রবিবার, ২০ মে, ২০১২

আমাদের কওমী কণধারদের ঘুম ভাঙ্গবে কবে? প্রসঙ্গ সনদ

আমি ব্যক্তি গত ভাবে মমাহত,
ব্যথিত ও লজ্যিত  ,
এর পরও লেখতে বাধ্য হলাম,
কারন প্রভাদ আছে = থুথু মারলে গায়ে পডে,কুঠাল মারলে পাঁয়ে পডে,

 আজকে বিজ্ঞানের যুগে সমগ্র বিশ্ব সকল স্তরে অগ্রগতির সোপানে প্রতিযোগিতায় মেতে উঠছে,সেখানে আমরা এখনও অনেক পিছিয়ে আছি ,     যদিও কেউ স্বীয় উদ্দোগে  কম্পিউটার /ইন্টারন্যাট এর দিকে মনোযোগী হচ্ছেন, এবং ইন্টারনেটে বিভিন্ন লেখনি বিবৃতীর মাধ্যমে বাতেলের মোকাবলায় এগিয়ে আসছেন ,তাও হাতে গনা গুটি কয়েক জন ৷

আর যারা এখন ও চার দেয়ালের বাঊন্ডারীতে অবস্হান করছেন তাদের বেলায় তো এসব কল্পনাতীত বিষয়,
কারন আজ পযন্ত আমাদের কওমী মাদ্রাসা গুলোতে কম্পিউটার কে বলা হচ্ছে নভ্য টেলিভিশন,এটা আমাদর জন্য দূভাগ্যের কারন নয় কি?

তবে হ্যাঁ যেখানে মুসা সেখানে ফেরআউন , যেখানে হক্ব সেখানে বাতেল , ভাল-মন্দ মিশৃত দুনিয়া বলেইতো বলা হচ্ছে  الدنيا مزرعة الاخرة  দুনিয়া আখেরাতের খেতি স্বরুপو  الدنيا دار الامتحان  দুনিয়াটা পরিক্ষার কেন্দ্র و তাই এখানে ভাল মন্দ হওয়াটাই স্বভাবিক و
তাই কম্পিউটার  এ উভয় দিক বিদ্দমানو যে  যে ভাবে ব্যবহার করবে ফলাফল ও তাইই হবে ৷
কিন্তু তার পরও যারা অদূর ভবিষ্যতে কিছু করার  জন্য উদ্যোগী তাদের কে সে সূযোগ দেয়া হয়না ************************************************************************* এ নিয়ে আমার  এ ক্ষুদ্র লেখনী ,
তবে আমার মূল বক্তব্যের  আগে একটি কথা স্বরন করে দিতে চাই  যে আমাদের সাটিফিকেট সরকারী ভাবে স্বীকৃতী নয়,তবে স্বীকৃতি  লাভের জন্য বিভিন্ন আলাপ আলোচনা চলছে সরকারের সাথে সকলরেই জানা আছে ৷
,
কিন্তু আমাদের কওমী সাটিফিকেট সরকারী স্বীকৃতি না থাকলে ও বে সরকারি পযায়ে অনেক  ক্ষেত্রে স্বীকৃত,এমন কি আমার এক বন্ধু কওমী সনদ দিয়ে হিলটেক্স এ ক্যান্টনম্যান জামে মসজিদে খতিবের দায়িত্বে নিয়োগ পেয়েছেন و এ রকম আরও অনেকেই ৷

তাছাডা প্রবাসীদের ক্ষেত্রে তা স্বীকৃত , যারা প্রবাসে বিশেষত মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলোতে, কম রত আছেন অনেক ক্ষেত্রে আমি দেখেছি তারা কওমী সাটিফিকেট দিয়ে অনেক ভাল ভাল চাকুরী করছেন ৷


 এরই ধারাবাহিকতায়,

 আমার এক ভাগিনা কে উচ্চ  শিক্ষার   জন্য সৌদি আরবস্হ জামেয়া উম্মুল কোরা/জামেয়া ইসলামিয়া মদিনা মুনাওয়য়রাতে  এ্যাডমিশন নেওয়ার জন্য কওমী মাদ্রাসার জমাতে ছুয়ামের সাটিফিকেটের প্রয়োজন হলে و সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে আবেদন করা হলে কতৃপক্ষ সনদ দিতে অস্বীকৃতি জানায় و কেনইবা সনদ দিবেনা  তা আমার বোধগম্য নয় ৷ পরবতিতে অনেক পীডাপিডীর ফলে মাকসিট দিয়েছেন কিন্তু সনদ দেন নি و তাদের প্রতিষ্ঠানের নাকি নিয়ম নেই সনদ দেয়া ৷

তাহলে কি কওমী ছাত্ররা সরকারী স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত و হওয়ার সাথে সাথে কওমী স্বীকৃতি থেকেও বঞ্চিত ؟؟؟
অথচ /আমাদের কে و জামেয়া ইসলামিয়া পটিয়া চট্টগ্রাম থেকে  পারেগ হওয়ার সাথে সাথে  জমাতে পাঞ্জম থেকে দাওরা হাদীস পযন্ত সকল জমাতের সনদ  প্রদান করা হয়েছে ز এবং তাতে আমরা উপকৃত ও হয়েছি ৷
সুতরাং--
               আমাদের সন্মানীত মুরুব্বীদের প্রতি অকাট্য সন্মান, শ্রদ্ধা ,ও ভক্তি রেখেই বলছি
জামেয়া ইসলামিয়া পটিয়ার  সেই মানসিকতায় উদবব্ধ হয়ে সকল কওমী মাদ্রাসার কণ ধারদের ঘূম ভাঙ্গা উচিত  নয় কি ?????


তা ছাডা এক জন ছাত্র জমাতে ছুয়ম পযন্ত লেখা পড়া করার পর  দরজায়ে মোমতাজ [ ষ্টান] করা ছাত্র্  তার যোগ্যতা সাটিফিকেট পাবেনা এটা কোন ধরনের মানষিকতা     ؟
এটা তার অধিকার  নয় কি?

আবার কোথাও বা শুনেছি জমাতে উলার আগে নাকি কোন সনদ  দেয়া হয়না ,
কেন এ আচরন?

একটা ছাত্রের জীবনে অনেক হাজারো সমস্যা আসতে পারে , তাকে এক প্রতিষ্ঠান ছেডে অন্যত্র লেখা=পড়া করতে হলে যে কোন মুহুতে যে কোন ক্লাস থেকে  তাকে সনদ নিতে হবে , যদি কোন নিয়মতান্ত্রিক কোন প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করতে হয়,
তাহলে কি সনদ না পাওয়ার কারনে  তার জীবন কি অন্দকারে  নিমজ্জিত হবে ,
এটা কি কোন বিভেকমান মানুষ পছন্দ করতে পারে ??

অথচ  আমরা মধ্যপ্রাচ্যর সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সকল শ্রেনীর এমন কি শিশুদের কে ও তার শিক্ষার স্বীকৃতী স্বরুপ   সনদ দেয়া হচ্ছে ,  আমার জনামতে    সারা বিশ্বে এমন কোন প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে ইন্টার /ছুয়ম/ছানোবী পযন্ত পড়ার পর   সনদ পাবেনা .

আমার বিদ্যাপিঠ জামেয়া ইসলামিয়া পটিয়াতে এবং ইত্তেহাদুল মাদারিস কওমিয়ার আওতাধীন  সকল
প্রতিষ্ঠানে হেফজ বিভাগ থেকে শুরু করে সকল বিভাগেই ছাত্রদের কে যোগ্যতা সনদ দেয়া হয়

,
কিন্তু চট্টগ্রাম  শহরের স্বনাম ধন্য একটি জামেয়া অথচ   সনদ দেয়া হচ্ছেনা , [  নাম উল্লেক করছিনা ]
কেন সনদ  ছাওয়া -দেয়া-নেয়া কি অবৈধ???

কেন একটা ছাত্রকে উচ্ছ শিক্ষা অজনের জন্য বিদেশ সফর ও কি অবৈধ???
এ প্রশ্ন গুলোর উত্তর  অজানাই থেকে যাবে কি ?

কখন আমাদের কওমী কণধারদের ঘুম ভাঙ্গবে???????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????


1 টি মন্তব্য:

  1. চমৎকার লিখেছেন। জাতি এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে চাই। আরো জানতে চাই একটা ছেলে হেদায়া পড়ার পর অন্য মাদরাসা থেকে কিভাবে দাওরা পড়ে ফেলে? আবার এক জনের ভর্তি পরিক্ষা অন্যজনে কিভাবে দেয়? আর এমন হলে এই শিক্ষাব্যবস্থাকে সরকার কেনই বা স্বীকৃতি দিবে?
    ভাই কওমী সংক্রান্ত যে কোন লেখা এখানে প্রকাশ করতে পারেন www.qawmee.com

    উত্তরমুছুন