সুপার ফুড চিয়া সীড
চিয়াসিড এর অবাক করা পুষ্টি গুন জানলে কেউ না খেয়ে থাকবেনা তাহলে জেনে নিন।
যেমন
দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশী ক্যালসিয়াম
কমলার চেয়ে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি
পালং শাকের চেয়ে ৩ গুণ বেশী আয়রন (লোহা)
কলার চেয়ে দ্বিগুণ পটাশিয়াম
স্যামন মাছের থেকে ৮ গুণ বেশী ওমেগা-৩।
চিয়া সিড সরাসরি যে কোন ফলের স্মুদি বা জুসের সাথে পান করা যায়। শুধু পানিতে মিশিয়েও পান করা যায়। চিয়া বীজের নিরপেক্ষ স্বাদের কারণে এটা সব ধরনের খাবারের সাথে মিশিয়ে ও খাওয়ার উপযুক্ত। বেক করা খাবার (বিস্কুট, কেক ইত্যাদি), সুপ, সালাদ ইত্যাদির সাথে মিশিয়েও চিয়া সীড খাওয়া যায়।
সুপারফুড চিয়া সীডের ১৫টি উপকারিতা
১। এটা শক্তি এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে
২। চিয়া সীড রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে
৩। চিয়া বীজ ওজন কমাতে সহায়তা করে
৪। চিয়া সিড ব্লাড সুগার (রক্তের চিনি) স্বাভাবিক রাখে, ফলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায়
৫। চিয়া বীজ হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ উপকারি
৬। চিয়া সিড মলাশয় (colon) পরিষ্কার রাখে ফলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
৭। চিয়া সিড শরীর থেকে টক্সিন (বিষাক্ত পদার্থ) বের করে দেয়
৮। চিয়া সীড প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করে
১০। চিয়া বীজ ক্যান্সার রোধ করে
১১। চিয়া সিড হজমে সহায়তা করে
১২। চিয়া বীজ হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যথা দূর করে
১৩। চিয়া সীড এটেনশান ডেফিসিট হাইপার এক্টিভিটি ডিসর্ডার (Attention deficit hyperactivity disorder ADHD) দূর করে
১৪। চিয়া সিড ত্বক, চুল ও নখ সুন্দর রাখে
১৫। চিয়া সীড গৃহপালিত পশুর খাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
১৬। চিয়াসীড কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস্টিক আই বি এস অর্শ পাইলস পিস্টোলা সমস্যার সমাধান করতে কার্যকর।
খাবার নিয়ম :
১ গ্লাস পানিতে ১ চা চামচ চিয়া বীজ দিয়ে নেড়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। স্বাদ বাড়াতে চাইলে এতে লেবুর রস, কমলার রস, গোল মরিচ গুড়ো, বা মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন।
তাছাডা ক্লোন পরিস্কার কোষ্ঠকাঠিন্য অর্শ পাইলস পিস্টোলা সমস্যার সমাধান করতে ১ চা চামচ চিয়াসীডের সাথে সমপরিমাণ ইসুবগুল ভুষি ও তোকমা দানা মিশিয়ে খালি পেটে সেব্য।
অথবা একক ভাবে চিয়াসীড আধা ঘন্টা বা ততোধিক ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে সেব্য।
সৌজন্যে ভূঁইয়া ন্যাচরাল হার্বস
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন