রবিবার, ২১ জুন, ২০২০

চিকিৎসা ‎সেবায় ‎ওলামাদের ‎বিচরণ ‎সময়ের ‎দাবী

ওলামায়ে কেরামদের চিকিৎসা  সেবায় এগিয়ে আসা সময়ের দাবী  

==০০ এম এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ০০= 


বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে  ক্বওমী ও আলীয়া মাদ্রাসাগ থেকে প্রতি বছর দাওরায়ে হাদীস ও টাইটেল ক্লাস সমাপনীর পর অনেক ছাত্র বাহির হচ্ছে এবং বিভিন্ন সেক্টরে কর্মজীবন শুরু করেন।  কিন্তু তুলনামূলক ভাবে স্বাস্থ্য  বিভাগে প্রায় কমই এদের বিচরণ। 
অথচ এ সেক্টর টি মানব সেবার  অন্যতম একটি মাধ্যম ও বটে। ওলামাদের বিচরণ যতক্ষন এ সেক্টরে আসবেনা ততদিন মানুষ  প্রকৃত সেবা থেকে  বঞ্চিত হবে   মনে হচ্ছে কারণ  আমার ব্যক্তিগত গবেষণা  পর্যবেক্ষন   তাই   মনে হচ্ছে। 
এ সেক্টরে অনেক ডাক্তার নার্স প্যাথোলোজিষ্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর  আবস্থা যখন বিভিন্ন  পত্রিকা আর  নিউজে আসে তখন চিন্তা করি মানবিক আর মানবতা আর সততা কত টুকু নিন্মগামী হলে এমন এমন কাজ সম্ভব। কিন্তু ভাল যে নেই তা কিন্তু নয় তবে তুলনামূলক ভাবে  কম মনে  হচ্ছে।   যারা ভাল তাদের কে আবশ্যই সেলুট।
কিন্তু যখন মানুষের মনে আল্লাহর  ভয় কাজ করবে মানুষকে  মানুষ হিসাবে ম্লান করবে তখনই  একজন মানুষ  খাঁটি  সোনা হীরা মুক্তায় চেয়েও দামী হতে পারে।।
   

দেশে  মানবিক  কর্মজীবী  থাকলেও   মানবিক ডাক্তারের খুবই অভাব মনে হয়। যদিও অনেক ওলামায়ে কেরাম এগিয়ে আসছেন তবে প্রয়োজনের তুলনায় নগন্।   
 

অনেকে এই মহৎ কর্ম ও পদবীকে কসাইয়ের পেশা হিসাবে তুলনা করে থাকেন কথাটি শুনতে খুবই ঘৃনীত ও লজ্জাবোধ মনে হয়।
২০১৯ সনে চট্টগ্রামে ডাক্তারা একজোট হয়ে মানুষের জীবন আর  চিকিৎসা সেবা নিয়ে কি হলিখেলা খেলছে, তা সকলের জানা আছে। যদি তারা মানবিক হতেন আর দ্বীনদার হতেন কখনো এমনটি হত বলে মনে হয়না।

আজকে খোদাভিরু মানুষের অভাব চিকিৎসা খাতে তাই আল্লাহওয়ালাদের এ খাতে এগিয়ে আসতে হবে। আলেমরা এ সন্মান জনক মানব সেবায় আসলে মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্হি পাবে।ইতিমধ্যে অনেকে এগিয়ে আসছেন। 

আমি একবার ইউনাইটেড হাসপাতালে গিয়েছিলাম অনেক অপেক্ষার পর ডাক্তারের সাক্ষাত পেয়েছি ,  ১২০০ টাকা ভিজিট দেয়ার পর ২ মিনিটেই প্রেক্টিপশান লিখে দিলেন একটি কথা বলা বা  একটু পরামর্শ ও নেই । এমনকি কিছু  বলতে চেয়ে ও বাধা প্রাপ্ত হই।এমনকি কথাটাও শুনতে আগ্রহী নয়, অথচ তিনি নাকী  জেলার ডাক্তারদের হেড।যদি একজন হেড্ এর আচরন এমন হয় নীচের আবস্থা কেমন হবে সহজে ই অনুমেয়।  

   
তবে মূল কথা হল 
এক বড ডাক্তারের কমান্ডারের উক্তি হল " হাসপাতালে ২ জন মাত্র ডাক্তার আছেন যারা কিনা রুগির যথাযত মূল্যায়ন ও সেবা দিয়ে থাকেন, পরামর্শ  দিয়ে থাকেন কথা বলেন।  তিনি বললেন উনারা নাকি তাবলীগি।


অর্থাৎ তাবলিগে যাওয়ার কারনে দ্বীনের কিছুটা বুঝ আসার কারণে তাদের এ পরিবর্তন।
তাই  এ সেক্টরে ওলামাদের বিচরণ হলে আশা করি জনগন কিছুটা হলেও স্বস্তিবোধ  করবে।
যাদের সময় আছে তারা ধারাবাহিক  ডাক্তার হতে পারাটা খুব জরুরী  নতুবা খন্ডকালীন সময়ে ট্রেনিং নিয়ে এল এম এফ  কোর্স  করে ও এ সেক্টরে  আসা যায়। অপরদিকে 
বর্তমানে মর্ডান হারবাল কোং বেকার
 যুবকদের ৩০ দিন ২ মাস ও তিন মাসের কোর্স দিয়ে ভেষজ ইউনানী হোমিও চিকিৎসার প্রশিক্ষন দিয়ে আত্বনির্ভর হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে, চাইলে আপনি ও আর্তমানবতার খেদমতে এগিয়ে আসতে পারেন। অথবা বাংলাদেশ  ইউনানি  বোর্ডের আওতায় ও আপনি অধ্যয়ন করতে পারেন।  

এজন্য আমি বলবো এ সেক্টরে আলেমদের বিচরন খুব জরুরী। এটা মানব সেবার শীর্ষেে। তাই আলেমরা এগিয়ে আসুন।  মানুষের সেবা করুন।    
ধন্যবাদন্তে 
এম এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন