সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০১৭

প্রকৃত মুসলিমরাই বেশি বিজ্ঞান চর্চা করেন

প্রকৃত মুসলিমরাই সবচেয়ে বেশী বিজ্ঞান চর্চা করেন
====================================
প্রকৃত মুসলিমরাই সবচেয়ে বেশী বিজ্ঞান চর্চা করেন
দৈনিক ক্বওমী কন্ঠস্বর ডেস্ক : এম এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া
প্রকৃত মুসলিমই সবচেয়ে বেশী বিজ্ঞান চর্চা করেন,আসলে কথাটি শুনা মাত্রই অনেকে বিস্মিত হবেন, না হয়েও পারেন না,তবে সত্যিই বলছি। কারন বর্তমান যুগেতো যতসব বৈজ্ঞানীক আবিস্কার আর গবেষনার কথাই শুনতেপাই সবইতো অমুসলিমদের দ্বারাই সংঘঠিত হচ্ছে সে হিসাবে স্বভাবত তারাই প্রকৃতপক্ষে বিজ্ঞান চর্চায় অগ্রগামী হওয়ার কথা।হবেওনা কেন আমরাতো আজ আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য সব ভূলতে বসেছি,আমরা কোরআন হাদিস আর রসুলের সুন্নত কে ছাড়তে শিখেছি আর বিজাতীয় সংস্কৃতি আর কালচারকে স্বাগত জানাতে শিখেছি।যদি আমরা সত্যিই কোরআনের জাতি হিসাবে গর্ববোধ করি তাহলে নিশ্চয় আমাদেরকে তাঁর শিক্ষার দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে ।তাহলে আমি এক জন মুসলিম হিসাবে আমাকে মূল্যায়ন করতে সক্ষম হব। ঐশী গ্রহ্ন আল-কোরআন বৈজ্ঞানীক কোন গ্রন্হ না হলেও কিন্তু বৈজ্ঞানীক কোন আবিস্কারকে অস্বীকর করেনি বরং স্বাগত জানিয়েছে,পবিত্র কোরআন প্রায় ৬ হাজারের অধীক আয়াত সম্বলীত হলেও তন্মধ্যে ১হাজারের অধীক আয়াতে বিভিন্ন বৈজ্ঞানীক তথ্য ও সূত্রের বর্নণা করা হয়েছে।আজকাল বৈজ্ঞানীক বিভিন্ন গবেষনার ফলে অনেকাংশে ইসলামের মাহাত্য ও গুরুত্ব অমুসলিমদের মাঝেও ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে,কোরআন বুঝতে যদিও বৈজ্ঞানীক কোন গবেষনার প্রয়োজন নেই।তবে বিজ্ঞান বুঝতে হলে বা বৈজ্ঞানীক কোন গবেষনা পরিচালনা করতে হলে কিন্তু কোরআন বুঝতে হবে কোরআন হাদিসের দ্বারস্ত হতে হবে৷ কোরআন হাদিসের কাছে মুসলিম অমুসলিম সবাই ঋনী এতে বিন্দুমাত্রও সন্দেহের অবকাশ নেই।
অনেক অমুসলিম বৈজ্ঞানীক যারা কোরআনের ভূল ধরার জন্য কোরআন গবেষনায় মনোনিবেশ করেছিলেন পরবর্তিতে কোরআনের ভূল ধরাতো দূরের কথা নিজেদের ভূল ধরা পডে শেষ পর্যন্ত কোরআনের কাছে ধরাশায়ী হয়ে নাস্তনাবুদ হয়ে কোরআনের বানীকেই গ্রহন করেছেন। তন্মধ্যে ডঃ মুরিস বোকাইলি ————————————————————————————- অন্যতম।
কিন্তু আজকে আমাদের অনেক মুসলমান ভাইদের কর্ম কান্ড দেখলে মনে হয় যেন ইসলামের সাথে বিজ্ঞানের কোন সম্পর্ক নেই অথচ একজন প্রকৃত সুন্নী মুসলিমই সব চেয়ে বেশী বিজ্ঞান চর্চা করে থাকেন তাঁর জীবনে, কেউ যদি আল্লাহ ও তার প্রিয় রসুলের ১০০টি বিধি-নিষেধও মেনে চলেন তাহলে বলতে হবে যে ,ঐ ব্যক্তি ১০০ প্রকারের বিজ্ঞান চর্চা করেন। কিন্তু একথা আমাদের জানা নেই।
কেননা বিশ্লেষন করলে আবশ্যই আমরা দেখতে পাব যে দৈনন্দিন জীবনে মুসলমানরাই সব চেয়ে বেশী বিজ্ঞান সন্মত কার্য সম্পাদন করে থাকেন বা বিজ্ঞান চর্চা করে থাকেন ।এই জন্য আমাদের দৈনন্দিন জীবনের মাত্র গুটিকয়েক কাজ বা আমলের কথা উল্লেখ করবো,সবগুলোর বর্নণা দিতে গেলে স্বতন্ত্র কয়েক (বলিওউম) পুস্তুক রচনা করতে হবে। যে গুলো আমরা জেনে বা না জেনে যে ভাবেই হউক আদায় করে থাকি।কিন্তু মূলত এর মধ্য দিয়ে শরিয়ত পালনের সাথে সাথে বিজ্ঞানও চর্চা করে থাকি। যেমন
প্রথমত
আমাদের ইসলামের শিক্ষা হল মহিলাদের বাচ্ছা প্রসবের পর চল্লিশ দিন পর্যন্ত সহবাস থেকে বিরত থাকতে হয়। এ সময় সহবাস করা শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে হারাম এমনকি ঐ সময় নামাজ রোজা সহ কোরআন তেলাওয়াত মসজিদে প্রবেশ ও তাওয়াফ করা সম্পূর্ন ভাবে নিষিদ্ধ।আলহামদুলিল্লাহ আমরা মুসলিমরা এগুলো যথাযথ পালন করে থাকি।
দ্বিতীয়ত
আমাদের নবী সাঃ এর সুন্নত হল শোয়ার সময় ডান কাত হয়ে শোয়া সেই হিসাবে আমরা রসুল সাঃ এর অনুকরনে ডান কাত হয়ে ঘুমাই।
এখন সর্বপ্রথম আমরা জানার চেষ্টা করব যে ইসলামের এই দুটি বিধান সম্পর্কে বিজ্ঞান কি বলে!

দেখুন “ইউ এস অরিভিয়া” তিনি একজন নারী ও শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ মার্কিন ডাক্তার ৷ আমেরিকার একটি হাসপাতালে কাজ করেন ৷ সম্প্রতি একজন মুসলিম নারীর জীবনচিত্র ও ইসলাম ধর্মের বিজ্ঞান ভিত্তিক জীবন আচরণে মুগ্ধ হয়ে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছেন ৷ মিসেস অরভিন বলেন, আমি আমেরিকার একটি হাসপাতালে নারী ও শিশু বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করি ৷ একদিন হাসপাতালে এক আরব মুসলিম নারী এলেন সন্তান প্রসবের জন্য ৷ প্রসব মুহূর্ত ঘনিয়ে আসলো ৷ আমারও অফিস ছাড়ার সময় হলো ৷ আমি আরব নারীকে জানালাম, আমি বাসায় যাচ্ছি ! আপনার বাচ্চা প্রসবের দায়িত্ব পালন করবে অন্য একজন ডাক্তার ৷ আরব নারী কাঁদছে ৷ থেমে থেমে কান্নার ঢেউ ৷ সঙ্গে আমার কাছে জোর আবেদন, না না দয়া করে এখনই আপনি বাসায় যাবেন না ৷ আর আমি কোনো পুরুষ ডাক্তারের সাহায্য চাই না ! দয়া করে আপনিই থেকে যান ! ডাক্তার অরিভিয়া বলেন, বিনয়ের সঙ্গে তার স্বামী আমাকে জানালেন, সে চাচ্ছে তার কাছে যেন কোনো পরপুরুষ না আসে ৷ কারণ, সে প্রাপ্তবয়সের পর থেকে আজ পর্যন্ত বাপ, ভাই ও মামা প্রমুখ আপনজন ছাড়া কোনো পর-পুরুষ তাকে দেখেনি ৷ অরিভিয়া বলেন, আমি অবাক হয়ে হেসে উঠলাম ! চরম বিস্ময়ের সঙ্গে বললাম, আমি এমন একজন নারী, আমেরিকান কত্তো পুরুষ আমার চেহারা দেখেছে তা গুণে শেষ করতে পারবো না ৷
আরব্য নারীর আবেদনের ব্যাকুলতায় আমি সাড়া দিলাম ৷ বাসায় না গিয়ে তার বাচ্চা প্রসবের অপেক্ষায় থাকলাম ৷ তার কোল আলোকিত হলো ৷ মায়ের কোলে আসলো শিশু ৷ পরদিন তার সন্তান জন্মের আনন্দে অংশ নিই ৷ চিকিৎসা বিজ্ঞান মতে উপদেশ দিই, প্রসবের পর চল্লিশদিন দাম্পত্যমিলন থেকে বিরত থাকবেন ৷ আমেরিকান অনেক নারী প্রসবের পরও দাম্পত্যমিলন অব্যহত রাখার কারনে অভ্যান্তরীন সংক্রমণ এবং সন্তান প্রসবঘটিত জ্বরে ভোগেন৷তাছাডা পরবর্তিতে আরও জটিল কঠিন সমস্যাতো আছেই। সুতরাং চল্লিশ দিনের আগে এসব কিছু নয় ৷ এ ৪০ দিন পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করবেন ৷ ভারী কাজ থেকে দূরে থাকবেন ৷ আমার দীর্ঘ দিনের গবেষণা মাটি করে দিয়ে আরব্য নারী বললেন, আমাদের ইসলাম ধর্মমতেও প্রসবোত্তর চল্লিশ দিন দাম্পত্যমিলন নিষিদ্ধ করেছে ৷ পবিত্র হওয়া পর্যন্ত নারীদের নামাজ রোজা ও কুরআন পাঠেও বিধান নেই ৷ মার্কিন এই ডাক্তার বলেন, প্রসূতির কথা শুনে আমি থমকে গেলাম ! বিস্ময় বিমূঢ় হলাম ! আমাদের এত্তো গবেষণা আর এত্তো পরিশ্রমের পর তো কেবল আমরা ইসলামের শিক্ষা পর্যন্তই পৌঁছলাম !
আরেকদিন এক শিশু বিশেষজ্ঞ এলেন নবজাতককে দেখতে ৷ তিনি শিশুর মাকে বললেন, বাচ্চাকে ডান কাতে শোয়াবেন ! ডান কাত শিশুর সাস্থ্যের জন্য উপকারী ! শিশুর হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক থাকে !এমনকি বয়স্কদেরও!
শিশুর বাবা এগিয়ে এসে বললেন, আমরাও সবসময় ডান পাশে ঘুমাই ৷ শিশুকেও সেভাবে অভ্যস্থ করছি ৷ ডান কাতে ঘুমাতে আমাদের নবী হজরত মুহাম্মাদ সা. শিখিয়েছেন এটা আমাদের ধর্মীয় শিক্ষা৷ মার্কিন ডাক্তার অরিভিয়া বলেন, আমি বিস্ময়ে থ ! যে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পেছনে জীবনটা উৎসর্গ করে দিলাম, সে কি না তাদের ধর্ম শিখিয়েছে ৷ এতোটা বিজ্ঞানসম্মত ধর্মের সন্ধান পেয়ে আমি ইসলামে আগ্রহী হয়ে ওঠলাম ৷ হাসপাতাল থেকে এক মাসের ছুটি নিয়ে আমেরিকার অন্য শহরে চলে গেলাম ৷ ইসলামিক সেন্টারে বইপাঠ, আরব ও আমেরিকান মানুষদের জীবনপাঠ ও নানা বিষয়ে জানার মাধ্যমে আমার নতুন দিগন্তের সন্ধান মিলল ৷ মাস শেষে আমি কালিমা পাঠ করে মুসলমান হয়ে যাই ৷ আলহামদুলিল্লাহ্ আমার জীবনে নেমে এলো শান্তি সুখের পায়রা ৷
সূত্র : ইন্টারনেট সূত্রে ইসলাম হাউজ অবলম্বনে ৷[সূত্র- মাসিক আল কারীম – আগস্ট ২০১৫
তাহলে একটু চিন্তা করুন একজন মুসলিম হিসাবে আমরা জন্ম লগ্ন থেকেই বিজ্ঞান চর্চা করে থাকি কিন্তু অমুসলিমরা তা সাডে চৌদ্দশত বছর পর গবেষনার মাধ্যমে আবিস্কার করেছেন মাত্র।
তৃতীয়ত
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম) বলেছেনঃ ইযারের যে পরিমান টাখনুর নীচে যাবে, সে পরিমান জাহান্নামে যাবে। (বুখারী শরীফ, পোশাক অধ্যায়, হাদিস নং- ৫৩৭১)অন্য বর্ননায় এসেছে ‘যে ব্যক্তি অহংকার বশে তার লুঙ্গি মাটির সাথে টেনে নিয়ে বেড়াবে, ক্বিয়ামত দিবসে আল্লাহ তা‘আলা তার প্রতি দৃষ্টি দিবেন না’এই হাদিসদ্বয়ের ভিত্তি করে প্রকৃত সুন্নতের অনূসারী আলেম ওলামা ও দ্বীনদার মুসলিমরা চুলগীরার নীচে কাপড় পরিধান করেন না।
এখন এই ব্যাপারে বিজ্ঞান কি বলে দেখে নিন।টাখনুর নীচে কাপড় পরলে যৌন হরমুন নষ্ট হয়ে যায়।আমেরিকার প্রায় হেল্থ সেন্টার গুলোতে লেখা আছে যে,পুরুষদের টাখনুর নীচে কাপড় পরলে যৌন হরমুন নষ্ট হয়ে যায়, টেষ্টএষ্টোরণ নামক হরমোনটি মূলত ওখানেই থাকে কারণ যখননি এটা ডাকা থাকে এবং চলার সময় টাখনুর সাথে হালকা বাড়া-বাড়ির কারনে হরমুন পাতলা হয়ে যায়। এ কারনেই এ সমস্যা। তাহলে টাখনুর নীচে কাপড় না পরার আমলের সাথে বৈজ্ঞানীক তথ্য কি প্রমান বহন করে একটু চিন্তা করুন।
চতুর্থত
আমরা বালেগ মুসলিম নর-নারী প্রায় সকলেই দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি যেটা ফরজ বাধ্যতা মূলক।নামাজের শরয়ী অনেক উপকারের কথা কোরআন হাদিসে অসংখ্য বর্নণা এসেছে।এখানে কিন্তু তা বর্ননা করা উদ্দ্যেশ্য নয় তবে নামাজ বিষয়ে বিজ্ঞান কি বলে তাই এখানে মূখ্য ।
এই নামাজ সম্পর্কে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম প্রায় সাড়ে ১৪শত বছর আগে বলেছিলেন ” নিশ্চয়ই নামাযে শেফা ও আরোগ্য রয়েছে “।ইবনে মাজাহ,
মুসলমান ছাড়া এমনকি বিধর্মীরা পর্যন্ত জানেন এবং অনেকে মানেন যে নবীজী কখনও মিথ্যা বলেননি বা বলতে পারেন না।তাই তারা এই হাদীসটির বৈজ্ঞানিক ব্যাখা চেয়েছেন বিভিন্ন ভাবে।তাই মুসলমানদের মধ্যে পাকিস্তানের বিখ্যাত হৃদরোগ চিকিৎসক ডাক্তার মুহাম্মদ আলমগীর একটি মেডিক্যাল টীম তৈরী করেন যখন বিধর্মীরা এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখা চান । পাকিস্তানী কয়েকজন নামাজীর শরীরে তারা নামাযরত অবস্থায়ই ইলেকট্রনিক radiology মাধ্যমে পরীক্ষা করেন এবং নবীজীর কথার সত্যতা যাচাই করেন। আমি নিচে তা সংক্ষিপ্তভাবে বর্ননা করছি।মানুষের বয়ঃবৃদ্ধির সাথে সাথে তার দেহের কোল্যাষ্টোল (CHOLESTEROLF)চর্বির দ্বারা দেহের শিরাগুলি ক্ষীন হতে ক্ষীনতর হতে থাকে।এই ক্ষীনতার কারনেই অসংখ্য রোগ-ব্যাধি দেখা দেয়।যেমন, ব্লাড প্রেসার, অর্ধাঙ্গ, হৃদরোগ, বৃদ্ধতা,হজম মন্দা ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখ্য । এই চর্বির বৃদ্ধিতারোধ করার সর্বোওম পন্হা হলো ব্যায়াম । যা নামাযের মাধ্যমে অতি উওমভাবে পূরন হয়ে যায় ।নামাজের প্রত্যেকটি রুকনই এক একটি প্রেসক্রিপশান।
যেমন *তাকবীরে উলা, তাকবীরে উলা অর্থাৎ নিয়ত বাঁধার জন্য যখন কনুই পর্যন্ত হাত কাঁধ বরাবর উঠানো হয় তখন স্বাভাবিক ভাবেই রক্ত সঞ্চালনের তীব্রতা বেড়ে যায় ।
*কিয়াম – অর্থাৎ দাড়ানো অবস্হায় হাত বেঁধে রাখার সময় কনুই থেকে কব্জি ও আঙ্গুলের মাথা পর্যন্ত হাত ব্যবহৃত হয় ।এতে রক্তের চলাচল তীব্র হয় ।
*রুকু – রুকুর সময় হাঁটু কনুই কব্জি এবং কোমরের সবগুলি জোড় প্রবলভাবে ঝাকুনী দেয় ।*সেজদা – সেজদার অবস্হায় হাত পা পেট পিঠ কোমর রান ও শরীরের সবগুলি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জোড়ায় নাড়া পড়ে এবং টানটান অবস্হায় থাকে । সেজদারত অবস্হায় মেয়ে লোকদের বুক রানের সাথে মিশে থাকে । এতে তাদের বিশেষ অভ্যন্তরীন রোগব্যাধির উপশম হয়। এতদ্ব্যতীত সেজদার সময় রক্ত মস্তিষ্ক পর্যন্ত সঞ্চালিত হয়।যা সুস্ততার জন্য একান্ত আবশ্যকীয় ।
*তাশাহহুদ – এই অবস্হায় কোমর থেকে পা পর্যন্ত রগগুলি টানটান হয়ে থাকে । একদিকে থাকে টাখনো ও পায়ের অন্যান্য জোড় এবং অন্যদিকে থাকে কোমর এবং গর্দানের জোড়াগুলি ।
*সালাম – সালাম ফেরানোর সময় গর্দানের দুই দিকের জোড়াগুলিই কাজ করে এবং গর্দান ঘুরানোর সময় রক্ত সঞ্চালন তীব্র হয় ,নামাযের এই নড়চড়াগুলির দ্বারা একটি উত্তম ব্যায়াম হয়ে থকে । নামাযের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকার কারনে কুদরতী ভাবে ব্যায়ামের মধ্যেও একটি সামঞ্জস্য সৃষ্টি হয় । অন্যান্য ব্যায়ামের মত এতে কোন শ্বাসরুদ্ধকর অবস্হার সৃষ্টি হয়না । উত্তম পন্থায় রক্ত সঞ্চালিত হওয়ার কারনে হৃদযন্ত্র সম্পূর্ন রূপে সুস্থ থাকে। এতে না রক্ত ঘন হয়ে যায় আর না রক্তের সঞ্চালনে বিঘ্ন সৃষ্টি হয় ।তবে এ ক্ষেত্রে যথাযথ উপকারীতা সুন্নতি তরিকার নামাজেই সম্ভব।
নামাজের শ্রেষ্ঠতম অংশ হল সিজদা:- তাই এতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই যে পবিত্র কোরআনে সিজদা শব্দটি কম করে হলেও ৯০ বার উল্লেখ করা হয়েছে। একবার ভেবে দেখুন কিভাবে সিজদা করি আমরা। স্বাভাবিক অবস্থায় আমরা যখন দাড়িয়ে থাকি বা বসে থাকি তখন আমাদের ব্রেইনে রক্ত পৌছায় ঠিকই, কিন্তু তাএকটা স্বাস্থ্যকর ব্রেইনের জন্য পর্যাপ্ত নয়। কিন্তু আমরা যখন সিজদায় যাই তখন মস্তিষ্কে/ব্রেইনে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রক্ত সঞ্চালিত হয়, যা একটা স্বাস্থ্যকর ব্রেইনের জন্য খুবই জরুরী। আর আমরা যখন সিজদা করি তখন ব্রেইনের ন্যায় আমাদের মুখমণ্ডলের ত্বকেও অতিরিক্ত রক্তসঞ্চালন হয়, যা আমাদের চিল্বলাইন(chilblain) নামক এক ধরনের চর্মরোগ এবং এজাতীয় আরও অনেক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।তাছাড়া সিজদা আমদেরকে সাইনুসাইটিস (sinusitis) থেকেও বাছিয়ে রাখে। কেননা যারা নিয়মিত সিজদা করে অর্থাৎ নামাজ পড়ে তাদের সাইনাসের (sinus) প্রদাহ হবার সম্ভাবনা অনেক কম।
এছাড়াও সিজদার আরও উপকার রয়েছে। যেমন, যারা নিয়মিত সিজদা করে তাদের ব্রঙ্কাইটিস (bronchitis) হবার সম্ভাবনাও অনেকাংশে কম। একটা লোক যখন স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস ছাড়ে তখন আমদের ফুসফুসে থাকা দূষিত বায়ুর কেবল দুই-তৃতীয়াংশ বের হয় বাকি একতৃতীয়াংশ ভিতরেই থেকে যায়।কিন্তু কেউ যখন সিজদায় অবনত হয় তার এবডমিনালভিসেরা(abdominal viscera) ডায়াফ্রামের(diaphragm) উপর চাপ প্রয়োগ করে, ফলে ডায়াফ্রাম ফুসফুসের নিছের দিকে (lower lobes) চাপ প্রয়োগ করে।ফলে কেউ যখন সিজদায় অবনত অবস্থায় শ্বাসপ্রশ্বাস নেয় তখন ফুসফুসের ভিতরে জমে থাকা এক তৃতীয়াংশ দূষিত বাতাসও বের হয়ে যায়, যা একটা সুস্থ ফুসফুসের জন্য খুবই দরকারি। এর ফলে আমদের ফুসফুসের বিভিন্ন রোগ হবার সম্ভাবনাও কমে যায় অনেকাংশে।যদি কেউ নিয়মিত সিজদা করে তবে সিজদার সময় করা অঙ্গভঙ্গি ও শরীরের বিভিন্ন রকমের নাড়াচাড়ার কারণে তার অর্শ(hemorrhoid) বা পাইল্স(piles) এবং হার্নিয়া (hernia) হবার সম্ভাবনাও কমে যায় অনেকাংশে।
আবার আমরা যখন সিজদা থেকে উঠে দাড়াই তখন শরীরের পুরো ওজন আমদের পায়ের উপর পড়ে এবং আমদের পা আর রানের পেশীতে চাপ পড়ে। তখন সে পেশীগুলু সক্রিয় হয়ে উঠে যা আমাদের নিন্মাঙ্গে রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে দে, যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও নামাজে রুখু সিজদা বসা আর উঠে দাঁড়ানোর সময় আমরা বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করি যার কারণে আমাদের মেরুদণ্ডে ও বিভিন্ন রকমের নাড়াচাড়া হয়, যা আমদের মেরুদণ্ডের বিভিন্ন রকমের রোগ থেকে বাঁচিয়ে রাখে।নামাজের এরকম হাজারো উপকারিতা আছে যা বলে শেষ করা যাবে না। কিন্তু আমরা মুসলিমরা সালাত আদায় করি শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আর তার প্রশংসা করবার জন্য। তাই আমাদের মুসলিমদের জন্য উপরে উল্লেখ করা উপকারগুলো হল এক ধরনের সাইড ডিশ(side dishes)।
বলতে পারেন ডেজার্ট(dessert), যা মূল খাবারের পরে সামান্য পরিমাণে খাওয়া হয়। একজন অমুসলিমকে নামাজের গুরুত্ব বুঝানোর জন্য উপরোক্ত উপকারগুলুর কথা বলতে পারেন আপনি; তা হয়ত তাকে নামাজের দিকে আকৃষ্ট করবে, কিন্তু আমাদের মুসলিমদের জন্য প্রধান বা মূল খাবার অর্থাৎ নামাজের মূল উদ্দেশ্য হল আল্লাহর হুকুম পালনে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করার সাথে তাঁর প্রিয় বান্দা ও তার রসূলের বিধান মেনে চলা। এখানে একটা কথা বলে রাখা প্রয়োজন যে আমরা অনেকে নামাজ আদায় করি কিন্তু তার ফলাফল ঘরে তুলতে অক্ষম,তাহলে বুঝতে হবে যে,যেভাবে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে সুন্নত তরীকা মোতাবেক নামাজ আদায় করা প্রয়োজন ছিল,তা আমার আপনার দ্বারা সে ভাবে নামাজ হচ্ছেনা। যদি কেউ মুরগীর ঠোকরের ন্যায় নামাজ পড়ে তাহলে কি আদৌ সেই নামাজ এই সকল রুহানী ও জাগতীক উপকার সাধন সম্ভব?
তাহলে একজন মুসলিম হিসাবে আমরা গর্বিত যে আমরা দৈনিক আল্লাহর ও তার রসুলের আনূগত্যের সাথে সাথে বিজ্ঞানও চর্চা করি। তবে এই ব্যাপারে আমার প্রকাশীত “সপ্তরত্ন “নামক বইতে “বৈজ্ঞানীক দৃষ্টিকোণে ইসলামের আমল “অংশে নামাজের বৈজ্ঞানীক উপকারীতা সম্পর্কে ১১টি কারণ বর্নণা করা হয়েছে আগ্রহী ব্যক্তিগন বইটি সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
পঞ্চমত
সকল জীব দৈনিক নিয়মীত খাদ্য গ্রহন করে থাকে।সেই হিসাবে আমরাও পিচিয়ে নেই তবে মুসলিম হিসাবে আমাদের খানা খাওয়াটা কিন্তু একটু ভিন্ন তাহল আমরা খাওয়ার শেষে খানার প্লেটও আঙ্গুল গুলো ভাল করে চুষে এবং মুচে খাই। কিন্তু আজকাল একটা পেশন হয়ে গেছে যে খানা খাওয়ার সময় খানার কিছু অংশ প্লেটে রেখে দেয়া হয়,এবং খানার প্লেট ও আঙ্গুল চুষে খাওয়াকে অভদ্র মনে করা হয়।আসলে এটা একটা মূর্খতা জেহালত,এটা একদিকে অপচয় অপরদিকে আল্লাহর নেয়ামতের সাথে অবজ্ঞা করার শামীল। واما بنعمت ربك فحدث কেয়ামতে প্রত্যেকটি নেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।এমনকি একগ্লাস পানি, একলোকমা ভাত,একটুকরো রুটি আর খেজুর যাই হউকনা কেন?খানা খাওয়ার সময় খানার প্লেট বা হাতের আঙ্গুল চুষে খাওয়া নবী সাঃ এর সারা জীবনের একটা সুন্নত।আজকের বিজ্ঞানের যুগে পরিক্ষা-নিরীক্ষায় প্রমান হয়েছে যে,এসুন্নতটা কতই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যখন খানা খাই তখন আঙ্গুল থেকে এক প্রকার প্লাসভাটা নির্গত হয়,যা খালি চোখে দেখা যায়না।যেটা ডাইজেষ্টের উপকার করে এবং ভিটামিন বি-কমপ্লেক্সের উপকার করে।কিন্তু মজার ব্যাপার হল এই ভিটামিনটা খাদ্যের সর্বশেষ কণিকার মধ্যে পাওয়া যায়,যা একমাত্র প্লেট ও আঙ্গুল চুষে খেলেই তাসম্ভব।তাইতো নবী সাঃ বলেছেন
فان البركة فى اخره
অর্থাৎ “নিশ্চয়ই খানার বরকত শেষ কণিকাতেই”নবী সাঃ যেটাকে বরকত বলেছেন সেটাকেই বৈজ্ঞানীকরা ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স বলছেন,আবার আঙ্গুল চুষে খাওয়ার ব্যাপারে নবী সাঃ আরও বলেছেন
فان لم يلعقها فيلعقها اخاه অর্থাৎ কেউ যদি (খানা খাওয়ার শেষে)
নিজের আঙ্গুল গুলো চুষে না খায়,সে যেন তার ভাইকে আঙ্গুল গুলো দিয়ে দে,চুষে খাওয়ার জন্য।তারপরও যেন এই খাদ্য কণীকা গুলোকে নষ্ট না করে।কেননা এই কণিকাতেই বরকত নিহীত রয়েছে। গবেষক বৈজ্ঞানীকেরা বলেছেন যে আঙ্গুল গুলো চুষে খেলে যে প্লাসভাটা নির্গত হয়, ঐ প্লাসভাটার কারণে ৫টা আঙ্গুল চুষে খেলে ৫টা ডাইজেষ্ট তথা হজমের জন্য যে সকল পানীয় বা ট্যাবলেট সেবন করা হয়,তার চেয়েও বেশী উপকার হবে ইনশাআল্লাহ।যারা বদহজমী সহ গ্যাষ্টিকের সমস্যায় ভূগছেন তাদের জন্য এ সুন্নতটা মহৌষধ।ছোবহানাল্লাহ আল্লাহর কত বড় নেয়ামত,কি ভাবে তাঁর শুকরিয়া আদায় করি যিনি সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ মহামানবকে সকল প্রকার জ্ঞান-বিজ্ঞান দিয়ে ইসলাম ও মুসলমানদের সন্মানীত ও গৌরবান্নীত করেছেন।
ষষ্ট
সকল জীবই কিন্তু হাঁচি দিয়ে থাকেন। কিন্তু হাঁচির পর কেউ কোন জিকীর করে বলে আমার জানা নেই তবে আমরা মুসলিমরাই একমাত্র হাঁচি দেয়ার পর জিকর্ করে থাকি। তাহল আলহামদুলিল্লাহ পাঠের মাধ্যমে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে থাকি ।এখন মুসলিমদের “হাঁচিতে আলহামদুলিল্লাহ”বলাতে কি বিজ্ঞান রয়েছে:-আমরা হাদীস সূত্রে জানতে পারি যে হাঁচি আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত স্বরুপ,আর হাইম্মানী শয়তানের পক্ষ থেকে,সেই হিসাবে নবী সাঃএর শিক্ষা অনুযায়ী আমরা হাঁচি দিলে আলহামদুলিল্লাহ ও হাইম্মানী দিলে লা-হাওলা ওয়ালা ক্বুয়্য়াতা ইল্লাহ বিল্লাহ পাঠ করে থাকি। ইউরোপের এক খৃষ্টান ডাক্তার মুসলমানদের হাঁচি নিয়ে গবেষণা করছিলেন যে, মুসলমানরা হাঁচির পর ‘আলহামদু লিল্লাহ” পড়ে কেন? সাধারণত কোন সুসংবাদ পেলে মুসলমানরা আলহামদুলিল্লাহ পড়ে। হাঁচিতে এম কি সুসংবাদ রয়েছে যে আলহামদুলিল্লাহ পড়তে হবে? অনেক গবেষণার পর তথ্য উদঘাটন হল যে, একটি হাঁচির সাথে তিন হাজার রোগ- জীবাণু বেরিয়ে যায় আর মানুষ স্বাভাবিক অবস্থায় একসাথে দু’টি হাঁচি দেয়। এভাবে দু’টি হাঁচির সাথে ছয় হাজার রোগ জীবাণু বেরিয়ে যায়।এই রোগ জিবানু বের হয়ে সুস্হ হওয়া অবশ্যই একটি রহমত এবং খুশির বিষয়। বাস্তবতাও তাই যে হাঁচি দেয়ার পর শরীর এক রকম হালকাবোধ হয় তিনি ভাবলেন এ তথ্য বের করতে আমার অন্তত বিশ বছর লেখা-পড়া করতে হয়েছে। আরো কত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে হয়েছে। কিন্তু যে যুগে মুসলমানদের নবী এ শিক্ষা দিয়ে গেছেন সে যুগেতো এত মেশিন ছিল না আর তিনি তো দুনিয়ার কারো কাছে লেখা-পড়াও শিখেননি। তিনি এগুলো জানলেন কিভাবে? নিশ্চই তিনি সত্য নবী। আল্লাহ পাক তাঁকে জানিয়েছেন বিধায় তিনি তাঁর উম্মতদেরকে এ শিক্ষা দিয়ে গেছেন যে, হাঁচির পর ‘আলহামদু লিল্লাহ” পড়বে। অতএব তিনি সত্য নবী। ফলশ্রুতিতে ঐ খৃষ্টান ডাক্তার স্বপরিবারে মুসলমান হয়ে গেলেন সুবাহানাল্লাহ।
বন্ধুগন এখন দেখুন আর ভাবুন আমরা মুসলিমরাই বিজ্ঞান সন্মত আমল করি না অন্যরা ?আমরা দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি কাজে বিজ্ঞান চর্চা করি না অন্যরা ?আমাদের ধর্মটাই মূলত বিজ্ঞান সন্মত।তবে একথা দিবালোকের ন্যায় সত্য যে কোরআন বুঝতে আমাদেরকে বিজ্ঞান বুঝতে হবেনা তবে বিজ্ঞান বুঝতে হলে কোরআন বুঝতে হবে।
আল-কোরআন ও বিজ্ঞানের সাথে যদি তুলনা করা হয় তাহলে বলতে হবে যে “আল-কোরআনই বিজ্ঞানর চেয়ে এগিয়ে”কারন তারা আজ যা গবেষনার পর বলছে তা কিন্তু কোরআন আজ থেকে প্রায় সাডে চৌদ্দশত বৎসর পূর্বেই ঘোষনা দিয়েছেন।তবে পশ্চিমারা বর্তমান প্রেক্ষাপটে বৈজ্ঞানীক গবেষনায় অগ্রগামী হলেও প্রকৃত মুসলিমরাই ধর্মও জন্ম সূত্রে বিজ্ঞান চর্চায় অগ্রগামী তবে আজকাল বৈজ্ঞানিক বিভিন্ন গবেষনার মাধ্যমে আমাদেরকে কোরআন বুঝতে অনেকাংশে সহায়ক হচ্ছে।বিশেষত পশ্চিমা বিশ্বে অনেক বড বড অমুসলিম বৈজ্ঞানীক দার্শনীক লেখক কবি গবেষকগন কোরআন-হাদিসের অনেক বিধান,বিজ্ঞান সন্মত হওয়াতে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছেন,এই ভেবে যে,যে যুগে বিজ্ঞান সম্পর্কে মানুষ কখনো কল্পনাও করতে পারেনি অথচ সেই মরু অঞ্চলে বড হওয়া নবী উম্মির উপর নাজেলকৃত কোরআনের প্রতিটি আয়াত কি ভাবে বিজ্ঞানের সূত্রগুলো তুলে ধরে,কি ভাবে আজকের বিজ্ঞানের প্রত্যেকটি গবেষনার কথা কোরআনের কোন না কোন আয়াতে সন্ন্যেবেশিত হয়েছে,এতে আবশ্যই এটাই প্রমানিত করে যে এটা ঐশী গ্রন্থছাডা কিছুইনা।
তাই আমাদের মনমরা হবার অবকাশ নেই যে বর্তমানে আমরা বৈজ্ঞানীক কোন কিছু আবিস্কারে কোন অগ্রনী ভূমিকা রাখতে না পারলেও কিন্তু বিজ্ঞানের মূল শিক্ষা কিন্তু মুসলিমদের হাতেই রয়েছে।আর তাহল কোরআন-হাদিস-আর রসুলের জীবনাদর্শ। তবে আমাদের পূর্ব পুরুষদের অনেকেই কিন্তু বিজ্ঞানের মূল সূত্র গুলোর আবিস্কারক ছিলেন এতে সন্দেহের অবকাশ নেই।
যেমন আল রাজী রসায়ন দর্শন, আল জাবির ইবনে হাইয়ান রসায়ন শাস্রের জনক, ইবনে রুশদ যুক্তিবিদ্যা ও দর্শন , ইবনে খালদুন দর্শন ইতিহাস ও গনিত ,ইবনে সীনা চিকিৎসা বিদ্যা , ইবনে আল হাইসাম আলোকবিদ্যা , আবু আবদুল্লাহ আল বাত্তানী জ্যোতিবিদ্যা ,আল ফারগানী গনিতও জ্যোতিবিদ্যা, আলখোয়ারেজমী বীজগনিতের আবিস্কারক,আবু আল নাসির আল ফারাবী যুক্তিবিদ্যা সমাজবিদ্যা,ও দর্শন,আল নাফীস চিকিৎসা বিদ্যা।
এখনও যদি আমরা শরিয়ত পালনের সাথে কোরআন হাদিসের সঠিক চর্চা আর গবেষনায় মনোনিবেশ করি সেই সোনালী যুগ পিরে পেতে বেগ পেতে হবেনা।তদুপুরী আমরা প্রকৃত সুন্নাতের অনূসারী মুসলিমরাই মূলত জন্ম সূত্রেই বিজ্ঞান চর্চা করে থাকি যা উপরের আলোচনায় স্পষ্ট হয়ে গেছে। বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনষ্টাইনের মতে “ধর্ম ছাড়া বিজ্ঞান পঙ্গু এবং বিজ্ঞান ছাড়া ধর্ম অন্ধ” তাই আমরা মুসলিমরাই এক সাথে ধর্ম কর্ম করার সাথে সাথে বিজ্ঞানও চর্চা করি ।

অাবদুল্লাহ ভুঁইয়া
০১৮২৯১৩৮১১৪
০০৯৬৬৫০৪৯৬৭৮৬৩

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন