বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ, ২০১৫

ঢিলা হাতে হাটাহাটি করা

নিন্মে বর্ণিত প্রশ্নটি আমি করেছিলাম মুহতারম মুফতি 
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।  
তিনি যে জবাব দিয়েছিলেন তা হুবহু পাঠকদের জন্য উপস্হাপন করা হল ।
এবং তার সাথে আর কিছু সংযোজন করা হল । 
প্রশ্ন
 মলত্যাগের পর ঢিলা নেওয়ার তরীকা হল- শীতকালে প্রথমে পেছন থেকে সামনে এরপর সামনে থেকে পিছনে আবার পেছন থেকে সামনে ঢিলা ব্যবহার করবে এবং গরমকালে প্রথমে সামনে থেকে পিছনে এরপর… … । আমরা এ আমলটি করে থাকি , কিন্তু ইদানিং আহলে হাদিস ও জামাতে ইসলামীর আলেমরা এটা কে বোকাস বা বেহুদা কাজ বলতেছে,আবর প্রস্রাব করে ঢিলা নিয়ে হাটাহাটি করাকে বেয়াদবী  নোংরামী বলে আখ্যায়িত করছে।    এটি হাদীস অথবা আছার দ্বারা প্রমাণিত কিনা?
এম এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া
মক্কা সৌদি আরব
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
এগুলো বোগাস হলে তাদের বলুন, তারা কি নাপাকসহই থাকে? শরীরে পায়খানা পেশাব লাগানো অবস্থায়ই কি জীবন যাপন করে?
এসব পদ্ধতির কোনটিকেই আমরা সুন্নত বা জরুরী বলি না।  বরং জরুরী হল পবিত্রতা অর্জন করা। পরিপূর্ণভাবে পবিত্র হওয়া। আর এভাবে পূর্ণ পবিত্রতা অর্জিত হয়ে থাকে। এ কারণে এসব পদ্ধতি অনুসরণ করার কথা বলা হয়েছে। এসব ছাড়াও যদি কারো পবিত্রতা হয়ে থাকে, তাহলেতো কোন কথাই নেই। আমরা এসব পদ্ধতির কোনটিকেই জরুরী বা সুন্নত মনে করি না। শুধু মানুষের অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা গেছে এভাবে দ্রুত পবিত্রতা অর্জিত হয়ে থাকে, তাই এভাবে পবিত্র হওয়ার কথা বলা হয়েছে। সুন্নত বা জরুরী বিষয় হিসেবে বলা হয়নি।
ইস্তিঞ্জা দ্বারা মূল উদ্দেশ্য হল নাপাক পরিস্কার হওয়া। যেভাবে তা পরিপূর্ণ পরিস্কার হয় সেভাবেই তা পরিস্কার করা উচিত। আর এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে পেশাবের ফোটা যেন শরীরে না লাগে। কারণ হাদীসে এসেছে অধিকাংশ মানুষের কবরের আজাব হয়ে থাকে পেশাবের ফোটার কারণে।
সেই হিসেবে যেহেতু পানির দ্বারা নাপাক বেশি পরিস্কার হয়, তাই পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করা সুন্নত। আর ঢিলা দ্বারা ইস্তিঞ্জা করা জায়েজ। {তিরমিজী-১/২৯, মুসতাদরাকে হাকেম-১/১৫৫, হেদায়া-১/৪৮, শরহে নুকায়া-১/৪৮, শরহে বেকায়া-১২৭}
عَطَاءُ بْنُ أَبِي مَيْمُونَةَ قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِذَا خَرَجَ لِحَاجَتِهِ، أَجِيءُ أَنَا وَغُلاَمٌ، مَعَنَا إِدَاوَةٌ مِنْ مَاءٍ، يَعْنِي يَسْتَنْجِي بِهِ»
আতা বিন আবী মাইমুনা বলেন, আমি শুনেছি আনাস বিন মালিক রাঃ বলেছেন, রাসূল সাঃ যখন প্রয়োজন সম্পন্ন [টয়লেটে যাবার জন্য] করার জন্য বের হতেন, তখন আমি ও আরেক ছেলে আসতাম। আমাদের সাথে পানির পাত্র থাকতো। অর্থাৎ এ দিয়ে রাসূল সাঃ ইস্তিঞ্জা করতেন। {বুখারী, হাদীস নং-১৫০}
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-
وَمَنْ اسْتَجْمَرَ فَلْيُوتِرْ، مَنْ فَعَلَ فَقَدْ أَحْسَنَ، وَمَنْ لَا فَلَا حَرَجَ،
যে ব্যক্তি ঢিলা ব্যবহার করে সে যেন বেজোড় ব্যবহার করে। যে তা করবে সে উত্তম কাজ করল, আর যে করেনি তাতে কোন সমস্যা নেই। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫}
ঢিলা হাতে হাটাহাটি করা
আসলে ঢিলা হাতে হাটাহাটি করা জরুরী বিষয় নয়। এটি দেখতেও সুন্দর দেখায় না। কিন্তু ইস্তিঞ্জার ক্ষেত্রে আবশ্যক হল পেশাব থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা। এটি আবশ্যকীয়।
ভাল করে বুঝে নেই। ঢিলা হাতে হাটাহাটি কোন জরুরী বিষয় বা সুন্নত নয়। কিন্তু পেশাবের ফোটা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা আবশ্যকীয় বিষয়। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এ বিষয়ে আমরা দু’টি হাদীস লক্ষ্য করি-
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: مَرَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَبْرَيْنِ، فَقَالَ: ” إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ، وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ، أَمَّا أَحَدُهُمَا: فَكَانَ لَا يَسْتَنْزِهُ مِنَ البَوْلِ – قَالَ وَكِيعٌ: مِنْ بَوْلِهِ – وَأَمَّا الْآخَرُ: فَكَانَ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ “.
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূল সাঃ দু’টি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম হচ্ছিলেন। বললেন, এ দু’টি কবরে আযাব হচ্ছে। কোন বড় কারণে আজাব হচ্ছে না। একজনের কবরে আজাব হচ্ছে সে পেশাব থেকে ভাল করে ইস্তিঞ্জা করতো না। আরেকজন চোগোলখুরী করতো। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৯৮০, বুখারী, হাদীস নং-১৩৬১}
عَنْ عِيسَى بْنِ يَزْدَادَ الْيَمَانِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا بَالَ أَحَدُكُمْ فَلْيَنْتُرْ ذَكَرَهُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ»
হযরত ঈসা বিন ইয়াযদাদ আলইয়ামানী তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের কেউ পেশাব করে, তখন সে যেন তার লজ্জাস্থানকে তিনবার ঝেড়ে নেয় বা পবিত্র করে নেয়। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩২৬}

যেহেতু পেশাব এমন বস্তু। যার ছিটা শরীরে লাগলে কবরের আযাব হয়ে থাকে। আর হাদীসেও লজ্জাস্থানকে ঝেড়ে পবিত্র করার কথা এসেছে। তাই যাদের পেশাব করার পর পেশাবের ছিটা ফোটা ফোটা করে পড়ে, তাদের উচিত কিছুক্ষণ হেটে তা পবিত্র করা। নতুবা পেশাবের ছিটা শরীরে লাগার দরূন মারাত্মক গোনাহ হবে। যা কবরের আযাবের কারণ হবে। সেই সাথে কাপড় থাকবে নাপাক। আর নাপাক কাপড় দিয়ে নামায হয় না।
এ দৃষ্টিকোণ থেকে যাদের পেশাবের ফোটা পেশাব শেষ করার পর পড়ে না। তাদের পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করলেই যথেষ্ট। কিন্তু যাদের বের হয় তাদের কবরের আযাব থেকে রক্ষা পাবার আশায় কিছুক্ষণ হেটে হলেও তা থেকে পবিত্রতা অর্জন করে নেয়া জরুরী।
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
ইমেইল- ahlehaqmedia2014@gmail.com
lutforfarazi@yahoo.com



বিঃ দ্রঃ -

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-
وَمَنْ اسْتَجْمَرَ فَلْيُوتِرْ، مَنْ فَعَلَ فَقَدْ أَحْسَنَ، وَمَنْ لَا فَلَا حَرَجَ،
যে ব্যক্তি ঢিলা ব্যবহার করে সে যেন বেজোড় ব্যবহার করে। যে তা করবে সে উত্তম কাজ করল, আর যে করেনি তাতে কোন সমস্যা নেই। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫} 

এই হাদিসের আলোকেই  সর্ব যুগের  ওলামায়ে কেরাম বেজোড হিসাবে কমপক্ষে তিনটি ঢিলা ব্যবহারের কথা বলেছেন ,যার যার আবস্হার পরিপেক্ষিতে  বেশীও ব্যবহার করতে পারবে,  

এতে করে ভাল ভাবে পবিত্রতা অর্জনে সহায়ক হয়, যেমন আমাদের দেশ সহ পৃথিবীর অনেক দেশে  যেখানে পানির স্বল্পতা  লক্ষ করা যায় সেখানে  বা পানি আছে তা সত্বেও ,
সাধারনত আমার ব্যক্তি গত অভিজ্ঞতা আর বাস্তবতার মিল রেখেই বলতে চাই যে, সাধারনত আমাদের দেশে সকলেই এক বদনা বা  এক লোটা  পানি নিয়েই  টয়লেটে প্রবেশ করেন ,যেটা যুগ যুগ ধরেই সকলে অব্যস্হ ,এটা কারো অজানা বিষয় নয়।


 এক বদনা বা এক লোটা  পানি  যার পরিমান হয়তো দেড থেকে দুই লিটার হবে,     ঢিলা ব্যবহার ব্যতিরেকে শুধু মাত্র  এক লোটা পানি দিয়েই কি পূনাঙ্গ পবিত্রতা অর্জন সম্ভব ? কিছুতেই না !
এই জন্য মাটি বা টিসু পেপার দিয়ে ঢিলা নিয়ে পরে  অল্প   পানি দিয়েই পরিস্কার সম্ভব ।

এখানে লক্ষনীয় বিষয় হল, অনেকে  টয়লেট সারার পর যে হাতে  সামান্য  ময়লা স্পর্শ করছে মাত্র ,সেই হাত কে মাটিতে ঘষে বা বিভিন্ন সাবান দিয়েই  ভাল ভাবে ঘষে , পরে পানি  দিয়েই পরিস্কার করে থাকেন, কিন্তু যে স্হান দিয়ে ময়লা বাহির হয়েছে সেই স্হান কে  পানি ছাডা অন্য কিছু তথা ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন কি ? 

   আর কেউ যদি মনে করে তার  ঢিলা ব্যবহারর প্রয়োজন নেই, পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্হা আছে,   যেমন আজকাল মোটর দিয়ে পাইপের  মাধ্যমে টয়লেটে পানির সংযোগ দেয়া আছে   তাহলে ঢিলা ব্যবহারের প্রয়োজন নেই, কারণ পানিই একমাত্র পবিত্রতা অর্জনের আসল উপায় ।



পক্ষান্তরে
প্রস্রাব করার পরও ঢিলা ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার কথা আমরা হাদিসে পেয়ে থাকি  ,
=========================================== 


যার আমল যুগ যুগ ধরে আদিকাল থেকেই এই ভারত উপমহাদেেশ সহ সারা বিশ্বে  চলে আসছে, যার ধারাবাহিকতায় এদেশের আলেম-ওলামা সহ সর্বসাধারনের মধ্যেও প্রস্রাব করার পর ঢিলা করার প্রবনতা ও আমল লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু আজকাল কিছু কোরআন-হাদীসের উপর কথিত আমল কারী তথা আহলে হাদীসের ভাইয়েরা এই আমল কে বেয়াদবী সহ তিরস্কার করতে দেখা যায় । আফসোস !!!!!!!!!!!! 




যেমন 
نْ عِيسَى بْنِ يَزْدَادَ الْيَمَانِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا بَالَ أَحَدُكُمْ فَلْيَنْتُرْ ذَكَرَهُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ»
হযরত ঈসা বিন ইয়াযদাদ আলইয়ামানী তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের কেউ পেশাব করে, তখন সে যেন তার লজ্জাস্থানকে তিনবার ঝেড়ে নেয় বা পবিত্র করে নেয়। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩২৬}



যেহেতু পেশাব এমন বস্তু। যার ছিটা শরীরে লাগলে কবরের আযাব হয়ে থাকে। আর হাদীসেও লজ্জাস্থানকে ঝেড়ে পবিত্র করার কথা এসেছে। তাই  সেই হিসাবে যাদের পেশাব করার পর পেশাবের ছিটা ফোটা ফোটা করে পড়ে, তাদের উচিত কিছুক্ষণ হেটে  বা কিছুক্ষন অপেক্ষা করে   পবিত্র অর্জন  করা। তবে সেটা লোক চক্ষুর আডালে হলে ভাল হয়,     নতুবা পেশাবের ছিটা শরীরে লাগার দরূন মারাত্মক গোনাহ হবে। যা কবরের আযাবের কারণ হবে। সেই সাথে কাপড় থাকবে নাপাক। আর নাপাক কাপড় দিয়ে নামায হয় না। 


এ দৃষ্টিকোণ থেকে যাদের পেশাবের ফোটা পেশাব শেষ করার পর পড়ে না। তাদের পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করলেই যথেষ্ট। কিন্তু যাদের বের হয় তাদের কবরের আযাব থেকে রক্ষা পাবার আশায় কিছুক্ষণ হেটে হলেও তা থেকে পবিত্রতা অর্জন করে নেয়া জরুরী। 

কারন 
এক ডাক্তারী গবেষনায়ও দেখা গেছে যে আমাদের প্রস্রাবের নালীটা আঁকাবাকা সেই হিসবে প্রস্রাব করার  পর  ঢিলা নিয়ে একটু অপেক্ষা করলে বা তিনবার ঝেডে নিলে প্রস্রবের নালী বা রগে আঁটকে থাকা প্রস্রাব ও এসে যাবে, ফলে শরীর নাপাক হওয়ার আশংকা থাকেনা ।

কিন্তু প্রস্রাব করে ঢিলা নিয়ে অপেক্ষা করা হাটাহাটি করাকে "নোংরামী আর বেআদবী " বলে উপহাস করা আরেক নোংরামী , যা কথিত আহলে হাদীসরা করে থাকেন । তবে হঁ্যা লোক চক্ষুর আডলে করতে পারলে ভাল , তবে তা যদি সম্ভব না হয় তাই বলেকি নাপাক থেকে যাবে ??? আমাদের দেশের পরিবেশ গত ভাবে প্রস্রাবের পর ঢিলা নিয়ে  মানুষের সামনে দাঁডিয়ে থাকতে বাধ্য কারণ , এমন কোন পরিবেশ তৈরী করতে সক্ষম হয়নি দেশের মানুষ ,আর্থিক দূর্বলতার কারনে , যাতে আডালে গিয়ে দাডিয়ে থাকা যায়। কারণ জনবহুল দেশে সব খানে পর্যাপ্ত টয়লেট এখনো নির্মান করতে সক্ষম হয়নি , । 

কারন এমন এমন মসজিদ ও আছে যেখানে হাজার হাজার মুসল্লির সমাগম কিন্তু টয়লেট মাত্র 5/7/10 টি, তাও তিন পাশ ঘেরাও করা, উপর ও সামনের দিকে খোলা।  তাহলে কি করে আডালে গিয়ে অপেক্ষা করবে ।




  "কিন্তু  ঢিলা নিয়ে অপেক্ষা করেও কোন লাভ নেই মর্মে "    "প্রস্রাবের ফোটা সারাক্ষন  আসে " বলে যে উক্তিটি আহলে হাদীসের ভাইয়েরা করে থাকেন এটা ভূল । নিচক্ মুখ রোচক ভোকাস্  কথা মা্ত্র।  

তাহলে আজই আপনি পরিক্ষা করে নিন  । উপরোক্ত নিয়মে  ঢিলা নিয়ে পরিস্কার হওয়ার পর ১০/১৫ মিনিট পর আপনি আবার টিসু বা মাটির ঢিলা নিয়ে দেখুন টিসু বা ঢিলাতে ফোটার কোন চিন্হ পাওয়া যায় নাকি শুকনাই থাকে । হ্যাঁ যাদের সারাক্ষন ্র প্রস্রাব টপকানোর রোগ থাকে সেথায় ভিন্ন কথা , তাদের বেলায় ওজর আছে বিধায় মাজুরের মাসআলা ভিন্ন । তাদের জন্য প্রস্রাব টপকানো আবস্হায় তাৎক্ষনীক তাজা অজু করেই নামাজ আদায় করতে হবে। ঢিলা নিেয়ে ও কোন লাভ হবেনা , সেটা ভিন্ন কথা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন