Translate

সোমবার, ২২ অক্টোবর, ২০১২

পূর্নাঙ্গ হজ্বের নিয়ম [সংক্ষিপ্ত ] ও কিছু পরামশ

উমরার বর্ণনা উমরার রুকন তিনটি:
(১) ইহরাম বাঁধা।
(২) ত্বাওয়াফ করা।
(৩) সায়ী করা।

উমরার ওয়াজিব দু’টি:
(১) মীক্বাত থেকে ইহরাম বাঁধা।
(২) মাথা মুন্ডন করা কিংবা সম্পূর্ণ মাথা থেকে চুল ছোট করা ।

উমরা আদায়ের নিয়মঃ
মীক্বাতে পৌছার পর পূর্বে বর্ণিত ইহরাম বাঁধার সুন্নত নিয়ম মোতাবেক ইহরাম বাঁধবে।
তার পর গাড়ীতে চড়ার পর অন্তরে নিয়ত করবে এবং মুখেও 'লাব্বাইক আল্লাহুম্মা উমরাতান' বলে বায়তুল্লাহ পৌঁছা পর্যন্ত উচ্চস্বরে তালবিয়া অর্থাৎ ’লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বইকা লাব্বাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইকা ইন্নালহামদা ওয়ান্নি’মাতা লাকা ওয়াল্ মুলকা লা শারীকা লাকা’ পাঠ করতে থাকবে।
মসজিদুল হারামে পৌছার পর প্রবেশের পূর্বে সম্ভব হলে গোসল করবে অথবা ওযু বিহীন অবস্থায় থাকলে ওযু করে নিবে।
তার পর প্রথমে ডান পা দিয়ে নিম্নের দু’আ টি পড়ে প্রবেশ করবে। দু’আটি এই - ’আউযু বিল্লাহিল আযীম ওয়া বিওয়াজহিহিল কারীম ওয়া সুলতানিহিল ক্বাদীম মিনাশ্ শায়তানির রাজীম বিসমিল্লাহি ওয়াছছালাতু ওয়াসসালামু আ’লা রাসুলিল্লাহি আল্লাহুম্মাফ্ তাহলী আবওয়াবা রাহমতিকা'
মসজিদে প্রবেশের পর প্রথম কাজ হ’ল ত্বাওয়াফ করা।ত্বাওয়াফের জন্য আল্লাহর ঘরের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত হাজরে আস্ওয়াদ বরাবর দাঁড়াবে এবং পুরুষেরা ’ইযতিবা’ করবে অর্থাৎ ডান বগলের নীচে দিয়ে ইহরামের কাপড় বাম কাঁধের উপরে উঠিয়ে রাখবে এবং ডান কাঁধ খোলা রাখবে। শুধুমাত্র প্রথম ত্বাওয়াফেই ইযতিবা করা সুন্নত।এছাড়া অন্য কোন সময়ে তা সুন্নত নয় বরং হাজী সবসময় উভয় কাঁধ ঢেকে রাখবে। অতঃপর যদি সুযোগ হয় তা হলে হাজরে আসওয়াদ কে চুমা দিবে। যদি চুমা দিতে না পারে তা হলে হাতে বা লাঠি দ্বারা স্পর্শ করবে এবং হাত বা লাঠিতে চুমা দিবে। আর যদি স্পর্শ করতে না পারে তাহলে হাত উঠিয়ে সে দিকে ইঙ্গিত করবে কিন্তু চুমা দিবে না। হাজরে আসওয়াদ কে চুমা, স্পর্শ বা সেদিকে ইঙ্গিতের সময় প্রতিবারই بسم الله والله أكبر 'বিসমিল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবার' বলবে।
হাজরে আসওয়াদ থেকে শুরু করে ঘুরে এসে হাজরে আসওয়াদে শেষ করবে। এক বার ঘুরে আসলে এক চক্কর হবে। এমনিভাবে সাত চক্কর দিতে হবে তাহলে এক তাওয়াফ হবে। প্রথম তিন চক্করে পুরুষদের জন্য 'রমল' অর্থাৎ জোরে হাঁটা সুন্নত। বাকী চার চক্করে সাধারণভাবে চলবে। তাওয়াফের প্রতি চক্করের জন্য বিশেষ কোন দু’আ বর্ণিত নেই। সুতুরাং যা ইচ্ছা নিজের ভাষায় মন দিয়ে দু’আ করবে। ইচ্ছা হলে কুরআন মজীদ তেলাওয়াত করতে পারে। তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদ এবং রুকুনে ইয়ামানী ব্যতীত কা’বা ঘরের অন্য কোন স্থানে হাত লাগাবে না। রুকুনে ইয়ামানী থেকে হাজরে আসওয়াদ পর্যন্ত মধ্যবর্তী স্থান ত্যাগ করার সময়ঃ
ربناآتنافى الدنيا حسنه وفى الاخرة حسنة وَقنا عذاب النَار
’রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুন্য়া হাসানাতান ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতান ওয়া ক্বিনা আযাবান্নার’ পড়তে থাকবে। রুকুনে ইয়ামানী কে ষ্পর্শ করতে না পারলে ইঙ্গিত করতে হবে না বা কিছু বলতেও হবে না।
মনে রাখবে, আল্লাহর ঘরের ত্বাওয়াফ করা ছালাতের সমান। সুতুরাং ত্বাওয়াফের সময় কথা কম বলবে এবং বেশী বেশী যিকির-আযকার ও দুআ’ দরুদ পড়বে। অতি অনুনয় বিনয়ের সহিত ত্বাওয়াফ সম্পন্ন করবে।ত্বাওয়াফের সময় পবিত্র থাকা আবশ্যক।ত্বাওয়াফ শেষ হয়ে গেলে উভয় কাঁধ ঢেকে চাদর পরিধান করবে। তারপরঃ واتخذوامن مقام ابراهيم مصلى ’ওয়াত্তাখিযু মিম্মাক্বামি ইবরাহীমা মুছাল্লা’ বলে মাক্বামে ইবরাহীমের দিকে আসবে এবং তার পিছনে মসজিদের যে কোন স্থানে দু’রাকাত ছালাত পড়বে। প্রথম রাকাতে সুরা কাফিরুন এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ইখলাছ পাঠ করবে। ছালাত শেষে মন ভরে যমযম পান করবে এবং মাথায় ও বুকে ঢালবে। তার পর পুনরায় হজরে আসওয়াদ কে ছুঁয়ে কিংবা তার দিকে ইঙ্গিত করে তাকবীর বলে ’ছাফা’ পাহাড়ের দিকে যাবে। ছাফা পাহাড়ে চড়ার পর
’ইন্নাচ্ছাফা ওয়াল মারওয়াতা মিন শাআ’ইরিল্লাহি ফামান হজ্জাল বায়তা আউয়ি’তামারা ফালা জুনাহা আলাইহি আঁইয়াত্তাওয়াফা বিহিমা ওয়া মান তাত্বাওয়াআ’ খায়রান ফাইন্নাল্লাহা শাকিরুন আলীম’ বলবে। তারপর বলবে’আবদাউ বিমা বাদাআল্লাহূ বিহী’।
তারপর পাহাড়ের একটু উপরে উঠে কেবলামুখী হয়ে তিনবার নিম্নের এদু’আ টি পড়বে-
’আল্লাহূ আকবার আল্লাহূ আকবার আল্লাহূ আকবার লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহূ লা শারীকালাহূ লাহূল মুলকু ওয়া লাহূল হাম্দু ওয়াহূয়া আ’লা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর লাইলাহা ইল্লাল্লাহূ ওয়াহদাহূ আনজাযা ওয়া’দাহূ ওয়া নাছারা আ’বদাহূ ওয়া হাযামাল আহ্যাবা ওয়াহ্দাহূ’।
এবং তিনবার উভয় হাত উঠিয়ে দু’আ করবে। তারপর মারওয়ার দিকে যাবে। ছাফা থেকে মারওয়ায় গেলে এক চক্কর হবে। আবার মারওয়া থেকে ছাফায় আসলে আর এক চক্কর হবে। এমনিভাবে সাত চক্কর আসা-যাওয়া করতে হবে।ছাফা থেকে শুরু হবে এবং মারওয়াতে শেষ হবে। সবুজ রঙ্গের বাতির মধ্যবর্তী স্থানে প্রতি বার দৌড়তে হবে।কিন্তু মহিলারা আস্তে আস্তে চলবে। মারওয়াতে গিয়েও ছাফার মত আমল করবে। ছাফা মারওয়ায় সাঈ করার সময় বিশেষ কোন দু’আ বর্ণিত নেই। নিজের ভাষায় যা ইচ্ছা দু’আ করবে। ছাফা মারওয়ার সাঈ শেষ করার পর পুরুষেরা মাথার চুল সম্পূর্ণ ফেলে দিবে বা খাট করবে আর মহিলারা চতুর্পাশ্ব থেকে দুএক ইঞ্চি চুল কাটবে। তার পর ইহরামের কাপড় খোলে সাধারণ কাপড় পরিধান করবে। এভাবে উমরা সম্পন্ন হয়ে যাবে।

হজ্জের বর্ণনা
হজ্জের রুকনসমুহঃ
হজ্জের রুকন বা ফরয চারটি যথাঃ
(১) ইহরাম বাঁধা
(২) আরাফায় অবস্থান করা
(৩) ত্বাওয়াফে ইফাযাহ (তাওয়াফে যিয়ারত) করা
(৪) সাঈ করা ।

হজ্জের ওয়াজিবসমূহঃ
(১) মীকাত থেকে ইহরাম বাধাঁ
(২) মাগরীব পর্যন্ত আরাফায় অবস্থান করা
(৩) মুযদালিফাতে রাত্রি যাপন করা
(৪) তাশরীকের রাতসমুহ মিনাতে অবস্থান করা
(৫) জামরাতে পাথর নিক্ষেপ করা।
(৬) জামরাতুল আক্বাবাতে পাথর নিক্ষেপের পর মাথা মুন্ডানো
(৭) বিদায়ী ত্বাওয়াফ করা।
মনে রাখবেন, হজ্জের রুকন আদায় না করলে হজ্জে হবেনা। আর হজ্জের ওয়াজিব আদায় না হলে তার জন্য একটি কুরবানী করতে হবে। তবে হজ্জের সুন্নাতসমুহে কোন ত্র“টি হলে তার জন্য কোন পাপ হবেনা কিংবা কুরবানীও ওয়াজিব হবেনা।

হজ্জের প্রকারভেদঃ
হজ্জ তিন প্রকার। যথাঃ তামাত্তু, ক্বিরাণ ও ইফরাদ। তামাত্তু হল, হজ্জের মাস সমূহে ভিন্ন ভিন্ন ইহরামে দ্বারা প্রহমে উমরা তারপর হজ্জ আদায় করা। ক্বিরাণ হল, একই ইহরামে উমরা-হজ্জ একসাথে আদায় করা। আর ইফরাদ হল, শুধু হজ্জ আদায় করা।

(১) হজ্জে তামাত্তু করার নিয়মঃ
হজ্জে তামাত্তু হ’ল, হজ্জের মাসে উমরার ইহরাম বেঁধে বায়তুল্লাহর ত্বাওয়াফ ও ছাফা-মারওয়ার সাঈ শেষে মাথা মুন্ডন করে বা চুল ছোট করে ইহরাম থেকে হালাল হয়ে যাবে। অতঃপর ৮ই জিলহজ্জ তারিখে স্বীয় অবস্থানস্থল থেকে হজ্জের ইহরাম বেঁধে পূর্বাহ্নে মিনায় গমন করবে। তথায় পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত অর্থাৎ যুহর, আছর, মাগরিব, ইশা এবং ফজরের ছালাত স্ব স্ব সময়ে ক্বছর [অর্থাৎ চার রাকাত বিশিষ্ট ছালাতকে দু’রাকাত] করে আদায় করবে।৯ই জিলহজ্জ সুর্যোদয়ের পর মিনা হতে ধীরস্থিরভাবে তালবিয়া পাঠ করতঃ আরাফা ময়দান অভিমুখে রওয়ানা হবে এবং ময়দানের চিহ্ণিত সীমানার মধ্যে সুবিধা মত স্থানে অবস্থান করবে। যুহর ও আসরের ছলাত একত্রে এক আযান ও দুই ইক্বামত দিয়ে ক্বছর করে আদায় করে নিবে। এখানে অবস্থানকালে সর্বদা যিকর, তাসবীহ ও তেলাওয়াতে রত থাকবে। রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সর্ব শ্রেষ্ঠ দু’আ হল আরাফার দু’আ। আর তা হ’লঃ ’লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহূ লা শারীকা লাহু লাহূল মুলকু ওয়া লাহূল হাম্দু ওয়াহূয়া আ’লা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর’।
এসময় সহীহ হাদীসে বর্ণিত বিভিন্ন দু’আ যার যা আছে তা পড়বে ও কুরআন তেলাওয়াতে মগ্ন থাকবে। অতঃপর সুর্য অস্ত যাবার পর তালবিয়া ও তাওবা ইস্তেগফার করতে করতে ধীরে সুস্থে মুযদালিফা অভিমুখে রওয়ানা হবে। মুযদালিফায় পৌঁছে ইশার সময় মাগরিব-ইশা উভয় ছালাত একত্রে এক আযান ও দুই ইক্বামত দিয়ে ক্বছর করে আদায় করবে। অতঃপর ফজর পর্যন্ত ঘুমাবে এবং ফজরের ছালাতের পর দীর্ঘক্ষণ কেবলামুখী হয়ে দু’আ করবে এবং সুর্যোদয়ের পূর্বে মিনা অভিমুখে রওয়ানা হবে। মিনা পৌঁছে প্রথমে ’জামরাতুল আক্বাবায়’ [যা মক্কার নিকটবর্তী] সাতটি কংকর নিক্ষেপ করবে। প্রতিটি কংকর নিক্ষেপের সময় 'আল্লাহু আকবার' বলবে। কংকরগুলি হাউজে পড়লেই হবে। তার পরে কুরবানী করবে এবং মাথা মুন্ডন করে কিংবা সমস্ত চুল ছোট করে মক্কায় গিয়ে ত্বাওয়াফে ইফাযা করবে। ১০ই জিলহজ্জের এই কাজগুলির কোনটি আগপিছ হয়ে গেলে তাতে কোন দোষ নেই। ত্বাওয়াফে ইফাযার পর সাঈ করবে। এতে করে পূর্ণ হালাল হবে। তারপর সন্ধ্যার পূর্বে মিনায় চলে আসবে এবং তথায় ১০,১১,১২ ও ১৩ তিন দিন কিংবা চার দিন অবস্থান করবে।১১ থেকে ১৩ পর্যন্ত প্রতি দিন সুর্য ঢলার পর তিনটি জামরায় সাতটি করে মোট ২১টি কংকর নিক্ষেপ করবে। কারো তাড়া থাকলে ১২ তারিখে সূর্যাস্তের পূর্বে মিনা ত্যাগ করে তাওয়াফে বিদা করে চলে আসতে পারবে। অন্যথায় ১৩ তারিখ পর্যন্ত মিনায় থাকতে হবে। এভাবে হজ্জে তামাত্তু শেষ হবে।

(২) হজ্জে ক্বিরান আদায়ের নিয়মঃ
হজ্জে ক্বিরান করতে চাইলে এক সাথে হ্জ্জ ও উমরার ইহরাম বাঁধতে হবে এবং বলতে হবে ’লাব্বাইকা আল্লাহূম্মা উমরাতান ওয়া হাজ্জান’।
বাকী কাজগুলি উপরে বর্ণিত উমরা ও হজ্জের মত আদায় করতে হবে। তবে হজ্জে কিরান আদায়কারী উমরার সাঈর পর মাথা মুন্ডন করে বা ছোট করে ইহরামের কাপড় খোলে হালাল হবে না। বরং ইহরামাবস্থায় হজ্জের সময়ের অপেক্ষা করতে থাকবে। ৮ই জিলহজ্জ ইহরামাবস্থায় মিনায় গমন করবে এবং বাকী কাজগুলো পূর্বের বর্ণনা মত করবে। হজ্জে ক্বিরানে একটি সাঈ যথেষ্ট হয়ে যায়। হজ্জে কিরানে কুরবানী ওয়াজিব হবে। আর কুরবানী করতে না পারলে দশদিন রোযা রাখতে হবে।

(৩) হজ্জে ইফরাদ করার নিয়মঃ
হজ্জে ইফরাদ করতে চাইলে মীক্বাত থেকে শুধু হজ্জের নিয়তে ইহরাম বাঁধবে এবং "লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা হাজ্জান" বলে অন্তরে নিয়ত করবে। তারপর যদি সময় থাকে তা হলে বায়তুল্লাহ শরীফে পৌঁছে ত্বাওয়াফ করবে আর যদি সময় না থাকে তাহলে সরাসরী মিনায় চলে যাবে এবং উপরে বর্ণিত নিয়মে হজ্জের কার্যগুলি সস্পন্ন করবে। 


মক্কা মদীনায় হাজী সাহেবানদের করনীয় ,বর্জনীয় **********
*******************************
সব সময় জিকর , কোরান তেলাওয়াত , তাওয়াফ বেশী করা দুরুদ শরীফ বেশী পডা , বাজে আলাপ না করা, এখানে এসে সংসারের চিন্তা না করে আখেরাতের সফলতার কথা মাথায় রাখা , গিবত শেকায়েত থেকে বিরত থাকা , আর নিজের জন্য ,সংসারের সকলের জন্য , সকল বন্ধুবান্ধব ও সকল মুসলমানের জন্য বিশেষ ভাবে দোয়া করা , বারংবার দোয়া করা , তওবা করা , বেশী বেশী নফল

নামাজ পডা ইত্যদি, আর৫ওয়াক্ত নামাজ বাজামায়াত হারাম শরীফে পড়া কারন সেখানে ১ রাকাতে ১ লক্ষ রাকাত নামাজের ছওয়াব , তাই ১ ওয়াক্তে ৪ রাকাতে ৪ লক্ষ রাকাতের ছাওয়াব, যা এক জন মানুষের সারা জিন্দেগীর তথা ৬০ বৎসর হায়াতের নামাজের প্রায় ৩ চথতুর্থাংয়ের সমান
যেমন-----
দৈনিক =========== ১৭ রাকাত ফরজ নামাজ
মাসিক ======= ১৭*৩০ = ৫১০ রাকাত
বৎসর ========= ৫১০*১২ =৬১২০ রাকাত
জিন্দেগীতে =====
৬০ বৎসর বয়স হলে নাবালিগী বাদে ৪৫ বৎসর এর নামাজ = ৬১২০*৪৫ বৎসর = ২৭৫৪০০ রাকাত
আর মক্কার হারাম শরীফে শুধু মাত্র এক ওয়াক্ত নামাজের ৪ রাকাতে ছওয়াব চার লক্ষ রাকাত সমতুল্য
যা একজন মানুষের সারা জিন্দিগীর নামাজের চেয়েও বেশী ,
আবার মদীনার মসজিদে নববীতে এক রাকাতে ১০০০ হাজার রাকাতের ছওয়াব পাওয়া যায় ,
ছোবহানাল্লাহ .তাহলে একমাত্র হতভাগারাই হারাম শরীফের পাশে আবস্হান করা সত্বেও মসজিদে হারামে না গিয়ে নিজ বাসায় একা একি নামাজ আদায় করেন ৷

পরামর্শ ==
১৷ হারাম শরীফে যথা সম্ভব আজানের ১ঘন্টা/আধাঘন্টা আগে যাওয়া, নতুবা বিতরে জায়গা পাবেন্না,দেরীতে আসলে জায়নামাজ আবশ্যই সাথে আনবেন ৷
২৷ পেটে বা প্রস্রাবের সমস্যা থাকলে পানি ও খাওয়া দাওয়া কন্ট্রোল করুন ,
৩ ৷ জুতা সেন্ডেল পলিথিন করে সাথেই রাখুন ৷
৪৷ মানুষের চলাচল রাস্তা এডিয়ে বসুন ৷
৫৷ সাথিদের ফোন নং ,মোয়ালি্লমের ফোন সাথেই রাখুন ৷
৬৷হারাম শরীফের প্রবেশ পথ তথা গেইট নং খেয়াল রাখুন ৷যাতে আসা যাওয়ায় পথ ভূলে না যান ৷
৭ ৷ সাথী/ তাবু/হোটেল হারিয়ে ফেললে অযথা ঘূরা ঘূরি না করে অধৈয্য না হয়ে নিজের সাথে থাকা কার্ড নিরাপত্তা কর্মিদের দেখান ,
৮৷সাথীদের কয়েক জনের নাম্বর রাখুন
৯৷ যে কোন সময় সফরের দিন তারিখ ও সময় ভাল করে জেনে নিন ৷
১০৷ কংকর নিক্ষেপের সময় তাডা হুডা না করে , ধীরস্হীর ভাবে সূযোগ বুঝেই অগ্রসর হউন ৷



লেখক কে ভূলবেননা আপনাদের দোয়ার মধ্যে ,
দোয়াই কামনা
আল্লাহ সকলকে হজ্বে মাবরুর নছীব করুন আমিন

http://www.sonarbangladesh.com/blog/DaliaNuzha/132157 



http://www.sonarbangladesh.com/blog/DaliaNuzha/127188


 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন