রবিবার, ৪ মে, ২০১৪

আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া (জমিরিয়া কাসেমুল উলুম) পটিয়া মাদরাসা

আমার প্রিয় বিদ্যাপিঠ আল জামেয়া ইসলামিয়া পটিয়া চট্টগ্রাম এর প্রতিষ্ঠা সমপর্কে  এ ক তথ্য নির্ভর লেখাটি
হাফেজ রিদওয়ানুল কাদের কতৃক খুবই চমৎকার মনে হয়েছে বিদায় সকলের জন্য শেয়ার করলাম . নীচে লিংক সহ দেয়া হল


আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া (জমিরিয়া কাসেমুল উলুম) পটিয়া মাদরাসা, বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের অন্যতম বৃহত্ দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পটিয়া কেবল একটি মাদরাসা নয়, বরং একটি বিপ্লব, একটি গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, একটি স্বর্ণালি অধ্যায়। এ দেশ, এদেশের মাটি ও মানুষের ওপর যে কোনো প্রতিষ্ঠানের তুলনায় জামিয়ার অবদান অনেক বেশি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণায় পটিয়া মাদরাসার সহযোগিতা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে।
জামিয়া প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট
পটিয়া এলাকাকে পাশ্চাত্য সভ্যতা ও সংস্কৃতি এবং তথাকথিত প্রগতির ভয়াবহ সয়লাবের পাশাপাশি নাস্তিকতা, ধর্মদ্রোহিতা ও ধর্মহীনতার প্রবল ঘূর্ণিঝড় গ্রাস করে নিয়েছিল। অন্যদিকে ধর্মের নামে অধর্ম, সংস্কারের নামে কুসংস্কার এবং সভ্যতার নামে বর্বরতা প্রবলভাবে বিস্তারলাভ করেছিল। এমনকি পটিয়া শহরটি অদ্যাবধি চতুর্দিক থেকে পরিবেষ্টিত হয়েই রয়েছে বিরাট বিরাট মাজার—তথাকথিত দরগাহ দ্বারা, যার কারণে শিরক, বিদ’আত, কবরপূজা ও মাজারপূজা ইত্যাদি পথভ্রষ্টতার বিভীষিকাময় বিষাক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বহুকাল আগে থেকে।
এই ঘোর অমানিশার মাঝে পটিয়ার গগনে উদিত হলো সৌভাগ্যের কাঙ্ক্ষিত তারকা। হযরত মুফতি আযিযুল হক (রহ.) আপন মুর্শিদের নির্দেশে আরও কিছু সমমনা ওলামায়ে কেরাম নিয়ে ১৯৩৮ সালে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম শহরের দক্ষিণ-পূর্বে ২৫ কিলোমিটার দূরে পটিয়া সদরে বিশ্ববিশ্রুত আযহারুল হিন্দ ‘দারুল উলুুুুুুুুুুম দেওবন্দের’ অনুকরণে প্রতিষ্ঠা করেন জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়া। জামিয়া তার ঊষালগ্ন থেকেই মাজারপন্থী ও বিদ’আতি ধর্ম ব্যবসায়ীদের চক্ষুশূলে পরিণত হয়, যার কারণে বিভিন্ন সময় তারা মাদরাসার ওপর হামলা করে এবং কয়েকবার মাদরাসা জ্বালিয়ে দেয়ার অপপ্রয়াস চালায়। কিন্তু যে প্রদীপকে স্বয়ং আল্লাহ প্রজ্বলিত রাখতে চান, তা নিভানোর ক্ষমতা কারো আছে কি? তাই প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতার সব পাহাড় ডিঙিয়ে জামিয়া আজ বাংলাদেশে ইসলামের অন্যতম বিশুদ্ধ কেন্দ্রভূমি।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ঐতিহ্যবাহী এই জামিয়া বহুমুখী ধর্মীয় কার্যক্রম ছাড়াও বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। মাদরাসা প্রতিষ্ঠাতার একনিষ্ঠতা, অন্যান্য পরিচালকদের কর্মতত্পরতা আর প্রখ্যাত ইসলামী বুদ্ধিজীবী ও শীর্ষস্থানীয় ওলামাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে মাদরাসাটি আজকের এই আন্তর্জাতিক অবস্থানে এসে পৌঁছেছে।
বর্তমানে জামিয়া পরিচালনার গুরুদায়িত্ব আঞ্জাম দিচ্ছেন শায়খুল ইসলাম, শায়খুল হাদিছ আল্লামা মুফতি আবদুল হালীম বুখারী (দা.বা.)। আগে যারা জামিয়াকে আপন সন্তানের মতো চিন্তা, চেষ্টা, নিষ্ঠা, প্রজ্ঞা, মনোবল ও তাকওয়া দ্বারা তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন তারা হচ্ছেন যথাক্রমে মুফতি আযিযুল হক (রহ.), হাজী ইউনুছ (রহ.), শায়খ হারুন ইসলামাবাদী ও আল্লামা নুরুল ইসলাম কস্ফদীম (রহ.)।
বর্তমানে মাদরাসার বিভিন্ন বিভাগে প্রায় পাঁচ হাজার ছাত্র লেখাপড়া করে। ছাত্রদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নও-মুসলিমও রয়েছে। জামিয়ার মুখপাত্র মাসিক আত-তাওহিদের সহকারী সম্পাদক আল্লামা ওবাইদুল্লাহ হামযা জানান, জামিয়ার সব ছাত্রকে বিনা বেতনে শিক্ষাদান, বাসস্থান, বিদ্যুত্ ও পানি সরবরাহ করা হয়। তার ওপর সবার যাবতীয় পাঠ্যপুস্তক জামিয়া থেকে বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। তিন হাজার জনের মতো ছাত্রকে জামিয়া থেকে বিনামূল্যে খাদ্য সরবরাহ করা হয়। নও-মুসলিমসহ বিরাটসংখ্যক ছাত্রের পোশাক ও চিকিত্সা তথা সব ধরনের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব এই জামিয়া বহন করে।
মুক্তিযোদ্ধা, পটিয়া মাদরাসা ও শহীদ জিয়া
২৬ মার্চ, ১৯৭১-এর ভয়াল রাত। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সর্বপ্রথম চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই হানাদার বাহিনীর গোলাগুলি শুরু হয়ে যায়। নিরাপত্তার কথা ভেবে শহীদ জিয়া বেতারের যন্ত্রপাতি এবং সৈন্যদের ট্রাকে নিয়ে সরাসরি জামিয়ায় চলে আসেন। এখানে এসেও তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তিনি রাতে জামিয়ার মেহমানখানায় অবস্থান করেন।

লিংক

http://www.amardeshonline.com/pages/details/2014/04/19/241635#.U2Zs1k2KDIV 

https://www.facebook.com/pages/%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%97%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A7%80/413303822123168

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন