বুধবার, ২ মে, ২০১২

মাযহাব সর্ম্পেকে এক আরব শিক্ষিত লোকের সাথে আমার কথপকথন।

মাযহাব সর্ম্পেকে এক আরব শিক্ষিত লোকের সাথে আমার কথপকথন। আমি অবাক হলাম তার জবাব শুনে।







আমি এক আরবের শিক্ষিত লোককে প্রশ্ন
করলাম আচ্ছা মাজহাব সর্ম্পকে আপনার কি ধারনা।

সে আমাকে দারুন একটা উত্তর দিল, বলল তুমি কাবা শরিফ দেখেছ আমি বললাম হ্যাঁ, সে বলল কাবা কয়টা আমি বললাম একটা আবার বলল কাবার কোনা কয়টা আমি বললাম চারটা, এবার সে বলল ইসলাম একটা আর চার মাযহাব কাবার চার কোনা।

আমি অবাক হলাম এত সহজেই উত্তরটা দিয়ে দিল। তাদের ধারনা কি পরিষ্কার। আর আমরা?

আমি আরব দেশে আছি প্রায় ১২বছর, আরবিদের সাথে একত্রে মসজিদে জামাতে নামায পড়ি তারা রফাদাইন (আল্লাহু আকবার বলার সময় হাত উঠান), আমিন জোরে বলে। তাদের মাযহাব অনুযায়ী।
আমি রফাদাই ও জোরে আমিন বলিনা হানাফি অনুযায়ী কই আজপর্যন্ত কোন আরবী আমাদেরকে বাধা দেয়নী।

এর কারন কী? তার জানে আমারটাও সঠিক।

আবার দেখবেন মক্কা শরীফের সম্মানীত ইমাম শায়দ আব্দুর রাহমান সুদাইস /শেখ সুরাইম /শেখ হূজাইফি, দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসায় সফর করেছেন। সেখানে জুমআর নামাজে নিজে ইমামতি করেছেন ,

ভিডিও দেখতে চাইলে ইউটিউবে সার্চ করে দেখতে পারেন।
সেখানে এক মঞ্চে মাওঃ আরসাদ মাদানীর সাথে বকতৃতা দিয়েছেন, শুনলে বুঝবেন উনি দেওবন্দী ওলামায়েকেরামদের ও তাদের অবধানকে কত সম্মান করেছেন।


আর কিছু নামদারী আহলে হাদীস
দেওবন্দী ওলামায়ে কেরামকে নোংড়া ভাষায় সমালোচনা করে। এটা ঠিক না। জানা দরকার তারপর বলা দরকার।

আসলে আরবী যাদের মধ্যে ইলেম আছে তারা কখনো বিরোধিতা করে না। কিন্তু আমাদের ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের কিছু কম জানা মানুষ না জেনে (হাদিস, পবিত্র কোরআন ভাল ভাবে না বুঝে) শুধু সাধারন মানুষদের ধোকায় ফেলার চেষ্টায় আছে।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সহি বুঝ দান করুন।

এখানে একটি ভিডিও লিংক ,
দেখার আমন্ত্রন রইল

http://www.youtube.com/watch?v=eOTECyOWJNk
ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড : এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া
বিষয়শ্রেণী: ধর্ম-চিন্তা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন