রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৩

মসজিদে হারামের এক ওয়াক্ত নামাজের ছাওয়াব ৬০ বৎসরের পুরো জিন্দেগীর নামাজের ছাওয়াবের ছেয়েও আরও বেশী


মসজিদে হারামের এক ওয়াক্ত নামাজের ছাওয়াব ৬০ বৎসরের পুরো জিন্দেগীর নামাজের ছাওয়াবের ছেয়ে ও আরও বেশী ****************

হাজী সাহেবান গন , সৌদি প্রবাসী ভাই গন , মক্কা মদীনায় অবস্হান কালীন সময়ে ৫ ওয়াক্ত নামাজ হারাম শরীফে পড়ার চেষ্টা করবেন ,
 কারন সেখানে ১ রাকাতে ১ লক্ষ রাকাত নামাজের ছওয়াব , তাই ১ ওয়াক্তে ৪ রাকাত বিশিষ্ট নামাজের , ৪ রাকাতে ৪ লক্ষ রাকাতের ছাওয়াব, যা এক জন মানুষের সারা জিন্দেগীর তথা ৬০ বৎসর হায়াতের নামাজের প্রায় ৩ চতুর্থাংশের সমান
যেমন-----
দৈনিক =========== ১৭ রাকাত ফরজ নামাজ
মাসিক ======= ১৭*৩০ = ৫১০ রাকাত
বৎসর ========= ৫১০*১২ =৬১২০ রাকাত
জিন্দেগীতে =====
৬০ বৎসর বয়স হলে নাবালিগী বাদে ৪৫ বৎসর এর নামাজ = ৬১২০*৪৫ বৎসর = ২'৭৫'৪০০ রাকাত
আর মক্কার হারাম শরীফে শুধু মাত্র এক ওয়াক্ত নামাজের ৪ রাকাতে ছওয়াব চার লক্ষ রাকাত সমতুল্য
যা একজন মানুষের সারা জিন্দিগীর নামাজের চেয়েও বেশী ,
হাদিসে আসছে 
আবার মদীনার মসজিদে নববীতে এক রাকাতে ১০০০ হাজার রাকাতের ছওয়াব পাওয়া যায় ,অন্য এক রেওয়াতে এক রাকাতে ৫০ হাজার রাকাত নামাজের ছাওয়াব পাওয়া যায় ।

মসজিদুল হারামের নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বলা হয়েছে রসুল সাঃ এরশাদ করেন 
" ইন্নাছ্ ছালাতা বে- মিয়াতে আলফ্ ছালাহ্ "
তাছাডা 
মসজিদুল হারামে  ১ ওয়াক্তের নামাজ কে ৫৫ বছর  ৬ মাস ২০ দিনের নামাজের সমতুল্য হিসাবে তুলনা করা হয়েছে," ফতহুলবারী,
তাছাডা  আযযরকসী শাফেয়ী ফি  আ- লামিছ -ছাজেদ " এ বর্ণনা করেছেন যে মসজিদুল হারামে 
একদিন একরাত তথা পাচ ওয়াক্ত নামাজের ছাওয়াব  ২ শত বছর নয় মাস ১০ রাত" নামাজের সমতুল্য বলা হয়েছে,

মাছায়ালাটি পাবেন 
"আত্-তুহফা ফী আহকামিল ওমরাহ্ ওয়াল- মাছজিদীল হারাম " ১০৯ পৃষ্ঠা। সৌদি আরব থেকে ছাপানো।

উল্লেখ্য মসজিদুল হারামের এ ছাওয়াব  শুধু মসজিদুল হারামে সীমাবদ্ব নয় বরং  হুদুদ হারামের যে কোন স্হানেই প্রযোজ্, তাছাডা এ ছাওয়াব ফরজ নফল এমনকি তাছবিহ তাহলিল দান ছকদা সব কিছুতেই ১ লাখ ছাওয়াব।
ছোবহানাল্লাহ .তাহলে একমাত্র হতভাগারাই হারাম শরীফের পাশে আবস্হান করা সত্বেও মসজিদে হারামে না গিয়ে নিজ বাসায় একা একি নামাজ আদায় করতে পারেন বা অযথা সময় নষ্ট করতে পারেন। 

সোদি প্রবাসী ভাইয়েরা যার যার অবস্হানে থেকে কাজের ফাঁকে যত বার পারা যায় , গন গন মক্কা-মদীনায় গিয়ে হারামাইন শরিফাইনে জমাতে নামাজ পডে অগনিত নেকী অর্জনের এ সূবর্ন সূযোগ হাতছাডা করবেন না ৷ আর যারা দেশে বা অন্য দেশে আছেন হজ্বের সামর্থ থাকলে হজ্ব করে বা ওমরাহ ফালনের মাধ্যমে এ সূবর্ন সূযোগ নিয়ে নিজের আমল নামা ভারী করতে সচেষ্ট হবেন ৷ 

মৌলানা আবদুল্লাহ ভূঁইয়া 
দাওরায়ে হাদিস মাষ্টার্স
ফাজেলে জামেয়া ইসলামিয়া পটিয়া 
প্রাক্তন সিনিয়র শিক্ষক মাদ্রাসা হোছাইনিয়া আজিজুল উলুম রাজঘাটা,
লোহাগাড়া,চট্টগ্রাম। 

লেখক গবেষক ব্লগার ও ইসলামি অনলাইন এক্টিভিস্ট ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন