| |
লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ০৯ জানুয়ারী ২০১৩, দুপুর ১২:৩১
| |
টমেটো-------
** টমেটো পাচন শক্তি বাড়ায়। পেটের যে কোনো রোগের ক্ষেত্রে টমেটো খাওয়া ভালো। তা একেবারে ওষুধের মতো কাজ করে। ** ঘন ঘন ঢেঁকুর উঠলে, পেট ফাঁপলে, মুখে ছালা হলে টমেটোর স্যুপের মধ্যে আদা এবং বিটলবণ মিশিয়ে পান করুন। উপকার পাবেন। ** টমেটোর স্যুপ খেলে এনার্জি বাড়ে। পেট হালকা হয়। ** ঠাণ্ডার সময় গরম গরম স্যুপ খেলে সর্দি-কাশি হয় না। শরীরে রক্তের অভাব পূরণ করে টমেটো। অ্যানিমিয়া হলে টমেটোর জুস খান, উপকার পাবেন। বেরি বেরি, গিট বাত, একজিমা প্রভৃতি রোগ প্রতিরোধ করে টমেটো। **মধুমেহ রোগীদের জন্য টমেটোর জুস খুব ভালো ওষুধ। ** জ্বরের পরে দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য টমেটো খান। প্রায় ৪০০০ বছর আগে থেকেই চীনে ওষধ হিসাবে ব্যাবহার করা হচ্ছে সবুজ চা বা গ্রিন টি। সময়ের পরিবর্তনে গ্রিন টির ব্যবহার চীনের বাইরে পুরো বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছে। গবেষকরা গ্রিন টি’র মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন অনেক রোগের নিরাময় গুণ। নিয়মিত সবুজ চা পান করলে, ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের ঝুঁকিও অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। ***আমাদের শরীরের জন্য সবুজ চা পানের উপকারিতা** *ক্যান্সার প্রতিরোধ করে *হার্ট অ্যাটাক এর ঝুঁকি কমায় *রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় *উপকারি কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায় *সবুজ চা ভাইরাসজনিত ফ্লু রোধ করে বা দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে *বার্ধক্য রোধ করে শরীরকে সুস্থ ও সুন্দর রাখে *ইনফেকশান কার্যকর হওয়ার ঝুকি কমায় *কিডনি রোগের জন্য উপকারি *ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর *দাঁতক্ষয় এবং পেটের রোগ সারাতে গ্রিন টি কাজ করে। ***নিয়মিত পরিমিত সবুজ চা পান করুন। অনাকাংক্ষিত অনেক রোগের ঝুঁকি থেকে নিজেকে মুক্ত রাখুন। সুত্র :বাংলা নিউজ ২৪ বাঁধাকপি এমন এক তরকারী যা রান্না করতে খুব বেশী কষ্ট করতে হয় না৷ যে কোনভাবে রান্না করলেই খেতে সুস্বাদু লাগে৷ বাঁধাকপির বেশ কিছু ভেষজ গুণ আছে৷ যা নিম্নে দেওয়া হল। *বাঁধাকপির পাতা কাঁচা যদি আপনি রোজ ৫০ গ্রাম করে খেতে পারেন তাহলে আপনার পায়রিয়া এবং দাঁতের অন্য কোন সমস্যা থাকবে না৷ * প্রতিদিন বাঁধাকপির পাতা ৫০ গ্রাম খেলে আপনার মাথায় চুল গজাবে৷ * বাঁধাকপির রস খেলে ঘা সেরে যায়৷ * এক গ্লাস দই এর ঘোলের মধ্যে এক কাপ বাঁধাকপির রস, এক চতুর্থাংশ পালং শাকের রস মিশিয়ে প্রতিদিন দু' বার পান করলে খুব অল্পদিনের মধ্যে আপনার কোলাইটিস সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়ে যাবে। *বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ ও সি এবং ক্যালশিয়াম, ফসফরাস ও অন্যান্য খনিজ লবণ রয়েছে। *বাঁধাকপিতে এক ধরনের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। অ্যান্টি অক্সিডেন্টের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ইস্ট্রোজেন বেরিয়ে যাওয়ার ফলে মহিলাদের স্তনে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে। *বাঁধাকপি খেলে অন্ত্র, মলদ্বার এবং পাকস্থলীর ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমায়। *বাঁধাকপি দাঁতের সমস্যা রোধ করে। * লেবুর জুস থেকে কাঁচা বাঁধাকপিতে ভিটামিন ‘সি’-এর পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। *কাঁচা বাঁধাকপি পাকস্থলির বর্জ্য পরিষ্কার করে। *কাঁচা বাঁধাকপি কোষ্ঠ্যকাঠিন্য কমাতেও এই সবজি দারুণ কার্যকরী। *বাঁধাকপি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। *বাঁধাকপি শীতের সময় প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় এবং দামেও সস্তা থাকে। প্রাতে খেলে নুন আদা অরুচি থাকে না দাদা।’ আরো কতশত উপকারিতা বিজ্ঞানীরা বের করেছেন তা বলাই বাহুল্য। কৃত্রিম ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফ্যাসাদে পড়ে এখন সবাই একটু শান্তি খুঁজছেন প্রাকৃতিক ও ভেষজ দ্রব্যের দিকে। একটু ঠাণ্ডা লেগে গেলে কিংবা খেলার মধ্যে হাঁপিয়ে উঠলে আদা খাওয়া যায়। কারণ আদা কাশি কমাতে সহায়ক। আদায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম। আছে যথেষ্ট পরিমাণ আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ফরফরাসের মতো খনিজ পদার্থ। এছাড়া সামান্য পরিমাণে আছে সোডাম, জিঙ্ক ও ম্যাঙ্গানিজ। আদা রান্না অথবা কাঁচা দু’ভাবেই খাওয়া যায়। গলার খুসখুসে ভাব কমাতে কাঁচা আদা খুবই উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আদা থাকলে যে কোনো ধরনের ঠাণ্ডাসংক্রান্ত রোগবালাই, কাঁশি ও হাঁপানির তীব্রতা কমিয়ে দেয়। আর্থ্রাইটিসের মতো রোগের ক্ষেত্রেও ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে আদা। এছাড়া চুল পড়া ও বমিরোধক হিসেবেও আদা বেশ কাজে দেয়। ভিটামিন -ই, এ, বি ও সি এর পরিমাণও কম নয় আদার মধ্যে। রক্তের অনুচক্রিকা এবং হৃদযন্ত্রের কার্যক্রম ঠিক রাখতেও আদা দারুণ কার্যকর। মুখের রুচি বাড়াতে ও বদহজম রোধে আদা শুকিয়ে খেলে বাড়বে হজম শক্তি। আমাশয়, জন্ডিস, পেট ফাঁপা রোধে আদা চিবিয়ে বা রস করে খেলে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া যারা গলার চর্চা করেন তারা অনেকেই গলা পরিষ্কার রাখার জন্য আদা আর লবণকে পছন্দ করে থাকেন। আসলে মসলা ছাড়াও আদার রয়েছে বিভিন্ন গুণ। ইউনিভার্সিটি অব মিয়ামি মেডিক্যাল স্কুলের বিজ্ঞানীদের মতে, খাদ্যের সঙ্গে নিয়মিত আদা খেলে গিঁটে ব্যথা সারে অনেকখানি। শীতে কাঁপুনি ধরে যাচ্ছে? এককাপ আদার চা খেয়ে নিন। বেশ আরাম বোধ করবেন। আদা সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে উত্তেজিত করে রক্ত পরিসঞ্চালন বৃদ্ধি করে। সেই সঙ্গে রক্তনালী প্রসারিত করে। ফলে শরীর গরম থাকে দীর্ঘক্ষণ। এছাড়া যাদের মোশন সিকনেস আছে, তারা আদার সাহায্যে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। বার্তা২৪ ডটনেট জলপাইয়ের পাতা যুদ্ধে শান্তির প্রতীক হলো জলপাইয়ের পাতা এবং মানুষের শরীরের শান্তির দূত হলো জলপাইয়ের তেল বা অলিভ ওয়েল। আরবিতে জয়তুন নামে ডাকা হয়। ভেষজ গুণে ভরা এই ফলটি লিকুইড গোল্ড বা তরল সোনা নামেও পরিচিত। গ্রীক সভ্যতার প্রারম্ভিক কাল থেকে এই তেল ব্যাবহার হয়ে আসছে রন্ধন কর্মে ও চিকিৎসা শাস্ত্রে। আকর্ষণীয় এবং মোহনীয় সব গুণ এই জলপাইয়ের তেলের মধ্য রয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলেন, জলপাই তেলে এমন উপাদান রয়েছে, যেগুলো আমাদের শরীরকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখে। জলপাই তেল পেটের জন্য খুব ভালো। এটা শরীরে এসিড কমায়, লিভার পরিষ্কার করে। যাদের কোষ্টকাঠিণ্য রয়েছে, তারা দিনে এক চা চামচ জলপাই তেল খেলে উপকার পাবেন। গবেষকরা বলেন, জলপাই তেল গায়ে মাখলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক কুচকানো প্রতিরোধ হয়। গবেষকরা ২৫ মিলিয়ন লোকজনের উপর গবেষণা করে দেখিয়েছেন প্রতিদিন দুই চা চামচ জলপাই তেল ১ সপ্তাহ ধরে খেলে তা দেহের ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরল কমায় এবং উপকারী এইচডিএল কোলেস্টেরল বাড়ায়। অন্যদিকে স্পেনিশ গবেষকার দেখিয়েছেন, খাবারে জলপাই তেল ব্যবহার করলে কোলন বা মলাশয় ক্যান্সার প্রতিরোধ হয়। এটা পেইন কিলার হিসাবেও কাজ করে। গবেষকরা আরো জানান, গোসলের পানিতে চার ভাগের এক ভাগ চা চামচ জলপাই তেল ঢেলে গোসল করলে রিলাক্স পাওয়া যায়। মেয়েদের রূপ বাড়াতে এটা অনেকটা কার্যকর। ইসলাম ধর্মেও জলপাইয়ের তেল খাওয়া এবং ব্যবহারের গুরত্ব দেয়া হয়েছে। আল্লাহর রাসুল (স.) বলেছেন, “কুলু আয যাইতু ওয়াদ দাহিনু বিহি, ফা ইন্নাহু মিন শাজারাতিন মুবারাকাতিন” অর্থ- তোমরা এই তেলটি খাও, তা শরীরে মাখাও।” জলপাই শীতকালীন ফল। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এই ফলটি পাওয়া যায়। আমাদের দেশে সবুজ জলপাই সহজলভ্য। পৃথিবীর অনেক দেশে কালো জলপাই জন্মে। জলপাইয়ের পাতা ও ফল দুটোই ভীষণ উপকারী। জলপাইয়ের রস থেকে যে তেল তৈরি হয় তার রয়েছে যথেষ্ট পুষ্টিগুণ। প্রচণ্ড পরিমাণে টক এই ফলে রয়েছে উচ্চমানের ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই। এই ভিটামিনগুলো দেহের রোগজীবাণু ধ্বংস করে, উচ্চ রক্তচাপ কমায়, রক্তে চর্বি জমে যাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে হূৎপিণ্ডের রক্তপ্রবাহ ভালো রাখে। ফলে হূৎপিণ্ড থেকে অধিক পরিশোধিত রক্ত মস্তিষ্কে পৌঁছায়, মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে। ত্বকের কাটাছেঁড়া দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে। উচ্চরক্তচাপ ও রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে এর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সেদ্ধ জলপাইয়ের চেয়ে কাঁচা জলপাইয়ের পুষ্টিমূল্য অধিক। এই ফলের আয়রন রক্তের আরবিসির কর্মশক্তি বৃদ্ধি করে। জলপাইয়ের খোসায় রয়েছে আঁশজাতীয় উপাদান। এই আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়, কোলনের পাকস্থলীর ক্যানসার দূর করতে রাখে অগ্রণী ভূমিকা। জলপাইয়ের পাতারও রয়েছে যথেষ্ট ঔষধি গুণ। এই পাতা ছেঁচে কাটা, ক্ষত হওয়া স্থানে লাগালে কাটা দ্রুত শুকায়। বাতের ব্যথা, ভাইরাসজনিত জ্বর, ক্রমাগত মুটিয়ে যাওয়া, জন্ডিস, কাশি, সর্দিজ্বরে জলপাই পাতার গুঁড়া জরুরি পথ্য হিসেবে কাজ করে। মাথার উকুন তাড়াতে, ত্বকের ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাকজনিত সমস্যা দূর করার জন্য এই পাতার গুঁড়া ব্যবহূত হয়। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে জলপাই পাতার গুঁড়া ও জলপাইয়ের তেল ব্যবহারে হাড় ও মাংসপেশির ব্যথা কমে। জলপাইয়ের তেল কুসুম গরম করে চুলের গোড়াতে ম্যাসাজ করলে চুলের পুষ্টি ও বৃদ্ধি ভালো হয়, চুলের ঝরে যাওয়া তুলনামূলকভাবে কমে।