বৃহস্পতিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮

অর্শ গেজ পাইলস এর কারণ ও ঘরোয়া চিকিৎসা

পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা, পাইলস রোগীর খাবার ও পাইলস প্রতিরোধের উপায়সমূহ

পাইলস বা হেমোরয়েড কি?

 

মানুষের যাবতীয় রোগসমূহের মধ্যে একটি যন্ত্রণাদায়ক রোগের নাম হেমোরয়েড বা পাইলস।  এই রোগটি মলদ্বারে হয়ে থাকে। সাধারণত মলদ্বারের অগ্রভাগের সামান্য ভেতরে বা বাইরের দিকে এক বা একাধিক গোলাকার অথবা সুচালো মাথাবিশিষ্ট গুটি গুটি বর্ধিতাংশ বের হয়; একে আমরা বলি/ গেজ বলে থাকি। মলত্যাগের সময় গেজ গুলির আকার ও অবস্থানের উপর ভিত্তি করে কারো অল্প বা বেশি বের হয়; এবং এই গেজ হতে কম বা বেশি রক্তপাত হয়ে থাকে। অনেক রোগীর আবার রক্তপাত হয়না। মূলত পাইলস রোগীর মলদ্বারের রক্তনালী ফুলে যায় এবং অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক ব্যাথার সৃষ্টি করে। যা একজন মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত করে। এই রোগের আরো অনেক শারীরিক সমস্যার ও সৃষ্টি করে। এলোপ্যাথিক ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার পাশাপাশি পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা ও রয়েছে প্রচুর। প্রাথমিক পর্যায়ে ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পাইলস বা অর্শ ভালো হয়ে যায়।

 

বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন, হেমোরয়েড বা পাইলস বিশ্বব্যাপী এক পরিচিত রোগ, পাশাপাশি এই রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও নিতান্ত কম নয়। সমাজের পয়ঁতাল্লিশ বছর থেকে পয়ঁষট্টি বছর বয়স্ক নারী ও পুরুষ সাধারণত পাইলস রোগে আক্রান্ত হন। পশ্চিমা বিশ্বে হেমোরয়েড বা পাইলস একটি অতি পরিচিত ব্যাধি।  যুক্তরাষ্ট্রে মোটামুটি ৪.৪০% নারী-পুরুষের এই রোগ হয়ে থাকে। পয়ঁতাল্লিশ বছর এর বেশি বয়স্কদের প্রায় অর্ধেক মানুষ কখনো না কখনো এই রোগ এর সম্মুখীন হন।

 

 

পাইলস বা হেমোরয়েড কেন হয়?

 

আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে বাতাস ও খাবার এর মাধ্যমে নানা রকম রোগ-জীবাণু ও বিষ আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। এর কিছু পরিমান শরীরের অভ্যন্তরেই ধ্বংস হয়ে যায়, আর কিছু মূল-মূত্রের সাথে ও ঘাম এর সাথে শরীরের বাইরে বের হয়ে যায়। আর কিচ্ছু অংশ রয়ে যায় শরীরের অভ্যন্তরে। যা শরীরে অবস্থিত ত্রিদোষ (সোরা, সিফিলিস, সাইকোসিস) এর যেকোনো একটি বা একাধিকে এর মাধ্যমে অনেক শক্তি অর্জন করে আমাদের জীবনীশক্তি কে ধীরে ধীরে নষ্ট করে দিতে চেষ্টা করে। আর ঠিক এই অবস্থায়, শরীরের জীবনীশক্তি বিকল্প হিসেবে ওই শক্তিশালী বিষকে নতুন কোনো পথে শরীর থেকে বের করে দিয়ে শরীরকে রক্ষা করতে চেষ্টা করে থাকে।

 

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ধনী বা বিত্তশালীদের এই রোগটি হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এছাড়া ব্যাধিটি আরো অনেক বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যেমন: উত্তরাধিকারসূত্র, শারীরিক গঠন, শারীরিক স্বাস্থ্য, কর্ম-জীবন, আবহাওয়া, মানসিক স্বাস্থ্য, বয়স, হরমোনের পরিবর্তনজনিত কারণ, খাদ্যাভ্যাস, শরীরের অতিরিক্ত ওজন, বিভিন্ন ঔষধের ব্যবহার, সংক্রমণ, অন্তঃসত্ত্বা (মহিলাদের ক্ষেত্রে) , শরীরচর্চা, দীর্ঘদিনের কাশি, মলত্যাগের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ, মাঝে মধ্যেই বমি হওয়া, বদহজম বা কোষ্টকাঠিন্য, লিভার সিরোসিস, যকৃতে অতিরিক্ত রক্ত জমা থাকা, অতিরিক্ত মদ্যপান, অতিরিক্ত মাত্রায় মস্তিষ্কের কাজ করা, লম্বা সময় ধরে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকা, প্রস্রাবে সমস্যা, প্রোস্টেট ক্যান্সার, মহিলাদের জরায়ুতে চাপ (গর্ভবস্থায়) ইত্যাদি।

 

 

পাইলস বা হেমোরয়েড এর প্রকারভেদ

 

আকৃতিগত দিক থেকে পাইলস নিম্নলিখিত প্রকারের হয়ে থাকে-

ছোলার আকার,

ছোট আঙুরের আকার,

ছোট খেজুরের আকার,

খেজুর গাছের শিকড়ের আকৃতি,

রেশন এর গোটার আকার, অথবা;

ডুমুরের আকৃতি।

 

শিরা-ষ্ফীতি এর উপর ভিত্তি করে পাইলস নিম্নলিখিত প্রকারের হয়ে থাকে-

ক. মলদ্বারের অভন্তরীণ পাইলস: মলদ্বারের এক থেকে দুই ইঞ্চি ভেতরের দিকে শিরা ফুলে বলি বা গেজ এর সৃষ্টি হয়

খ. মলদ্বারের বাইরের পাইলস: মলদ্বার এর শেষ প্রান্তে বা বাইরের দিক থেকে গেজ বের হয়

গ. মিশ্ৰ পাইলস: এই প্রকারে মলদ্বারের ভেতর ও বাহির উভয়দিকে গেজ তৈরী হয়

 

মলদ্বারের অভন্তরীণ পাইলস আবার তিন ভাগে বিভক্ত-

ক. এই প্রকার পাইলস এ মলদ্বার অভ্যন্তর হতে কোনো প্রকার ব্যাথা ছাড়াই রক্ত নির্গত হয়, কিন্তু গেজ বাইরে বের হয় না

খ. এই প্রকারের অর্শে গেজ মলদ্বারের বাইরে বের হয়ে আসে, আবার মলত্যাগ করার পরে গেজ আবার মলদ্বার এর ভেতরে চলে যায়

গ. এই প্রকারের অর্শে গেজ মলদ্বারের বাইরে বের হয়ে আসে, কিন্তু হাত দ্বারা ভেতরে ঢুকিয়ে না দিলে বাইরেই রয়ে যায়।

 

 

পাইলস বা হেমোরয়েড এর লক্ষণ বা উপসর্গসমূহ

 

১. মলত্যাগ এর সময় মলদ্বার হতে সামান্য বা বেশি পরিমান রক্ত নির্গত হতে পারে

২. মলদ্বার ফুলে গিয়ে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হতে পারে

৩. টাটানি ও সাথে ব্যাথা হতে পারে

৪. কাঁটাবিদ্ধ অনুভূতি থাকতে পারে

৫. মাথাধরা বা মাথা ভার হয়ে থাকতে পারে

৬. উরু, বুক ও নাভির চতুর্দিকে ব্যাথা বোধ হতে পারে

৭. মলদ্বার এ ওজন অনুভূত হতে পারে

৮. কোমর ধরা অনুভূত হতে পারে

৯. আলস্য বোধ হতে পারে

১০. মেজাজ খিটখিটে ও রুক্ষ হতে পারে

১১. মাথা-ঘোরা দেখা দিতে পারে

১২. কর্মে অমনোযোগিতা আসতে পারে

 

 

 

পাইলস বা হেমোরয়েড প্রতিরোধের উপায়সমূহ

 

১. কোষ্টকাঠিন্য থেকে শরীরকে যথাসম্ভব সুস্থ রাখা, যাদের কোষ্টকাঠিন্য আছে তারা অতিসত্তর অভিজ্ঞ ডাক্তার এর পরামর্শ নিয়ে কোষ্টকাঠিন্যকে শরীর থেকে চির বিদায় দেয়া

২. প্রতিদিন পরিমিত ঘুমানো

৩. দৈনিক প্রচুর পানি পান করা (অভ্যাস না থাকলে অভ্যাস করা)

৪. পরিশ্রম করার ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন করা

৫. বেশি বেশি তরল ও সহজে হজম করা সম্ভব এমন খাবার গ্রহণ করা ও অভ্যস্ত হওয়া

৬. তৈলাক্ত ও মসলা জাতীয় খাবার বর্জন করার চেষ্টা করা

 

 

পাইলস বা হেমোরয়েড এ আক্রান্ত রোগীদের করণীয়

 

১. প্রতিদিন কমপক্ষে দুই বার পায়খানা করার চেষ্টা করা

২. যে খাবার রোগী সহজে হজম করতে পারেনা সেসব খাবার পরিহার করা

৩. বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী বিশ্রাম গ্রহণ করা

৪. পাইলস এর লক্ষণ দেখা দেয়া মাত্র বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর শরণাপন্ন হওয়া (কোনোক্রমেই হাতুড়ে ডাক্তার বার কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা না করানো)। যত দ্রুত চিকিৎসা করবেন, টোটো ভালো হবার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। যত দেরি করবেন, রোগ ততো জটিল হবে।

 

 

পাইলস বা হেমোরয়েড রোগে আক্রান্ত রোগীর খাবার

 

সহজে হজম হয় আঁশযুক্ত খাবার ও সব ধরণের শাকসব্জি বেশি বেশি খাওয়া, দৈনিক কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা, বিভিন্ন রকমের ফল-ফলাদি, সর্বপ্রকার ডাল, সবজি সালাদ, ফ্রুট সালাদ, ডিম, মাছ ও মুরগির মাংস, বিশেষভাবে ঢেঁকিছাটা চাল এবং আটা ইত্যাদি।

 

 

পাইলস বা হেমোরয়েড রোগে আক্রান্ত রোগী যেসব খাবার বর্জন করবেন

 

খোসাবিহীন শস্য, গরুর বা খাসির মাংস বা অন্যান্য চর্বিযুক্ত খাবার, মসৃন চাল, কোলে ছাঁটা আটা বা ময়দা, চা বা কফি, চীজ বা মাখন, চকলেট বা আইস্ক্রীম, কোল্ড-ড্রিঙ্কস, সর্বপ্রকার ভাজা খাবার (লুচি বা পরোটা অথবা চীপস) ।

 

 

পাইলস বা হেমোরয়েড রোগের চিকিৎসা

 

পাইলস বা অর্শ রোগের এলোপ্যাথিক ও হোমিওপ্যাথিক দুই ধরণের চিকিৎসাই রয়েছে। রোগের তীব্রতা অনুযায়ী চিকিৎসা ও আলাদা হয়ে থাকে। তাই বিশেষ পরামর্শ হলো, এই রোগের লক্ষণ দেখা মাত্রই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া। এতে করে আপনার রোগ নিরাময় সহজ হবে। কারণ যদি রোগ তীব্র আকার ধারণ করে তাহলে অপারেশন ছাড়া এই রোগ এর চিকিৎসা করা সম্ভব হয়না।

 

এলোপ্যাথিক চিকিৎসার পাশাপাশি অর্শ রোগ নিরাময়ে হোমিওপ্যাথির ভূমিকা অনস্বীকার্য। বরাবরে মতোই রোগীর প্রকৃতি, বৈশিষ্ট্য, সদৃশ এবং রোগের উপসর্গের উপর ভিত্তি করে পাইলস রোগের হোমিও চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। গুরুত্বপূর্ণ হল কোনো যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন রেজিস্টার্ড হোমিও ডাক্তার এর পরামর্শ নিলে আশাকরি দ্রুত আরোগ্য লাভ করবেন। হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে পাইলস এর পরিপূর্ণ নিরাময় সম্ভব।

 

 

পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা

 

সাময়িক বা দ্রুত পাইলস এর যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে রয়েছে নানা রকম পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা। অনেক রোগী এসব ঘরোয়া চিকিৎসা গ্রহণ করে উপকৃত হয়েছেন বলেও জানা যায়। চলুন দেখি কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা যা মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিটে পাইলস এর যন্ত্রনা থেকে দিতে পারে আরাম।

 

অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার এর মাধ্যমে চিকিৎসা

কিছু পরিষ্কার তুলো নিন, তাতে সামান্য পরিমান অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার লাগান। এবার মলদ্বার এর ব্যাথার স্থানে তুলো দিয়ে আস্তে আস্তে চাপ দিন। একটু সহ্য করতে হবে, কারণ তুলো লাগানোর সাথে সাথেই ব্যাথার স্থানটি কিছুটা জ্বলবে কয়েক মিনিট, তারপর ধীরে ধীরে আমার পেতে শুরু করবেন। ৮-১০ মিনিট এর মধ্যেই সম্পূর্ণ আরাম বোধ করবেন। এভাবে দিনে কয়েকবার করতে পারেন।

মলদ্বারের ভেতরের পাইলসের জন্য এক গ্লাস পানির সাথে এক চা চামচ পরিমান অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে দিনে দুই বার পান করতে পারেন।

 

এলোভেরা বা ঘৃতকুমারী এর মাধ্যমে চিকিৎসা

একটুকরো পরিষ্কার এলোভেরা নিন। এবার মলদ্বার এর ব্যাথার স্থানে আলতো করে ঘষে দিন।  এভাবে মিনিট খানেক লাগান। দ্রুত আপনার যন্ত্রনা কমে যাবে।মলদ্বারের ভেতরের পাইলসের জন্য একটি বিশেষ উপায়ে এলোভেরা ব্যবহার করতে হবে।  ১.৫ – ২ ইঞ্চি এলোভেরা কেটে নিন, তারপর ছাল ছাড়িয়ে শুধু জেল একটি পরিষ্কার মোটা  পলিথিনে মুড়িয়ে ফ্রিজে রেখে সহ্য করার মতো ঠান্ডা করুন। তারপর আলতোভাবে মলদ্বারের মুখে চেপে চেপে লাগান। এটি আপনার অর্শের ব্যাথা, জ্বালাপোড়া ও চুলকানি  ৮-১০ মিনিটের মধ্যে কমিয়ে আরাম দেবে।

 

অলিভ অয়েল এর মাধ্যমে পাইলস এর চিকিৎসা

দৈনিক তিন বেলা খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট পূর্বে এক চা চামচ অলিভ অয়েল খাবেন। অলিভ অয়েল শরীরের প্রদাহ কমায় এবং মনসেচুরেটেড ফ্যাট উন্নত করতে সাহায্য করে। মলত্যাগ করতে অতিরিক্ত চাপ দিতে হয়না এবং মলত্যাগ খুব আরামদায়ক করে।

মলদ্বারের বহিরাংশের পাইলস এর ক্ষতে কিছু শুকনো বড়ই পাতার গুঁড়োর সাথে সামান্য অলিভ অয়েল মিশিয়ে লাগালে ৫-১০ মিনিট এর মধ্যে যন্ত্রনা থেকে আরাম পাবেন।

 

 

আদা ও লেবুর রস এর মাধ্যমে পাইলস এর চিকিৎসা

পাইলস বা হেমোরয়েডের এর কারণগুলোর মধ্যে ডিহাইড্রেশন একটি উল্লেখযোগ্য কারণ। তাই পাইলস এর রোগের জন্য শরীরকে হাইড্রেড করা খুবই জরুরী। একটি মিশ্রণ দৈনিক দুই বার পান করে খুব সহজেই শরীরকে হাইড্রেড করতে পারেন। মিশ্রণটি খুবই সহজ। একটু আদার রস, একটু লেবুর রস ও একটু মধু সব মিলিয়ে এক চা চামচ পরিমান হলেই যথেষ্ট। ব্যাস এই মিশ্রণটি দিনে দুইবার করে খাবেন। আর পাশাপাশি প্রতিদিন ৮-১২ গ্লাস পানি পান করবেন। এতে শরীর হাইড্রেড হবে এবং ধীরে ধীরে আপনার পাইলস সম্পূর্ণরূপে ভালো হয়ে যাবে ইন্-শা-আল্লাহ।

 

 

বরফ ব্যবহার এর মাধ্যমে পাইলস এর চিকিৎসা

পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা সমূহের মধ্যে বরফের ব্যবহার খুবই কার্যকরী ও আরামদায়ক ও বটে। সাময়িক স্বস্তির জন্য বরফের উপকার অনস্বীকার্য। একটি পরিষ্কার সুতী কাপড়ে কয়েক টুকরা বরফ পেঁচিয়ে নিয়ে পাইলস এর ব্যাথার স্থানে ৮-১০ মিনিট চেপে ধরুন; এতে করে মলদ্বারের রক্তনালী সমূহের রক্ত চলাচল প্রক্রিয়া সচল রাখবে এবং পাইলস এর ব্যাথা উপশম করবে।

 

 

পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা: ২১ দিনে নিয়ন্ত্রণ করুন পাইলস বা অর্শ রোগ

প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর পূর্বে একটি কলা ও দুইটি রাস্পবেরি ভালো করে চামচ দিয়ে মিশিয়ে খেয়ে নেবেন। কিছুদিন খাওয়ার পরে আশাকরি ভালো পরিবর্তন পরিলক্ষিত হবে। অনেকের রোগের তীব্রতার উপর ভিত্তি করে সময় একটু বেশি ও লাগতে পারে। তাই যতদিন পুরোপুরি সুস্থ না  হন, ফল দুটি খেয়ে যাবেন। কলা’র পটাশিয়াম ও রাস্পবেরীর ফাইবার ও এন্টি-অক্সিডেন্ট রোগীর মূল নরম করবে ও ধীরে ধীরে পাইলস এর সমস্যা সম্পূর্ণ রূপে ভালো করবে।

যারা এই চিকিৎসাটি গ্রহণ করতে মনস্থ করেছেন, তারা অবস্যই বেশি বেশি আঁশ যুক্ত খাবার খাবেন, প্রতিদিন প্রচুর পানি খাবেন।  আর উপরে উল্লেখিত পাইলস প্রতিরোধের উপায় সমূহ মেনে চলবেন।

 

 

 

মুলার জুস পান করার মাধ্যমে পাইলস এর চিকিৎসা

প্রতিদিন আধা কাপ মুলার জুস পান করার মাধ্যমে আপনি আপনার পাইলস বা অর্শ সম্পূর্ণরূপে ভালো করতে পারেন।

 

ডুমুর ভেজানো পানি পান করার মাধ্যমে পাইলস এর চিকিৎসা

কয়েকটি শুকনো ডুমুর ফল এক গ্লাস পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রেখে ভোর বেলা খালি পেটে  তার অর্ধেক পরিমান পানি খাবেন। বাকি অর্ধেক খাবেন বিকেলে বা সন্ধ্যায়। কিছুদিন খেলেই বুঝতে পারবেন পরিবর্তন।

 

 

বেদানার মাধ্যমে পাইলস এর চিকিৎসা

একটি ছোট সাইজ এর বেদানার দানাগুলো ছাড়িয়ে নিন। এরপর এক গ্লাস পরিমান পানির মধ্যে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এই ফোটানো পানি ঠান্ডা হলে দৈনিক দুই বার পান করুন। পাশাপাশি পাইলস প্রতিরোধের উপায় গুলো মেনে চলুন। আশাকরি আপনার পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা এর মাধ্যম আপনার রোগ সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে।

 

কাঁচা হলুদ এর মাধ্যমে পাইলস এর চিকিৎসা

একটি ছোট সাইজ এর ২ টুকরা হলুদ এক গ্লাস পানিতে ভালো করে ফুটিয়ে দিনে দুইবার পান করুন। অর্শ সমস্যা থেকে পরিত্রান পাবেন।

 

ইসুবগুলের ভুষির মাধ্যমে পাইলস এর চিকিৎসা

প্রতিদিন রাত এ শোবার পূর্বে ইসুবগুল ভেজানো এক গ্লাস পানি পান করবেন। আবার ঘুম থেকে উঠে ভোর বেলা আরেক গ্লাস পান করবেন। সাথে আঁশযুক্ত খাবার খাবেন ও প্রচুর পানি পান করবেন। আশাকরি চমৎকার ফল পাবেন।

 

 

পরিশেষে, পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা এর মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ের পাইলস সাধারণত ভালো হয়ে যায়। কিন্তু একটু অসুখের তীব্রতা বেড়ে গেলে ঘরোয়া চিকিৎসা আপনাকে সুস্থ না ও করতে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে অভিজ্ঞ ডাক্তার এর শরণাপন্ন হতে হবে। যদি সময়মতো চিকিৎসা না নেন, তাহলে হয়তো অপারেশন পর্যন্ত ও যেতে হতে পারে।

যাদের এখনো পাইলস এর মতো খারাপ রোগ হয়নি, তারা পাইলস প্রতিরোধের উপায়গুলো খুব গুরুত্ব সহকারে মেনে চলুন, আর যাদের লক্ষণ দেখা দিয়েছে, তারা দ্রুত কোনো অভিজ্ঞ ডাক্তার এর পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা শুরু করে দিন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে সমস্ত রোগ-ব্যাধি থেকে হেফাজত করুন। আমীন।

উপরোক্ত তথ্য গুলো   

 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © সুরক্ষা ডট কম |  ফেইজ থেকে সংকলিত 



চিকিৎসা৷৷   ৷  চিকিৎসা    চিকিৎসা  চিকিৎসা   

 

অর্শ- গেজ - ভগন্দর- পাইলস-পেস্টুলা নিরাময়= 


যাদের অর্শ,পায়ু পথ ফোলা,ব্যথা,জালাপোডা করে মলদ্বারে গেজ,ভগন্দর, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে,আন্ত্রিক প্রদাহ নিরাময়ে কার্যকর 


১, ঃ-  " ডি ফাইলস" ট্যাব এন্ড সিরাপ  কার্যকরী। 


আর তাছাডা 

অর্শ, পায়ু পথ ফোলা , পায়ু পথে অর্শের ক্ষত,ব্যথা,জালাপোডা, গেজ, ইত্যাদি নিরাময়ে কার্যকরী ঃ- 

২ ঃ- হাব্বে বা ওয়াসীর  বাদী 

৩ ঃ- মরহম জাদীদ 

মর্ডান হারবাল কোং ডাঃ আলমগীর মতী।

বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে আপনার নিকটস্থ যে কোন কুরিয়া, পোস্ট অফিস মারফত আপনার ঠিকানায় পৌঁছে যাবে। 

সার্ভিস সার্জ ১৫০ টাকা। 

সৌজন্যে 

প্রাকৃতিক চিকিৎসা নিতে আমাদের ভূবনে স্বাগতম, 

সার্বিক যোগাযোগ ঃ- 

00966504967863 ওয়াতসাফ/ইমু 


,।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন