রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

হেফাজতঃ 201জন শুরা কমিটি, গঠিত হয়েছে ২৫ সদস্যের নীতি নির্ধারনী কমিটি , ঘোষিত ৭ কর্মসূচি , ১৩ দপা সহ আরও ৮ দপা দাবী

হেফাজতঃ 201 জন সদস্য শুরা কমিটি, গঠিত হয়েছে ২৫ সদস্যের নীতি নির্ধারনী কমিটি , ঘোষিত ৭ কর্মসূচি , ১৩ দপা সহ আরও ৮ দপা দাবী


     

চট্টগ্রাম, ২১ সেপ্টেম্বর :


  ২০১ সদস্য বিশিষ্ট শুরা কমিটি পূর্ণ গঠন করল হেফাজতে ইসলাম এর শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার আল জামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগর মাদ্রসায় হেফাজত নেতাদের শীর্ষ পর্যায়ের সম্মেলনে এ কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া গঠন করা হয়েছে ২৫ সদস্যের একটি নীতি নিধারক কমিটিও গঠন করা হয়েছে। ১৩ দফা দাবী গুলোকে সমুন্নত রেখে সম্মেলন থেকে ঘোষণা করা হয় ৭ দফা কর্মসূচি ও ৮ দফা দাবী। আর অনতিবিলম্বে সরকার যদি এসব দাবী-দাওয়া বাস্তবায়ন করা না হলে সচিবালয় ঘেরাও সহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হেফাজত নেতারা জানান। ৫ মে পরবর্তী সময়ে প্রথম বারের মত হেফাজতের এই শীর্ষ পর্যায়ের সম্মেলনকে ঘিরে একদিকে হেফাজত নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে। অন্যদিকে আইন-শৃংঙ্খলা বাহীনির সদস্যদের বেশ তৎপর ও সর্তক থাকতে দেখা গেছে। তবে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার অবতারণা ছাড়াই সমাপ্ত হয়ে হেফাজতের শীর্ষ পর্যায়ের সম্মেলন।

হেফাজতের ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লমা মুহবুল্লাহ বাবুনগরীর নিজস্ব প্রতিষ্টান বাবুনগর মাদ্রাসায় শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর জাতীয় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন তথা শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর আমীর, বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ও দারুল উলূম হাটহাজারীর মুহতামিম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী।

হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী’র সঞ্চালনায় হেফাজত আমীরে আল্লামা আহমদ শফী বলেন, আপনারা জানেন, কিছুদিন পূর্বে দেশের কিছু নাস্তিক-মুরতাদ কর্তৃক জঘন্যতম কুরুচিপূর্ণ ভাষায় মহান আল্ল¬াহ তায়ালা, হযরত রাসূল (সা.) পবিত্র কুরআন, ও ইসলামের মৌলিক আকিদা-বিশ্বাসের ওপর আক্রমণ করে ব্লগ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন লেখা প্রকাশ করায় এবং তা ব্যাপকভাবে সচেতন মুসলমানদের গোচরে আসার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সর্বস্তরের ওলামায়ে কেরাম ও তাওহিদী জনতা ঈমানী চেতনার তাগিদে নাস্তিক-মুরতাদবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে নেমে আসে।

তিনি বলেন, শতকরা নব্বই শতাংশ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশ। আজ সেই বাংলাদেশ থেকে ইসলামকে সমূলে উৎখাতের হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে একটি প্রভাবশালী ইসলামবিদ্বেষী চক্র। বস্তুতপক্ষে তারা এ দেশ থেকে ইসলাম নির্মূলের নীলনকশা বাস্তবায়ন শুরু করেছে। দীর্ঘদিন থেকেই কতিপয় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া তাদের বলিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে প্রতিনিয়ত ইসলাম, মুসলমান ও আলিম-ওলামাদের হেয়প্রতিপন্ন করার হীন চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তারা আলিম-ওলামা ও মাদারিসে দীনিয়্যার বিরুদ্ধে হরদম মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন করে জাতিকে বিভক্ত করার অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেন, কুরআন-হাদিসের বিশুদ্ধ ও নির্ভরযোগ্য শিক্ষাকেন্দ্র কওমী মাদরাসাকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে সরকার সম্প্রতি ‘কওমী মাদরাসা শিক্ষা কর্তৃকপক্ষ আইন ২০১৩’ নামে জাতীয় সংসদে একটি বিল পাস করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। আমরা এই আইনটি পর্যালোচনা করে দেখেছি যে, তা বাস্তবায়িত হলে কওমী মাদরাসার স্বকীয় বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে। কওমী মাদরাসাগুলো সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। কওমী মাদরাসার শিক্ষা ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, সম্পদের সংরক্ষণ ও তার ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে সরকার গ্রাস করে ফেলবে। ফলে মাদরাসাগুলো আলিয়া মাদরাসার মতোই শিক্ষার মান, শিক্ষার্থীদের আখলাক-চরিত্র, আমলী পরিবেশ সবকিছু ক্রমেই মুছে যাবে। এই আইন পাশ হলে কুরআন-হাদিসের কোনো ইলম রাখেন না এমন ব্যক্তিগণও মাদরাসার নেতৃত্ব ও দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হতে পারবে। যা দারুল উলূম দেওবন্দের উসূলের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এই আইন পাশ করা থেকে সরকারকে বিরত রাখার জন্য কঠিন ও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা সময়ের অপরিহার্য দাবি।

আল্লামা শাহ আহমদ শফী আরও বলেন, বিগত ৯ মার্চ ২০১৩ ইং প্রাচীন ও বৃহৎ ইসলামি শিক্ষাকেন্দ্র দারুল উলূম হাটহাজারী মিলনায়তনে দেশের প্রতিনিধিত্বশীল শীর্ষ আলিম-ওলামা-পীর-মাশায়েখদের সম্মেলনে লংমার্চ পরবর্তী ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা সারাদেশে আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে। জেলায় জেলায় শানে রেসালাত মহাসমাবেশে লাখো জনতার সমাগম ঘটে। দেশের মানুষ ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে আল্লাহ ও তার রাসূলের সম্মান রক্ষার্থে রাজপথে নেমে আসে। গড়ে তোলে শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক বৃহত্তর গণ আন্দোলন। কিন্তু সরকার জনগণের হৃদয়ের অনুভূতি ও প্রাণের ভাষা বুঝতে ব্যর্থ হয়। তারা নানা কৌশলে আলিম-ওলামা ও নবীপ্রেমিক জনতার এই গণজাগরণকে নস্যাত করার অপচেষ্টা চালায়।

সম্মেলনে হেফাজতের সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা শাহ্ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, গত ৫ মে ঢাকা অবরোধের পর প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় হেফাজতে ইসলামের দ্বিতীয় মহাসমাবেশ। সমাবেশে আসার পথে তাওহীদি জনতার উপর সরকারি দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসী, সন্দেহভাজন কিছু ফোর্স ও যৌথবাহিনী দিনভর আক্রমণ চালিয়ে পরিস্থিতিকে ঘোলাটে ও বিস্ফোরন্মুখ করে তোলে। মাগরিবের পূর্বেই ১৬টি তাজাপ্রাণ কেড়ে নেয়া হয়। পানি-খাদ্য ইত্যাদি কোনো কিছুর গাড়ির প্রবেশ বন্ধ করে দিয়ে তৃষ্ণার্থ, ক্ষুধার্থ ও ক্লান্ত লক্ষ লক্ষ নবীপ্রেমিক জনতাকে পরিকল্পিতভাবে মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখী করা হয়। যা ইতিহাসে একটি ন্যক্করজনক ও নিষ্ঠুরতম বর্বরতার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

উক্ত সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী বলেন, আপনারা জানেন, মধ্যরাত থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দশ হাজারের অধিক সদস্য ভারি গোলাবারুদ ও প্রাণঘাতী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নিরীহ, জিকিররত ও ঘুমন্ত জনতার ওপর পৈশাচিক আক্রমণ শুরু করে। যে ধরনের অভিযান কেবল কোনো যুদ্ধাকবলিত দেশেই শত্র“র বিরুদ্ধে পরিচালিত হতে দেখা যায়। এই হামলায় বহুসংখ্যক আলিম-ওলামা ও তাওহীদি জনতা শাহাদত বরণ করেন। হাজার হাজার আলিম আহত, পঙ্গু ও চিরদিনের জন্য অন্ধ হয়ে যান। বিবিসি, সিএনএন, আল-জাজিরাসহ আন্তর্জাতিক মিডিয়া ও মানবাধিকারসংস্থাগুলো এসব গণহত্যার সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ঘটনার শত শত ভিডিওচিত্র প্রচারিত হয়। আমাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে কী ধরনের ক্ষতি করার চেষ্টা করা হয়েছে তা আপনারা সকলেই জানেন। আল্লাহর অসীম রহমত ও আপনাদের দোয়ায় আমাদের মাঝে ফিরে আসতে পেরেছি। এখনও আলিম-ওলামাদের উপর বর্বরোচিত আক্রমণ করা হল, আবার তাঁদের বিরুদ্ধেই উল্টো মামলা দায়ের করে আলিম-ওলামা, তালিবে ইলমদের ব্যাপক হয়রানি, মাদরাসার পরিচালকদের হুমকি-ধমকী, অনুসন্ধান ও প্রতিবেদনের নামে নাজেহাল করা হচ্ছে। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মাগুরাসহ বিভিন্ন জেলায় দায়িত্বশীল ও আলিম ওলামাদের গ্রেফতার ও হয়রানি করা হচ্ছে। প্রখ্যাত আলিম, সাবেক মন্ত্রী, মুফতি ওয়াক্কাস সাহেবকে গ্রেফতার করে ১৫ দিন রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। আমরা আশা করবো, সরকার গ্রেফতারকৃত আলিমদের অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে শুভবুদ্ধির পরিচয় দেবেন।

এছাড়া সম্মেলনে নূর হোসাইন কাশেমী, মুফতি ইজহারুল ইসলাম, শাহীনূর পাশা চৌধুরী, আবদুল লতিফ নিজামী, জাফরুল্লাহ খান, মাহফুজুল হক, মাওলানা ইদরিস, মাওলানা শাখাওয়াত হোসাইন, আবুল হাসনাত আমিনি, তাজুল ইসলাম, মাওলানা লোকমান, মুফতি হারুণ ইজহার, সরওয়ার কামাল আজিজি, আবদুল বাসেত, ওবায়দুল রহমান নদভী, ওবায়দুল রহমান মাহাবুব, মাওলানা মোস্তাক, আবদুর রব ইউসুফি, জুনায়েদ আল হাবিব, আবদুল জব্বার জিহাদী, মামুনূল হক, শফিক উদ্দিন, ইলিয়াছ ওসমানী, হাবিবুল্লা ও মীর ইদরিস প্রমুখ



হেফাজতে ইসলাম এর সম্মেলনে ঘোষিত ৭ কর্মসূচি :


কওমী মাদরাসার স্বকীয় বৈশিষ্ট্য ধ্বংস ও সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘কওমী মাদরাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইন- ২০১৩’ বিল সংসদে পাশ করার সরকারি চেষ্টা অবলিম্বে বন্ধের দাবিতে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুর ১২ টায় সারাদেশে একযোগে স্থানীয় জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা, আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর যে-সকল জেলা-উপজেলা, ইউনিয়ন-ওয়ার্ড কমিটি গঠিত হয়নি সেসব শাখায় কমিটি গঠন করে এর তালিকা কেন্দ্রে (সাংগঠনিক সম্পাদক বরাবরে) প্রেরণ করা, হেফাজতে ইসলামের আমীর শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী ঘোষিত ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও রংপুর বিভাগে ওলামা-সুধী সমাবেশ ও পেশাজীবি সংলাপ এর আয়োজন করা, আগামী ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে দুই দিনব্যাপী ইসলামী মহাসম্মেলন এর আয়োজন করা, ১ লা ডিসেম্বর ’১৩ থেকে ৩১ জানুয়ারি ’১৪ এর মধ্যে প্রত্যেক জেলায় শানে রেসালত সম্মেলনের ব্যবস্থা করা, শহীদদের জিয়ারত ও শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করে প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি কেন্দ্রে প্রেরণ করা ও সরকার যদি হেফাজতে ইসলাম ঘোষিত তাওহীদি জনতার প্রাণের দাবি ১৩ দফাসহ উত্থাপিত অন্যান্য দাবি-দাওয়া বাস্তবায়ন না করলে আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারকে দাবি মানতে বাধ্য করা হবে।