সর্দি-কাশি হলে শরীর একেবারে রোগা-পাতলা হয়ে যায়। এই রোগে রান্নায় জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। কারণ এই তেলের ফ্যাট খুব সহজে হজম করা যায়। এই তেল কডলিভার অয়েলের চেয়েও ভালো কাজ করে। তা ছাড়া কডলিভার অয়েলের বদলে জলপাইয়ের তেলও কাঁচা খেতে পারলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। কাঁচা খেতে অসুবিধা হলে কমলালেবুর রস বা অন্য যেকোনো ফলের রসের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। যদি মুখে ছালা হয় তাহলে গরম জলের মধ্যে হলুদের পাউডার মিশিয়ে কুলকুচি করুন৷ সেরে যাবে৷যদি শরীরের কোন অংশ পুড়ে যায় তাহলে জলের মধ্যে হলুদের পাউডার মিশিয়ে লাগান৷ আরাম পাবেন৷ সূর্যের তাপে গা জ্বলে গেলে হলুদের পাউডারের মধ্যে বাদামের চূর্ণ এবং দই মিশিয়ে লাগান৷ সর্দি-কাশি হলে হলুদ খান৷ কাশি কমাতে হলে হলুদের গাঠ মুখে রেখে চুষুন৷ এছাড়া এক গ্লাস গরম দুধের মধ্যে হলুদের গুড়ো এবং গোলমরিচ গুড়ো মিশিয়ে পান করুন৷ আয়ুর্বেদের মতে হলুদ নাকি রক্ত শুদ্ধ করে৷ তাই হলুদের ফুলের পেস্ট লাগালে চর্ম রোগ দূর হয়৷ হলুদ চেহারার সৌন্দর্য বাড়াতেও সাহায্য করে৷ হলুদের সঙ্গে চন্দন মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বক উজ্জ্বল হ্য়৷ হলুদের মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ লবন, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, লোহা প্রভৃতি নানা পদার্থ রয়েছে৷ তাই হলুদ খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধের মতা জন্মায়৷ লিভারের েেত্র হলুদ খাওয়া খুবই ভাল ৷ কাচা হলুদ যে কতটা উপকারী তা হয়ত সকলেই জানেন৷ তবে কাচা হলুদ খাওয়ার পাশাপাশি আপনি রান্নাতেও বেশী পরিমাণে হলুদ ব্যবহার করতে পারেন৷ কারণ হলুদ এর প্রয়োগে আপনার রান্নাটা ভীষণই স্বাস্থ্যকর হয়ে যাবে৷ হলুদের মধ্যে এমন কিছু পদার্থ আছে যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ মতা গড়ে৷শরীরের যন্ত্রনা কমায়৷ এছাড়া আর এতে নানা সমস্যা দূর হয়৷ হলুদ কি সমস্যা দূর করে চলুন তা জেনে নিই৷ কিছুদিন আগেই একটা গবেষণাতে প্রমানিত হয়েছিল হলুন নাকি ক্যান্সার সারায়৷ হলুদের মধ্যে ফিনোলিক যৌগিক কারকিউমিন রয়েছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে৷ আরেকটি গবেষণাতে প্রমানিত হয়েছে হলুদ মোটা হওয়া থেকে বাঁচায়৷ হলুদের মধ্যে কারকিউমিন নামে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে যা শরীরে খুব তাড়াতাড়ি মিশে যায়৷ শরীরের কলা গুলোকে বাড়তে দেয় না৷ গা ব্যথা হলে দুধের মধ্যে হলুদ মিশিয়ে খান আরাম পাবেন৷ জয়েন্টের ব্যথা হলে হলুদের পেস্ট তৈরি করে লেপ লাগান৷ গলায় ব্যাথা হলে কাচা হলুদ আদার সঙ্গে পিষে তার গুড় মিশিয়ে গরম করুন৷ তারপরে সেটা খান গলা ব্যথা কমে যাবে৷ ঘা এর মধ্যে হলুদের লেপ লাগান৷ ঘা তাড়াতাড়ি সেরে যাবে৷ বাংলাবার্তা ২৪ ডটনেট মশলার জগতে এক বিশেষ স্থান দখল করে রয়েছে গোলমরিচ। স্বাদে ঝাল হলেও কাঁচা মরিচ বা শুকনো মরিচের মত গোলমরিচের ঝাল তেমন উগ্র নয়। উপরন্তু একটু সুঘ্রাণও রয়েছে গোলমরিচের ঝালের। একারণে খাদ্যদ্রব্য ও নানা ধরনের তরকারিকে মুখরোচক করতে ব্যবহৃত হয় গোলমরিচের গুঁড়ো। এছাড়া মাছ ও মাংস রান্নার ক্ষেত্রে গোলমরিচের এক বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এমনকি সুপ, আলুর দম, অর্ধসিদ্ধ ডিম ইত্যাদিকে মুখরোচক করতেও গৃহিণীরা আশ্রয় নেন গোলমরিচের। মরিচের গুঁড়ো সহযোগে তৈরি নাড়ু মজাদারই বটে। বিশেষজ্ঞদের মতে গোলমরিচের আদি জন্মস্থান হলো দক্ষিণ এশিয়া। চিরঞ্জীব বনৌষধিতে উল্লেখ রয়েছে যে ভারতের দাক্ষিণাত্যের কানাড়া জেলার জঙ্গলে আগে গোলমরিচ অনাদরে অবহেলায় জন্মাতে দেখা যেত। পরে অবশ্য বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ওইসব এলাকায় গোলমরিচের চাষ ছড়িয়ে পড়ে। লতা জাতীয় বর্ষজীবী এই উদ্ভিদের জন্যে আমাদের দেশের মাটি বেশ উপযোগী। কারণ যেসব জায়গা সব সময় ভেজা থাকে সেখানে গোলমরিচ ভাল জন্মে। তবু বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এর চাষ বিস্তৃত হয়নি। তবে সুখের বিষয় এই যে, শহর বন্দর এমনকি গ্রাম বাংলার প্রত্যন্ত এলাকায় মুদির দোকানে গোলমরিচ পাওয়া যায়। এ কারণে বলা যায় গোলমরিচ এমন একটা উপকারী মশলা যা সব সময় আমাদের হাতের কাছেই পাওয়া যায়। গোলমরিচের রয়েছে যথেষ্ট ভেষজগুণ। নিদ্রাহীনতা, টাক রোগ, ঢুলুনি রোগ, বিষাক্ত পোকার জ্বালা, ফিক ব্যথা, গনোরিয়া, ক্রিমি, নাসা রোগ, আমাশয় ইত্যাদি রোগে গোলমরিচের সফল ব্যবহার রয়েছে। স্থূলদেহী বা হাল্কা পাতলা যে কোন ধরনের মানুষ নিদ্রাহীনতায় ভুগতে পারেন। এক্ষেত্রে একটি গোলমরিচ নিয়ে নিজের মুখের লালায় ঘষে কাজলের মত চোখে লাগাতে হবে (অবশ্য পুরো গোলমরিচটা ঘষে নেয়ার দরকার নেই)। এর দ্বারা নিদ্রাহীনতা চলে যাবে। যেসব কীটপতঙ্গ কামড়ালে বা হুল ফোটালে জ্বালা করে যেমন বোলতা, ভীমরুল, কাঁকড়া, বিছা, ডাঁস ইত্যাদির জ্বালা দমন করতে গোলমরিচ পানিতে ঘষে তার সাথে 2-5 ফোঁটা ভিনিগার মিশিয়ে হুলবিদ্ধ স্থানে লাগালে জ্বালা প্রশমিত হয়। কেবল যে মাথায় টাক রোগে চুল ওঠে যায় তা নয়। ভ্রু, গোঁফ, দাড়ি ইত্যাদি লোমশ জায়গায়ও টাক রোগ দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে ধানি পেঁয়াজের রস টাকের স্থানে লাগাতে হবে। এরপর ওই জায়গায় গোলমরিচ ও সৈন্ধব লবণ একসাথে বেটে লাগিয়ে রাখতে হবে। দেখা যাবে ব্যবহারের কয়েকদিন পর সেখানে নতুন চুল গজিয়েছে। অনেকে ঢুলুনি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। কথা বলতে বলতে মনের অগোচরেই তিনি ঘুমিয়ে যাচ্ছেন। এই অহেতুক দুষ্ট ব্যাধি দমনে মরিচ বেশ উপকারী। এক্ষেত্রে মুখের লালায় গোলমরিচ ঘষে চোখে কাজলের মত লাগাতে হবে। কোমরে, পাঁজরে বা ঘাড়ে অনেকের ফিক ব্যথা হয়ে থাকে। এই ব্যথা নিরাময়ে আশ্রয় নিতে হবে গোলমরিচের। গোলমরিচের গুঁড়ো এক বা দেড় গ্রাম মাত্রায় গরম পানিসহ সকালে ও বিকেলে খেলে এই ব্যথা উপশম হবে। এমন অনেক রোগ আছে যেগুলো হঠাৎ আক্রমণ করে থাকে। মূত্রাবরোধ হলো এমন একটি বেদনাদায়ক রোগ। এই রোগে প্রস্রাব একটু একটু হতে থাকে আবার থেমেও যায়। এক্ষেত্রে গোলমরিচ দু'গ্রাম নিয়ে চন্দনের মত বেটে একটু মিশ্রি বা চিনি দিয়ে শরবত করে খেতে হবে। গনোরিয়া রোগকে আয়ুর্বেদিক মতে বলা হয় উপসর্গিক মেহ। এ রোগে প্রস্রাবের সময় বা পরে অথবা অন্য সময়েও টিপলে একটু পুঁজের মত বেরোয়। এক্ষেত্রে মরিচচূর্ণ 800 মিলিগ্রাম মাত্রায় দু'বেলা মধুসহ খেতে হবে। প্রথমে 2_3 দিন একবার করে খাওয়া ভাল। শিশুদের ফুলো রোগেও মরিচ উপকারী। অনেক সময় দেখা যায় ঠাণ্ডা হাওয়া লাগলে বা প্রস্রাবের ওপর শিশু শুয়ে থাকলে এমনকি শীতকালে উপযুক্ত বস্ত্রের অভাবে শিশু ফুলে গেছে। এই অবস্থায় টাট্কা মাখনের সাথে 50 মিলিগ্রাম মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে সেটা একটু একটু করে জিভে লাগিয়ে দিতে হবে। শিশু তা চেটে খেয়ে ফেলবে, এতে ফুলোর উপকার হবে। আয়ুর্বেদিক মতে অগ্নাশয় বা প্যানক্রিয়াস বিকারগ্রস্ত হলে তার পরিণতিতে রসবহ স্রোতের বিকার উপস্থিত হয়। আর এর ফলে জন্ম নেয় ক্রিমি। এর দরুন 2 থেকে 7-8 বছরের ছেলেমেয়েদের পেটের উপরের অংশে (দু'ধারের পাঁজরের হাড়গুলোর সংযোগস্থলের নিচে) মোচড়ানি ব্যথা হয়। এর ফলে শিশুর মাথা একটু বড় হয়ে যায়। মুখ দিয়ে পানি ওঠে না। যখন তখন পেটে ব্যথা ধরে। এক্ষেত্রে এই বয়সের বাচ্চাদের জন্যে 50 মিলিগ্রাম মাত্রায় মরিচের গুঁড়োর সাথে একটু দুধ মিশিয়ে খেতে দিতে হবে। দরকারবশত সকাল বিকাল দু'বেলাই খেতে দেয়া যায়। নাসা রোগ ভয়ঙ্কর না হলেও ছোট নয়। এর লক্ষণ হলো: প্রথমে নাকে সর্দি, তারপর নাক বন্ধ হয়। কোন কোন সময় কপালে যন্ত্রণা হয়। ঘ্রাণশক্তির হ্রাস ঘটে। দুর্গন্ধও বেরোয় মুখ থেকে। খাবারের রুচি থাকে না। কারও কারও ঘাড়ে যন্ত্রণা হতে শুরু করে। আবার নাক দিয়ে রক্তও পড়ে। এক্ষেত্রে পুরনো আখের গুড় 5 গ্রাম, গরুর দুধের দই 25 গ্রাম এবং সেই সাথে এক গ্রাম মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে সকালে ও বিকেলে দু'বার খেতে হবে। কথায় বলে লোভে পাপ আর পাপে মৃতু্য। খাওয়ার সময় লোভ সামলানো যায় না। আবার খেলেও হজম হয় না। একটু তেল, ঘি জাতীয় গুরুপাক জিনিস খেলে তো কথাই নেই। গলা, বুক জ্বালা করবে, অম্বলের ঢেকুর উঠবে। তারপর বমি হবে। কোন সময় এই ক্ষেত্র উপস্থিত হলে খাওয়ার পরই গোলমরিচের গুঁড়ো এক গ্রাম বা দেড় গ্রাম মাত্রায় পানিসহ খেতে হবে। এর দ্বারা সেদিনকার মত নিষকৃতি পাওয়া যাবে। অনেকে প্রায়শই আমাশয় রোগে ভুগে থাকেন। আমাশয় হলে অনেক সময় আম বা মল বেশি পড়ে না। কিন্তু শুলুনি বা কোঁথানি থাকে যথেষ্ট। এক্ষেত্রে মরিচচূর্ণ এক বা দেড় গ্রাম মাত্রায় সকালে ও বিকেলে দু'বার পানিসহ খেতে হবে। এর দ্বারা আমদোষ 2-3 দিনের মধ্যেই চলে যাবে। পেট গরম হলে অনেকক্ষত্রে কাশি দেখা দেয়। এ ধরনের কাশিতে সর্দি উঠে যাবার পর একটু উপশম হয় কিংবা পানি খেয়ে বমি হয়ে গেলে সেই কাশির উদ্বেগটা চলে যায়। এই অবস্থার সৃষ্টি হয় অগ্নাশয়ের বিকৃতি থেকে। এক্ষেত্রে গোলমরিচ গুঁড়ো করে কাপড়ে ছেঁকে নিয়ে সেই গুঁড়ো এক গ্রাম মাত্রায় নিয়ে একটু গাওয়া ঘি ও মধু মিশিয়ে অথবা ঘি ও চিনি মিশিয়ে সকাল থেকে মাঝে মাঝে একটু একটু করে 7/8 ঘণ্টার মধ্যে এটি চেটে খেতে হবে। নপ্রিয় ও সহজলভ্য একটি ফল কমলা। এটি সারা বছরই পাওয়া যায় এবং দামেও সস্তা। তাই এটি আর এখন বিদেশি কোন ফল নয়। জনপ্রিয় এই ফলটির পুষ্টিগুণ সবার জানা উচিত। কমলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ হল : * ১০০ গ্রাম কমলাতে আছে ভিটামিন বি ০.৮ মিলিগ্রাম, সি ৪৯ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৩ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৩০০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২৩ মিলিগ্রাম। * দৈনিক যতটুকু ভিটামিন ‘সি’ প্রয়োজন তার প্রায় সবটাই একটি কমলা থেকে সরবরাহ হ’তে পারে। * কমলায় আছে শক্তি সরবরাহকারী চর্বিমুক্ত ৮০ ক্যালরি, যা শক্তির ধাপগুলোর জন্য জ্বালানি হিসাবে কাজ করে। * কমলায় আছে প্রচুর ভিটামিন সি, যা ক্যান্সার প্রতিরোধক, স্বাস্থ্যকর, রক্ত তৈরিকারক এবং ক্ষত আরোগ্যকারী হিসাবে খুবই উপযোগী। * কমলা বি ভিটামিন ফোলেটের খুব ভাল উৎস, যা জন্মগত ত্রুটি এবং হৃদরোগের জন্য ভাল কাজ করে। * প্রতিদিনকার প্রয়োজনীয় পটাসিয়ামের ৭ ভাগ পূরণ করা সম্ভব কমলা দিয়ে, যা শরীরের তরলের ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রয়োজন। * কমলাতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিকেল ড্যামেজ করে। ফলে ত্বকে সজীবতা বজায় থাকে। * এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বিভিন্ন ইনফেকশন প্রতিরোধে সহায়তা করে। * কমলাতে উপস্থিত বিটা ক্যারোটিন সেল ড্যামেজ প্রতিরোধে সহায়তা করে। * এর ক্যালসিয়াম দাঁত ও হাড় গঠনে সাহায্য করে। ম্যাগনেসিয়াম থাকায় ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে। * পটাসিয়াম ইকেট্রোলাইট ব্যালেন্স বজায় রাখে এবং কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেম ভাল রাখতে সহায়তা করে। * কমলাতে উপস্থিত লিমিনয়েড মুখ, ত্বক, ফুসফুস, পাকস্থলীকে কোমল রাখে এবং স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। * ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় ওযন কমাতেও সহায়তা করে। \ সংকলিত \ কমলার জুস খেয়ে নিন""" সকালের নাস্তায় নিয়মিত ডিম খেলে স্মৃতি শক্তি বাড়ে।কথাটা নতুন করে জানালেন বিজ্ঞানীরা ।তারা ডিমে খুজে" কোলেন "নামে নতুন এক ধরণের উপাদান পেয়েছেন।ইউনিবার্সিটির স্কুল অফ মেডিসিনের গবেষক রোডা আউ এবং তার দল গত দশ বছর ধরে ডিম এবং তার পুষ্টিগুণ নিয়ে কাজ করছিলেন।তারা দশ বছরে একহাজার ৪০০ প্রাপ্ত বয়স্ক বৃটিশের উপর একটি গবেষণা চালান।গবেষণায় দেখা গেছে ,১৪০০ বৃটিশের যারা নিয়মিত সকালের নাস্তায় ডিম খাওয়ার অভ্যাস করেছেন তাদের স্মৃতি শক্তি বাকীদের তুলনায় অনেক তুখোর । লবঙ্গ লবঙ্গ সাধারণত রান্নার সময় অনেকে ব্যবহার করেন। গরম মসলার মধ্যেও লবঙ্গ থাকে। তা রান্নার স্বাদ বাড়ায়। এছাড়া লবঙ্গের আরও বিশেষ কিছু গুণ আছে, যা আমাদের শরীরের ক্ষেত্রে ভীষণ ফলদায়ী। চলুন সেগুলো জেনে নিই। —লবঙ্গ কফ-কাশি দূর করে। —পানির পিপাসা পেলে বা বুকে অস্বস্তি হলে লবঙ্গ খাওয়া দরকার। তাতে পিপাসা মেটে। শরীরে ফুর্তি নিয়ে আসে। —হজমে লবঙ্গ সহায়তা করে। —খিদে বাড়ায়। —পেটের কৃমি নাশ করে দেয়। —লবঙ্গ পিষে মিশ্রি বা মধুর সঙ্গে খাওয়া ভীষণ ভালো। এতে রক্তে শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ বাড়ায়। —এটা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের কাজ করে। হাঁপানির মাত্রা কম করে। —চন্দনের গুঁড়োর সঙ্গে লবঙ্গ পিষে লাগালে ত্বকের যে কোনো সমস্যা দূর হয়ে যায়। —দাঁতের ক্ষেত্রে লবঙ্গ ভীষণ ভালো ওষুধ। দাঁতে ব্যথা হলে লবঙ্গ মুখে রাখুন কমে যাবে। —মুখে দুর্গন্ধ দূর করে লবঙ্গ। —মুখে ছালা হলে পানের মতো পেয়ারা পাতা চিবিয়ে খান, ছালা কমে যাবে। খেজুর একটি পুষ্টিকর ফল। সারা বছর পাওয়া গেলেও রমজানের সময়ে এর সহজলভ্যতা ও চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। আমাদের দেশেও এখন খেজুরের আবাদ করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত সৌদি কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের খেজুরই আমরা বেশি খেয়ে থাকি। গাঢ় খয়েরি রঙের খেজুরে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ, যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর স্বাদ এতই মিষ্টি, যেন মনে হয়, চিনি ও মধুর এক অপূর্ব মিশ্রণ। খেজুরের পুষ্টিগুণঃ খেজুরে আছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। ফ্রক্টোজ ও ডেক্সট্রোজের মতো সাধারণ সুগার। আছে ট্যানিনস নামক পলিফেনোলিক এন্টি-অক্সিডেন্ট, যা একাধারে এন্টি-ইনফেকটিভ, এন্টি-ইনফ্লামেটরি ও এন্টি হেমোরেজিক হিসেবে পরিচিত। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন-এ। এটি বিটা ক্যারোটিন নামক এন্টি অক্সিডেন্ট ফ্লাভোনয়েডে সমৃদ্ধ। আয়রনের চমৎকার উৎস হচ্ছে, খেজুর যা আমাদের দেহের জন্য অপরিহার্য। রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কপার ও ম্যাগনেশিয়াম। ভিটামিন 'কে'-সহ ভিটামিন-বি কমপ্লেক্সে সমৃদ্ধ খেজুর রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পাইরিডক্সিন, নিয়াসিন, পজেন্টামেনিক এসিড ও বিবোফ্লাভিন। খেজুরের উপকারিতাঃ == কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে খেজুর একটি উপকারী ফল। == নিকোটিনিক উপাদানের কারণে এটি দেহের অন্ত্রের নানা জটিলতা দূর করতে সাহায্য করে। == সুগার, ফ্যাট, প্রোটিন ও ভিটামিনের অপূর্ব সমন্বয়ের জন্য এটি দেহের ওজন বাড়াতে একটি পুষ্টিকর ডায়েট। == হার্টকে সুস্থ, সবল ও নানা জটিলতা থেকে নিরাপদ রাখতে সাহায্য করে। == শিশুর পুষ্টিহীনতা দূর করতে সহায়তা করে। == খুসখুসে কাশি, ব্রঙ্কাইটিস সমস্যায় খেজুর খুব আরামদায়ক। == পটাসিয়ামে সমৃদ্ধতার জন্য এটি নার্ভাস সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। == নিয়মিত ৪০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম শতকরা ৪০ ভাগ স্ট্রোকের সম্ভাবনা হ্রাস করে। এক্ষেত্রে খেজুর খুবই সহায়তা করে থাকে। == রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ও যৌন দুর্বলতা কমাতে খেজুর সহায়ককারী হিসেবে কাজ করে। == খেজুরে আছে ফ্লুরিন যা দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধ করে থাকে। == রাত কানা, অ্যানিমিয়া ও ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। == সর্বোপরি, লক্ষণীয় বিষয়, খেজুর একটি এনার্জি বা শক্তিবৃদ্ধিকারক, পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ফল। ১০০ গ্রাম খেজুরে যা থাকেঃ এনার্জি - ২৭৭ কিলোক্যালরি কার্বো হাইড্রেট - ৭৪.৯৭ গ্রাম প্রোটিন - ১.৮১ গ্রাম ফ্যাট - ০.১৫গ্রাম ডায়েটরি ফাইবার - ৬.৭ গ্রাম ডায়েটরি সুগার - ৬৩ গ্রাম বেশ কয়েকটি জরিপে বেশি পরিমাণ বাদাম খাওয়া (দিনে ২/৩ বার) এবং ওজন কমে যাওয়ার মধ্যে একটি সম্পর্ক প্রমাণিত হয়েছে। বেথ ইজরায়েল মেডিকেল সেন্টারের গবেষকরা ২০১০ সালে ২০ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে ছোট একটি জরিপ পরিচালনা করেন। এতে দেখা যায় নাস্তার সময় কিছু আখরোট খেলে দুপুরের খাবার সময় পেট ভরাভরা লাগে, ফলে কম খাওয়া সম্ভব হয়। ক্যালরি কম খাওয়া হলে ওজন হ্রাসে সহায়তা হয়। বাদাম খেলে যেহেতু পেট ভরাভরা লাগে, তাই তো কম ক্যালরি খাওয়ার ব্যাপারে সহায়ক হবে। বাদামে থাকে পর্যাপ্ত চর্বি ও প্রোটিন এবং এর চর্বির প্রায় পুরোটাই অসম্পৃক্ত ধাচের অর্থাতৎ স্বাস্থ্যকর। এতে ভিটামিন বেশি না পাওয়া গেলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম আছে। তাছাড়াও ম্যাগনেসিয়ামসহ প্রয়োজনীয় আরো কিছু খনিজ এতে রয়েছে। খাদ্য নিয়ন্ত্রণ যারা করেন, তারা ক্যালরি বেড়ে যাওয়ার ভয়ে বাদামের চর্বি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। বাদামে শর্করা সামান্যই আছে। ফলে বাদাম খেলে ওজন বাড়বে না। ১.৫ আউন্স বাদামে বিদ্যমান পুষ্টি (গ্রাম হিসেবে): সাধারণ বাদাম, ক্যালোরি ২৪৯ গ্রাম, ফ্যাট ২১.১ গ্রাম, প্রোটিন ১০.১ গ্রাম, পেস্তা বাদাম- ক্যালোরি ২৪৩ গ্রাম, ফ্যাট ১৯.৬ গ্রাম, প্রোটিন ৯.১ গ্রাম, বিদেশী বাদাম- ক্যালোরি ২৫৪ গ্রাম, ফ্যাট ২২.৫ গ্রাম, প্রোটিন ৯.৪ গ্রাম, বড় বাদাম- ক্যালোরি ২৭৯ গ্রাম, ফ্যাট ২৮.২ গ্রাম, প্রোটিন ৬.১ গ্রাম, কাজু বাদাম- ক্যালোরি ২৪৪ গ্রাম, ফ্যাট ১৯.৭ গ্রাম, প্রোটিন ৬.৫ গ্রাম, বাদুর বাদাম- ক্যালোরি ২৭৫ গ্রাম, ফ্যাট ২৬.৫ গ্রাম, প্রোটিন ৬.৪ গ্রাম, আখরোট- ক্যালোরি ২৭৮ গ্রাম, ফ্যাট ২৭.৭ গ্রাম, প্রোটিন ৬.৫ গ্রাম, ম্যাকাড্যামিয়াস- ক্যালোরী ৩০৫ গ্রাম, ফ্যাট ৩২.৪ গ্রাম, প্রোটিন ৩.৩ গ্রাম, পেক্যান্স- ক্যালোরী ৩০২ গ্রাম, ফ্যাট ৩১.৬ গ্রাম, প্রোটিন ৪.০ গ্রাম। আম যদিও আমাদের জাতীয় ফল নয়, তবে অবশ্যই প্রিয় ফল। এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে আম খেতে পছন্দ করে না। আম কাঁচা অথবা পাকা যেভাবেই খাওয়া হোক তা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। অনেক ক্ষেত্রে পাকা আমের তুলনায় কাঁচা আমের গুণ আরও বেশি। কাঁচা আমের গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে সত্যিই অবাক হতে হয়। জেনে নিন কাঁচা আমের উপকারিতা: আমাদের শরীরের রক্ত পরিস্কার রাখে কাঁচা আম স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে ক্যারোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ কাঁচা আম চোখ ভালো রাখে বিটা ক্যারোটিন থাকায় হার্টের সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে পটাশিয়ামের অভাব পূরণ করে কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় রক্তসল্পতা সমস্যা সমাধানে বেশ উপকারী ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হওয়ায় গরমে ঠাণ্ডা জতীয় রোগ প্রতিরোধ কিডনির সমস্যা প্রতিরোধ সাহায্য করে লিভার ভালো রাখে নিঃশ্বাসের সমস্যা, জ্বরের সমস্যা উপশম করে অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণ করে ত্বক উজ্জ্বল করে দাঁতের রোগ প্রতিরোধ করে ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় কোষ্টকাঠিন্য দূর করে এছাড়া ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এখন কাঁচা আম পাওয়া যাচ্ছে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। এমন কি পাকা আমের তুলনায় কাঁচা আমে ভিটামিন সি বেশি পরিমাণে থাকে।বেশি বেশি কাঁচা আম খেয়ে, শরীরের বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করুন। ডাবের পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য পুষ্টি। এতে পটাশিয়াম আছে প্রচুর পরিমাণে। বমি হলে মানুষের রক্তে পটাশিয়ামের পরিমাণ কমে যায়। ডাবের পানি পূরণ করে এই ঘাটতি। তাই অতিরিক্ত গরম, ডায়রিয়া, বমির জন্য উৎকৃষ্ট পানীয় ডাবের পানি। এতে পানির পরিমাণ প্রায় ৯৪ শতাংশ। তাই ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায়, পুরো দেহের শিরা-উপশিরায় সঠিকভাবে রক্ত চলতে সাহায্য করে। কারণ, পানি বেশি পান করলে কিডনির কাজ করতে সুবিধা হয়, দেহে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বাড়ে, ত্বকসহ প্রতিটি অঙ্গে পৌঁছায় বিশুদ্ধ রক্ত। ফলে পুরো দেহ হয়ে ওঠে সতেজ ও শক্তিশালী। এতে কোনো চর্বি বা কোলেস্টেরল নেই। প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান থাকার জন্য বাড়ন্ত শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবার জন্য ডাবের পানি যথেষ্ট উপকারী। তারুণ্য ধরে রাখতে ডাবের পানি যথেষ্ট উপযোগী। এতে চিনির পরিমাণও অল্প। তবে ডায়াবেটিসের রোগীরা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রেখে ডাবের পানি খাবেন। কিডনিতে পাথর হয়েছে বা ডায়ালাইসিস চলছে, এ ধরনের রোগীরা এই ফল খাবেন না। কারণ, এতে রয়েছে উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম, যা কিডনি রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু যারা সুস্থ মানুষ, তাদের কিডনির জন্য ডাবের পানি আশীর্বাদস্বরূপ। কিডনি দেহের ছাঁকন যন্ত্র। এই অঙ্গ শরীরের নোংরা ও ক্ষতিকর অংশগুলোকে দেহের বাইরে বের করতে সাহায্য করে। এই ফলে নেই কোনো ভিটামিন এ। তার পরও শরীরের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চমাত্রার ক্যালসিয়াম রয়েছে ডাবের পানিতে, যা হাড়কে করে মজবুত। সেই সঙ্গে জোগায় ত্বক, চুল, নখ ও দাঁতের পুষ্টি। প্রাচীন রোমে মাশরুমের জনপ্রিয়তা এত ব্যাপক ছিল যে, একে বলা হতো ‘ঈশ্বরের খাবার’। ১৭০০ সালের শুরুর দিকে বাণিজ্যিকভাবে মাশরুমের চাষ শুরু হয়। খাদ্য ছাড়াও বিভিন্ন উল ও রং তৈরিতে এটি ব্যবহার হয়। সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও ঔষধি গুণসম্পন্ন খাবারের নাম মাশরুম। এর স্ট্যান্ডার্ড নাম ‘Agricus bisporus’ আমাদের দেশে খাদ্য হিসেবে এর প্রচলন খুব বেশিদিন না হলেও বর্তমানে এর জনপ্রিয়তা অনেক। মুখরোচক খাদ্য হিসেবে এর প্রচলন শুরু হয় প্রাচীন মিসরে। প্রায় তিন হাজারেরও বেশি সময় আগে মিসরের ফারাওদের কাছে এটি ছিল জনপ্রিয় এক খাবার। তখন কেবল অভিজাতরাই এর স্বাদ গ্রহণ করতে পারত। মাশরুম এক প্রকার সাদা সবজি। তবে খাদ্যগুণ বিবেচনায় এর অবস্থান সবজি ও মাংসের মাঝামাঝি হওয়ায় এটিকে সবজিমাংস নামেও অভিহিত করা হয়। এটি ভিটামিন ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার। কোনো ব্যক্তির দৈনিক যে পরিমাণ ভিটামিন গ্রহণ করা প্রয়োজন তা মাশরুমে পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে। ১০০ গ্রাম শুকনা মাশরুমে আছে ১৯ থেকে ৩৫ শতাংশ প্রোটিন। এছাড়া আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ফলিক অ্যাসিড ও লৌহ। এতে চর্বি ও শর্করার পরিমাণ কম এবং আঁশ বেশি থাকায় ডায়াবেটিক রোগীদের আদর্শ খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়। কোলেস্টেরল কমানোর অন্যতম উপাদান ইরিটাডেনিন, লোবাস্টাটিন ও এন্টাডেনিন থাকায় মাশরুম খাওয়া উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগীদের জন্য ভালো। এছাড়া এটি ডেঙ্গুজ্বর ও হেপাটাইসিস-বি জন্ডিসের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। গর্ভবতী মা ও শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতেও মাশরুমের ভূমিকা অনন্য। মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড ও লৌহ থাকায় এটি রক্তশূন্যতা দূরীকরণেও কার্যকর। চীনে বর্তমানে ১১ প্রজাতির মাশরুম বিভিন্ন রোগে সরাসরি ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। আমাদের দেশেও মাশরুম গুটিবসন্ত, অ্যাজমা ও উচ্চ রক্তচাপজনিত চিকিৎসায় ব্যবহার হচ্ছে। বর্তমানে আমাদের দেশে বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষ ব্যাপকতা লাভ করেছে। অন্যান্য দেশের মতো বিভিন্ন প্রজাতির মাশরুম উৎপাদন শুরু না হলেও ৮ প্রকার মাশরুম চাষ হচ্ছে। বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষের কাছে মাশরুম একটি অপরিচিত সবজি। সঙ্গত কারণেই এর রান্নার প্রক্রিয়াটি অনেকের কাছেই অজানা। ভালোভাবে রান্না করা হলে এটি আমাদের মুখেও স্বাদ লাগবে। মাশরুম রান্নার কয়েকটি সংক্ষিপ্ত প্রণালী হলো- মাশরুম সবজি মাশরুম অন্যান্য দেশী সবজির সাথে মিশিয়ে রান্না করা যায়। এর জন্য যে পরিমাণে সবজি নিতে হবে- উপকরণ ও পরিমাণ শুকনো মাশরুম ১০০ গ্রাম আলু ৫টি (২৫০ গ্রাম) মটরশুটি ২৫০ গ্রাম টমেটো ৫০০ গ্রাম পেঁয়াজ ১০০ গ্রাম আদা ৫০ গ্রাম রসুন ৫ থেকে ৬ টি কোয়া তেল ৩ থেকে ৪ চামচ অন্য মসলা ও লবণ প্রয়োজনমত রান্না প্রণালী -------------- • শুকনো মাশরুম গরম পানিতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে ; • আলু, মটরশুটি, টমেটো ধুয়ে নিতে হবে। পেঁয়াজ, মটরশুটি ও আলুর খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে ; • এরপর আলু, টমেটো ও পেঁয়াজ কুটতে হবে। পেঁয়াজ একটু তেলে ভেজে নিতে হবে ; • আদা, রসুন বেটে নিতে হবে। মসলা তেলে ভেজে লবণ ও কাটা সবজি দিয়ে নাড়তে হবে ; • এরপর একটু গরম পানি দিয়ে তরকারী সিদ্ধ করতে হবে ; • মাশরুম টুকরা করে কেটে সিদ্ধ সবজির সাথে দিয়ে ২ থেকে ৩ মিনিট রান্না করে তুলে নিতে হবে। মাশরুম বিরিয়ানী মাশরুমের স্বাদ কিছুটা মাংসের মত। এজন্য মাশরুমের সাথে সবজি মিশিয়ে সহজেই সুস্বাদু বিরিয়াণী তৈরি করা যায়। মাশরুম বিরিয়াণী প্রস্তুত প্রণালী হলো- উপকরণ ও পরিমাণ (জনপ্রতি) পোলাউর চাল ১৫০ গ্রাম মাশরুম ১০০ গ্রাম গাজর ৫০ গ্রাম মটরশুটি ৫০ গ্রাম ফুলকপি ৫০ গ্রাম (এখানে অন্য যে কোন সফট ভেজিটেবল দিতে পারেন) পেঁয়াজ ১০০ গ্রাম ধনেপাতা ২৫ গ্রাম রসুন ৫ গ্রাম আদা ৫ গ্রাম কাঁচা মরিচ ৫ গ্রাম টক দই ৫০ গ্রাম তেল/মাখন ৫০ গ্রাম অন্য মসলা, লবণ ও পানি প্রয়োজনমত রান্না প্রণালী ------------- • চাল ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। মসলা বেটে নিতে হবে ; • পেঁয়াজ সোনালী করে ভেজে রাখতে হবে ; • মাশরুম পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে কুচি কুচি করে কেটে ভেজে রাখতে হবে ; • সবজি ধুয়ে কেটে সিদ্ধ করে নিতে হবে ; • চাল তেলে ভেজে সামান্য পানি দিয়ে প্রায় রান্না করার অবস্হায় নিয়ে আনতে হবে ; • দই ভাল করে ফেটে ধনে পাতা কুচির সাথে মিশিয়ে নিতে হবে ; • এরপর সিদ্ধ সবজি, মাশরুম, দই মিশাতে হবে ; • একটি পাত্রে আবার খানিকটা তেল/মাখন দিয়ে চুলায় দিতে হবে। এরপর সবজি, মাশরুম পেঁয়াজ এর মিশ্রণ দিয়ে একটু নাড়তে হবে এবং প্রায় সিদ্ধ পোলাউর চাল মিশিয়ে ১০ মিনিট হালকা আঁচে চুলায় রাখতে হবে ; • তুলে পোলাউর উপর ভাজা পেঁয়াজ, কাজু বাদাম ইত্যাদি মিশিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে। মাশরুম ফ্রাই নাস্তা হিসেবে মাশরুম ফ্রাই চা-এর সাথে পরিবেশন করা যায়। ইফতারীর সময় বেসনের সাথে সবজি দিয়ে পাকুড়া তৈরির মত করে সবজির পরিবর্তে মাশরুমের পাকুড়া তৈরি করা হলে তা যথেষ্ট সুস্বাদু হবে। উপকরণ ও পরিমাণঃ মাশরুম ১০ থেকে ১২টি ডিম ১ টি বেসন ১ থেকে ২ টেবিল চামচ লবণ, গোল মরিচ গুড়া, সয়াবিন তেল পরিমাণ মত রান্না প্রণালী ------------- • মাশরুম ধুয়ে পরিষ্কার করে পানি ছাড়িয়ে নিতে হবে ; • একটি পাত্রে ডিম ভেঙ্গে বেসন, লবণ, গোল মরিচের গুড়া ভালোভাবে মিশিয়ে তাতে প্রয়োজনমত পানি দিয়ে ঘন করে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। মাশরুমগুলো মিশ্রণে ভালোভাবে ডুবিয়ে নিতে হবে ; • পাত্রে তেল গরম করতে হবে এবং একত্রে কয়েকটি মাশরুম ভেজে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে। মাশরুম হালিম আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরণের ডালের সাথে মাংস মিশিয়ে হালিম তৈরি করা হয়। এক্ষেত্রে হালিমের জন্য প্রয়োজনীয় ডালের সাথে মাশরুম মিশিয়ে মাশরুমের হালিম বানানো যায়। তাছাড়া পাতলা ডালের সাথে মাশরুম দিয়ে মাশরুম স্যুপও তৈরি করা যেতে পারে। উপকরণ ও পরিমাণ মুগ ডাল ১২৫ গ্রাম মসুর ডাল ২৫০ গ্রাম ছোলার ডাল ১২৫ গ্রাম মাশরুম তাজা ৫০০ গ্রাম (শুকনো হলে ৫০ গ্রাম) পেঁয়াজ কুঁচি, আদা, রসুন, জিরার গুড়া, হলুদের গুড়া, তেজপাতা, লবণ ও পানি পরিমাণ মত রান্না প্রণালী ------------- • মাশরুম ধুয়ে পানি ছাড়িয়ে টুকরো করে কেটে রাখতে হবে ; • ডালগুলো ধুয়ে পানিতে ছাড়িয়ে নিতে হবে ; • মুগ ডাল সামান্য ভেজে ধুয়ে মসুর ও ছোলার ডালের সাথে মিশিয়ে ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিতে হবে। সিদ্ধ করার সময় ডালের সাথে আদা, রসুন, পেঁয়াজ কুঁচি ও লবণ মিশিয়ে নিতে হবে। ডাল খুব ঘন করা যাবে না ; • কাটা মাশরুম পেঁয়াজ কুচির সাথে ১ থেকে ২ মিনিট গরম তেলে হালকাভাবে ভেজে নিতে হবে। তারপর সিদ্ধ ডালের সাথে মিশিয়ে নিতে হবে ; • সামান্য জিরার গুড়া এবং গোল মরিচের গুড়া মিশিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে। চিকেন মাশরুম স্যুপ আমাদের দেশের রেস্তেরাগুলোতে চিকেন কর্নস্যুপ অত্যন্ত জনপ্রিয়। চিকেন কর্নের সাথে মাশরুম দিলে স্যুপের পুষ্টিমাণ বাড়বে এবং স্বাদও ভিন্নতর হবে। চিকেন মাশরুম স্যুপ তৈরি করার জন্য নীচের উপরকরণগুলোর প্রয়োজন হবে। উপকরণ ও পরিমাণ মাশরুম ২৫০ গ্রাম পেঁয়াজ ২টি মুরগীর স্টক ৪ কাপ পানি ৩ কাপ কর্নফ্লাওয়ার বা ময়দা ১ কাপ বাটার অয়েল ২০ গ্রাম আদা ২৫ গ্রাম লবণ, টেস্টিং সল্ট পরিমাণ মত রান্না প্রণালী ------------ • মুরগির স্টক তৈরি করার জন্য ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের একটি মুরগি ২.৫০ লিটার পানিতে পরিমাণ মত লবণ আদা দিয়ে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট সিদ্ধ করতে হবে। মাংসগুলো নরম হয়ে আলাদা হয়ে গেলে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে মুরগির হাড়গুলো আলাদা করতে হবে এবং মাংস স্টক পানির সঙ্গে একত্রে মিশিয়ে নিতে হবে ; • মাশরুম ও পেঁয়াজ চাকা করে কেটে নিতে হবে। তারপর বাটার অয়েল দিয়ে হালকাভাবে ভেজে নিতে হবে ; • এবার এসব ভাজা মাশরুম, মুরগির হাড় ও মাংস সিদ্ধ স্টক পানিতে ৫ থেকে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে। প্রয়োজন মত লবণ ও একটি কাপে অল্প পানিতে কর্নফ্লাওয়ার গুলিয়ে নিতে হবে ; • ২ থেকে ৩ মিনিট সিদ্ধ করতে হবে ; • প্রয়োজন মত টেস্টিং সল্ট দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করতে হবে। মাশরুম স্যান্ডউইচ স্যান্ডউইচ বর্তমানে শহরের মানুষের কাছে অনেক জনপ্রিয়। দ্রুত তৈরি এবং সহজে বহন করার কারণে স্যান্ডউইচ সব বয়সের মানুষের কাছে পরিচিত। স্যান্ডউইচ সাধারণত: মাংস, মাছ কিংবা ডিম দিয়ে হয়। মাছ, মাংস, ডিমের পরিবর্তে মাশরুম ব্যবহার করা হলে স্যান্ডউইচ স্বাদ ও পুষ্টিমাণ ভিন্নরকমের হবে। যারা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন তারা এই স্যান্ডউইচ খেতে পারেন এবং সেক্ষেত্রে বাটারের পরিবর্তে কোলস্টেরল মুক্ত কর্ন অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। ক্রমিক নং উপকরণ পরিমাণ মাশরুম ৫০ গ্রাম বাটার ৫০ গ্রাম পেঁয়াজ, লবণ পরিমাণ মত পাউরুটি ১টি রান্না প্রণালী ------------- প্রথমে মাশরুমগুলো স্লাইস করে কেটে নিতে হবে। তারপর ফ্রাইপ্যানে বাটার/কর্ন অয়েল বা ভেজিটেবল ঘির মধ্যে পেঁয়াজ, লবণ দিয়ে মাশরুমগুলো হালকা করে ভেজে নিতে হবে ; তারপর দুই পিস পাউরুটির ভিতর ভাজা মাশরুমগুলো সুন্দর করে স্প্রেড করে দিন। এরপর মিয়োনিজ, টমেটো, পেঁয়াজ দিয়ে পরিবেশন করতে হবে। মাশরুম ওমলেট ডিম একটি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। ডিমের সাথে মাশরুম মিশালে সেই খাবারের মান ও গুণ দু-ই বৃদ্ধি পায়। নীচে মাশরুম ওমলেট রান্নার উপকরণ দেওয়া হলো- ক্রমিক নং উপকরণ পরিমাণ মাশরুম ১০০ গ্রাম বাটার ১৫ গ্রাম ডিম ২টি দুধ ১ থেকে ২ কাপ লবণ ও মরিচ গুড়া পরিমাণ মত রান্না প্রণালী -------------- • মাশরুম ধুয়ে পরিষ্কার করে কেটে নিতে হবে ; • অল্প তাপে বাটার দিয়ে মাশরুমগুলো ৫ থেকে ৭ মিনিট ভেজে নিতে হবে ; • ডিম ও দুধ একসঙ্গে ফেটে নিয়ে মাশরুমের কড়াইতে ঢেলে নিতে হবে ; • প্রয়োজন মত লবণ ও মরিচের গুড়া দিয়ে ভাল করে নেড়ে নামিয়ে ফেলতে হবে। • যাদের কোলস্টেরল সমস্যা আছে তারা ডিমের কুসুমটি বাদ দিয়ে সাদা অংশের সাথে মাশরুম মিশিয়ে পুষ্টিকর উপাদেয় ওমলেট তৈরি করে খেতে পারেন। বেশ কয়েকটি রেসিপি দিলাম। সুস্বাদু খাবেন, পাশাপাশি সুস্থ থাকবেন। আর, কৃতজ্ঞতা স্বরুপ আমাকেও চাইলে একবার দাওয়াত দিতে পারেন। পাকা জামের মধুর রসে! উচ্চমাত্রার ভিটামিন ‘এ’তে ভরপুর জাম আমাদের রক্ত পরিষ্কার করে, দেহের প্রতিটি প্রান্তে অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। ফলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করে। চোখের ইনফেকশনজনিত সমস্যা ও সংক্রামক (ছোঁয়াচে) রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। রাতকানা রোগ ও চোখের ছানি অপারেশন হয়েছে এমন রোগীর জন্য জাম ভীষণ উপকারী। জামে গার্লিক এসিড, ট্যানিস নামে এক ধরনের উপকরণ রয়েছে, যা ডায়রিয়া ভালো করতে সাহায্য করে। | |
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন