নারী ও শিশু নির্যাতন
দমন আইন, ২০০০
(
২০০০ সনের ৮ নং
আইন )
[১৪
ফেব্রুয়ারী, ২০০০]
নারী
ও শিশু নির্যাতনমূলক অপরাধসমূহ
কঠোরভাবে দমনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয়
বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন৷
যেহেতু
নারী ও শিশু নির্যাতনমূলক
অপরাধসমূহ কঠোরভাবে দমনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয়
বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন
ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু
এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন
করা হইল :-
সূচী
ধারাসমূহ
১৷ সংক্ষিপ্ত
শিরোনামা
২৷ সংজ্ঞা
৩৷ আইনের
প্রাধান্য
৪৷ দহনকারী,
ইত্যাদি পদার্থ দ্বারা সংঘটিত
অপরাধের শাস্তি
৫। [রহিত]
৬। [রহিত]
৭৷ নারী
ও শিশু অপহরণের শাস্তি
৮৷ মুক্তিপণ
আদায়ের শাস্তি
৯৷ ধর্ষণ,
ধর্ষণজনিত কারণে মৃত্যু, ইত্যাদির
শাস্তি
৯ক৷ নারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনা,
ইত্যাদির শাস্তি
১০৷ যৌন পীড়ন, ইত্যাদির
দণ্ড
১১৷ যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানো,
ইত্যাদির শাস্তি
১২৷ ভিক্ষাবৃত্তি, ইত্যাদির উদ্দেশ্যে শিশুকে অঙ্গহানি করার
শাস্তি
১৩৷ ধর্ষণের ফলশ্রুতিতে জন্মলাভকারী শিশু সংক্রান্ত বিধান
১৪৷ সংবাদ মাধ্যমে নির্যাতিতা
নারী ও শিশুর পরিচয়
প্রকাশের ব্যাপারে বাধা-নিষেধ
১৫৷ ভবিষ্যত্ সম্পত্তি হইতে অর্থদণ্ড আদায়
১৬৷ অর্থদণ্ড বা ক্ষতিপূরণ আদায়ের
পদ্ধতি
১৭৷ মিথ্যা মামলা, অভিযোগ
দায়ের ইত্যাদির শাস্তি
১৮৷ অপরাধের তদন্ত
১৯৷ অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ,
ইত্যাদি
২০৷ বিচার পদ্ধতি
২১৷ আসামীর অনুপস্থিতিতে বিচার
২২৷ ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক যে কোন
স্থানে জবানবন্দি গ্রহণের ক্ষমতা
২৩৷ রাসায়নিক পরীক্ষক, রক্ত পরীক্ষক, ইত্যাদির
সাক্ষ্য
২৪৷ সাক্ষীর উপস্থিতি
২৫৷ ফৌজদারী কার্যবিধির প্রয়োগ, ইত্যাদি
২৬৷ নারী ও শিশু
নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল
২৭৷ ট্রাইব্যুনালের এখ্তিয়ার
২৮৷ আপীল
২৯৷ মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন
৩০৷ অপরাধে প্ররোচনা বা
সহায়তার শাস্তি
৩১৷ নিরাপত্তামূলক হেফাজত
৩১ক৷ ট্রাইব্যুনাল, ইত্যাদির জবাবদিহিতা
৩২৷ অপরাধের শিকার ব্যক্তির মেডিক্যাল
পরীক্ষা
৩৩৷ বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
৩৪৷ ১৯৯৫ সনের ১৮
নং আইনের রহিতকরণ ও
হেফাজত
বিস্তারীত
নারী ও শিশু নির্যাতন
দমন আইন, ২০০০
( ২০০০ সনের ৮
নং আইন ) [১৪ ফেব্রুয়ারী,
২০০০]
নারী ও শিশু নির্যাতনমূলক
অপরাধসমূহ কঠোরভাবে দমনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয়
বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন৷
যেহেতু
নারী ও শিশু নির্যাতনমূলক
অপরাধসমূহ কঠোরভাবে দমনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয়
বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন
ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু
এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন
করা হইল :-
সংক্ষিপ্ত
শিরোনামা
১৷ এই আইন নারী
ও শিশু নির্যাতন দমন
আইন, ২০০০ নামে অভিহিত
হইবে৷
সংজ্ঞা
২৷ বিষয় বা প্রসংগের
পরিপন্থী কোন কিছু না
থাকিলে, এই আইনে,-
(ক) “অপরাধ” অর্থ এই
আইনের অধীন শাস্তিযোগ্য কোন
অপরাধ;
(খ) “অপহরণ” অর্থ বলপ্রয়োগ
বা প্রলুব্ধ করিয়া বা ফুসলাইয়া
বা ভুল বুঝাইয়া বা
ভীতি প্রদর্শন করিয়া কোন স্থান
হইতে কোন ব্যক্তিকে অন্যত্র
যাইতে বাধ্য করা;
(গ) “আটক” অর্থ কোন
ব্যক্তিকে তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে
কোন স্থানে আটকাইয়া রাখা;
(ঘ) “ট্রাইব্যুনাল” অর্থ এই আইনের
অধীন গঠিত কোন ট্রাইব্যুনাল;
(ঙ) “ধর্ষণ” অর্থ ধারা
৯ এর বিধান সাপেক্ষে,
Penal Code, 1860 (Act XLV of 1860) এর
Section 375 এ সংজ্ঞায়িত ærape”;
(চ) “নবজাতক শিশু” অর্থ
অনূর্ধ্ব চল্লিশ দিন বয়সের
কোন শিশু;
(ছ) “নারী” অর্থ যে
কোন বয়সের নারী;
(জ) “মুক্তিপণ” অর্থ আর্থিক সুবিধা
বা অন্য যে কোন
প্রকারের সুবিধা;
(ঝ) “ফৌজদারী কার্যবিধি” অর্থ Code of Criminal
Procedure, 1898 (Act V of 1898);
১[ (ঞ) “যৌতুক” অর্থ-
(অ) কোন বিবাহের বর
বা বরের পিতা বা
মাতা বা প্রত্যক্ষভাবে বিবাহের
সহিত জড়িত বর পক্ষের
অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক
উক্ত বিবাহের সময় বা তত্পূর্বে
বা বৈবাহিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকাকালে, বিবাহ স্থির থাকার
শর্তে, বিবাহের পণ হিসাবে বিবাহের
কনে পক্ষের নিকট দাবীকৃত
অর্থ, সামগ্রী বা অন্যবিধ সম্পদ;
অথবা
(আ) কোন বিবাহের কনে
পক্ষ কর্তৃক বিবাহের বর
বা বরের পিতা বা
মাতা বা প্রত্যক্ষভাবে বিবাহের
সহিত জড়িত বর পক্ষের
অন্য কোন ব্যক্তিকে উক্ত
বিবাহের সময় বা তত্পূর্বে
বা বৈবাহিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকাকালে, বিবাহ স্থির থাকার
শর্তে, বিবাহের পণ হিসাবে প্রদত্ত
বা প্রদানে সম্মত অর্থ, সামগ্রী
বা অন্যবিধ সম্পদ;
(ট) “শিশু” অর্থ অনধিক
ষোল বত্সর বয়সের কোন
ব্যক্তি;]
(ঠ) “হাইকোর্ট বিভাগ” অর্থ বাংলাদেশ
সুপ্রীমকোর্ট এর হাইকোর্ট বিভাগ৷
আইনের
প্রাধান্য
৩৷ আপাততঃ বলবত্ অন্য
কোন আইনে যাহা কিছুই
থাকুক না কেন, এই
আইনের বিধানাবলী কার্যকর থাকিবে৷
দহনকারী,
ইত্যাদি পদার্থ দ্বারা সংঘটিত
অপরাধের শাস্তি
৪৷ (১) যদি কোন
ব্যক্তি দহনকারী, ক্ষয়কারী অথবা বিষাক্ত পদার্থ
দ্বারা কোন শিশু বা
নারীর মৃত্যু ঘটান বা
মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টা করেন,
তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি
মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম
কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার
অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব এক লক্ষ টাকা
অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷
(২) যদি কোন ব্যক্তি
কোন দহনকারী, ক্ষয়কারী বা বিষাক্ত পদার্থ
দ্বারা কোন শিশু বা
নারীকে এমনভাবে আহত করেন যাহার
ফলে উক্ত শিশু বা
নারীর দৃষ্টিশক্তি বা শ্রবণশক্তি নষ্ট
হয় বা শরীরের কোন
অংগ, গ্রন্থি বা অংশ বিকৃত
বা নষ্ট হয় বা
তাহার শরীরের অন্য কোন
স্থান আহত হয়, তাহা
হইলে উক্ত শিশুর বা
নারীর-
(ক) দৃষ্টিশক্তি বা শ্রবণশক্তি নষ্ট
বা মুখমণ্ডল, স্তন বা যৌনাংগ
বিকৃত বা নষ্ট হওয়ার
ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে
বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয়
হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত
অনূর্ধ্ব এক লক্ষ টাকার
অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন;
(খ) শরীরের অন্য কোন
অংগ, গ্রন্থি বা অংশ বিকৃত
বা নষ্ট হওয়ার বা
শরীরের কোন স্থানে আঘাত
পাওয়ার ক্ষেত্রে, উক্ত ব্যক্তি অনধিক
চৌদ্দ বত্সর কিন্তু অন্যুন
সাত বত্সরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয়
হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত
অনূর্ধ্ব পঞ্চাশ হাজার টাকার
অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷
(৩) যদি কোন ব্যক্তি
কোন দহনকারী, ক্ষয়কারী অথবা বিষাক্ত পদার্থ
কোন শিশু বা নারীর
উপর নিক্ষেপ করেন বা করার
চেষ্টা করেন, তাহা হইলে
উক্ত ব্যক্তি, তাহার উক্তরূপ কার্যের
দরুণ সংশ্লিষ্ট শিশু বা নারীর
শারীরিক, মানসিক বা অন্য
কোনভাবে কোন ক্ষতি না
হইলেও, অনধিক সাত বত্সর
কিন্তু অন্যুন তিন বত্সরের
সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার
অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব পঞ্চাশ হাজার টাকার
অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷
(৪) এই ধারার অধীন
অর্থদণ্ডের অর্থ প্রচলিত আইনের
বিধান অনুযায়ী দণ্ডিত ব্যক্তির নিকট
হইতে বা তাহার বিদ্যমান
সম্পদ, বা তাহার মৃত্যুর
ক্ষেত্রে মৃত্যুর সময় রাখিয়া যাওয়া
সম্পদ হইতে আদায় করিয়া
অপরাধের দরুণ যে ব্যক্তির
মৃত্যু ঘটিয়াছে তাহার উত্তরাধিকারীকে বা,
ক্ষেত্রমত, যেই ব্যক্তি শারীরিক
বা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছেন, সেই ব্যক্তিকে বা
সেই ব্যক্তির মৃত্যুর ক্ষেত্রে, তাহার উত্তরাধিকারীকে প্রদান
করা হইবে৷
[রহিত]
৫। ২[
***]
[রহিত]
৬। ৩[
***]
নারী
ও শিশু অপহরণের শাস্তি
৭৷ যদি কোন ব্যক্তি
ধারা ৫-এ উল্লিখিত
কোন অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্য
ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে
কোন নারী বা শিশুকে
অপহরণ করেন, তাহা হইলে
উক্ত ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা অন্যুন চৌদ্দ
বত্সর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয়
হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত
অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷
মুক্তিপণ
আদায়ের শাস্তি
৮৷ যদি কোন ব্যক্তি
মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে কোন
নারী বা শিশুকে আটক
করেন, তাহা হইলে উক্ত
ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম
কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার
অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷
ধর্ষণ, ধর্ষণজনিত কারণে
মৃত্যু, ইত্যাদির শাস্তি
৯৷ (১) যদি কোন
পুরুষ কোন নারী বা
শিশুকে ধর্ষণ করেন, তাহা
হইলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম
কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার
অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷
ব্যাখ্যা৷-
যদি কোন পুরুষ বিবাহ
বন্ধন ব্যতীত ৪[ ষোল
বত্সরের] অধিক বয়সের কোন
নারীর সহিত তাহার সম্মতি
ব্যতিরেকে বা ভীতি প্রদর্শন
বা প্রতারণামূলকভাবে তাহার সম্মতি আদায়
করিয়া, অথবা ৫[ ষোল
বত্সরের] কম বয়সের কোন
নারীর সহিত তাহার সম্মতিসহ
বা সম্মতি ব্যতিরেকে যৌন
সঙ্গম করেন, তাহা হইলে
তিনি উক্ত নারীকে ধর্ষণ
করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন৷
(২) যদি কোন ব্যক্তি
কর্তৃক ধর্ষণ বা উক্ত
ধর্ষণ পরবর্তী তাহার অন্যবিধ কার্যকলাপের
ফলে ধর্ষিতা নারী বা শিশুর
মৃত্যু ঘটে, তাহা হইলে
উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম
কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার
অতিরিক্ত অন্যুন এক লক্ষ
টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷
(৩) যদি একাধিক ব্যক্তি
দলবদ্ধভাবে কোন নারী বা
শিশুকে ধর্ষন করেন এবং
ধর্ষণের ফলে উক্ত নারী
বা শিশুর মৃত্যু ঘটে
বা তিনি আহত হন,
তাহা হইলে ঐ দলের
প্রত্যেক ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম
কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার
অতিরিক্ত অন্যুন এক লক্ষ
টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷
(৪) যদি কোন ব্যক্তি
কোন নারী বা শিশুকে-
(ক) ধর্ষণ করিয়া মৃত্যু
ঘটানোর বা আহত করার
চেষ্টা করেন, তাহা হইলে
উক্ত ব্যক্তি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয়
হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত
অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন;
(খ) ধর্ষণের চেষ্টা করেন, তাহা
হইলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক
দশ বত্সর কিন্তু অন্যুন
পাঁচ বত্সর সশ্রম কারাদণ্ডে
দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার
অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷
(৫) যদি পুলিশ হেফাজতে
থাকাকালীন সময়ে কোন নারী
ধর্ষিতা হন, তাহা হইলে
যাহাদের হেফাজতে থাকাকালীন উক্তরূপ ধর্ষণ সংঘটিত হইয়াছে,
সেই ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ ধর্ষিতা
নারীর হেফাজতের জন্য সরাসরিভাবে দায়ী
ছিলেন, তিনি বা তাহারা
প্রত্যেকে, ভিন্নরূপ প্রমাণিত না হইলে, হেফাজতের
ব্যর্থতার জন্য, অনধিক দশ
বত্সর কিন্তু অন্যুন পাঁচ
বত্সর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয়
হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত
অন্যুন দশ হাজার টাকা
অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷
নারীর
আত্মহত্যায় প্ররোচনা, ইত্যাদির শাস্তি
৬[ ৯ক৷ কোন নারীর
সম্মতি ছাড়া বা ইচ্ছার
বিরুদ্ধে কোন ব্যক্তির ইচ্ছাকৃত
(Wilful) কোন কার্য দ্বারা সম্ভ্রমহানি
হইবার প্রত্যক্ষ কারণে কোন নারী
আত্মহত্যা করিলে উক্ত ব্যক্তি
উক্ত নারীকে অনুরূপ কার্য
দ্বারা আত্মহত্যা করিতে প্ররোচিত করিবার
অপরাধে অপরাধী হইবেন এবং
উক্ত অপরাধের জন্য তিনি অনধিক
দশ বত্সর কিন্তু অন্যুন
পাঁচ বত্সর সশ্রম কারাদণ্ডে
দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার
অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷]
যৌন পীড়ন, ইত্যাদির দণ্ড
৭[ ১০৷ যদি কোন
ব্যক্তি অবৈধভাবে তাহার যৌন কামনা
চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে তাহার
শরীরের যে কোন অঙ্গ
বা কোন বস্তু দ্বারা
কোন নারী বা শিশুর
যৌন অঙ্গ বা অন্য
কোন অঙ্গ স্পর্শ করেন
বা কোন নারীর শ্লীলতাহানি
করেন তাহা হইলে তাহার
এই কাজ হইবে যৌন
পীড়ন এবং তজ্জন্য উক্ত
ব্যক্তি অনধিক দশ বত্সর
কিন্তু অন্যুন তিন বত্সর
সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার
অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷]
যৌতুকের
জন্য মৃত্যু ঘটানো, ইত্যাদির
শাস্তি
১১৷ যদি কোন নারীর
স্বামী অথবা স্বামীর পিতা,
মাতা, অভিভাবক, আত্মীয় বা স্বামীর
পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি
যৌতুকের জন্য উক্ত নারীর
মৃত্যু ঘটান বা মৃত্যু
ঘটানোর চেষ্টা করেন ৮[
কিংবা উক্ত নারীকে মারাত্মক
জখম (grievous hurt) করেন বা সাধারণ
জখম (simple hurt) করেন] তাহা হইলে
উক্ত স্বামী, স্বামীর পিতা, মাতা, অভিভাবক,
আত্মীয় বা ব্যক্তি-
(ক) মৃত্যু ঘটানোর জন্য
মৃত্যুদণ্ডে বা মৃত্যু ঘটানোর
চেষ্টার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে
দণ্ডনীয় হইবেন এবং উভয়
ক্ষেত্রে উক্ত দণ্ডের অতিরিক্ত
অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন;
৯[ (খ) মারাত্মক জখম
(grievous hurt) করার জন্য যাবজ্জীবন সশ্রম
কারাদণ্ডে অথবা অনধিক বার
বত্সর কিন্তু অন্যুন পাঁচ
বত্সর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয়
হইবেন এবং উক্ত দণ্ডের
অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন;
(গ) সাধারণ জখম (simple hurt) করার
জন্য অনধিক তিন বত্সর
কিন্তু অন্যুন এক বত্সর
সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং উক্ত
দণ্ডের অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷]
ভিক্ষাবৃত্তি,
ইত্যাদির উদ্দেশ্যে শিশুকে অঙ্গহানি করার
শাস্তি
১২৷ যদি কোন ব্যক্তি
ভিক্ষাবৃত্তি বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ
বিক্রির উদ্দেশ্যে কোন শিশুর হাত,
পা, চক্ষু বা অন্য
কোন অংগ বিনষ্ট করেন
বা অন্য কোনভাবে বিকলাংগ
বা বিকৃত করেন, তাহা
হইলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে
বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয়
হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত
অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷
ধর্ষণের
ফলশ্রুতিতে জন্মলাভকারী শিশু সংক্রান্ত বিধান
১০[ ১৩৷ (১) অন্য
কোন আইনে ভিন্নতর যাহা
কিছুই থাকুক না কেন,
ধর্ষণের কারণে কোন সন্তান
জন্মলাভ করিলে-
(ক) উক্ত সন্তানকে তাহার
মাতা কিংবা তাহার মাতৃকুলীয়
আত্মীয় স্বজনের তত্ত্বাবধানে রাখা যাইবে;
(খ) উক্ত সন্তান তাহার
পিতা বা মাতা, কিংবা
উভয়ের পরিচয়ে পরিচিত হইবার
অধিকারী হইবে;
(গ) উক্ত সন্তানের ভরণপোষণের
ব্যয় রাষ্ট্র বহণ করিবে;
(ঘ) উক্ত সন্তানের ভরণপোষণের
ব্যয় তাহার বয়স একুশ
বত্সর পূর্তি না হওয়া
পর্যন্ত প্রদেয় হইবে, তবে
একুশ বত্সরের অধিক বয়স্ক কন্যা
সন্তানের ক্ষেত্রে তাহার বিবাহ না
হওয়া পর্যন্ত এবং পঙ্গু সন্তানের
ক্ষেত্রে তিনি স্বীয় ভরণপোষণের
যোগ্যতা অর্জন না করা
পর্যন্ত প্রদেয় হইবে৷
(২) সরকার বিধি দ্বারা
নির্ধারিত পদ্ধতিতে উপ-ধারা (১)
এ উল্লিখিত সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ প্রদেয় অর্থের
পরিমাণ নির্ধারণ করিবে৷
(৩) এই ধারার অধীন
কোন সন্তানকে ভরণপোষণের জন্য প্রদেয় অর্থ
সরকার ধর্ষকের নিকট হইতে আদায়
করিতে পারিবে এবং ধর্ষকের
বিদ্যমান সম্পদ হইতে উক্ত
অর্থ আদায় করা সম্ভব
না হইলে, ভবিষ্যতে তিনি
যে সম্পদের মালিক বা অধিকারী
হইবেন সেই সম্পদ হইতে
উহা আদায়যোগ্য হইবে৷]
সংবাদ
মাধ্যমে নির্যাতিতা নারী ও শিশুর
পরিচয় প্রকাশের ব্যাপারে বাধা-নিষেধ
১৪৷ (১) এই আইনে
বর্ণিত অপরাধের শিকার হইয়াছেন এইরূপ
নারী বা শিশুর ব্যাপারে
সংঘটিত অপরাধ বা তত্সম্পর্কিত
আইনগত কার্যধারার সংবাদ বা তথ্য
বা নাম-ঠিকানা বা
অন্যবিধ তথ্য কোন সংবাদ
পত্রে বা অন্য কোন
সংবাদ মাধ্যমে এমনভাবে প্রকাশ বা পরিবেশন
করা যাইবে যাহাতে উক্ত
নারী বা শিশুর পরিচয়
প্রকাশ না পায়৷
(২) উপ-ধারা (১)
এর বিধান লংঘন করা
হইলে উক্ত লংঘনের জন্য
দায়ী ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের প্রত্যেকে
অনধিক দুই বত্সর কারাদণ্ডে
বা অনূর্ধ্ব এক লক্ষ টাকা
অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে
দণ্ডনীয় হইবেন৷
ভবিষ্যত্
সম্পত্তি হইতে অর্থদণ্ড আদায়
১৫৷ এই আইনের ধারা
৪ হইতে ১৪ পর্যন্ত
ধারাসমূহে উল্লিখিত অপরাধের জন্য ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক
আরোপিত অর্থদণ্ডকে, প্রয়োজনবোধে, ট্রাইব্যুনাল অপরাধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির
জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে গণ্য করিতে
পারিবে এবং অর্থদণ্ড বা
ক্ষতিপূরণের অর্থ দণ্ডিত ব্যক্তির
নিকট হইতে বা তাহার
বিদ্যমান সম্পদ হইতে আদায়
করা সম্ভব না হইলে,
ভবিষ্যতে তিনি যে সম্পদের
মালিক বা অধিকারী হইবেন
সেই সম্পদ হইতে আদায়যোগ্য
হইবে এবং এইরূপ ক্ষেত্রে
উক্ত সম্পদের উপর অন্যান্য দাবী
অপেক্ষা উক্ত অর্থদণ্ড বা
ক্ষতিপূরণের দাবী প্রাধান্য পাইবে৷
অর্থদণ্ড
বা ক্ষতিপূরণ আদায়ের পদ্ধতি
১৬৷ এই আইনের অধীনে
কোন অর্থদণ্ড আরোপ করা হইলে,
ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট জেলার কালেক্টরকে, বিধি
দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে বা অনুরূপ বিধি
না থাকিলে, ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে,
অপরাধীর স্থাবর বা অস্থাবর
বা উভয়বিধ সম্পত্তির তালিকা
প্রস্তুতক্রমে ক্রোক ও নিলাম
বিক্রয় বা ক্রোক ছাড়াই
সরাসরি নিলামে
বিক্রয় করিয়া বিক্রয়লব্ধ অর্থ ট্রাইব্যুনালে জমা
দিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে
এবং ট্রাইব্যুনাল উক্ত অর্থ অপরাধের
কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে প্রদানের ব্যবস্থা করিবে৷
মিথ্যা
মামলা, অভিযোগ দায়ের ইত্যাদির
শাস্তি
১৭৷ (১) যদি কোন
ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির
ক্ষতিসাধনের অভিপ্রায়ে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে
এই আইনের অন্য কোন
ধারার অধীন মামলা বা
অভিযোগ করার জন্য ন্যায্য
বা আইনানুগ কারণ নাই জানিয়াও
মামলা বা অভিযোগ দায়ের
করেন বা করান তাহা
হইলে মামলা বা অভিযোগ
দায়েরকারী ব্যক্তি এবং যিনি অভিযোগ
দায়ের করাইয়াছেন উক্ত ব্যক্তি অনধিক
সাত বত্সর সশ্রম কারাদণ্ডে
দণ্ডিত হইবেন এবং ইহার
অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷
(২) কোন ব্যক্তির লিখিত
অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল উপ-ধারা (১)
এর অধীন সংঘটিত অপরাধের
অভিযোগ গ্রহণ ও মামলার
বিচার করিতে পারিবে৷
অপরাধের
তদন্ত
১১[ ১৮৷ (১) ফৌজদারী
কার্যবিধিতে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক
না কেন, এই আইনের
অধীন কোন অপরাধের তদন্ত-
(ক) অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধ সংঘটনের সময়ে
হাতেনাতে পুলিশ কর্তৃক ধৃত
হইলে বা অন্য কোন
ব্যক্তি কর্তৃক ধৃত হইয়া
পুলিশের নিকট সোপর্দ হইলে,
তাহার ধৃত হইবার তারিখ
হইতে পরবর্তী পনের কার্য দিবসের
মধ্যে সম্পন্ন করিতে হইবে; অথবা
(খ) অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধ সংঘটনের সময়ে
হাতেনাতে ধৃত না হইলে
তাহার অপরাধ সংঘটন সংক্রান্ত
প্রাথমিক তথ্য প্রাপ্তি বা,
ক্ষেত্রমত, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা তাহার নিকট
হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অথবা ট্রাইব্যুনালের নিকট
হইতে তদন্তের আদেশ প্রাপ্তির তারিখ
হইতে পরবর্তী ষাট কার্য দিবসের
মধ্যে সম্পন্ন করিতে হইবে৷
(২) কোন যুক্তিসংগত কারণে
উপ-ধারা (১) এ
উল্লিখিত সময়ের মধ্যে তদন্তকার্য
সমাপ্ত করা সম্ভব না
হইলে, তদন্তকারী কর্মকর্তা কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া
অতিরিক্ত ত্রিশ কার্য দিবসের
মধ্যে অপরাধের তদন্ত কার্য সম্পন্ন
করিবেন এবং তত্সম্পর্কে কারণ
উল্লেখ পূর্বক তাহার নিয়ন্ত্রণকারী
কর্মকর্তা বা, ক্ষেত্রমত, তদন্তের
আদেশ প্রদানকারী ট্রাইব্যুনালকে লিখিতভাবে অবহিত করিবেন৷
(৩) উপ-ধারা (২)
এ উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যেও তদন্তকার্য সম্পন্ন
করা না হইলে, সংশ্লিষ্ট
তদন্তকারী কর্মকর্তা উক্ত সময়সীমা অতিক্রান্ত
হইবার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে
উক্তরূপ তদন্তকার্য সম্পন্ন না হওয়া সম্পর্কে
তাহার নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা কিংবা তদন্তের আদেশ
প্রদানকারী ট্রাইব্যুনালকে লিখিতভাবে অবহিত করিবেন৷
(৪) উপ-ধারা (৩)
এর অধীন তদন্তকার্য সম্পন্ন
না হওয়া সম্পর্কে অবহিত
হইবার পর নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা
কিংবা, ক্ষেত্রমত, তদন্তের আদেশ প্রদানকারী ট্রাইব্যুনাল
উক্ত অপরাধের তদন্তভার অন্য কোন কর্মকর্তার
নিকট হস্তান্তর করিতে পারিবেন এবং
উক্তরূপে কোন অপরাধের তদন্তভার
হস্তান্তর করা হইলে তদন্তের
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-(ক) অভিযুক্ত ব্যক্তি
অপরাধ সংঘটনের সময়ে হাতেনাতে পুলিশ
কর্তৃক ধৃত হইলে বা
অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক
ধৃত হইয়া পুলিশের নিকট
সোপর্দ হইলে, তদন্তের আদেশ
প্রাপ্তির তারিখ হইতে পরবর্তী
সাত কার্য দিবসের মধ্যে
সম্পন্ন করিবেন; অথবা
(খ) অন্যান্য ক্ষেত্রে তদন্তের আদেশ প্রাপ্তির তারিখ
হইতে পরবর্তী ত্রিশ কার্য দিবসের
মধ্যে সম্পন্ন করিতে হইবে৷
(৫) উপ-ধারা (৪)
এ উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যেও তদন্তকার্য সম্পন্ন
করা না হইলে, সংশ্লিষ্ট
তদন্তকারী কর্মকর্তা উক্ত সময়সীমা অতিক্রান্ত
হইবার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে
উক্তরূপ তদন্তকার্য সম্পন্ন না হওয়া সম্পর্কে
তাহার নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা কিংবা, ক্ষেত্রমত, তদন্তের
আদেশ প্রদানকারী ট্রাইব্যুনালকে লিখিতভাবে অবহিত করিবেন৷
(৬) উপ-ধারা (২)
বা উপ-ধারা (৪)
এ উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে কোন তদন্তকার্য
সম্পন্ন না করার ক্ষেত্রে,
তত্সম্পর্কে ব্যাখ্যা সম্বলিত প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা
কিংবা, ক্ষেত্রমত, তদন্তের আদেশ প্রদানকারী ট্রাইব্যুনাল
যদি এই সিদ্ধান্তে উপনীত
হন যে, নির্ধারিত সময়ের
মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন না
হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী
কর্মকর্তাই দায়ী, তাহা হইলে
উহা দায়ী ব্যক্তির অদক্ষতা
ও অসদাচরণ বলিয়া বিবেচিত হইবে
এবং এই অদক্ষতা ও
অসদাচরণ তাহার বার্ষিক গোপনীয়
প্রতিবেদনে লিপিবদ্ধ করা হইবে এবং
উপযুক্ত ক্ষেত্রে চাকুরী বিধিমালা অনুযায়ী
তাহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে৷
(৭) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের
পর যদি ট্রাইব্যুনাল তদন্ত
সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি পর্যালোচনা করিয়া এই মর্মে
সন্তুষ্ট হয় যে, তদন্ত
প্রতিবেদনে আসামী হিসাবে উল্লিখিত
কোন ব্যক্তিকে ন্যায়বিচারের স্বার্থে সাক্ষী করা বাঞ্ছনীয়,
তবে উক্ত ব্যক্তিকে আসামীর
পরিবর্তে সাক্ষী হিসাবে গণ্য
করিবার নির্দেশ দিতে পারিবে৷
(৮) যদি মামলার সাক্ষ্য
গ্রহণ সমাপ্তির পর ট্রাইব্যুনালের নিকট
প্রতীয়মান হয় যে, এই
আইনের অধীন কোন অপরাধের
তদন্তকারী কর্মকর্তা কোন ব্যক্তিকে অপরাধের
দায় হইতে রক্ষা করার
উদ্দেশ্যে বা তদন্তকার্যে গাফিলতির
মাধ্যমে অপরাধটি প্রমাণে ব্যবহারযোগ্য কোন আলামত সংগ্রহ
বা বিবেচনা না করিয়া বা
মামলার প্রমাণের প্রয়োজন ব্যতিরেকে উক্ত ব্যক্তিকে আসামীর
পরিবর্তে সাক্ষী করিয়া বা
কোন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীকে পরীক্ষা না করিয়া তদন্ত
প্রতিবেদন দাখিল করিয়াছেন, তাহা
হইলে উক্ত তদন্তকারী কর্মকর্তার
বিরুদ্ধে উক্ত কার্য বা
অবহেলাকে অদক্ষতা বা, ক্ষেত্রমত, অসদাচরণ
হিসাবে চিহ্নিত করিয়া ট্রাইব্যুনাল উক্ত
কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে তাহার বিরুদ্ধে যথাযথ
আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিতে পারিবে৷
(৯) ট্রাইব্যুনাল কোন আবেদনের প্রেক্ষিতে
বা অন্য কোন তথ্যের
ভিত্তিতে কোন তদন্তকারী কর্মকর্তার
পরিবর্তে অন্য কোন তদন্তকারী
কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে
নির্দেশ দিতে পারিবে৷]
অপরাধ
বিচারার্থ গ্রহণ, ইত্যাদি
১২[ ১৯৷ (১) এই
আইনের অধীন দণ্ডনীয় সকল
অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণীয় (Cognizable) হইবে৷
(২) উপ-ধারা (৩)
এর বিধান সাপেক্ষে, এই
আইনের অধীন শাস্তিযোগ্য অপরাধ
সংঘটনে জড়িত মূল এবং
প্রত্যক্ষভাবে অভিযুক্ত কোন ব্যক্তিকে জামিনে
মুক্তি দেওয়া হইবে না,
যদি-
(ক) তাহাকে মুক্তি দেওয়ার
আবেদনের উপর অভিযোগকারী পক্ষকে
শুনানীর সুযোগ দেওয়া না
হয়; এবং
(খ) তাহার বিরুদ্ধে আনীত
অভিযোগে তিনি দোষী সাব্যস্ত
হওয়ার যুক্তিসংগত কারণ রহিয়াছে মর্মে
ট্রাইব্যুনাল সন্তুষ্ট হন৷
(৩) উপ-ধারা (২)
এ উল্লিখিত কোন ব্যক্তি নারী
বা শিশু হইলে কিংবা
শারীরিকভাবে অসুস্থ (sick or infirm) হইলে, সেইক্ষেত্রে উক্ত
ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার
কারণে ন্যায় বিচার বিঘ্নিত
হইবে না মর্মে ট্রাইব্যুনাল
সন্তুষ্ট হইলে তাহাকে জামিনে
মুক্তি দেওয়া যাইবে৷
(৪) উপ-ধারা (২)
এ উল্লিখিত ব্যক্তি ব্যতীত এই আইনের
অধীন অপরাধ সংঘটনের জন্য
অভিযুক্ত অন্য কোন ব্যক্তিকে
জামিনে মুক্তি দেওয়া ন্যায়সংগত
হইবে মর্মে ট্রাইব্যুনাল সন্তুষ্ট
হইলে তদ্মর্মে কারণ
লিপিবদ্ধ করিয়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে
ট্রাইব্যুনাল জামিনে মুক্তি দিতে
পারিবে৷]
বিচার
পদ্ধতি
২০৷ (১) এই আইনের
অধীন কোন অপরাধের বিচার
কেবলমাত্র ধারা ২৫ এর
অধীন গঠিত নারী ও
শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারযোগ্য
হইবে৷
(২) ট্রাইব্যুনালে মামলার শুনানী শুরু
হইলে উহা শেষ না
হওয়া পর্যন্ত প্রতি কর্মদিবসে একটানা
চলিবে৷
(৩) বিচারের জন্য মামলা প্রাপ্তির
তারিখ হইতে একশত আশি
দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল বিচারকার্য
সমাপ্ত করিবে৷
(৪) উপ-ধারা (৩)
এর অধীন সময়সীমার মধ্যে
মামলার বিচারকার্য সমাপ্ত না হইলে,
ট্রাইব্যুনাল মামলার আসামীকে জামিনে
মুক্তি দিতে পারিবে এবং
আসামীকে জামিনে মুক্তি দেওয়া
না হইলে ট্রাইব্যুনাল উহার
কারণ লিপিবদ্ধ করিবে৷
(৫) কোন মামলার বিচারকার্য
শেষ না করিয়া যদি
কোন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বদলী হইয়া
যান, তাহা হইলে তিনি
বিচারকার্যের যে পর্যায়ে মামলাটি
রাখিয়া গিয়াছেন, সেই পর্যায় হইতে
তাহার স্থলাভিষিক্ত বিচারক বিচার করিবেন
এবং তাহার পূর্ববর্তী বিচারক
যে সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করিয়াছেন সেই
সাক্ষীর সাক্ষ্য পুনরায় গ্রহণ করার
প্রয়োজন হইবে না:
তবে শর্ত থাকে যে,
ন্যায়বিচারের স্বার্থে যদি বিচারক কোন
সাক্ষীর সাক্ষ্য পুনরায় গ্রহণ করা
অপরিহার্য বলিয়া মনে করেন,
তাহা হইলে তিনি সাক্ষ্য
গ্রহণ করা হইয়াছে এমন
যে কোন সাক্ষীকে তলব
করিয়া পুনরায় তাহার সাক্ষ্য
গ্রহণ করিতে পারিবেন৷
১৩[ (৬) কোন ব্যক্তির
আবেদনের প্রেক্ষিতে কিংবা ট্রাইব্যুনাল স্বীয়
বিবেচনায় উপযুক্ত মনে করিলে এই
আইনের ধারা ৯ এর
অধীন অপরাধের বিচার কার্যক্রম রুদ্ধদ্বার
কক্ষে (trial in camera) অনুষ্ঠান করিতে পারিবে৷]
(৭) কোন শিশু এই
আইনের অধীন অপরাধ সংঘটনের
অভিযোগে অভিযুক্ত হইলে বা উক্ত
অপরাধের সাক্ষী হইলে তাহার
ক্ষেত্রে Children Act,
1974 (XXXIX of 1974) এর বিধানাবলী যতদূর সম্ভব অনুসরণ
করিতে হইবে৷
১৪[ (৮) কোন নারী
বা শিশুকে নিরাপত্তা হেফাজতে
রাখিবার আদেশ প্রদানের ক্ষেত্রে
ট্রাইব্যুনাল, উক্ত নারী বা
শিশুর কল্যাণ ও স্বার্থ
রক্ষার্থে তাহার মতামত গ্রহণ
ও বিবেচনা করিবে৷]
আসামীর
অনুপস্থিতিতে বিচার
২১৷ (১) যদি ট্রাইব্যুনালের
এই মর্মে বিশ্বাস করার
যুক্তিসংগত কারণ থাকে যে,-
(ক) অভিযুক্ত ব্যক্তি তাহার গ্রেফতার বা
তাহাকে বিচারের জন্য সোপর্দকরণ এড়াইবার
জন্য পলাতক রহিয়াছে বা
আত্মগোপন করিয়াছেন; এবং
(খ) তাহার আশু গ্রেফতারের
কোন সম্ভাবনা নাই, তাহা হইলে
ট্রাইব্যুনাল অন্তত: দুইটি বাংলা
দৈনিক খবরের কাগজে প্রজ্ঞাপিত
আদেশ দ্বারা, আদেশে উল্লিখিত সময়,
যাহা ত্রিশ দিনের বেশী
হইবে না, এর মধ্যে
অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ
দিতে পারিবে এবং উক্ত
সময়ের মধ্যে যদি অভিযুক্ত
ব্যক্তি ট্রাইব্যুনালে হাজির হইতে ব্যর্থ
হন, তাহা হইলে ট্রাইব্যুনাল
তাহার অনুপস্থিতিতে বিচার করিতে পারিবে৷
(২) যদি কোন অভিযুক্ত
ব্যক্তি ট্রাইব্যুনালে হাজির হইবার পর
বা তাহাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির
করার পর বা তাহাকে
ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক জামিনে মুক্তি
দেওয়ার পর পলাতক হন,
তাহা হইলে তাহার ক্ষেত্রে
উপ-ধারা (১) এর
বিধান প্রযোজ্য হইবে না, এবং
সেইক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল, কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া,
অভিযুক্ত ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে তাহার বিচার সম্পন্ন
করিতে পারিবে৷
ম্যাজিষ্ট্রেট
কর্তৃক যে কোন স্থানে
জবানবন্দি গ্রহণের ক্ষমতা
২২৷ (১) এই আইনের
অধীন সংঘটিত কোন অপরাধের
তদন্তকারী কোন পুলিশ কর্মকর্তা
বা তদন্তকারী অন্য কোন ব্যক্তি
কিংবা অকুস্থলে কোন আসামীকে ধৃত
করার সময় কোন পুলিশ
কর্মকর্তা যদি মনে করেন
যে, ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকেফহাল
বা ঘটনাটি নিজ চক্ষে
দেখিয়াছেন এমন কোন ব্যক্তির
জবানবন্দি অপরাধের ত্বরিত বিচারের স্বার্থে
কোন ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক অবিলম্বে লিপিবদ্ধ
করা প্রয়োজন, তাহা হইলে তিনি
কোন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটকে
উক্ত ব্যক্তির জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করিবার জন্য লিখিতভাবে
বা অন্য কোনভাবে অনুরোধ
করিতে পারিবেন৷
(২) উপ-ধারা (১)
এ উল্লিখিত ম্যাজিষ্ট্রেট ঘটনাস্থল বা অন্য কোন
যথাযথ স্থানে উক্ত ব্যক্তির
জবানবন্দি গ্রহণ করিবেন এবং
উক্তরূপে গৃহীত জবানবন্দি তদন্ত
প্রতিবেদনের সহিত সামিল করিয়া
ট্রাইব্যুনালে দাখিল করিবার নিমিত্ত
তদন্তকারী কর্মকর্তার বা ব্যক্তির নিকট
সরাসরি প্রেরণ করিবেন৷
(৩) যদি উপ-ধারা
(১) এ উল্লিখিত কোন
অপরাধের জন্য অভিযুক্ত কোন
ব্যক্তির বিচার কোন ট্রাইব্যুনালে
শুরু হয় এবং দেখা
যায় যে, উপ-ধারা
(২) এর অধীন জবানবন্দি
প্রদানকারী ব্যক্তির সাক্ষ্য প্রয়োজন, কিন্তু তিনি মৃত্যুবরণ
করিয়াছেন বা তিনি সাক্ষ্য
দিতে অক্ষম বা তাহাকে
খুঁজিয়া পাওয়া সম্ভব নহে
বা তাহাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির
করিবার চেষ্টা এইরূপ বিলম্ব,
ব্যয় বা অসুবিধার ব্যাপার
হইবে যাহা পরিস্থিতি অনুসারে
কাম্য হইবে না, তাহা
হইলে ট্রাইব্যুনাল উক্ত জবানবন্দি মামলায়
সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ করিতে
পারিবে: তবে শর্ত থাকে
যে, শুধুমাত্র উক্ত সাক্ষীর সাক্ষ্যের
উপর ভিত্তি করিয়া ট্রাইব্যুনাল
অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শাস্তি প্রদান করিতে
পারিবে না৷
রাসায়নিক
পরীক্ষক, রক্ত পরীক্ষক, ইত্যাদির
সাক্ষ্য
২৩৷ সরকার কর্তৃক নিয়োজিত
কোন চিকিত্সক, রাসায়নিক পরীক্ষক, সহকারী রাসায়নিক পরীক্ষক,
রক্ত পরীক্ষক, হস্তলিপি বিশেষজ্ঞ, আংগুলাংক বিশারদ অথবা আগ্নেয়াস্ত্র
বিশারদকে এই আইনের অধীন
কোন অপরাধ সংক্রান্ত কার্যক্রম
চলাকালীন সময়ে কোন বিষয়ে
পরীক্ষা বা বিশ্লেষণ করিয়া
প্রতিবেদন প্রদান করিবার পর
বিচারকালে তাহার সাক্ষ্য গ্রহণ
প্রয়োজন, কিন্তু তিনি মৃত্যুবরণ
করিয়াছেন বা তিনি সাক্ষ্য
দিতে অক্ষম বা তাহাকে
খুঁজিয়া পাওয়া সম্ভব নয়
বা তাহাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির
করিবার চেষ্টা এইরূপ বিলম্ব,
ব্যয় বা অসুবিধার ব্যাপার
হইবে যাহা পরিস্থিতি অনুসারে
কাম্য হইবে না তাহা
হইলে তাহার স্বাক্ষরযুক্ত পরীক্ষার
রিপোর্ট এই আইনের অধীন
বিচারকালে সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ করা
যাইবে:
তবে শর্ত থাকে যে,
শুধুমাত্র উক্ত প্রতিবেদনের উপর
ভিত্তি করিয়া ট্রাইব্যুনাল অভিযুক্ত
ব্যক্তিকে শাস্তি প্রদান করিতে
পারিবে না৷
সাক্ষীর
উপস্থিতি
২৪৷ (১) এই আইনের
অধীন কোন অপরাধের বিচারের
জন্য সাক্ষীর সমন বা ওয়ারেন্ট
কার্যকর করার জন্য সংশ্লিষ্ট
সাক্ষীর সর্বশেষ বসবাসের ঠিকানা যে থানায়
অবস্থিত, সেই থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিতে
হইবে এবং উক্ত সাক্ষীকে
উক্ত ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত করিবার দায়িত্ব উক্ত
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার থাকিবে৷
(২) উপ-ধারা (১)
এর বিধান সত্ত্বেও সাক্ষীর
সমনের একটি অনুলিপি সংশ্লিষ্ট
সাক্ষীকে এবং সংশ্লিষ্ট জেলা
পুলিশ সুপার বা, ক্ষেত্রমত,
পুলিশ কমিশনারকে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র সমেত নিবন্ধিত ডাকযোগে
প্রেরণ করা যাইবে৷
(৩) এই ধারার অধীন
কোন সমন বা ওয়ারেন্ট
কার্যকর করিতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ
কর্মকর্তা ইচ্ছাকৃত গাফিলতি করিলে ট্রাইব্যুনাল উহাকে
অদক্ষতা হিসাবে চিহ্নিত করিয়া
সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণকারী
কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ব্যবস্থা গ্রহণের
নিমিত্ত নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে৷
ফৌজদারী
কার্যবিধির প্রয়োগ, ইত্যাদি
২৫৷ (১) এই আইনে
ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে,
কোন অপরাধের অভিযোগ দায়ের, তদন্ত,
বিচার ও নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে
ফৌজদারী কার্যবিধির বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে এবং ট্রাইব্যুনাল
একটি দায়রা আদালত বলিয়া
গণ্য হইবে এবং এই
আইনের অধীন যে কোন
অপরাধ বা তদনুসারে অন্য
কোন অপরাধ বিচারের ক্ষেত্রে
দায়রা আদালতের সকল ক্ষমতা প্রয়োগ
করিতে পারিবে৷
(২) ট্রাইব্যুনালে অভিযোগকারীর পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী
ব্যক্তি পাবলিক প্রসিকিউটর বলিয়া
গণ্য হইবেন৷
নারী ও শিশু নির্যাতন
দমন ট্রাইব্যুনাল
২৬৷ (১) এই আইনের
অধীন অপরাধ বিচারের জন্য
প্রত্যেক জেলা সদরে একটি
করিয়া ট্রাইব্যুনাল থাকিবে এবং প্রয়োজনে
সরকার উক্ত জেলায় একাধিক
ট্রাইব্যুনালও গঠন করিতে পারিবে;
এইরূপ ট্রাইব্যুনাল নারী ও শিশু
নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নামে
অভিহিত হইবে৷
(২) একজন বিচারক সমন্বয়ে
ট্রাইব্যুনাল গঠিত হইবে এবং
সরকার জেলা ও দায়রা
জজগণের মধ্য হইতে উক্ত
ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিযু্ক্ত
করিবে৷
(৩) সরকার, প্রয়োজনবোধে, কোন
জেলা ও দায়রা জজকে
তাহার দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসাবে ট্রাইব্যুনালের বিচারক
নিযুক্ত করিতে পারিবে৷
(৪) এই ধারায় জেলা
জজ ও দায়রা জজ
বলিতে যথাক্রমে অতিরিক্ত জেলা জজ ও
অতিরিক্ত দায়রা জজও অন্তর্ভুক্ত৷
ট্রাইব্যুনালের
এখ্তিয়ার
২৭৷ ১৫[ (১) সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন
কোন পুলিশ কর্মকর্তা বা
এতদুদ্দেশ্যে সরকারের নিকট হইতে সাধারণ
বা বিশেষ আদেশ দ্বারা
ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির লিখিত
রিপোর্ট ব্যতিরেকে কোন ট্রাইব্যুনাল কোন
অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিবেন না৷
(১ক) কোন অভিযোগকারী উপ-ধারা (১) এর
অধীন কোন পুলিশ কর্মকর্তাকে
বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কোন অপরাধের অভিযোগ
গ্রহণ করিবার জন্য অনুরোধ
করিয়া ব্যর্থ হইয়াছেন মর্মে
হলফনামা সহকারে ট্রাইব্যুনালের নিকট
অভিযোগ দাখিল করিলে ট্রাইব্যুনাল
অভিযোগকারীকে পরীক্ষা করিয়া,-
(ক) সন্তুষ্ট হইলে অভিযোগটি অনুসন্ধানের
(inquiry) জন্য কোন ম্যাজিষ্ট্রেট কিংবা
অন্য কোন ব্যক্তিকে নির্দেশ
প্রদান করিবেন এবং অনুসন্ধানের
জন্য নির্দেশপ্রাপ্ত ব্যক্তি অভিযোগটি অনুসন্ধান করিয়া সাত কার্য
দিবসের মধ্যে ট্রাইব্যুনালের নিকট
রিপোর্ট প্রদান করিবেন;
(খ) সন্তুষ্ট না হইলে অভিযোগটি
সরাসরি নাকচ করিবেন৷
(১খ) উপ-ধারা (১ক)
এর অধীন রিপোর্ট প্রাপ্তির
পর কোন ট্রাইব্যুনাল যদি
এই মর্মে সন্তুষ্ট হয়
যে,-
(ক) অভিযোগকারী উপ-ধারা (১)
এর অধীন কোন পুলিশ
কর্মকর্তাকে বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে
কোন অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ করিবার
জন্য অনুরোধ করিয়া ব্যর্থ
হইয়াছেন এবং অভিযোগের সমর্থনে
প্রাথমিক সাক্ষ্য প্রমাণ আছে সেই
ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল উক্ত রিপোর্ট ও
অভিযোগের ভিত্তিতে অপরাধটি বিচারার্থ গ্রহণ করিবেন;
(খ) অভিযোগকারী উপ-ধারা (১)
এর অধীন কোন পুলিশ
কর্মকর্তাকে বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে
কোন অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ করিবার
জন্য অনুরোধ করিয়া ব্যর্থ
হইয়াছেন মর্মে প্রমাণ পাওয়া
যায় নাই কিংবা অভিযোগের
সমর্থনে কোন প্রাথমিক সাক্ষ্য
প্রমাণ পাওয়া যায় নাই
সেই ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগটি নাকচ করিবেন৷
(১গ) উপ-ধারা (১)
এবং (১ক) এর অধীন
প্রাপ্ত রিপোর্টে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে
অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ বা তত্সম্পর্কে
কার্যক্রম গ্রহণের সুপারিশ না থাকা সত্ত্বেও
ট্রাইব্যুনাল, যথাযথ এবং ন্যায়বিচারের
স্বার্থে প্রয়োজনীয় মনে করিলে, কারণ
উল্লেখপূর্বক উক্ত ব্যক্তির ব্যাপারে
সংশ্লিষ্ট অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ
করিতে পারিবেন৷]
(২) যে ট্রাইব্যুনালের এখ্তিয়ারাধীন এলাকায় কোন অপরাধ
বা উহার কোন অংশ
সংঘটিত হইয়াছে অথবা যেখানে
অপরাধীকে বা, একাধিক অপরাধীর
ক্ষেত্রে, তাহাদের যে কোন একজনকে
পাওয়া গিয়াছে, সেই স্থান বা
ট্রাইব্যুনালের এখ্তিয়ারাধীন, সেই
ট্রাইব্যুনালে অপরাধটি বিচারার্থ গ্রহণের জন্য রিপোর্ট বা
অভিযোগ পেশ করা যাইবে
এবং সেই ট্রাইব্যুনাল অপরাধটির
বিচার করিবে৷
(৩) যদি এই আইনের
অধীন কোন অপরাধের সহিত
অন্য কোন অপরাধ এমনভাবে
জড়িত থাকে যে, ন্যায়বিচারের
স্বার্থে উভয় অপরাধের বিচার
একই সংগে বা একই
মামলায় করা প্রয়োজন, তাহা
হইলে উক্ত অন্য অপরাধটির
বিচার এই আইনের অধীন
অপরাধের সহিত এই আইনের
বিধান অনুসরণে একই সংগে বা
একই ট্রাইব্যুনালে করা যাইবে৷
আপীল
২৮৷ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ,
রায় বা আরোপিত দণ্ড
দ্বারা সংক্ষুব্ধ পক্ষ, উক্ত আদেশ,
রায় বা দণ্ডাদেশ প্রদানের
তারিখ হইতে ষাট দিনের
মধ্যে, হাইকোর্ট বিভাগে আপীল করিতে
পারিবেন৷
মৃত্যুদণ্ড
অনুমোদন
২৯৷ এই আইনের অধীনে
কোন ট্রাইব্যুনাল, মৃত্যুদণ্ড প্রদান করিলে সংশ্লিষ্ট
মামলার নথিপত্র অবিলম্বে ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ৩৭৪ এর
বিধান অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগে প্রেরণ করিতে
হইবে এবং উক্ত বিভাগের
অনুমোদন ব্যতীত মৃতুদণ্ড কার্যকর
করা যাইবে না৷
অপরাধে
প্ররোচনা বা সহায়তার শাস্তি
৩০৷ যদি কোন ব্যক্তি
এই আইনের অধীন কোন
অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা যোগান
এবং সেই প্ররোচনার ফলে
উক্ত অপরাধ সংঘটিত হয়
বা অপরাধটি সংঘটনের চেষ্টা করা হয়
বা কোন ব্যক্তি যদি
অন্য কোন ব্যক্তিকে এই
আইনের অধীন কোন অপরাধ
সংঘটনে সহায়তা করেন, তাহা
হইলে ঐ অপরাধ সংঘটনের
জন্য বা অপরাধটি সংঘটনের
চেষ্টার জন্য নির্ধারিত দণ্ডে
প্ররোচনাকারী বা সহায়তাকারী ব্যক্তি
দণ্ডনীয় হইবেন৷
নিরাপত্তামূলক
হেফাজত
৩১৷ এই আইনের অধীন
কোন অপরাধের বিচার চলাকালে যদি
ট্রাইব্যুনাল মনে করে যে,
কোন নারী বা শিশুকে
নিরাপত্তামূলক হেফাজতে রাখা প্রয়োজন, তাহা
হইলে ট্রাইব্যুনাল উক্ত নারী বা
শিশুকে কারাগারের বাহিরে ও সরকার
কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত স্থানে সরকারি কর্তৃপক্ষের
হেফাজতে বা ট্রাইব্যুনালের বিবেচনায়
যথাযথ অন্য কোন ব্যক্তি
বা সংস্থার হেফাজতে রাখিবার নির্দেশ দিতে পারিবে৷
ট্রাইব্যুনাল,
ইত্যাদির জবাবদিহিতা
১৬[ ৩১ক৷ (১) কোন
মামলা ধারা ২০ এর
উপ-ধারা (৩) এ
উল্লিখিত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি
না হইবার ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালকে
উহার কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া
একটি প্রতিবেদন ত্রিশ দিনের মধ্যে
সুপ্রীম কোর্টের নিকট দাখিল করিতে
হইবে, যাহার একটি অনুলিপি
সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে
হইবে৷
(২) অনুরূপ ক্ষেত্রে পাবলিক
প্রসিকিউটর ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ
কর্মকর্তাকেও উহার কারণ লিপিবদ্ধ
করিয়া একটি প্রতিবেদন ত্রিশ
দিনের মধ্যে সরকারের নিকট
দাখিল করিতে হইবে, যাহার
একটি অনুলিপি সুপ্রীম কোর্টে প্রেরণ করিতে
হইবে৷
(৩) উপ-ধারা (১)
বা (২) এর অধীন
পেশকৃত প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর যথাযথ কর্তৃপক্ষ
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মামলা
নিষ্পত্তি না হওয়ার জন্য
দায়ী ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে
যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন৷]
অপরাধের
শিকার ব্যক্তির মেডিক্যাল পরীক্ষা
১৭[ ৩২৷ (১) এই
আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের
শিকার ব্যক্তির মেডিক্যাল পরীক্ষা সরকারী হাসপাতালে কিংবা
সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে স্বীকৃত
কোন বেসরকারী হাসপাতালে সম্পন্ন করা যাইবে৷
(২) উপ-ধারা (১)
এ উল্লিখিত কোন হাসপাতালে এই
আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের
শিকার ব্যক্তির চিকিত্সার জন্য উপস্থিত করা
হইলে, উক্ত হাসপাতালের কর্তব্যরত
চিকিত্সক তাহার মেডিক্যাল পরীক্ষা
অতিদ্রুত সম্পন্ন করিবে এবং উক্ত
মেডিক্যাল পরীক্ষা সংক্রান্ত একটি সার্টিফিকেট সংশ্লিষ্ট
ব্যক্তিকে প্রদান করিবে এবং
এইরূপ অপরাধ সংঘটনের বিষয়টি
স্থানীয় থানাকে অবহিত করিবে৷
(৩) এই ধারার অধীন
যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে কোন
মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন না করার ক্ষেত্রে,
তত্সম্পর্কে ব্যাখ্যা সম্বলিত প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা
কিংবা, ক্ষেত্রমত, মেডিক্যাল পরীক্ষার আদেশ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ
বা তাহার নিকট হইতে
ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ম্যাজিষ্ট্রেট, ট্রাইব্যুনাল বা সংশ্লিষ্ট অন্য
কোন কর্তৃপক্ষ যদি এই সিদ্ধান্তে
উপনীত হন যে, যুক্তিসঙ্গত
সময়ের মধ্যে মেডিক্যাল পরীক্ষা
সম্পন্ন না হওয়ার জন্য
সংশ্লিষ্ট চিকিত্সকই দায়ী, তাহা হইলে
উহা দায়ী ব্যক্তির অদক্ষতা
ও অসদাচরণ বলিয়া বিবেচিত হইবে
এবং এই অদক্ষতা ও
অসদাচরণ তাহার বার্ষিক গোপনীয়
প্রতিবেদনে লিপিবদ্ধ করা হইবে এবং
উপযুক্ত ক্ষেত্রে চাকুরী বিধিমালা অনুযায়ী
তাহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে,
এবং সংশ্লিষ্ট চিকিত্সকের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার জন্য তাহার নিয়োগকারী
কর্তৃপক্ষ বা, ক্ষেত্রমত, যথাযথ
কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ব্যবস্থা গ্রহণের
জন্য ট্রাইব্যুনাল নির্দেশ দিতে পারিবে৷]
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
৩৩৷ সরকার, সরকারী গেজেটে
প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের উদ্দেশ্য
পূরণকল্পে বিধি প্রণয়ন করিতে
পারিবে৷
১৯৯৫ সনের ১৮
নং আইনের রহিতকরণ ও
হেফাজত
৩৪৷ (১) নারী ও
শিশু নির্যাতন (বিশেষ বিধান) আইন,
১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ১৮
নং আইন), অতঃপর উক্ত
আইন বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্বারা
রহিত করা হইল৷
(২) উক্তরূপ রহিতকরণের অব্যবহিত পূর্বে উক্ত আইনের
অধীন অনিষ্পন্ন মামলা সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে
এবং অনুরূপ মামলায় প্রদত্ত
আদেশ, রায় বা শাস্তির
বিরুদ্ধে আপীল সংশ্লিষ্ট আদালতে
এমনভাবে পরিচালিত ও নিষ্পত্তি হইবে
যেন উক্ত আইন রহিত
করা হয় নাই৷
(৩) উক্ত আইনের অধীন
অপরাধের কারণে যে সমস্ত
মামলার রিপোর্ট বা অভিযোগ করা
হইয়াছে বা তত্প্রেক্ষিতে চার্জশীট
দাখিল করা হইয়াছে, বা
মামলা তদন্তাধীন রহিয়াছে, সেই সমস্ত মামলাও
উপ-ধারা (২) এ
উল্লেখিত আদালতে বিচারাধীন মামলা
বলিয়া গণ্য হইবে৷
(৪) উক্ত আইনের অধীন
গঠিত নারী ও শিশু
নির্যাতন দমন বিশেষ আদালত
সমূহ এই আইনের অধীন
গঠিত ট্রাইব্যুনাল হিসাবে গণ্য হইবে
এবং উপ-ধারা (২)
অনুসারে উহাতে উল্লিখিত মামলাসমূহ
নিষ্পত্তি করা যাইবে৷
১
দফা (ঞ) এবং (ট)
নারী ও শিশু নির্যাতন
দমন (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩
সনের ৩০ নং আইন)
এর ২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
২ মানব পাচার প্রতিরোধ
ও দমন আইন, ২০১২
(২০১২ সনের ৩ নং
আইন) এর ৪৭(১)
ধারাবলে রহিত
৩ মানব পাচার প্রতিরোধ
ও দমন আইন, ২০১২
(২০১২ সনের ৩ নং
আইন) এর ৪৭(১)
ধারাবলে রহিত
৪ “ষোল বত্সরের” শব্দগুলি
“চৌদ্দ বত্সরের” শব্দগুলির পরিবর্তে নারী ও শিশু
নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন,
২০০৩ (২০০৩ সনের ৩০
নং আইন) এর ৩
ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
৫ “ষোল বত্সরের” শব্দগুলি
“চৌদ্দ বত্সরের” শব্দগুলির পরিবর্তে নারী ও শিশু
নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন,
২০০৩ (২০০৩ সনের ৩০
নং আইন) এর ৩
ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
৬ ধারা ৯ক নারী
ও শিশু নির্যাতন দমন
(সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩
সনের ৩০ নং আইন)
এর ৪ ধারাবলে সন্নিবেশিত
৭ ধারা ১০ নারী
ও শিশু নির্যাতন দমন
(সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩
সনের ৩০ নং আইন)
এর ৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
৮ “কিংবা উক্ত নারীকে
মারাত্মক জখম (grievous hurt) করেন বা সাধারণ
জখম (simple hurt) করেন” শব্দগুলি এবং
বন্ধনীগুলি “, উক্ত নারীকে আহত
করেন বা আহত করার
চেষ্টা করেন,” কমাগুলি এবং
শব্দগুলির পরিবর্তে নারী ও শিশু
নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন,
২০০৩ (২০০৩ সনের ৩০
নং আইন) এর ৬
ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
৯ দফা (খ) ও
(গ) পূর্ববর্তী দফা (খ) এর
পরিবর্তে নারী ও শিশু
নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন,
২০০৩ (২০০৩ সনের ৩০
নং আইন) এর ৬
ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
১০ ধারা ১৩ নারী
ও শিশু নির্যাতন দমন
(সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩
সনের ৩০ নং আইন)
এর ৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
১১ ধারা ১৮ নারী
ও শিশু নির্যাতন দমন
(সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩
সনের ৩০ নং আইন)
এর ৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
১২ ধারা ১৯ নারী
ও শিশু নির্যাতন দমন
(সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩
সনের ৩০ নং আইন)
এর ৯ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
১৩ উপ-ধারা (৬)
নারী ও শিশু নির্যাতন
দমন (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩
সনের ৩০ নং আইন)
এর ১০ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
১৪ উপ-ধারা (৮)
নারী ও শিশু নির্যাতন
দমন (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩
সনের ৩০ নং আইন)
এর ১০ ধারাবলে সংযোজিত
১৫ উপ-ধারা (১),
(১ক), (১খ) এবং (১গ)
পূর্ববর্তী উপ-ধারা (১)
এর পরিবর্তে নারী ও শিশু
নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন,
২০০৩ (২০০৩ সনের ৩০
নং আইন) এর ১১
ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
১৬ ধারা ৩১ক নারী
ও শিশু নির্যাতন দমন
(সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩
সনের ৩০ নং আইন)
এর ১২ ধারাবলে সন্নিবেশিত
১৭ ধারা ৩২ নারী
ও শিশু নির্যাতন দমন
(সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩
সনের ৩০ নং আইন)
এর ১৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
ধর্ষণের
শিকার হওয়ার পর নারীদের
যা যা করণীয়:
১. ধর্ষণের পর একা থাকবেন
না, কোনো বান্ধবী বা
আত্মীয়ার সাথে যোগায়োগ করুন,
ঘটে যাওয়া ধর্ষণ নিয়ে
কথা বলুন এবং তাঁর
সাহায্য নিন৷
২. গোসল, খাওয়া-দাওয়া,
ধূমপান, বাথরুম যাওয়া – সম্ভব
হলে এ সব বন্ধ
রেখে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব
ডাক্তারের কাছে চলে যান৷
অর্থাৎ ধর্ষণের চিহ্ন মুঝে যাবার
আগেই ডাক্তারি পরীক্ষা করান৷
৩. হাসপাতালে যাওয়ার পর যদি
‘এমারজেন্সিতে' কারো সাথে এ
বিষয়ে কিছু বলতে না
চান, তাহলে শুধু ‘‘আমাকে
এক্ষুনি একজন স্ত্রী বিশেষজ্ঞের
সাথে কথা বলতে হবে'–
এ কথা বললেও চলবে৷
৪. ধর্ষণকারী যেসব জিনিসের সংস্পর্শে
এসেছে, তার সব তুলে
রাখুন৷ যেমন অন্তর্বাস, প্যাড
ইত্যাদি৷ সম্ভব হলে এ
সব জিনিসের ছবিও তুলে রাখুন৷
৫. নিজেকে দোষী ভাববেন
না৷ কারণ যে ধর্ষণের
মতো জঘণ্যতম কাজটি করেছে, শুধু
সে একাই এর জন্য
দায়ী, অপরাধী৷ আপনি নন৷ এবং
মামলা:
ধর্ষণের
ঘটনা ঘটার পর যত
তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার নিকটবর্তী
থানায় এজাহার বা অভিযোগ
দায়ের করুন। পুলিশ
কর্মকর্তার প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে
চেষ্টা করুন।
এলাকার মান্যগন্য ব্যক্তিদের সাথে নিন ।
সংযোজীত 2
আমাদের অনেকেই
আছেন যাদের কাছে দেশের কোন আইন সম্পর্কে কোন প্রকার ধারণা না থাকার কারণে যখণ
তখন যে কোন অপরাধ করতে দ্বীধাও করেন না।কমাজকম আইনের শাস্তির বিধান জানা থাকলে অনেকে
অপরাধে জডাতে শতবার চিন্তা করবেন,সারা দেশে নারীওশিশু নির্যাতন হত্যা ধর্ষণের মত অপরাধ
গুলো মহামারীর আকর ধারন করেছে এর থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় আল্লাহ ভীতি, মানসিক পরিবর্তন,গনসচেতনতা,ওআইনের
কঠোর প্রয়োগ।তাছাডাঅপরাধ দমনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,মসজিদের ইমাম-খতিব, সমাজের গুনিজন
সহ জনপ্রতিনিধিদের অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে। বর্তমান সময়ে সাধারণ মানুষতো বটে এমনকি
শিক্ষা প্রতিষ্ঠা গুলোতে কিছু মুখোশপরা/লেবাসধারী ওঁতপেতে থাকা দুষ্কৃতিকারীদের হাতে
থেকে রেহাই পাচ্ছেনা আমার দেশের নারীও শিশুরা । তাই বর্তমান সময়ে আমি মনে করি যে কোন
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে/ অফিস আদালতে কর্মরত সকলের জন্য শিশুও নারী নীর্যাতন বিষয়ক আইন
গুলো জানা থাকা জরুরী। এ জন্য আমি বাংলাদেশ সরকারের আইন মন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইড থেকে
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ হুবহু কপি করে সংরক্ষন/বিতরন করার প্রয়াস পাই।
এম এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া
নূরুলগনি ইসলামি একাডেমী কাটাছরা
জোরারগজ্ঞ্জ মিরসরাই চট্টগ্রাম
৭/৭/২০১৯
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন