বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

হেজবুত তাওহীদ এ যুগের ভয়াবহ ফেতনা পথভ্রষ্ট ও জঙ্গি দলের অন্যতম

হেজবুত তাওহীদ এ যুগের ভয়াবহ নব্য ফেতনা
   কংকলন ও সংযোজনে
৷  এম এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া
হেজবুত তাওহীদ এ সময়ের এক ভয়াবহ নব্য ফেতনা এতে কোন সন্দেহ নেই

অনেক সাধারণ মুসলমান এদের খপ্পরে পড়ে ঈমান হারাচ্ছে, অথচ আমরা এ ব্যাপারে একেবারেই বে-খবর।এ জন্য আমি বিশিষ্ট কয়েকজন লেখক গবেষকদের তাহকিককৃত কিছু লেখা আপনাদের সামনে বাই সিরিয়াল উল্লেখ করতে সচেষ্ট হব।

১নং ১ ম লেখাটি ঃ--
মাওঃমুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান (মধুপুরী)
সহকারী মুফতীঃ
উচ্চতর ফিক্বাহ ও ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ।
জামিয়া ইসলামিয়া ওবাইদিয়ানানুপুর, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম এর কলাম থেকে চয়ন করা হয়েছে।

সময়ের ভয়াবহ ফেতনা
বায়াজীদ খান পন্নীর নতুন ইসলাম

প্রথম পর্ব  

প্রাথমিক পরিচিতি

ইসলাম ও মুসলমানদের ঈমান আমল হরণকারী এক সর্বগ্রাসী ফেতনা ও সংগঠন সম্পর্কে কলম উঠানোর মনস্ত করেছি। এটাকে একেবারে নতুনও বলা যায়না। বাংলাদেশে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে ১৯৯৫ সাল থেকে। দীর্ঘ ১৯ বছর যাবৎ তাদের দাওয়াত প্রচারনা ও নানাবিধ কার্যক্রম অব্যাহত। সংগঠনটির নাম ‘‘হেযবুত তওহীদ’’।

অনেকেই হেযবুত তওহীদ ও হেযবুত তাহরীরকে একই সংগঠন মনে করতে পারে, তাই প্রথমেই স্পষ্ট করে নিচ্ছি যে দুটি এক নয় বরং এ-দুটি সম্পূর্ণ পৃথক দুটি সংগঠন ও মতবাদ। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নিকট পাঠানু এক চিঠিতে হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠাতা জনাব বায়জীদ খান পন্নী লিখেন- ‘‘কিছুদিন যাবৎ আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, আমাদের ‘‘হেযবুত তওহীদ’’ কে অনেক কর্মকর্তা নিষিদ্ধ ঘোষিত ‘‘হিযবুত তাহরীর’’ বলে ভুল করছেন, এবং গ্রেফতার করে হয়রানী করছেন’’।
যামানার এমামের পত্রাবলী- পৃঃ ৭৪

তবে ‘‘ হেযবুত তওহীদ’’ ও হিযবুত তাহরীর সংগঠন দুটি পৃথক হলেও উভয়ের কর্মপদ্ধতী কার্যক্রম প্রায় একই রকম। তাদের মৌলিক সিকড় একই সুত্রে গাথা। সাত-আট বছর পূর্বে উলামায়ে কেরাম হিযবুত তাহরীর নিয়ে সামান্য মন্তব্য ও কিছুটা বাদ-প্রতিবাদও করেছিল। রাষ্ট্রীয়ভাবে এ সংগটনটিকে জঙ্গি সংগঠন হিসাবে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রশাসনিক বাধার মুখে তাদের কার্যক্রম ও তৎপরতা মৃতপ্রায় হওয়ায় বর্তমানে এদের নিয়ে তেমন কোন আলোচনাও নেই। কিন্তু‘‘ হেযবুত তওহীদ’’ এর কার্যক্রম বরাবরী বাধাহীন ভাবে অব্যাহত। পরিতাপের কথা হল, আমাদের হক্বানী উলামায়ে কেরামদের মধ্য থেকে লিখনী, বক্তৃতা বা অন্য কোন মাধমে তাদের ব্যাপারে প্রতিবাদী কোন ভূমিকা দৃষ্টিগোচর হয়নি। আমাদের অনেকেরই হয়ত এ ব্যপারে তেমন কিছু জানা নেই।
তৎপরতা ও কর্মপদ্ধতী
আজ থেকে প্রায় ছয় সাত বছর আগের কথা। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন দেয়ালে হিযবুত তওহীদের বিভিন্ন বিজ্ঞাপন নজরে পড়ত। তাদের কয়েকটি লিফলেটও হস্তগত হয়। তখন থেকেই আমার মনে এ ব্যপারে জানার আগ্রহ সৃস্টি হয়।

১৯৯৮ সালে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা জনাব বায়জীদ খান পন্নীর লিখা ‘‘দাজ্জাল? ইহুদী খ্রষ্টান সভ্যতা!’’ নামক একটি বই প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশের বিভাগীয় ও প্রসিদ্ধ নগরী সমূহের গুরুত্বপূর্ণ স্থান, স্থাপনা, বাস, ট্রেন, লঞ্চ সহ বিভিন্ন গণপরিবহনগুলোতে লিফলেট ও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বইটির ব্যপারে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়। তাদের দাবী মত বইটি ২০০৮ সালের সর্বাধিক প্রচারিত ও সব থেকে বেশি বিক্রিত বই হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে। অনেকেই হয়ত বইটির কথা শুনতে পারেন। এ বইটিতে হিযবুত তওহীদের পরিচিতি ও চিন্তাধারা নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হয়। বিশেষতঃ বইটি দাজ্জাল সম্পর্কে তাদের তিক্ষè ধারণা মানুষের কাছে উপস্থাপনের জন্য লিখা হয়েছে। দাজ্জাল সম্পর্কে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আক্বীদা হলঃ কিয়ামতের অন্যতম নিদর্শন হিসেবে শেষ যমানায়, আল্লাহার পক্ষ থেকে প্রচুর ক্ষমতা প্রাপ্ত একজন মানুষের আবির্ভাব হবে। ইরাক ও শাম দেশের মাঝখানে তার অভূথ্যান হবে। সে ইয়াহুদী বংশদ্ভূত হবে। সে খাটো দেহের অধিকারী, চুল কোঁকড়া ও লাল বর্ণের হবে। তার এক চোখ কানা আর এক চোখ টেরা থাকবে। তার কপালে লেখা থাকবে ك ف ر অর্থাৎ কাফের। সকল মুসলমান সে লেখা পড়তে পারবে। প্রথমে সে নবুয়াতের দাবী করবে, তারপর ইস্ফাহান যাবে, সেখানে ৭০ হাজার ইয়াহুদী তার অনুগামী হবে। তখন সে খোদায়ী দাবী করবে। লোকেরা চাইলে সে বৃষ্টি বর্ষণ করে দেখাবে। মৃতকে পর্যন্ত জীবিত করে দেখাবে। কিত্রিম বেহেশত দোযখ তার সঙ্গে থাকবে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তার বেহেশত হবে দোযখ আর তার দোযখ হবে বেহেশত। সে আরও অনেক অলৌকিক কান্ড দেখাতে পারবে। যা দেখে কাঁচা ঈমানের লোকেরা তার দলভুক্ত হয়ে জাহান্নামী হয়ে যাবে । এ সব হবে হযরত মাহদী আঃ এর সময়। ইত্যবসরে এক দিন ফজরের নামাযের একামত হত্তয়ার পর হযরত ঈসা আঃ আকাশ থেকে ফেরেশতার উপর ভর করে অবতরণ করবে। হযরত মাহদী উক্ত নামাযের ইমামতি করবেন। নামাযের পর হযরত ঈসা আঃ হাতে ছোট একটা বর্শা নিয়ে বের হবেন। তাকে দেখেই দাজ্জাল পলায়ন করতে আরম্ভ করবে। হযরত ঈসা আঃ তার  পশ্চাদ্ধবন করবেন এবং মুসলমানদের প্রথম কিবলা বাইতুল মুকাদ্দাসের পাশে ‘‘বাবেলুদ” নামক স্থানে গিয়ে তাকে নাগালে পেয়ে বর্শার আঘাতে হত্যা করবেন।

দাজ্জাল সম্বন্ধে মুসলমানদের এ আক্বীদা অসংখ্য বিশুদ্ধ হাদীস দ্বারা অকাট্য ভাবে প্রমাণিত। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত ও মুসলিম উম্মাহর সর্ব সম্মত আক্বীদাকে সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করেছে বায়জীদ খান পন্নী। সে তার ‘‘দাজ্জাল? ইহুদী খৃষ্টান সভ্যতা” নামক গ্রন্থটিতে কুরআন হাদীসের স্পষ্ট অপ-ব্যাখ্যার মাধ্যমে তা প্রমাণ করার ব্যর্থ চেষ্টা করেছে। পন্নী ভক্ত হেযবুত তওহীদ মতাদর্শীদের ধারণা হলঃ দাজ্জাল সম্বন্ধে মুসলমানগণ যে আক্বীদা পোষণ করে থাকে তা সম্পূর্ণ ভুল। প্রকৃতপক্ষে হাদীসে যে দাজ্জালের কথা উল্লেখ রয়েছে তা হল, বর্তমান ইয়াহুদী খৃষ্টান সভ্যতা। আর এ দাজ্জালকে সর্ব প্রথম সনাক্ত করতে  সক্ষম হয়েছে জনাব বায়াজীদ খান পন্নী, তাই তারা জনাব পন্নী সাহেবকে ‘‘দাজ্জাল সনাক্তকারী” লক্ববে ভূষিত করে থাকে।

বইটি প্রকাশের পর মনে হল, এর একটা বিহিত হওয়া দরকার। যে কোন মূল্যে এ ফেতনার মুকাবেলায় অবশ্যই কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে কয়েক জনের সাথে পরামর্শও করলাম। কেউ কেউ বললেন- ছোট খাটো এসব বিষয় নিয়ে বেশি মাতা-মাতীতে অনেক সময় লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়। এসব ছোট ছোট বিষয়ে বাদ-প্রতিবাদ অনেক সময় তাদের প্রচারনার ও পরিচিতির কারণ হয়। এ ভেবে কিছু চুপ থাকি পরবর্তীতে মনে হল বিষয় আর ক্ষুদ্র পরিসরে সীমাবদ্ধ নেই।

গত এক বছর আগের কথা, বন্দর নগরী চট্টগ্রাম এর  মুরাদপুর থেকে বাসে উঠেছি ফটিকছড়ির নাজিরহাট যাওয়ার জন্য। আচানক শার্ট-প্যান্ট পরিহিত এক ভদ্রলোক বাঁসে  আরোহণ করল।তার কাধে ঝুলানো একটি ব্যাগ, হাতে কিছু হ্যান্ডবিল। দেশের পরিস্থিতি ও বর্তমান বিশ্বে মুসলমানদের অধঃপতনের বিষয়ে যাত্রীদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা ছুড়ে দিল। কথাগুলি খুব গোছালো, ভাষাও বেশ প্রাঞ্জল। বক্তৃতার খুলাসা হলঃ বিশ্ব মুসলিম অধঃপতনের এক মাত্র কারণ মুসলমানগণ প্রকৃত ইসলামের উপর প্রতিষ্ঠিত নেই। জনাব বায়াজীদ খান পন্নী সাহেব এক নতুন সভ্যতার ডাক দিয়েছেন, এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে সর্বসম্মত অংশগ্রহণী এক মাত্র উদ্যাত সংকট থেকে উত্তরণের পথ ও পন্থা হতে পারে। বক্তৃতা দিতে দিতে হ্যান্ডবিল বিতরণ করে বাস থেকে নেমে গেল। যাত্রীগণ অন্য সব হকারদের লেকচারের মতই-তার বক্তৃতার মূল্যায়ন করল। অনেক যাত্রীদের তার দেয়া লিফলেট বেশ মনোযাগের সাথে পাঠ করতে দেখলাম। আমি অপলক দৃষ্টিতে দৃশ্যটি অবলোকন করলাম ও তার থেকে গ্রহণকৃত হ্যান্ডবিলটি অধ্যয়ন করতে লাগলাম।

পূর্বেও বেশ কয়েক বার দেশের পত্র, নামে ‘‘হেযবুত তওহীদ’’ কর্তৃক প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকা হস্তগত হয়েছে, সেখানেও তাদের কয়েকটি প্রবন্ধ-নিবন্ধ অধ্যয়ন করার সুুযোগ হয়েছে। অন্যসব লিফলেট ও প্রবন্ধের মতই এতেও অনেক  সুচারুভাবে দাজ্জাল সম্বন্ধে তাদের তিক্ত আক্বীদা ও রং ডং দিয়ে মতবাদটির চিন্তা-চেতনা উপস্থাপন করে বর্তমান প্রচলিত ইসলামকে প্রকৃত ইসলাম নয় বলে পন্নীর নব্য ইসলামের দিকে  দাওয়াত দেয়া হয়েছে। অন্যগুলির মত এখানেও নিচে এক সাথে কয়েকটি মুঠো ফোনের নাম্বার দেয়া আছে। তাদের কর্মপদ্ধতি হলঃ হ্যান্ডবিল ও প্রবন্ধের মর্ম ও ভাষা হয় যথারীতি তাক লাগিয়ে দেয়ার মত স্বভাবিকই যে কোন ব্যক্তি তা অধ্যয়ন করে বিমোহিত, বিশ্বাসিত বা বিস্মিত, বিভ্রম বা বিভ্রান্ত হয়ে নাম্বার গুলিতে কল করতে পারে, কল করার সাথে সাথে তারা নাম্বারটি এন্ট্রি করে রাখে ও নিয়ম তান্ত্রিক যোগাযোগের মাধ্যমে তাকে তাদের দলে টানার চেষ্টা করে। নাম্বার গুলিতে যথারীতি যোগাযোগ করেই আমি বিষয়টির ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছি।

প্রায় দু’মাস আগের কথা, আমার সম্মানীত উস্তাদ  জামিয়া ইসলামিয়া ওবাইদিয়ার প্রধান মুফতী, মুহাম্মদ হুসাইন সাহেব দাঃ বাঃ আমাকে একটি মোবাইল নাম্বার দিয়ে বললেন- বগুড়া থেকে এক জন কলেজ পডুয়া ছাত্র কল করে দাজ্জাল সম্বন্ধে কয়েকটি হাদীস জানতে চেয়েছে, তুমি নাম্বারটিতে যোগাযোগ করে এ ব্যাপারে কয়েকটি হাদীস সংগ্রহ করে বলে দাও। আমি তার সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারলাম সে বর্তমানে কলেজে পড়লেও কওমী মাদ্রাসার বেশ কয়েকটি ক্লাশ সে অধ্যয়ন করেছে। বর্তমানে তার আশে-পাশে কিশ কিছু লোক দাজ্জাল সম্বন্ধে মুসলমানদের আক্বীদা বিশ্বাস পরিপন্থি প্রচারনা চালাচ্ছে। তার সাথে কথা বলে আমি নিশ্চিত হলাম, এরা হেযবুত তওহীদের প্ররোচনার স্বীকার এর পর আমি তাকে হেযবুত তওহীদ মতাদর্শ ও বিশুদ্ধ হাদীসের আলোকে দাজ্জাল সম্বন্ধে সু-স্পষ্ট ধারণা প্রদান করলাম।

প্রথমে মনে করতাম। যেহেতু জনাব পন্নী টাঙ্গাইলের লোক তাই তাদের এ তৎপরতা ঢাকা ও টাঙ্গাইলের মাঝেই সীমাবদ্ধ, এখন দেখছি না! দেশ জুড়ে তাদের এ অপতৎপরতা এক ভয়ানক রূপ ধারণ করেছে। এ ভ্রান্ত মতাদর্শ বিস্তারের জন্য স্বয়ং বায়েজিদ খান পন্নী অনেকগুলো গ্রন্থ রচনা করেছে। যার মাঝে উল্লেখযোগ্য হলঃ-
(১) এসলামের প্রকৃত রূপরেখা
(২) এসলাম শুধু নাম থাকবে
)৩) দাজ্জাল? ইহুদী খৃষ্টান সভ্যতা
(৪) আল্লাহর মো’জেজা ও হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা
)৫) এসলামের প্রকৃত সালাহ
(৬) মহা-সত্যের আহ্বান
)৭) এ জাতির পায়ে লুটিয়ে পড়বে বিশ্ব
)৮) যুগ সন্ধিক্ষনে আমরা
)৯) বর্তমানের বিকৃত সুফিবাদ
)১০) হেযবুত তওহীদের লক্ষ ও উদ্দেশ্য
)১১) যামানার এমামের পত্রাবলী
)১২) জেহাদ, কেতাল, সন্ত্রাস
)১৩) আসুন সিস্টেমটাকেই পাল্টাই।

এছাড়াও তারা নির্মাণ করেছে তাদের দাবী মত তথাকথিত দাজ্জাল এর স্বরুপ ও দাজ্জাল বিরোধী আন্দোলনের রূপরেখা, আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের সম্মান ও পুরস্কার শির্ষক এবং ইসলাম ও উলামায়ে কেরামকে হেয় করে বিভিন্ন ডকুমেন্টারি ফিল্ম। রাজধানী ঢাকা ও বন্দর নগরী চট্টগ্রাম সহ দেশের প্রসিদ্ধ নগরী সমূহে রয়েছে তাদের নিজস্ব, সতন্ত্র প্রকাশন, লাইব্রেরী ও পুস্তক বিতান।

এ সব কিছু ছাড়াও তাদের বর্তমান অন্যতম প্রচার মাধ্যম হলঃ তাদের নিয়মিত প্রকাশনা দৈনিক ‘‘দেশের পত্র’’ নামক পত্রিকা। এ পত্রিকাটি দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে, এতে এক দু’টি জাতীয় সংবাদ ছাড়া বাকী সবই হল তাদের সাংগঠনীক সংবাদ, হেযবুত তওহীদের মতাদর্শ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও ইসলাম বিরোধী বিভিন্ন লিখা। যা দেখে যে কোন ধরণের মানুষ বিভ্রান্ত হতে পারে।

এই তো মাত্র কয়েক দিক আগের কথা, গত ২৮শে ফেব্র“য়ারী শুক্রবার জুমার নামাযের পর, আমাদের গ্রামের এক নবীন আলেম মাওঃ নাছীর  আমাকে দেখে অতিশয় আন্দীত হয়ে বলল- আপনা সাথে সাক্ষাৎ হয়ে ভালই হয়েছে। গত দুু’দিন আগে ‘‘দেশের পত্র’’ নামক একটি পত্রিকা দেখে আমি হতবাক। পত্রিকাটি পড়ার পর মনে করলাম, বিষয়টি নিয়ে  আপনার সাথে কথা বলা দরকার, ধর্মীয় ব্যাপারে কিসব আজগবী কথা-বার্তা। আমি তাকে এ ব্যাপারে সংক্ষিপ্ত ধারণা দিলাম। সব শুনে সে আমাকে বলল- আমার মনে হয় এ ফেতনা অতী অল্প সময়ের ব্যবধানে এক ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করবে।

গত কয়েক দিনের ‘‘দেশের পত্র’’ সংগ্রহ করে আমিও বিস্মিত হয়েছি। ইসলাম নিয়ে কিসব বিভ্রান্তীমূলক লেখা-লেখি। এসব লিখাকে প্রথম ও শেষ পৃষ্টার শিরেুানামও করা হয়। হেযবুত তওহীদ মতাবলম্বীদের ধারণা হল, রাসূল স. যে ইসলাম নিয়ে দুনিয়াতে আগমন করেছেন শত শত বছরের মিথ্যা ফতোয়ার ধামা-চাপা পড়ে বিকৃত হয়ে সে ইসলাম কালের গর্ভে হারিয়ে গিয়েছে। আর হারিয়ে যাওয়া সে ইসলামকে পূনরায় আবিস্কার করেছেন জনাব বায়াজীদ খান পন্নী। বর্তমান বিশ্বের সমস্ত মুসলমান যে ইসলামের উপর প্রতিষ্ঠিত তা প্রকৃত ইসলাম নয়, তাই তো তারা  তাদের মতাদর্শ অবলম্বী ছাড়া দল মত নির্বিশেষে বর্তমান বিশ্বের সমস্ত¬ মুসলমানদের যথারীতি কাফের ও মুশরীক বলে থাকে। (নাইযু-বিল্লাহ) এজন্য তাদের অপ-প্রচারের প্রধান লক্ষ্যবস্তু হল আমাদের প্রাণের ধর্ম ইসলাম ও ইসলামে অতন্দ্র প্রহরী, নিবেদিত প্রাণ উলামায়ে কেরাম। তাদের লেখা-লেখি ও প্রচারনায় ইসলাম ও উলামায়ে কেরামের বিষেদগার, মানুষদের পন্নীর নব্য ইসলামের দিকে দীক্ষিত করার বিষয়টিই সর্বাধিক প্রাধান্য পায়।
উদাহরণ সরূপ বলা যায়ঃ গত ২৬ ফেব্র“য়ারী ২১৪ ইং বুধবার তাদের ‘‘দেশের প্রত্র’’ পত্রিকার প্রথম পৃষ্টার প্রথম শিরুনাম করেছে ‘‘কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া প্রকৃত এসলাম ফিরিয়ে আনলেন যে মহা-মানব” এ লেখাটিতে বায়াজীদ খান পন্নীর জীবনী আলোচনা করে অত্যান্ত কৌশলী পদ্ধতিতে পাঠকদেরকে তার নব্য ইসলামের দিকে দীক্ষিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
একই ভাবে এর পর দিন ২৭ ফেব্র“য়ারী ২০১৪ ইং বৃহস্পতিবার পত্রিকাটির প্রথম পৃষ্টার প্রথম শিরোনাম করেছে। ‘‘ধর্ম ব্যবসায়ীরা যেভাবে ধর্মকে বিকৃত করছে’’। লেখাটি লেখেছে রাকীব আল হাসান নামের জনৈক হেযবুত তওহীদ সদস্য। হাই লাইনের নিচে হাজার হাজার মুসল্লির নামাজ রত অবস্থায় উপর থেকে তুলা বাইতুল্লাহ শরীফের ছবি দ্বারা প্রচ্ছদ নির্মাণ করা হয়েছে। প্রচ্ছদটির নিচে ভোল্ড করা বড় সাইজের অক্ষরে লিখা ‘‘ঈদের নামায, জানাযার নামায, তারাবির নামায, গরু কোরবানী, মিলাদ-মাহফিল ইত্যাদি নিরাপদ ধর্মীয় কর্ম সম্পাদনের মাধ্যমে চলছে ধর্ম ব্যবসায়ীদের রমরমা ধর্মবাণিজ্য, অথচ জাতীয় ভাবে  আল্লাহর হুকুমের পরিবর্তে মানা হচ্ছে মানুষের তৈরি বিধান যা পরিস্কার শিরক। মোট কথা হলঃ ধর্মব্যবসায়ীগণ এসলামের এই কাজগুলির গুরুত্বের উলট পালট করছে ধর্মব্যবসার স্বার্থে’’। এরপর পথম পৃষ্টায় লেখাটির কিছু অংশ উল্লেখ করে অবশিষ্টাংশ বিতরের ৭নং পৃষ্টায় বিস্তারিত বড় প্রবন্ধ আকারে উল্লেখ করেছে। লেখাটিতে ইসলামের গুরুতপূর্ণ কিছু ইবাদত ও আহকামকে হেয়-প্রতিপন্ন করার সাথে সাথে উম্মতের হক্কানী উলামায়ে কেরামকে ধর্মব্যবসায়ী ও ধর্ম বিকৃতকারী হিসাবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
এটা তো মাত্র দু’দিনের পত্রিকা থেকে ক্ষুদ্র দু’টি নমুনা পেশ করা হল, এভাবে তারা প্রতিদিনের পত্রিকাতেই এ ধরণের সংবাদ ও ইসলামের নামে অসংখ্য ইসলাম বিরোধী প্রবন্ধ উপস্থাপন করে থাকে।
ইদানীং তারা তাদের এ ‘‘দেশের পত্র’’ পত্রিকা কেন্দ্রীক এক সাংঘাতিক ভয়াবহ অপতৎপরতা অরম্ভ করেছে। ইসলাম ও হক্কানী উলামায়ে কেরামদের নিয়ে জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি করার জন্য জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার নামে ‘‘দেশের পত্র’’ পত্রিকার উদ্দ্যেগে দেশ জুড়ে সেমিনার, জনসভা, প্রমান্যচিত্র প্রদর্শনী সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে যাচ্ছে। ‘‘দেশের পত্র’’ পত্রিকাটির প্রথম পৃষ্টার ডান পাশে একেবারে নীচে একটি বিজ্ঞাপণ দেয়া থাকে গোলাকার হৃদয় গ্রাহী ডিজাইনে। বিজ্ঞাপণটির উপরে লেখা থাকে ‘‘জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে দেশজুড়ে চলছে জনসভা ও প্রামান্যচিত্র প্রদর্শনী, আপনার এলাকায় জনসভা ও প্রর্দশনী করতে চাইলে যোগাযেগ করুন’’। এর নিচে বিভিন্ন জিলা ও উপজিলার দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিদের নাম ও মোবাইল নাম্বার দেয়া থাকে। পত্রিকাটির প্রথম পৃষ্টার একেবারে উপরে বাম পাশে, উচিয়ে রাখা মুষ্টিবদ্ধ অনেকগুলি হাতের ছবি দ্বারা প্রচ্ছদ অঙ্কন করে পাশে বড় রঙ্গিন অক্ষরে লিখা থাকে ‘‘এক জাতি এক দেশ, ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ” এর নিচে লেখা থাকেঃ দেশ জুড়ে চলছে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টা, চোখ রাখুন দেশের পত্রে” কিন্তু  যে কোন সচেতন ব্যক্তি মনোযোগের সাথে দেশের পত্রে চোখ বুলালেই বুঝতে সক্ষম হবে যে, এ তো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার কোন প্রয়াশ নয়, বরং এটা ১৪০০ বছর যাবত চলে আসা মুসলিম উম্মাহর ঐক্যে ফাটল সৃষ্টি করে এ জাতিকে ছিন্ন-ভিন্ন করে দেয়ার এক ভয়াবহ ষড়যন্ত্র।

তারা তাদের এ কর্মসূচী দেশ জুড়ে নিয়মিত বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। প্রতি দিনই দেশের পত্র পাত্রিকায় বিভিন্ন স্থানে সংগঠিত হওয়া এ ধরণের সেমিনার ও জনসভার অসংখ্য সংবাদ ছবি সহ  প্রচার করা হয়। বিশেষ করে সম্প্রতি সময়ে পত্রিকাটির শেষ পৃষ্টার নিচের কিছু অংশকে এ জন্যই বরাদ্দ করা হয়েছে। শেষ পৃষ্টার নীচে ডান থেকে বাম পর্যন্ত পৃষ্টাজুড়ে বড় অক্ষরে দু’লাইনব্যাপী রঙ্গিন কালিতে শিরোনাম আকারে লিখা থাকে ‘‘জঙ্গিবাদ, ধর্মব্যবসা, ধর্ম নিয়ে অপ-রাজনীতি ও সকল প্রকার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে দেশের পত্রের উদ্দ্যোগে চলছে গণসংযোগ ও জনসভা”।
এর নিচে প্রতি দিনই এ ধরণের দু’ তিনটি করে বিশেষ সংবাদের ছবি ছাপানু হয়। যেমন গত ২৬ ফেব্র“য়ারী ২০১৪ ইং বুধবারের পত্রিকায় ঐ স্থানে তিনটি সংবাদ ছাপানু হয়েছে। এর মাঝে একটি হল ‘‘চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র  আলহাজ্ব মনজুরুল আলম মঞ্জুকে দৈনিক দেশের প্রত্রের স্মরণীকা তুলে দিচ্ছেন চট্টগ্রাম বুরো প্রধান রাজ্ ুআহমদ ও চট্টগ্রাম প্রতিনিধিগণ।
এমনি ভাবে তার পরের দিন ২৭ ফেব্র“য়ারী ২০১৪ ইং বৃহস্পতিবারের পত্রিকায় এ স্থানটিতে ছবি সহ দু’টি সংবাদ ছাপানু হয়েছে। এর একটি হল কুমিল্লা টাউন হল মাঠে জনসভার ছবি। ছবিটির নিচে লিখা ‘‘ধর্ম ব্যবসায়ীদের ধর্মবাণিজ্যের বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষে দৈনিক দেশের পত্রের উদ্দ্যেগে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে একটি জনসভার আয়োজন করা হয়” ছবিটির মাঝে নারী পুরুষ এক সাথে অবাধে জনসভায় অংশ গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে।
আর দ্বিতীয়টি হল ভৈরবের জনসভার ছবি। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, ষ্টেজে লম্বা একটি  ডিজিটাল ব্যানার টানানো ব্যানারের এক পাশে জাতীয় পতাকা ও অন্য পাশে বায়াজীদ খান পন্নীর ছবি, মাঝখানে লেখা ‘‘ধর্মব্যবসা, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, ধর্ম নিয়ে অপরাজনীতি ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ‘‘একজাতি একদেশ ঐক্যবদ্ধ বাংলদেশ’’ প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শনী ও সুধীসমাবেশ” ছবিটিতে আরও দেখা যাচ্ছে মঞ্চে আমন্ত্রিত মেহমানদের মাঝে উপস্থিত রয়েছে ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সহ ক্ষমতাশীন দলের ও ভৈরবের অন্নান্য সম্মানীত ব্যক্তিবর্গ।
তাদের এসব সমাবেশ ও সেমিনারে তাদের সাংগঠনিক নেহবৃন্দ ছাড়াও বেশির ভাগ আমন্ত্রণ করা হয় ক্ষমতাশীন দলগুলোর নেতাদের। বর্তমানে তাদের এসব সেমিনারের আলচনার মূল বিষয় হল ইসলামের অপ-ব্যখ্যা করে মানুষদের পন্নীর নব্য ইসলামের দিকে দীক্ষিত করা  উম্মতের হক্বানী উলামায়ে কিরামের বদনাম ও তাদেরকে সন্ত্রাস হিসাবে সাব্যস্ত করে জনমনে ইসলাম ও ওলামায়ে কেরামের ব্যাপারে ঘৃনা সৃষ্টি করা। তাদের এ ভয়াবহ অপ-তৎপরতার ফলে ব্যপকভাবে যে ক্ষতি  সাধিত হচ্ছে তা নিম্ন রূপঃ-
)ক) সাধারণ মুসলমানদের অন্তরে উলামায়ে কেরামের ব্যপারে ঘৃনা সৃষ্টি হচ্ছে।
)খ) ইসলামের ব্যাপারে তেমন ধারণা রাখেনা এমন সরলমনা মুসলমানগণ ধর্মীয় ব্যাপারে বিভ্রান্ত হচ্ছে ।
(গ) অনেক সাধারণ মুসলমান বুঝে না বুঝে নব্য এ ফেতনার সাথে জড়িযে পড়ছে।
(ঘ) দেশ জুড়ে মানুষের কানে কানে নব্য এ মতবাদের  দাওয়াত পৌঁছে  যাচ্ছে, ফলে মানুষ প্রভাবান্নিত হচ্ছে।
(ঙ) দেশের জেনারেল প্রভাবশালী লোক ও ক্ষমতাসীনদের তারা হাত করে নিচ্ছে।
এমনিতেই ক্ষমতাসীনদের সাথে তাদের সম্পর্ক অনেক ভাল। কারণ তারাও ক্ষমতাসীন অনেক নেতাদের মত উলামায়ে কেরামকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসি বলে বেড়ায় আলেমদেরকে  শক্র মনে করে। আলেমদের দমন করতে চায়। বর্তমানেঃ হেযবুত তত্তহীদ উলামায়ে কিরামকে দমন করার জন্য ক্ষমতাসীনদের সাথে আতাত করার জোড় চেষ্টা চালাচ্ছে। এহেন নাজুক পরিস্থিতিতে এ ভয়াবহ ফেতনা প্রতিহত করা ও সরলমনা মুসলমানদের এ ব্যাপারে সর্তক করা উলামায়ে উম্মতের দ্বীনী ও নৈতিক দায়িত্ব। এ সময় বিষয়টি নিয়ে যেনে শুনে নিরবতা ভবিষ্যতে চড়া মাশুল দেয়ার কারণ হবে। তাই স্বচেতন মুসলমানদের এ ব্যাপারে জাগ্রত করার জন্য উস্তাদদের পরামর্শে এ বিষয়ে কলম উঠানোর সাহস করেছি।
এ পর্যন্ত ক্ষুদ্র  অনুসন্ধান ও অভিজ্ঞতা থেকে মতবাদটির তৎ-পরতার ‌ধরণ ও প্রচারপদ্ধতি নিয়ে, দৃষ্টান্ত মৃলক সামান্য আলোচনা করা হয়েছে। তাদের প্রকাশিত সকল গ্রন্থ আমাদের সংগ্রহে রয়েছে। সামনে তাদের গ্রন্থ সমৃহের রেফারেন্স সহ তাদের  ইসলাম বিদ্বেষী ভ্রান্ত আক্বীদা সমূহ উপস্থাপন করে কুরআন, হাদীস ফেক্বাহ ও বিশ্ববরেণ্য ইমামদের  উক্তির আলোকে তার নিরপেক্ষ পর্যালোচনা  ও জবাব দেওয়া হবে। এর আগে মতবাদটির উৎস  গোড়া ও এর প্রতিষ্ঠাতা জনাব বায়াজীদ  খান পন্নীর ব্যক্তিত্ব নিয়ে সামান্য আলোচনা করাহবে।

দ্বিতীয় পর্ব ঃ- ( সংযোজিত)

হেজবুত তাওহীদ নয়, হিযবুত শয়তান!!

প্রকৃত তাওহীদ কি যারা আজও বুঝতে পারে নি, তাদের নামে আজ ”হেযবুত তাওহীদ!” অথচ তাদের কাজ-কর্ম আকিদা-বিশ্বাসে শয়তানও ফেল। এ যুগের নব ফিতনারূপে আবির্ভূত হয়েছে তথাকথিত হেযবুত তাওহীদ আর তাদের কথিত এমামুযামান বায়োজীদ খান পন্নী।তারা সম্পুর্ণ নতুন ধর্ম প্রচারে লিপ্ত।

তাদের কিছু ইমান বিধ্বংসী আকিদা দেখুন: 

যা কিছু একটু আগেও আলোচনা হয়েছে আরও পরেও হবে পর্যায় ক্রমে--- 
তারা মুলত সরলমনা মুসলিমদের বিভ্রান্তি করতে ইহুদী খৃষ্টানদের গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে মাঠে নেমেছে।
১) তারা নিজেদেরকে সনাতন ধর্মের অনুসারী বলে দাবি করে!আবার কোরআন হাদিসের কথা বলে আবার রসুলের কথাও বলে।  
২) তারা হিন্দুদের শ্রী কৃষ্ণ, রামচন্দ্র, যঠিষ্ঠীর, মুনি, মহাবীর, বৌদ্ধদের গৌতম বুদ্ধকে নবী বলে বিশ্বাস করে এবং তাদের নামের শেষে ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ যোগ করে!

৩) তারা হিন্দুদের পুরান, বেদ, উপনিষেদ, মহাভারত, বাইবেল প্রভৃতি গ্রন্থকে আল্লাহর প্রেরিত কিতাব বলে বিশ্বাস করে!

৪) তাদের নেতা বায়েজিদ খান পন্নি,  তাদের মত পূর্বের নবী রসুল যে কাজ করতে সামর্থ হননি তাদের নেতা সে নাকি  তার ছেয়ে বেশী কাজ করতে সামর্থ হয়েছেন মোজজার দ্বারা। নাউযুবিল্লাহ। 
এর দ্বারা হেযবুত তাহহীদের অনুসারীরা তাকে নবী বলে মানে এবং এর দ্বারা নতুন ধর্ম প্রচাররে লিপ্ত

৫) তাদের মতে সারা বিশ্বে প্রকৃত মুসলিম মাত্র ৫ লক্ষ!যারা তাদের অনুসারী মাত্র, আর বাকি সব পথভ্রষ্ট।

৬) তাদের মতে, ইহুদী-খ্রিষ্টান যান্ত্রিক সভ্যতাই দাজ্জাল! প্রকৃত দাজ্জাল বলতে কোন ব্যক্তি নয়।

৭) তাদের মতে, নারীদের পর্দা বলতে কিছুই নাই, আরবের নারীরা ধুলোবালি থেকে রক্ষা করতে হিজাব পরিধান করত!

৮) তাদের মতে, বর্তমানে পৃথিবীতে যত আলেম,ওলামা সহ যত দল আছে সব পথভ্রষ্ট,।

৯) তাদের অনুসারীদের কে যে কোন আলেমের ওয়াজ নসিহত শুনতে বারণ করা হয়।

১০) তাদের মতে মসজিদে বেতনভোগী ইমামের পিছনে নামাজ হবেনা।

১১) তাদের নামাজ হল স্প্রিট নামাজ ভিডিও দেখলে বুঝতে পারবেন।

১২) তাদের মতে বর্তমান ইসলাম বিকৃত,নাউযুবিল্লাহ। একমাত্র তাদের প্রচারীত ইসলামই প্রকৃত সত্য। 
১৩) দাডি টুপি পান্জাবী সহ নামাজ রোজা হজ্ব জাকাত সহ এ গুলোর সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক  নেই। নাউযুবিল্লাহ।

এরকম আরো অসংখ্য কুরআন-হাদিস বহির্ভূত আকিদা-আমাল রয়েছে; যা মানুষদেরকে সীরাতে মুস্তাকীম থেকে গোমরাহী, পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত করে। সময় স্বল্পতার কারনে লিখতে পারছি না।

তৃতীয় পর্বঃ--

হেযবুত তওহীদের গোঁমড়ফাস।

সুপ্রিয় পাঠক! হেযবুত তওহীদের যদি কাউকে প্রশ্ন করেন যে, অাপনারা অন্য দল থাকতে অাবার এদল গঠন কেন করলেন?
তখন তারা বলে থাকে যে,
বর্তমানের সমস্ত মোসলেম কাফের এবং মোশরেক হয়ে গেছে।
সুৎরাং অাল্লাহ তা'য়ালা অামাদের এমামুযযামান পন্নী সাহেবকে মোজেজার মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন যে, হেযবুত তওহীদের মাধ্যমেই অাবার ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবে।
অার অামাদের এমাম বলেছেন যে সমস্ত মোসলেম কাফের এবং মোশরেক হয়ে গেছে।
তাই অামরা অন্য দল না করে এ দলে এসেছি।
প্রমাণ-
সব মোসলেম কাফের এবং মোশরেক হোয়ে গেছে।
(সূত্রঃ অাল্লাহর মোজেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা-পৃষ্ঠা-২৩)

বিশ্লেষন-
অামরা গত পর্বে প্রমাণ করেছিলাম যে, অাল্লাহর প্রেরিত দ্বীন ইসলাম এখনও পৃথিবীতে অবিকৃত অবস্থায় রয়েছে।
সুৎরাং এ ধর্মের অনুসারীদেকে মুসলিমই বলতে হবে। 
বেঈমান বা কাফের বলার অধিকার কারো নেই।
যারা এমন কথা বলে তাদের ব্যাপারে রাসুল সঃ এর বানী-
দুনিয়ার সব মুসলিম কাফের,মুশরিক এক কথায় ধংশ হয়ে গেছে এমন কথা যারা বলে হযরত মুহাম্মাদ সঃ তাদের ব্যাপারে বলেছেন-
عن ابي هريرة ان رسول الله صلي الله عليه وسلم قال اذا قال الرجل هلك الناس فهو اهلكهم 
অর্থাৎ হযরত অাবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্নিত রাসুলুল্লাহ সঃ বলেন, যে বলবে সমস্ত মানুষ ধংশ (অর্থাৎ বেঈমান) হয়ে গেছে সে লোকটিই সবচে ধংশপ্রাপ্ত।
অথবা সে তার অনুসারিদের ধংশ করে ছাড়বে।
সূত্রঃ
সহীহ মুসলিম- হাদিস নং-২৬২৩
অাবু দাউদ.হাদিস নং-৪৯৮৩

গায়েব জান্তা মহান অাল্লাহ পাক জানতেন যে এমন কিছু লোক অাবিস্কার হবে যারা এ ধরণের কথা বলবে।
সেজন্য শেষ নবী মুহাম্মাদ সঃ কে দিয়ে ভবিষ্যতবানী করিয়েছেন।
সুৎরাং বিশ্বনবী সঃ এর এই হাদিসই প্রমাণ করে যে হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠাতা বায়াজীদ খান পন্নী যামানার সবচে বড় পথভ্রষ্ট,গোমরাহ এবং তাকে যারা অনুস্বরণ করবে সে তাদেরকে ধংশ করেই ছাড়বে। বাস্তবতাও তাই দেখা যাচ্ছে।

চতুর্থ  পর্ব 
আহলেহক মিডিয়ার সত্বাধীকারী  মাওঃ লুতফুর রহমান ফরায়েজী সাহেবের ওয়েবসাইট থেকে চয়নকৃত।

বায়জীদ খান পন্নী প্রতিষ্ঠিত “হেযবুত তওহীদ” হক না ভ্রান্ত দল?


প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম
সন্মানিত মুফতি সাহেব, আপনাদের খেদমতের বিনিময়ে আজ পর্যন্ত আমরা সহি দীন পেয়ে যাচ্ছি | আপনাদের কথা এবং কাজ আমাদের জন্য দলিল হিসাবে কাজ করে |
বর্তমানে আমাদের এলাকায় এবং ঢাকার কিছু এলাকায় এবং বাংলাদেশএর বিভিন্ন এলাকায়  হেজবুত তাওহীদ নামের একটি সংগঠন খুব জোরে সোরে কাজ করে যাচ্ছে যা এই অধম এর নজরবন্দী | তাদের নিয়ে কিছু জানার ছিল |
১/ হেজবুত তাওহীদ এর আকিদা?
২/ তাদের কর্মকান্ড ?
৩/ তারা হক না বাতেল ?
৪/ তাদের কে কি সমর্থন করা যাবে?
ইত্যাদি ইত্যাদি বিস্তারিত বললে উপকৃত হতাম |

মোঃ আরিফিন
তেজগাঁও, ঢাকা |

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

টাঙ্গাইল জেলার করটিয়ার পন্নী পরিবারের সন্তান জনাব বায়জীদ খান পন্নী। জেনারেল শিক্ষায় শিক্ষিত বায়জীদ সাহেব ১৯৯৫ সনে হেযবুত তওহীদ নামক দলটির সূচনা করেন।

ইসলাম সম্পর্কে একাডেমিক পড়াশোনা না থাকায় নিজ থেকে বাংলা ও ইংরেজী বই পড়ে তার মাঝে ইসলাম সম্পর্কে একটি ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়। নিজ থেকেই কিছু একটা করার তাগিদে একটি নতুন মতবাদ চালু করেন।

তার সাথে ইসলাম বিরোধী কোন বর্হিশক্তির হাত আছে কি না? তা অবশ্যই সন্দেহের বিষয়।

খুব অল্প সময়ে উদ্ভট সব থিউরী দিয়ে বেশ কিছু ভক্ত যুগিয়ে ফেলেন পন্নী সাহেব।

ইসলামের মৌলিক বিধানাবলীর নতুন সব অপব্যাখ্যা করে পুরো দ্বীনটাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে রাখার দুষ্কর্ম তিনি আমরণ করে যান।

অবশেষে ১৬ ই জানুয়ারী ২০১২ ইং সনে তার মৃত্যু হয়।

কিন্তু এতদিনে তার ভ্রান্ত দলের কর্মী হাজার ছাড়িয়ে যায়।

বায়জীদ খান পন্নীর এ নতুন ফেরকা হেযবুত তাওহীদ ভ্রান্ত হবার ফিরিস্তি অনেক দীর্ঘ। আমরা সংক্ষেপে কয়েকটি পয়েন্ট আপনাদের সামনে তুলে ধরছিঃ

১ সশস্ত্র জিহাদে রত নয় এমন কেউ উম্মতে মুহাম্মদী নয়!

হেযবুত তওহীদ, করটিয়া, টাঙ্গাইল থেকে প্রকাশিত “ইসলামের প্রকৃত আকীদা, ক্রমিক নং-১” নামক বইয়ে লিখা হয়েছেঃ “উম্মতে মুহাম্মদীর সংজ্ঞা হল, আল্লাহ যে কাজের দায়িত্ব দিয়ে তার রসূলকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন ও যে দায়িত্ব তিনি তার গঠিত জাতির ওপর অর্পণ করে চেলে গিয়েছেন, যে বা যারা সেই কাজ চালিয়ে যাবে শুধু তারাই উম্মতে মুহাম্মদী। যারা সেই কাজ অর্থাৎ জেহাদ চালিয়ে যাবে না তারা যত বড় মুসল্লিই হন,যত বড় মুত্তাকি, আলেম দরবেশ হন না কেন-উম্মতে মুহাম্মদী নন। হাশরের দিন তার উম্মত হিসাবে রসূলের শাফায়াতের ওপর তাদের কোন দাবী থাকবে না।“ [পৃষ্ঠা নং-১৬]

এর মানে কী দাঁড়াচ্ছে?

জিহাদরত নয়,এমন প্রতিটি মুসলমানই হেযবুত তাওহীদের আকীদায় উম্মতে মুহাম্মদীর গণ্ডি থেকে বেরিয়ে গেছে।

অথচ জিহাদ করলেই ব্যক্তি উম্মতে মুহাম্মদী থাকবে, নতুবা উম্মতে মুহাম্মদী থেকে বেরিয়ে যাবে এমন কথা কুরআন ও হাদীসের কোথাও বিদ্যমান নেই।

নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এমন অনেক সাহাবীই জিহাদের ময়দানে যাওয়া ছাড়াই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। এর মানে কি তারা উম্মতে মুহাম্মদী নয়? [নাউজুবিল্লাহ বিন মিন জালিক]

২ জিহাদ না থাকলে নামাযের কোন দাম নেই!

উপরোক্ত বইয়ের ৮ নং পৃষ্ঠায় লিখেছেঃ “ছাদ না থাকলে যেমন থামের কোনও দাম নেই, প্রয়োজন নেই, তেমনি জিহাদ সশস্ত্র সংগ্রাম না থাকলে নামাযেরও কোন দাম নেই।“

ইন্নালিল্লাহ। কী ভয়াবহ বক্তব্য। যদি জিহাদ তথা সশস্ত্র সংগ্রাম না থাকলে নামাযের কোন দাম না থাকে, তাহলে হিজরতের আগে নবীজী এবং সাহাবাগণ কেন নামায পড়েছেন?

নবীজী অসুস্থ্য হয়ে যাবার পর দুই সাহাবীর কাঁধে ভর করে কেন নামাযে গেলেন? তখনতো আর নবীজীর জিহাদে যাবার কোন সুযোগ ছিল না। তারপরও নামাযের এত গুরুত্ব নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কেন দিয়েছিলেন?

“জিহাদ না থাকলে, নামায লাগবে না” দাবী করা পাগলামী বৈ আর কী হতে পারে?

৩ নবীরা যা পারেননি তা করতে মনোনিত বায়জীদ খান পন্নী?

বায়জীদ খান পন্নীর একটি ভিডিও লেকচার ইউটিউবে পাওয়া যায়। যা আমরা আহলে হক মিডিয়ার ইউটিউব চ্যানেলে “হেযবুত তাওহীদ একটি নতুন ধর্মঃ বায়জিদ খান পন্নি যে ধর্মের নবী” শিরোনামে আপলোড করেছি।

উক্ত ভিডিও লেকচারে বায়জীদ খান পন্নী সাহেব বলেনঃ “মহাসত্য পেয়েও যেখানে নবী রাসূলদের মধ্যেও অনেকে ব্যর্থ হয়েছেন, পারেন নাই, সেখানে আমিকে সেই মু’জিজা দিয়ে, আল্লাহর রহমে, আল্লাহ অবসান  করে দিলেন আমার যে, কর! হবে!”

আস্তাগফিরুল্লাহ! কি মারাত্মক কুফরী বক্তব্য! নবীরা নাকি তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। নাউজুবিল্লাহ। যেখানে নবীরা ব্যর্থ, সেখানে এ উন্মাদ বায়জীদ খান পন্নী মুজিজাসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত?!

পাগলের প্রলাপ ছাড়া এসব আর কী?

৪ জিহাদকারীর সম্মান নবীদেরও উপরে?

হেযবুত তওহীদ প্রকাশিত বইয়ে তাদের আকীদা লিখা হয়েছেঃ “তওহীদের ওপর ঈমানের পরই শ্রেষ্ঠ আমল ঐ তওহীদ প্রতিষ্ঠার জেহাদ বলেই তার পুরস্কার আল্লাহ রেখেছেন ইসলামের শ্রেষ্ট পুরস্কার ও সম্মান, যে পুরস্কার ও সম্মান কয়েকটি বৈশিষ্ঠে আল্লাহর নবীদেরও ছাড়িয়ে গেছে।“ [ইসলামের প্রকৃত আকীদা, পৃষ্ঠা-১৭]

যে নবীদের মাধ্যমে বিধান নাজিল হল, সেই নবীর সম্মানের চেয়ে বিধানপালনকারীর সম্মান বেড়ে যায়? নাউজুবিল্লাহ! এর মানে নবীদের চেয়ে তার উম্মতের মর্যাদা বেশি?

এ কোন ধর্মের দিকে আহবানকারী হেযবুত তওহীদ? যে ধর্মে নবীর চেয়ে উম্মতীর সম্মান অধিক!

৫ হিন্দু দেবতা শ্রীকৃষ্ণ নবী ছিল?

“ভারতীয় মোসলেম চিন্তাবিদ ও এসলামিক দার্শনিকগণ শ্রীকৃষ্ণ সম্বন্ধে যেসব সুচিন্তিত মতামত রেখেছেন এবং কোর’আন  হাদিসের আলোকে তাঁর সম্বন্ধে যে বক্তব্য দিয়েছেন ঐসব মতামতও বক্তব্য বিচার-বিশ্লেষণ করে এই ধারণা সৃষ্টি হয় যে, শ্রীকৃষ্ণ একজন নবী। [শোষণের হাতিয়ার, লেখক- হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম, এমাম, হেযবুত তাওহীদ, প্রকাশক-তওহীদ প্রকাশন, দ্বিতীয় প্রকাশ-২০ ফেব্রুয়ারী-২০১৫ ঈসায়ী]

নাউজুবিল্লাহি মিন জালিক। হিন্দুদের এক কাল্পনিক দেবতা নবী ছিলেন? যে কৃষ্ণ হিন্দুদের বই অনুপাতেই একজন নারীলোভী এবং আপন মামার বিবি রাধাকে ভাগিয়ে বিয়েকারী। এমন অসৎ চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তি কিভাবে নবী হতে পারেন?

এরকম অনেক ভ্রান্ত আকীদার কারণে এ নতুন ফিরকাটি একটি কুফরী ফিরক্বায় পরিণত হয়েছে।

প্রকৃত ইসলামের সাথে। কুরআন ও হাদীসের সাথে এদের সামান্যতম কোন যোগসাজস নেই। এটি একটি মনগড়া নতুন মতবাদ। ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষকে ঈমানহারা করাই যাদের মূল মিশন।

তাদের নামায পড়ার পদ্ধতির মাঝেও রয়েছে ভিন্নতা। রয়েছে কবর দেবার পদ্ধতির মাঝেও।

ধর্ম এবং দেশজাতির জন্য মারাত্মক খতরনাক দল হল “হেযবুত তওহীদ”। তাই তাদের থেকে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে এদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে সবার সাধ্যমত চেষ্টা করা উচিত। সেই সাথে সামাজিকভাবেও তাদের বয়কট করা উচিত।

আল্লাহ তাআলা হেযবুত তওহীদ নামক ভ্রান্ত ফিরকাসহ সকল ভ্রান্ত দল থেকে আমাদের ঈমান ও আমলকে হিফাযত করুন। আমীন।

হেযবুত তাওহীদ ও বায়যীদ খান পন্নীর আসল চেহারা!


والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।

ইমেইল– ahlehaqmedia2014@gmail.com


+((((???(++++++(((?










ট্যাগBAIZID KHAN PONNI HEZBUT TAWHED HIZBUT TAWHID এমামুজ্জামান এমামুয যামান পন্নি পন্নীর আসল চেহারা বায়জীদ খান পন্নী বায়যীদ খান পন্নী ভন্ড পন্নী হিজবুত তওহীদ হিজবুত তাওহীদ হিযবুত তওহীদের ভন্ডামী হিযবুত তাওহীদ হেযবুত তওহীদ হেযবুত তাওহীদ হেযবুত তাওহীদের মুখোশ উন্মোচন হোসাইন মুহাম্মদ সেলিম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম

পূর্বকালীনস্ত্রীকে খুশি করতে গান কবিতা গাওয়া বা লেখার হুকুম কী?

পরবর্তীকোন প্রসিদ্ধ সাহাবী তাবেয়ীর হাতে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন?

সংশ্লিষ্ট আরো পড়ুন

নিজ ঘরে একাকী অবস্থায় হাফপ্যান্ট পরিহিত থাকার বিধান কী?

September 11, 2018

কার নামের শেষে কী বিশেষণ ব্যবহার করা উচিত?

September 11, 2018

নামাযের সময় শুরু হবার আগে আজান দিলে করণীয় কী?

September 10, 2018

মুত্যুর পর কবরে মুমিন বান্দারা কি অবস্থায় থাকে?

September 10, 2018

জালিয়াতির পর চরম মিথ্যার আশ্রয় শায়েখ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফদের!

September 10, 2018

কালিমায়ে তাইয়্যিবাহ শেষে দরূদ পড়া কি বিদআত?

September 9, 2018

তালাকের নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে তালাক দিলে কয় তালাক হয়?

September 9, 2018

পাকিস্তান ও আফগানিস্তানসহ মুসলিম রাষ্ট্রের ক্রিকেট খেলোয়ারদের ম্যাচ জিতার জন্য দুআ করার হুকুম কী?

September 6, 2018

এক তালাকের নিয়তে তিন তালাক লিখিত কাগজে সাইন করলে কত তালাক পতিত হবে?

September 5, 2018

স্বামী কর্তৃক তালাকের ক্ষমতা বলে এক তালাক নিজের উপর পতিতকারীনী মহিলা ইদ্দত শেষে অন্যত্র বিয়ে করতে পারবে কি?

September 4, 2018

মুযাফফর বিন মুহসিনের ছালাত বইয়ে উদ্ধৃত হাত বাঁধা সংক্রান্ত আলোচনার পর্যালোচনা

September 2, 2018

বুকের উপর হাত বাঁধার হাদীস : একটু পর্যালোচনা

September 2, 2018

নামাযে কব্জির উপর হাত বেঁধে নাভির নীচে রাখা সুন্নত

September 2, 2018

বিয়ের পর আলাদা থাকলেই কি বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়?

September 1, 2018

স্ত্রী তিন কন্যা ও এক পুত্রের মাঝে ১৫শতাংশ জমি কিভাবে বন্টন করবে?

September 1, 2018

ভাগ্য কী পরিবর্তিত হয়? নাকি অপরিবর্তিত থাকে?

August 31, 2018

জুয়া কাকে বলে? মাসআলা প্রমাণে টাকার চ্যালেঞ্জ দেয়া কি জুয়ার অন্তর্ভূক্ত?

August 29, 2018

হানাফী মাযহাবের গ্রন্থাবলী কত হিজরীতে লিপিবদ্ধ করা হয়?

August 28, 2018

ভিজিটর

Today's Visits: 11,329Yesterday's Visits: 13,691Last 7 Days Visits: 105,642Last 30 Days Visits: 429,363Last 365 Days Visits: 5,450,881Total Visits: 11,349,616Total Visitors: 1,683,477Last Post Date: September 12, 2018

সাবস্ক্রাইব করুন

মেইলে সাইটের আপডেট পেতে আপনার ইমেইল এড্রেস যোগ করুন

Email *

সাম্প্রতিকজনপ্রিয়মন্তব্যট্যাগ

নিজ ঘরে একাকী অবস্থায় হাফপ্যান্ট পরিহিত থাকার বিধান কী?

September 11, 2018

কার নামের শেষে কী বিশেষণ ব্যবহার করা উচিত?

September 11, 2018

নামাযের সময় শুরু হবার আগে আজান দিলে করণীয় কী?

September 10, 2018

মুত্যুর পর কবরে মুমিন বান্দারা কি অবস্থায় থাকে?

September 10, 2018

জালিয়াতির পর চরম মিথ্যার আশ্রয় শায়েখ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফদের!

September 10, 2018

আর্কাইভ

আর্কাইভ  

Select Month   September 2018    August 2018    July 2018    June 2018    May 2018    April 2018    March 2018    February 2018    January 2018    December 2017    Nove 2017    May 2017  

সূচিপত্র

অজু/গোসল/পবি (107)অপরাধ ও গোনাহ (145)আকিদা-বিশ্বাস (217)আখেরাত (29)আজান ও ইকামত (26)আদব ও আখলাক (78)আধুনিক মাসায়েল (156)আনন্দ/বিনোদন (23)আহলে হাদীস (572)ইতিহাস ও ঐতিহ্য (54)ইলমী পরিভাষা/শব্দার্থ (47)ইলমে হাদীস (28)ইসলামী আইন/শরয়ী শাস্তিবিধান (13)ইসলাহী/আত্মশুদ্ধি (45)ঈমান ও আমল (111)ওয়াকফ/মসজিদ/ঈদগাহ (45)কসম ও মান্নত (32)কাদিয়ানী মতবাদ (12)কাফন-দাফন-জানাযা (37)কিতাব/বই ও লেখক পরিচিতি (24)কুরআন ও হাদীসের ব্যাখ্যা (49)কুরবানী/জবেহ/আকীকা (151)ক্রয়-বিক্রয় (43)খাদ্য-দ্রব্য (41)খাব ও তাবীর/স্বপ্ন ও ব্যাখ্যা (10)খিলাফত/ইসলামী রাষ্ট্রনীতি (27)খেলাধুলা/ব

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন