শনিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮

দাডি টুপি রাজাকারের ইউনিফর্ম নয় এটা রসুলের সুন্নাহ

দাড়ি টুপি রাজাকারের ইউনিফর্ম নয়! এটা রাসুল(সঃ) এর সুন্নাহ, এতে সন্দেহের অবকাশ নেই, অনেকে যারা মুক্তিযুদ্ধের  চেতনার ফেরীকরে চলেন তারা এ রসুলের এ সুন্নাত কে নিয়ে অনেক ফাইজলামি করে করে থাকেন চলপ বলে কৌশলে,
ফাইজলামি করবি! কর। তবে আমার রাসুলের সুন্নাহ নিয়ে নয়, কোন মুসলিম দাবিদার রাসুল (সঃ)এর সুন্নাহ নিয়ে মশকারা করতে পারেনা।কারন রাসুলের (সঃ) সুন্নাহ না মানা ফাসিকী,আর সুন্নাহ অস্বীকার করা বা সুন্নাহ নিয়ে ঠাট্রা বিদ্রুপ করা কুফুরী।

এভাবে দাড়ি-টুপিকে অপমান করা মানে আমার প্রাণের নবী সাঃ) কে অপমান করা। ইসলামী পোষাক কে অপমান করা মানে ধর্মকে হেয় পতিপন্ন করা, পাজামা -পাঞ্জাবি -টুপি-দাড়ি রাজাকারের পোষাক নয়। বরং আমার দেশের হাজার হাজার লাখো  বীর মুক্তিযোদ্ধারা ও  পাজামা-পাঞ্জাবি-টুপি পরিধান করেন এটা বাংলাদেশ সহ ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিমদের  অবিচ্ছেদ্য সংস্কৃতির ও অংশ  এবং তাদের দাড়িও আছে, তারা পাচওয়াক্ত নামাজ ও পড়েন।
তাহলে ৯০%মুসলমানের দেশে কেন ইসলামি লেবাছ নিয়ে মশকারা করা হবে? মুক্তিযুদ্ধ কী ইসলামের বিরুদ্ধে হয়েছিল! অবশ্যয়ই না। এদেশের আপামর কৃষক, শ্রমিক,জেলে,তাতি ও অসংখ্য আলেম ওলামা তোলাবা সহ সকল দেশপ্রেমিক নাগরিকের সক্রিয় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। নামাজ কালাম দোয়া দরুদ পডেই সকালে ঘর থেকে বেরিয়ে পডতেন হানাদারবাহিনীর মোকাবেলা করার জন্য।

কিন্তু আজকে একটা গ্রুপ পরিকল্পিত ভাবে ইসলামী লেবাস দাডি টুপি  পান্জাবী কে মুক্তি যুদ্ধ বিরোধীদের লেবাস বা আলামত হিসাবে প্রচার করতে চাচ্ছে, নাটক, সিনেমা, ফিল্ম, ছবি,ও আর্ট   ইত্যাদি তে কল্পিত ইতিহাস রচনা করতে গিয়ে সমাজের সব চেয়ে খারাপ   ব্যক্তি হিসাবে দাডি টুপি পান্জাবী পরা লোকটিকে উপস্হাপন করা হচ্ছে। কিন্তুু কেন???
অথচ অনেক আলেম ওলামা তোলাবা দ্বীনদার দেশ প্রেমিক ও সাধারন জনগনের সন্মিলিত অংশ গ্রহণের মাধ্যমে মুক্তি যুদ্ধ হয়েছিল এটা অস্বীকার করার অবকাশ নেই। তবে হ্যাঁ  সে সময় অনেকে রাজনৈতিক কারণে মুক্তি যুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলেন তাতেও সন্দেহ নেই।
তাই বলেকি ইসলাম মুসলমানদের শিয়য়ার দাডি টুপি পান্জাবী কে কটাখ্খ করা যাবে।
এ পোষাক কে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী হিসাবে প্রকাশ করা যাবে??
কখনো না।

তাই প্রশাসনের প্রতি বিনীত অনুরোধ এসব কুলাঙ্গারদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসুন। বিজয়ের মাসে স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক মুহাম্মদ আতাউল গনি উসমানী, সেক্টর কমান্ডারগন, বীরশ্রেষ্ঠ, বীরপ্রতীক, বীরবিক্রম,শহিদ জিয়াউর রহমান  সহ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী যেসব মহান ব্যক্তি ইতিমধ্যে ইন্তেকাল করেছেন তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ৬৯সালের গণ অভ্যুত্থানএবং ৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ সহ আজ পর্যন্ত যারা দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য জীবন দিয়েছেন তাদের জন্য শাহাদাতের সর্বোচ্চ মাকাম কামনা করছি এবং যারা আহত হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন তাদের জন্য মাগফেরাত কামনা করছি, জীবিতদের জন্য সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিষ্ঠার সাথে কাজ করার তাওফিক দিন। আমিন।
পরিশেষে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের দু'লাইন কবিতা দিয়ে শেষ করছি..........."রাসুলের অপমানে যদি কাদেনা তোর মন------ মুসলিম নয়, মুনাফিক তুই,রাসুলের দুশমন।

সুতরাং  আজকে আমাদের কে সচেতন  সোচ্চার হতে হবে।আমরা  যে এ দেশ স্বাধীন করেছি সেই স্বাধীনতা আমাদের ফিরিয়ে দাও।

"মুক্তি যুদ্ধে  আলেম ওলামাদের অবদান "শীর্ষক  আমার কয়েকটি  লেখা আছে উক্ত  ব্লগে , সন্মানিত পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি  আপনারা সে লেখা গুলোও পডতে পারেন।মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ইসলামী ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে
আপনাদের অনেক ভূলের উত্তর পেয়ে যাবেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন