বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০১৫

খানার প্লেট ও আঙ্গুল চুষে খাওয়া নবীর সুন্নত

খানার প্লেট ও আঙ্গুল চুষে খেলে ভিটামিন-বি-কমপ্লেক্স ওডাইজেষ্টের উপকার একটি বৈজ্ঞানীক সমিক্ষা :-
আজকাল একটা পেশন হয়ে গেছে যে খানা খাওয়ার সময় খানার কিছু অংশ প্লেটে রেখে দেয়া হয়,এবং খানার প্লেট ও আঙ্গুল চুষে খাওয়াকে অভদ্র মনে করা হয়।আসলে এটা একটা মূর্খতা জেহালত,এটা একদিকে অপচয় অপরদিকে আল্লাহর নেয়ামতের সাথে অবজ্ঞা করার শামীল। واما بنعمت ربك فحدث কেয়ামতে প্রত্যেকটি নেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।এমনকি একগ্লাস পানি, একলোকমা ভাত,একটুকরো রুটি আর খেজুর যাই হউকনা কেন?
খানা খাওয়ার সময় খানার প্লেট বা  হাতের আঙ্গুল চুষে খাওয়া নবী সাঃ এর সারা জীবনের একটা সুন্নত।আজকের বিজ্ঞানের যুগে পরিক্ষা-নিরীক্ষায় প্রমান হয়েছে যে,এসুন্নতটা কতই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যখন খানা খাই তখন আঙ্গুল থেকে এক প্রকার প্লাসভাটা নির্গত হয়,যা খালি চোখে দেখা যায়না।যেটা ডাইজেষ্টের উপকার করে এবং ভাটামিন বি-কমপ্লেক্সের উপকার করে।কিন্তু মজার ব্যাপার হল এই ভিটামিনটা খাদ্যের সর্বশেষ কণিকার মধ্যে পাওয়া যায়,যা একমাত্র প্লেট ও আঙ্গুল চুষে খেলেই তাসম্ভব।তাইতো নবী সাঃ বলেছেন فان البركة فى اخره  অর্থাৎ "নিশ্চয়ই খানার বরকত শেষ কণিকাতেই"নবী সাঃ যেটাকে বরকত বলেছেন সেটাকেই বৈজ্ঞানীকরা ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স বলছেন,আবার আঙ্গুল চুষে খাওয়ার ব্যাপারে নবী সাঃ আরও বলেছেন فان لم يلعقها فيلعقها اخاه  অর্থাৎ কেউ যদি (খানা খাওয়ার শেষে) নিজের আঙ্গুল গুলো চুষে না খায়,সে যেন তার ভাইকে আঙ্গুল গুলো দিয়ে দে,চুষে খাওয়ার জন্য।তারপরও যেন এই খাদ্য কণীকা গুলোকে নষ্ট না করে।কেননা এই কণিকাতেই বরকত নিহীত রয়েছে। গবেষক বৈজ্ঞানীকেরা বলেছেন যে আঙ্গুল গুলো চুষে খেলে যে প্লাসভাটা নির্গত হয়, ঐ প্লাসভাটার কারণে ৫টা আঙ্গুল চুষে খেলে ৫টা ডাইজেষ্ট তথা হজমের জন্য যে সকল পানীয় বা ট্যাবলেট সেবন করা হয়,তার চেয়েও বেশী উপকার হবে ইনশাআল্লাহ।যারা বদহজমী সহ গ্যাষ্টিকের সমস্যায় ভূগছেন তাদের জন্য মহৌষধ। 

খানা খাওয়ার সময় হাতের আঙ্গুল চুষে খেলে ডাইজেষ্টের উপকার 1.





খানার প্লেট ও আঙ্গুল চুষে খেলে ভিটামিন-বি-কমপ্লেক্স ওডাইজেষ্টের উপকার একটি বৈজ্ঞানীক সমিক্ষা :-

আজকাল একটা পেশন হয়ে গেছে যে খানা খাওয়ার সময় খানার কিছু অংশ প্লেটে রেখে দেয়া হয়,এবং খানার প্লেট ও আঙ্গুল চুষে খাওয়াকে অভদ্র মনে করা হয়।আসলে এটা একটা মূর্খতা জেহালত,এটা একদিকে অপচয় অপরদিকে আল্লাহর নেয়ামতের সাথে অবজ্ঞা করার শামীল। واما بنعمت ربك فحدث কেয়ামতে প্রত্যেকটি নেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।এমনকি একগ্লাস পানি, একলোকমা ভাত,একটুকরো রুটি আর খেজুর যাই হউকনা কেন?

খানা খাওয়ার সময় খানার প্লেট বা  হাতের আঙ্গুল চুষে খাওয়া নবী সাঃ এর সারা জীবনের একটা সুন্নত।আজকের বিজ্ঞানের যুগে পরিক্ষা-নিরীক্ষায় প্রমান হয়েছে যে,এসুন্নতটা কতই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যখন খানা খাই তখন আঙ্গুল থেকে এক প্রকার প্লাসভাটা নির্গত হয়,যা খালি চোখে দেখা যায়না।যেটা ডাইজেষ্টের উপকার করে এবং ভাটামিন বি-কমপ্লেক্সের উপকার করে।কিন্তু মজার ব্যাপার হল এই ভিটামিনটা খাদ্যের সর্বশেষ কণিকার মধ্যে পাওয়া যায়,যা একমাত্র প্লেট ও আঙ্গুল চুষে খেলেই তাসম্ভব।তাইতো নবী সাঃ বলেছেন فان البركة فى اخره  অর্থাৎ "নিশ্চয়ই খানার বরকত শেষ কণিকাতেই"নবী সাঃ যেটাকে বরকত বলেছেন সেটাকেই বৈজ্ঞানীকরা ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স বলছেন,আবার আঙ্গুল চুষে খাওয়ার ব্যাপারে নবী সাঃ আরও বলেছেন فان لم يلعقها فيلعقها اخاه  অর্থাৎ কেউ যদি (খানা খাওয়ার শেষে) নিজের আঙ্গুল গুলো চুষে না খায়,সে যেন তার ভাইকে আঙ্গুল গুলো দিয়ে দে,চুষে খাওয়ার জন্য।তারপরও যেন এই খাদ্য কণীকা গুলোকে নষ্ট না করে।কেননা এই কণিকাতেই বরকত নিহীত রয়েছে। গবেষক বৈজ্ঞানীকেরা বলেছেন যে আঙ্গুল গুলো চুষে খেলে যে প্লাসভাটা নির্গত হয়, ঐ প্লাসভাটার কারণে ৫টা আঙ্গুল চুষে খেলে ৫টা ডাইজেষ্ট তথা হজমের জন্য যে সকল পানীয় বা ট্যাবলেট সেবন করা হয়,তার চেয়েও বেশী উপকার হবে ইনশাআল্লাহ।যারা বদহজমী সহ গ্যাষ্টিকের সমস্যায় ভূগছেন তাদের জন্য মহৌষধ।

খানার প্লেটওআঙ্গুল চুষে খাওয়ার বৈজ্ঞানীক ব্যাখ্যা

আজকাল একটা পেশন হয়ে গেছে যে খানা খাওয়ার সময় খানার কিছু অংশ প্লেটে রেখে দেয়া হয়,এবং খানার প্লেট ও আঙ্গুল চুষে খাওয়াকে অভদ্র মনে করা হয়।আসলে এটা একটা মূর্খতা জেহালত,এটা একদিকে অপচয় অপরদিকে আল্লাহর নেয়ামতের সাথে অবজ্ঞা করার শামীল। واما بنعمت ربك فحدث কেয়ামতে প্রত্যেকটি নেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।এমনকি একগ্লাস পানি, একলোকমা ভাত,একটুকরো রুটি আর খেজুর যাই হউকনা কেন?
খানা খাওয়ার সময় খানার প্লেট বা  হাতের আঙ্গুল চুষে খাওয়া নবী সাঃ এর সারা জীবনের একটা সুন্নত।আজকের বিজ্ঞানের যুগে পরিক্ষা-নিরীক্ষায় প্রমান হয়েছে যে,এসুন্নতটা কতই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যখন খানা খাই তখন আঙ্গুল থেকে এক প্রকার প্লাসভাটা নির্গত হয়,যা খালি চোখে দেখা যায়না।যেটা ডাইজেষ্টের উপকার করে এবং ভাটামিন বি-কমপ্লেক্সের উপকার করে।কিন্তু মজার ব্যাপার হল এই ভিটামিনটা খাদ্যের সর্বশেষ কণিকার মধ্যে পাওয়া যায়,যা একমাত্র প্লেট ও আঙ্গুল চুষে খেলেই তাসম্ভব।তাইতো নবী সাঃ বলেছেন فان البركة فى اخره  অর্থাৎ "নিশ্চয়ই খানার বরকত শেষ কণিকাতেই"নবী সাঃ যেটাকে বরকত বলেছেন সেটাকেই বৈজ্ঞানীকরা ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স বলছেন,আবার আঙ্গুল চুষে খাওয়ার ব্যাপারে নবী সাঃ আরও বলেছেন فان لم يلعقها فيلعقها اخاه  অর্থাৎ কেউ যদি (খানা খাওয়ার শেষে) নিজের আঙ্গুল গুলো চুষে না খায়,সে যেন তার ভাইকে আঙ্গুল গুলো দিয়ে দে,চুষে খাওয়ার জন্য।তারপরও যেন এই খাদ্য কণীকা গুলোকে নষ্ট না করে।কেননা এই কণিকাতেই বরকত নিহীত রয়েছে। গবেষক বৈজ্ঞানীকেরা বলেছেন যে আঙ্গুল গুলো চুষে খেলে যে প্লাসভাটা নির্গত হয়, ঐ প্লাসভাটার কারণে ৫টা আঙ্গুল চুষে খেলে ৫টা ডাইজেষ্ট তথা হজমের জন্য যে সকল পানীয় বা ট্যাবলেট সেবন করা হয়,তার চেয়েও বেশী উপকার হবে ইনশাআল্লাহ।যারা বদহজমী সহ গ্যাষ্টিকের সমস্যায় ভূগছেন তাদের জন্য মহৌষধ।

https://www.youtube.com/watch?v=POwr2iBF7lI



রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০১৫

গর্ভের বাচ্ছাকে কি শুনাতে চান কি শেখাতে চান?এখনি সিদ্ধান্ত নিন =

গর্ভের বাচ্ছাকে কি শুনাতে চান কি শেখাতে চান?এখনি সিদ্ধান্ত নিন =
=============================
বুখারী এবং মুসলিম উভয়ের মধ্যেই এর উল্লেখ আছে: মাতৃগর্ভে ১২০ দিনের পর ফেরেস্তারা আল্লাহতালার নির্দেশে শিশুর দেহে রুহ প্রবেশ করান.
"Verily the creation of everyone of you is brought together in the mother's womb as a drop of semen for forty days, then it becomes a clot for the same period, then it becomes a blob of flesh for the same period. Then the angel will be sent unto it to blow into it a spirit (Ruh), and the angel ordered (to carry out) with four instructions: to write down his livelihood, the span of his life, his deeds, and either he is wretched or fortunate..."
বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যে উপরিলিখিত হাদীসটির সত্যতা খুঁজে পেয়েছে. তাদের হিসাবে ফার্টিলাইজেসনের প্রায় ৬ সপ্তাহ (৪০ দিন) পর এমব্রিও গঠিত হয়. তারপর আরো প্রায় ৬ সপ্তাহ (৪০ দিন) লাগে ফিটাস গঠন করার জন্য. তারপর একটি পূর্ণাঙ্গ মানুষের রূপ নিতে আবার একই সময় অর্থাৎ প্রায় ৬ সপ্তাহ (৪০ দিন) লাগে.
এমব্রিওলজিস্টরা আরো মনে করে যে, ১২০ দিনের আগে মানব শিশুটি চিন্তা করতে পারে না. প্রথম ৬ সপ্তাহ শিশুটির (এমব্রিও) মস্তিস্কের কর্মক্ষমতা ইলেকট্রেকেলি সাইলেন্স থাকে. তারা মোটামুটি নিশ্চিত যে, গর্ভস্থ একটি শিশুর যখন ৪ মাস (১২০ দিন), তখন থেকেই তারা চিন্তা করতে পারে, আবেগ প্রকাশ করতে পারে. এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন,
উপরলিক্ষিত হাদিসটিতে বলা হয়েছে ১২০ দিনের পর ফেরেস্তারা আল্লাহতালার নির্দেশে শিশুর দেহে রুহ প্রবেশ করান. চিন্তাশীলদের জন্য এখানে ভেবে দেখার বিষয় আছে!=======================
এই সময় (১২০ দিন বয়সের পর) শিশু একই সাথে শব্দ শোনা, বুঝতে পারা এবং পার্থক্য করার ক্ষমতা অর্জন করে. এই ব্যপারটি পরীক্ষার জন্য বিজ্ঞানীরা বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায় মা এবং তার গর্ভস্থ শিশুর উপর. তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: কোনো গল্প দিনে দুবার করে গর্ভস্থ শিশুকে পড়ে শোনানো. দেখা গেছে, জন্মের পর সেই একই গল্প যদি শিশুকে শোনানো হয় তাহলে সে অনেক বেশি মনোযোগ দিয়ে গল্পটি শোনে, নতুন গল্পের ক্ষেত্রে যা তারা করে না. আবার কোনো অনুষ্ঠানের থিম মিউজিক যা গর্ভবতী অবস্থায় মাকে বারে বারে শোনানো হয়েছিল, জন্মের পর সেই একই মিউজিক শিশুকে শোনালে সে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি শান্ত থাকে নতুন মিউজিকের তুলনায়.
এখন ভেবে দেখুন আমরা কত চমত্কারভাবে এই ব্যপারটাকে কাজে লাগাতে পারি আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য? একজন মুসলিম মা তার সন্তান যখন গর্ভে তখন প্রতিদিন তাকে কোরান পড়ে শোনাতে পারে. যখন মা কাজ করছে, অথবা বিশ্রাম নিচ্ছে তখন কোরান তেলওয়াত শুনতে পারে, অবসরে বাবা তার স্ত্রীর পাশে বসে কোরান তেলওয়াত করতে পারে. বা কোন ভাল আলেম ওলামার ওয়াজ নসিহত শুনাতে পারে বা তাজবীদের সাথে কোরআন তেলাওয়াত শুনাতে পারে ।এর ফলে, যখন শিশুটি পৃথিবীর আলো দেখবে তখন সে তার অন্তরে কুরআনের প্রতি ভালবাসা ও এই অসাধারণ জ্ঞানের প্রতি আগ্রহ নিয়ে জন্মাবে. আপনার নিজের অজান্তেই আপনি আপনার গর্ভস্থ শিশুকে কোরান শিক্ষায় হাতেখড়ি দিয়ে পৃথিবীর বুকে জন্ম দিচ্ছেন! অভিভাবক হিসাবে কত বড় একটি উপহার আপনি আপনার শিশুকে দিচ্ছেন, একবার ভেবে দেখুন.
বাকিটা সম্পূর্ণই আপনার সিদ্বান্ত. এরপর যখনি আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ সন্তানসম্ভবা (pregnant) হবেন, একবার হলেও চিন্তা করে দেখবেন আপনি তাকে কি শোনাতে চান, কেমন ভাবে পৃথিবীর আলো বাতাসে তাকে আনতে চান

"আল্লাহ"শব্দটি অনন্তকাল থেকেই,জাহেলি যুগের নয়

কিছু অহংকারী,স্রষ্টাকে অস্বীকারকারী ,ইতিহাস বিকৃতিকারী গুষ্টির  কেউ বলেন যে "আল্লাহ" শব্দটা নাকী জাহেলিয়াতের শব্দ তারা বলে থাকেন যে আমাদের প্রিয় নবী সাঃ  পিতার নাম ছিল আব্দুল্লাহ, আবদ+আল্লাহ= আব্দুল্লাহ। আরবী আবদ অর্থ- দাস, অর্থাৎ আল্লাহর দাস। কিন্তু কোন্ আল্লাহর দাস? তখন তো মক্কায় ইসলাম প্রচার হয়নি। অর্থাৎ তখন মক্কার কুরাইশরা সবাই ছিল মূর্তি পুজক?

এর জবাবে বলতেচাই যে,

সর্ব প্রথম আমাদের কে জানতে আইয়্যামে জাহেলিয়াত কাকে বলে? আইয়্যামে জাহেলিয়াত তথা বর্বর বা অন্ধকার যুগ বলা হয় হযরত ঈসা আঃ কে দুনিয়া থেকে উঠিয়ে নেয়ার পর থেকে সাইয়্যেদুল মুরসালীন নবী মুহাম্মদ সাঃ এর আবির্ভাবের আগ পর্যন্ত  মধ্যবর্তী  প্রায়  ৫৭০ বছর পর্যন্ত এই সময়কেই বলা হয় আইয়্যামে জাহেলিয়াত বা  অন্ধকার যুগ ।

আর সেই নাস্তিক আঃ গাফ্ফার চৌধুরী বলছেন "আল্লাহ" শব্দটির উৎপত্তি নাকী জাহেলিয়াতের যুগ থেকে ।
আসলে সে জাহেলিয়াতের যুগ কাকে বলে সেই ইতিহাসের খবর ও তার কাছে নেই অথচ সে নাকী কলামিষ্ট্!
1. আসলে আল্লাহ শব্দটি জাহেলিয়াতের মক্কার সেই কাফেরদের সংস্কৃতি থেকে আসেনি, বরং "আল্লাহ" শব্দটি প্রথম মানব ও নবী হযরত আদম আঃ এর সময় থেকেই পরিচিত ছিল, আর  আদম আঃ- হইতে নবী ঈসা আঃ এর পূর্ববর্তী সময়কে জাহেলিয়াতের যুগ বলা হয়না । তাহলে "আল্লাহ "শব্দটি জাহেলিয়াত যুগের শব্দ হল কি করে?

 2.এর থেকে যদি পিচনে তাকাই  তাহলে দেখি  যে, আমরা পৃথিবীর আদি বসতি জিনদের ইতিহাস দেখি বা ফেরেসতাদের এবাদতের ইতিহাস দেখি সেখানে বলা হয়েছে "আল্লাহর "এবাদতের জন্য পৃথিবীতে যে ঘর নির্মান করা হয়েছিল তাছিল মক্কার সেই কাবা,"তথা বায়তুল্লাহ"  বায়ত+ আল্লাহ)    অর্থাৎ সেখানে "আল্লাহ" শব্দ এসেছে।


 3.তাছাড়া  আদম আঃ এর সময় তাওহিদের কালিমা ছিল "লাইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু ছফিউল্লাহ " (ছফি+আল্লাহ)আবার নূহ আঃ সময়"লাইলাহা ইল্লাল্লাহ নূহ রাসুলুল্লাহ "লাইলাহা ইল্লাল্লাহ মুসা কালিমুল্লাহ"লাইলাহা ইল্লাল্লাহ ঈসা রুহূল্লাহ ইত্যাদি ।"আল্লাহ" শব্দটি  উচ্চারীত হচ্ছে    যা আদি কাল থেকেই প্রত্যেক  যুগেই পরিচিত ছিল,।


4 . আল্লাহ শব্দটি আসমানেই লেখা ছিল,যেমন হাদীসে এসেছে আদম আঃ দুনিয়াতে আসার পর দীর্ঘ ১হাজার বছর পর্যন্ত  কান্নাকাটি করার পর হঠাৎ দেখতে ফেলেন আসমানে লেখা "লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ" এই পাক কালিমার ওসীলা দিয়ে  দোয়া করলে আল্লাহ তায়ালা তাঁকে ক্ষমা করে দিলেন। এখানে লক্ষনীয় হল উক্ত পাক কালিমায় এক সাথে ২ স্হানে আল্লাহ শব্দ  পাওয়া যায়, উল্লেখ্য তখন জাহেলিয়াত , মূর্তি বা দেবতার কল্পনাও করা যায়নি ,সে সময় ও "আল্লাহ" শব্দ বিদ্ধমান ছিল।


