রবিবার, ৭ মে, ২০২৩

অর্শ পাইলস ভগন্দর ফিস্টুলা চিকিৎসা

অর্শ বা পাইলস ৪ ভাগে ভাগ করা যায়, চিকিৎসা  করণীয় ও বর্জনীয়  
========০০০========== 

পাইলস (Piles), যা ডাক্তারি ভাষায় (Haemorrhoid)বলে।  Haemorrhoid হলো পায়ুপথে বিদ্যমান রক্তনালির কুশন যা মল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। যখন এটি কোনো ধরনের উপসর্গ তৈরি করে যেমন- 👉মলদ্বার দিয়ে রক্তপাত বা মাংসপিন্ড মলদ্বার দিয়ে বের হয়ে আসা, তখনই আমরা একে হেমোরয়েড রোগ বলে থাকি। পাইলস দুধরনের হতে পারে-

👉অভ্যন্তরীণ পাইলস (Internal Haemorrhoid): সাধারণত ডেনটেট লাইনের ওপরে সৃষ্ট পাইলস হলো অভ্যন্তরীণ

 হেমোরয়েড (Internal Haemorrhoid) রক্তনালির কুশনের ডেনটেট লাইন থেকে স্থানচ্যুতির মাত্রার ওপর নির্ভর করে একে

 চার শ্রেণিতে বা গ্রেডে ভাগ করা হয়। 
 
👉গ্রেড-১।স্থানচ্যুত হয় না, শুধু রক্তনালির কুশনগুলো ফুলে যায়। 
👉গ্রেড-২। নিম্নমুখী চাপে স্থানচ্যুত হয়, তবে তা আপনা আপনি পায়ুপথে ঢুকে যায়। 
👉গ্রেড-৩। নিম্নমুখী চাপে স্থানচ্যুত হয় এবং তা হাত দিয়ে পায়ুপথে ঢুকাতে হয়। 
👉গ্রেড-৪।স্থানচ্যুত হয় এবং তা তার পায়ুপথে ঢুকানো সম্ভব হয় না। 
 
👉বাহ্যিক পাইলস (External Haemorrhoid) : ডেনটেট লাইনের নিচে সৃষ্ট পাইলস হলো, বাহ্যিক হেমোরয়েড বা External Haemorrhoid.  এক্ষেত্রে সাধারণত মলদ্বারের বাইরে ফোলা থাকে এবং কিছুটা ব্যথা বা অস্বস্তি হতে পারে।

👉#Piles রোগ কেন হয় : 
এর সঠিক কারণ জানা না গেলেও এ রোগের জন্য যেসব বিষয় দায়ী বলে ধারণা করা হয় তা মধ্যে রয়েছে-  অন্ত্রজনিত সমস্যা (দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া);  মলত্যাগে অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ; অনিয়মিত মলত্যাগের অভ্যাস; শাকসবজি ও অন্য আঁশযুক্ত খাবার এবং পানি স্বল্পতা। 

#স্থূলতা : পেটের ভিতরে চাপ বৃদ্ধি, যেমন- ভারি ওজন তোলা, গর্ভ্যবস্থা, অ্যাসাইটিস ইত্যাদি; দীর্ঘ সময় দাড়িয়ে/ এছাড়া বসে থাকা।
#বার্ধক্য  : পরিবারে কারও পাইলস থাকা 

 #উপসর্গ : পাইলস হলো মলদ্বারের নিম্নাংশের রোগ, যেখানে রক্তনালির শিরাগুলো ফুলে গিয়ে বিভিন্ন উপসর্গ তৈরি করে যেমন- রক্তপাত হওয়া বা মাংসপিন্ডের মতো বের হয়ে আসা ইত্যাদি। এ রোগ মলদ্বারের ভিতরে বা বাইরেও হতে পারে এবং সেই অনুযায়ী উসর্গের ভিন্নতা থাকতে পারে। 

অভ্যন্তরীণ পাইলসের লক্ষণের ভিত্তিতে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়।
#লক্ষণসমূহ:
মলদ্বারের অভ্যন্তরে হলে নিচের লক্ষণগুলো দেখা যেতে পারে :
১. পায়খানার সময় ব্যথাহীন রক্তপাত হওয়া।
২. মলদ্বারের ফোলা বাইরে বের হয়ে আসতে পারে, নাও পারে। যদি বের হয় তবে তা নিজেই ভেতরে চলে যায় অথবা হাত দিয়ে ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়া যায়। কখনও কখনও এমনও হতে পারে যে, বাইরে বের হওয়ার পর তা আর ভেতরে প্রবেশ করানো যায় না বা ভেতরে প্রবেশ করানো গেলেও তা আবার বের হয়ে আসে।
৩. মলদ্বারে জ্বালাপোড়া, যন্ত্রণা বা চুলকানি হওয়া।
৪. কোনো কোনো ক্ষেত্রে মলদ্বারে ব্যথাও হতে পারে।

#মলদ্বারের বাইরে হলে নিচের লক্ষণগুলো দেখা যেতে পারে :
১. মলদ্বারের বাইরে ফুলে যাওয়া যা হাত দিয়ে স্পর্শ ও অনুভব করা যায়।
২. কখনও কখনও রক্তপাত বা মলদ্বারে ব্যথাও হতে পারে।

#পাইলস রোগের চিকিৎসার আগে কিছু   করণীয় আছে যা নিজে নিজেই  করতে হয়।
যে যত বেশী এ গুলো মেনে চলবে সে ততবেশীই সুস্হ হবেন বা থাকবেন।
সব চিকিৎসা  শুধু  মাত্র  ঔষধ এর দ্বারা সম্ভব নয়। ঔষধ  ছাডা সতর্ক  থাকলে অনেককাংশে ঝুঁকি  এডানো যায়।

১. কোষ্ঠকাঠিন্য যেনো না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকা এবং নিয়মিত মলত্যাগ করা।
এবং যে খাবার খেলে মল নরম থাকে সে খাবার খাওয়া।
২. পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসব্জি ও অন্যান্য আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া এবং পানি (প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস) পান করা।
৩. সহনীয়মাত্রার অধিক পরিশ্রম না করা।
৪. প্রতিদিন ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমানো।
৫. শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা।
৬. টয়লেটে অধিক সময় ব্যয় না করা।
৭. সহজে হজম হয় এমন খাবার গ্রহণ করা। যেমন : আঁশযুক্ত খাবার, শাকসবজি ইত্যাদি।
৮. ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া লাক্সেটিভ বা রেচক ঔষধ বেশি গ্রহণ না করা।
৯. মলত্যাগে বেশি চাপ না দেয়া।
১০. দীর্ঘমেয়াদী ডায়রিয়া থাকলে তার চিকিৎসা নেয়া।
এবং যে কোন গোস্ত চাই  সেটা মুরগী  খাশি গরু যাই হউক না কেন এডিয়ে চলা।
নিতান্ত  মাঝে মধ্যে  খেতে চাইলে পিয়াজ রসুন আদার পরিমান গোস্তের সমান সমান দিয়ে  পাক করা স্পেশাল ভাবে এবং মরিচ ও মসল্লা কম দেয়া।।
 
#পাইলস রোগে গ্রহণীয় কিছু খাবার :
+++++++++++++++++++++++

শাকসব্জি, ফলমূল, সব ধরনের ডাল, তবে মসুর ডাল ব্যতিত কারন এটি কোষ্ঠকাঠিন্য  বাডায়। সালাদ, দধি, পনির, গাজর, মিষ্টি কুমড়া, লেবু ও এ জাতীয় টক ফল, পাকা পেঁপে, বেল, আপেল, কমলা, খেজুর, ডিম, মাছ, দেশী মুরগীর মাংস, ভূসিযুক্ত (ঢেঁকি ছাঁটা) চাল ও আটা ইত্যাদি।

#পাইলস রোগে বর্জনীয় কিছু খাবার) :

খোসাহীন শস্য, গরুর মাংস, খাসির মাংস ও অন্যান্য চর্বিযুক্ত খাবার, মসৃণ চাল, কলে ছাঁটা আটা, ময়দা, চা, কফি, মাখন, চকোলেট, আইসক্রীম, কোমল পানীয়, সব ধরনের ভাজা খাবার, যেমন : পরোটা, লুচি, চিপস  চম্বুছা, পিয়াজু, ইত্যাদি।  

চিকিৎসা  

১, হাব্বে বাওয়াসীর বাদি ক্যাপ  ঃ 

কোষ্ঠকাঠিন্য বায়ুজনিত অর্শ,পায়ুপথে ফোলা,ব্যথা,জালা,ও আন্ত্রিক প্রদাহে কার্যকর। 

২, ডি ফাইলস ট্যাব  (অর্শ রোগের মহৌষধ) অর্শ,ভগন্দর, পিস্টুলা,আন্ত্রিক প্রদাহ ও কোষ্ঠকাঠিন্য, দূর করতে কার্যকর। 

 ৩, ডি - পাইলস্ সিরাপ ঃ 

অর্শ, পায়ুপথে ফোলা,ব্যথা ও মলধারে গেজ,ভগন্দর, ও জালাপোডায় বিশেষ  কার্যকর। 

৪, মরহম জদীদ ঃ 

অর্শের ক্ষত,পায়ুপথে ব্যথা,জালাপোডা, গেজের বেদনা,খোসপাঁচড়ায় কার্যকর। 

৫, সুফুপ পাইলস  ঃ 
কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, বদহজম,অর্শ - পাইলস  পিস্টোলা সমস্যার সমাধানে কার্যকর।  

৬, সুফুপ যোয়ান ঃ  
অর্শ পাইলস পিস্টোলা, বদহজম কোষ্ঠকাঠিন্য কার্যকর।  
৭, অর্শ চূর্ণ 
৮,অশর্ব বাম
৯,অর্শ শান্তি
১০, অর্শ পাইলস (ভগন্দর  ফিস্টুলা) 

 ইত্যাদি সহ অন্যান্য ঔষধ  চিকিৎসক এর পরামর্শ এ  লাগাতার ৩/৬ মাস সেবন করতে পারেন।  

সৌজন্যে
 ভূঁইয়া ন্যাচরাল হার্বস এন্ড অর্গানিক ফুড সেন্টার 
০১৮২৯৩১৮১১৪ 
ওয়াতসাফ ইমু তে




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন