মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৬

রোগীর সেবা ও দেখতে যাওয়ার ফযীলত


অনেক সময় দেখা যায় যে, আমাদের আশে পাশে অনেক লোক দীর্ঘদিন পর্যন্ত অসুস্হ অবস্হায় বিছানায় শুয়ে আছে কিন্তু তাদেরকে দেখতে যাওয়ার ঐ সূযোগ বা মন মানসিকতা আমাদের অনেকের হয়না। আবার অনেকের সময় সূযোগ হলেও তার গুরুত্ব দেয়া হয়না।আবার কেউ দেখতে গেলেও শুধু নামকা- ওয়াস্তে দেখে আসেন, এই খেয়ালে যে,দেখতে না গেলে মানুষ কি বলবে!এই খেয়ালে লোক দেখানো বা সামাজিকতা রক্ষার্থে এক নজর দেখে আসেন।

অথচ এই ব্যাপারে আমাদের করণীয় দায়িত্ব কর্তব্য কি?মুসলিম হিসাবে ইসলামের বিধান বা নবী সাঃ এর সুন্নত কি এই ব্যাপারে আমরা অনেকেই উদাসীন। 

তাহলে আসুন বন্ধুরা আমরা এই সংক্রান্ত কিছু করণীয় জানার চেষ্টা করবো


অসুস্হ ব্যক্তি দেখতে যাওয়ার শরয়ী বিধান 
পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধু-বান্ধবের মধ্যে কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাকে দেখতে যাওয়া ও তার অবস্থা জিজ্ঞেস করা মুস্তাহাব নবীর সুন্নত । যদি রুগ্ন ব্যক্তির দেখাশোনা করার মতো তার কোনো আত্মীয়-স্বজন না থাকে তাহলে সর্বসাধারণের মধ্যে তার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ব্যক্তিদের ওপর তার সেবা করা ফরজে কেফায়া।

  রোগী দেখতে যাওয়ার ফযীলত:-

1 রোগী দেখতে যাওয়া মুসলিমদের পারস্পরিক অধিকার:- কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘এক মুসলমানের ওপর অপর মুসলমানের হক পাঁচটি। সালামের জাওয়াব দেয়া, রোগীকে দেখতে যাওয়া, জানাযায় শরীক হওয়া, দাওয়াত কবুল করা, হাঁচির জবাব দেয়া। [বুখারি শরীফ, মুসলিম শরীফ ও মিশকাত শরীফ : হাদীস নং ১৫২৪] 

2 রুগি দেখে যাওয়া অত্যন্ত পূর্ণের কাজ :- অসুস্থকে দেখতে যাওয়া, ক্ষুর্ধাতকে খাবার খাওয়ানো, পিপাসার্তকে পানি পান করানো এগুলো হলো মানুষের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশের মাধ্যম। সহানুভূতি এমন এক মহৎ গুণ যার কারণে মানুষ আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন করতে পারে।


(3) রুগিকে দেখতে যাওয়ার ফজিলত সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন কোনো লোক তার মুসলিম ভাইকে দেখতে যায়, তখন সে না বসা পর্যন্ত যেন জান্নাতে ফল আহরণে বিচরণ করতে থাকে। অতঃপর যখন সে (রোগীর পাশে) বসে, (আল্লাহ্র) রহমত তাকে ঢেকে ফেলে। সময়টা যদি সকাল বেলা হয় তবে সত্তর হাজার ফেরেশতা তার জন্য ক্ষমা ও কল্যাণের দোয়া করতে থাকে বিকাল হওয়া পর্যন্ত। আর যতি সময়টা বিকাল বেলা হয় তবে সত্তর হাজার ফেরেশতা তার জন্য রহমতের দোয়া করতে থাকে সকাল হওয়া পর্যন্ত। ছোবহানাল্লাহ ” তিরমিযী, নং ৯৬৯; ইবন মাজাহ্, নং ১৪৪২; আহমাদ, নং ৯৭৫।

রুগির সেবা করার ফজিলতঃ-

মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। তাই মানুষের সেবা করা মানুষের প্রধান কাজ। বিশেষ করে অসুস্থ, অসহায়, দুর্বল, গরিব-দুস্থ ও আর্তমানবতার সেবা করা একান্ত আবশ্যক। সামাজিক জীবনের অন্যসব বিষয়ের মতো রোগীর সেবার ক্ষেত্রেও ইসলামের রয়েছে নির্দেশনা। নবি মুহাম্মদ [সা.] নিজে রোগীর সেবায় বিশেষ মনোনিবেশ করেছেন। এ প্রসঙ্গে প্রচুর হাদিস বর্ণিত হয়েছে।

১। এক হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোনো মুসলমান ব্যক্তি অপর মুসলমান ব্যক্তির সেবা-শুশ্রƒষা করলে, যতটুকু সময় ধরে সেবা করে ততটুকু সময় সে ধারাবাহিকভাবে জান্নাতের বাগিচায় বিচরণ করে, যতক্ষণ পর্যন্ত সে প্রত্যাবর্তন না করে। [সহীহ মুসলিম, কিতাবুল র্বি ওয়াস সেলাহ্]

২। অন্য হাদীসে ইরশাদ হয়েছে, ‘কোনো মুসলমান ব্যক্তি অপর মুসলমান ব্যক্তিকে সকালে সেবা-শুশ্রƒষা করলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সত্তর হাজার ফেরেশতা তার জন্য দুআ করতে থাকে। সন্ধ্যায় সেবা-শুশ্রƒষা করলে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত সত্তর হাজার ফেরেশতা তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং আল্লাহ তাআলা জান্নাতে তার জন্য একটি বাগান নির্দিষ্ট করেন।’

এটা কোনো সাধারণ প্রতিদান নয়। মাত্র একটু মেহনতের দ্বারা মেহেরবান আল্লাহ আমাদের কী পরিমাণ সাওয়াব দান করছেন! তারপরও কি আমরা এই চিন্তা করব যে, আমি অসুস্থ হওয়ার পর অমুকে তো আমাকে দেখতে আসিনি। আমি কেন তাকে দেখতে যাব? এই জাতিয় চিন্তা দ্বারা যে আমার নিজের আখেরাত ধ্বংস হচ্ছে, আশা করি তা বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন নেই। অমুক যদি সাওয়াব অর্জন না করেন, তার যদি সত্তর হাজার ফেরেশতার দুআর দরকার না হয়, সে যদি জান্নাতের বাগিচা অর্জন করতে না চায়, তাহলে আমিও কি তা অর্জন করব না? আমি কি অমুকের সঙ্গে হিংসা করে আমার আখেরাত নষ্ট করব? আমি কি সত্তর হাজার ফেরেশতার দুআ থেকে বঞ্চিত হব? আমার কি জান্নাতের বাগিচার দরকার নেই?

৩।হজরত আনাস ইবনে মালেক [রা.] থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলে করিম [সা.] বলেছেন, যে ব্যক্তি খুব ভালোভাবে অজু করল অতঃপর সওয়াবের নিয়তে কোনো মুসলমান রোগীর সেবা করল তার ও জাহান্নামের মধ্যে ৭০ বছরের দূরত্ব সৃষ্টি করে দেয়া হবে। [আবু দাউদ]।

৪। নবি করিম [সা.] কোনো রোগীকে দেখতে গেলে বা কোনো রোগীকে তার কাছে নিয়ে এলে তিনি তার মাথায় হাত বুলাতেন। তার জন্য দোয়া করতেন। অনেক সময় রোগীকে জিজ্ঞাসা করতেন, তুমি কী কোনো কিছু খেতে চাও? যদি রোগী কোনো কিছু খাওয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করত, তখন তার জন্য তিনি খাদ্যের ব্যবস্থা করতেন।



রুগি দেখতে গেলে করণীয় :- 

(ক) সর্ব প্রথম রুগিকে অভয় দেয়া যে, আপনি ইনশাআল্লাহ সুস্হ হয় যাবেন এই বলে শান্তনা দেয়া ।
(খ) পরিবারের লোকদেরকে ও শান্তনা দেয়া। 
(গ) রুগির চিকিসৎসার খোজ খবর নেয়া এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া।সামর্থ অনুযায়ী সাহায্যের হাত বাডিয়ে দেয়া যদি সাহায্যের প্রয়োজন হয়।
(ঘ) আর যে রোগী দেখতে যাবে, তার জন্য উচিৎ হবে রোগীকে তওবা, জরূরী অছিয়ত এবং সর্বদা আল্লাহর যিকর করার কথা স্বরণ করিয়ে দেওয়া। কেননা রোগী এ সময় এ জাতীয় বিষয়ের খুব বেশী মুখাপেক্ষী থাকে।
(ঙ) রোগী দেখতে গেলে রোগীর জন্য ভাল ও কাজে লাগবে এমন কিছু নিয়ে যাওয়া (হাদিয়া) সুন্নাত। 
(চ) রোগী দেখতে যাওয়া সেটা আত্মীয় অনাত্মীয়,মুসলিম অমুসলিম যে কারোর জন্যই হতে পারে। 


আমাদের সমাজে দেখা যায় যে, কে কি মনে করবে এই চিন্তাটা সামনে রেখে রোগী দেখতে যায় যা এক জন মুসলিমের মোটেও ঠিক নয়।আমরা রুগি দেখতে যাবো নবী সাঃ এর সুন্নত আর নির্দেশনা পালনার্থে।একমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির নিয়্যত রাখা ও মহান আল্লাহর কাছে জবাবদিহীতার থেকে মূক্ত হওয়ার নিয়ত করা। 
এক হাদীসে কুদসীতে বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভাষায় উল্লেখিত হয়েছে। হাদীসটি এই ‘কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা বলবেন, হে আমার বান্দা! আমি তোমার প্রভু। আমি অসুস্থ ছিলাম তুমি আমাকে দেখতে আসনি। বান্দা বলবে, হে প্রভু! আপনি বিশ্ব জাহানের প্রতিপালক, আমি কিভাবে আপনাকে দেখতে যেতে পারি? আল্লাহ তাআলা বলবেন, তুমি কি জানতে না যে, আমার অমুক বান্দা অসুস্থ ছিল ? যদি তুমি তাকে দেখতে যেতে তাহলে তুমি সেখানে আমাকে পেতে। আল্লাহ তাআলা আবার বলবেন হে আমার বান্দা! আমি তোমার কাছে খাবার চেয়েছিলাম; কিন্তু তুমি আমাকে খাবার দাওনি। বান্দা বলবে, ইয়া রব! আমি আপনাকে কীভাবে খাবার দিতে পারি? আপনি হলেন সারা জাহানের পালনকর্তা? আল্লাহ তাআলা বলবেন, আমার অমুক বান্দা তোমার কাছে খাবার চেয়েছিল কিন্তু তুমি তাকে খাবার দাওনি। যদি তুমি তাকে খাবার দিতে তাহলে আজ আমাকে কাছে পেতে। পুনরায় আল্লাহ তাআলা বলবেন, আমি তোমার কাছে পানি চেয়েছিলাম। তুমি আমাকে পানি দাওনি। বান্দা পূর্বের মতই উত্তর দেবে। আল্লাহ তাআলা বলবেন, তোমার কি স্মরণ আছে? আমার এক বান্দা তোমার কাছে পানি চেয়েছিল; কিন্তু তুমি তাকে পানি দাওনি ? তুমি কি জান, তুমি যদি সেদিন তাকে পানি দিতে তাহলে তার প্রতিদানে আজ আমাকে কাছে পেতে। [বুখারি শরীফ 

(ছ) আবার অনেকে রোগী দেখতে যেয়ে শুধুমাত্র কিছু অপ্রয়োজনীয় গল্প গুজব করে চলে আসেন। তা মোটেও ঠিক নয়,বিশেষত রুগির সামনে এমন বেহুদা গল্প গুজব থেকে বিরত থাকাই ভাল।কারণ অনেক সময় এমন বেহুদা গল্প গুজবে রুগির অস্হিরতা বৃদ্ধি করেদে যা অনূচীত।

(জ) রোগীর জন্য দুয়া করা 

أَسْأَلُ اللَّهَ الْعَظيمَ رَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ أَنْ يَشْفيَكَ»

ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি এমন কোন রুগ্ন মানুষকে সাক্ষাৎ করবে, যার এখন মরার সময় উপস্থিত হয়নি এবং তার নিকট সাতবার এই দো‘আটি বলবে, ‘আসআলুল্লাহাল আযীম, রাব্বাল আরশিল আযীম, আঁই য়্যাশ্ফিয়াক’ (অর্থাৎ আমি সুমহান আল্লাহ, মহা আরশের প্রভুর নিকট তোমার আরোগ্য প্রার্থনা করছি), আল্লাহ তাকে সে রোগ থেকে মুক্তি দান করবেন।’’ (আবূ দাউদ, তিরমিযী, হাসান সূত্রে, হাকেম, বুখারীর শর্তে সহীহ সূত্রে) 

(ঝ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কেউ মৃত্যু আসন্ন নয় এমন কোনো রোগীকে দেখতে গেলে, সে তার সামনে এই দোআ ( لاَ بأْسَ طَهُورٌ إِنْ شَاءَ اللَّه)   "লা-বা'ছা তাহুরুন ইনশাআল্সালাহ "সাতবার পাঠ করবে, এর ফলে আল্লাহ তাকে (মৃত্যু আসন্ন না হলে) রোগমুক্ত করবেন। । তিরমিযী, নং ২০৮৩; আবূ দাউদ, নং ৩১০৬। আরও দেখুন, ২/২১০; সহীহুল জামে‘ ৫/১৮০।

উক্ত রাবী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক পীড়িত বেদুঈনের সাক্ষাতে গেলেন। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন রোগীকেই সাক্ষাৎ করতে যেতেন, তখন তাকে বলতেন, ‘‘লা-বা’ছা, ত্বাহুরুন ইনশাআল্লাহ।’’ অর্থাৎ কোন ক্ষতি নেই, (গোনাহ থেকে) পবিত্র হবে ইন শাআল্লাহ। (বুখারী) অর্থাৎ যে কোন রোগের কারনে গুনাহ মাফ হয়ে যায়। 


রোগী দেখতে যাওয়ার আরও আদবসমূহ:-  

১. সাক্ষাতের সাধারণ আদবগুলো মেনে চলা। যেমন হালকা শব্দে দরজা নক করা। অনুমতি নেয়ার সময় দরজার সামনে না দাঁড়ানো। নিজের স্পষ্ট পরিচয় দেয়া। চক্ষুকে অবনত রাখা ইত্যাদি।২. সাক্ষাতের জন্য উপযুক্ত সময় নির্বাচন করা। খাবারের সময়, বিশ্রামের সময়, ঘুমের সময়, ইবাদতের সময় সাক্ষাত করতে না যাওয়া।

৩. রোগীর মাথার কাছে বসা। তার কপালে হাত দেয়া। তার অবস্থা জিজ্ঞেস করা। 

৪. বার বার সাক্ষাতের জন্য না যাওয়া। এতে রোগীর কষ্ট হতে পারে। তবে রোগীর অবস্থা দ্বারা যদি বুঝা যায় যে, সাক্ষাতপ্রার্র্থীর বার বার সাক্ষাতে রোগী তৃপ্তি পায় বা আগ্রহী হয় বা রোগ-যন্ত্রণা কিছুটা হ্রাস পায় তাহলে বার বার যাওয়া যেতে পারে।

৫. রোগীর কাছে বেশিক্ষণ অবস্থান না করা। এতে রোগীর নিজের বা পরিবারের লোকদের বিরক্তির কারণ হতে পারে বা তাদের কোনো নিয়মিত কাজে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।তবে তারা আগ্রহী হলে সেটা ভিন্ন কথা।

৬. রোগীকে বেশি প্রশ্ন না করা। কেননা অসুস্থাবস্থায় বেশি বেশি প্রশ্ন রোগীর জন্য বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

৭. রোগীর সুস্থতার জন্য দুআ করা। তার কাছে বসে সূরা নাস, ফালাক ও সূরা ইখলাস পাঠ করা। আরো অনেক দুআ বর্ণিত আছে। যেমন, ‘আসআলুল্লাহাল আযীম রাব্বাল আরশিল আযীম আন ইয়াশফিক’। (সাত বার)

৮. অসুস্থ ব্যক্তির সামনে এমন কিছু না বলা, যা তাকে চিন্তিত করে তোলে। বরং তাকে সান্ত্বনার বাণী শুনাতে হবে। তার প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করতে হবে। রোগীকে সান্ত্বনা প্রদান করা নেকীর কাজ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি তার মুমিন ভাইকে বিপদে সান্ত্বনা প্রদান করবে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তাকে সম্মানের পোশাক পরিধান করাবেন।’ [ইবনে মাজাহ : হাদীস নং ১৬০১, সনদ হাসান, ইরওয়াউল গালীল : হাদীস নং ৭৬৪]

তাকে সাহস দিবে। ধৈর্য ধারণ করার উপদেশ দেবে। সম্ভব হলে ধৈর্যের প্রতিদান সম্পর্কে কিছু শুনাবে। এমন কথা বলবে যাতে তার মানসিক মনোবল শক্তিশালী হয়।

৯. অসুস্থ ব্যক্তির কাছে নিজের জন্য দুআ চাইবে। কেননা এটি সুন্নত।

১০ রোগী দেখতে গেলে মনে রাখতে হবে, রোগীর সঙ্গে বা তার সামনে রোগের জটিলতার ব্যাপারে আলোচনা করা যাবে না। তাতে রোগী মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এবং মানসিক বিপর্যস্ততার কারণে সে আরো অসুস্থ হয়ে যেতে পারে 

আল্লাহ আমাদের সবাইকে রুগ্ন ব্যক্তিদের সেবা যত্ন করার তাওফিক দান করুন আমিন ।


লেখক:- এম এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া  

প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক নুরুল গনি ইসলামি একাডিমী কাটাছরা,মিরসরাই, চট্টগ্রাম 
                          ও   অনলাইন ইসলামী এক্টিভিস্ট, কলামিষ্ট্  ও ব্লগার  ।
                            

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন