেরলঃ
Pharmacological Research এ ২০০৩ সালে প্রকাশিত একটি গবেষনা অনুযায়ী, দিনে ৬ মিগ্রা হারে ৮ সপ্তাহ জিনসেং গ্রহণ খারাপ কোলেস্টেরল যেমন- total cholesterol (TC), triglyceride (TG) ও low density lipoprotein (LDL) এর মাত্রা কমাতে ও ভালো কোলেস্টেরল (High Density Lipoprotein বা HDL) এর মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে।

জিনসেং ও ত্বকঃ
জিনসেং বিভিন্ন এন্টি-এজিং ক্রীম ও স্ট্রেচ মার্ক ক্রীম এ ব্যবহৃত হয়। এইসব ক্রীম ত্বকের কোলাজেন এর উপর কাজ করে ত্বকের বলিরেখা প্রতিরোধ করে ও গর্ভবতী নারীদের পেটের ত্বক স্ফীতির কারণে তৈরী ফাটা দাগ নিরসন করে। তবে এটির জন্য জিনসেং এর ভূমিকা কতটুকু ও ক্রীমে থাকা অন্যান্য উপাদানের ভূমিকা কতটুকু তা জানা যায়নি।

জিনসেং ও রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থাঃ
একটি গবেষনায় ২২৭ ব্যক্তির উপর ১০০মিগ্রা দিনে এক বার করে ১২ সপ্তাহ এবং আরেকটি গবেষনায় ৬০ ব্যাক্তির উপর ১০০মিগ্রা দিনে ২বার করে ৮ সপ্তাহ জিনসেং প্রয়োগ করে দেখা গিয়েছে যে তাদের দেহের রোগ প্রতিরোধকারী কোষগুলো ( যেমন T Helper cell, NK Cell, Antibody ইত্যাদি) কার্যকর পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে। তার মানে জিনসেং রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়।

★★ব্যবহারবিধিঃ ★★

University of Maryland Medical Center এর মত অনুযায়ী এশিয়ান জিনসেং পূর্নবয়স্করা ২-৩ সপ্তাহ টানা খেয়ে ২ সপ্তাহ বিরতি দিয়ে আবার খেতে পারবেন। 

আমেরিকান জিনসেং টানা ৮ সপ্তাহ খেয়ে ২ সপ্তাহ বিরতি দিয়ে আবার খেতে পারবেন। যেহেতু এটি একটি অতি কার্যকরী ওষুধ, তাই দীর্ঘদিন ব্যবহারের কোন রকম ক্ষতি হতে পারে ভেবে এটি বেশিদিন ব্যবহার করতে মানা করা হয় (যদিও দীর্ঘ ব্যবহারে ক্ষতির কথাটার কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই).. জিনসেং সাধারণত ট্যাবলেট, পাউডার, ড্রিঙ্কস হিসেবে খাওয়া হয়, এবং এদের গায়েই ব্যবহারবিধি লেখা থাকে।

 ট্যাবলেট বা পাউডার এর জন্য ডোজঃ University of Michigan Health System এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মানসিক ক্ষমতা বৃদ্ধি ও লিংগ উত্থান এর জন্য ৯০০ মিগ্রা পাউডার করে দৈনিক ৩ বার সেবন করতে হবে। 

★★উল্লেখ্য  ১ গ্রাম = ১০০০ মিলি গ্রাম । 
সে হিসাবে পাউডার সেবন করতে হলে দৈনিক ১ গ্রাম  সমপরিমাণ ৩ বার মিলে ৩ গ্রাম   তথা প্রতিবার ১ চা চামচের  ৪ ভাগের এক  ভাগ পরিমাণ সেবন করতে হবে। 

 শক্তি বা স্ট্যামিনা বৃদ্ধি ও ডায়বেটিস এর জন্য এর ডোজ হলো ২০০ মিগ্রা পাঊডার করে দিনে ১ বার, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ১০০ মিগ্রা করে দিনে ২ বার। ss cream এর জন্য ডোজ হলো ০.২ মিগ্রা। সরাসরি মূল খেলে ০.৫-২ গ্রাম মুল খাওয়া যাবে দৈনিক ১ বার। মূল কিনে খাওয়া টাই সবচেয়ে সাশ্রয়ী হয়। মূল টা চিবিয়ে খাওয়া যায়, গুড়া করে জিভের নীচে রেখে দিয়ে খাওয়া যায়, পানিতে এক ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে পানি সহ খাওয়া যায় অথবা পানিতে ৫ মিনিট ফুটিয়ে পানি সহ খাওয়া যায়। 

সার্বিক  যোগাযোগ  করতে পারেন। 
ভূঁইয়া ন্যাচরাল হার্বস 
০১৮২৯৩১৮১১৪ 


কেরিবিয়ান রেড জিংসিং এর  বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর ছবি

জিংসিং  শুকনো মূল 
৩০০ গ্রাম  ও ৬০০ গ্রাম 

জিংসিং  ট্যাবলেট 

জিংসিং  কাঁচা মূল


জিংসিং  জেলী বা হালুয়া 


জিংসিং




জিংসিং মূল   পাউডার কালো

জিংসিং  মূল রেড এন্ড হোয়াইট 
 
 

আপনার পছন্দ মতো যে কোন জিংসিং এর প্রোডাক্ট এর জন্য  যোগাযোগ করতে পারেন 
ভূঁইয়া ন্যাচরাল হার্বস 
০১৮২৯৩১৮১১৪। 





জিংসিং


জিংসিং মূল চূর্ণ  হোয়াইট এন্ড রেড, কোরিয়ান  এন্ড  --