হেফাজতে ইসলাম এর সম্মেলনে ঘোষিত ৮ দাবী-দাওয়া 

ওলামা সম্মেলন থেকে হেফাজতের নতুন আট দফা

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির ওলামা সম্মেলন থেকে সরকারের প্রতি নতুন করে আরো আট দফা দাবী পেশ করেছে দলটি। শনিবার দিনব্যাপী সম্মেলন শেষে এসব দাবী প্রদান করেন। দাবীগুলো হচ্ছে –

১. সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানদের ঈমান আকিদার হেফাজত, মহান আল্লাহ ও প্রিয় নবী(স.) এর সম্মান রক্ষা, ধর্মীয় মুল্যবোধ সংরক্ষন, সমাজে শান্তি-শৃংখলা প্রতিষ্ঠা, নৈতিক অবক্ষয় রোধ সর্বত্র নারীর পূর্ণ নিরাপত্তা, ন্যায্য অধিকার ও যথাযথ মর্যাদা নিশ্চিত করা পরিবেশ সৃষ্টির মহান লক্ষ্যে হেফাজতে ইসলাম ঘোষিত ১৩ দাবী অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে ।

২. ৫ মে শাপালা চত্বরে আলীম ওলামা ও নবী প্রেমিক জনতার উপর পরিচালিত গণহত্যার স্বাধীন, সুষ্ঠু বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন এবং প্রকৃত ঘটনা জাতীকে জানানোর ব্যবস্থা করতে হবে ।

৩. প্রখ্যাত আলেমেদিন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক মন্ত্রী ও হুইপ মুফতি ওযাক্কাছ সহ গ্রেপ্তারবকৃত সকল নেতা কর্মীর অবিলম্বে মুক্তি দান ও সরা দেশে হাজার হাজার আলিম- ওলামার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

৪. পশ্চিমা সংৃতর আলোকে প্রণীত নারী নীতিমালা কোরআন- সুন্না -তথা ইসলাম বিরোধী ধারা সমূহ বাতিল করে আমাদের ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আদেশের স্বার্থে সংঘতিপূর্ণ নারী নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।

৫. কওমী মাদ্রাসার স্বকীয়তা ধ্বংস ও সরকারের অযুক্তিক নিয়ন্ত্রন আরোপের উদ্দ্যেশে কওমী মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আইন -২০১৩ জাতীয় সংসদে পাশ করার জাবতীয় তৎপরতা ও পদক্ষেপ বন্ধ করতে হবে ।

৬. দেশের সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানদের ঈমান আমল সংরক্ষন ও ধর্মীয় শিক্ষা- দিক্ষার প্রাণকেন্দ্র মাদ্রাসায় ছাত্র কমানোর তথা কথিত আন্দোলন সম্পর্কিত প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ের দৃষ্ঠান্তমুলক বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে ।

৭. দেশের অবিসংবাদিত আধ্যাত্বিত রাহবার, শাযখুল ইসলাম আল্লামা আহম্বমদ শফি সহ আলিম-ওলামার বিরোদ্ধে সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও মদদ পুষ্ট ব্যাক্তিদের লাগামহীন কটুক্তি মিথ্যাচার ও দৃষ্টান্তমূলক মস্তব্য বন্ধ করতে হবে ।

৮. বন্ধ করে দেওয়া সকল ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া খুলে দেওয়ার পাশাপশি দৈনিক আমাদেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানেন মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সাধারণ আদিলুর রহমানের মুক্তি দিতে হবে।

===============================্

হেফাজতের জাতিয় ওলামা সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের সমাপ্তি: ২০১ সদস্য বিশিষ্ট শুরা কমিটি গঠন

http://www.bdtoday.net/blog/blogdetail/detail/2300/salamat/27666#.Uj2jsB_pfIV




এছাড়া সূত্র আরো জানায়, সদ্য গঠিত ২৫ সদস্য বিশিষ্ট নীতিনির্ধারণ কমিটিকে ৫টি সুনিদিষ্ট কাজের দায়িত্বভার অপন করা হয়।

 সুনিদিষ্ট কাজ গুলো হল
  ১//১০ অক্টোবরের মধ্যে জাতীয় নিবার্হী কমিটি গঠন,
২//অর্থ ও অডিট কমিটি গঠন,
৩//সংবিধান প্রণয়ন কমিটির গঠন,
৪/5//  ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগর পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা।

 অন্যদিকে ৫ মে পরবর্তী সময়ে প্রথম বারের মত হেফাজতের এই শীর্ষ পর্যায়ের সম্মেলনকে ঘিরে হেফাজত নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্যতা দেখা দিয়েছে। গত শুক্রবার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হেফাজতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ হাটহাজারী মাদ্রাসা, নাজিরহাট মাদ্রসা ও বাবুনগর মাদ্রসায় অবস্থান নেন বলে জানা গেছে। তবে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার অবতারণা ছাড়াই সমাপ্ত হলে হেফাজতের শীর্ষ পর্যায়ের সম্মেলনে আইন-শৃংঙ্খলা বাহীনি র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবি’র প্রায় শতাধিকসদস্য সহ গোয়েন্দা সংস্থার বেশ কিছু কর্মকর্তা টহলরত ছিল বলে জানান হাটহাজারী সার্কেল এর এ.এস.পি আা.ফ.ম নিজাম উদ্দিন।

http://ctgtimes.com/archives/53574?fb_source=pubv1

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ২০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির পূর্ণাঙ্গ রূপ

"মজলিসে শূরা"
...
আমিরে হেফাজত, সকল নায়েবে আমির, মহা সচিব, যুগ্ন মহা সচিব, সকল সম্পাদক, সকল জেলা আমির, সকল মহানগর আমির, সকল জেলা সেক্রেটারি, সকল মহানগর সেক্রেটারি প্রতিটি জেলা থেকে পাঁচ জন প্রধান প্রধান আলেম।

"আলায়ে মজলিসে শূরা" (সাব কমিটি)

১| আমিরে হেফাজত শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ্‌ আহমদ শফী সাহেব (দাঃবাঃ)

২| সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরি

৩| আল্লামা আশরাফ আলি, মুহাদ্দিস হাটহাজারি মাদরাশা

৪| মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী

৫| নায়েবে আমীর মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, ঢাকা

৬| মুফতি মোজাফফর আহমদ, পটিয়া

৭| আল্লামা আব্দুল হামিদ, পির সাহেব মধুপর

৮| আল্লামা তাফাজ্জল হক হবিগঞ্জি

৯| মুফতি আবুল হাসান, রংপুর

১০| মাওলানা সাজেদুর রহমান, বি বাড়িয়া

১১| মাওলানা মোস্তাক আহমদ, খুলনা

১২| মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব, বরিশাল

১৩| মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, ঢাকা

১৪| মাওলানা আব্দুস সামাদ, রাজশাহী

১৫| মাওলানা সালাহ উদ্দীন নানুপুরী, পির সাহেব নানুপুর

১৭| মাওলানা ইদরিস সাহেব, নাজিরহাট বড় মাদরাশা

১৮| যুগ্ন মহাসচিব মাওলানা সলিম উল্লাহ খান

১৯| মাওলানা লোকমান হাকীম, চট্টগ্রাম মহানগর

২০| মাওলানা এনামুল হক, চিকরিয়া

২১| মাওলানা আনাস মাদানী, সাহেবজাদা আমিরে হেফাজত

২২| মাওলানা ইলিয়াস ওসমানী, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক

২৩| মাওলানা হাবীবুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক

২৪| আজিজুল হক ইসলামাবাদি, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক

২৫| মুফতী হারুন ইজহার, কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক

এই "আলায়ে আহলে শূরা" বা সাব কমিটির দাইত্ত হলো আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণ গঠন। ঢাকা এবং চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি পূরণ পূর্ণ গঠন। কেন্দ্রীয় অর্থ ও অডিট কমিটি গঠন। মিডিয়া ও প্রচার চেল গঠন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন