Translate

বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ, ২০১৫

ঢিলা হাতে হাটাহাটি করা

নিন্মে বর্ণিত প্রশ্নটি আমি করেছিলাম মুহতারম মুফতি 
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।  
তিনি যে জবাব দিয়েছিলেন তা হুবহু পাঠকদের জন্য উপস্হাপন করা হল ।
এবং তার সাথে আর কিছু সংযোজন করা হল । 
প্রশ্ন
 মলত্যাগের পর ঢিলা নেওয়ার তরীকা হল- শীতকালে প্রথমে পেছন থেকে সামনে এরপর সামনে থেকে পিছনে আবার পেছন থেকে সামনে ঢিলা ব্যবহার করবে এবং গরমকালে প্রথমে সামনে থেকে পিছনে এরপর… … । আমরা এ আমলটি করে থাকি , কিন্তু ইদানিং আহলে হাদিস ও জামাতে ইসলামীর আলেমরা এটা কে বোকাস বা বেহুদা কাজ বলতেছে,আবর প্রস্রাব করে ঢিলা নিয়ে হাটাহাটি করাকে বেয়াদবী  নোংরামী বলে আখ্যায়িত করছে।    এটি হাদীস অথবা আছার দ্বারা প্রমাণিত কিনা?
এম এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া
মক্কা সৌদি আরব
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
এগুলো বোগাস হলে তাদের বলুন, তারা কি নাপাকসহই থাকে? শরীরে পায়খানা পেশাব লাগানো অবস্থায়ই কি জীবন যাপন করে?
এসব পদ্ধতির কোনটিকেই আমরা সুন্নত বা জরুরী বলি না।  বরং জরুরী হল পবিত্রতা অর্জন করা। পরিপূর্ণভাবে পবিত্র হওয়া। আর এভাবে পূর্ণ পবিত্রতা অর্জিত হয়ে থাকে। এ কারণে এসব পদ্ধতি অনুসরণ করার কথা বলা হয়েছে। এসব ছাড়াও যদি কারো পবিত্রতা হয়ে থাকে, তাহলেতো কোন কথাই নেই। আমরা এসব পদ্ধতির কোনটিকেই জরুরী বা সুন্নত মনে করি না। শুধু মানুষের অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা গেছে এভাবে দ্রুত পবিত্রতা অর্জিত হয়ে থাকে, তাই এভাবে পবিত্র হওয়ার কথা বলা হয়েছে। সুন্নত বা জরুরী বিষয় হিসেবে বলা হয়নি।
ইস্তিঞ্জা দ্বারা মূল উদ্দেশ্য হল নাপাক পরিস্কার হওয়া। যেভাবে তা পরিপূর্ণ পরিস্কার হয় সেভাবেই তা পরিস্কার করা উচিত। আর এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে পেশাবের ফোটা যেন শরীরে না লাগে। কারণ হাদীসে এসেছে অধিকাংশ মানুষের কবরের আজাব হয়ে থাকে পেশাবের ফোটার কারণে।
সেই হিসেবে যেহেতু পানির দ্বারা নাপাক বেশি পরিস্কার হয়, তাই পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করা সুন্নত। আর ঢিলা দ্বারা ইস্তিঞ্জা করা জায়েজ। {তিরমিজী-১/২৯, মুসতাদরাকে হাকেম-১/১৫৫, হেদায়া-১/৪৮, শরহে নুকায়া-১/৪৮, শরহে বেকায়া-১২৭}
عَطَاءُ بْنُ أَبِي مَيْمُونَةَ قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِذَا خَرَجَ لِحَاجَتِهِ، أَجِيءُ أَنَا وَغُلاَمٌ، مَعَنَا إِدَاوَةٌ مِنْ مَاءٍ، يَعْنِي يَسْتَنْجِي بِهِ»
আতা বিন আবী মাইমুনা বলেন, আমি শুনেছি আনাস বিন মালিক রাঃ বলেছেন, রাসূল সাঃ যখন প্রয়োজন সম্পন্ন [টয়লেটে যাবার জন্য] করার জন্য বের হতেন, তখন আমি ও আরেক ছেলে আসতাম। আমাদের সাথে পানির পাত্র থাকতো। অর্থাৎ এ দিয়ে রাসূল সাঃ ইস্তিঞ্জা করতেন। {বুখারী, হাদীস নং-১৫০}
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-
وَمَنْ اسْتَجْمَرَ فَلْيُوتِرْ، مَنْ فَعَلَ فَقَدْ أَحْسَنَ، وَمَنْ لَا فَلَا حَرَجَ،
যে ব্যক্তি ঢিলা ব্যবহার করে সে যেন বেজোড় ব্যবহার করে। যে তা করবে সে উত্তম কাজ করল, আর যে করেনি তাতে কোন সমস্যা নেই। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫}
ঢিলা হাতে হাটাহাটি করা
আসলে ঢিলা হাতে হাটাহাটি করা জরুরী বিষয় নয়। এটি দেখতেও সুন্দর দেখায় না। কিন্তু ইস্তিঞ্জার ক্ষেত্রে আবশ্যক হল পেশাব থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা। এটি আবশ্যকীয়।
ভাল করে বুঝে নেই। ঢিলা হাতে হাটাহাটি কোন জরুরী বিষয় বা সুন্নত নয়। কিন্তু পেশাবের ফোটা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা আবশ্যকীয় বিষয়। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এ বিষয়ে আমরা দু’টি হাদীস লক্ষ্য করি-
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: مَرَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَبْرَيْنِ، فَقَالَ: ” إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ، وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ، أَمَّا أَحَدُهُمَا: فَكَانَ لَا يَسْتَنْزِهُ مِنَ البَوْلِ – قَالَ وَكِيعٌ: مِنْ بَوْلِهِ – وَأَمَّا الْآخَرُ: فَكَانَ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ “.
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূল সাঃ দু’টি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম হচ্ছিলেন। বললেন, এ দু’টি কবরে আযাব হচ্ছে। কোন বড় কারণে আজাব হচ্ছে না। একজনের কবরে আজাব হচ্ছে সে পেশাব থেকে ভাল করে ইস্তিঞ্জা করতো না। আরেকজন চোগোলখুরী করতো। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৯৮০, বুখারী, হাদীস নং-১৩৬১}
عَنْ عِيسَى بْنِ يَزْدَادَ الْيَمَانِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا بَالَ أَحَدُكُمْ فَلْيَنْتُرْ ذَكَرَهُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ»
হযরত ঈসা বিন ইয়াযদাদ আলইয়ামানী তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের কেউ পেশাব করে, তখন সে যেন তার লজ্জাস্থানকে তিনবার ঝেড়ে নেয় বা পবিত্র করে নেয়। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩২৬}

যেহেতু পেশাব এমন বস্তু। যার ছিটা শরীরে লাগলে কবরের আযাব হয়ে থাকে। আর হাদীসেও লজ্জাস্থানকে ঝেড়ে পবিত্র করার কথা এসেছে। তাই যাদের পেশাব করার পর পেশাবের ছিটা ফোটা ফোটা করে পড়ে, তাদের উচিত কিছুক্ষণ হেটে তা পবিত্র করা। নতুবা পেশাবের ছিটা শরীরে লাগার দরূন মারাত্মক গোনাহ হবে। যা কবরের আযাবের কারণ হবে। সেই সাথে কাপড় থাকবে নাপাক। আর নাপাক কাপড় দিয়ে নামায হয় না।
এ দৃষ্টিকোণ থেকে যাদের পেশাবের ফোটা পেশাব শেষ করার পর পড়ে না। তাদের পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করলেই যথেষ্ট। কিন্তু যাদের বের হয় তাদের কবরের আযাব থেকে রক্ষা পাবার আশায় কিছুক্ষণ হেটে হলেও তা থেকে পবিত্রতা অর্জন করে নেয়া জরুরী।
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
ইমেইল- ahlehaqmedia2014@gmail.com
lutforfarazi@yahoo.com



বিঃ দ্রঃ -

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-
وَمَنْ اسْتَجْمَرَ فَلْيُوتِرْ، مَنْ فَعَلَ فَقَدْ أَحْسَنَ، وَمَنْ لَا فَلَا حَرَجَ،
যে ব্যক্তি ঢিলা ব্যবহার করে সে যেন বেজোড় ব্যবহার করে। যে তা করবে সে উত্তম কাজ করল, আর যে করেনি তাতে কোন সমস্যা নেই। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫} 

এই হাদিসের আলোকেই  সর্ব যুগের  ওলামায়ে কেরাম বেজোড হিসাবে কমপক্ষে তিনটি ঢিলা ব্যবহারের কথা বলেছেন ,যার যার আবস্হার পরিপেক্ষিতে  বেশীও ব্যবহার করতে পারবে,  

এতে করে ভাল ভাবে পবিত্রতা অর্জনে সহায়ক হয়, যেমন আমাদের দেশ সহ পৃথিবীর অনেক দেশে  যেখানে পানির স্বল্পতা  লক্ষ করা যায় সেখানে  বা পানি আছে তা সত্বেও ,
সাধারনত আমার ব্যক্তি গত অভিজ্ঞতা আর বাস্তবতার মিল রেখেই বলতে চাই যে, সাধারনত আমাদের দেশে সকলেই এক বদনা বা  এক লোটা  পানি নিয়েই  টয়লেটে প্রবেশ করেন ,যেটা যুগ যুগ ধরেই সকলে অব্যস্হ ,এটা কারো অজানা বিষয় নয়।


 এক বদনা বা এক লোটা  পানি  যার পরিমান হয়তো দেড থেকে দুই লিটার হবে,     ঢিলা ব্যবহার ব্যতিরেকে শুধু মাত্র  এক লোটা পানি দিয়েই কি পূনাঙ্গ পবিত্রতা অর্জন সম্ভব ? কিছুতেই না !
এই জন্য মাটি বা টিসু পেপার দিয়ে ঢিলা নিয়ে পরে  অল্প   পানি দিয়েই পরিস্কার সম্ভব ।

এখানে লক্ষনীয় বিষয় হল, অনেকে  টয়লেট সারার পর যে হাতে  সামান্য  ময়লা স্পর্শ করছে মাত্র ,সেই হাত কে মাটিতে ঘষে বা বিভিন্ন সাবান দিয়েই  ভাল ভাবে ঘষে , পরে পানি  দিয়েই পরিস্কার করে থাকেন, কিন্তু যে স্হান দিয়ে ময়লা বাহির হয়েছে সেই স্হান কে  পানি ছাডা অন্য কিছু তথা ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন কি ? 

   আর কেউ যদি মনে করে তার  ঢিলা ব্যবহারর প্রয়োজন নেই, পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্হা আছে,   যেমন আজকাল মোটর দিয়ে পাইপের  মাধ্যমে টয়লেটে পানির সংযোগ দেয়া আছে   তাহলে ঢিলা ব্যবহারের প্রয়োজন নেই, কারণ পানিই একমাত্র পবিত্রতা অর্জনের আসল উপায় ।



পক্ষান্তরে
প্রস্রাব করার পরও ঢিলা ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার কথা আমরা হাদিসে পেয়ে থাকি  ,
=========================================== 


যার আমল যুগ যুগ ধরে আদিকাল থেকেই এই ভারত উপমহাদেেশ সহ সারা বিশ্বে  চলে আসছে, যার ধারাবাহিকতায় এদেশের আলেম-ওলামা সহ সর্বসাধারনের মধ্যেও প্রস্রাব করার পর ঢিলা করার প্রবনতা ও আমল লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু আজকাল কিছু কোরআন-হাদীসের উপর কথিত আমল কারী তথা আহলে হাদীসের ভাইয়েরা এই আমল কে বেয়াদবী সহ তিরস্কার করতে দেখা যায় । আফসোস !!!!!!!!!!!! 




যেমন 
نْ عِيسَى بْنِ يَزْدَادَ الْيَمَانِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا بَالَ أَحَدُكُمْ فَلْيَنْتُرْ ذَكَرَهُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ»
হযরত ঈসা বিন ইয়াযদাদ আলইয়ামানী তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের কেউ পেশাব করে, তখন সে যেন তার লজ্জাস্থানকে তিনবার ঝেড়ে নেয় বা পবিত্র করে নেয়। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩২৬}



যেহেতু পেশাব এমন বস্তু। যার ছিটা শরীরে লাগলে কবরের আযাব হয়ে থাকে। আর হাদীসেও লজ্জাস্থানকে ঝেড়ে পবিত্র করার কথা এসেছে। তাই  সেই হিসাবে যাদের পেশাব করার পর পেশাবের ছিটা ফোটা ফোটা করে পড়ে, তাদের উচিত কিছুক্ষণ হেটে  বা কিছুক্ষন অপেক্ষা করে   পবিত্র অর্জন  করা। তবে সেটা লোক চক্ষুর আডালে হলে ভাল হয়,     নতুবা পেশাবের ছিটা শরীরে লাগার দরূন মারাত্মক গোনাহ হবে। যা কবরের আযাবের কারণ হবে। সেই সাথে কাপড় থাকবে নাপাক। আর নাপাক কাপড় দিয়ে নামায হয় না। 


এ দৃষ্টিকোণ থেকে যাদের পেশাবের ফোটা পেশাব শেষ করার পর পড়ে না। তাদের পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করলেই যথেষ্ট। কিন্তু যাদের বের হয় তাদের কবরের আযাব থেকে রক্ষা পাবার আশায় কিছুক্ষণ হেটে হলেও তা থেকে পবিত্রতা অর্জন করে নেয়া জরুরী। 

কারন 
এক ডাক্তারী গবেষনায়ও দেখা গেছে যে আমাদের প্রস্রাবের নালীটা আঁকাবাকা সেই হিসবে প্রস্রাব করার  পর  ঢিলা নিয়ে একটু অপেক্ষা করলে বা তিনবার ঝেডে নিলে প্রস্রবের নালী বা রগে আঁটকে থাকা প্রস্রাব ও এসে যাবে, ফলে শরীর নাপাক হওয়ার আশংকা থাকেনা ।

কিন্তু প্রস্রাব করে ঢিলা নিয়ে অপেক্ষা করা হাটাহাটি করাকে "নোংরামী আর বেআদবী " বলে উপহাস করা আরেক নোংরামী , যা কথিত আহলে হাদীসরা করে থাকেন । তবে হঁ্যা লোক চক্ষুর আডলে করতে পারলে ভাল , তবে তা যদি সম্ভব না হয় তাই বলেকি নাপাক থেকে যাবে ??? আমাদের দেশের পরিবেশ গত ভাবে প্রস্রাবের পর ঢিলা নিয়ে  মানুষের সামনে দাঁডিয়ে থাকতে বাধ্য কারণ , এমন কোন পরিবেশ তৈরী করতে সক্ষম হয়নি দেশের মানুষ ,আর্থিক দূর্বলতার কারনে , যাতে আডালে গিয়ে দাডিয়ে থাকা যায়। কারণ জনবহুল দেশে সব খানে পর্যাপ্ত টয়লেট এখনো নির্মান করতে সক্ষম হয়নি , । 

কারন এমন এমন মসজিদ ও আছে যেখানে হাজার হাজার মুসল্লির সমাগম কিন্তু টয়লেট মাত্র 5/7/10 টি, তাও তিন পাশ ঘেরাও করা, উপর ও সামনের দিকে খোলা।  তাহলে কি করে আডালে গিয়ে অপেক্ষা করবে ।




  "কিন্তু  ঢিলা নিয়ে অপেক্ষা করেও কোন লাভ নেই মর্মে "    "প্রস্রাবের ফোটা সারাক্ষন  আসে " বলে যে উক্তিটি আহলে হাদীসের ভাইয়েরা করে থাকেন এটা ভূল । নিচক্ মুখ রোচক ভোকাস্  কথা মা্ত্র।  

তাহলে আজই আপনি পরিক্ষা করে নিন  । উপরোক্ত নিয়মে  ঢিলা নিয়ে পরিস্কার হওয়ার পর ১০/১৫ মিনিট পর আপনি আবার টিসু বা মাটির ঢিলা নিয়ে দেখুন টিসু বা ঢিলাতে ফোটার কোন চিন্হ পাওয়া যায় নাকি শুকনাই থাকে । হ্যাঁ যাদের সারাক্ষন ্র প্রস্রাব টপকানোর রোগ থাকে সেথায় ভিন্ন কথা , তাদের বেলায় ওজর আছে বিধায় মাজুরের মাসআলা ভিন্ন । তাদের জন্য প্রস্রাব টপকানো আবস্হায় তাৎক্ষনীক তাজা অজু করেই নামাজ আদায় করতে হবে। ঢিলা নিেয়ে ও কোন লাভ হবেনা , সেটা ভিন্ন কথা।

মঙ্গলবার, ২৪ মার্চ, ২০১৫

সিঙ্গাপুর অনলাইন ভিসা এপ্লিক্যাসন করতে চান? লিংক

সিঙ্গাপুর অনলাইন ভিসা এপ্লিক্যাসন করতে চান?





SINGAPORE TOURIST VISA APPLICATION 


সিঙ্গাপুর
ভিসা লাগবে, অনলাইনে ভিসা পাওয়া যায়
লিংক
প্রথম পর্ব
https://www.singapore-visa.sg/

২য় পর্ব
মূলত এখান থেকেই শুরু করবেন ,
এবং পর পর খালিস্হান পূরণ করেই জমা করুন
https://singapore-visa.com.sg/

তাছাডা কেউ বাংলাদেশী ভিসা পেতে    চান তাহলে  এখানে ক্লিক করুন
https://bangladesh.visahq.com/Bangladesh-Tourist-visa-application-Singapore.pdf

বিশ্বের যে  ৪১ টি দেশে যেতে ভিসা লাগবেনা জেনে নিন
http://351224351224.blogspot.com/2015/03/41.html

বিশ্বের 41টি দেশে বাংলাদেশীদের ভিসা লাগে না

বিশ্বের যেসব দেশে বাংলাদেশীদের ভিসা লাগে না 

সংকলিত  

বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা বাধ্যতামূলক। তবে ৪১টি দেশে ভিসা ছাড়া প্রবেশ অথবা অন এরাইভাল ভিসা সুবিধা পান বাংলাদেশীরা।

অস্ট্রিয়া
ভিসা লাগবে
অস্ট্রেলিয়া
ভিসা লাগবে
আইসল্যান্ড
ভিসা লাগবে
আজারবাইজান
ভিসা লাগবে
আফগানিস্তান
ভিসা লাগবে
আর্জেন্টিনা
ভিসা লাগবে
আর্মেনিয়া
ভিসা লাগবে
আলজেরিয়া
ভিসা লাগবে
আলবেনিয়া
ভিসা লাগবে
আয়ারল্যান্ড
ভিসা লাগবে
ইউক্রেন
ভিসা লাগবে
ইকুয়েটরিয়াল গিনি
ভিসা লাগবে
ইকুয়েডোর
ভিসা লাগবে
ইতালি
ভিসা লাগবে
ইথিওপিয়া
ভিসা লাগবে
ইন্দোনেশিয়া
ভিসা লাগবে
ইরাক
ভিসা লাগবে
ইরান
ভিসা লাগবে
ইরিত্রিয়া
ভিসা লাগবে
ইয়েমেন
ভিসা লাগবে
উগান্ডা
অন এরাইভাল ভিসা পাওয়া যায়
উজবেকিস্তান
ভিসা লাগবে
উত্তর কোরিয়া
ভিসা লাগবে
উরুগুয়ে
ভিসা লাগবে
এঙ্গোলা
ভিসা লাগবে
এন্টিগুয়া এন্ড বার্বাডোয়া
ভিসা লাগবে
এন্ডোরা
ভিসা লাগবে
এল সালভাদর
ভিসা লাগবে
এস্তোনিয়া
ভিসা লাগবে
ওমান
ভিসা লাগবে
ক্যামেরুন
ভিসা লাগবে
কঙ্গো প্রজাতন্ত্র
ভিসা লাগবে
কাজাখস্তান
ভিসা লাগবে
কাতার
ভিসা লাগবে
কানাডা
ভিসা লাগবে
কিউবা
ভিসা লাগবে
কিরঘিস্তান
ভিসা লাগবে
কিরিবাতি
ভিসা লাগবে
কেনিয়া
অন এরাইভাল ভিসা পাওয়া যায়
কেপ ভার্ড
অন এরাইভাল ভিসা পাওয়া যায়
কোট ডি ভোয়ার  (Côte d'Ivoire) বা আইভরি কোস্ট
ভিসা লাগবে
কোরাটিয়া
ভিসা লাগবে
কোস্টারিকা
ভিসা লাগবে
কম্বোডিয়া
ভিসা লাগবে
কমোরস
অন এরাইভাল ভিসা পাওয়া যায়
কলম্বিয়া
ভিসা লাগবে
কুয়েত
ভিসা লাগবে
গ্যাবন
ভিসা লাগবে
গ্রানাডা
তিন মাস অবস্থানের জন্য ভিসা লাগে না
গ্রীস
ভিসা লাগবে
গাম্বিয়া
৯০ দিন অবস্থানের জন্য ভিসা লাগবে না
গায়ানা
ভিসা লাগবে
গিনি
ভিসা লাগবে
গিনি বিসাউ
৯০ দিনের জন্য অন এরাইভাল ভিসা পাওয়া যায়
গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র
ভিসা লাগবে
গুয়েতেমালা
ভিসা লাগবে
ঘানা
ভিসা লাগবে
চাদ
ভিসা লাগবে
চিলি
ভিসা লাগবে
চীন
ভিসা লাগবে
চেক রিপাবলিক
ভিসা লাগবে
জ্যামাইকা
ভিসা লাগবে না
জাপান
ভিসা লাগবে
জাম্বিয়া
ভিসা লাগবে
জার্মানি
ভিসা লাগবে
জিম্বাবুয়ে
ভিসা লাগবে
জর্জিয়া
অন এরাইভাল ভিসা পাওয়া যায়
জর্ডান
ভিসা লাগবে
যুক্তরাজ্য
ভিসা লাগবে
যুক্তরাষ্ট্র
ভিসা লাগবে
টগো
৭ দিনের জন্য অন এরাইভাল ভিসা দেয়া হয়
টঙ্গা
ভিসা লাগবে
টিমর-লেসটে
৩০ দিনের জন্য অন এরাইভাল ভিসা দেয়া হয়
ডিজবুতি
অন এরাইভাল ভিসা পাওয়া যায়
ডেনমার্ক
ভিসা লাগবে
ডোমিনাকা
ভিসা ছাড়া ছয় মাস অবস্থান করা যায়
ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র
ভিসা লাগবে
ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগো
ভিসা লাগবে না
তাজাখস্তান
ভিসা লাগবে
তানজানিয়া
ভিসা লাগবে
তিউনিসিয়া
ভিসা লাগবে
তুভালু
এক মাসের জন্য অন এরাইভাল ভিসা দেয়া হয়
তুর্কমেনিস্তান
ভিসা লাগবে
তুরস্ক
ভিসা লাগবে
থাইল্যান্ড
ভিসা লাগবে
দক্ষিণ আফ্রিকা
ভিসা লাগবে
দক্ষিণ কোরিয়া
ভিসা লাগবে
দক্ষিণ সুদান
ভিসা লাগবে
নাইজার
ভিসা লাগবে
নাইজেরিয়া
ভিসা লাগবে
নাওরু
ভিসা লাগবে‌
নামিবিয়া
ভিসা লাগবে
নিউজিল্যান্ড
ভিসা লাগবে
নিকারাগুয়া
৯০ দিনের জন্য অন এরাইভাল ভিসা লাগবে
নেদারল্যান্ড
ভিসা লাগবে
নেপাল
ভিসা লাগবে
নরওয়ে
ভিসা লাগবে
প্যারাগুয়ে
ভিসা লাগবে
পাকিস্তান
ভিসা লাগবে
পানামা
ভিসা লাগবে
পাপুয়া নিউ গিনি
ভিসা লাগবে
পালাউ
ভিসা লাগবে, ৩০ দিনের জন্য ভিসা দেয়া হয়
পেরু
ভিসা লাগবে
পোল্যান্ড
ভিসা লাগবে
পর্তুগাল
ভিসা লাগবে
ফ্রান্স
ভিসা লাগবে
ফিজি
 চার মাস অবস্থানের জন্য ভিসা লাগবে না
ফিনল্যান্ড
ভিসা লাগবে
ফিলিপাইন
ভিসা লাগবে
ব্রাজিল
ভিসা লাগবে
ব্রুনেই
ভিসা লাগবে
বার্বাডোজ
ভিসা লাগবে না
বাহামা
চার সপ্তাহ অবস্থান করলে ভিসা লাগবে না
বাহরাইন
ভিসা লাগবে
বেনিন
ভিসা লাগবে
বেলারুস
ভিসা লাগবে
বেলিজ
ভিসা লাগবে
বেলজিয়াম
ভিসা লাগবে
বটসোয়ানা
ভিসা লাগবে
বুরকিনা ফাসো
ভিসা লাগবে
বুরুন্ডি
বিমানবন্দর থেকে ৩০ দিনের অন এরাইভাল ভিসা পাওয়া যায়
বুলগেরিয়া
ভিসা লাগবে
বলিভিয়া
ভিসা অন এরাইভাল (৯০ দিনের জন্য)
বসনিয়া এন্ড হার্জেগোভেনিয়া
ভিসা লাগবে
ভ্যাটিকান সিটি
ভিসা লাগবে
ভানুয়াতু
৩০ দিন অবস্থানের জন্য ভিসা লাগবে না
ভারত
ভিসা লাগবে
ভিয়েতনাম
ভিসা লাগবে
ভেনিজুয়েলা
ভিসা লাগবে
ভুটান
ভিসা অন এরাইভাল
মঙ্গোলিয়া
ভিসা লাগবে
মাইক্রোনেশিয়া
৩০ দিন অবস্থান লাগে না
মাদাগাস্কার
৯০ দিনের জন্য অন এরাইভাল ভিসা দেয়া হয়
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
ভিসা লাগবে
মাল্টা
ভিসা লাগবে
মালাওয়ি
৩০ দিন অবস্থানের জন্য ভিসা লাগে না
মালি
অন এরাইভাল ভিসা দেয়া হয়
মালদ্বীপ
৩০ দিনের জন্য অনএরাইভাল ভিসা দেয়া হয়
মালয়েশিয়া
ভিসা লাগবে
মায়ানমার
ভিসা লাগবে, অনলাইনে ভিসা পাওয়া যায়
মিশর
ভিসা লাগবে
মেক্সিকো
১৮০ দিনের জন্য ভিসা দেয়া হয়
মেসিডোনিয়া
ভিসা লাগবে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি প্রয়োজন হয়
মোজাম্বিক
৩০ দিনের জন্য অন এরাইভাল ভিসা দেয়া হয়
মোনাকো
ভিসা লাগবে
মৌরিতানিয়া
অনএরাইভাল ভিসা দেয়া হয়
মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র
ভিসা লাগবে
মন্টেনিগ্রো
ভিসা লাগবে‌
মরক্কো
ভিসা লাগবে
মরিশাস
ভিসা লাগবে
মলদোভা
ভিসা লাগবে
রাশিয়া
ভিসা লাগবে
রোমানিয়া
ভিসা লাগবে
রোয়ান্ডা
ভিসা লাগবে, অনলাইনে ভিসা পাওয়া যায়
লুক্সেমবার্গ
ভিসা লাগবে
লাইবেরিয়া
ভিসা লাগবে
লাওস
ভিসা লাগবে, তবে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল লেটার অব গ্যারান্টি নিয়ে কোন অফিসিয়াল ভিজিটে গেলে ভিসা লাগে না
লাতভিয়া
ভিসা লাগবে
লিচটেনস্টাইন
ভিসা লাগবে
লিথুয়ানিয়া
ভিসা লাগবে
লিবিয়া
ভিসা লাগবে
লেবানন
ভিসা লাগবে, অভিবাসন দপ্তরের অনুমোদন প্রয়োজন হয়
লোসোথো
ভিসা লাগবে
শ্রীলঙ্কা
৩০ দিনের জন্য ভ্রমণের অনুমতি দেয়া হয়
স্যান ম্যারিনো
ভিসা লাগবে
স্পেন
ভিসা লাগবে
স্লোভাকিয়া
ভিসা লাগবে
স্লোভানিয়া
ভিসা লাগবে
সুইজারল্যান্ড
ভিসা লাগবে
সুইজারল্যান্ড
ভিসা লাগবে
সুইডেন
ভিসা লাগবে
সাইপ্রাস
ভিসা লাগবে
সাও টামি এন্ড প্রিন্সিপা
ভিসা লাগবে, অনলাইনে ভিসা পাওয়া যায়
সামোয়া
৬০ দিনের জন্য অন এরাইভাল ভিসা দেয়া হয়
সার্বিয়া
ভিসা লাগবে
সারিনেম
ভিসা লাগবে
সিঙ্গাপুর
ভিসা লাগবে, অনলাইনে ভিসা পাওয়া যায়
সিরিয়া
ভিসা লাগবে
সিয়েরা লিয়ন
ভিসা লাগবে
সে সেলিজ
এক মাসের জন্য অন এরাইভাল ভ্রমণ অনুমতি দেয়া হয়
সেন্ট কিটস এন্ড নেভিস
ভিসা লাগবে না
সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জ
এক মাস অবস্থানের জন্য ভিসা লাগবে না
সেন্ট লুসিয়া
ভিসা লাগবে
সেনেগাল
ভিসা লাগবে
সোমালিয়া
ভিসা লাগবে,
তবে বিমানবন্দরে পৌঁছার অন্তত দুই সপ্তাহ আগে ইমিগ্রেশন বিভাগে স্পন্সরের আমন্ত্রণ পত্র পৌঁছে দিলে ৩০ দিনের জন্য অন এরাইভাল ভিসা দেয়া হয়
সৌদি আরব
ভিসা লাগবে
সংযুক্ত আরব আমিরাত
ভিসা লাগবে
সুদান
ভিসা লাগবে
সলোমন দ্বীপপুঞ্জ
ভিসা লাগবে
হাইতি
তিন মাস অবস্থানের জন্য ভিসা লাগে না
হাঙ্গেরি
ভিসা লাগবে
হন্ডুরাস
ভিসা লাগবে



http://www.online-dhaka.com/1415_1420_0-visa-exemption-for-bangladeshis.html

সোমবার, ২৩ মার্চ, ২০১৫

দেওবন্দি ওলামাদের কে ওহহাবী বলে তিরস্কার করা মারাত্বক মিথ্যা অপবাদ

আমি ছাত্র জীবন শেষ করে  শিক্ষকতার জীবন মিলে প্রায় দীর্ঘ ২১ বছর অতিবাহীত করার পর প্রবাস জীবনও  প্রায় ১৫ বছর অতিবাহীত করার পর একটা িষয়ে চিন্তা করলাম যে , দেশে বিদেশে প্রচলিত একটি শব্দ "ওহহাবি " শুনতে অত্যন্ত খারাপ লাগে, তাই স্হীর করলাম এ বিষয়ে কিছু গবেষনা করব। তাই বিভিন্ন মনিষীদের বই লেখনি ওয়েবসাইট সহ বিভিন্ন গবেষনা মূলক বই অধ্যয়ন করলাম।
তাই গবেষনা পূর্বক যে কথাটি আমি বুঝতে পেরেছি তাই পাঠকদের উদ্দ্যেশে উপস্হাপন করলাম,
এর পর  ও আপনাদের কাছে কোন তথ্য থাকলে অবশ্যই শেয়ার করার অনুরোধ রইল। কারণ আমরা সকলেই সত্য অন্বেষনকারী ।

তাহলে আসা যাক ওহহাবী বা ওহাবী আন্দোলন আসলে  কি ?আসলে কে বা কারা ওহহাবী তা জেনে নেয়া  যাক।
========================================

আসলে ওহাবী আন্দোলন বলে খ্যাত  খ্রিষ্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীর আরবের একটি সংস্কার আন্দোলন। এ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মাদ বিন আবদুল ওয়াহহাব (১৭০৩-১৭৯২ খ্রি.)

  তিনি একজন ধর্মীয় আলেম এবং সংস্কারক ছিলেন। তিনি আমাদের এ ভারতীয় উপমহাদেশের বিপ্লবী আলেম মাওলানা শাহ ওলিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভীর সমসাময়িক ছিলেন। দ্বাদশ শতাব্দীর প্রখ্যাত আলিম মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহ্হাব নজদী (রহঃ) (মৃতঃ ১২০৬ হিঃ) মূলত হাম্বলী মায্হাবেরই মুক্বাল্লিদ্ ছিলেন।

 তৎকালীন সৌদি আরবে বিশেষত নজ্‌দে শিরক্, বিদয়া’ত, কবরপূজা, মাযারপূজা, গাছপূজা, আগুনপূজা ও প্রতিমা-মানব ইত্যাদি পূজা-উপাসনার মোকাবিলা ও প্রতিরোধে তার কার্যকরী, সাহসী ও বীরবিক্রম পদক্ষেপ আসলেও গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশংসার দাবী রাখে। তাঁরই অবদানে তদানীন্তন আরব মধ্যযুগীয় বর্বরতা, সীমাহীন ভ্রষ্টতা ও শিরক কুফরের অতুলনীয় অন্ধকারাচ্ছন্নতা থেকে রেহাই পেয়েছ ৷

 তবে অনেক বিষয়ে বাড়াবাড়ির ফলে তাঁর সঙ্গে তদানীন্তন সউদী অনেক  আলেম উলামাদের  মহামতানৈক্য ও সৃষ্টি হয়।  এবং এর বিরোধীরা তাঁকে ওহহাবী বলে তিরস্কার করতে আরম্ভ করলেন ।

 এদিকে ভারতবর্ষের লা-মায্হাবীরাও যেহেতু মুসলমানদের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টির ষড়যন্ত্র হিসেবে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহ্হাব নজদীর  মতবাদ গ্রহণ করত বলে তাদেরকেও মুসলমানদের একটি গ্রুপ তাদেরকেও  ওহ্হাবী বলে আখ্যায়িত করতে থাকেন।

  আর তখন তারা নিজেদেরকে মুহাম্মদী,  আহলে হাদীস বলে প্রচারের চেষ্টায় মেতে উঠে।  বর্তমান   অন্য সকল নাম বাদ দিয়ে  আহলে হাদীস আন্দোলন নামের ব্যানারে নিজেদের  কে প্রকাশ করছে ৷

   তবে এ নামটি মূলত ইংরেজ কতৃক সীকৃত যা আমি আমার এই ব্লগেও উপস্হাপন করেছি।

কিন্তু  বাংলাদেশের কোন কোন স্হানে দেওবন্দী ওলামাদের কে ওহহাবী বলে তিরস্কার করতে দেখা যায়।

 কিন্তু দেওবন্দী ওলামাদের সাথে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহ্হাব নজদীর সাথে কোন সমপর্কই নেই , কারন একেতো তিনি হাম্বলী মাযহাবের অনুসারী আর সকল দেওবন্দী ওলামাগন   হানাফী মাযহাব এর অনূসারী ,

,তিনি হলেন লামাযহাবী গায়রেমোকল্লিদদের ইমাম  দেওবন্দীদের ইমাম নয়, দেওবন্দীগন সঠিক আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত এর অনুসারী   ৷ 

তাছাড়া সৌদি আরবের সেই মুহাম্মদ বিন আবদুল ওহহাবের মতবাদ কে কেন্দ্র করে ইতিহাসে ঘৃনিত সেই ওহহাবী ফেরক্বার সাথে ও তুলনা অকল্পনীয় মনে হয়।

   কারণ  সম্রাজ্যবাদী ইহুদী-খৃষ্টানরা তাদের হীন চন্ত্রান্ত চরিতার্থ করার স্বার্থে হিজরি ২য়/৩য় শতাব্দীতে উত্তর আফ্রিকায় প্রচারিত সেখানকার জনৈক আব্দুল ওয়াহহাব ইবনে রুস্তম  খারিজীর  নামের সাথে ওহাবী ফেরকার নামটি ব্যবহার করে এক বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছেন , এটি ছিল আবাজী খারেজী মতবাদে বিশ্বাসী এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের শিক্ষার পরিপন্থী একটি ভ্রান্ত ফিরকা।  এরাই হল আসলে ওহহাবী ফেরক্বাহ। 

সে তার এলাকায় ইসলামী শরিয়ত বন্ধ ঘোষনা করার সাথে সাথে হজ্বের যাত্রা বাতেল করে এবং তার মতাদর্শ বিরোধীদের কাফের বলে ঘোষনা দেন। এর ফলে সেখানে যুদ্ধ বিদ্রোহ সহ নানান ফেতনা দেখা দিয়েছিল । কিন্তু তৎকালীন সঠিক   আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আক্বিদাহ ধারী ওলামারা  উল্টো তাকে কাফের বলে ঘোষনা করেছিলেন । যাকে সকলেই ঘৃনা করেন , আমরাও ঘৃনা করি,   সময়কাল ছিল  হিজরী ২য শতাব্দী,  মৃ্ত্যু 197 হিজরী ।



আর   মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব রহ. আরব উপদ্বীপে ১২০০/১৩০০ হিজরীতে যে মহান সংস্কারের ডাক দিয়েছিলেন, যার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দাওয়াত-তাওহীদ ও সুন্নাতের ডাক, কুসংস্কার, শিরক, বিদআত বর্জনের উদাত্ত আহবান।  তাঁর আসল নাম হল মুহাম্মদ কিন্তু পিতার নাম আব্দুল ওয়াহহাব ,,


তবে স্বার্থম্বেসী  একটি মহল বিভ্রান্ত ছডানোর জন্য সেই হিজরি ২য়/৩য় শতাব্দীতে উত্তর আফ্রিকায় প্রচারিত সেখানকার  আব্দুল ওয়াহহাব ইবনে রুস্তম  খারিজী  নামের সাথে ওহাবী ফেরকার নামটি ব্যবহার করে।   সৌদি আরবের সেই সংস্কারক কেও ওয়াহহাবী বলে  আখ্যায়ীত করতে থাকেন ।

উভয়ের মধ্যকার  সময়ের অনেক ডিপারেন্স ।  যখন এ ফেরকাটি উদ্ভব হয়েছি তখন  শাইখ   মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব রহ. এর 20/22 তম পূর্ব পুরুষের ও জন্ম হয়নি । তাসত্বেও তাকে ওহহাবী হিসাবে সম্বোধন করা হয়েছে। যা নিতান্ত ভূল ছিল মনে হয়।
 তাছাডা বর্তমান সৌদি আরবের সেই  মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব রহ. কে ওহহাবী না বলে মুহাম্মদী বলাই উচিত ছিল, তার নাম অনুসারে , কারন  আবদুল ওহহাবতো পিতার নাম, মুহাম্মদ যেহেতু সংক্সার করেছিলেন । আর সেই আফ্রিকার সেই প্রবক্তার নামই ছিল আবদুল ওহহাব।  মূলত সেইই ছিল ওহহাবী মতবাদের প্রবক্তা, যার ইশারা হাদীসে রসুলেও এসেছে ।


কিন্তু পরবর্তিতে  আমাদের  দেশে একটি কুচক্রি মহল তথা মাজার পন্থিরা  সহ নাস্তিক্যবাদে বিশ্বাসী তথা শাহরিয়ার কবির গংরা  সৌদি  ওহহাবী   দেওবন্দি ওহহাবী  বলে সকলকে একাকার করে তিরস্কার/উপহাস করাে থাকেন  অথচ  এদের সাথে সেই ফেরকায়ে ওয়াহহাবিয়্যতর সাথে কোন সম্পর্কই নেই।  তাছাডা দেওবন্দি ওলামা ও সৌদি ওলামা উভয়ে দুটো ভিন্ন দ্বারায় পরিচালিত যদিও উভয়েই হক্ব ও আহলে সুন্নাতের মতাদর্শে  বিশ্বাসী। 

 কিন্তু এদের কেউ সেই ইতিহাসে ঘৃনিত  আব্দুল ওয়াহহাব ইবনে রুস্তম  খারিজীর আক্বিদা বা মতাদর্শে বিশ্বাসী না । কারন সেই আব্দুল ওয়াহহাব ইবনে রুস্তম  খারিজী   যেহেতু তার এলাকায়  ইসলামী শরিয়ত বন্ধ ঘোষনা করার সাথে সাথে হজ্বের যাত্রা বাতেল করে এবং তার মতাদর্শ বিরোধীদের কাফের বলে ঘোষনা করেছিলেন কিন্তু  সৌদি আরবের সেই শেখ মুহাম্মদ বিন আবদুল ওহহাব নজদী বা দেওবন্দি ওলামা  কতৃক শরিয়তের কোন হুকুম কে কি কখনো বন্ধ বা নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছিলেন বা এদের কেউ হজের সফর কে বাতেল করেছিলেন বা তাদের মতাদর্শ  কেউ মেনে না চললে কাফের বলে সম্বোধন করেছিলেন ? না কখনো করেননি ।তাহলে এরা সেই  ইতিহাসে ঘৃনিত সেই ওহাবীর অনূসারী হয় কি ভাবে ? এটাই বিবেকের কাছে প্রশ্ন ।  

তাছাডা আব্দুল ওয়াহহাব ইবনে রুস্তম  খারিজী ইতিহাসের এক  ঘৃনীত ব্যক্তি এতে কোন সন্দেহ নেই কারণ তার আক্বিদাহ সমপূর্ণ আহলে সুন্নাতের বিপরীত ছিল তাছাড়া হযরত আলী রাঃ এর জামানার সেই ফেরক্বায়ে খারেজীয়া আরও জগন্য বাতেল ফেরক্বাহ ছিল  যা সকলেরই জানা কথা , কিন্তু     আব্দুল ওয়াহহাব ইবনে রুস্তম  খারিজী     সেই বাতিল ফেরক্বার প্রতিনিধিত্ব করত বলেও তার নামের সাথে খারেজীর উপাধীও দেয়া হয়েছিল  । 

কিন্তু বর্তমানে যাদের দিকে এ ঘৃনীত নিসবতটি করা হয় এদের সাথে ওদের কোন সম্পর্কই নেই।

তাছাড়া এখানে প্রসঙ্গক্রমে একটা কথা না বললে হয়না যে বাংলাদেশের কোন কোন অঞ্চলে দেওবন্দ ভিত্তিক কওমী মাদ্রাসা গুলোকে অনেকে না জেনে না বুঝে খারেজী মাদ্রাসা হিসাবেও অবহিত করে থাকেন কিন্তু এটা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন যে এরা কি আসলে সেই ইতিহাসের সেই ঘৃনীত খারেজীদর প্রতিনিধিত্বকারী মাদ্রাসা? না আসলে তা না বর্তমান পৃথিবীতে ফেরক্বায়ে খারেজীয়ার  অস্তিত্ত খুজে পাওয়া যায়না, তবে এদেরকে কেন খারেজী বলা হয়? তাহলে বুঝতে হবে  খারেজী শব্দের অর্থ কি? খারেজী শব্দের অর্থ " হল বাহির হয়ে যাওয়া" কারণ কওমী মাদ্রাসা গুলো সরকারের নিয়ন্ত্রনের বাহিরে থাকায় এসকল প্রতিষ্ঠানকে অনেকে খারেজী মাদ্রাসা হিসাবেও অবহিত করা হয়।আর কওমী মাদ্রাসা যেহেতু কওমের সাহায্য সহযোগিতায় চলে বিধায় কওমী মাদ্রাসা বলা হয়।আর দেওবন্দী নেসাব আর অবকাঠামো মতে চলে বিধায় দেওবন্দি মাদ্রাসা বলা হয়।
যাহোক আবার মূল কথায় ফিরে আসি ।

কিন্তু স্বীয় মতের  বিরোধীদের কে ঘায়েল করতে ওহহাবী বলে তিরস্কার করা একটি হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহর করে থাকেন অনেকে ।

যেমনটি   বৃটিশ আমলে আমাদের বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা নিসার আলী ওরফে তীতুমীর এবং হাজী শরীয়তুল্লাহর ফরায়েজী আন্দোলন সবই বৃটিশ ঐতিহাসিক ও আমলা ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টার প্রমুখ কর্তৃক (ওহাবী) বলে অভিহিত হয়।
হান্টারের ভাষ্যমতে, সৈয়দ আহমদ বেরলভী মক্কায় গিয়ে ওহাবী আন্দোলনে দীক্ষিত হয়ে আসেন, অথচ তিনি বা আমাদের তীতুমীর, হাজী শরীয়তুল্লাহ প্রমুখ বীরপুরুষগণ যখন ১৮২০ সালের দিকে হজে যান তখন মক্কা-মদীনায় সুদৃঢ় তুর্কী শাসন চলছিল এবং ঐ সময় ঐ  সব পবিত্র নগরীতে ওহাবী আন্দোলনের নামটি উচ্চারণ করাও ছিল গুরুতর অপরাধ। 

এর এক দশক পূর্বেই তুর্কী সুলতানরা ১২৪৪ হিজরীতে/১৮১৩ খ্রি.  সেই কথিত সৌদি আরবের তথা কথিত ওহাবীদেরকে হটিয়ে মুক্ত করে ফেলেছিলেন। তখন  ওহাবীদের কোন কতৃত্বই ছিলনা  
সুতরাং ওটা ছিল নেহাৎই রাজনৈতিক প্রচারণা এবং অসত্য বিবরণ। হক্ব ও ন্যায়ের পক্ষে অন্যায় অত্যাচার জুলুমের বিরুদ্বে কথা বলেছেন ইংরেজদের বিরুদ্বে জেহাদের ফতোয়া দিয়েছিলেন  বলেই ইংরেজরা দেওবন্দি ওলামাসহ সমসাময়ীক আজাদী আন্দোলনের সকল কে ওহাবী বলে তিরস্কার করেছিলেন ৷
 আজও যারা হক্বের পক্ষে কুফর শীরক বেদআতের বিরুদ্ধে  কবর পুজা, ভন্ড পীরের  বিরুদ্বে কথা বলেন তাদের কে ও ঐ সেই ইংরেজদের দালাল তথা মাজার পুজারীরা  ওহাবী বলে তিরস্কার করে থাকেন ৷

 অথচ সেই  ২য় শতাব্দীর সেই আসল ওহাবী আন্দোলনের আক্বিদাহ  আর সৌদি আরবের সেই মুহাম্মদ বিন আবদুল ওহহাব নজদীর কথিত ওহহাবীর আক্বিদাহ, আর দেওবন্দি ওলামাদের আক্বিদার মধ্যে আকাশ পাতাল ব্যবধান । কাজেই ভারত উপমহাদেশের দেওবন্দি ওলামাদের কে ওহহাবী বলে তিরস্কার করা জগন্য ঘৃন্য অপরাধ  আর মারাত্বক ঘৃন্য অপবাদ ছাডা আর কিছুই না ।

১৮৬৪ সালে ‘গ্রেট ওহাবী ট্রায়াল’ নামে উপমহাদেশীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বিরুদ্ধে  ইংরেজ‘ কতৃক কোলকাতা হাইকোর্টে’ সরকারী মামলা হয়েছিল-যার ভিত্তিতে অনেকেরই ফাঁসি ও দ্বীপান্তরের শাস্তি হয়েছিল। সে মামলার অভিযুক্তগণ আদালতে তাদেরকে ওহাবী বলে অভিহিত করার প্রতিবাদ করে বলেছিলেন, আমরা ওহাবী নই, আমরা  মুহাম্মাদী তরীকারই অনুসারী।’ তারা ওহাবীর পরিবর্তে তাদেরকে সুন্নী বলে অভিহিত করার দাবী ও করেছিলেন।
 স্বয়ং হান্টার লেখেন, কার্যত ওহাবীরা হচ্ছে সুন্নী সম্প্রদায়ের একটি অগ্রগামী অংশ এবং ইসলামের শুদ্ধাচারপন্থী অংশ। বাংলা ও উত্তর পশ্চিম ভারতের প্রায় সকল মুসলমানই সুন্নী সম্প্রদায়ভুক্ত। (ইন্ডিয়ান মুসলিমস পৃ. ৪৫-৪৬) 

বর্তমানে ‘ওহাবী তত্ত্ব’ পুনঃআবিষ্কারকারীগণ সেই নোংরা ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করে জানান দিলেন, ব্রিটিশ বেনিয়ারা ৬৫ বছর পূর্বেই এদেশ থেকে পাততাড়ি গোটাতে বাধ্য হলেও তাদের নিমক হালাল অনুগামীরা এখনো বেঁচে আছেন এবং যে কোন বাতিল শক্তিকেই তারা মদত যোগাতে সদা প্রস্ত্তত! 
এবং তাদের  মতের বিরুদ্ধে হলেই তাকে ওয়াহহাবী বলে গালি দেন। এবং নিজেদের কে সুন্নি বলে দাবী করেন,অথচ করছে সুন্নতের বিপরীত বেদআত সহ নানান কুসংস্কার।আর যারাই প্রকৃত সুন্নাত আর তাওহিদের উপর প্রতিষ্ঠিত , যারা সারা জীবন কুফর শীর্ক  বেদআত আর কুসংস্কারের বিরুদ্বে লডাই করছেন তারা হয়ে গেল ওহহাবী আর বেদআতিরা হয়ে গেল সুন্নি এ কি হাস্যকর ব্যপার! আল্লাহ সকলকে তাওহিদে খালেছ বুঝার ও মানার তাওফিক দান করুন আমিন ।

আল্লাহ সকলর সহায় হউক 

রবিবার, ৮ মার্চ, ২০১৫

৭১'এ স্বাধীনতা যুদ্ধে ওলামায়ে কেরামের অবদান

৭১'এ স্বাধীনতা  যুদ্ধে ওলামায়ে কেরামের অবদান

colact এম এম আবদুল্লাহভূঁইয়া  
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমাদের এই দেশ পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী থেকে মুক্ত হয় এবং বাংলার হৃদপিন্ডে টকটকে লাল স্বাধীনতার সুর্য উদ্ভাসিত হয়। সবুজ-শ্যামল স্বাধীন দেশ হিসাবে পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান পেয়েছে হিজল তমাল,তরুলতা আর সবুজ শ্যামলতায় ঘেরা রুপসী রাংলাদেশ। বিশ্বের দরবারে আমাদের আত্ম পরিচয় ঘটেছে স্বাধীন জাতি হিসাবে। স্বাধীনতা প্রতিটি জাতির গৌরব ও অহংকারে বিষয়।


৭১’ এর স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল জালিমের বিরুদ্ধে মাজলুমের। পাকিস্তানীরা ছিল জালিম আর এদেশের নিরীহ মানূষ ছিল মাজলুম। সুস্থ-বিবেক সম্পন্ন কোন মানুষ কখনো জালেমের পক্ষাবলম্বন করতে পারেনা। মাজলুমকে সাহায্য করা, তাদের পক্ষে কথা বলা এটাই মনুষত্বের পরিচয় এবং ঈমানী দায়িত্ব। আর সে জন্যই এদেশের আলেম সমাজ ও এদেশের মুক্তিকামী মানুষের পাশে দাড়িয়ে দেশের মানুষকে পাকিস্তানী জালিম শাসকদের কবল থেকে মুক্ত করেছিলেন। পাকিস্তানীহানাদার বাহিনীর জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। রাজপথে যুদ্ধে করেছেন। কাজ করেছেন দেশ-প্রেমিক হয়ে। অসংখ্য উলামায়ে কেরামগণ তাদের জান-মাল ,সব শক্তি-সামর্থ্য দিয়ে এ দেশের মাজলুম জনগণের স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে উলামায়ে কেরামদের অবদান অনস্বীকার্য। নিম্নে উলামায়ে কেরামগণের নাম ও তাদের অবদানের কথা খুবই সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরা হল।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক আবহাওয়া এমন যে কোন আলেম মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, এ রকম কোন সংবাদ শোনার জন্য আমাদের কান অভ্যস্ত নয়। একটি স্বার্থান্বেষী মহল রাজনৈতিক স্বার্থে ইসলাম এবং ইসলামের সাথে সম্পর্কিত সকল কিছুর গায়ে স্বাধীনতা বিরোধীর  লেবেল দেয়ার চেষ্টা করছে।  স্বাধীনতা যুদ্ধে  ওলামায়ে কেরামের অংশ গ্রহনকে খাটো করে দেখা হচ্ছে।  ইতিহাসের পাতা থেকে ওলামাদের অবদানকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে।  যার কারণে আমরা ভুলে যেতে বসেছি যে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অন্যান্য পেশার লোকদের পাশাপাশি বহু ওলামায়ে কেরামও যে  অংশ নিয়েছেন। তাদের অনেকে রণাঙ্গনে প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধ করেছেন এবং অনেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের সাথে দেশের অভ্যন্তরে থেকে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেছেন। তাই আমি ইতিহাসের পাতা থেকে বিভিন্ন মনিষীদের লেখনি থেকে সংকলন করতঃ সাধারনের উদ্দ্যেশে সামান্য কিছু উপস্হাপন করার চেষ্টা করছি ।

আমরা যারা বাংলাদেশে বাস করছি, তারা সকলেই জানি, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল ১৯৭১সালে। এর আগে এ দেশ পাকিস্তানের অন্তর্ভূক্ত ছিল।আর পাকিস্তান স্বাধীনতা অর্জন করেছিল ১৯৪৭ সালে এবং ১৯৪৭ সালের আগ পর্যন্ত এ-দেশগুলোর স্বতন্ত্র কোনো নাম ছিল না। সমষ্টিগত নাম ছিল-মহাভারত।
১৯৪৭ সালের পূর্বে প্রায় ২০০ দুইশত বছর মহাভারত শাসন করেছিল ইংরেজরা। ইংরেজদের শাসনামলের আগে,মহাভারতের শাসন ক্ষমতা ছিল মুসলমানদের ।



ইংরেজদের শাসনআমলে ইংরেজদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে, তৎকালীন উপ-মহাদেশের সবচেয়ে বড় আলেম, আল্লামা শাহ্ ওয়ালিউল্লাহ্ মুহাদ্দিসে দেহলবী রহ এর বড় সাহেবজাদা আল্লামা শাহ্ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিসে দেহলবী রহ. ১৮০৩ সালে ইংরেজদের বিরুদ্ধে জালিম বলে ফতোয়া দিলেন।এই দেওবন্দি আলেমদের একটি ফতোয়া "ভারত বর্ষ দারুল হারব হয়ে গেছে ইংরেজদের বিরুদ্ধে জেহাদ করা ফরজ" একইসাথে  ইংরেজদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাও দেন।এই ঘোষণা বা ফতোয়ার ভিত্তিতে, ভারত বর্ষের সকল মুসলমান, স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রাণ-পণে ঝাঁপিয়ে পড়ে। যার ফলে শেষ পর্যন্ত হাজার হাজার মুসলমান তথা-আলেমদের রক্তের বিনিময়ে ইংরেজদের হাত থেকে ভারত স্বাধীনতা লাভ করে। যার কারনে ইংরেজ বিতাড়িত হয় এবং ভারতবর্ষ স্বাধীন হয়। ভারতবর্ষ ইংরেজ মুক্ত হতে পেরেছে বলেই পাকিস্তান এবং তার পর বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পেরেছে। 

এর দ্বারা  সহজেই বুঝতে পারছেন যে, ভারত উপ-মহাদেশ স্বাধীনতা আন্দোলনে আলেম-উলামার কতখানি অবদান ছিল।

এখানে আরও আরেকটু স্পষ্ট করে বলতে চাই যে,ভারত স্বাধীন হওয়ায় পাকিস্তান স্বাধীন হয়েছে এবং পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ায় বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তাহলে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়া নির্ভর করে পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার উপর। পাকিস্তান স্বাধীন হওয়া নির্ভর করে ভারত স্বাধীন হওয়ার উপর এবং ভারত স্বাধীন হওয়া নির্ভর করে আল্লামা শাহ্ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিসে দেহলবী রহ. এর ঘোষণা বা ফতোয়ার উপর। এক আধ্যাত্বিক মহা-পুরুষ আল্লামা শাহ্ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিসে দেহলবী রহ. এর ফতোয়ার উপর ভিত্তি করে, আজ ভারত পাকিস্তান ও বাংলাদেশ স্বাধীন হল। অথচ,স্বাধীনতা ইতিহাসের পাতায় উলামায়ে কেরামের কোনো নাম ও নেই। আর যারা আজকে মুক্তিযোদ্ধা বলে চিৎকার করছে, জিজ্ঞাসা করলে জানাযাবে যে এদের অধিকাংশই মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসও জানেনা। আজ অনেকে উলামায়ে কেরামের এই অসামান্য অবদানকে স্বীকার করতে লজ্জাবোধ করে,  


এবার আসা যাক আমাদের বাংলাদেশ নামক এ ভূখন্ডের সেই ১৯৭১ এ রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধে এ দেশের আলেম সমাজের কি ভূমিকা ছিল ?এই স্বাধীনতা যুদ্ধে  সাধারন জনগনের স্বঃপুত অংশ গ্রহন  যেমন ছিল ,তেমনি আলেম ওলামাদের অংশ গ্রহনের কথাও অস্বীকার করার কোন অবকাশ নেই ।যদি তাই হয় তাদের অবদানের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে ।যদিও কেউ কেউ  তৎকালীন রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারনে এর বিরোধীতাও করেছিল,তাই বলে কি আজকে যাদের জন্মই হয়নি সেই সময়,শুধুমাত্র  ধর্মীয় লেবাসের কারনে রাজাকার বলে উপহাশ করা অত্যন্ত দুঃখ জনক।
=======================================================
৭১’ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে  অনেক উলামায়ে কেরামই ছিলেন মুক্তিকামী মানুষের সিপাহসালার। বাংলাদেশের বিখ্যাত আলেম ও বুযুর্গ কওমী ওলামাদের শীরমনি  আল্লামা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জি হুজুর (রাহ.)ও মাওঃ এমদাদুল হক আডাইহাজারী অন্যতম, সে সময়  তিনি স্পষ্ট   ভাষায় বলেছিলেন,“এ যুদ্ধ ইসলাম আর কুফরের যুদ্ধ নয়,এটা হল জালেম আর মাজলুমের যুদ্ধ"। এ যুদ্ধ ছিলো জালেমের বিরুদ্ধে মাজলুমের লড়াই। পাকিস্তানীরা জালেম আর এ দেশের বাঙ্গালীরা মাজলুম।তাই সামর্থ্যানুসারে দলমত নির্বিশেষে সকলকেই মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করতে হবে এবং এটাকে প্রধান কর্তব্য বলে মনে করতে হবে”। এ দেশের শ্রেষ্টবুজুর্গ ফেদায়ে মিল্লাত আল্লামা হযরত হোসাইন আহমদ মাদানী (রাহ.) এর বিশিষ্ট খলিফা,আধ্যাত্মিক রাহবার আল্লামা লুৎফুর রহমান বর্র্র্ণভী ছিলেন আরএকজন দূরদশী সিপাহসালার। তিনি তখন পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন না করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিলেন এবং বিপদগ্রস্থ বাঙ্গালী মানুষদেরকে সাহায্য- সহযোগীতা করেছিলেন। তৎকালিন সময়ে একবার তিনি আ্ল্লামা আশরাফ আলী ধরমপুরী (রাহ.) কে ভবিষ্যৎবানী করেছিলেন যে ,“ আমি সুর্যের মত ¯স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি যে,কয়েক দিনের ভিতরেই এ দেশ স্বাধীন হয়ে যাবে এবং পাকিস্তানী হানাদারের জুলুমের কবল থেকে এ দেশের জনগন মুক্তি লাভ করবে”।  সত্যি ভবিষ্যৎবানী বাস্তব হয়েছে।আড়াইহাজার থানার কমান্ডার মরহুম শামসুল হকের অধিনে আল্লামাএমদাদুলক আড়াইহাজারী (রাহ.) মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিলেন। তিনি বলেন ১৯৭১ সালে যখন আমি লালবাগ মাদরাসার ছাত্র তখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। যুদ্ধ শুরু হলে আমার মাদরাসা বন্ধ হয়ে যায়। তখন আমি হাফেজ্জি হুজুর ( রাহ.) কে প্রশ্ন করলাম; হুজুর এ যুদ্ধে আমাদের ভূমিকা বা কর্তব্য কি? তখন হুজুর আমাকে বললেন পাকিস্তানী জালিম হানাদার বাহিনীর জুলুম থেকে এ দেশের মানুষকে রক্ষা করা অবশ্যই তোমার আমার সকলের কর্তব্য। তাই বসে থাকার সময় নেই ,জালিমদের কবল থেকে মাজলুমদেরকে বাচাঁনোর জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন কর। এ দেশের নিরীহ জনগনকে সহযেগিীতা করা আমাদের ইমানী দায়িত্ব। আর সেই সময় হাফেজ্জি হুজুর (রাহ.) বলেছিলেন,“হুব্বুল ওয়াতান  মিনাল ঈমান” অর্থাৎ ‘দেশ প্রেম ঈমানেরে অঙ্গ’। তাঁর এ কথার উত্তর শুনে আমি বেশ অনুপ্রাণীত হলাম এবং আর বসে থাকতে পারলাম না। আমিও মুক্তিযুদ্ধেশরীক হয়ে গেলাম। 
হযরত মাওলানা মুফতি মাহমুদ (রাহ) ও বাঙ্গালী মুসলমানদের পক্ষে ছিল। তার বক্তব্য ছিল বাঙ্গালীদের পক্ষে। মাওলানা আব্দুস সালাম, তিনি বলেন ৭১’সালে আমি করাচি ইউসুফ বিন নুরী মাদরাসার ছাত্র, একদিন মুফতিমাহমুদ সাহেব মাদরাসায় এলে তাকে এক নেতা শেখ মুজিব সম্পর্কে বলেছিল শেখ মুজিব গাদ্দার কে গ্রেফতার করে আনা হয়েছে। তাকে এখনই হত্যা করা হবে তখন মুফতি সাহেব হুজর রাগান্বিত হয়ে বলেছিলেন শেখ মুজিব গাদ্দার নন; তিনি একজন দেশ প্রেমিক মুসলমান। 
মুফতি মাহমুদ (রা.) ১৩ মার্চ এক বক্তব্যে পরিস্কার ভাষায় পাকিস্তানের ইয়াহইয়া খানের ভুট্রোর নীতিকে ভুল আখ্যা দিয়ে শেখ মুজিবের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহব্বান জানান। ইতিহাস অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায় যে,স্বাধীনতা সংগ্রামে সংগঠক হিসেবে এবং এদেশের মানুষকে মুক্তি যুদ্ধে উৎসাহ ও সহযোগীতায় আলেম সমাজের ভুমিকাই সবচয়ে বেশী। কিন্তু আজকে ইতিহাসের পাতায় তাদের নাম নেই।
কারন সক্রীয়ভাবে মুক্তি যুদ্ধের পক্ষে কাজ করেছেন অসংখ্য কওমী উলাময়ে কেরাম ও পীর-মাশায়েখগণ। তাদের মাঝে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন আল্লামা হাফেজ্জি হুজুর ( রাহ.) আল্লামা লুৎফুর রহমান বরুণী (রা.) ,আল্লামা কাজীমু’তাসিম বিল্লাহ, আল্লামা মুফতি নুরুল্ল্যাহ ( রাহ.) আল্লামা এমদাদুল হক আড়াইহাজারী (রাহ.) আল্লামা শামসুদ্দিন কাসেমী ( রাহ.) ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, প্রমুখ।
 স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের অবিসাংবাদিত মুসলিম নেতা বিশ্বের প্রখ্য্যাত আলেম আওলাদেরাসুল সাইয়্যেদ আসয়াদ আল মাদানী ( রা.) এর ভূমিকা অবিস্মরনীয়। যখন পাকিস্তানী বাহিনী এদেশের নিরীহ মানুষের উপর বর্বোরোচিত হামলা চালালো তাৎক্ষনিক তিনি পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানালেন এবং নিরীহ বাঙ্গালীদের পক্ষে জোরালো বক্তব্য রাখলেন।
 স্বাধীনতা সংগ্রামে উলামায়ে কেরাম দের ভুমিকা তথা অবদান দেখে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার মেজর আবদুল জলিল হযরত হাফেজ্জি হুজুর (রাহ )এর হাতে বাইয়াত তথা মুরিদ হয়ে গেলেন। তিনি বায়ইয়াত হওয়ার পর তাকে তাঁর ভক্তও শীষ্যরা প্রশ্ন করল আপনি একজন মুক্তিযুদ্ধা হয়ে কিভাবে হাফেজ্জী হুজু রের মতো রাজাকারের  কাছে মুরিদ হলেন, জবাবে তিনি বলেছিলেন হযরত হাফেজ্জি হুজুর (রাহ.) কোন রাজাকার নন,তিনি শ্রেষ্ট আলেম এবং সত্যিকার একজন দেশপ্রেমিকও মুক্তিযোদ্ধা,কিন্তু তোমাদের তাজানানেই।  কিন্ত আফসোস! আজ হাফেজ্জি হুজর এর অনুসারী তথা কওমী পড়ুয়া আলেম-ওলামা সহ অন্যান্য ওলামায়ে কেরাম সহ অন্যান্য সাধারন মুসল্লিদের কে  শুধু মাত্র ধর্মীয় লেবাসের কারনে রাজাকার বলে  উপহাস করা হচ্ছে, অসম্মানী করা হচ্ছে।এটা কাম্য নয়। ঐতিহাসিক বাস্তব সত্য যে, ১৯৭১ সালের এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে উলামায়ে কেরামদের অবদানই সবচেয়ে বেশী ছিল।তাদের অবদানকে অস্বীকার করা মানেই তাদের শ্রমকে অবজ্ঞা করা।আমরা জানি দলমত নি্বিশেষে যে যার যার অবস্হান থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করছে আমরা সকলকে শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করছি।কারো অবদানকে খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। কেউ রনাঙ্গনে,কেউ কমান্ডার হিসাবে,কেউ অস্র দিয়ে, বুদ্ধি- পরামর্শ দিয়ে কেউবা অর্থ দিয়ে আবার কেউবা দোয়ার মাধ্যমে অংশ গ্রহনকরেছেন।সকলকে যার যার অবস্হানে রেখেই মূল্যায়ন করতে হবে। 
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সেই জামেয়া ইসলামিয়া জমিরিয়া কাছেমুল উলুম পটিয়া চট্রগ্রামের (আমার বিদ্যাপিঠ) অবদানের কথাএকটু না বললে হয়না ।অত্র প্রতিষ্ঠানের নাম তো আমরা সবাই শুনছি।বাংলাদেশের ক্বওমী মাদ্রাসা গুলির মধ্যে আয়তনের দিক থেকে সবচেয়ে বড় মাদ্রাসা হল চট্রগ্রামের জামেয়া ইসলামিয়া  পটিয়া (পটিয়া মাদ্রাসা)১৯৭১ সালে এপ্রিল মাসে মরহুম প্রেসিডেন্ট মেজর জিয়াউর রহমান যে এই চট্রগ্রামের পটিয়া মাদ্রাসায় আশ্রয় নিয়েছিলেন এই তথ্য কি আমরা জানি ? এবং মেজর জিয়াউর রহমান কে আশ্রয় দেয়ার অপরাধে পটিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক আল্লামা দানেশ রহমাতুল্লাহআলাইহি কে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা হত্যা করে এটা কি আমরা আপনারা জানি ?
তাহলে আজকেই জেনেনি কি ঘটেছিল সেই সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতমপ্রতিষ্ঠাতা বেলাল মোহাম্মদ উনার “ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র”  গ্রন্থের ৫৪,৫৫ ও ১০২ পৃষ্ঠায় লিখেছেন - “ হানাদার বাহিনী যখন এপ্রিল মাসে চট্রগ্রাম শহরে আসল আমরা তখন কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের ট্রান্সমিটার ও অন্যান্য বেতার যন্ত্রপাতি নিয়ে পটিয়ারউদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম। আমাদের সাথে তখন ছিল মেজর জিয়া।
 কর্ণফুলি নদী পার হয়ে পটিয়ার মাটিতে পাঁ দিয়ে মেজর জিয়াউর রহমান চিন্তা করছিল কোথায় তিনি আশ্রয় নিবেন। সেই সময় পটিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম ছিলেন প্রিন্সিপাল শায়খুল আরব ওয়াল্ আজম্ হাজী ইউনুস রহঃ। উনি সেই সময় হজ্জে গিয়েছিলেন।মুহাদ্দেস আল্লামা দানেশরহমাতুল্লাহ আলিইহি তখন পটিয়া মাদ্রাসার দায়িত্বে ছিলেন। উনিই জিয়াউর রহমান কে উনার মাদ্রাসায় আমন্ত্রন জানান। যুদ্ধেরকারনে মাদ্রাসা ছুটি ছিল। মেজর জিয়াউর রহমান ১ সপ্তাহ পটিয়া মাদ্রাসায় ছিলেন। ১ সপ্তাহ পর মেজর জিয়াউর রহমান পটিয়া মাদ্রাসা ত্যাগ করেন।পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গোয়েন্দা মারফত তথ্য পেয়ে প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেনি যে পটিয়া মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম মুহাদ্দেস আল্লামা দানেশ ও অন্যান্য শিক্ষকরা জিয়াউর রহমানকে আশ্রয় দিয়েছিল।
 কিন্তু যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিশ্চিত হয় যে পটিয়া মাদ্রাসার সম্মানিত আলেমরা মুক্তিযুদ্ধ সমর্থনকরেছে, তখনি ১৯৭১ সালের ১৭এপ্রিল সেই পটিয়া মাদ্রাসার উপর জঙ্গি বিমান দিয়ে বোমা বর্ষকরা শুরু করে পাকিস্তানি হানাদার

বাহিনী।পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এই বোমা বর্ষনে পটিয়া মাদ্রাসার সম্মানিত নায়েবে মুহতামিম ও মুহাদ্দেস আল্লামা দানেশ রহমাতুল্লাহ আলাইহি ও জামেয়ার ক্বারী জেবুল হাসানের একজন মেহমান শহীদ হন এবং আরো অনেক সম্মানিত শিক্ষক গুরুতর আহত হন। মেজর জিয়াউর রহমান প্রায়ই এই পটিয়া মাদ্রাসার কথা বিশেষ করে আল্লামা দানেশ রহমাতুল্লাহ আলাইহির কথা বলতেন। পটিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ ১৯৭১সালে স্পষ্ট ফতোয়া দিয়েছিলেন যে আমরা মজলুম আর পাকিস্তানিরা জালেম,মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করা ফরয এই তথ্য এখনকার কয় জনে জানে ? আমরা শুধু জানি যে রাজাকার আল বদর আলশামস এইসব বাহিনীরলোকেরা ইসলামের নাম ব্যবহার করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কে নিঃশর্ত সমর্থন দিয়েছে, পাকিস্তানি বাহিনীর গনহত্যা কে সমর্থন করেছে কিন্তু আমাদের দেওবন্দ পন্থী কওমি মাদ্রাসার সম্মানিত আলেমরা যে মুক্তিযুদ্ধ কে সমর্থন করেছিল অনেক আলেম মুক্তিযুদ্ধ করেছিল এই তথ্য আমরা কয় জন জানি?যুগান্তর পত্রিকার সাবেক সাংবাদিক শাকের হোসাইন শিবলীর একটা অসাধারন বই,নাম হল “ আলেম মুক্তিযোদ্ধার খোজে ”শিরোনামে ৯১২ পৃষ্ঠার  এই বইয়ে তথ্যপ্রমান দিয়ে অনেক আলেমের ১৯৭১ সালে তাদের মুক্তিযুদ্ধের অবদানের কথা তুলে ধরেছেন।অনেক মনিষী উক্ত বইয়ের সহায়তা নিয়েছেন,আমিও কিছু চেষ্টা করছি মাত্র।তিনি
 গ্রামে গ্রামে ঘুরে শতাধিক আলেম মুক্তিযোদ্ধাকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছেন এবং তাদের অনেকের সাক্ষাতকার নিয়েছেন। এ জন্যে আমরা শাকের হোসেইন শিবলির কাছে কৃতজ্ঞ। উল্লেখ্য যে, আলেম মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা জনাব শাকের দিয়েছেন, এর বাইরে আরো অনেক হাজারো আলেম মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন, যা ইতিহাসের পাতায় স্হান পায়নি।তবে কেন পায়নি তা বোধগম্য নয়।

এই বইটিতে আপনারা অনেক বড বড় আলেম যারা দেশের বিভিন্ন ক্বওমী মাদ্রাসা থেকে পাস করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সময়তাঁদের বীরত্বের কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে। কিন্তু ঐ আলেমরা কিন্তু আওয়ামীলিগ  বা ছাত্রলীগ করতো না।উনারা শুধু দেশ মাতৃকার টানে ওনির্যাতীত নারীদের কে পাকিস্তানী হানদার বাহিনীর লালসার হাত থেকে বাঁচানোর জন্যই মুক্তিযুদ্ধকরেছিলেন। ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর কুমিল্লার চান্দিনা থানা যার মাধ্যমে পাক হানাদার বাহিনীর করাল গ্রাস থেকে মুক্ত হয় ,এবং ১৩৯৫ জন পাক আর্মি আত্মসমর্পন করে তিনি হলেন মাওলানা মুখলেছুর রহমান।বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদথেকে প্রকাশিত মাওলানা মুখলেছুর রহমান এর মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট এর সনদক্রমিক নং ২০২০৬।১৯৭১সালে মাওলানামুখলেছুর রহমান চাদপুরের কচুয়া মাদ্রাসায় তাফসীরে জালালাইন পড়তেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে তিনি ভারতে পালিয়ে যান।ভারতের উদয়পুরেরঅদূরে পাটনা ক্যাম্পে ক্যাপ্টেন সুজাতআলীর নেতৃত্বে উনারা একসাথে ৯০০ জনট্রেনিং নেন।ট্রেনিং শেষে উনারা ভারতের মিয়ার বাজার সীমান্ত দিয়ে চৌদ্দগ্রাম হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।বাংলাদেশে উনাদের অধিনায়ক ছিলেন মেজর হায়দার।

 ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানা সদর থেকে ৬ কিলোমিটার পশ্চিমে পদুরবাড়ি লেংড়া বাজারের দিকে জয়দা নামক একটি গ্রাম  যেই গ্রামের মাওলানা বাড়ির সবাই মুক্তিযুদ্ধা ছিলেন। মাওলানা বাড়ির ছেলে মাওলানা হাবীবুর রহমান চানুযিনি সরাসরী মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে গেজেটে প্রকাশিত উনার মুক্তিনং ১০০৯,মাওলানা হাবীবুর রহমান চানু বর্তমানে মুক্তাগাছা থানা বাংলাদেশমুক্তিযোদ্ধা সংসদের থানা কমিটিতে আছেন। উনি ময়মনসিংহ সদরের চড়পাড়া ক্বওমী মাদ্রাসা থেকে দাওরা হাদিস পাস করা। মাওলানা বাড়ির জামাই হাফেয মোহাম্মদ মহিউদ্দীন আহমদ ভারতীয় ট্রেনিংপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধা। উনার মুক্তিযুদ্ধা নং ৯৫২। মুক্তাগাছার জয়দা গ্রামের মাওলানা বাড়ি ১৯৭১ সালে অনেক হিন্দু পরিবার কে আশ্রয়দিয়েছিল।
মুক্তাগাছা থানার সকল হিন্দুরা এখনো মাওলানা বাড়ির লোকদের কাছে কৃতজ্ঞ। মাওলানা বাড়ির সবাইতাবলীগ জামাতের সাথে যুক্ত।মাওলানা বাড়ির ছেলে মাওলানা মাহমুদুল হাসান কাকরাইল মসজিদের একজন মুরব্বী।ভারতের দেওবন্দ মাদ্রাসা কেন্দ্রিক যে আলেমদের সংগঠন “জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ” উনারাওকিন্তু ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে অনেক গুলি ফতোয়া দিয়েছিলেন।জমিয়তের সকলেই দেওবন্দি আলেম আজও বাংলাদেশে রাজনিতীতে সক্রীয় আছেন।
“জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ” ১৯৭১সালে স্পষ্টভাবে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী যে নির্মম ভাবে পূর্ব পাকিস্তানি জনগণদেরকে হত্যা করছে এইব্যাপারে অনেকগুলি বিবৃতি দিয়েছিল। এই ফতোয়া গুলি ইসলামিক ফাউন্ডেশনবাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত শায়খুল ইসলাম হযরত হোসাইন আহমদমাদানী রহমাতুল্লাহ আলাইহির যে জীবনী বের হয়েছে সেই বইটির শেষে পরিশিষ্ট আঁকারে দেয়া হয়েছে। ১৯৭১সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলার হিন্দু মুসলমানসকল ধর্ম মত পেশার লোকেরা অংশ গ্রহন করেছিল। বাংলার আলেম সমাজও এরথেকে দূরে ছিল না। তথাকথিত কিছু ইসলামী দলের কতিপয় ব্যক্তির মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের অপকর্ম কে ভিত্তি করে দয়া করে হক্কপন্থী আলেম উলামাদের কে রাজাকার আলবদর আল শামস বলে গালি দিবেন না।বাংলার আলেম সমাজ প্রত্যক্ষ ওপরোক্ষভাবে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জড়িত ছিল এতে কোন সন্দেহনাই।
এখন সময় এসেছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের প্রধান মুহাদ্দিস ছিলেন শায়খুল ইসলাম আমীমুল এহসান রহমাতুল্লাহ আলাইহি।আমীমুল এহসান রহঃ উনিও কিন্তু পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়েছিলেন হত্যা ওনারী ধর্ষনের বিরুদ্ধে । পরবর্তীতে ইয়াহিয়া সরকার উনাকে জোর করে সৌদিআরব পাঠিয়ে দেয়।দেশ স্বাধীন হবার পরউনি বাংলাদেশে ফিরলে মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান সাহেব তাঁকে ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদেরপ্রধান খতীব হিসাবে নিযুক্ত করেন।উপমহাদেশে শিয়া মতবাদেরবিলুপ্তি সাধনে শায়খুল ইসলাম আমীমুলএহসান রহমাতুল্লাহ আলাইহি এর অনেক অবদান ছিল। [ তথ্যসূত্রঃ শায়খুল ইসলামআমীমুল এহসান রহমাতুল্লাহ আলাইহি এর জীবন ও কর্ম, ইসলামিক ফাউন্ডেষন বাংলাদেশ]
ব্রাক্ষণবাড়িয়া সদরে যে সবচেয়ে বড় ক্বওমী মাদ্রাসা জামিয়া ইউনুসিয়া সেই মাদ্রাসার প্রধান মুহতামিম ফখরে বাঙ্গালআল্লামা তাজুল ইসলাম রহমাতুল্লাহ আলাইহি তিনিও কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়েছিলেন। ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলায় অনেক বড় বড় আলেম উনার ফতোয়া শুনে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল।অনেক মুক্তিযুদ্ধাকে ফখরে বাঙ্গাল আল্লামা তাজুল ইসলাম রহঃ নিজের বাসায় আশ্রয় দিয়েছিলেন। দেশ স্বাধীন হবার পরমরহুম শেখ মুজিবুর রহমান   তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি চিঠিও দিয়েছিলেন।
[ তথ্যসুত্রঃ ফখরে বাঙাল আল্লামা তাজুল ইসলাম রহমাতুল্লাহ আলাইহি ও উনারসাথীবর্গ, লেখকঃ হাফিয মুহাম্মদনুরুজ্জামান,ইসলামিক ফাউন্ডেশন,বাংলাদেশ]
ভারতের দেওবন্দ মাদ্রাসা কেন্দ্রিকযে আলেমদের সংগঠন “জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ” উনারাওকিন্তু ১৯৭১ সালে বাংলাদেশেরমুক্তিযোদ্ধার পক্ষে অনেকফতোয়া দিয়েছিলেন।“জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ” ১৯৭১সালে স্পষ্টভাবে পাকিস্তানী হানাদারবাহিনী যে নির্মম ভাবে পূর্বপাকিস্তানি জনগণদেরকে হত্যা করছে এইব্যাপারে অনেকগুলি বিবৃতি দিয়েছিল। এইফতোয়া গুলি ইসলামিক ফাউন্ডেশনবাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত শায়খুল ইসলামহযরত হোসাইন আহমদমাদানী রহমাতুল্লাহ আলাইহিরযে জীবনী বের হয়েছে সেই বইটিরশেষে পরিশিষ্ট আঁকারে দেয়া হয়েছে।বিশিষ্ট গবেষক আলেম ডঃ মুশতাক আহমেদ“শায়খুল ইসলাম হযরত হোসাইন আহমদমাদানী রহমাতুল্লাহ আলাইহিঃ জীবন ওকর্ম” শিরোনামে তথ্য ও তত্ত্ববহুলঅভিসন্দর্ভ প্রনয়ন করেছেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাসবিভাগে থেকে এই অভিসন্দর্ভউপলক্ষ্যে মাওঃ মুশতাক আহমেদ কে পি.এইচ.ডি.ডিগ্রী প্রদান করা হয়েছে। আর ইসলামিকফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ডঃ মুশতাক আহমেদেরএই অভিসন্দর্ভ টিই শায়খুল ইসলাম হযরতহোসাইন আহমদ মাদানী রহমাতুল্লাহআলাইহির জীবনী বই আকারে বের করেছে।বর্তমানে বাংলাদেশে একটা ফ্যাশনে পরিনতহয়েছে যে ইসলামনিয়ে যারা রাজনীতি করে ইসলামনিয়ে যারা লেখালেখি করে তাদেরকে রাজাকার হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়।এটা কথাটা যেমন সত্য ঠিক তেমনি এইকথাটাও সত্য যে আমাদেরক্বওমী মাদ্রাসার আলেমরা স্পষ্টভাবে সেই সময় পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীর নির্যাতনেরবিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়েছিলেন। উনারা শুধুফতোয়াই দেননি অনেক কওমি মাদ্রাসারছাত্রদের কে মুক্তিযুদ্ধেও পাঠিয়ে ছিলেন।তাই আপনাদের প্রতি অনুরোধথাকবে দয়া করে হক্কানী আলেমদেরকে রাজাকার আল বদর বলে গালি দিবেননা। যত বড় মুক্তিযোদ্ধাই আসুক দেওবন্দভিত্তিক কোন কওমি মাদ্রাসার আলেমকে রাজাকার হিসাবে প্রমান করতে পারবে না ।


তথ্যসূত্রঃ শায়খুল ইসলামআমীমুল এহসান রহমাতুল্লাহ আলাইহি এর
তথ্যসুত্রঃ ফখরে বাঙাল আল্লামা তাজুললাম রহমাতুল্লাহ আলাইহি ও উনারসাথীবর্গ, লেখকঃ হাফিয মুহাম্মদনুরুজ্জামান, ইসলামিক ফাউন্ডেশন,বাংলাদেশ]


সংকলক-: 

মাওলানা অাবদুল্লাহ ভুঁইয়া 
ফাজেলে জামেয়া ইসলামিয়া পটিয়া
০১৮২৯১৩৮১১৪
০০৯৬৬৫০৪৯৬৭৮৬৩