বুধবার, ১৮ জুলাই, ২০১২

কওমী মাদ্রাসা কি ও কেন? কওমী শিক্ষার পরিচয়”

কওমী মাদ্রাসা কি ও কেন?
“কওমী মাদ্রাসা” সঠিক সম্ভাবনা ও প্রদীপ্ত আশার আলো, পৃথিবীর বুকে যুগ পরম্পরায় যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে সেগুলোর মাঝে অন্যতম ও সর্বোত্তম প্রতিষ্ঠান হচ্ছে কওমী মাদ্রাসা। যার নির্মাতা ও প্রতিষ্ঠাতা হলেন মহান স্রষ্টা স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর পক্ষ থেকে প্রেরিত মানবতার মহান অগ্রদূত হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। যার অমীয় সূধা পান করে তৃপ্ত হয়েছেন হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ, হযরত ইবনে মাসউদ রাঃ, হযরত আবু হুরায়রা রাঃ। সৃষ্টি হয়েছেন হযরত ইমাম আবু হানিফা, ইমাম শাফেয়ী, ইমাম মালিক, ইমাম আহমদ রাহিমাহুমুল্লাহু আলাইহিম প্রমুখ আইম্মায়ে কেরাম।
কওমী মাদ্রাসা প্রকৃত আদর্শ মানব তৈরীর সুনিপুণ কারখানা। যে কারখানা থেকে তৈরী হয়েছেন হযরত ইমাম গাজালী, মুহাদ্দিসে দেহলভী, মুহাজিরে মাক্কী রাহিমাহুমুল্লাহু আলাইহিম এর মত বিখ্যাত ব্যক্তিরা। যারা জাতির ক্রান্তিলগ্নে ইংরেজ বেনিয়াদের হাত থেকে ধর্ম দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে গড়ে তুলেন “দারুল উলূম দেওবন্দ” মাদ্রাসা এবং দারুল উলূম দেওবন্দকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে হাজার হাজার কওমী মাদ্রাসা।
দেশ ও ধর্ম প্রিয় এই আলেমগনের রোনাজারি আহাজারি ও নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগ এবং নিরলস সাধনা প্রচেষ্টায় তৈরী হয় সেবা প্রিয় এক দল ছাত্র সমাজ তাদের মহান আত্মত্যাগ ও বিপ্লবী হুংকারে কেঁপে উঠেছে ব্রিটিশ বেনিয়াদের মসনদ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে উপমহাদেশ। তাদের তাজা খুনের প্লাবন স্রোতে তরী ভেসেছে ১৯৪৭ সালের মহান স্বাধীনতার। যে তরীর কান্ডারী ছিলেন হযরত কাসিম নানুতুবী, হযরত হুসাইন আহমদ মাদানী, শাহ ইসমাঈল শহীদ রাহিমাহুমুল্লাহ সহ অসংখ্য দেওবন্দী ওলামায়ে কেরাম। ধর্মের প্রকৃত রুপায়ন, সঠিক সংরক্ষণ, সকল প্রকার অপব্যাখ্যা ও মনগড়া ধর্ম ব্যবস্থাপত্র থেকে কোরআন ও হাদিস, ইলমে নববীর মূলধারা সুন্নতে রাসূল সাঃ এর রূপরেখা সংরক্ষিত হচ্ছে সুপ্রাচীর কওমী দুর্গে।
কওমী মাদ্রাসা জাতিকে শুধু স্বাধীনতাই উপহার দেয়নি বরং প্রতি বছরই উপহার দেয় স্বার্থত্যাগী সচেতন এক দল কর্মনিষ্ট কর্মী।যারা প্রিয় মাতৃভুমিকে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসী শক্তির আগ্রাসন থেকে রক্ষার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। যারা স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করছেন।
“কওমী শিক্ষার পরিচয়”
কওমী শিক্ষার্থীদের পরিচয় হল তারা আল্লাহর প্রতি পূর্ণ অনূগত ও আস্থাশীল, সুন্নাতে নববীর পূর্ণ অনুরক্ত ও অনুসারী। এই শিক্ষা ব্যবস্থা মানব গবেষণা প্রদত্ত নয় বরং আল্লাহ প্রদত্ত। যার আবেদন করেছিলেন জাতির পিতা হযরত ইব্রাহীম আঃ সন্তানের ইহলৌকিক ও পারলৌকিক সুখ শান্তি এবং উন্নতি ও সমৃদ্ধির কথা ভেবে। আর পার্থিব সেই শিক্ষা ব্যবস্থার পাঠ্যসূচি ছিল কোরআনের তিলাওয়াত, চরিত্র সংশোধন তথা আত্মশুদ্ধি এবং কিতাব ও হিকমাতের শিক্ষাদান।আল্লাহ্‌ তাআলা এই প্রার্থনা কবুল করলেন এবং শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এই পাঠ্যসূচী দিয়ে প্রেরণ করলেন। এরপর সাড়ে চৌদ্দশত বছরের দীর্ঘ পথ অতিক্রমের পর যুগ পরম্পরায় এই শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের পর্যন্ত পৌছে দেন সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন তাবে তাবেঈন এবং সালফে সালেহীন রিযওয়ানিল্লাহি আলাইহিম আজমাঈন। সুতরাং বিজ্ঞানের সামনে অজ্ঞান হয়ে যারা কওমী মাদ্রাসা সম্পর্কে বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে পিছিয়ে থাকার অবান্তর অভিযোগ তুলেন তারা মূলত এই শিক্ষা ধারার লক্ষ উদ্দেশ্য সম্পর্কে অনবগত।
বস্তুত এই শিক্ষা আহরণ করে এবং নববী আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে কওমী শিক্ষার্থীরা হয় ভদ্র, সভ্য, নম্র, বিনয়ী এবং মানবিক উন্নত চরিত্রাবলীর অধিকারী। ফলে কওমী শিক্ষার্থীরা ধর্মকে বিসর্জন দিয়ে পাশ্চাত্বের অন্ধ অনুকরণ করেনা। সংস্কৃতির নামে অপসংস্কৃতির বেড়াজালে গাঁ
ভাসিয়ে দেন না এবং আকাশ মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়ার নোংরামী, বেহায়াপনা, নগ্নতা ও অশ্লীলতায় নিমগ্ন হননা। কওমী শিক্ষার্থীরা অল্পে তুষ্ট, পরকল্যাণে সচেষ্ট, দশ ও দেশের জন্য উৎসর্গিত এবং উম্মত ও জাতির প্রতি দরদ, মায়া এবং সম্প্রীতি ও ভালবাসা প্রদর্শনের এক অনুপম দৃষ্টান্ত। তাই অভাব অনটন ও ক্ষুধা, অনাহারে ক্লিষ্ট থাকা সত্বে ও কওমী শিক্ষার্থীরা লোভ-লালসা, সন্ত্রাস, হানাহানি, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির কালো বাজার থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করেন।
আমার ও আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস পাশ্চাত্বমুখী আধুনিক শিক্ষায় গর্বিত দেশের ও দেশের বাইরের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ গুলো এর একটি উপমাও পেশ করতে সক্ষম হবেনা। কওমী শিক্ষার্থীরা তাদের হৃদয়ের গহীনে এই বিশ্বাস লালন করে যে অর্থ-সম্পদ, যশ-খ্যাতি এবং ভোগ ও প্রাচুর্যের মধ্যে কোন কামিয়াবী ও সফলতা নেই বরং সততা ও ন্যায়নীতি এবং বিশ্বস্ততা ও আমানতদারীর ভিত্তিতেই জীবনে সফলতার সৌধ নির্মিত হয়। তাই দেশ ও জাতির আমানতের খেয়ানত, দুর্নীতি ও ইয়াবা কেলেঙ্কারীর দায় থেকে কওমী শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ মুক্ত ও পবিত্র।
ন্যায় ইনসাফের কষ্টি পাথরে যাচাই করলে আমরা দেখতে পাই প্রতিটি কওমী মাদ্রাসা দ্বীন ও ইসলামের এক একটি উজ্জ্বল প্রদীপ। স্বাধীনতার স্বপক্ষে সৈনিক তৈরীর আদর্শ প্রতিষ্ঠান এবং দেশ প্রেমিক সুনাগরিক সৃষ্টির নির্মল ঝর্ণাধারা। এখানে বিরাজ করে পারষ্পরিক কলহ বিবাদ মুক্ত এক অন্তরঙ্গ পরিবেশ। দূষিত রাজনীতির পঙ্কিলতা এবং ছাত্র রাজনীতির বিষাক্ততা এখানে নেই।
“কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা ও প্রসঙ্গ কর্মসংস্থানঃ”
দ্বীনি শিক্ষার মারকায এই কওমী মাদ্রাসাগুলোকে আজ বাংলাদেশের কোন কোন সমালোচক ভূলবশত অসত্য বিশেষনে বিশেষায়িত করতে চান। তারা এগুলোকে অপ্রয়োজনীয়, বেকার ও বেকারত্ব সৃষ্টিকারী ইত্যাকার কটুবাক্যে কালিমা লেপন করে এগুলোর ভাবগাম্ভীর্য বিনষ্ট করতে সচেষ্ট। তারা ইনিয়ে বিনিয়ে, টেনে টোনে, জোড়াতালি দিয়ে বুঝাতে চান যে, এসব মাদ্রাসায় পড়ে কোন চাকরী-নকরী পাওয়া যায়না। ইচ্ছেমত টাকা পয়সা কামাই করা যায়না। বিলাসী জীবন উপভোগ করা যায়না। তাহলে এইসব প্রতিষ্ঠান দিয়ে সমাজের কি লাভ। এসব বুদ্ধিজীবি ভাইদের উদ্দেশ্যে আমরা কিছু আরজ করতে চাই তারা যদি বুদ্ধির সদ্ব্যবহার করেন এবং নিম্নোক্ত কথাগুলোতে একটু চিন্তা করেন তাহলে আশা করি তারা তাদের উপরোক্ত অবস্থান থেকে সরে আসবেন। স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি নির্বিশেষে পৃথিবীর কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই নিছক রুজি-রোজগার ও আর্থিক উন্নতি সাধনকে নিজেদের শিক্ষা ব্যবস্থার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বলে ঘোষনা দেয়নি দিতে পারে ও না। বরং ছাত্রদের জ্ঞান ও প্রতিভার উপযুক্ত বিকাশ সাধনই হলো সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিন্ন উদ্দেশ্য।
তাহলে কওমী মাদ্রাসায় শিক্ষাপ্রাপ্ত কোন আলিমকে এ মানদন্ডে কেন বিচার করা হয় যে তিনি তার এই লেখাপড়ার দ্বারা মাসে কত টাকা রোজগার করতে পারেন এটা আমাদের বোধগম্য নয়। চোখে রঙ্গিন চশমা লাগিয়ে তাকালে সবকিছুর সঠিক রং অনুমান করা যায়না চশমা খুলে তাকালে তবেই আসল রং বুঝা যায়। যে সব বন্ধু কওমী শিক্ষিতদেরকে বেকার ও অকর্মণ্য দোষে দোষী করতে চান, যদি দয়া করে চোখ থেকে রঙ্গিন চশমাটি সরিয়ে তাকাতেন তাহলে দেখতেন যে, কওমী আলিমগন বেকার তো ননই বরং ভীষন ব্যস্ত। মানুষকে দ্বীনের সঠিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করে নৈতিকতা ও আদর্শের গুণ অর্জনের প্রতি উৎসাহিত করা এবং তাদেরকে আখেরাতমুখী বানানোর মত ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কাজে তারা সদা নিয়োজিত। আমাদের অনেক আলেমে দ্বীন রয়েছেন যাদের ডায়রীতে বিপুল পরিমাণ কাজের দীর্ঘ ফিরিস্তি পরে রয়েছে। কিন্তু সময়ের অভাবে তারা তাতে হাত দিতে পারছেননা।
বলা হচ্ছে কওমী আলিমদের কোন কর্মক্ষেত্র নেই আসলেই কি বিষয়টি এরকম, কিছুতেই না। বরং তাদের কর্মক্ষেত্র অসংখ্য ও অগণিত সুবিশাল ও সুবিস্তৃত। তবে এগুলোকে কঠিন পর্দা দিয়ে আড়াল করে রাখা হয়েছে যা উন্মোচন করতে দেওয়া হচ্ছেনা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিধি মতে প্রতি দশ জন মানুষের দৈহিক সুস্থতার জন্য অন্তত একজন চিকিৎসক এবং একজন আইন উপদেষ্টা বিদ্যমান থাকা একটি মৌলিক অধিকার এখন আমরা বলতে চাই মানুষ কি শুধু শরীরের নাম। না বরং শরীর ও রুহ এ দুইয়ের সমন্বয়ে হল মানুষ। সামান্য শরীরের জন্য যদি বিশ্ববিবেক প্রতি দশ জনের জন্য একজন চিকিৎসক ও আইন উপদেষ্টার প্রয়োজন মনে করে তাহলে মানুষের রুহ ও আত্মার সুস্থতার জন্য রুহানী চিকিৎসক ও শরয়ী আইন উপদেষ্টার প্রয়োজনীয়তা কিভাবে অস্বীকার করা যায়।
একজন হক্কানী আলিম হলেন মানুষের রুহ ও আত্মার চিকিৎসক তিনি মানুষের যাবতীয় আমল-আখলাক, কাজকর্ম, লেনদেন ইত্যাদির আইন উপদেষ্টা। অতএব বিশ্ব বিবেকের নীতি অনুযায়ী যদি চিন্তা করা হয় তাহলে দেখা যাবে যে কর্ম সংস্থান ও চাহিদার তুলনায় আলিমদের সংখ্যা একেবারেই অপ্রতুল। শেষে একটি কথা না বলে পারছিনা কওমী বিদ্বেষী কতিপয় চিন্তাবিদ অযথা এ উক্তি করে থাকেন যে কওমী শিক্ষিতদের অধিকাংশই অভাবী। অভাবের তারনায় তারা সন্ত্রাসের পথ বেছে নেন কিন্তু আমরা অভাবে স্বভাব নষ্ট, এই প্রবাদ সর্বক্ষেত্রে সত্য বলে মেনে নিতে পারছিনা। কে বলেছে অভাবের কারনে মানুষ সন্ত্রাসী হয়? অভাবের কারনে মানুষ সন্ত্রাসী হয়না বরং তুলনামূলক বেশি সংযমী হয়। অধিক খোদাভীরু ও আল্লাহ্‌ওয়ালাই হয়। পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় অপকর্ম, দুর্নীতি, অত্যাচার ইত্যাদির ৮০% ঘটে সমাজের ধনী লোকদের দ্বারা আর হয়ত ২০% ঘটে গরীব লোকদের মাধ্যমে। বস্তুত কোন মানুষ যদি সন্ত্রাসী হয় তাহলে সেটা মন্দ সাহচর্য ও মন্দ পরিবেশ এবং অশিক্ষা ও কুশিক্ষার কারণে কিংবা জীবন যাত্রায় মওত ও আখেরাতের ভয় বিদ্যমান না থাকার কারণে।
আসলে রোগের সঠিক কারণ নির্ণয় না করে আমরা জাতিকে ঔষধ সেবন করিয়ে যাচ্ছি। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। চিন্তাবিদ মহলের জন্য বিষয়টি গভীরভাবে চিন্তা করা দরকার
শেষ কথা:
মানবতার বাতিঘর এই কওমী মাদ্রাসা গুলো বরাবরই বিশ্বসন্ত্রাস ইহুদী, খ্রিষ্টানদের প্রধান শত্রু বিবেচিত হয়ে আসছে। কারণ জালিমের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে যারা তাদেরকেই জন্ম দেয় কওমী মাদ্রাসা। তাই সাম্রাজ্যবাদী অপশক্তি এ সকল প্রতিষ্ঠানকে নির্মূল করার জন্য সর্বদাই গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কওমী শিক্ষাকে সন্ত্রাস ও বেকারত্ব সৃষ্টিকারী, আধুনিক যুগের উন্নতি-অগ্রগতির পথে বাধা ইত্যাদি দোষে দোষী করে সমাজের সামনে তুলে ধরতে তারা সদা সচেষ্ট। অতএব সর্বস্তরের মুসলিম জনগনের প্রতি আবেদন শ্ত্রুর অপপ্রচারে যেন আমরা বিভ্রান্ত না হই। মনে রাখবেন যেদিন এই কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা থাকবেনা। সেদিন হয়ত বিদ্যুতের ঝলক থাকবে, প্রযুক্তির গতি থাকবে, মানুষ উড়বে মহাকাশে মহাবেগে, আধুনিকতায় পৃথিবী ঝলমল করবে। কিন্তু সেদিন হয়ত মানুষ আর মানুষ থাকবেনা পশুকে ও হার মানাবে।
দারুল উলূম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার ২০১২ সালের তাফসীর বিভাগের পক্ষ থেকে ছাপানো ফয়জুল আজিজ নামক ডায়রী থেকে সংকলিত।
সংকলকঃ
মুসা আল ফক্বীহ
তাফসীর বিভাগ ২০১২
হাটহাজারী মাদ্রাসা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন