হেযবুত তাওহিদের মুখোশ,
মুসলমানদের ঈমান হরণের পায়তারা
পথভ্রষ্ট হেযবুত তওহিদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
টাঙ্গাইল জেলার করটিয়ার পন্নী পরিবারের সন্তান জনাব বায়েজিদ খান পন্নী। জন্ম ১১ মার্চ ১৯২৫ ঈসাব্দ। একজন সাবেক সেক্যুলার রাজনীতির নেতা, একজন ঐতিহাসিক জমিদার পরিবারের লোক, একজন বন্য পশু শিকারী, রাইফেল হাতে দেশের বিভিন্ন বনাঞ্চলে শিকারের লোমহর্ষক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি, ‘বাঘ-বন-বন্দুক’ নামক পুস্তক প্রণেতা, একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক বায়েজীদ খান পন্নী (১৯২৫-২০১২)।
যিনি ‘বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্য করেও কোন সফলতার মুখ দেখেন নি’। তিনি জীবনের শেষভাগে এসে মুসলিম বিশ্বের মূল ধারা বিবর্জিত হয়ে হেযবুত তওহীদ নামে একটি দল গঠন করেন এবং ‘মোজেজার’ মাধ্যমে আল্লাহ তাকে বিশ্ব মুসলিমের ‘ইমামতি’ দিয়েছেন বলে দাবী করেন। তার বক্তব্য হল, ইসলাম ধর্ম নাকি সমূলে বিকৃত হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়। এই ধর্ম বিগত ১৩ শো বছর ধরে বিকৃত। বিশ্বের “ইসলামবিহীন” ১৬০ কোটি ‘নামের-মুসলিম’ তার ইমামতি স্বীকৃতির মাধ্যমে আবার হেদায়াতে ফিরে আসতে পারেন। তার দরজা দিয়েই এখন মুহাম্মাদের সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালামের ধর্মে ঢুকতে হবে। কেননা তিনি আল্লাহ মনোনীত ‘এমাম’। নামায পড়ার পদ্ধতির পরিবর্তন করে এক বিকৃত পদ্ধতি তারা আবিস্কার করেন। যা ইউটিউবে সহজেই পাওয়া যায়।
১৯৯৫ সালে বায়েজিদ খান পন্নী হেজবুত তওহীদ সংগঠন তৈরি করে সংগঠনের ইশতেহার প্রকাশ করেন। দলীয় ইশতেহারে প্রচলিত শাসন ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা প্রকাশ এবং প্রচলিত শাসন ব্যবস্থা উচ্ছেদে শারিরীক শক্তি প্রয়োগকে বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেন।
নিজেদের নিজস্ব মতধারারার বাইরের সকলকেই অমুসলিম হিসেবে উল্লেখ করে। তথাকথিত যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করার বিনিময়ে হলেও নিজেদের বনানো মতবাদের আইন প্রতিষ্ঠিত করার প্রতিজ্ঞা এবং মানব সৃষ্ট সকল আইনকে প্রত্যাখ্যান করার মাধ্যমে দলটি কট্টর জঙ্গী সন্ত্রাসী রূপে আত্মপ্রকাশ করে।
অবশেষে বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে কালো তালিকাভূক্ত হয় হেযবুত তওহীদ। [দৈনিক কালের কণ্ঠ, ২৬ ফেব্রুয়ারী-২০১৫]। তাদের প্রকাশিত দৈনিক ‘বজ্রকণ্ঠ’ এবং দেশের পত্র পত্রিকা দু’টিকে জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে দেশবাসীকে না পড়ার নির্দেশ জারী করা হয়। [দৈনিক মানবজমিন, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৪]
১৬ ই জানুয়ারী ২০১২ ইং সনে বায়জীদ খান পন্নী মারা গেলেও তার দলের কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। তার স্থলাভিষিক্ত হয় এক সময়কার নোয়াখালী সোনাইমুড়ির স্থানীয় শিবির সভাপতি হোসাইন মুহাম্মদ সেলিম। সাবেক শিবির নেতা হোসাইন মুহাম্মদ সেলিমই বর্তমান হেযবুত তওহীদের কথিত এমামুযযামান।
সন্ত্রাসবাদী মনোবৃত্তিকে প্রতিপাদ্য করে যে দলের সৃষ্টি, সেই দলই বর্তমানে কৌশল খাঁটিয়ে ‘জঙ্গিবাদ বিরোধীতা, ধর্ম ব্যবসা বন্ধ কর’ ইত্যাদি শিরোনাম দিয়ে ভোল পাল্টে সরকারের চোখে ধুলা দেবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বায়জীদ খান পন্নী প্রতিষ্ঠিত সন্ত্রাসী দল ‘হেযবুত তওহীদ’ ইসলাম ও রাষ্ট্রের জন্য ভয়ানক ক্ষতিকর হবার প্রমাণ অসংখ্য। আমরা সংক্ষেপে কয়েকটি পয়েন্ট আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। সংক্ষিপ্ত প্রবন্ধটি দীর্ঘ হয়ে যাবার শংকায় শুধুমাত্র ভ্রান্ত ও লোমহর্ষক বক্তব্যগুলো হেযবুত তওহীদ প্রকাশিত বই থেকে উদ্ধৃত করে দেয়া হবে। কুরআন ও হাদীসের আলোকে তা খণ্ডন করা হবে না। বিজ্ঞ পাঠক/পাঠিকাগণ আশা করি নিজেরাই এসব বক্তব্যের অসারতা এবং ভ্রান্তিতা বুঝে নিতে পারবেন।
সশস্ত্র জিহাদে রত নয় এমন কেউ উম্মতে মুহাম্মদী নয়!
হেযবুত তওহীদ, করটিয়া, টাঙ্গাইল থেকে প্রকাশিত “ইসলামের প্রকৃত আকীদা, ক্রমিক নং-১” নামক বইয়ে লিখা হয়েছেঃ “উম্মতে মুহাম্মদীর সংজ্ঞা হল, আল্লাহ যে কাজের দায়িত্ব দিয়ে তার রসূলকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন ও যে দায়িত্ব তিনি তার গঠিত জাতির ওপর অর্পণ করে চলে গিয়েছেন, যে বা যারা সেই কাজ চালিয়ে যাবে শুধু তারাই উম্মতে মুহাম্মদী। যারা সেই কাজ অর্থাৎ জেহাদ চালিয়ে যাবে না তারা যত বড় মুসল্লিই হন,যত বড় মুত্তাকি, আলেম দরবেশ হন না কেন-উম্মতে মুহাম্মদী নন। হাশরের দিন তার উম্মত হিসাবে রসূলের শাফায়াতের ওপর তাদের কোন দাবী থাকবে না।“ [পৃষ্ঠা নং-১৬]
এর মানে কী দাঁড়াচ্ছে? জিহাদরত নয়, এমন প্রতিটি মুসলমানই হেযবুত তাওহীদের আকীদায় উম্মতে মুহাম্মদীর গণ্ডি থেকে বেরিয়ে গেছে। জিহাদ না থাকলে নামাযের কোন দাম নেই! উপরোক্ত বইয়ের ৮ নং পৃষ্ঠায় লিখেছেঃ ‘ছাদ না থাকলে যেমন থামের কোনও দাম নেই, প্রয়োজন নেই, তেমনি জিহাদ সশস্ত্র সংগ্রাম না থাকলে নামাযেরও কোন দাম নেই।’ ইসলামের একটি মৌলিক ইবাদতকে জিহাদ না করলে ভিত্তিহীন বানিয়ে দিল হেযবুত তওহীদ। অথচ মজার বিষয় হলো তারা নিজেরাই জিহাদ তো দুরের কথা ইসলামের কোনো বিধানই সঠিকভাবে মানে না।
বর্তমানের ইসলাম প্রকৃত ইসলামই নয়
‘বর্তমান অমরা যে ধর্মটিকে এসলাম হিসেবে দেখছি, যেটাকে ধর্মপ্রাণ মানুষ অতি যতœ সহকারে পালন করার চেষ্টা কোরছেন, যে এসলামটাকে সর্বত্র স্কুল,কলেজ মাদ্রাসায় ও পীরের খানকায় শেখানো হোচ্ছে সেটা প্রকৃত এসলাম নয়’। (বায়জীদ খান পন্নী রচিত ‘এসলাম শুধু নাম থাকবে’, পৃঃ ৯)
“যাত্রাদলের বন্দুকের সঙ্গে আসল বন্দুকের যতটা পার্থক্য, প্রকৃত এসলামের সঙ্গে বর্তমান এসলামের ততটাই পার্থক্য। এদু’টির চলার পথ সম্পূর্ণ বিপরীত”। (প্রাগুক্ত- পৃঃ ৯)
ইসলাম শুধুই যুদ্ধ করার ধর্ম
‘এ পরিবর্তনের ফলে এই সামরিক দীন পৃথিবীর অন্যান্য অসামরিক দীনের পর্যায়ে পর্যবসিত হোল অর্থাৎ খ্রীস্টান, বৌদ্ধ, হিন্দু, ইহুদী, জৈন ইত্যাদি বহু দীনের (ধর্মের) মতো আরেকটি ধর্মে পরিণত হোল যেটার উদ্দেশ্য এবাদত, পূজা, উপাসনা কোরে আত্মার চর্চা করা; রসুল যে সুশৃংখল, মৃত্যুভয়হীন দুর্ধর্ষ যোদ্ধার চরিত্রের সৃষ্টি কোরেছিলেন তার বদলে ষড়রিপুপূজয়ী ভীরু কাপুরুষ সাত্ত্বিকের দল তৈরী হল। [বায়জীদ খান পন্নী রচিত ‘এসলামের প্রকৃত সালাহ’, পৃষ্ঠা-২০]
নামায মৌলিক ইবাদত নয় বরং ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সাথে যুদ্ধের ট্রেনিং মাত্র!
নামায মৌলিক ইবাদত নয় বরং ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সাথে যুদ্ধের ট্রেনিং মাত্র! ‘মসজিদ সব মুসল্লীর একই এমামের পেছনে সারিবদ্ধভাবে উঠাবসা দৃশ্য দেখে মনে হয় তারা একজন সেনাপতির নির্দেশে কুচকাওয়াজে লিপ্ত। এখানেই নেতার প্রতি অকৃত্রিম আনুগত্য ও নেতৃত্বের বৈশিষ্ট্যের উত্তম সবক বিদ্যমান। এই মিল স্বাভাবিক কারণ দু’টোরই উদ্দেশ্য এক ‘যুদ্ধ’। শুধু তফাৎ এই যে কেন যুদ্ধ? পৃথিবীর সব সামরিক বাহিনীগুলির প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য হোচ্ছে তাদের ভৌগলিক রাষ্ট্রগুলির রক্ষা এবং রাষ্ট্রের স্বার্থের প্রয়োজনে অন্য রাষ্ট্রকে আক্রমন কোরে দখল করা; আর এই উম্মতে মোহাম্মদীর প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য হচ্ছে-সশস্ত্র সংগ্রাম কোরে সমস্ত পৃথিবীতে আল্লাহর তওহীদ ভিত্তিক দীন কার্যকর কোরে মানব জাতির মধ্যেকার সমস্ত অন্যায়, অবিচার, অত্যাচার, অশান্তি, রক্তপাত দূর কোরে শান্তি (এসলাম) প্রতিষ্ঠা কোরে এবলিসের চ্যালেঞ্জে তাকে পরাজিত কোরে আল্লাহকে জয়ী করা। [প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা-২১]
আল্লাহ তা’আলা তার প্রভূত্বের আসনে নেই!
‘সমস্ত পৃথিবী যার করতলগত সেই মহা শক্তিধর দাজ্জালকে হটিয়ে দিয়ে প্রভুত্বের আসনে আল্লাহ তায়ালাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার মতো আপাতঃ দৃষ্টিতে অসম্ভব কাজটি করার দায়িত্বে তোমরা নিজেদের নিয়োজিত করেছো’। [বায়জিদ খান পন্নী তার হেযবুত তওহীদের মোজাহেদ মেজাহেদাদের উদ্দেশ্য লিখা ছোট্ট পুস্তিকা ‘আসমাঈ ওয়া আত্তাবেয়্যু, পৃষ্ঠা-৬] নবীর ইন্তেকালের ৭০ বছর পরের কেউ প্রকৃত উম্মতে মুহাম্মদী নয়! “অর্থাৎ তাঁর উম্মাহ পৃথিবীতে থাকবে ৬০/৭০ বছর, তারপর যেটা হবে সেটা নামে মাত্র উম্মতে মোহাম্মদী, সেটা প্রকৃত পক্ষে উম্মতে মোহাম্মদী নয়”। (বায়জীদ খান পন্নী রচিত ‘এসলামের প্রকৃত রূপরেখা’ পৃষ্ঠা-৪৯)
শুধু ইসলাম নয় বরং সকল ধর্মই চিরন্তন!
‘দীন শব্দের অর্থ জীবনব্যবস্থা আর কাইয়্যেমাহ শব্দটি এসেছে কায়েম থেকে যার অর্থ প্রতিষ্ঠিত, আদি, শাশ্বত, চিরন্তন। যা ছিল, আছে, থাকবে। সনাতন শব্দের অর্থও আদি, শাশ্বত, চিরন্তন। এই হিসাবে আমরা বলতে পারি, স্রষ্টার প্রেরিত সকল ধর্মই সনাতন চিরন্তন’। (হেযবুত তওহীদের প্রকাশিত প্রবন্ধ ‘সকল ধর্মের মর্মকথা সবার ঊর্ধ্বে মানবতা’, পৃষ্ঠা-৩-৪)
হেযবুত তাওহীদের আকীদা অনুপাতে ইহুদী, খ্রীস্টান এবং হিন্দু ধর্মও চিরন্তন ধর্ম?
পন্নী সাহেবের ভাষণ আল্লাহরই বাণী আর তার বক্তব্য কুরআন পর্যায়ের!
‘সমস্ত কোরআনকে আল্লাহ যেভাবে উনিশ সংখ্যার জালে আষ্ঠেপৃষ্ঠে বেঁধেছেন, ঠিক একইভাবে সেদিন এমামের সংক্ষিপ্ত ভাষণটিকে আল্লাহ বাঁধলেন তিন সংখ্যার জাল দিয়ে। উদ্দেশ্য এক অর্থাৎ সত্যায়ন। এর দ্বারা আল্লাহ এটাই প্রকাশ কোরছেন যে, ঐ ভাষণে যে কথাগুলো বলা হোয়েছে এগুলো যে মানুষটি বোলছেন তাঁর স্বরচিত কথা নয়, এগুলো আমারই (আল্লাহর) কথা এবং তিনি আমারই মনোনীত ব্যক্তি’। [আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা, পৃষ্ঠা-২৪]
‘আল্লাহ সংখ্যার মো’জেজা দ্বারা পবিত্র কোর’আনকে যেমন সত্যায়ন করেছেন, একইভাবে এমামের সেদিনের ভাষণটিকেও তিন সংখ্যার মো’জেজা দিয়ে সত্যায়ন করেছেন, এই দৃষ্টিকোণ থেকে আল কো’আন ও এমামের ভাষণটি একই পর্যায়ভূক্ত হোয়ে যায়। [প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা-৩৩]
রোজা না রাখলে কেউ জাহান্নামে যাবে না!
‘আল্লাহ মানুষকে কষ্ট দিতে চান না, পরিশুদ্ধ করতে চান। তাই তিনি ইসলামের ভিতরে যে কোনো বাড়াবাড়িকে হারাম করেছেন। সওম না রাখার জন্য তিনি কাউকে জাহান্নামে দিবেন বা শাস্তি দিবেন এমন কথা কোর’আনে কোথাও নেই। [বর্তমান এমাম হোসাইন মুহাম্মদ সেলিমের লেখা-সওমের উদ্দেশ্য, পৃষ্ঠা-১৪]
জিহাদকারীর সম্মান নবীদেরও উপরে
হেযবুত তওহীদ প্রকাশিত বইয়ে তাদের আকীদা লিখা হয়েছেঃ “তওহীদের ওপর ঈমানের পরই শ্রেষ্ঠ আমল ঐ তওহীদ প্রতিষ্ঠার জেহাদ বলেই তার পুরস্কার আল্লাহ রেখেছেন ইসলামের শ্রেষ্ট পুরস্কার ও সম্মান, যে পুরস্কার ও সম্মান কয়েকটি বৈশিষ্ট্যে আল্লাহর নবীদেরও ছাড়িয়ে গেছে।’ [ইসলামের প্রকৃত আকীদা, পৃষ্ঠা-১৭] যে নবীদের মাধ্যমে জিহাদের বিধান নাজিল হল, সেই নবীর সম্মানের চেয়ে বিধান পালনকারীর সম্মান বেড়ে যায়? নাউজুবিল্লাহ! এর মানে নবীদের চেয়ে তার উম্মতের মর্যাদা বেশি?
হিন্দু দেবতা শ্রীকৃষ্ণ নবী ছিল?
“ভারতীয় মোসলেম চিন্তাবিদ ও এসলামিক দার্শনিকগণ শ্রীকৃষ্ণ সম্বন্ধে যেসব সুচিন্তিত মতামত রেখেছেন এবং কোর’আন হাদিসের আলোকে তাঁর সম্বন্ধে যে বক্তব্য দিয়েছেন ঐসব মতামতও বক্তব্য বিচার-বিশ্লেষণ করে এই ধারণা সৃষ্টি হয় যে, শ্রীকৃষ্ণ একজন নবী। [শোষণের হাতিয়ার, পৃষ্ঠা-৬৫, লেখক- হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম, এমাম, হেযবুত তাওহীদ, প্রকাশক-তওহীদ প্রকাশন, দ্বিতীয় প্রকাশ-২০ ফেব্রুয়ারী-২০১৫ ঈসায়ী] নাউজুবিল্লাহি মিন জালিক। হিন্দুদের এক কাল্পনিক দেবতা নবী ছিলেন? যে কৃষ্ণ হিন্দুদের বই অনুপাতেই একজন নারীলোভী এবং আপন মামার বিবি রাধাকে ভাগিয়ে বিয়েকারী। এমন অসৎ চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তি কিভাবে নবী হতে পারেন?
নবীরা যেখানে ব্যর্থ পন্নী সাহেব সেখানে সফল!
‘একদম মহাসত্য পেয়েও যেখানে নবী রসুলদের মধ্যে অনেকে ব্যর্থ হোয়েছেন, পারেন নি, সেখানে আমি কে। আমি তো কেউ না, কিছুই না। কি হবে, কি হবে না- এই সংশয় আমার ছিল ২০০৮ সনের ফেব্রুয়ারীর দুই তারিখ পর্যন্ত, পূর্ণভাবে ছিল। যদিও সেটা আমাকে দমাতে পারে নি, এজন্য যে আমি চেষ্টা কোরে যাবো, নবী রসুলরা পারেন নি আর আমি কে? আমি চেষ্টা কোরে যাবো। মো’জেজার দিনটায় আল্লাহ আমার সব সংশয় অবসান কোরেছেন, জানিয়ে দিলেন নিজে যে, হবে, উনি কোরবেন, আমি না।’ (আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা, পৃষ্ঠা-৬৮)
ইবাদত ও সালাত আলাদা বস্তু!
‘আল্লাহ মুসা (আ.) কে বলেছেন ,আমিই আল্লাহ,আমি ব্যতীত কোন এলাহ (হুকুমদাতা) নেই, অতএব আমার এবাদাত কর এবং আমার স্মরণার্থে সালাহ কায়েম কর (সূরা ত্বা-হা:১৪) এমনই আরো অনেক আয়াত থেকে সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে এবাদত ও সালাহ আলাদা বিষয় । প্রকৃতপক্ষে এবাদত হচ্ছে আল্লাহ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব’। (হেযবুত তওহীদ প্রকাশিত ‘চলমান সংকট নিরসনে আদর্শিক লড়াইয়ের অপরিহার্যতা’ পৃষ্ঠা-৯)
নাস্তিকের বিশ্বাসের স্বাধীনতা সংরক্ষণ করা ঈমানদারদের দায়িত্ব
নাস্তিক বা আস্তিক যে কোনোটি হওয়ার স্বাধীনতা আল্লাহই মানুষকে দিয়েছেন। তাই যারা বিশ্বাস করেন যে নিখুঁত সৃষ্টি আছে, কিন্তু তার কোন স্রষ্টা নেই, তাদের এই বিশ্বাস করার স্বাধীনতা (Freedom of thinking) সংরক্ষণ করাও একজন প্রকৃত ধার্মিকের কর্তব্য। (চলমান সংকট নিরসনে আদর্শিক লড়াইয়ের অপরিহার্যতা, পৃষ্ঠা-১৩)
গান-বাদ্য নৃত্য অভিনয় সবই জায়েজ!
‘কোরআনে যা কিছু নিষিদ্ধ করা হোয়েছে সেগুলি ছাড়া আর সবই বৈধ। এখন কোরআনে দেখুন গান, বাদ্যযন্ত্র, চলচিত্র, নাট্যকলা, অভিনয়, নৃত্য, চিত্রাঙ্কন, ভাষ্কর্য নির্মাণ ইত্যাদি আল্লাহ হারাম কোরেছেন কিনা? যদি না কোরে থাকেন তাহলে এগুলো নিয়ে বাড়াবাড়ি করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। আল্লাহ যেটিকে বৈধ কোরেছেন সেটিকে কোন আলেম, মুফতি,ফকীহ, মোফাসসের হারাম করার অধিকার রাখেন না’। (আসুন সিস্টেমটাকেই পাল্টাই, পৃষ্ঠা-১২)
দাজ্জাল কোন প্রাণী নয় বরং দাজ্জাল হল ‘ইহুদী খ্রষ্টান সভ্যতা
‘পাশ্চাত্য বস্তুবাদী ইহুদি খ্রিস্টান যান্ত্রিক সভ্যতাই হচ্ছে বিশ্বনবী বর্ণিত সেই দাজ্জাল, যে দানব ৪৭৫ বছর আগেই জন্ম নিয়ে তার শৈশব, কৌশর পার হয়ে বর্তমানে যৌবনে উপনীত হয়েছে এবং দোর্দ- প্রতাপে সারা পৃথিবীকে পদদলিত করে চলছে; আজ মুসলিমসহ সমস্ত পৃথিবী অর্থাৎ মানবজাতি তাকে প্রভু বলে মেনে নিয়ে তার পায়ে সাজদায় পোড়ে আছে।’ (মহাসত্যের আহ্বান-১৮)
হেযবুত তওহীদ করলে জান্নাত নিশ্চিত
“হেযবুত তওহীদে যারা সত্যিকার ভাবে এসেছ তাদের জন্য জান্নাত তো নিশ্চিত। এইখানেও যেন কারো মনে কোন সন্দেহ না থাকে যে জান্নাত নিশ্চিত। এখন কে কোথায় যাবে কোন স্তরে উন্নীত হবে ঐটা তোমাদের আমলের উপরে নির্ভর কোরবে, যে যতখানি কোরবে সে ততখানি।” (আল্লাহর মোজেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা, পৃ-৬৩)
শেষকথা : এরকম অসংখ্য কুরআন হাদীস বিরোধী এবং সামাজিক জননিরাত্তাবিরোধী বক্তব্যে ভরপুর হেযবুত তওহীদ প্রকাশিত বই পুস্তক এবং লেকচারে। আমরা ঠান্ডা মাথায় একবার ভেবে দেখি। যারা শুধুমাত্র সশস্ত্র যুদ্ধটাকেই তাদের জীবনের মূল উদ্দেশ্য বানায়। ইসলামের মৌলিক ইবাদতকে শুধুমাত্র সেই সশস্ত্র সংগ্রাম বাস্তবায়নের ট্রেনিং প্রাক্টিস মনে করে। তারা দিন দিন কতোটা হিংস্র ও ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে এদেশের মুসলমানদের জন্য।
তারা তো একাধিক স্থানে লিখেও দিয়েছে পুরো বিশ্বের কোন মুসলমান প্রকৃত উম্মতে মুহাম্মদীই নয়। যেহেতু সশস্ত্র সংগ্রাম করে না, তাই পুরো মুসলিম উম্মাহ উম্মতে মুহাম্মদী থেকে বেরিয়ে গেছে। হেযবুত তওহীদ নাকি প্রকৃত উম্মতে মুহাম্মদী তৈরী করতে চায়। সশস্ত্র সংগ্রাম করে তাদের কথিত এসলাম এবং মনগড়া দ্বীন কায়েম করতে চায়। তাহলে যাদের মূল বিশ্বাস ‘সশস্ত্র সংগ্রাম’ এমন সন্ত্রাসী দল কিভাবে বাংলাদেশের মত একটি শান্তিপ্রিয় দেশে অবাধে কার্যক্রম পরিচালনা করে? তা আমাদের কিছুতেই বোধগম্য নয়।
তাছাড়া পুরো ইসলাম ধর্মকে তারা অপব্যাখ্যা করে মারাত্মক ধর্ম বিকৃতি সাধনে লিপ্ত রয়েছে। প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য হল, এদের প্রতিহত করা। তাদের ধর্মবিকৃতির কারণে তাদের বয়কট করা। আল্লাহ তাআলা হেযবুত তওহীদ নামক ভ্রান্ত ফিরকাসহ সকল ভ্রান্ত দল থেকে আমাদের ঈমান-আমল এবং প্রিয় মাতৃভূমিকে হিফাযত করুন। আমীন।
মুফতী লুৎফর রহমান ফরায়েজী পরিচালিত আহলে হক মিডিয়ার ওয়েবসাইট থেকে নেয়া
সন্মানীত পাঠক,
হেযবুত তাওহীদ যে গোমরাহ ও পথভ্রষ্ট এ সমপর্কে জানতে এর চেয়ে আর বেশী তথ্যের প্রয়োজন নেই
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হল অনেক লেবাসধারীর ও আনাগোনা আমরা দেখতে পাই সেখানে কিন্তু সে নিজেও পথভ্রষ্ট হচ্ছে অপরকেও পথভ্রষ্ট করছে।
এইচআরআর/পাবলিক ভয়েস
https://publicvoice24.com/2019/04/10/%e0%a6%b9%e0%a7%87%e0%a6%af%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a6%a4-%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%93%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%96%e0%a7%8b%e0%a6%b6-%e0%a6%ae%e0%a7%81/?fbclid=IwAR2anrpB1p9f6G57RYFOGuKKqE8e1keywO3wC0EI2X-557exDtEqGKcXb2c
মুসলমানদের ঈমান হরণের পায়তারা
পথভ্রষ্ট হেযবুত তওহিদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
টাঙ্গাইল জেলার করটিয়ার পন্নী পরিবারের সন্তান জনাব বায়েজিদ খান পন্নী। জন্ম ১১ মার্চ ১৯২৫ ঈসাব্দ। একজন সাবেক সেক্যুলার রাজনীতির নেতা, একজন ঐতিহাসিক জমিদার পরিবারের লোক, একজন বন্য পশু শিকারী, রাইফেল হাতে দেশের বিভিন্ন বনাঞ্চলে শিকারের লোমহর্ষক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি, ‘বাঘ-বন-বন্দুক’ নামক পুস্তক প্রণেতা, একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক বায়েজীদ খান পন্নী (১৯২৫-২০১২)।
যিনি ‘বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্য করেও কোন সফলতার মুখ দেখেন নি’। তিনি জীবনের শেষভাগে এসে মুসলিম বিশ্বের মূল ধারা বিবর্জিত হয়ে হেযবুত তওহীদ নামে একটি দল গঠন করেন এবং ‘মোজেজার’ মাধ্যমে আল্লাহ তাকে বিশ্ব মুসলিমের ‘ইমামতি’ দিয়েছেন বলে দাবী করেন। তার বক্তব্য হল, ইসলাম ধর্ম নাকি সমূলে বিকৃত হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়। এই ধর্ম বিগত ১৩ শো বছর ধরে বিকৃত। বিশ্বের “ইসলামবিহীন” ১৬০ কোটি ‘নামের-মুসলিম’ তার ইমামতি স্বীকৃতির মাধ্যমে আবার হেদায়াতে ফিরে আসতে পারেন। তার দরজা দিয়েই এখন মুহাম্মাদের সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালামের ধর্মে ঢুকতে হবে। কেননা তিনি আল্লাহ মনোনীত ‘এমাম’। নামায পড়ার পদ্ধতির পরিবর্তন করে এক বিকৃত পদ্ধতি তারা আবিস্কার করেন। যা ইউটিউবে সহজেই পাওয়া যায়।
১৯৯৫ সালে বায়েজিদ খান পন্নী হেজবুত তওহীদ সংগঠন তৈরি করে সংগঠনের ইশতেহার প্রকাশ করেন। দলীয় ইশতেহারে প্রচলিত শাসন ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা প্রকাশ এবং প্রচলিত শাসন ব্যবস্থা উচ্ছেদে শারিরীক শক্তি প্রয়োগকে বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেন।
নিজেদের নিজস্ব মতধারারার বাইরের সকলকেই অমুসলিম হিসেবে উল্লেখ করে। তথাকথিত যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করার বিনিময়ে হলেও নিজেদের বনানো মতবাদের আইন প্রতিষ্ঠিত করার প্রতিজ্ঞা এবং মানব সৃষ্ট সকল আইনকে প্রত্যাখ্যান করার মাধ্যমে দলটি কট্টর জঙ্গী সন্ত্রাসী রূপে আত্মপ্রকাশ করে।
অবশেষে বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে কালো তালিকাভূক্ত হয় হেযবুত তওহীদ। [দৈনিক কালের কণ্ঠ, ২৬ ফেব্রুয়ারী-২০১৫]। তাদের প্রকাশিত দৈনিক ‘বজ্রকণ্ঠ’ এবং দেশের পত্র পত্রিকা দু’টিকে জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে দেশবাসীকে না পড়ার নির্দেশ জারী করা হয়। [দৈনিক মানবজমিন, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৪]
১৬ ই জানুয়ারী ২০১২ ইং সনে বায়জীদ খান পন্নী মারা গেলেও তার দলের কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। তার স্থলাভিষিক্ত হয় এক সময়কার নোয়াখালী সোনাইমুড়ির স্থানীয় শিবির সভাপতি হোসাইন মুহাম্মদ সেলিম। সাবেক শিবির নেতা হোসাইন মুহাম্মদ সেলিমই বর্তমান হেযবুত তওহীদের কথিত এমামুযযামান।
সন্ত্রাসবাদী মনোবৃত্তিকে প্রতিপাদ্য করে যে দলের সৃষ্টি, সেই দলই বর্তমানে কৌশল খাঁটিয়ে ‘জঙ্গিবাদ বিরোধীতা, ধর্ম ব্যবসা বন্ধ কর’ ইত্যাদি শিরোনাম দিয়ে ভোল পাল্টে সরকারের চোখে ধুলা দেবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বায়জীদ খান পন্নী প্রতিষ্ঠিত সন্ত্রাসী দল ‘হেযবুত তওহীদ’ ইসলাম ও রাষ্ট্রের জন্য ভয়ানক ক্ষতিকর হবার প্রমাণ অসংখ্য। আমরা সংক্ষেপে কয়েকটি পয়েন্ট আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। সংক্ষিপ্ত প্রবন্ধটি দীর্ঘ হয়ে যাবার শংকায় শুধুমাত্র ভ্রান্ত ও লোমহর্ষক বক্তব্যগুলো হেযবুত তওহীদ প্রকাশিত বই থেকে উদ্ধৃত করে দেয়া হবে। কুরআন ও হাদীসের আলোকে তা খণ্ডন করা হবে না। বিজ্ঞ পাঠক/পাঠিকাগণ আশা করি নিজেরাই এসব বক্তব্যের অসারতা এবং ভ্রান্তিতা বুঝে নিতে পারবেন।
সশস্ত্র জিহাদে রত নয় এমন কেউ উম্মতে মুহাম্মদী নয়!
হেযবুত তওহীদ, করটিয়া, টাঙ্গাইল থেকে প্রকাশিত “ইসলামের প্রকৃত আকীদা, ক্রমিক নং-১” নামক বইয়ে লিখা হয়েছেঃ “উম্মতে মুহাম্মদীর সংজ্ঞা হল, আল্লাহ যে কাজের দায়িত্ব দিয়ে তার রসূলকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন ও যে দায়িত্ব তিনি তার গঠিত জাতির ওপর অর্পণ করে চলে গিয়েছেন, যে বা যারা সেই কাজ চালিয়ে যাবে শুধু তারাই উম্মতে মুহাম্মদী। যারা সেই কাজ অর্থাৎ জেহাদ চালিয়ে যাবে না তারা যত বড় মুসল্লিই হন,যত বড় মুত্তাকি, আলেম দরবেশ হন না কেন-উম্মতে মুহাম্মদী নন। হাশরের দিন তার উম্মত হিসাবে রসূলের শাফায়াতের ওপর তাদের কোন দাবী থাকবে না।“ [পৃষ্ঠা নং-১৬]
এর মানে কী দাঁড়াচ্ছে? জিহাদরত নয়, এমন প্রতিটি মুসলমানই হেযবুত তাওহীদের আকীদায় উম্মতে মুহাম্মদীর গণ্ডি থেকে বেরিয়ে গেছে। জিহাদ না থাকলে নামাযের কোন দাম নেই! উপরোক্ত বইয়ের ৮ নং পৃষ্ঠায় লিখেছেঃ ‘ছাদ না থাকলে যেমন থামের কোনও দাম নেই, প্রয়োজন নেই, তেমনি জিহাদ সশস্ত্র সংগ্রাম না থাকলে নামাযেরও কোন দাম নেই।’ ইসলামের একটি মৌলিক ইবাদতকে জিহাদ না করলে ভিত্তিহীন বানিয়ে দিল হেযবুত তওহীদ। অথচ মজার বিষয় হলো তারা নিজেরাই জিহাদ তো দুরের কথা ইসলামের কোনো বিধানই সঠিকভাবে মানে না।
বর্তমানের ইসলাম প্রকৃত ইসলামই নয়
‘বর্তমান অমরা যে ধর্মটিকে এসলাম হিসেবে দেখছি, যেটাকে ধর্মপ্রাণ মানুষ অতি যতœ সহকারে পালন করার চেষ্টা কোরছেন, যে এসলামটাকে সর্বত্র স্কুল,কলেজ মাদ্রাসায় ও পীরের খানকায় শেখানো হোচ্ছে সেটা প্রকৃত এসলাম নয়’। (বায়জীদ খান পন্নী রচিত ‘এসলাম শুধু নাম থাকবে’, পৃঃ ৯)
“যাত্রাদলের বন্দুকের সঙ্গে আসল বন্দুকের যতটা পার্থক্য, প্রকৃত এসলামের সঙ্গে বর্তমান এসলামের ততটাই পার্থক্য। এদু’টির চলার পথ সম্পূর্ণ বিপরীত”। (প্রাগুক্ত- পৃঃ ৯)
ইসলাম শুধুই যুদ্ধ করার ধর্ম
‘এ পরিবর্তনের ফলে এই সামরিক দীন পৃথিবীর অন্যান্য অসামরিক দীনের পর্যায়ে পর্যবসিত হোল অর্থাৎ খ্রীস্টান, বৌদ্ধ, হিন্দু, ইহুদী, জৈন ইত্যাদি বহু দীনের (ধর্মের) মতো আরেকটি ধর্মে পরিণত হোল যেটার উদ্দেশ্য এবাদত, পূজা, উপাসনা কোরে আত্মার চর্চা করা; রসুল যে সুশৃংখল, মৃত্যুভয়হীন দুর্ধর্ষ যোদ্ধার চরিত্রের সৃষ্টি কোরেছিলেন তার বদলে ষড়রিপুপূজয়ী ভীরু কাপুরুষ সাত্ত্বিকের দল তৈরী হল। [বায়জীদ খান পন্নী রচিত ‘এসলামের প্রকৃত সালাহ’, পৃষ্ঠা-২০]
নামায মৌলিক ইবাদত নয় বরং ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সাথে যুদ্ধের ট্রেনিং মাত্র!
নামায মৌলিক ইবাদত নয় বরং ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সাথে যুদ্ধের ট্রেনিং মাত্র! ‘মসজিদ সব মুসল্লীর একই এমামের পেছনে সারিবদ্ধভাবে উঠাবসা দৃশ্য দেখে মনে হয় তারা একজন সেনাপতির নির্দেশে কুচকাওয়াজে লিপ্ত। এখানেই নেতার প্রতি অকৃত্রিম আনুগত্য ও নেতৃত্বের বৈশিষ্ট্যের উত্তম সবক বিদ্যমান। এই মিল স্বাভাবিক কারণ দু’টোরই উদ্দেশ্য এক ‘যুদ্ধ’। শুধু তফাৎ এই যে কেন যুদ্ধ? পৃথিবীর সব সামরিক বাহিনীগুলির প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য হোচ্ছে তাদের ভৌগলিক রাষ্ট্রগুলির রক্ষা এবং রাষ্ট্রের স্বার্থের প্রয়োজনে অন্য রাষ্ট্রকে আক্রমন কোরে দখল করা; আর এই উম্মতে মোহাম্মদীর প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য হচ্ছে-সশস্ত্র সংগ্রাম কোরে সমস্ত পৃথিবীতে আল্লাহর তওহীদ ভিত্তিক দীন কার্যকর কোরে মানব জাতির মধ্যেকার সমস্ত অন্যায়, অবিচার, অত্যাচার, অশান্তি, রক্তপাত দূর কোরে শান্তি (এসলাম) প্রতিষ্ঠা কোরে এবলিসের চ্যালেঞ্জে তাকে পরাজিত কোরে আল্লাহকে জয়ী করা। [প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা-২১]
আল্লাহ তা’আলা তার প্রভূত্বের আসনে নেই!
‘সমস্ত পৃথিবী যার করতলগত সেই মহা শক্তিধর দাজ্জালকে হটিয়ে দিয়ে প্রভুত্বের আসনে আল্লাহ তায়ালাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার মতো আপাতঃ দৃষ্টিতে অসম্ভব কাজটি করার দায়িত্বে তোমরা নিজেদের নিয়োজিত করেছো’। [বায়জিদ খান পন্নী তার হেযবুত তওহীদের মোজাহেদ মেজাহেদাদের উদ্দেশ্য লিখা ছোট্ট পুস্তিকা ‘আসমাঈ ওয়া আত্তাবেয়্যু, পৃষ্ঠা-৬] নবীর ইন্তেকালের ৭০ বছর পরের কেউ প্রকৃত উম্মতে মুহাম্মদী নয়! “অর্থাৎ তাঁর উম্মাহ পৃথিবীতে থাকবে ৬০/৭০ বছর, তারপর যেটা হবে সেটা নামে মাত্র উম্মতে মোহাম্মদী, সেটা প্রকৃত পক্ষে উম্মতে মোহাম্মদী নয়”। (বায়জীদ খান পন্নী রচিত ‘এসলামের প্রকৃত রূপরেখা’ পৃষ্ঠা-৪৯)
শুধু ইসলাম নয় বরং সকল ধর্মই চিরন্তন!
‘দীন শব্দের অর্থ জীবনব্যবস্থা আর কাইয়্যেমাহ শব্দটি এসেছে কায়েম থেকে যার অর্থ প্রতিষ্ঠিত, আদি, শাশ্বত, চিরন্তন। যা ছিল, আছে, থাকবে। সনাতন শব্দের অর্থও আদি, শাশ্বত, চিরন্তন। এই হিসাবে আমরা বলতে পারি, স্রষ্টার প্রেরিত সকল ধর্মই সনাতন চিরন্তন’। (হেযবুত তওহীদের প্রকাশিত প্রবন্ধ ‘সকল ধর্মের মর্মকথা সবার ঊর্ধ্বে মানবতা’, পৃষ্ঠা-৩-৪)
হেযবুত তাওহীদের আকীদা অনুপাতে ইহুদী, খ্রীস্টান এবং হিন্দু ধর্মও চিরন্তন ধর্ম?
পন্নী সাহেবের ভাষণ আল্লাহরই বাণী আর তার বক্তব্য কুরআন পর্যায়ের!
‘সমস্ত কোরআনকে আল্লাহ যেভাবে উনিশ সংখ্যার জালে আষ্ঠেপৃষ্ঠে বেঁধেছেন, ঠিক একইভাবে সেদিন এমামের সংক্ষিপ্ত ভাষণটিকে আল্লাহ বাঁধলেন তিন সংখ্যার জাল দিয়ে। উদ্দেশ্য এক অর্থাৎ সত্যায়ন। এর দ্বারা আল্লাহ এটাই প্রকাশ কোরছেন যে, ঐ ভাষণে যে কথাগুলো বলা হোয়েছে এগুলো যে মানুষটি বোলছেন তাঁর স্বরচিত কথা নয়, এগুলো আমারই (আল্লাহর) কথা এবং তিনি আমারই মনোনীত ব্যক্তি’। [আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা, পৃষ্ঠা-২৪]
‘আল্লাহ সংখ্যার মো’জেজা দ্বারা পবিত্র কোর’আনকে যেমন সত্যায়ন করেছেন, একইভাবে এমামের সেদিনের ভাষণটিকেও তিন সংখ্যার মো’জেজা দিয়ে সত্যায়ন করেছেন, এই দৃষ্টিকোণ থেকে আল কো’আন ও এমামের ভাষণটি একই পর্যায়ভূক্ত হোয়ে যায়। [প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা-৩৩]
রোজা না রাখলে কেউ জাহান্নামে যাবে না!
‘আল্লাহ মানুষকে কষ্ট দিতে চান না, পরিশুদ্ধ করতে চান। তাই তিনি ইসলামের ভিতরে যে কোনো বাড়াবাড়িকে হারাম করেছেন। সওম না রাখার জন্য তিনি কাউকে জাহান্নামে দিবেন বা শাস্তি দিবেন এমন কথা কোর’আনে কোথাও নেই। [বর্তমান এমাম হোসাইন মুহাম্মদ সেলিমের লেখা-সওমের উদ্দেশ্য, পৃষ্ঠা-১৪]
জিহাদকারীর সম্মান নবীদেরও উপরে
হেযবুত তওহীদ প্রকাশিত বইয়ে তাদের আকীদা লিখা হয়েছেঃ “তওহীদের ওপর ঈমানের পরই শ্রেষ্ঠ আমল ঐ তওহীদ প্রতিষ্ঠার জেহাদ বলেই তার পুরস্কার আল্লাহ রেখেছেন ইসলামের শ্রেষ্ট পুরস্কার ও সম্মান, যে পুরস্কার ও সম্মান কয়েকটি বৈশিষ্ট্যে আল্লাহর নবীদেরও ছাড়িয়ে গেছে।’ [ইসলামের প্রকৃত আকীদা, পৃষ্ঠা-১৭] যে নবীদের মাধ্যমে জিহাদের বিধান নাজিল হল, সেই নবীর সম্মানের চেয়ে বিধান পালনকারীর সম্মান বেড়ে যায়? নাউজুবিল্লাহ! এর মানে নবীদের চেয়ে তার উম্মতের মর্যাদা বেশি?
হিন্দু দেবতা শ্রীকৃষ্ণ নবী ছিল?
“ভারতীয় মোসলেম চিন্তাবিদ ও এসলামিক দার্শনিকগণ শ্রীকৃষ্ণ সম্বন্ধে যেসব সুচিন্তিত মতামত রেখেছেন এবং কোর’আন হাদিসের আলোকে তাঁর সম্বন্ধে যে বক্তব্য দিয়েছেন ঐসব মতামতও বক্তব্য বিচার-বিশ্লেষণ করে এই ধারণা সৃষ্টি হয় যে, শ্রীকৃষ্ণ একজন নবী। [শোষণের হাতিয়ার, পৃষ্ঠা-৬৫, লেখক- হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম, এমাম, হেযবুত তাওহীদ, প্রকাশক-তওহীদ প্রকাশন, দ্বিতীয় প্রকাশ-২০ ফেব্রুয়ারী-২০১৫ ঈসায়ী] নাউজুবিল্লাহি মিন জালিক। হিন্দুদের এক কাল্পনিক দেবতা নবী ছিলেন? যে কৃষ্ণ হিন্দুদের বই অনুপাতেই একজন নারীলোভী এবং আপন মামার বিবি রাধাকে ভাগিয়ে বিয়েকারী। এমন অসৎ চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তি কিভাবে নবী হতে পারেন?
নবীরা যেখানে ব্যর্থ পন্নী সাহেব সেখানে সফল!
‘একদম মহাসত্য পেয়েও যেখানে নবী রসুলদের মধ্যে অনেকে ব্যর্থ হোয়েছেন, পারেন নি, সেখানে আমি কে। আমি তো কেউ না, কিছুই না। কি হবে, কি হবে না- এই সংশয় আমার ছিল ২০০৮ সনের ফেব্রুয়ারীর দুই তারিখ পর্যন্ত, পূর্ণভাবে ছিল। যদিও সেটা আমাকে দমাতে পারে নি, এজন্য যে আমি চেষ্টা কোরে যাবো, নবী রসুলরা পারেন নি আর আমি কে? আমি চেষ্টা কোরে যাবো। মো’জেজার দিনটায় আল্লাহ আমার সব সংশয় অবসান কোরেছেন, জানিয়ে দিলেন নিজে যে, হবে, উনি কোরবেন, আমি না।’ (আল্লাহর মো’জেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা, পৃষ্ঠা-৬৮)
ইবাদত ও সালাত আলাদা বস্তু!
‘আল্লাহ মুসা (আ.) কে বলেছেন ,আমিই আল্লাহ,আমি ব্যতীত কোন এলাহ (হুকুমদাতা) নেই, অতএব আমার এবাদাত কর এবং আমার স্মরণার্থে সালাহ কায়েম কর (সূরা ত্বা-হা:১৪) এমনই আরো অনেক আয়াত থেকে সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে এবাদত ও সালাহ আলাদা বিষয় । প্রকৃতপক্ষে এবাদত হচ্ছে আল্লাহ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব’। (হেযবুত তওহীদ প্রকাশিত ‘চলমান সংকট নিরসনে আদর্শিক লড়াইয়ের অপরিহার্যতা’ পৃষ্ঠা-৯)
নাস্তিকের বিশ্বাসের স্বাধীনতা সংরক্ষণ করা ঈমানদারদের দায়িত্ব
নাস্তিক বা আস্তিক যে কোনোটি হওয়ার স্বাধীনতা আল্লাহই মানুষকে দিয়েছেন। তাই যারা বিশ্বাস করেন যে নিখুঁত সৃষ্টি আছে, কিন্তু তার কোন স্রষ্টা নেই, তাদের এই বিশ্বাস করার স্বাধীনতা (Freedom of thinking) সংরক্ষণ করাও একজন প্রকৃত ধার্মিকের কর্তব্য। (চলমান সংকট নিরসনে আদর্শিক লড়াইয়ের অপরিহার্যতা, পৃষ্ঠা-১৩)
গান-বাদ্য নৃত্য অভিনয় সবই জায়েজ!
‘কোরআনে যা কিছু নিষিদ্ধ করা হোয়েছে সেগুলি ছাড়া আর সবই বৈধ। এখন কোরআনে দেখুন গান, বাদ্যযন্ত্র, চলচিত্র, নাট্যকলা, অভিনয়, নৃত্য, চিত্রাঙ্কন, ভাষ্কর্য নির্মাণ ইত্যাদি আল্লাহ হারাম কোরেছেন কিনা? যদি না কোরে থাকেন তাহলে এগুলো নিয়ে বাড়াবাড়ি করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। আল্লাহ যেটিকে বৈধ কোরেছেন সেটিকে কোন আলেম, মুফতি,ফকীহ, মোফাসসের হারাম করার অধিকার রাখেন না’। (আসুন সিস্টেমটাকেই পাল্টাই, পৃষ্ঠা-১২)
দাজ্জাল কোন প্রাণী নয় বরং দাজ্জাল হল ‘ইহুদী খ্রষ্টান সভ্যতা
‘পাশ্চাত্য বস্তুবাদী ইহুদি খ্রিস্টান যান্ত্রিক সভ্যতাই হচ্ছে বিশ্বনবী বর্ণিত সেই দাজ্জাল, যে দানব ৪৭৫ বছর আগেই জন্ম নিয়ে তার শৈশব, কৌশর পার হয়ে বর্তমানে যৌবনে উপনীত হয়েছে এবং দোর্দ- প্রতাপে সারা পৃথিবীকে পদদলিত করে চলছে; আজ মুসলিমসহ সমস্ত পৃথিবী অর্থাৎ মানবজাতি তাকে প্রভু বলে মেনে নিয়ে তার পায়ে সাজদায় পোড়ে আছে।’ (মহাসত্যের আহ্বান-১৮)
হেযবুত তওহীদ করলে জান্নাত নিশ্চিত
“হেযবুত তওহীদে যারা সত্যিকার ভাবে এসেছ তাদের জন্য জান্নাত তো নিশ্চিত। এইখানেও যেন কারো মনে কোন সন্দেহ না থাকে যে জান্নাত নিশ্চিত। এখন কে কোথায় যাবে কোন স্তরে উন্নীত হবে ঐটা তোমাদের আমলের উপরে নির্ভর কোরবে, যে যতখানি কোরবে সে ততখানি।” (আল্লাহর মোজেজা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা, পৃ-৬৩)
শেষকথা : এরকম অসংখ্য কুরআন হাদীস বিরোধী এবং সামাজিক জননিরাত্তাবিরোধী বক্তব্যে ভরপুর হেযবুত তওহীদ প্রকাশিত বই পুস্তক এবং লেকচারে। আমরা ঠান্ডা মাথায় একবার ভেবে দেখি। যারা শুধুমাত্র সশস্ত্র যুদ্ধটাকেই তাদের জীবনের মূল উদ্দেশ্য বানায়। ইসলামের মৌলিক ইবাদতকে শুধুমাত্র সেই সশস্ত্র সংগ্রাম বাস্তবায়নের ট্রেনিং প্রাক্টিস মনে করে। তারা দিন দিন কতোটা হিংস্র ও ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে এদেশের মুসলমানদের জন্য।
তারা তো একাধিক স্থানে লিখেও দিয়েছে পুরো বিশ্বের কোন মুসলমান প্রকৃত উম্মতে মুহাম্মদীই নয়। যেহেতু সশস্ত্র সংগ্রাম করে না, তাই পুরো মুসলিম উম্মাহ উম্মতে মুহাম্মদী থেকে বেরিয়ে গেছে। হেযবুত তওহীদ নাকি প্রকৃত উম্মতে মুহাম্মদী তৈরী করতে চায়। সশস্ত্র সংগ্রাম করে তাদের কথিত এসলাম এবং মনগড়া দ্বীন কায়েম করতে চায়। তাহলে যাদের মূল বিশ্বাস ‘সশস্ত্র সংগ্রাম’ এমন সন্ত্রাসী দল কিভাবে বাংলাদেশের মত একটি শান্তিপ্রিয় দেশে অবাধে কার্যক্রম পরিচালনা করে? তা আমাদের কিছুতেই বোধগম্য নয়।
তাছাড়া পুরো ইসলাম ধর্মকে তারা অপব্যাখ্যা করে মারাত্মক ধর্ম বিকৃতি সাধনে লিপ্ত রয়েছে। প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য হল, এদের প্রতিহত করা। তাদের ধর্মবিকৃতির কারণে তাদের বয়কট করা। আল্লাহ তাআলা হেযবুত তওহীদ নামক ভ্রান্ত ফিরকাসহ সকল ভ্রান্ত দল থেকে আমাদের ঈমান-আমল এবং প্রিয় মাতৃভূমিকে হিফাযত করুন। আমীন।
মুফতী লুৎফর রহমান ফরায়েজী পরিচালিত আহলে হক মিডিয়ার ওয়েবসাইট থেকে নেয়া
সন্মানীত পাঠক,
হেযবুত তাওহীদ যে গোমরাহ ও পথভ্রষ্ট এ সমপর্কে জানতে এর চেয়ে আর বেশী তথ্যের প্রয়োজন নেই
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হল অনেক লেবাসধারীর ও আনাগোনা আমরা দেখতে পাই সেখানে কিন্তু সে নিজেও পথভ্রষ্ট হচ্ছে অপরকেও পথভ্রষ্ট করছে।
এইচআরআর/পাবলিক ভয়েস
https://publicvoice24.com/2019/04/10/%e0%a6%b9%e0%a7%87%e0%a6%af%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a6%a4-%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%93%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%96%e0%a7%8b%e0%a6%b6-%e0%a6%ae%e0%a7%81/?fbclid=IwAR2anrpB1p9f6G57RYFOGuKKqE8e1keywO3wC0EI2X-557exDtEqGKcXb2c