আর আদম আঃ থেকে শুরু করে নূহ আঃ এর যূগ পর্যন্ত তৎকালীন সকল মানুষই তাওহীদ তথা একত্ববাদে বিশ্বাসী ছিলেন , মুসলিম ছিলেন অর্থাৎ আল্লাহর কাছে আত্নসমর্পণকারী ছিলেন,কোন কুফর- শীর্ক বা মূর্তি দেবতা পূজা তাদের কে স্পর্শ করেনি।আল্লাহকে আল্লাহ হিসাবেই মানতো,চিনতো। কিন্তু এর পরবর্তিতে নূহ আঃএর বংশে কুফর শীর্ক মূর্তি পুজা আরম্ভ হলেও,আল্লাহ কে ডাকার সঙ্গে সঙ্গে মূর্তি বা দেবতাদের ডাকতো এই ভেবে যে তারা আল্লাহর নিকটবর্তি করে দেবে, আল্লাহর কাছে সুপারীশ করবে ইত্যাদি।

  আল্লাহ শব্দটি আদি কাল থেকেই ছিল। আল্লাহর অস্বীস্ত নিয়ে বা তাঁর সার্বভৌমত্ব  নিয়ে কারো প্রশ্ন ছিলনা,কিন্তু  তারা  সেই মহাপরাক্রমশালী  আল্লাহকে পাবার জন্যই মাধ্যম ধরেছিল। আর সেই মাধ্যম হল তৎকালীন সৎকর্মশীল ব্যক্তিবর্গের মূর্তি । তারা সেই  প্রতিমা বা দেবতা  পূজা করত আল্লাহকে পাবার জন্য।

পরবর্তিতে কাফেররা আল্লাহকে ডাকার সঙ্গে সঙ্গে তাদের দেবতাদেরকেও ডাকতো সহযোগী হিসাবে, যেমন আজকাল আমাদের দেশের হিন্দুরাও মূর্তি-দেবতা পুজায় সেরা হওয়ার পরও জিজ্ঞাসা করলে বলবে , আল্লাহ একজন ,খৃষ্টানরাও তাই বলে, তবে সাথে অংশীদারিত্ব সাব্যস্হ করেন, যা ইসলাম এলাউড করেনা।

সুতরাং আল্লাহ শব্দটি জাহেলিয়াতের কাফেরদের শব্দ নয় বরং এই শব্দটি আদিকাল থেকেই পরিচিত একটি শব্দ একটা সত্বা, যিনি হলেন আমার আপনার সকলের সৃষ্টি কর্তা । আল্লাহ তায়ালা।


যদিও আজকাল গন্ডমূর্খ গাফ্ফার গংরা ইতিহাস বিকৃতী করে জাতিকে  বিভ্রান্তী করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে ।তবে জেনে রাখা ভাল এই ইতিহাস বিকৃতীকারীরাই ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।



মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০১৫

মহানবী (সা.) বেঁচে থাকাকালীন বাংলাদেশে নির্মিত মসজিদটির বিবরণ

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্মগ্রহণের ৫০ বছর পরেই বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মের আবির্ভাব হয়। বর্তমান বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলায় আনুমানিক ৬২০ খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম ইসলামের আবির্ভাব ঘটেছিল। যার প্রমাণ মিলেছে বিভিন্ন ইসলামিক গবেষণার মাধ্যমে।
লাল মনিরহাট জেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস গ্রামের “মজেদের আড়া” নামক জঙ্গলে ১৯৮৭ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল প্রাচীন একটি মসজিদের ধ্বংসাবশেষ। জঙ্গলটি খনন করে একটি ইট পাওয়া যায়। এতে কালেমা তায়্যিবা ও ৬৯ হিজরি লেখা রয়েছে। হিজরি ৬৯ অর্থ হলো ৬৯০ খ্রিস্টাব্দ।
রংপুর জেলার ইতিহাস গ্রন্থ হতে জানা যায়, রাসূল (সা.)-এর মামা বিবি আমেনার চাচাতো ভাই আবু ওয়াক্কাস (রা.) ৬২০-৬২৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার করেন (পৃ. ১২৬)। অনেকে অনুমান করেন যে, ৬৯০ খ্রিস্টাব্দের মসজিদটি আবু ওয়াক্কাস (রা.) নির্মাণ করেন।
বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ও প্রাচীন এই মসজিদটির উত্তর-দক্ষিণে ২১ ফুট এবং পূর্ব-পশ্চিমে ১০ ফুট। মসজিদের ভিতরের পুরুত্ব সাড়ে ৪ ফুট। মসজিদে চার কোণে অষ্টকোণ বিশিষ্ট স্তম্ভ রয়েছে। মসজিদের ধ্বংসাবশেষ হতে পাওয়া যায় গম্বুজ ও মিনারের চূড়া (রংপুর জেলার ইতিহাস, পৃ. ১৬৪)। মতিউর রহমান বসনীয়া রচিত রংপুরে দ্বিনী দাওয়াত গ্রন্থেও মসজিদের এ মসজিদের বিশদ বিবরণ রয়েছে।
লাল মনিরহাট জেলার এ প্রাচীন মসজিদ ও এর শিলালিপি দেখে আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি যে, বখতিয়ার খলজীর বাংলা বিজয়ের (১২০৪ খ্রি.) ছয়শ’ বছর আগেই বাংলা অঞ্চলে সাহাবী (রা.) দ্বারা ইসলামের আবির্ভাব হয়েছিল। এমটি নিউজ http://www.monitor-bd.net/newsdetail/detail/200/141613?fb_action_ids=429026833954675&fb_action_types=og.comments 




রবিবার, ১৯ জুলাই, ২০১৫

কাবার প্রথম ও প্রধান মূর্তি " হুবাল" বা হুবুল" ইলাত বা ইলাহ নয়

কাবার প্রথম ও প্রধান মূর্তি " হুবাল" বা হুবুল" ইলাত বা ইলাহ নয় 

=====================================

সম্প্রতি আলোচীত সমালোচীত নব্য ইতিহাস বিকৃতিকারী আঃ গাফ্ফার চৌধুরী অন্য এক বক্ততায় বলছে, কাবার প্রথম মূর্তির নাম নাকী " ইলাত, বা ইলাহ," থেকে আল্লাহ শব্দ এসেছে ,নাউযুবিল্লাহ । অথচ এই আগাছা বুড়ো বয়সে ইতিহাস বিকৃত করে মানুষ কে কি মেসেজ দিতে চাচ্ছে আমরা জানিনা আসলে ইতিহাস বলছে তৎকালীন আইয়্যামেজাহেলিয়াতে মক্কার প্রথম ও প্রধান মূর্তির নাম হল " হুবাল" বা হুবুল " যা সর্ব প্রথম তৎকালীন মুশরেকদের সরদার আমর বিন লুহাই ,সিরিয়া থেকে এনে সেই কাবা ঘরে রেখেছিল সেই থেকে মক্কা তথা কাবা ঘরে মূর্তি পুজা শুরু হয়। সুতরাং হুবাল বা হুবুল হল কাবার প্রথম মূর্তি । 

আমর বিন লুহাই কি ভাবে মূর্তি আনলেল

আমর ইবন লুহাই বনু খুজা‘আ গোত্রের একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন। ছোটবেলা থেকে এ লোকটি ধর্মীয় পূণ্যময় পরিবেশে প্রতিপালিত হয়েছিল। ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়ে তার আগ্রহ ছিল অসামান্য। সাধারণ মানুষ তাকে ভালবাসার চোখে দেখতো এবং নেতৃস্থানীয় ধর্মীয় বিশেষজ্ঞ হিসেবে মনে করে তার অনুসরণ করতো। এক পর্যায়ে এ লোকটি সিরিয়া সফর করে। সেখানে যে মূর্তিপূজা করা হচ্ছে সে মনে করলো এটাও বুঝি আসলেই ভাল কাজ। যেহেতু সিরিয়ায় অনেক নবী আবির্ভূত হয়েছেন এবং আসমানী কিতাব নাযিল হয়েছে। কাজেই সিরিয়ার জনগণ যা করছে সেটা নিশ্চয় ভালো কাজ এবং পূণ্যের কাজ। এরূপ চিন্তা করে সিরিয়া থেকে ফেরার পথে সে ‘হুবাল’ নামের এক মূর্তি নিয়ে এসে সেই মূর্তি কা‘বাঘরের ভেতর স্থাপন করলো। এরপর সে মক্কাবাসীদের মূর্তিপূজার মাধ্যমে আল্লাহর সাথে শির্ক করার আহবান জানালো। মক্কার লোকেরা ব্যাপকভাবে তার ডাকে সাড়া দেয়। মক্কার জনগণকে মূর্তিপূজা করতে দেখে আরবের বিভিন্ন এলাকার লোকজন তাদের অনুসরণ করলো। কেননা, কা‘বাঘরের রক্ষণাবেক্ষণকারীদের বৃহত্তর আরবের লোকেরা ধর্মগুরু মনে করতো। (শায়খ মুহাম্মদ ইবন আব্দুল ওহাব, মুখতাছারুস সীরাত, প্রাগুক্ত, পৃ. ২)।

অবশ্য তার পূর্বেই নূহ ‘আলাইহিস সালাম-এর সময়ে সর্বপ্রথম মূর্তিপূজার সূচনা হয়।

সর্বপ্রথম ‘কাওমে নূহ’ মূর্তিপূজার প্রচলন করেছিল। তারা ওয়াদ্দ, সুওয়া, ইয়াগুছ, ইয়া‘উক ও নসর নামক মূর্তির পূজা করত। এ মর্মে কুরআনে এসেছে

﴿ وَقَالُواْ لَا تَذَرُنَّ ءَالِهَتَكُمۡ وَلَا تَذَرُنَّ وَدّٗا وَلَا سُوَاعٗا وَلَا يَغُوثَ وَيَعُوقَ وَنَسۡرٗا ٢٣ ﴾ [نوح: ٢٣] 

“তারা বলল, তোমরা ছাড়বে না তোমাদের উপাস্যদের এবং তোমরা ওয়াদ্দ, সূওয়া, ইয়াগুছ, 

ওয়াদ ছিল ‘কালব’ গোত্রের দেবতা, ‘সুওয়া’ ‘হুযাইল’ গোত্রের, ‘ইয়াগুছ’ ‘মায্যাহ’ গোত্রের, ‘ইয়া‘উক’ ইয়ামেনের ‘হামদান’ গোত্রের এবং ‘নাসর’ ইয়ামেন অঞ্চলের ‘হিমইয়ার’ গোত্রের দেবতা ছিল। (ড. জামীল আব্দুল্লাহ আল-মিসরী, তারিখুদ দা‘ওয়াহ আল-ইসলামিয়্যাহ ফি যামানির রাসূল ওয়াল খোলাফায়ির রাশেদীন, (মদীনা মুনওয়ারা : মাকতাবাতুদ দার, ১৯৮৭ খৃ.), পৃ. ৩১।

এ মর্মে কুরআন মাজীদে এসেছে

[﴿ أَفَرَءَيۡتُمُ ٱللَّٰتَ وَٱلۡعُزَّىٰ ١٩ وَمَنَوٰةَ ٱلثَّالِثَةَ ٱلۡأُخۡرَىٰٓ ٢٠ ﴾ [النجم: ١٩، ٢٠ “তোমরা কি ভেবে দেখছো ‘লাত’ ও ‘উয্যা’ সম্পর্কে এবং তৃতীয় আরেকটি ‘মানাত’ সম্পর্কে ?” আল-কুরআন, সূরা আন্ নাজম : ১৯-২০।

লাত: চারকোণ বিশিষ্ট একটি পাথরের মূর্তি, যার চতুষ্পার্শে আরবরা তাওয়াফ করতো। এটি তায়েফে স্থাপন করা হয়েছিল। (আল্লামা ছফিউর রহমান মুবারকপূরী, আর রাহীকুল মাখতুম, অনু: খাদিজা আক্তার রেজায়ী, (ঢাকা: আল-কোরআন একাডেমী লন্ডন, বাংলাদেশ সেন্টার, ৯ম সংস্করণ, ২০০৩), পৃ. ৫১)।

মানাত : কালো পাথরে নির্মিত মূর্তি, যা লোহিত সাগরের উপকূলে কোদাইদ এলাকার মুসাল্লাল নামক জায়গায় স্থাপন করা হয়েছিল। (প্রাগুক্ত)

উয্যা: উয্যা ছিল ‘আরাফাতের নিকটবর্তী ‘নাখলা’ নামক স্থানের মূর্তি। কুরাইশদের নিকট এ মূর্তিটি সর্বাধিক সম্মানিত ছিল।

ইসাফ’ ছিল কা‘বাঘর সংলগ্ন। আর ‘নায়েলা’ ছিল যমযমের কাছে। কুরায়শরা কা‘বা সংলগ্ন মূর্তিটাকেও অপর মূর্তির কাছে সরিয়ে দেয়। এটা ছিল সে জায়গা যেখানে আরবরা কুরবানী করত। (সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী, নবীয়ে রহমত, অনু: আবু সাঈদ মুহাম্মদ ওমর আলী, (ঢাকা ও চট্টগ্রাম : মজলিস নাশরাত-ই-ইসলাম, ১৯৯৭ খৃ), পৃ. ১১১।

তাহের সূরাটী, প্রাগুক্ত, পৃ. ৫১৫।

পৌত্তলিকরা বিভিন্নভাবে উল্লেখিত মূর্তির উপাসনা করত। যেমন,

ক. তারা মূর্তির সামনে নিবেদিত চিত্তে বসে থাকত এবং তাদের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করত। তাদেরকে জোরে জোরে ডাকত এবং প্রয়োজনপূরণ, মুশকিল আসান বা সমস্যার সমাধানের জন্য সাহায্য প্রার্থনা করত। 

খ. মূর্তিগুলোর উদ্দেশ্যে হজ্ব ও তওয়াফ করতো। তাদের সামনে অনুনয় বিনয় এবং সিজদায় উপনীত হতো।

গ. মূর্তির নামে নযর-নেওয়ায ও কুরবানী করত। এমর্মে কুরআনে এসেছে, “তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে সেসব জন্তু যা আল্লাহ ছাড়া অন্যের নাম নিয়ে যবাই করা হয়েছে হয়।” 

ঘ. মূর্তির সন্তুষ্টি লাভের জন্য পানাহারের জিনিস, উৎপাদিত ফসল এবং চতুষ্পদ জন্তুর একাংশ মূর্তির জন্য তারা পৃথক করে রাখতো। পাশাপাশি আল্লাহর জন্যেও একটা অংশ রাখতো। পরে বিভিন্ন অবস্থার প্রেক্ষিতে আল্লাহর জন্য রাখা অংশ 

মূর্তির কাছে পেশ করতো। কিন্তু মূর্তির জন্য রাখা অংশ কোন অবস্থায়ই আল্লাহর কাছে পেশ করতো না। 

আল-কুরআন, সূরা আল-মায়িদা : ৩।

****যখন কোনো সফরের ইচ্ছা করত, তখন তারা বাহনে আরোহন করার সময় মূর্তি স্পর্শ করত। সফরে রওয়ানা হওয়ার পূর্বে এটা ছিল তাদের শেষ কাজ এবং ফিরে এসেও ঘরে প্রবেশের পূর্বে এটা ছিল তাদের সর্বপ্রথম কাজ।

*****এছাড়াও তারা বিভিন্ন মূর্তির নামে পশু মানত করতো। সর্বপ্রথম মূর্তির নামে পশু ছেড়েছিল, ‘আমর ইবন লুহাই। 

লুহাই। 

*****তারা এসব আচার অনুষ্ঠান এজন্যে পালন করতো যে, এগুলো তাদেরকে আল্লাহর নৈকট্য লাভে সক্ষম করে দেবে এবং আল্লাহর কাছে তাদের জন্য সুপারিশ করবে। তাদের এ আকীদা বিশ্বাসের বিষয়ে মহান আল্লাহ বলেন, “ওরা আল্লাহ ছাড়া যার ইবাদত করে তা তাদের ক্ষতিও করে না, উপকারও করে না। 

ইমাম বুখারী, প্রাগুক্ত, পৃ. ৪৯৯। 


মক্কার পৌত্তলিকরা ভাগ্য পরীক্ষার জন্য আযলাম বা ফাল-এর তীর ব্যবহার করত। এ কাজের জন্য তাদের সাতটি তীর ছিল। তম্মধ্যে একটিতে  نعم (হ্যাঁ) অপরটিতে  لا(না) এবং অন্যগুলোতে অন্য শব্দ লিখিত ছিল। এ তীরগুলো কাবাগৃহের খাদেমের কাছে থাকত। কেউ নিজ ভাগ্য পরীক্ষা করতে চাইলে অথবা কোনো কাজ করার পূর্বে তা উপকারী হবে না অপকারী, তা জানতে চাইলে সে কাবার খাদেমের কাছে পৌঁছে একশত মুদ্রা


উপঢৌকন দিতঅতঃপর  খাদেম তীর বের করে আনত, যদি তাতে হ্যাঁ লেখা থাকে তবে কাজটিকে উপকারী মনে করা হতঅন্যথায় তারা বুঝে নিত যে. কাজটি করা ঠিক হবে না।


] মাওলানা মুফতী মুহাম্মদ শফী, প্রাগুক্ত, পৃ. ৩০৮। 

শনিবার, ১৮ জুলাই, ২০১৫

দেবতা পুজাকে যেখানে সম্পূর্ণ ভাবে প্রত্যাখান করা হয়েছে ,সেখানে আল্লাহর ৯৯ নাম দেবতাদের নাম হয় কি করে ? এই আগাছাদের জানা দরকার ।

**** ইসলাম ধর্ম, দেবতা তথা মূর্তি পুজাকে বিশ্বাস তথা  এলাউ করেনা , ইসলামে দেবতা পুজার কোন স্হান নেই। আপনারা যারা ইতিহাস জানেন তাদের ও আবশ্যই জানা থাকার কথা যে আজকে যে হিন্দু ও -বৌদ্ধ-খৃষ্টান ধর্ম সহ অন্যান্য ধর্মে  দেবতা পুজার যে হিড়িক চলছে, ঐ সকল ধর্মের মূল গ্রন্হেই বর্ণিত আছে যে মূর্তি দেবতা  পুজা নট এলাউ । সেখানে ইসলাম ধর্মে আল্লাহর গুনবাচক নাম কে দেবতাদের নাম বলে মানুষ কে বিভ্রান্তি করার অপকৌশল মাত্র ।

পবিত্র কোরআনে পূর্ণাঙ্গ একটি সুরাই অবতীর্ণ করা হয়েছে ," সূরায়ে কাফেরুন"   যেখানে দেবতা পুজাকে  সম্পূর্ন ভাবে  প্রত্যাখান করা হয়েছে ।

যেমন এরশাদ হচ্ছে  قل يا ايهاالكافرون لا اعبد ماتعبدون   ولا انتم عبدون ما اعبد অর্থাৎ  1 বলুন  ( হে নবী) হে কাফেরকুল 2 আমি এবাদত করিনা ,তোমরা যার এবাদত কর ।  3 এবং তোমরাও এবাদত কারী নও , যার এবাদত আমি করি । 4 এবং আমি এবাদতকারী নই যার এবাদত তোমরা কর। 5 তোমরা এবাদতকারী নও যার এবাদত আমি করি 6 তোমাদের কর্ম  ও কর্ম  ফল তোমাদের জন্য و এবং আমার কর্ম ও কর্মফল  আমার জন্যে ।

এই পূর্নাঙ্গ একটি সুরা সহ অন্যান্য আয়াতে  দেবতা পুজাকে  যেখানে সম্পূর্ণ ভাবে প্রত্যাখান করা হয়েছে ,সেখানে আল্লাহর ৯৯ নাম দেবতাদের নাম হয় কি করে ? এই আগাছাদের জানা দরকার ।

এই সুরার শানে নুযুল দেখলে বিষয়টা আরও স্পষ্ট হয়ে যাবে হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ বর্নণা করেন ,একবার তৎকালীন  মক্কার বড বড কাফেরদের লীডার যেমন ওলীদ ইবনে মুগীরা ,আস ইবনে ওয়ায়েল, আসওয়াদ ইবনে আব্দুল মুত্তালিব ও উমাইয়া ইবনে খলফ  প্রমুখ মক্কার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কয়েকজন রাসুল সাঃ এর কাছে এসে  প্রস্তাব দিল।
আসুন আমরা পরস্পরের মধ্যে এই শান্তি চুক্তি করি যে, একবছর আপনি আমাদের উপাস্য তথা দেবতাদের এবাদত করবেন এবং এক বছর আমরা আপনার উপাস্যের  তথা আল্লাহর  এবাদত করব । ( কুরতুবী ) মারেফুল কোরআন বাংলা  পৃঃ 1479 ।

 এর পরিপেক্ষিতে জিবরাইল আঃ এই পূর্নাঙ্গ সূরা নিয়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে  হাজির হলেন এবং কাফের দের এই সকল ক্রিয়া-কর্মের সাথে সম্পূর্ন স্মপর্কচ্ছেদ ও ভয়কট করার নির্দেশ দিলেন এবং আল্লাহর অকৃত্রিম ভালবাসা ও এবাদতে মনোনিবেশ করার নির্দেশ দিয়েছন। 

এখানে আগাছাদের কাছে প্রশ্ন যদি আল্লাহর ৯৯ নাম দেবতাদের নামই হতো তাহলে কাফেরদের প্রস্তাব মেনে নিলেইতো  সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেতো  । 

  ****, একবার কাফের /মুশরিকরা  নবী সাঃ থেকে আল্লাহর বংশ পরিচয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল অথবা অন্য রেওয়াতে এসেছে  মুশরিকরা আল্লাহর প্রিয় হাবীব সাঃ এর কাছে প্রশ্ন করেছিলেন যে আল্লাহ কিসের তৈরী? স্বর্নরৌপ্প অথবা অন্য কিছুর থেকে তৈরী ? তখন তাদের জবাবে সুরায়ে এখলাস সমপূর্ন অবতীর্ণ হয়। 

 আর" আল্লাহ "হলেন যিনি একক অদ্বিতীয় যার কোন শরীক নেই যার কোন মাতা পিতা নেই , তিনি কাউে জন্ম দেননি এবং তাঁকে ও কেউ জন্ম দান করেন নি , কারন সন্তান প্রজনন সৃষ্টির বৈশিষ্ট স্রষ্টার নয় । তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন , কেউ তাঁর সমতূল্য নয় এবং আকার আকৃতিতে কেউ তাঁর সাথে সামঞ্জস্য রাখেনা ।  তিনিই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী  তিনিই হলেন আল্লাহ ।

আর দেবতা বলা হয় যার শরীক আছে যাদের ছেলে-মেয়ে আছে, যাকে জন্ম দান করেছেন কেউ ,তিনিও কাউকে জন্ম দিয়েছেন। তাছাড়া দেবতা তথা মূর্তি গুলো কোন এক সময় মানুষ ছিল, তাদের মৃত্যুর পর ভক্তরা তার মূর্তি বানিয়ে তাদের পুজা শুরু করে দিয়েছে ।। ইসলাম তথা  মুসলমানগন  মানব পুজা করেনা ।
মুসলমান এমন দেবতাদের এবাদত করেনা । যাকে শরিয়তে ইসলামে শীর্ক ও হারাম করা করা হয়েছে । 

 প্রশ্ন :-------------প্রশ্ন :_______------------- আর আল্লাহর গুনবাচক নাম গুলো দেবতাদের নাম হয় কি ভাবে ? এই নব্য নাস্তিকের কাছে আমার জিজ্ঞাসা  যেমন ধরুন আল্লাহর গুনবাচক নাম সমূহের একটি حى القيوم অর্থাৎ যিনি জিবীত এবং চিরন্জীব  । পৃথিবীতে এমন কোন দেবতার কি অস্হিস্ত আছে যে ,যিনি জিবীত এবং চিরজিবী ? 
তাহলে এটা দেবতার নাম হয় কি ভাবে ؟


আল্লাহর অপর  গুনবাচক  নাম خالق  সৃষ্টি কর্তা  অর্থাৎ  ভূমন্ডল-  নবমন্ডলে  মানব দানব আসমান জমিন গ্রহ -নক্ষত্র সহ সব কিছুরই যিনি সৃষ্টি কর্তা ।
পৃথিবীতে যারা দেবতা পুজক তারাও আজ পর্যন্ত এই কথার দাবী করার সাহস পায়নি  যে তাদের দেবতা  ছোট একটি মশা মাছি আর পিপিলীকার মত ছোট্ট প্রানী সৃষ্টি করেছে ।  তাহলে خالق দেবতার নাম হয় কি ভাবে ؟


তেমনি ভাবে الصمد  অর্থাৎ অমুখাপেক্ষী و  আল্লাহ  যিনি মানব দানব তথা সৃষ্টি কুলের  মত কোন কিছুরই মুখাপেক্ষী নয় ।

পৃথিবীতে এমন কোন দেবতা আছে কিو
 যে কোন কিছুর মুখাপেক্ষী নয় ? প্রথমত দেবতার অস্হিত্বের জন্য   মাটি, পাথর ,রং, অলংকার ,পোশাক,আর মানবের হাতের স্পর্শের  মুখাপেক্ষী, । মানবের হাতের তৈরী এ মূর্তি বা দেবতা কি ভাবে الصمد  "অমুখাপেক্ষী"  আল্লাহর এ গুনবাচক নাম ধারণ করতে পারে ؟
এই সকল নাস্তিকদের প্রতি জিজ্ঞাসা ।

সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০১৫

কাবার প্রথম ও প্রধান মূর্তি " হুবাল" বা হুবুল" ইলাত বা ইলাহ নয়

কাবার প্রথম ও প্রধান মূর্তি " হুবাল" বা হুবুল" ইলাত বা ইলাহ নয় 
=========================================
 সম্প্রতি আলোচীত সমালোচীত নব্য ইতিহাস বিকৃতিকারী আঃ গাফ্ফার চৌধুরী  অন্য এক বক্ততায় বলছে,  কাবার প্রথম মূর্তির নাম নাকী " ইলাত, বা  ইলাহ," থেকে আল্লাহ শব্দ এসেছে ,নাউযুবিল্লাহ । অথচ এই আগাছা বুড়ো বয়সে  ইতিহাস বিকৃত করে মানুষ কে কি মেসেজ দিতে চাচ্ছে আমরা জানিনা আসলে ইতিহাস বলছে তৎকালীন আইয়্যামেজাহেলিয়াতে   মক্কার প্রথম ও প্রধান মূর্তির নাম হল " হুবাল" বা হুবুল " যা সর্ব প্রথম তৎকালীন মুশরেকদের সরদার আমর বিন লুহাই ,সিরিয়া থেকে এনে সেই কাবা ঘরে রেখেছিল সেই থেকে মক্কা তথা কাবা ঘরে মূর্তি পুজা শুরু হয়। সুতরাং হুবাল  বা হুবুল হল  কাবার প্রথম মূর্তি । 


আমর বিন লুহাই কি ভাবে মূর্তি আনলেল


 আমর ইবন লুহাই বনু খুজাআ গোত্রের একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন। ছোটবেলা থেকে এ লোকটি ধর্মীয় পূণ্যময় পরিবেশে প্রতিপালিত হয়েছিল। ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়ে তার আগ্রহ ছিল অসামান্য। সাধারণ মানুষ তাকে ভালবাসার চোখে দেখতো এবং নেতৃস্থানীয় ধর্মীয় বিশেষজ্ঞ হিসেবে মনে করে তার অনুসরণ করতো। এক পর্যায়ে এ লোকটি সিরিয়া সফর করে। সেখানে যে মূর্তিপূজা করা হচ্ছে সে মনে করলো এটাও বুঝি আসলেই ভাল কাজ। যেহেতু সিরিয়ায় অনেক নবী আবির্ভূত হয়েছেন এবং আসমানী কিতাব নাযিল হয়েছে। কাজেই সিরিয়ার জনগণ যা করছে সেটা নিশ্চয় ভালো কাজ এবং পূণ্যের কাজ। এরূপ চিন্তা করে সিরিয়া থেকে ফেরার পথে সে হুবালনামের এক মূর্তি নিয়ে এসে সেই মূর্তি কাবাঘরের ভেতর স্থাপন করলো। এরপর সে মক্কাবাসীদের মূর্তিপূজার মাধ্যমে আল্লাহর সাথে শির্ক করার আহবান জানালো। মক্কার লোকেরা ব্যাপকভাবে তার ডাকে সাড়া দেয়। মক্কার জনগণকে মূর্তিপূজা করতে দেখে আরবের বিভিন্ন এলাকার লোকজন তাদের অনুসরণ করলো। কেননা, কাবাঘরের রক্ষণাবেক্ষণকারীদের বৃহত্তর আরবের লোকেরা ধর্মগুরু মনে করতো(শায়খ মুহাম্মদ ইবন আব্দুল ওহাব, মুখতাছারুস সীরাত, প্রাগুক্ত, পৃ. ২)।

শুক্রবার, ১০ জুলাই, ২০১৫

আল্লাহর ৯৯ গুনবিশিষ্ট নাম গুলি ১০০% জাহেলিয়াতের প্রভাব মূক্ত





নিউইয়র্কে জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশনের রাষ্ট্রদূত ডক্টর এ কে আব্দুল মোমেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে একমাত্র আলোচক আবদুল গাফফার চৌধুরী সাহেব যে কথাগুলি বলেছেন, মুসলমান হিসাবে আমি এর তিব্র নিন্দা জানাই।

আল্লাহর ৯৯ গুনবিশিষ্ট নামগুলি ১০০% জাহেলিয়াতের প্রভাব মূক্ত

গত ৩ জুলাই 2015 নিউইয়র্কে জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশনের রাষ্ট্রদূত ডক্টর এ কে আব্দুল মোমেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আওয়ামী বুদ্ধিজিবী সাংবাদিকও কলামিষ্ট্ খ্যাত আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেছিলে, যে "আজকের আরবি ভাষায় যেসব শব্দ, এর সবই তৎকালীন কাফেরদের ব্যবহৃত শব্দ। যেমন- আল্লাহর ৯৯ নাম, এর সবই কিন্তু কাফেরদের দেবতাদের নাম।সে বলেছিল যে,তাদের ভাষা ছিল আর-রহমান, গাফফার, গফুর ইত্যাদি। সবই কিন্তু পরবর্তীতে ইসলাম এডাপ্ট করেছিল"। নাউযুবিল্লাহ ।

প্রিয় দেশবাসী মুসলিম ভাইবোনেরা আপনারা সকলেই অবগত আছেন এই পৃথিবীতে যুগে যুগে অনেক আল্লাহদ্রোহী ভন্ড,জাহেল-মূর্খ, মুরতাদদের আবির্ভাব ঘটেছিল,ইসলামের আলোকে নিভিয়ে ফেলার জন্য।কিন্তু কোন বেঈমান-কাফেরের দল ইসলামের চুল পরিমান ও ক্ষতি সাধন করতে সক্ষম হয়নি।বরং তারাই ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।যারাই ইসলামের আলোকে নিভানোর ব্যর্থ চেষ্টা করবে তারাই এর আগুনে পুড়ে ছারখার হতে বাধ্য। এই সকল মুরতাদদের কথার সত্যতার বিন্দুমাত্রও এর অবকাশ নেই।যারা নিজের স্রষ্টাকে অস্বীকার করে তাদের চেয়ে অপদার্থ আর কেউ আছে বলে মনে হয়না।কাজেই কেউ যেনএই ধরণের আগাছাদের কথায়  বিভ্রান্তী না হন এই জন্যই আমার এ প্রয়াস এবার আসা যাক মূল কথায়
১* আল্লাহর গুনবাচক নাম সমূহ ১০০%জাহেলিয়াত মূক্ত কারণ অসংখ্য হাদীস দ্বারা প্রমানীত 
যখন ইসলামের দাওয়াত দিতে গিয়ে রাহমান ,রাহীম,গাফুর, রাজ্জাক,হাইয়ূল-ক্বাইয়ূম ইত্যাদী আল্লাহর গুনবাচক নাম গুলো উচ্ছারণ করতেন তখনি কাফেররা বলত ماالحى القيوم؟ ماالرحمن؟ماالرحيم ؟ما الغفار ؟   অর্থাৎ ؟ কে রাহমান ?কে রাহীম ? কে গাফুর ? কে রাজ্জাক?  ইত্যাদী,

 
মূলত কাফেররা এই সকল নাম সম্পর্কে কোন প্রকারের অবগতও ছিলেন না। যদি দেবতাদের নাম হত, বা আগে  থেকে অবগত থাকত তাহলে তারা এ প্রশ্ন কখনই করতেন না কে রাহমান ?কে রাহীম ? কে রাজ্জাক ইত্যাদী।অবশ্যই আল্লাহর মূল নাম "আল্লাহ" সম্পর্কে সকলেই অবগত ছিলেনকিন্তু গুনবাচক নাম সম্পর্কে কোন ধারনাই ছিলনা

 * ইসলাম ধর্ম, দেবতা তথা মূর্তি পুজাকে বিশ্বাস তথা  এলাউ করেনা , ইসলামে দেবতা পুজার কোন স্হান নেই। আপনারা যারা ইতিহাস জানেন তাদের ও আবশ্যই জানা থাকার কথা যে আজকে যে হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ধর্ম সহ অন্যান্য ধর্মদেবতা পুজার যে হিড়িক চলছে, ঐ সকল ধর্মের মূল গ্রন্হেই বর্ণিত আছে যে মূর্তি দেবতা  পুজা নট এলাউ । সেখানে ইসলাম ধর্মে আল্লাহর গুনবাচক নাম কে দেবতাদের নাম বলে মানুষ কে বিভ্রান্তি করার অপকৌশল মাত্র ।

পবিত্র কোরআনে পূর্ণাঙ্গ একটি সুরাই অবতীর্ণ করা হয়েছে ," সূরায়ে কাফেরুন"   যেখানে দেবতা পুজাকে  সম্পূর্ন ভাবে  প্রত্যাখান করা হয়েছে ।

যেমন এরশাদ হচ্ছে  قل يا ايهاالكافرون لا اعبد ماتعبدون   ولا انتم عبدون ما اعبد অর্থাৎ  1 বলুন  ( হে নবী) হে কাফেরকুল 2 আমি এবাদত করিনা ,তোমরা যার এবাদত কর ।  3 এবং তোমরাও এবাদত কারী নও , যার এবাদত আমি করি । 4 এবং আমি এবাদতকারী নই যার এবাদত তোমরা কর। 5 তোমরা এবাদতকারী নও যার এবাদত আমি করি 6 তোমাদের কর্ম  ও কর্ম  ফল তোমাদের জন্য و এবং আমার কর্ম ও কর্মফল  আমার জন্যে ।
এই পূর্নাঙ্গ একটি সুরা সহ অন্যান্য আয়াতে  দেবতা পুজাকে  যেখানে সম্পূর্ণ ভাবে প্রত্যাখান করা হয়েছে ,সেখানে আল্লাহর ৯৯ নাম দেবতাদের নাম হয় কি করে ? এই আগাছাদের জানা দরকার ।

এই সুরার শানে নুযুল দেখলে বিষয়টা আরও স্পষ্ট হয়ে যাবে হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ বর্নণা করেন ,একবার তৎকালীন  মক্কার বড বড কাফেরদের লীডার যেমন ওলীদ ইবনে মুগীরা ,আস ইবনে ওয়ায়েল, আসওয়াদ ইবনে আব্দুল মুত্তালিব ও উমাইয়া ইবনে খলফ  প্রমুখ মক্কার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কয়েকজন রাসুল সাঃ এর কাছে এসে  প্রস্তাব দিল।
আসুন আমরা পরস্পরের মধ্যে এই শান্তি চুক্তি করি যে, একবছর আপনি আমাদের উপাস্য তথা দেবতাদের এবাদত করবেন এবং এক বছর আমরা আপনার উপাস্যের  তথা আল্লাহর  এবাদত করব । ( কুরতুবী ) মারেফুল কোরআন বাংলা পৃঃ 1479 ।

 
এর পরিপেক্ষিতে জিবরাইল আঃ এই পূর্নাঙ্গ সূরা নিয়ে আল্লাহর পক্ষথেকে হাজির হলেন এবং কাফেরদের এই সকল ক্রিয়া-কর্মের সাথে সম্পূর্ন স্মপর্কচ্ছেদ ও ভয়কট করার নির্দেশ দিলেন এবং আল্লাহর অকৃত্রিম ভালবাসা ও এবাদতে মনোনিবেশ করার নির্দেশ দিয়েছন। 

এখানে আগাছাদের কাছে প্রশ্ন যদি আল্লাহর ৯৯ নাম দেবতাদের নামই হতো তাহলে কাফেরদের প্রস্তাব মেনে নিলেইতো সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেতোকাফের মুশরীকদের সাথে এত যুদ্ধ করতে হতোনা আবার নবী সাঃ তাঁর প্রিয় মাতৃভূমি ছেড়ে মদীনাতে হিজরত করতে হতোনা।সুতরাং এতে কারো বুঝতে কষ্ট হবেনা যে দেবতাদের নাম ও আল্লাহর গুনবাচক নাম সম্পর্নই ভিন্ন। 

 * একবার কাফের /মুশরিকরা  নবী সাঃ থেকে আল্লাহর বংশ পরিচয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল অথবা অন্য রেওয়াতে এসেছে  মুশরিকরা আল্লাহর প্রিয় হাবীব সাঃ এর কাছে প্রশ্ন করেছিলেন যে আল্লাহ কিসের তৈরী? স্বর্নরৌপ্প অথবা অন্য কিছুর থেকে তৈরী ? তখন তাদের জবাবে সুরায়ে এখলাস সমপূর্ন অবতীর্ণ হয় আর বলা হয় "আল্লাহ"হলেন তিনি, যিনি একক অদ্বিতীয় যার কোন শরীক নেই যার কোন মাতা পিতা নেই , তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকে ও কেউ জন্ম দান করেননি কারন সন্তান প্রজনন সৃষ্টির বৈশিষ্ট স্রষ্টার নয় । তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন, কেউ তাঁর সমতূল্য নয় এবং আকার আকৃতিতে কেউ তাঁর সাথে সামঞ্জস্য রাখেনা ।  তিনিই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী তিনিই হলেন আল্লাহ ।

আর দেবতা বলা হয় যার শরীক আছে যাদের ছেলে-মেয়ে আছে, যাকে জন্ম দান করেছেন কেউ ,তিনিও কাউকে জন্ম দিয়েছেন। তাছাড়া দেবতা তথা মূর্তি গুলো কোন এক সময় মানুষ ছিল, তাদের মৃত্যুর পর ভক্তরা তার মূর্তি বানিয়ে তাদের পুজা শুরু করে দিয়েছে ।। ইসলাম তথা  মুসলমানগন  মানব পুজা করেনা ।
মুসলমান এমন দেবতাদের এবাদত করেনা ।যাকে শরিয়তে ইসলামে শীর্ক ও হারাম করা করা হয়েছে ।



 
ঐসকল খোদাদ্রোহী নাস্তিকদের প্রতি প্রশ্ন আল্লাহর গুনবাচক নাম গুলো দেবতাদের নাম হয় কি ভাবে ? এই নব্য নাস্তিকের কাছে আমার জিজ্ঞাসাযেমন ধরুন আল্লাহর গুনবাচক নাম সমূহের একটি" حى القيوم" অর্থাৎ যিনি জিবীত এবং চিরন্জীব।অর্থাৎ যিনি সর্বদা জীবিত ও বিদ্যমান থাকবেন,মৃত্যু তাঁকে স্পর্শ করতে পারবেনা।আর قيوم শব্দ কেয়াম শব্দ হতে উৎপন্ন,ইহা ব্যুৎপত্তিগত আধিক্যের অর্থে ব্যবহৃত। যার অর্থ যিনি নিজে বিদ্যমান থেকে অন্যকেও বিদ্যমান রাখেন ও নিয়ন্ত্রন করেন। পৃথিবীতে এমন কোন দেবতার কি অস্হিস্ত আছে যে,যিনি জিবীত এবং চিরজিবী এবং সকলকে নিয়ন্ত্রন করেন 
তাহলে এটা দেবতার নাম হয় কি ভাবে ?

আল্লাহর অপর গুনবাচক নাম যেমন "خالق"  সৃষ্টি কর্তা  অর্থাৎ ভূমন্ডল-নবমন্ডলে  মানব দানব আসমান জমিন গ্রহ -নক্ষত্র সহ সব কিছুরই যিনি সৃষ্টি কর্তা ।
পৃথিবীতে যারা দেবতা পুজক তারাও আজ পর্যন্ত এই কথার দাবী করার সাহস পায়নি  যে তাদের দেবতা  ছোট একটি মশা মাছি আর পিপিলীকার মত ছোট্ট প্রানী সৃষ্টি করেছে ।তাহলে خالق দেবতার নাম হয় কি ভাবে?তেমনি ভাবে "الصمد"  অর্থাৎ অমুখাপেক্ষী আল্লাহ  যিনি মানব দানব তথা সৃষ্টি কুলের মত কোন কিছুরই মুখাপেক্ষী নয়

পৃথিবীতে এমন কোন দেবতা আছে কি? যে কোন কিছুর মুখাপেক্ষী নয় ? প্রথমত দেবতার অস্হিত্বের জন্য মাটি, পাথর,রং, অলংকার,পোশাক,আর মানবের হাতের স্পর্শের মুখাপেক্ষী মানবের হাতের তৈরী এ মূর্তি বা দেবতা কি ভাবে الصمد "অমুখাপেক্ষী"আল্লাহর এ গুনবাচক নাম ধারণ করতে পারে?
এই সকল নাস্তিকদের প্রতি জিজ্ঞাসা ।এইভাবে আল্লাহর অন্যান্য গুনবাচক নামও একই ভাবে বিশ্লেষণ করে দেখুন,এমন কোন একটা নাম পাওয়া যাবেনা যেটা দেবতাদের নামের সাথে সামান্যতম্ সামঞ্জস্য রাখতে সক্ষমএখানে এক্ষুদ্র লেখনিতে তা বিশ্লেষন সম্ভব নাআক্বলমন্দ কে ইশারাই যথেষ্ট

* আল্লাহর ৯৯ নাম  গুলো কি ?  যেমন আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন
     ولله الاسماء الحسنى فادعوه بها وذروااللذين يلحدون فى اسمائه سيجزون  ما كانوا يعملون
অর্থাৎ  আর আল্লাহর জন্য রয়েছে সব উত্তম নাম। কাজেই সেই নাম ধরেই তাকে ডাক। আর তাদের বর্জন কর ,যারা তাঁর নামের ব্যাপারে বাঁকা পথে চলে। তারা নিজেদের কৃত কর্মের ফল শীঘ্রই পাবে।আল আরাফ -আয়াত ১৮০ ।উক্ত আয়াতে মহান রাব্বুল আলামীন তাঁর বান্দাদেরকে তাঁকে তাঁর সুন্দরতম নাম দিয়ে স্বরণ করতে বলেছেন
মূল "আল্লাহ" শব্দ হল আল্লাহর জাতী নাম ।আর আল্লাহ জাল্লাহ শানুহুর ৯৯ নামের কিছু নাম এসেছে আল্লাহর নিজের পছন্দে যা কোরআনুল করিমে আল্লাহ নিজেকে নিজে অভিহিত করেছেন, কিছু এসেছে জিব্রায়িল ফেরেশতার পরামর্শে। যা হাদীসে রসুল সা্ঃ দ্বারা প্রমানীত এ নাম গূলো সম্পর্কে পৃথিবীবাসী কখনো এর পূর্বে ওয়াকেফহাল ছিলেননা একমাত্র এটা দ্বীনিয়াল্ ইসলামের বৈশিষ্ট৯৯ নামের হাদিসটি আবু হোরায়রা (রা) বর্ণিত, এর সনদ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাছাড়া আরও অসংখ্য হাদীস দ্বারা প্রমানীত যে , আল্লাহর ৯৯ নাম দ্বারা তাকে ডাকার জন্য বলেছেন।যেমন আবু হোরাইরাহ রাঃ থেকে এক দীর্ঘ হাদিসে  সেই ৯৯ নামের  বর্ণনা পাওয়া যায় নিন্মে হাদিসটি পাঠকদের জন্য উল্লেখ করা হল 

عن أبي هريرة ، رضي الله عنه ، قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : " إن لله تسعا وتسعين اسما مائة إلا واحدا ، من أحصاها دخل الجنة ، وهو وتر يحب الوتر " .

أخرجاه في الصحيحين من حديث سفيان بن عيينة ، عن أبي الزناد ، عن الأعرج ، عنه رواه البخاري ، عن أبي اليمان ، عن شعيب بن أبي حمزة ، عن أبي الزناد به وأخرجه الترمذي ، عن الجوزجاني ، عن صفوان بن صالح ، عن الوليد بن مسلم ، عن شعيب فذكر بسنده مثله ، وزاد بعد قوله : " يحب الوتر " : هو الله الذي لا إله إلا هو الرحمن الرحيم ، الملك ، القدوس ، السلام ، المؤمن ، المهيمن ، العزيز ، الجبار ، المتكبر ، الخالق ، البارئ ، المصور ، الغفار ، القهار ، الوهاب ، الرزاق ، الفتاح ، العليم ، القابض ، الباسط ، الخافض ، الرافع ، المعز ، المذل ، السميع ، البصير ، الحكم ، العدل ، اللطيف ، الخبير ، الحليم ، العظيم ، الغفور ، الشكور ، العلي ، الكبير ، الحفيظ ، المقيت ، الحسيب ، الجليل ، الكريم ، الرقيب ، المجيب ، الواسع ، الحكيم ، الودود ، المجيد ، الباعث ، الشهيد ، الحق ، الوكيل ، القوي ، المتين ، الولي ، الحميد ، المحصي ، المبدئ ، المعيد ، المحيي ، المميت ، الحي ، القيوم ، الواجد ، الماجد ، الواحد ، الأحد ، الفرد ، الصمد ، القادر ، المقتدر ، المقدم ، المؤخر ، الأول ، الآخر ، الظاهر ، [ ص: 515 ] الباطن ، الوالي ، المتعالي ، البر ، التواب ، المنتقم ، العفو ، الرءوف ، مالك الملك ، ذو الجلال والإكرام ، المقسط ، الجامع ، الغني ، المغني ، المانع ، الضار ، النافع ، النور ، الهادي ، البديع ، الباقي ، الوارث ، الرشيد ، الصبور

ثم قال الترمذي : هذا حديث غريب وقد روي من غير وجه عن أبي هريرة [ رضي الله عنه ] ولا نعلم في كثير من الروايات ذكر الأسماء إلا في هذا الحديث .
মূলত:এই নাম গুলোর মাধ্যমে আল্লাহ তাঁর বিশেষ ক্ষমতা মাহাত্য ও কুদরতের বহিঃপ্রকাশ করে থাকেন ।

তাছাড়া উপরোক্ত আয়াতের ব্যাখায়  (মুফতি শফি ছাঃ রাহঃ তফসীরে মারেফুল কোরআন বাংলা সংস্করণ   মাওঃ মহিউদ্দিন খান কতৃক ৫০৬ পৃঃ ) বলেছেন  এই নিদ্দিষ্ট নাম  গুলি যদি আল্লাহ ছাডা অপর কারো ক্ষেত্রে ভ্রান্ত বিশ্বাসের  ভিত্তিতে হয় ,যাকে এসব শব্দ সম্বোধন করা হচ্ছে তাকেই যদি খালেক কিংবা রায্যাক মনে করা হয় ,( যেমনটি আঃ গাফ্ফার চোধুরী বলেছেন  এই নাম গুলি দেবতাদের নাম ) তাহলে তা সম্পূর্ণ কূফর। (অর্থাৎ কাফের হয়ে যাবে ) ।আর বিশ্বাস যদি ভ্রান্ত না হয়, শুধু অমনোযোগিতা কিংবা না বুঝার দরুন কাউকে খালেক ,রায্যাক রাহমান কিংবা সুবহান বলে ডাকা হয়, যেমনটি  (  যেমনটি আঃ গাফ্ফার চোধুরী বলেছেন  এই নাম গুলি দেবতাদের নাম )  তাহলে তা যদি ও কুফর নয়, কিন্তু শেরেকী সূলভ শব্দ হওয়ার কারনে কঠিন পাপের কাজ ।(  মারেফুল কোরআন বাংলা বঙ্গানুবাদ  মহিউদ্দিন খান কৃত  ৫০৬ পৃঃ ) অর্থাৎ শির্ক হওয়ার কারনে বিনা তাওবায় ক্ষমা যোগ্য নয় ।
*তৎকালীন আইয়্যামে জাহেলিয়াতে
কাবা শরীফে ৩৬০টির মত মূর্তি ছিলো তাদের নামের সাথে আল্লাহর ৯৯ নামের কোনো দূরতম সম্পর্ক নেই,   হুবাল,লাত ,উজ্জা, মানাত, অবগাল ,দুল খালসা, , মালাকবেল, এল্লাহ নেব, নের্গাল,সিন সুয়া, ইগুছ,নছর, নুহা, সুয়া, রুভা
ছাফাপর্বতে এসাফএবং মারওয়ায়’ ‘নায়েলাইত্যাদি। 

শুধু "এল্লাহ" নামটি আল্লাহর নামের কাছাকাছি, কিনতু এল্লাহ দেবতার নাম হলেও কাফেররা "আল্লাহ"কে আল্লাহই ডাকতো। আর দেবতাদের ডাকতো আল্লাহ পর্যন্ত পৌছার মাধ্যম হিসাবে ।সেই কারণে আমরা দেখতে পাই জাহেলিয়াত যুগেও আবদুল ওজজাহ আবদুল লাত মুলত দেবতাদের নামের সাথে মিল রেখেই নাম রাখতো মুশরেকরা, আবার  আবদুল্লাহ যেমন আমাদের নবী সাঃ এর পিতার নাম ছিল ।আরও অনেকেই এনাম রেখেছিল ।কিন্তু আল্লাহর মূল নামের সাথে পরিচিত থাকলেও গুনবিশিষ্ট নামের সাথে পরিচিত ছিলনা তাইতো প্রশ্ন করেছিল  ما الرحمن؟ماالرحيم؟ কে রাহমান ?কে রাহীম ? ইত্যাদী

কিনতু আল্লাহর গুনবাচকতায় বিভিন্নতা ছিলো। কিন্তু  শাব্দিক উচ্চারণে একই আল্লাহ শব্দে আল্লাহকে ডাকতো কাফেররা এবং মুসলমানরা, কিন্তু ৯৯ বা ততোধিক নামের গুনবাচকতার অর্থে মুসলমানদের আল্লাহ আলাদা । 

দেবতাদের যে নামেই ডাকা হতনা কেন, সেগুলি কখনো আল্লাহর নাম ছিলনা। দেবতাদের নাম থেকে আল্লাহর নাম এডাপ্ট করা হয়নি।  আর আল্লাহর নাম জাহেলিয়াত যুগে ও আল্লাহই ছিল ।
আবার কেউ বলেন যে "আল্লাহ" শব্দটা নাকী জাহেলিয়াতের শব্দ তারা বলে থাকেন যে আমাদের প্রিয় নবী সাঃ  পিতার নাম ছিল আব্দুল্লাহ, আবদ+আল্লাহ= আব্দুল্লাহ। আরবী আবদ অর্থ- দাস, অর্থাৎ আল্লাহর দাস। কিন্তু কোন্ আল্লাহর দাস? তখন তো মক্কায় ইসলাম প্রচার হয়নি। অর্থাৎ মক্কার কুরাইশরা সবাই ছিল মূর্তি পুজক? 
আসলে আল্লাহ শব্দটি জাহেলিয়াতের মক্কার সেই কাফেরদের সংস্কৃতি থেকে আসেনি, বরং আল্লাহ শব্দটি প্রথম মানব হযরত আদম আঃ এর সময় থেকেই পরিচিত ছিল, যেমন আদম আঃ এর সময় তাওহিদের কালিমা ছিল "লাইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু ছফিউল্লাহ " (ছফি+আল্লাহ)আবার নূহ আঃ সময়"লাইলাহা ইল্লাল্লাহ নূহ রাসুলুল্লাহ "লাইলাহা ইল্লাল্লাহ মুসা কালিমুল্লাহ"লাইলাহা ইল্লাল্লাহ ঈসা রুহূল্লাহ ইত্যাদি । আর আদম আঃ থেকে শুরু করে নূহ আঃ এর যূগ পর্যন্ত তৎকালীন সকলমানুষই তাওহীদ তথা একত্ববাদে বিশ্বাসী ছিলেন , মুসলিম ছিলেন অর্থাৎ আল্লাহর কাছে আত্নসমর্পণকারী ছিলেন,কোন কুফর- শীর্ক বা মূর্তি দেবতা পূজা তাদের কে স্পর্শ করেনি।আল্লাহকে আল্লাহ হিসাবেই মানতো,চিনতো। কিন্তু এর পরবর্তিতে নূহ আঃএর বংশে কুফর শীর্ক মূর্তি পুজা আরম্ভ হলেও,আল্লাহ কে ডাকার সঙ্গে সঙ্গে মূর্তি বা দেবতাদের ডাকতো এই ভেবে যে তারা আল্লাহর নিকটবর্তি করে দেবে, আল্লাহর কাছে সুপারীশ করবে ইত্যাদি।পরবর্তিতে কাফেররা আল্লাহকে ডাকার সঙ্গে সঙ্গে তাদের দেবতাদেরকেও ডাকতো সহযোগী হিসাবে, যেমন আজকাল আমাদের দেশের হিন্দুরাও মূর্তি-দেবতা পুজায় সেরা হওয়ার পরও জিজ্ঞাসা করলে বলবে , আল্লাহ একজন ,খৃষ্টানরাতাই বলে, তবে সাথে অংশীদারিত্ব সাব্যস্হ করেন, যা ইসলাম এলাউড করেনা। সুতরাং আল্লাহ শব্দটি জাহেলিয়াতের কাফেরদের শব্দ নয় বরং এই শব্দটি আদিকাল থেকেই পরিচিত একটি শব্দ একটা সত্বা, যিনি হলেন আমার আপনার সকলের সৃষ্টি কর্তা । আল্লাহ তায়ালা



*  কাবার প্রথম ও প্রধান মূর্তি " হুবাল" বা হুবুল" ইলাত বা ইলাহ নয় 
ঐভদ্রলোক অন্য এক বক্ততায় বলছে কাবার প্রথম মূর্তির নাম নাকী " ইলাত, বা  ইলাহ," থেকে আল্লাহ শব্দ এসেছে ,নাউযুবিল্লাহ । অথচ এই আগাছা বুড়ো বয়সে  ইতিহাস বিকৃত করে মানুষ কে কি মেসেজ দিতে চাচ্ছে আমরা জানিনা আসলে ইতিহাস বলছে মক্কার প্রথম ও প্রধান মূর্তির নাম হল"হুবাল" বা হুবুল " যা সর্ব প্রথম তৎকালীন মুশরেকদের সরদার আমর বিন লুহাই সিরিয়া থেকে এনে সেই কাবা ঘরে রেখেছিল সেই থেকে মক্কা তথা কাবা ঘরে মূর্তি পুজা শুরু হয়। সতরাং হুবাল বা হুবুল হল কাবার প্রথম মূর্তি ।
এখন আমর বিন লুহাই কি ভাবে মূর্তি আনলেন তাজেনে নেয়ার চেষ্টা করব ইনাআল্লাহ

আমর ইবন লুহাই বনু খুজাআ গোত্রের একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন। ছোটবেলা থেকে এ লোকটি ধর্মীয় পূণ্যময় পরিবেশে প্রতিপালিত হয়েছিল। ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়ে তার আগ্রহ ছিল অসামান্য। সাধারণ মানুষ তাকে ভালবাসার চোখে দেখতো এবং নেতৃস্থানীয় ধর্মীয় বিশেষজ্ঞ হিসেবে মনে করে তার অনুসরণ করতো। এক পর্যায়ে এ লোকটি সিরিয়া সফর করে। সেখানে যে মূর্তিপূজা করা হচ্ছে সে মনে করলো এটাও বুঝি আসলেই ভাল কাজ। যেহেতু সিরিয়ায় অনেক নবী আবির্ভূত হয়েছেন এবং আসমানী কিতাব নাযিল হয়েছে। কাজেই সিরিয়ার জনগণ যা করছে সেটা নিশ্চয় ভালো কাজ এবং পূণ্যের কাজ। এরূপ চিন্তা করে সিরিয়া থেকে ফেরার পথে সে হুবালনামের এক মূর্তি নিয়ে এসে সেই মূর্তি কাবাঘরের ভেতর স্থাপন করলো। এরপর সে মক্কাবাসীদের মূর্তিপূজার মাধ্যমে আল্লাহর সাথে শির্ক করার আহবান জানালো। মক্কার লোকেরা ব্যাপকভাবে তার ডাকে সাড়া দেয়। মক্কার জনগণকে মূর্তিপূজা করতে দেখে আরবের বিভিন্ন এলাকার লোকজন তাদের অনুসরণ করলো। কেননা, কাবাঘরের রক্ষণাবেক্ষণকারীদের বৃহত্তর আরবের লোকেরা ধর্মগুরু মনে করতো। (শায়খ মুহাম্মদ ইবন আব্দুল ওহাব, মুখতাছারুস সীরাত, প্রাগুক্ত, পৃ. ২)।অবশ্য তার পূর্বেই নূহ আলাইহিস সালাম-এর সময়ে সর্বপ্রথম মূর্তিপূজার সূচনা হয়।সর্বপ্রথম কাওমে নূহমূর্তিপূজার প্রচলন করেছিল। তারা ওয়াদ্দ, সুওয়া, ইয়াগুছ, ইয়াউক ও নসর নামক মূর্তির পূজা করত। এ মর্মে কুরআনে এসেছে

﴿ وَقَالُواْ لَا تَذَرُنَّ ءَالِهَتَكُمۡ وَلَا تَذَرُنَّ وَدّٗا وَلَا سُوَاعٗا وَلَا يَغُوثَ وَيَعُوقَ وَنَسۡرٗا ٢٣ ﴾ [نوح:٢٣
তারা বলল, তোমরা ছাড়বে না তোমাদের উপাস্যদের এবং তোমরা ওয়াদ্দ, সূওয়া, ইয়াগুছ
ওয়াদ ছিল কালবগোত্রের দেবতা, ‘সুওয়া’ ‘হুযাইলগোত্রের, ‘ইয়াগুছ’ ‘মায্যাহগোত্রের, ‘ইয়াউকইয়ামেনের হামদানগোত্রের এবং নাসরইয়ামেন অঞ্চলের হিমইয়ারগোত্রের দেবতা ছিল। (ড. জামীল আব্দুল্লাহ আল-মিসরী, তারিখুদ দাওয়াহ আল-ইসলামিয়্যাহ ফি যামানির রাসূল ওয়াল খোলাফায়ির রাশেদীন, (মদীনা মুনওয়ারা : মাকতাবাতুদ দার, ১৯৮৭ খৃ.), পৃ. ৩১।যা ইতে পূর্বে আলোচনা করা হয়েছেআল্লাহ আমাদেরকে সঠিক ইতিহাস পড়ার বুঝার তাওফিক দান করুন আমিন