মুখে বাজে গন্ধ হওয়ার মূল ৭টি কারণ ও সমাধান
মুখে দুর্গন্ধের অস্বস্তিকর সমস্যায় কমবেশি সবাইকেই পড়তে হয়। তবে এটা যদি আপনার দীর্ঘস্থায়ী বা পুরনো সমস্যা হয়ে থাকে, তবে এর মূলোৎপাটন করতে হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ডাক্তার মাউথ ওয়াশ বা এ ধরনের কিছু দিয়ে থাকেন। এতে কিছু সময়ের জন্য দুর্গন্ধ চলে যায়। মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার সাতটি মূল কারণ ও এর সম্ভাব্য সমাধান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ জেনে নিন।
১. আপনি দাঁতের যত্ন নিচ্ছেন না
২০১২ সালে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ওরাল সায়েন্সে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, দাঁতের পরিচ্ছন্নতা না থাকার জন্য শতকরা ৮৫ ভাগ দায়ী মানুষের বদ অভ্যাস। আর এর পেছনে কাজ করে মুখের ভেতরে খাদ্যকণা ঠিকমতো পরিষ্কার না করা। এর কারণে মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া জন্মায়, জানালেন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ মার্ক গিবার। আমেরিকান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশনের কনজ্যুমার অ্যাডভাইজার ডেন্টিস্ট রিচার্ড এইচ প্রাইস বলেন, জিহবার নিচে অক্সিজেন ছাড়া বেঁচে থাকা এ ব্যাকটেরিয়া সালফার কম্পাউন্ড উৎপাদন করে যার গন্ধ অনেকটা পচা ডিমের মতো। আর এ গন্ধ দূর করতে হলে দিনে অন্তত দুইবার দাঁত ব্রাশ করতে হবে।
২. যথেষ্ট পানি খান না
দেহে পানির অভাবে খুব অল্প পরিমাণ সেলিভা উৎপন্ন হয়। সেলিভা মুখের এসব ব্যাকটেরিয়াকে পরিষ্কার করে। পানির অভাবে মুখের ভেতর শুকনো থাকে এবং সেলিভা মরে যায়। এই মৃত সেলিভা কোষ থেকেও বাজে গন্ধ তৈরি হয়।
৩. অ্যালার্জিও দায়ী
অ্যালার্জির কারণে অনেকে নাক দিয়ে শ্বাস নিতে পারেন না। তখন মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হয় এবং এতে মুখের ভিতরটা শুকিয়ে যায়। ফলে সেই একই সমস্যা। নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ডেল আমান্ডা টেইলর বলেন, অ্যালার্জির সমস্যা থাকলেও মুখে দুর্গন্ধ হয়। অ্যালার্জির চিকিৎসা নিন।
৪. বাজে গন্ধ @
এটা বলে বোঝাতে হবে না যে, রসুন খেলে মুখে দুর্গন্ধ হবেই। আবার দুধ খুবই ভালো খাদ্য। কিন্তু এ দ্রব্য মুখে এক ধরনের শ্লেষ্মা উৎপন্ন করে যা দুর্গন্ধ তৈরি করে, জানালেন ডেন্টিস্ট মার্থা অ্যান কিলস। এ জাতীয় উচ্চমাত্রার কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ খাবার বেশি খেলে বাজে গন্ধের শ্লেষ্মা হয়। তাই এগুলো বেশি পরিমাণ খাবেন না।
৫. সাইনাস অথবা টনসিলে সংক্রমণ থাকলে
সাইনাসে সংক্রমণ ঘটলে বাজে গন্ধ আসে মুখ থেকে। ডাক্তারের পরামর্শ মতো অ্যান্টিবায়োটিক বা নেটি পট থেরাপির মাধ্যমে সাইনাসের বাজে শ্লেষ্মা দূর করা যায়, জানালেন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ জেমস এন পালমার। এ ছাড়া টনসিলে সংক্রমণ ঘটলে এক ধরনের ক্যালসিয়াম পাথর জন্মে যা কটু গন্ধ সৃষ্টি করে।
৬. এসিডিটির সমস্যা
এসিডিটির ফলে পাকস্থলীর জ্বালাপোড়া থেকে ভিনেগারের মতো গন্ধ তৈরি হয়। টক জাতীয় ঢেকুর হয়ে তা মুখে বাজে গন্ধ ছড়িয়ে দেয়।
৭. ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে
মুখে খুব বাজে ধরনের গন্ধ ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধির কারণে হতে পারে। তবে তা কদাচিৎ দেখা যায়। এ গন্ধের বৈশিষ্ট্য অনেকটা টক এবং পনিরের মতো। যে সব মানুষের নানা ব্যাধির কারণে বেশি পরিমাণ তেজক্রিয় রশ্মির পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়, তাদের এমনটি হতে পারে।
সমাধান:
প্রতিদিনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজের মতো দাতের যত্ন নেয়া ও দাত পরিষ্কার রাখা খুবই জরুরী। তবে উপরোক্ত সমস্যাগুলোর কারণে দাতের সঠিক যত্ন নিলেও বিব্রতকর দূর্গন্ধ এড়ানো যায়না। এসব ক্ষেত্রে মূল সমস্যা অনুধাবণ ও োরাগ নির্নয় করে সঠিক চিকিৎসা নেয়া উচিত। প্রথমে একজন দন্ত চিকিৎসকের সরণাপন্ন হয়ে তার পরামশ্য অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয় যেতে পারে। তবে রোগ নির্মূল হওয়ার আগ পর্যন্ত মাউথওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে।
তথ্যসূত্র: কালেরকণ্ঠ
মুখের দুর্গন্ধে করনীয়।
মুখের দুর্গন্ধ দুর করতে ঘরানা টিপস গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
তনমধ্যে অধিক কার্যকরি তাহল দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজের সময় মেসওয়াক ব্যবহার যা সুন্নত ওবটে।যদি পারেন জয়তুনেন ডাল তা নাহলে নিমের ডাল বা অন্য কিছুু। তাছাডা নিচের টিপস গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
যেমন-:
১/ খাঁটি মধু ১ চামচ, ১ চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে সকাল খালি পেটে সেব্য, ১ মাস ( হাকিম অানোয়ার অাবদুল্লাহ) তাছাডা দৈনিক সকালে মধু খেলে মুখের দুর্গন্ধ, শরীরের দুর্গন্ধ, পায়ের মুজার অযাচিত দুর্গন্ধ হতে মুক্তি পাবেন, পরীক্ষিত( খাঁটি মধু পেতে ০১৮২৯৩১৮১১৪)।
২/ অাম /পেযারা / বা কচি নিম পাতা চিবানো।
৩/ মাশরুম টুথপেষ্ট ব্যবহার
৪/ ভাতের সাথে ইসুব গুল, তিল, খাওয়া।
৫/ সালাদের সাথে জয়তুন তেল
৬/ সকালে মধু চেটে খান ১ মাস
৭/দৈনিক লং বা লবঙ্গ,দারুচিনি এলাচি অাদা চিবাতে পারেন মুখের দুর্গন্ধ সেরে যাবে। অথবা সিদ্ব করে গরম পানি সেবন করতে পারেন।
(ডাঃ অালমগির মতি)
উপরোক্ত টিপস্ থেকে সুবিধা মত ব্যবহার করা যেতে পারে।
সংকলক -:
এম এম অাবদুল্লাহ ভূঞা
০১৮২৯৩১৮১১৪