মাযহাব কে সৃষ্টি করেছেন? =
==========================
আমরা বলবো যে মাযহাব সৃষ্টিকারী আল্লাহ তায়ালাই, কারণ আল্লাহ তায়ালা কুদরতী ভাবেই এমাযহাব সৃষ্টি করেছেন।তবে একটু খোলাসা করে বললে বিষয়টা বুঝতে সহজ হবে।
যেমন মানুষ মূলত ২টি জিনিষের সমষ্টির নাম, দেহ এবং রূহ,আর রূহ বিহীন দেহকে লাশ বলা হয়। আর এই দেহ বা শরীরের রক্ষনা-বেক্ষণ হয় খাদ্য ও পানীয় দ্বারা, সেই হিসাবে বাংলাদেশীদের প্রধান খাদ্য ভাত-মাছ তরিতরকারী আরবদের প্রধান খাদ্য খেজুর,আর পাকিস্তানীদের গোস্ত-রুটি ,ইউরোপিয়ানদের প্রধান খাদ্য আলু।এখন কোন বাংলাদেশী যদি আরবদের মত খেজুর বা পাকিস্তানীদের মত গোস্ত-রুটি খাওয়া আরম্ভ করে,বা কোন আরবী বাংলাদেশীদের মত ভাত-মাছ-তরিতরকারী ইত্যাদী খাওয়া আরম্ভ করেদে তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে তার পেট খারাপ হয়ে অসুস্হ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ প্রত্যেক এলাকার আবহাওয়া আর পরিবেশের কারণে খাদ্যের মধ্যে এমন তারতম্য হয়ে থাকে। সারা পৃথিবীতে এক এক এলাকার লোকদের জন্য এক এক প্রকারের খাদ্যের তারতম্য কে তৈরী করেছেন? নিশ্চয় বলবো আল্লাহ তায়ালাই এক এক এলাকার আবহাওয়া ও পরিবেশের কারণে কুদরতী ভাবে মানব দেহের হেফাজতের জন্য খাদ্যের এতারতম্য সৃষ্টি করেছেন।
তেমনি ভাবে মানব দেহের অপর অংশ "রূহ" আর এই রূহের গেজার জন্য মহান রাব্বুল আলামীন মাযহাব সৃষ্টি করেছেন পরিবেশের তারতম্য অনুসারে।তাকেমন করে একটু চিন্তা করলেই আমাদের বুঝতে কারো কষ্ট হবেনা।যেমন ইমামে দারুল হিজরাত ইমাম মালেক রঃ,তাঁর জন্ম মৃত্যু এলেম অর্জন প্রচার-প্রসার সব কিছুই মদীনা-মনোয়য়ারাহ হওয়া সত্বেও তাঁর মাযহাব বা মতাদর্শ মদীনায় প্রতিষ্ঠিত হয়নি,বরং তিউনিশিয়া ,স্পেইন সহ পশ্চিমা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কেউ সেখানে টেনে নেননি ঠেলেও দেননি বরং আল্লাহর কুদরতই সেখানে টেনে নিয়ে গেছেন ।
ঈমাম শাফেয়ী আলকোরায়শি রাহঃ জন্ম হেজাজে মোকাদ্দাসায় জ্ঞান অর্জনসহ প্রচার প্রসার মক্কায় হওয়া সত্বেও তার মাযহাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আফ্রিকার দেশ গূলোতে। সেখানে কে টেনে নিয়ে গেলেন?আবশ্যই আল্লাহর কুদরত।
ঈমাম আহমদ বিন হাম্বল তিনি তাঁর জ্ঞানচর্চা ও এর প্রচার-প্রসার ইরাকের কুফায় হওয়া সত্বেও সেখানে তাঁর মাযহাব প্রতিষ্ঠিত হয়নি বরং আল্লাহ তায়ালা কুদরতীভাবে টেনে নিয়ে গেলেন মক্কা-মদীনাহ সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলোতে সেখানে কেউ টেনেও নেননি ঠেলও দেননি বরং মহান আল্লাহর কুদরতের ইচ্ছায় সেই এলাকার মানুষের রুহানী খোরাক আহমদ বিন হাম্বলের মছলক বা মাযহাব দ্বারায় দিয়েছেন।
তেমনি ভাবে ইমাম আবু হানিফা রাহঃ ইরাকের কুফায় মৃত্যু পর্যন্ত সেখানে জ্ঞানচর্চা, গবেষনা,ও বিতরণ সহ সব কিছুই কুফাতে হওয়া সত্বেও আল্লাহর কুদরতে তাঁর মতবাদ বা মাযহাব টেনে নিয়ে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্ত তথা দক্ষিন এশিয়ার দেশ গুলোতে প্রতিষ্ঠিত করলেন অর্থাৎ ইসলাম প্রচারের পর থেকে উক্ত এলাকাগুলোতে বসবাসরত ইসলামী দার্শনীক মুজতাহীদ ওলামাগন ইমামে আজম আবু হানিফা রাঃ এর গবেষনাধর্মী ফরয়য়ী মাছায়েল গুলোকে কোরআন সুন্নাহর আলোকে হক্ব হিসাবে মেনে নিয়েছেন।এরং হাজার বছর থেকে এর উপর সমস্ত উম্মতের আমলও জারী রয়েছ।তেমনি ভাবে অন্যান্য ইমাম ও মাযহাবের বেলায়ও।তবে একটা কথা সকলেরই জানা দরকার চার ইমামের সকলেই ফরয়য়ী মাছালায় ভিন্নতা হলেও কিন্তু উসূলী মাছয়ালায় সকলেই ঐক্যমত পোষন করেছেন।এটা সকলেই জানেন।
আসলে আবস্হা দৃষ্টেমনে হয় যা অনেক ওলামাগন মনে করেন যে, (সাধারণ ছোটখাটো তথা ফরয়য়ী মাছায়েলের ভিন্নতা কিন্তু এজতেহাদের কারণেই হয়ে থাকে,যদি মোজতাহিদের এজতেহাদ ছহীহ হয় তাহলে দ্বীগুন ছাওয়াব অন্যথায় একটি ছাওয়াব যা হাদীস দ্বারা প্রমানীত)আল্লাহ তায়ালার মনসা ছিল যে তাঁর প্রিয় হাবীবের করা প্রত্যেকটি আমল সারা পৃথিবীতে বাস্তবায়ন হউক।এখন এই চার মাযহাবের ভিন্নতার কারণে নবী সাঃ এর প্রত্যেকটি কাজ কোননা কোন প্রকারে পৃথিবীতে বাস্তবায়ন হচ্ছে। সুতরাং এই ৪ মাযহাবের কুদরতী সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তায়ালাই।
==========================
আমরা বলবো যে মাযহাব সৃষ্টিকারী আল্লাহ তায়ালাই, কারণ আল্লাহ তায়ালা কুদরতী ভাবেই এমাযহাব সৃষ্টি করেছেন।তবে একটু খোলাসা করে বললে বিষয়টা বুঝতে সহজ হবে।
যেমন মানুষ মূলত ২টি জিনিষের সমষ্টির নাম, দেহ এবং রূহ,আর রূহ বিহীন দেহকে লাশ বলা হয়। আর এই দেহ বা শরীরের রক্ষনা-বেক্ষণ হয় খাদ্য ও পানীয় দ্বারা, সেই হিসাবে বাংলাদেশীদের প্রধান খাদ্য ভাত-মাছ তরিতরকারী আরবদের প্রধান খাদ্য খেজুর,আর পাকিস্তানীদের গোস্ত-রুটি ,ইউরোপিয়ানদের প্রধান খাদ্য আলু।এখন কোন বাংলাদেশী যদি আরবদের মত খেজুর বা পাকিস্তানীদের মত গোস্ত-রুটি খাওয়া আরম্ভ করে,বা কোন আরবী বাংলাদেশীদের মত ভাত-মাছ-তরিতরকারী ইত্যাদী খাওয়া আরম্ভ করেদে তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে তার পেট খারাপ হয়ে অসুস্হ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ প্রত্যেক এলাকার আবহাওয়া আর পরিবেশের কারণে খাদ্যের মধ্যে এমন তারতম্য হয়ে থাকে। সারা পৃথিবীতে এক এক এলাকার লোকদের জন্য এক এক প্রকারের খাদ্যের তারতম্য কে তৈরী করেছেন? নিশ্চয় বলবো আল্লাহ তায়ালাই এক এক এলাকার আবহাওয়া ও পরিবেশের কারণে কুদরতী ভাবে মানব দেহের হেফাজতের জন্য খাদ্যের এতারতম্য সৃষ্টি করেছেন।
তেমনি ভাবে মানব দেহের অপর অংশ "রূহ" আর এই রূহের গেজার জন্য মহান রাব্বুল আলামীন মাযহাব সৃষ্টি করেছেন পরিবেশের তারতম্য অনুসারে।তাকেমন করে একটু চিন্তা করলেই আমাদের বুঝতে কারো কষ্ট হবেনা।যেমন ইমামে দারুল হিজরাত ইমাম মালেক রঃ,তাঁর জন্ম মৃত্যু এলেম অর্জন প্রচার-প্রসার সব কিছুই মদীনা-মনোয়য়ারাহ হওয়া সত্বেও তাঁর মাযহাব বা মতাদর্শ মদীনায় প্রতিষ্ঠিত হয়নি,বরং তিউনিশিয়া ,স্পেইন সহ পশ্চিমা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কেউ সেখানে টেনে নেননি ঠেলেও দেননি বরং আল্লাহর কুদরতই সেখানে টেনে নিয়ে গেছেন ।
ঈমাম শাফেয়ী আলকোরায়শি রাহঃ জন্ম হেজাজে মোকাদ্দাসায় জ্ঞান অর্জনসহ প্রচার প্রসার মক্কায় হওয়া সত্বেও তার মাযহাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আফ্রিকার দেশ গূলোতে। সেখানে কে টেনে নিয়ে গেলেন?আবশ্যই আল্লাহর কুদরত।
ঈমাম আহমদ বিন হাম্বল তিনি তাঁর জ্ঞানচর্চা ও এর প্রচার-প্রসার ইরাকের কুফায় হওয়া সত্বেও সেখানে তাঁর মাযহাব প্রতিষ্ঠিত হয়নি বরং আল্লাহ তায়ালা কুদরতীভাবে টেনে নিয়ে গেলেন মক্কা-মদীনাহ সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলোতে সেখানে কেউ টেনেও নেননি ঠেলও দেননি বরং মহান আল্লাহর কুদরতের ইচ্ছায় সেই এলাকার মানুষের রুহানী খোরাক আহমদ বিন হাম্বলের মছলক বা মাযহাব দ্বারায় দিয়েছেন।
তেমনি ভাবে ইমাম আবু হানিফা রাহঃ ইরাকের কুফায় মৃত্যু পর্যন্ত সেখানে জ্ঞানচর্চা, গবেষনা,ও বিতরণ সহ সব কিছুই কুফাতে হওয়া সত্বেও আল্লাহর কুদরতে তাঁর মতবাদ বা মাযহাব টেনে নিয়ে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্ত তথা দক্ষিন এশিয়ার দেশ গুলোতে প্রতিষ্ঠিত করলেন অর্থাৎ ইসলাম প্রচারের পর থেকে উক্ত এলাকাগুলোতে বসবাসরত ইসলামী দার্শনীক মুজতাহীদ ওলামাগন ইমামে আজম আবু হানিফা রাঃ এর গবেষনাধর্মী ফরয়য়ী মাছায়েল গুলোকে কোরআন সুন্নাহর আলোকে হক্ব হিসাবে মেনে নিয়েছেন।এরং হাজার বছর থেকে এর উপর সমস্ত উম্মতের আমলও জারী রয়েছ।তেমনি ভাবে অন্যান্য ইমাম ও মাযহাবের বেলায়ও।তবে একটা কথা সকলেরই জানা দরকার চার ইমামের সকলেই ফরয়য়ী মাছালায় ভিন্নতা হলেও কিন্তু উসূলী মাছয়ালায় সকলেই ঐক্যমত পোষন করেছেন।এটা সকলেই জানেন।
আসলে আবস্হা দৃষ্টেমনে হয় যা অনেক ওলামাগন মনে করেন যে, (সাধারণ ছোটখাটো তথা ফরয়য়ী মাছায়েলের ভিন্নতা কিন্তু এজতেহাদের কারণেই হয়ে থাকে,যদি মোজতাহিদের এজতেহাদ ছহীহ হয় তাহলে দ্বীগুন ছাওয়াব অন্যথায় একটি ছাওয়াব যা হাদীস দ্বারা প্রমানীত)আল্লাহ তায়ালার মনসা ছিল যে তাঁর প্রিয় হাবীবের করা প্রত্যেকটি আমল সারা পৃথিবীতে বাস্তবায়ন হউক।এখন এই চার মাযহাবের ভিন্নতার কারণে নবী সাঃ এর প্রত্যেকটি কাজ কোননা কোন প্রকারে পৃথিবীতে বাস্তবায়ন হচ্ছে। সুতরাং এই ৪ মাযহাবের কুদরতী সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তায়ালাই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন