মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১১

এইডস প্রেক্ষিত বাংলাদেশ ও এর প্রতিকার [১]

আজ আমরা মহা বিপদ -ও আল্লাহর গজবের দিকে ধাবিত হচ্ছি, বিশ্বব্যাপী এইডস সংক্রমণের ৯৫ শতাংশেরই অংশীদার উন্নয়নশীল দেশসমূহ। এশিয়ার একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে বাংলাদেশও এর শিকার। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ১৯৮৯ সালে এইডসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। এইচআইভি/এইড্স বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত না হলেও ভবিষ্যতে তার সম্ভাবনা এড়ানো যায় না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় এইডস/এসটিভি প্রোগ্রাম কর্তৃক সংকলিত ও প্রকাশিত তথ্যমতে, ২০০৭ সালের শেষ পর্যন্ত এদেশে ১২০৭ জনের মধ্যে এইডস শনাক্ত করা গেছে এবং ইতোমধ্যে ১২৩ জন মৃত্যুবরণ করেছে। শুধুমাত্র ২০০৭ সালেই ৩৩৩ জন এইচআইভি পজেটিভ ধরা পড়েছে, যার মধ্যে ১২৫ জন এইড্স আক্রান্ত এবং ১৪ জন মৃত্যুবরণ করেছে। ২০০৮ সালের সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী, এই পর্যন্ত দেশে এক হাজার ৪৯৫ জন এইচআইভি পজেটিভ বা এইডসের জীবানু বহনকারীকে সনাক্ত করা হয়েছে। এইডসের রোগী পাওয়া গেছে ৪৭৬ এবং এইড্সে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৬৫ জন। বেসরকারী হিসেব অনুযায়ী এ সংখ্যা অনেকগুণ বেশী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০০৪ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত এদেশে প্রায় ২১ হাজার জনগণ এইচআইভি আক্রান্ত অর্থাৎ প্রতি এক লাখে ১৬ জন এইচআইভি জীবাণু বহন করছে। এইচআইভি সংক্রমণের প্রধান উপায় হচ্ছে অবৈধ যৌন মিলন। বাংলাদেশে যাদের দেহে এইচআইভি পওয়া গেছে, তাদের ৮০ শতাংশই বিদেশ থেকে ফিরে আসা শ্রমিক বা তাদের স্ত্রী; এবং মূলত অবৈধ যৌন মিলনের মাধ্যমে তারা সংক্রমিত। বাংলাদেশে এইড্স এখনো ততটা বিস্তার লাভ করেনি, যতটা আশপাশের কয়েকটি দেশে ঘটেছে। তবে এইড্স বিস্তারের জন্য প্রয়োজনীয় সব শর্তই এখানে বিদ্যমান। তাই যে কোন মুহূর্তে তা বিপজ্জনক মাত্রায় বৃদ্ধি পেতে পারে। আর এ জন্য সরকারী, বেসরকারী ও ব্যক্তি উদ্যোগকে একটি সমন্বিত পরিকল্পনার আওতায় এনে সচেতনতা সৃষ্টি ও প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম এগিয়ে নিতে হবে। [৯]

বিভিন্ন রোগ
অনিয়ন্ত্রিত যৌন আচরণ, যিনা, সমকামিতা, বহুগামিতা ও মাদকাসক্তির ফলে এইচআইভি/এইড্স ছাড়াও আরো নানা জটিল রোগের উপসর্গ দেখা দেয়ার সমূহ আশংকা রয়েছে। এর মধ্যে গনোরিয়া, সিফিলিস, হেপাটাইটিস বি ভাইরাস, স্যাংক্রয়েড, ট্রাইকোনিয়াসিস, মূত্রনালী প্রদাহ, ক্লামেডিয়া, ভেনোরিয়াস অন্যতম। চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ ২০ ধরনের রোগকে যৌন সংক্রামক ব্যাধি (Sensually Transmitted Disease) রূপে অন্তর্ভূক্ত করেছেন। অবৈধ যৌন আচরণের ভয়াবহ প্রতিক্রিয়ার কথা উল্লেখ করে Encyclopaedia Britannica এর ২৩ খন্ড, ৪৫ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারী চিকিৎসালয়গুলোতে প্রতি বছর গড়ে ২ লাখ সিফিলিস এবং ১ লাখ ৬০ হাজার প্রমেহ রোগীর চিকিৎসা করা হয়। ৬৫০ টি ঔষধালয় শুধু উক্ত ব্যাধিগুলোর চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট রয়েছে। কিন্তু সরকারী ঔষধালয় অপেক্ষা বেসরকারী চিকিৎসকের নিকট রোগীর ভীড় বেশী হয়ে থাকে। আমেরিকায় প্রতি বছর ৪০ হাজার শিশু জন্মগত সিফিলিস রোগে মারা যায় । ফ্রান্সে প্রতিবছর কেবল সিফিলিস ও তজ্জনিত রোগে ৩০ হাজার লোক মৃত্যুমুখে পতিত হয়। [১০] এইসব রোগ হতে মুক্তি পেতে হলে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নৈতিক উৎকর্ষ অর্জন অপরিহার্য। কখনো কখনো রাষ্ট্রীয় আইন ও সামাজিক নিয়মকে ফাঁকি দেয়ার সুযোগ থাকলেও খোদাভীতি, নৈতিকতা ও পরকালীন জবাবদিহিতা মানুষকে গর্হিত কাজ হতে বাধা দেয়।

এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধে ধর্মের ভূমিকা
=================================
অবৈধ যৌন মিলন, অনৈতিক যৌন সম্পর্ক ও সমকামিতার মত অমানবিক কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য আল্লাহ মানব জাতিকে হুশিয়ার করে দিয়েছেন। মানবগোষ্ঠীকে অশ্লীলতা, যিনা, ব্যভিচার ও সমকামিতা থেকে বিরত থাকার জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কঠোর নির্দেশ প্রদান করেছেন। হযরত রাসূল করীম (সা.) কিশোর-বালকদের চেহারার দিকে কুদৃষ্টিতে না দেখার নির্দেশ প্রদান করেন কারণ তাদের চেহারায় বেহেশতের হুরের দীপ্তি আছে। তিনি বলেন, আমার উম্মতের ব্যাপারে যেটা সবচেয়ে বড় ভয় করি, তাহলো লূত সম্প্রদায়ের অনুরূপ পাপাচার। আমার উম্মতের মধ্যে কিছু লোক কওমে লূতের অপকর্মে লিপ্ত হবে। যখন এরূপ হতে দেখবে তখন তাদের উপরও অনুরূপ আযাব আসার অপেক্ষা কর। লূত সম্প্রদায়ের মত যারা সমকামিতায় লিপ্ত হবে তাদের উপর আল্লাহর অভিশাপ। [১১]



সমকামিতায় লিপ্ত হওয়ার কারণে একটি লোকালয়কে মহান আল্লাহ শাস্তি স্বরূপ প্রাকৃতিক
=========================================================

বিপর্যয়ের মাধ্যমে বিধ্বস্ত করে দেন। ঘটনাটি আজ থেকে প্রায় ছয় হাজার বছর আগের। ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থানটি মধ্যপ্রাচ্যের জর্দান ও ইসরাঈলের মধ্যখানে অবস্থিত। আরবীতে স্থানটিকে ‘বাহরুল মায়্যিত’ ইংরেজীতে (Dead Sea) এবং বাংলাতে ‘মৃত সাগর’ বলা হয়। এটি মূলত একটি হৃদ। সমকামিতার কারণে শাস্তি হিসেবে এ জনপদটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়। এটি ৮০ কি.মি দৈর্ঘ্য এবং ১৮ কিলোমিটার প্রস্থ। এ সাগরটি ৩০৫ মিটার গভীর এবং আয়তন ১০২০ কি.মি প্রায়। এ সাগরের পানি অন্যান্য সাগরের চেয়ে ৭ গুণ বেশী লবনাক্ত। কোন প্রাণি এ পানিতে বাঁচতেও পারে না, জন্মাতেও পারে না। এতে কিছু সংখ্যক ক্ষুদ্রকায় রোগ জীবানু (Microbe) ছাড়া কোন সামুদ্রিক মাছ নেই। জর্দান নদীর পানি এতে এসে পড়ে, সে পানির সাথে যেসব জলচর প্রাণীরা ভেসে আসে মৃত সাগরে পড়া মাত্র তা মরে যায়। মৃত সাগরের পানির আপেক্ষিক ঘনত্ব এত বেশী যে, হাত পা বেঁধে কোন প্রাণীকে ফেলে দিলেও ডোবা সম্ভব নয়। সাগরের প্রধান অংশে রয়েছে সোডিয়াম ক্লোরাইড, ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড, ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড, পটাসিয়াম ক্লোরাইড ও ম্যাগনেসিয়াম ব্রোমাইড। [১২]

ঘটনাটি লূত আ. এর সময় সংঘটিত হয়
=================================
। হযরত লূত (আ.) ছিলেন হযরত ইবরাহিম (আ.)-এর ভ্রাতুষ্পুত্র । আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হযরত লূত (আ.)-কে সাদুম নামক শহরের সন্নিকটবর্তী এলাকায় নবী হিসাবে মনোনীত করেন। সাদুম ঐ এলাকার রাজধানী ছিল। এলাকাটি ছিল প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেক আকর্ষণীয়। এলাকার লোকজনের জীবন ছিল স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ, এলাকাবাসী এক পর্যায়ে অহংকারী, দুর্বিনীত ও অন্যায়কারী হয়ে উঠে। তারা বিভিন্ন ধরণের অন্যায়, নিন্দনীয় ও অশ্লীল কাজে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। যৌন চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে তারা নারীদের পরিবর্তে পুরুষদের ব্যবহার করতে শুরু করে। দিন দিন সমকামিতা মাত্রাতিরিক্ত হয়ে উঠে। তারা এই অশ্লীল কাজে সীমালঙ্ঘন করতে থাকে। তারা সমকামিতাকে অশ্লীল ও নির্লজ্জ বলে মনে করতো না। হযরত লুত (আ.) এই নির্লজ্জ অশ্লীল শহরে বসবাস শুরু করেন। অবস্থাদৃষ্টে তিনি ব্যথিত হয়ে আল্লাহর কাছে নিরাপত্তা কামনা করেন। আল্লাহ তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে অপরাধী ৪ লাখ জনগোষ্ঠীকে বাস্তু-ভিটাসহ বিধ্বস্ত করে দেন। [১৩]

কুর‘আনুল কারীমে অত্যন্ত চমৎকারভাবে এই ঘটনা বিধৃত হয়েছে,
ولوطا إذ قال لقومه أتأتون الفاحشة ما سبقكم بها من أحد من العالمين إنكم لتأتون الرجال شهوة من دون النساء بل أنتم قوم مسرفون
“আর আমি লূতকে পাঠিয়েছিলাম। সে তার সম্প্রদায়কে বলেছিল তোমরা এমন কুকর্ম করছ যা তোমাদের পূর্বে বিশ্বেও কেউ করেনি। তোমরা তো কাম-তৃপ্তির জন্য নারী ছেড়ে পুরুষের নিকট গমন কর, তোমরা সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়”। [১৪]
আল-কুরআনে বলা হয়েছে,

قل للمؤمنين يغضوا من أبصارهم ويحفظوا فروجهم ذلك أزكى لهم إن الله خبير بما يصنعون وقل للمؤمنات يغضضن من أبصارهن ويحفظن فروجهن ولا يبدين زينتهن إلا ما ظهر منها وليضربن بخمرهن على جيوبهن ولا يبدين زينتهن إلا لبعولتهن أو آبائهن أو آباء بعولتهن أو أبنائهن أو أبناء بعولتهن أو إخوانهن أو بني إخوانهن أو بني أخواتهن أو نسائهن أو ما ملكت أيمانهن أو التابعين غير أولي الإربة من الرجال أو الطفل الذين لم يظهروا على عورات النساء ولا يضربن بأرجلهن ليعلم ما يخفين من زينتهن وتوبوا إلى الله جميعا أيها المؤمنون لعلكم تفلحون

“(হে রাসূল!) মুমিন পুরুষদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত করে রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হিফাযত করে। এতে তাদের জন্য রয়েছে অধিকতর পবিত্রতা। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন। ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে ও তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষদেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভাই, ভ্রাতষ্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভূক্ত দাসী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তাওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। [১৫]

দৃষ্টি অবনত রাখার অর্থ দৃষ্টিকে এমন বস্তু থেকে ফিরিয়ে নেয়া যার প্রতি দেখা শরীয়তে নিষিদ্ধ ও অবৈধ। বেগানা নারীর প্রতি বদ-নিয়তে দেখা হারাম এবং বিনা নিয়তে দেখা মাকরূহ-এ বিধানটি এর অন্তর্ভূক্ত। এছাড়া কারো গোপন তথ্য জানার জন্য তার গৃহে উকি মারা এবং যেসব কাজে দৃষ্টি ব্যবহার করা শরীয়ত নিষিদ্ধ করেছে সেগুলো এর অন্তর্ভূক্ত।

যৌনাঙ্গ সংযত রাখার অর্থ এই যে,
======================
কুপ্রবৃত্তি চরিতার্থ করার যতক পন্থা আছে, সবগুলো থেকে যৌনাঙ্গকে সংযত রাখা। এতে ব্যভিচার, পুংমৈথুন, হস্তমৈথুন, দুই নারীর পারস্পরিক ঘর্ষণ-যাতে কামভাব পূর্ণ হয় ইত্যাদি সব অবৈধ কর্ম অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। আয়াতের উদ্দেশ্য অবৈধ ও হারাম পন্থায় কাম প্রবৃত্তি চরিতার্থ করা এবং তার সমস্ত ভূমিকাকে নিষিদ্ধ করা। তন্মধ্যে কাম প্রবৃত্তির প্রথম ও প্রারম্ভিক কারণ হচ্ছে- দৃষ্টিপাত করা ও দেখা এবং সর্বশেষ পরিণতি হচ্ছে ব্যভিচার।

সহীহ মুসলিমে হযরত জারীর ইবন আব্দুল্লাহ বাজালী থেকে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর উক্তি বর্ণিত আছে যে, ইচ্ছা ছাড়াই হঠাৎ কোন বেগানা নারীর উপর দৃষ্টি পতিত হলে সেদিক থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নাও-ইবন কাসীর। হযরত আলী (রা.) এর হাদীসে আছে, প্রথম দৃষ্টি মাফ এবং দ্বিতীয় দৃষ্টি গোনাহ। এর উদ্দেশ্য এই যে, প্রথম দৃষ্টিপাত অকস্মাৎও অনিচ্ছাকৃত হওয়ার কারণে ক্ষমার্হ। নতুবা ইচ্ছাকৃতভাবে প্রথম দৃষ্টিপাতও ক্ষমার্হ নয়। পূর্ববর্তী অনেক মনীষী শ্মশ্রুবিহীন বালকদের প্রতি অপলক নেত্রে তাকিয়ে থাকাকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছেন এবং অনেক আলিমের মতে এটা হারাম। সম্ভবতঃ এটা তখনকার ব্যাপারে যখন বদ নিয়তে ও কামভাব নিয়ে দেখা হয়।

এ থেকে জানা গেল যে, মাহরাম ব্যতীত কোন পুরুষের প্রতি দৃষ্টিপাত করা নারীদের জন্য হারাম। অনেক আলেমের মতে নারীদের জন্য মাহরাম নয়, এমন পুরুষের প্রতি দেখা সর্বাবস্থায় হারাম; কামভাব সহকারে বদ নিয়তে দেখুক অথবা এছাড়াই দেখুক।



নারীর সাজ সজ্জার অঙ্গ পুরুষের সামনে প্রকাশ করা বৈধ নয়,
======================================
অবশ্য সেসব অঙ্গ ব্যতীত যেগুলো আপনা আপনি প্রকাশ হয়ে পড়ে অর্থাৎ কাজকর্ম ও চলাফেরার সময় যেসব অঙ্গ স্বভাবতঃ খুলে যায়। এগুলো ব্যতিক্রমের অন্তর্ভূক্ত। এগুলো প্রকাশ করার মাধ্যমে কোন গোনাহ নাই। হযরত ইব্ন আব্বাস বলেন, এখানে মুখমণ্ডল ও হাতের তালু বোঝানো হয়েছে। কেননা কোন নারী প্রয়োজনবশতঃ বাইরে যেতে বাধ্য হলে কিংবা চলাফেরা ও লেনদেনের সময় মুখমণ্ডল ও হাতের তালু আবৃত রাখা খুবই দুরূহ হয়। [১৬]

মহানবী (সা.) বলেন, কুদৃষ্টি শয়তানের একটি তীর,
=================================
যে ব্যক্তি আল্লাহর ভয়ে দৃষ্টিকে নিয়ন্ত্রণ করবে আল্লাহ তাকে ঈমান দিয়ে (বদলা) দেবেন। ফলে সে ঈমানের স্বাদ অনুভব করতে পারবে। যে চোখ আল্লাহর নিষিদ্ধ কাজ হতে বিরত থাকে, সে চোখকে কোন দিন জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করতে পারে না।




চলবে ----------------------------------------

1 টি মন্তব্য:

  1. 28 Dec, 2013
    বাংলাদেশে এইড্স সংক্রমণের হার ২৫ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৩ সালে ৩৭০ জন এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৮২ জন। এর মধ্যে সংক্রমণের মধ্যে পুরুষের হার ৬৩ শতাংশ, মহিলা ৩৫.৯ শতাংশ এবং ট্রান্স জেন্ডার ১.৫ শতাংশ।

    শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডির ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ভবন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এইচআইভি(এইড্স) সম্পর্কিত মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের সাথে এ্যাডভোকেসি কর্মশালায় বক্তারা এ সব তথ্য জানিয়েছেন।

    উত্তরমুছুন