আমার এ ব্লগে সকল দর্শকদের জানাই আন্তরীক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা . উক্ত ব্লগে শুধু মাত্র কুরআন হাদীসের আলোকে ইসলামী মূল্যবোধের উপর বিশদ আলোচনা করা হবে , দর্শকদের যে কোন যূক্তি ও গঠন মূলক মনতব্য সাদরে গ্রহন করা হবে , ধন্যবাদন্তে--======================== এম,এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া
শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১১
,পাশ্চাত্য সমাজে আদর্শ পরিবার নিয়ে কিছু ভাবনা-১
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া
পাশ্চাত্যে পারিবারিক মূল্যবোধ
আমরা যারা পাশ্চাত্যে বসবাস করি আমাদের সামনে এই কথা পরিষ্কার যে , পাশ্চাত্যে বস্তুগত উন্নতি ও উৎকর্ষতা সাধিত হলেও নৈতিকতা ও পারিবারিক মূল্যবোধ নেই বললেই চলে। পারিবারিক জীবন, পারিবারিক জীবনের শান্তি, স্থিতি, বন্ধন, ভালবাসা ও মধুময় জীবনের অভাবে অনেকে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েও রাস্তায় ঘুমায়। তাদের ঘর, বাড়ী, সম্পদ ও বিত্ত বৈভরে অভাব নেই। অভাব হচ্ছে পারিবারিক জীবনের শান্তির। এই শান্তির অভাবে জীবন সংগী বা সংগীনি নিয়ে তারা দীর্ঘদিন চলতে পারেনা;
এক পর্যায়ে ’ কুকুরই”তাদের চলাফেরার সংগী হয়।
কুকুরকে তারা শুধূ ভালবেসে সংগে রাখেনা একাকীত্ব ঘুচানোর জন্যও সংগে রাখে। উক্ত সংগীকেই তারা আদর করে ; রাস্তায় চলাফেরার সময় বন্ধু বান্ধবকে উক্ত সংগীকেই পরিচিত করে। আমি এমন অনেক ঘটনা জানি যে, স্বামী- স্ত্রী বা পার্টনার দুইজনই শপিং করার জন্য যাওয়ার পর সামান্য বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে এক অপরকে ধাক্কা মেরে বৈবাহিক জীবন বা পার্টনারশীপের ইতি ঘটিয়ে কুকুরকে সাথে নিয়েই বাসায় ফিরে আসে। অতি সামান্য বিষয় নিয়েও তারা একে অপরকে সহ্য করতে পারেনা; বিবাহ বা সম্পর্কচ্ছেদ করতে দ্বিধা করেনা।
পাশ্চাত্যে আমি আরও একটি বিষয় প্রত্যক্ষ করেছি যে, তারা বিবাহ করে দীর্ঘদিন এক সাথে থাকতে পারেনা। অথচ একই পুরুষ বা নারী বন্ধু-বান্ধবী হিসাবে দীর্ঘদিন” লীভ টুগেদার” করতে পারে। এর অর্থ হচ্ছে তাদের মাঝ থেকে বৈবাহিক জীবনের নিয়ামত উঠে গেছে। বিবাহ তাদের কাছে বোঝা মনে হয়। পাশ্চাত্যে বিবাহ এর সংখ্যা দিন দিন কমছে এবং ডিভোর্স ও লীভ টুগেদারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পাশ্চাত্যের আরও একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন আর তা হচ্ছে পারিবারিক জীবনের কনসেপ্ট।
ইসলামের দৃষ্টিতে নারী-পুরুষের বৈধ বিবাহের মাধ্যমেই পারিবারিক জীবনের সূচনা হয়।
------------------------------------------------------------------------------------------------
আর স্বামী, স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে নিয়ে পরিবার গঠিত হয়। পিতা-মাতা, ভাই ও বোন একই
----------------------------------------------------------------------------------------------
পরিবারের সদস্য হিসাবে পরিগণিত। কিন্তু পাশ্চাত্যে পুরুষে-পুরুষে বিবাহ ও নারী-নারী বিবাহ
------------------------------------------------------------------------------------------------------
বা পার্টনারশীপ চুক্তির মাধ্যমেও পরিবার হতে পারে।
---------------------------------------------------------------
আর তারা রাস্তাঘাটে যেভাবে বেহায়াপনা করে কুকুরও তাদের কাছে হার মানে। আমি দেখেছি একটি কুকুর রাস্তায় পেশাব করতে হলে কোন একটি গাছ বা খামের কাছে যায়; কিন্তু পাশ্চাত্যে কুকুর- কুকরণীর চেয়ে অধিক বেহায়পনা হয়ে একে অন্যেও সাথে হাজারো মানুষের সামনে আদর ও ভালবাসার প্রকাশ করতে দেখি। এর অর্থ হচ্ছে লজ্জাবোধ ও নৈতিকতাবোধ একেবারেই উঠে যাচ্ছে বলা যায়।
পিতা-মাতা ও ভাই-বোন একে অপরের প্রতি মুসলমানেরা যে ভালবাসা প্রদর্শন করে এবং একে অপরের সুখে দুখে যেভাবে শরীক থাকে পাশ্চাত্যে তা নেই।
এই প্রসংগে একটি ঘটনা উল্লেখ করছি।
আমাদের প্রতিবেশী এক বৃদ্ধ পুরুষকে একদিন সকাল বেলা একটু উৎফল্ল মনে হল। পরবর্তীতে তার সাথে আলাপ- আলোচনায় জানা গেল তার চার ছেলে রয়েছে। আগের দিন তার জন্মদিবস উপলক্ষে ছোট ছেলে তার জন্য গিফট নিয়ে এসেছিল। বছরে একবার ছোট ছেলে গিফট নিয়ে আসায় বৃদ্ধ মহাখুশী। কেননা পাশ্চাত্যে পিতা-মাতার খেদমত করতে হয় এই কনসেপ্ট নেই। পিতা-মাতা অসুস্থ হলে, অক্ষম হলে তাদের জন্য সরকারী সার্ভিসকেই তারা যথেষ্ট মনে করে। পাশ্চাত্যে সবাই নিজেকে নিয়ে চিন্তা করে। নিজের আয়, নিজের ভবিষ্যত ছাড়া অন্যের ভাল-মন্দ নিয়ে চিন্তা করার সময় নেই। এরফলে পাশ্চাত্যে পরিবারের সদস্যদের মাঝে আত্মকেন্দ্রীকতা বেশী দেখা যায়।
-------========================-------
আমি ও আমার এই শব্দ দুটো তাদের খুবই প্রিয়।
------==================----------------
পাশ্চাত্যে মুসলমানদের পারিবারিক জীবন
===========================
পাশ্চাত্যে মুসলমানদের আগমনের শুরুতে পরিবারের সংখ্যা খুবই কম ছিল। কেননা প্রথম পর্যায়ে যারা ইউরোপ- আমেরিকায় যান তাঁরা চাকুরীর জন্য বা পড়াশুনার জন্য গমন করেন। সে সময় ইউরোপ- আমেরিকায় জন্মসূত্রে মুসলমানরাই পরিবার নিয়ে থাকত। পরবর্তীতে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থী, ব্যবসা বানিজ্য ও ইউরোপ-আমেরিকা কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিক সুবিধা পেয়ে অনেকই পরিবার পরিজন নিয়ে ইউরোপ-আমেরিকায় বসবাস শুরু করেন। এরপর জন্মসূত্রেই অনেক তরূন-তরূনী ইউরোপ- আমেরিকায় বড় হয় এবং পারিবারিক জীবন গড়ে তোলে। আমার দৃষ্টিতে পাশ্চাত্যে বসবাসকারী মুসলিম পরিবারগুলোর চিত্র নিন্মরূপঃ
১· ইউরোপ-আমেরিকা যাওয়ার আগেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ছিল। স্বামী-স্ত্রী দুইজনের একজন আগে ইউরোপ-আমেরিকায় যাওযার সুযোগ পেয়ে অপর জীবনসংগী বা সংগীনিকে পরবর্তীতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। আর কেউ কেউ একসাথেই ইউরোপ-আমেরিকায় গমন করেন এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
২· ইউরোপ-আমেরিকায় যাওয়ার পর সেখানে আগ থেকে বসবাসরত কোন মুসলিম তরূন-তরূনীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন কিংবা নিজ দেশে গিয়ে বিবাহ করে জীবন সংগীনি নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেন।
৩· ইউরোপ- আমেরিকায় বড় হওয়া ছেলে-মেয়ে পরস্পরের মধ্যে বিবাহ হওয়ার মাধ্যমেই পারিবারিক জীবনের সূচনা হয়। এই ক্ষেত্রে কখনও কখনও দেখা যায় ইউরোপ- আমেরিকায় বড় হওয়া ছেলে-মেয়ের সাথে বিবাহ দিয়ে নিজের কোন আত্মীয়কে বিদেশে আনার জন্য অনেক সময় পিতা-মাতা ছেলে-মেয়ের সন্মতি ছাড়াই জোর করে বিবাহ দেন। আমার কাছে এমনও রিপোর্ট রয়েছে যে , পিতা-মাতা দেশের কারও কাছ থেকে টাবা-পয়সা নিয়েও ছেলে-মেয়েকে বিবাহ দিতে দ্বিধাবোধ করেননা।
৪· ইউরোপ- আমেরিকায় কিছু কিছু মুসলিম আহলে কিতাবদের সাথে বৈধ পন্থায় বিবাহ বন্ধনে আব্ধ হয়ে পারিবারিক জীবনের সূচনা করেন। আর দুঃখ জনক হলেও সত্য যে, কিছু কিছু মুসলিম ” লীভ টগেদার” করতেও দ্বিধাবোধ করছেননা।
পাশ্চাত্যে পারিবারিক জীবনে মুসলমানেরা মডেল হতে পারে
====================================
এই কথা সত্য যে, ইসলাম একটি পূর্ণাংগ জীবন ব্যবস্থা। এতে অর্থনীতি-রাজনীতি, সমাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি, ব্যবসানীতি সব কিছুই রয়েছে। ইসলামে পারিবারিক জীবনের যেমনি দিক নির্দেশনা রয়েছে তেমনি রাষ্ট্র পরিচালনার গাইড লাইনও আছে। তবে, আমি মনে করি ইসলামী রাষ্ট্র ও ইসলামী সমাজ উপহার দেয়া সহজেই সম্ভব নয়। এরজন্য নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ করতে হবে। কিন্তু মুসলমানেরা ইচ্ছা করলে , ” মডেল পরিবার” উপহার দিতে পারেন। মুমলমানেরা ইসলাম অনুসরণ করেই পরিবার পরিচালনা করলে মডেল জীবন উপহার দেয়া সম্ভব। কিন্তু দুঃখজনক সত্য যে, অনেক মুসলিম পরিবারেও অশান্তি বিরাজমান, অনেক মুসলিম পরিবারও কলহ-বিবাদ লেগে থাকে, মুসলিম পরিবারগুলোতেও ডিভোর্স এর সংখ্যা বাড়ছে। তারপরও এখনও মুসলিম পারিবারিক যে মূল্যবোধ রয়েছে তা আমাদের বিরাট নিয়ামত। আমরা এই নিয়ামতকে পাশ্চাত্যের সামনে মডেল হিসাবে উপস্থাপন করতে পারি।
মডেল পরিবার এর জন্য আল্লাহর রাসুলই সর্বোত্তম উসওয়া
========================================
প্রত্যেক মুসলমানকে এই কথা মনে প্রাণে-বিশ্বাস করতে হবে যে, আদশ পারিবারিক জীবনই সমাজ ও সভ্যতা বিনির্মানের মূল ভিত্তি। পারিবারিক জীবনে অশান্তি থাকলে অঢেল সম্পদ থাকলেও মনে শান্তি আসেনা; রাতে ঘুম হয়না। দুঃখ- যাতনা নিয়েই দিনাতিপাত করতে হয়। আর পারিবারিক জীবনে শান্তি পেতে হলে পাশ্চাত্যের কাছ থেকে কিছুই পাওয়ার নেই; আমাদেরকে আল্লাহর রাসুলের উসওয়া আদর্শ অনুসরণ করতে হবে। এই ক্ষেত্রে ইসলামের কয়েকটি মৌলিক শিক্ষা মনে রাখতে হবেঃ
১· বিবাহের মাধ্যমে পারিবারিক জীবন গঠন নবী - রাসুলদের সুন্নাত। হযরত আদম (আ) এর সৃষ্টির পরই হযরত হাওয়াকে তাঁর জীবন সংগীনি হিসাবে সৃষ্টি করা হয়। আর এরই মাধ্যমে পারিবারিক জীবনের সূচনা হয়। এরপর থেকেই বিবাহের মাধ্যমে মানব বংশ বিস্তার ও পারিবারিক জীবনের বিস্তৃতি হতে থাকে।
২· ইসলামে পারিবারিক জীবনের মূল ভিত্তি দাম্পত্য জীবন। এই প্রসংগটি কুরআনের সূরা নিসার এক নম্বর আয়াতে উল্লেখ আছে। দাম্পত্য জীবনের বাহিরে লীভ টুগেদার ইসলাম শুধু সমর্থনই করেনা বরং এটা মারাত্মক ব্যাভিচার হিসাবে পরিগণিত। এই ধরনের অপরাধের জন্য কুরআনে শাস্তির বিধান সূরা- আন-নূরে উল্লেখ করা আছে।
৩· ইসলামে পারিবারিক জীবনের লক্ষ্য ক· শান্তি তৃপ্তি খ· ভালবাসা ও বন্ধুত্ব গ· বংশ বৃদ্ধি ঘ· লজ্জাস্থানের হেফাজত। এই প্রসংগে সূরা রূমের ২১ ও ৩০ নম্বর আয়াত, সূরা আরাফের ১৮৯ নম্বর আয়াতের তাফসীর এবং হাদীসের কিতাবুন নিকাহ এর সংশ্লিষ্ট হাদীস সমূহ পাঠ করার জন্য আমি পাঠক/পাঠিকাকে অনুরোধ করছি।
৪· ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহের জন্য মোহর ফরজ। স্বামী-স্ত্রীকে মোহর প্রদান করতে হবে। অথচ দুঃখজনক হলেও সত্য যে বর্তমানে মোহর নামে মাত্র ধরা হয় কিন্তু যোৗতুক প্রদানের জন্য স্ত্রীর প্রতি অমানবিক আচরণ করার খবরও পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। অথচ ইসলামের শিক্ষা অনুসরণ করলে কেউ স্ত্রী বা তার পরিবারের কাছে যৌতুক দাবী করতোনা। অপরদিকে মোহর নির্ধারণ করা হয় অনেক টাকা। পাত্রের আর্থিক সংগতি ও পাত্রীর সামাজিক মর্যাদার প্রতি খেয়াল রেখে মোহর নির্ধারণ করা হয়না। আমি এমন অনেক বিবাহতে গিয়েছি যেখানে বেশী মোহর নির্ধারণকে গর্বেও বিষয় হিসাবে প্রকাশ করা হয়। অথ্যাৎ কার মেয়ের কত বেশী টাকা মোহর নির্ধারণ করা হল এটা যেন বলার বিষয়; এটা দেয়ার বিষয় নয়। অথচ নির্ধারিত মোহর পরিশোধ ছাড়া স্বামী তার স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া বৈবাহিক মিলন করা যায়না। তাই আমাদেরকে যৌতুকের প্রতি ঘৃণা জন্মাতে হবে; ইনসাফপূর্ণ মোহর নির্ধালন করতে হবে এবং মোহর যেন শুধু কাবিনে না থাকে বাস্তবে দেয়া হয় সেদিকে সকলকে খেয়াল রাখতে হবে।
যৌতূক ===============
--------------------------------- দেখুন
http://www.sonarbangladesh.com/blog/DaliaNuzha/57286
৫· ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহের আগে ছেলে-মেয়ে পরস্পরকে দেখা সুন্নাত।
রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এক সাহাবী যখন তার বিবাহ নির্ধারণের কথা জানিয়েছেন তখন তিনি তাকে প্রশ্ন করেছেন তুমি কি দেখেছো? সাহাবী প্রতি উত্তরে জানালেন না ” আমি দেখি নাই”। তখন আল্লাহর রাসুল (সা) বললেন, ” তুমি তাকে দেখে নাও। এটা তোমার মাঝে মহব্বত ও সম্পর্ক স্থায়ী করণে অধিক সহায়ক হবে”।
আমি এক বিবাহের কথা জানি যেখানে বর কনেকে এই কারণে দেখতে যায় নাই যে কনে দেখতে গেলে তার খরচ হবে। তাই না দেখেই বিবাহ করেছে। বিবাহ করার পরপরই কনে তার পছন্দ হয়নি। এরফলে মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে পারিবারিক অশান্তির সূচনা হয় এবং তার শেষ পরিণতি হল বিাহ- বিচ্ছেদ। তাই বিবাহের আগে বিবাহ কেন্দ্রীক সিদ্বান্ত নেয়ার জন্য যতটুকু দেখা দরকার শুধু ততটুকুই কোন একজন মাহরামের সামনে দেখার ব্যবস্থা করার প্রতি অভিভাবকদের খেয়াল রাখা উচিৎ।
এই কেন্দ্রীক আমি কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য করছিঃ
১· ছেলে-মেয়ে পরস্পরকে দেখার পর বিবাহের আগেই এক সাথে ঘুরা-ঘুরি শুরু করে দেয়। এই ক্ষেত্রে এই বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে যে, বিবাহের অনুষ্ঠান না হলেও আক্কদ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই পরস্পর স্বামী-স্ত্রী হিসাবে চলাফেরা করতে পারে। কিন্তু আক্কদ হওয়ার আগে এই ধরনের মেলো-মেশা গুনাহের কাজ। তাই বিাহের কথা বার্তা ফাইনাল হয়ে গেলে বিবাহের আগে মাঝ-খানে দীর্ঘদিন বিরতি রাখা আমি পছন্দ করিনা। ২· বাংলাদেশে গ্রামে গঞ্জে আমি প্রত্যক্ষ করেছি যে , ছেলের জন্য বউ দেখার জন্য বাপ, ভাই বা দুলা ভাইরা যান অথচ ছেলে-মেয়ে পরস্পরকে দেখা ” সামাজিক ভাবে অন্য চোখে’ দেখা হয়। অথচ বাপ- ভাই বা দুলা ভাই কারো জন্যই মেয়েটি মাহরাম নয় এবং একজনের বিবাহের জন্য গায়েরে মাহরাম অন্য কেউ মেয়ে দেখতে যাওয়া ঠিক নয়। আমাদের সমাজে ছেলের জন্য বউ দেখতে গিয়ে বাপে বিবাহ করারও কিছু নজীর আছে। আমি মনে করি ছেলে- মেয়ের জীবন সংগী-সংগীনি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ইসলাম তাদেরকে যে অধিকার দিয়েছে তা খর্ব করা উচিৎ নয়। এই ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্বান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে অভিভাকগণ গাইড করবেন তবে জোর করে কোন সিদ্বান্ত চাপিয়ে দিবেননা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন