বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০১৯

ছেলেধরা সন্দেহ হলে করণীয় 

ছেলেধরা সন্দেহ হলে করণীয়
==================
ইদানীং ছেলে ধরা কল্লাকাটা ইত্যাদির গুজবের  কারণে সারাদেশের মানুষ উদ্গিন্ন।সত্য কি মিথ্যা সেটা বিবেচ্য বিষয় নয় কিন্তু এতে করে অনেক জায়গায় নিরীহ মানুষকেও গনপিটুনীতে প্রান দিতে হয়েছে।এটা অত্যন্ত দুঃখ জনক।তবে সত্যিই দুস্কৃতীকারীরা শাস্তির যোগ্য এতে সন্দেহ নেই।

আমরা বিভিন্ন  ভিডিও ফুটেজে দেখেছি বিভিন্ন স্হানে  ছেলে ধরা সন্দেহে অনেক কে ধরা হয়েছে পিটুনী দেয়া হচ্ছে ছেলেধরা’ কিংবা ‘কল্লাকাটা’ এগুলো স্রেফ গুজব বলে বিবৃতি দিয়েছেন পদ্না সেতু কর্তৃপক্ষ সহ আইন শৃংখলারক্ষাকারী বাহিনী। আর এ গুজবে কান দিয়ে গণপিটুনি দেওয়া ফৌজদারি অপরাধ। আইন কারও হাতে তুলে নেওয়া যাবে না সন্দেহ হলে তাৎক্ষণিক পুলিশকে জানানোর জন্য আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

আমরা ভিডিও ফুটেজে দেখেছি যে,অসংখ্য মানুষের ভীডের মধ্যে তার জবান বন্দি নেয়া হচ্ছে কিন্তু স্পষ্ট ভাবে কিছুই বুঝা যাচ্ছেনা। বা বলতে পারছেনা এমতবাস্হায় সচেতন লোকদের করণীয় হল ঐ সন্দেহভাজনকে আলাদা ভাবে নিয়ে ধীরস্হীর ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা। দেখা যায় শত শত মানুষের কোলাহলে  এক সাথে কয়েক জন মিলে প্রশ্ন করছে এতে সাধারন নরমেল মানুষও সঠিক ভাবে কথা বলতে হিমশিম খায় এমতাবস্হায় দুস্কৃতীকারী বা নাজেহাল ব্যক্তির  মুখ থেকে সঠিক কথাও বের হয়না।

তাছাডা অনেক ভিক্ষুক/  ছিন্নমূল/ পাগল/ আধা পাগল লোক গুলো এমনিতেই বিক্ষিপ্ত ভাবে চলাফেরা করে যাই ইচ্ছা এলোমেলো কথাবার্তা বলে থাকেন এমতাবস্হায় এমন লোকদেরকে ও ছেলে ধরা সন্দেহে গনপিটুনী দেয়া হচ্ছে।এমনকি গনপিটুনিতে  হত্যা করা হচ্ছে ।এমনটা কাম্য নয়,এজন্য সন্দেহ হলে যাচাই করুন।পুলিশ বা জন প্রতিনিধির হাতে সোপর্দ করুন।

অনেককে বলতে শুনেছি যে,গনধৌলাইতে মানুষের সেন্টিমেন্ট ঠিক থাকেনা জোশের ঠেলায় যার যা আছে তা নিয়ে ঝাপিয়ে পডেন। এটাও ঠিক তবে সংযমী হওয়াই ব্যঞ্জনীয় যাতে নিরপরাধ কেউ যেন হত্যার স্বীকার না হয়।

আমি সংশ্লিষ্ঠ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী সহ দেশের সর্বস্তরের জনগন সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ থাকবেে নিজ নিজ অবস্হান থেকে সতর্ক থাকার জন্য। অপরিচিত কোন লোকের অযাচিত আনাগোনা চলাফেরা সন্দেহ হলে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী কিংবা স্হানীয় প্রতিনিধিদের অবহিত করুন।
এবং ৯৯৯ নং কল করুন ।
তবে গনপিটুনী দিয়ে হত্যার মত কোন ঘটনা যাতে না ঘটে সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে অন্যথায় হত্যা মামলায় ফেঁসে যেতে হবে।কারণ অপরিচিত লোক এলাকায় আসতেই পারে তাই বলে সবাইকে ছেলে ধরা বা দুস্কূতীকারী ভাবার অবকাশ নেই। আমরা নিউজে দেখতে পেলাম যে বাসা ভাডা তালাশ করতে এসে লাশ , ছাত্র ছাত্রীদের অভিবাবক স্কুলে এসে নিহত কোন সরকারী কর্মকর্তা পর্যন্ত  ও ছেলে ধরা গুজবের স্বীকার হয়েছে এ গুলো অকল্তাপনীয় গুজবেরও একটা সীমা থাকা চাই কিন্তু গুজবেরও সীমা ছাডিয়ে গিয়েছে ।

উল্লেখ্য ২১/৭/১৯ রবিবার দিবাগত রাত প্রায় ১১টার সময় আমার প্রতিবন্ধি এক ভাগীনাকে রাতের অন্ধকারে এক অপিচিত ব্যক্তি গলা চিপে টেনে হেঁছডে নিয়ে যেতে চাইলে ছেঁছামেছি করাতে সবাই এগিয়ে আসলে দুস্কৃীতিকারী কৌশলে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী  খবর শুনে রাতে প্রায় ২ শতাধিক মানুষ তাদের বাডিতে ছুটে আসে, এখন কথা হল সেই দুস্কৃতিকারী যদি ঘঠনাস্হলে ধরা পডত আবশ্যই ২ শতাধিক মানুষের সকলে একটি করে কিল্ ঘুষি দিলেও কি সেই দুস্কৃকৃতীকারী প্রানে রক্ষা পেতেন আবশ্যই না ।

এজন্য সকলকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি । আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে হেফাজত করুক আমিন।

মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০১৯

ভূঁইয়া ন্যাচরাল এন্ড মর্ডান হারবাল কোং মিরসরাই


                                                বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহীম                  
                               প্রাকৃতিক চিকিৎসা নিতে আমাদের ভূবনে স্বাগতম
                                     মর্ডান হারবাল কোং লিঃ মিরসরাই চট্টগ্রাম
                                   ভূঁইয়া ন্যাচরাল এন্ড মর্ডান হারবাল কোং মিরসরাই

        ইতি কথা ,
 প্রাকৃতিক গাছ গাছালি সহ আমাদের চার পাশে যা কিছু আছে এতে ঔষধি গুনে ভরা কিন্তু আমরা জানিনা।আর জানলেও কেয়ার করিনা।অথচ এ সব গাছ গাছালিতে রয়েছে মানব জীবনের অনেক রোগের শেফা।

পূর্বেকার মানব এ সব গাছ গাছালী ব্যবহার করে রোগ মুক্ত হয়েছেন।
এখনও সারা পৃথিবীতে অনেক মানব আছেন যারা বিভিন্ন গবেষনার করে আজ আমাদের সামনে নতুন নতুন তথ্য দিয়ে বিভিন্ন ঔষধ তৈরী করছেন।আর মানুষ ও যথেষ্ট উপকৃত হচ্ছেন। আয়ুর্বেদিক বা হারবাল চিকিৎসা ৫০০০ বছরের পুরনো আদী আসল চিকিৎসা
'আয়ু' শব্দের অর্থ 'জীবন' এবং 'র্বেদ' শব্দের অর্থ 'জ্ঞান বা বিদ্যা'।'আয়ুর্বেদ' শব্দের অর্থ 'জীবনজ্ঞান বা জীববিদ্যা'। অর্থাৎ‍ যে জ্ঞানের মাধ্যমে জীবের কল্যাণ সাধন হয় তাকে আয়ুর্বেদ বা জীববিদ্যা বলা হয়। আয়ুর্বেদ চিকিত্‍সা বলতে ভেষজ বা উদ্ভিদের মাধ্যমে যে চিকিৎ‍সা দেয়া হয় তাকে বুঝানো হয়। এই চিকিৎ‍সা ৫০০০ বছরের পুরাতন। এটাই আদী আসল   চিকিৎসা।
আদি যুগে গাছপালার মাধ্যমেই মানুষের রোগের চিকিৎসা করা হতো। এই চিকিৎসা বর্তমানে 'হারবাল চিকিৎসা' তথা 'অলটারনেটিভ ট্রিটমেন্ট' নামে পরিচিতি লাভ করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানে এই চিকিৎসা বেশী প্রচলিত। পাশাপাশি উন্নত বিশ্বেও এই চিকিৎসা ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কারন মর্ডান এলোপ্যাথি অনেক ঔষধেরই SIDE EFFECT বা পার্শ প্রতিক্রিয়া রয়েছে। যেমনঃ Antibiotic ঔষধ সিপ্রোফ্লক্রাসিন, ফ্লুক্লক্রাসিলিন, মেট্রোনিডাজল, ক্লক্রাসিলিন প্রভৃতি ঔষধ রোগ সারানোর পাশাপাশি মানব শরীরকে দুবর্ল করে ফেলে এবং দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে স্মৃতিশক্তি, যৌনশক্তি, কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার ইতিহাস পাওয়া যায়

তাই আমরা তাদেরই গবেষনাকৃত তথ্য উপাথ্ অনুস্বরণ করে চিকিৎসা করে থাকি ও বিনা মূল্যে পরামর্শ দিয়ে থাকি একমাত্র মানব সেবার নিয়তে।আসুন আপনাদের যে কোন জটিল কঠিন সমস্যায় আমাদের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিন।
সুস্হ ও সুন্দর জীবন গঠন করুন।


    বাংলাদেশে  ইউনানী ভেষজ তথা হারবাল চিকিৎসার জনক ডাঃ আলমগীর মতি এ দেশের গর্ব আমরা এ পর্যন্ত যত সব বড বড আয়ুর্বেদীক কোং সম্পর্কে জানি তারা সকলেই ভারত/পাকিস্তানের  কিন্তু ডাঃ আলমগীর মতিই একমাত্র বাংলাদেশী যিনি এ শাস্রকে বিভিন্ন গবেষনার মাধ্যমে আমাদের দেশের মানব সেবায় আত্ননিয়োগ করেছেন।

আমরা
MxN মডার্ণ হারবাল গ্রুপ তথা বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ও ১ নং এ লাইসেন্স প্রাপ্ত নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কোম্পানী। ডাঃআলমগির মতি স্যার  এর প্রতিষ্ঠিত ও গবেষণাকৃত ঔষুধ / পথ্য সহ প্রাকৃতিক পথ্য  দিয়ে যৌন চিকিৎসা সহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা /ও  ফ্রি পরামর্শ দিয়ে থাকি।
তাছাডা আবস্হা ভেদে বিভিন্ন দেশি- বিদেশী ঔষধ সেবনের মাধমে ও চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকি।অত এব আপনাদের যে কোন সমস্যা যোগাযোগ করতে পারেন।

এম এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া
যোগাযোগ
০০৯৬৬-৫০৪৯৬৭৮৬৩ ওয়াতসাফ/ ইমু
+০১৮৭৪৩৮৯২৫৮

আমরা এখানে যে কোন জটিল কঠিন রোগের প্রাথমিক / ও স্হায়ী যা অত্যন্ত কার্যকরী, সে চিকিৎসা সম্পর্কে আলেচনা করবো।

          ঘন ঘন বা অধিক প্রস্রাব, জালাপোডা, মূত্র নালীর সমস্যা,পেশাব ধারনে অক্ষমতা সমাধান।
কারণঃ-
ডায়াবেটিস ছাড়া অন্য যেসব কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়, তা হলো: মূত্রনালি বা মূত্রথলির সংক্রমণ।গর্ভকালীন প্রথম ও শেষ দিকে।বয়স্ক পুরুষদের প্রস্টেট গ্রন্থির সমস্যায়।স্ট্রোক ও অন্যান্য স্নায়ুরোগ, মূত্রথলির স্নায়ুবিকলতা, মূত্রথলির ক্যানসার ইত্যাদি।মস্তিষ্কের টিউমার, বিকিরণ, সার্জারি, আঘাত, কিডনি রোগ ইত্যাদি কারণে মূত্র নিয়ন্ত্রক এডিএউচ হরমোনের অভাব বা অকার্যকারিতা দেখা দেয়।থাইরয়েড হরমোন বা করটিসল হরমোনের আধিক্য।রক্তে ক্যালসিয়াম বা পটাশিয়ামের তারতম্য। অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের কারণে পেশাবের নালীতে সংক্রমনের কারনে ও ঘন ঘন পেশাব ইত্যাদি।
ঘন ঘন প্রস্রাব বা অধিক পরিমাণ প্রস্রাব কোনো রোগ নয় বরং রোগের উপসর্গমাত্র। এর কারণে শরীরে পানিশূন্যতা, পানির ভারসাম্যহীনতা, লবণের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হতে পারে।আসুন জেনে নিই লক্ষণগুলো ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া এবং পিপাসা লাগা ক্লান্তি ও অবসাদগ্রস্ত ভাব মাত্রাতিরিক্ত ওজন হ্রাস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া ঘন ঘন ইনফেকশন প্রস্রাবের সময় জ্বালা পোড়া, ঘন ঘন অল্প অল্প প্রসাব, প্রস্রাব করার পরও প্রস্রাবের ইচ্ছে থাকা,বিশেষ করে ১৫ থেকে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত এই সংক্রমণের প্রকোপ বেশি দেখা যায়।
চিকিৎসা - ঘন ঘন প্রসাব মানবদেহের জন্য খুবই মারাত্মক এবং ভয়াবহ রোগ হিসাবে বিবেচিত, বিশেষ করে আমাদের দেশের তরুন সমাজ এই রোগে অধিক বেশী ভুক্তভোগী হয়ে থাকে । আর যে সকল যুবক এবং বিবাহিত ভাইয়েরা উক্ত মারাত্মক সমস্যায় আক্রান্ত রয়েছেন, তাদের উপযুক্ত সমাধান এবং চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক শারীরিক শক্তি এবং সক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে
মর্ডান হারবাল কোং চিকিৎসা,
১,ঘন ঘন পেশাব,সিপিলিস গনোরিয়া, পেশাব ধারনে অক্ষমতা,ডায়বেটিস, পেসাবে দূর্গন্ধ, প্রোস্টেট গ্লান্ডের সমস্যায় ও লিভারে , এর জন্য
 "সিজিজিয়াম জ্যাম্ব " ৫০ট্যাব ৬০৳ ( হোমিও) কার্যকরী। মর্ডান হারবাল কোং।
তাছাডা
2," হিপার সালফ ক্লাভাটাম ( হারবাল এন্টিবায়োটিক) তথা ইনফেকশন কিউর ক্যাপ)
পেসাবে জালাপোডা সিপিলিস,গনোরিয়া, পেশাবে পূজ, ব্রংকাইটিস নিরসনে হারবাল এন্টিবায়োটিক হিসাবে কাজ করে।
(হোমিও ২০ কেপসুল ১৬০) মর্ডান হারবাল কোং।
১-৩-৬ মাস নিয়মিত সেবনে আল্লাহর রহমতে সুস্থ হবেন ইনশাআল্লাহ।( মূল্য পরিবর্তন যোগ্য)
কুরিয়ার, পোস্ট অফিস মারফত বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে দেশের যে কোন স্হানে পাঠানো হয়।


                  প্রসাবে ক্ষয় / ধাতু ক্ষয় / ধাতু দুর্বলতা/ ঘন ঘন প্রসাব ?/
জেনে নিন কারণ, লক্ষন ও উপযুক্ত সমাধান !!

আমাদের দেশের পুরুষদের মাঝে যৌনতা বিষয়ক তেমন কোন বিশেষ জ্ঞান না থাকার কারনে এবং যৌবনকালের শুরুতে নিজেদের কতৃক কিছু ভুলত্রুটির কারনে আমাদের সমাজের অধিকাংশ পুরুষদের মাঝেই যৌবনকালেরমধ্যবর্তী বয়সে প্রসাবে ক্ষয় ( semen with urine ) নামক একটি রোগের উদ্রেক হয়, যা ধাতু দুর্বলতা ( Spermatorrhoea) / ধাতুক্ষয় ( Semen Leakage ) / প্রদর রোগ নামেও পরিচিত ।
এই রোগটি সরাসরি / তৎক্ষণাৎ শরীরের উপর কোন প্রকার প্রভাব তৈরি করে না বিধায় এই রোগটির সৃষ্টি সম্পর্কে আক্রান্ত পুরুষ মানবদেহটি অনুভবও পারে না, বরংচ উক্ত রোগটি খুব ধীরে ধীরে শরীরের উপর প্রভাব ফেলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয় । এক কথায় বলতে গেলে - ইহা নিজে কোন রোগ নয় কিন্তু ইহা অন্যান্য অনেক শারীরিক  রোগ ও সমস্যা সৃষ্টির প্রধান এবং অন্যতম কারন হল,  যেমনটি ডায়াবেটিস।
যৌবনকালের শুরুতে অধিক বেশী হস্তমৈথুন করা । এছাড়া অল্প বয়সে অতিরিক্ত যৌন মিলন করা । পাশাপাশি অধিক বেশী পর্ণ দেখা, খারাপ চিন্তা করা।স্বাভাবিক ভাবে হরমোনের অভাবে অথবা কৃত্রিম অতিরিক্ত মৈথন বা অস্বাভাবিক শুক্রপাত করতে থাকলে স্পারম্যাটোরিয়া সৃষ্টি হতে পারে। আবার অনেক সময় অপুষ্টি বা ভিটামিন প্রভৃতির অভাবে অথবা দীর্ঘদিন রক্তশূন্যতা বা নানা প্রকার রোগে ভোগার ফলে ইহা দেখা দিতে পারে। এমন কি অন কোন ঔষধের পার্শ্ব পতিকিয়ার  কারনে হতে পারে।
ইহার ফলে তাদের শুক্র নির্গত হলে দেখা যায় তাদের শুক্রে ঘনত্ব (viscosity) কম এবং তা দেখতে বেশ তরল। ইহাতে রোগীর ভয়ানক দুর্বলতা সৃষ্টি হয়।
লক্ষণসমূহ :- উক্ত রোগে আক্রান্ত রোগীর শুক্র অত্যন্ত তরল হয়, রোগী ধীরে ধীরে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং দেহের এবং চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয়, চেহারার লাবণ্যতা কমে যায়, মুখ মলিন এবং চক্ষু কোঠরাগত হয়ে পরে । দেহে প্রয়োজনীয় প্রোটিন এবং ভিটামিনের প্রবল অভাব পরিলক্ষিত হয়, রোগীর জীবনীশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং নানা প্রকার রোগে অতি সহজেই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ,দেহে যৌন হরমোন বা পিটুইটারি এড্রিনাল প্রভৃতি গ্রন্থির হরমোন কম নিঃসৃত হয়, যার ফলে দেহে যৌন ক্ষমতা কমে যায় এবং শুক্র ধীরে ধীরে পাতলা হতে থাকে, দৈহিক এবং মানসিক দুর্বলতা বৃদ্ধি পায়, মাথার যন্ত্রণা দেখা যায়, আক্রান্ত ব্যক্তি সর্বদাই অস্থির বোধ করে, বসা থেকে উঠলেই মাথা ঘোরে এবং ক্ষুধা হীনতা ভাব দেখা দেয়, ইহাতে পেনিস বা জননেদ্রীয় এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে, তার শুক্রের ধারণ শক্তি একেবারে কমে যায়, রাত্রে স্বপ্ন দেখে শুক্র ক্ষয় হয়, আবার দিনের বেলায়ও নিদ্রাকালীন স্বপ্ন দেখে শুক্রপাত হয় । প্রসাবের আগে-পরে আঠালো জাতীয় ধাতু নির্গত হয়, সমস্যা ধীরে ধীরে কঠিন আকার ধারণ করলে সামান্য উত্তেজনায় শুক্রপাত হয়, স্ত্রীলোক দর্শনে বা স্পর্শে শুক্রপাত ঘটে,পায়খানার সময় কুন্থন দিলে শুক্রপাত হয়, স্মরণশক্তি কমে যায়, বুদ্ধিবৃত্তি কমে যায়, অকাল বার্ধক্য এবং ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ দেখা ।


                            1    চিকিৎসাঃ৷ প্রসাবে ক্ষয়, ধাতু দুর্বলতা, ধাতুক্ষয়
পুরুষ মানবদেহের জন্য খুবই মারাত্মক এবং ভয়াবহ রোগ হিসাবে বিবেচিত, বিশেষ করে আমাদের দেশের তরুন সমাজ এই রোগে অধিক বেশী ভুক্তভোগী হয়ে থাকে । আর যে সকল যুবক এবং বিবাহিত ভাইয়েরা উক্ত মারাত্মক সমস্যায় আক্রান্ত রয়েছেন, তাদের উপযুক্ত সমাধান এবং চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক শারীরিক শক্তি এবং সক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে  প্রাকৃতিক এবং ভেষজ উপাদান দ্বারা তৈরিকৃত     hormo ghout  tb সেবনে আপনি এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন
 যা আপনার প্রসাবে ক্ষয় / ধাতু ক্ষয় / ধাতু দুর্বলতা সমস্যার প্রয়োজনীয় সমাধান দিতে শতভাগ কার্যকারী।
ক্রিয়া :- প্রসাবে ক্ষয় বন্ধকরন, প্রসাবের আগে-পরে ধাতু ক্ষয় বন্ধকরন, , স্মৃতিশক্তি বর্ধক , শারীরিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সমূহের কার্যক্ষমতা বর্ধক , যৌনশক্তি বর্ধক , প্রফুল্লকারক, চেহারা ও ত্বকে লাবণ্য আনায়ন, রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি সহ সার্বিক শারীরিক ও মানসিক ভাবে সক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে অত্যন্ত কার্জকরি । সম্পূর্ণ পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ামুক্ত ।উক্ত প্রোডাক্টটি যুবক এবং বিবাহিত ভাইদের তথা পুরুষের প্রসাবে ক্ষয় / ধাতু দুর্বলতা / ধাতু ক্ষয় নামক সমস্যা সমাধানে শতভাগ কার্যকারী আমাদের এই  ঔষধটি


যে কোন ধাতুক্ষয় প্রমেহ, সমাধান ঃঃ-

অল্প উত্তজনায় লিঙ্গের মাথায় আঠালো  পানি আসা,যৌন কল্পনা করা বা কোন ছবি দেখা বা জীবন সঙ্গীনির সাথে ফোনালাপের সময় ও লিঙ্গ দিয়ে তরল পানি বের হয়ে আসা,পেশাব করার সময় ঝাকুনি দিয়ে কিছু বের হওয়া, পেশাবে সাথে বা আগে পরে সাদা আঠালো জাতীয় ধাতু নির্গত হওয়া সহ যে কোন ক্ষয় জনিত সমস্যায়
বিশেষ উপকারী।
"হরমোঘট" Hormo Ghout " tb আয়ুর্বেদিক  ফর্মুলায় তৈরী। পাশ্ব পতিক্রিয়া মুক্ত। দাম মাত্র  ৯০০ টাকা।

আল্লাহর রহমত হলে রোগ নতুন হলে১ /২ ফাইল আর পুরনো হলে ৪ ফাইল  যথেষ্ট ইনশাআল্লাহ।
বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে আপনার নিকটস্থ যে কোন কুরিয়া, পোস্ট অফিস মারফত আপনার ঠিকানায় পৌঁছে যাবে।

সার্ভিস সার্জ ১৫০ টাকা।

তাছাডা
1  শরবত এ্যালকুলি শানতারা
2 কুশতাকলয়ী
3 স্পার্মিটিন
ইত্যাদি খুব কার্যকরী ঔষধ ।

     ঘন ঘন  প্রস্রাব, জালাপোডা, মূত্র নালীর সমস্যা সিপিলিস, প্রস্রাবের ধারণ ক্ষমতা কম
কারণঃ-
ডায়াবেটিস ছাড়া অন্য যেসব কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়, তা হলো: মূত্রনালি বা মূত্রথলির সংক্রমণ।গর্ভকালীন প্রথম ও শেষ দিকে।বয়স্ক পুরুষদের প্রস্টেট গ্রন্থির সমস্যায়।স্ট্রোক ও অন্যান্য স্নায়ুরোগ, মূত্রথলির স্নায়ুবিকলতা, মূত্রথলির ক্যানসার ইত্যাদি।মস্তিষ্কের টিউমার, বিকিরণ, সার্জারি, আঘাত, কিডনি রোগ ইত্যাদি কারণে মূত্র নিয়ন্ত্রক এডিএউচ হরমোনের অভাব বা অকার্যকারিতা দেখা দেয়।থাইরয়েড হরমোন বা করটিসল হরমোনের আধিক্য।রক্তে ক্যালসিয়াম বা পটাশিয়ামের তারতম্য।ঘন ঘন প্রস্রাব বা অধিক পরিমাণ প্রস্রাব কোনো রোগ নয় বরং রোগের উপসর্গমাত্র। এর কারণে শরীরেপানিশূন্যতা, পানির ভারসাম্যহীনতা, লবণের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হতে পারে।আসুন জেনে নিই লক্ষণগুলো ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া এবং পিপাসা লাগা ক্লান্তি ও অবসাদগ্রস্ত ভাব মাত্রাতিরিক্ত ওজন হ্রাস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া ঘন ঘন ইনফেকশন প্রস্রাবের সময় জ্বালা পোড়া, ঘন ঘন অল্প অল্প প্রসাব, প্রস্রাব করার পরও প্রস্রাবের ইচ্ছে থাকা,বিশেষ করে ১৫ থেকে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত এই সংক্রমণের প্রকোপ বেশি দেখা যায়।
চিকিৎসা - ঘন ঘন প্রসাব মানবদেহের জন্য খুবই মারাত্মক এবং ভয়াবহ রোগ হিসাবে বিবেচিত, বিশেষ করে আমাদের দেশের তরুন সমাজ এই রোগে অধিক বেশী ভুক্তভোগী হয়ে থাকে । আর যে সকল যুবক এবং বিবাহিত ভাইয়েরা উক্ত মারাত্মক সমস্যায় আক্রান্ত রয়েছেন, তাদের উপযুক্ত সমাধান এবং চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক শারীরিক শক্তি এবং সক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে
 যা আপনার ঘন ঘন প্রসাব সমস্যার প্রয়োজনীয় সমাধান দিতে শতভাগ কার্যকারী।

ক্রিয়া :-ঘন ঘন প্রসাব বন্ধকরন, ফোটা ফোটা প্রসাব,প্রস্রাবের সময় ব্যাথা, জ্বালাপোড়া রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি সহ সার্বিক শারীরিক ও মানসিক ভাবে সক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে অত্যন্ত কার্জকরি ।
সম্পূর্ণ পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ামুক্ত,উক্ত প্রোডাক্টটি যুবক এবং বিবাহিত ভাইদের তথা পুরুষের ঘন ঘন প্রসাব বন্ধকরন/ ফোটা ফোটা প্রসাব, নামক সমস্যা সমাধানে শতভাগ কার্যকারী আমাদের এই
মর্ডান পন্য

1, সিজিজিয়াম জ্যাম্ব tab
2 হিপার সালফ ক্লাভাটোম
3 সানতারা ক্যাপ
4 এ্যালকুলি
                                             
  সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান এবং উপযুক্ত নিয়ম অনুসরন করে তৈরিকৃত বিধায় আমাদের প্রোডাক্টগুলোতে কোন প্রকার পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই বলে আমরা উল্লেখ করতে পারি ।
                         




                             3        ধাতুক্ষয় ও যৌন সমস্যার স্হায়ী সমাধান
 আমাদের যুব সমাজের অনেকই কমন একটি সমস্যায় ভূগে থাকেন ১৮-হতে৩৫-৪০ বছর বয়স পর্যন্ত এটি যেমন অবিবাহিতদের হয়ে থাকে তেমনি বিবাহিতদের ও হয়ে থাকে বিশেষত যারা প্রবাসে বা ফ্যামেলি থেকে দূরে থাকেন তাহল ধাতু ক্ষয়   । এ রোগটি সাধারণত কোন জটিল সমস্যা না হলেও কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদী ভুগতে থাককে শারীরিক মানসিক অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে।      এটি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।

১,যে কোন ধাতুক্ষয় প্রমেহ, সমাধান ঃঃ-

অল্প উত্তজনায় লিঙ্গের মাথায় আঠালো  পানি আসা,যৌন কল্পনা করা বা কোন ছবি দেখা বা জীবন সঙ্গীনির সাথে ফোনালাপের সময় ও লিঙ্গ দিয়ে তরল পানি বের হয়ে আসা,পেশাব করার সময় ঝাকুনি দিয়ে কিছু বের হওয়া, পেশাবে সাথে বা আগে পরে সাদা আঠালো জাতীয় ধাতু নির্গত হওয়া সহ যে কোন ক্ষয় জনিত সমস্যায়
বিশেষ উপকারী।
"হরমোঘট" Hormo Ghout " tb আয়ুর্বেদিক  ফর্মুলায় তৈরী। পাশ্ব পতিক্রিয়া মুক্ত। দাম মাত্র  ৯০০ টাকা।

আল্লাহর রহমত হলে রোগ নতুন হলে১ /২ ফাইল আর পুরনো হলে ৪ ফাইল  যথেষ্ট ইনশাআল্লাহ।
বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে আপনার নিকটস্থ যে কোন কুরিয়া, পোস্ট অফিস মারফত আপনার ঠিকানায় পৌঁছে যাবে।

সার্ভিস সার্জ ১৫০ টাকা।

 তাছাডা
1  শরবত এ্যালকুলি শানতারা
2 কুশতাকলয়ী
3 স্পার্মিটিন
ইত্যাদি খুব কার্যকরী ঔষধ



                                                   স্হায়ী ভাবে যৌন চিকিৎসা
                                             4  " Jinsin" জিনসিং USA তৈরী-
এটা স্হায়ী ভাবেযৌন শক্তিবর্ধক হিসাবে কাজ করে, যারা অতিরিক্ত মাস্টারবেশন,স্বপ্ন দোষ বা অন্য কারণ যৌন শক্তি হারিয়ে ফেলছেন, মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুনের কারনে  পেনিসের টিসু ডেমেজ হয়ে পেনিস নরম হয়ে গেছে ঠিকমত শক্ত হয়না, টাইমিং কম পান তাদের জন্য বিশেষ কার্যকর।
এটা সেবনে সাধারন দুর্বলতা, যৌন দুর্বলতা,উদ্দিপনা বাডাবে,স্হায়ীত্ব বা টাইমিং বাডাবে,বীর্য উতপাদন শুক্রানু বৃদ্ধি ও শক্তিশালী করবে, রক্ত সন্চালনের কারনে   পেনিস শক্তিশালী হবে ক্রমান্নয়ে।

jinsin এর আরও  উপকারিতা –
1-শক্তি বর্ধক হিসেবে জিনসেং দারুন কার্যকরী।
2-পুরুষের #যৌন সমস্যার একমাত্র সমাধান।
3-শারিরিক শক্তি বাড়ায় এবং দুশ্চিন্তা ও হতাশা দূর করে।
4-মানসিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
5-মনযোগ, স্মৃতিশক্তি, কথা শোনার সাথে সাথে বুঝতে পারার ক্ষমতা,শেখার ক্ষমতা,কল্পনাশক্তি, বিচারবুদ্ধি, চিন্তা শক্তি ও সমস্যা সমাধান করে কোন একটা সিদ্ধান্তে পৌছানোর ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
6-কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।
7-অনিদ্রা জনিত কারনে শারীরিক ও মানসিক সৃষ্ট রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
8-অস্থিরতা দূর করে মনকে সতেজ ও প্রফুল্ল রাখতে সাহায্য করে।

মূল্য ২৫০০৳, পুল কোর্স ৩ ফাইল।









  5  . sex pills এ যাবতকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ ও নিরাপদ পার্শপ্রতিক্রিয়াহীন সেক্সুয়াল হারবাল usa মেডিসিন 


" Sex pills,"
এ যাবত কালের সর্ব শ্রেষ্ঠ usa তৈরী সেক্সীয়াল সমস্যায় স্হায়ী সমাধানে কার্যকরী হারবাল প্রোাক্ট হিসাবে পরিচিতি লাভ করে।ইহা বীর্য স্তবক টাইমিং উত্তেজনা শক্ত মজবুত দীর্ঘ স্হায়ীত্ব সহ হস্তমৈথুন জনিত যাবতীয় সমস্যায় কার্যকরী। শুধু মাত্র প্রাপ্ত বয়স্ক ও বয়স্ক ও বিবাহিত রুগিদের জন্য কার্যকরী । এ ঔষধটি এক ফাইল সেবনে দীর্ঘ দিন সুস্হ থাকা যায় ।পার্শপ্রতী ক্রিয়া মূক্ত সম্পুর্ণ ন্যাচরাল /হারবাল /আয়ুর্বেদিক প্রোডাক্ট।
তাছাডা যে সকল রুগি যৌবন কালে শারীররর উপর  অকল্পনীয় অত্যাচার করে নারবাচ্ হয়ে বিবাহ করতে ভয় পান এমনকি বিবাহ পরবর্তি দাম্পত্য জীবন সুখকর হচ্ছেনা। বিবাহ পরবর্তি স্ত্রী চলে যাওয়ার মত এমন অকল্পনীয় ঘটনাও ঘটেছে তাদের জন্য এ ঔষধটি লাগাতার কমাজকম ৪-৬ ফাইল সেবনে স্হায়ী সমাধান হবে বলে আশা করি।

তাছাডা

   "MAX MAN " ( men Enlarging gel)
 থাইল্যান্ড এর তৈরী  এটা জেলী শুধু মাত্র লিঙ্গে মালিশ হিসাবে ব্যবহার,
এটা হস্তমৈথুনের কারনে পেনিসের টিসু ডেমেজ হয়ে ব্লাড সার্কুলেশন কমে গিয়ে লিঙ্গ ছোট হয়ে গেলে লিঙ্গকে পুনঃ শক্তিশালী মোটা তাজা করতে কার্যকর।

মূল্য  ৩০০০৳।

সতর্কতা ঃ- কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই,
শুধু  মাত্র  প্রাপ্ত বয়স্কদের  জন্য।



7 ,                        VigRX Made in Canada 60,Capsule

                     ভিগরেক্স গোপনাঙ্গ বড় মোটা ও শক্ত দ্রতপতন রোধ করার ঔষধ।
--------------------------------------------------------------------------(কানাডার তৈরী) সম্পুর্ণ হারবাল প্রোডাক্ট,১০০% ন্যাচরাল।
অনেকেই অতিরিক্ত হস্তমৈথুন এর ফলে লিঙ্গ ছোট ও নিস্তেজ করে ফেলেছেন।
আগের মত শক্ত হয়না। আকারে ছোট।
উত্তেজিত অবস্থায় হঠাৎ লিঙ্গ নেতিয়ে পড়ে।
১ বার সহবাস করলে দ্বিতীয়বার সহজে শক্ত হতে চায়না।
এই সমস্যার সমাধান পেতে ( ভিগরেক্স ) ব্যাবহার করে আপনি আপনার গোপনাঙ্গকে স্থায়ীভাবে শক্ত মোটা ও লম্বা করতে পারবেন।
ভিগরেক্স যে যে কাজ করে
১, গোপনাঙ্গ বড় করে
২, গোপনাঙ্গ মোটা করে
৩, গোপনাঙ্গ শক্ত করে
৪, সেক্স টাইম বাড়ায়
৫, উত্তেজনা বাড়ায়
৬, বীর্য উৎপাদন করে
-----------------------------------------------------
ভিগরেক্স এর বর্তমান মূল্য: 5000  টাকা মাত্র ।



আমরা দেশের যে কোন জায়গায় কুরিয়ারের মাধ্যমে ঔষধ পাঠিয়ে থাকি,তবে কুরিয়ার ও বিকাশ সার্জ প্রযোজ্য
আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।
এখন থেকে আমরা দেশী বিদেশী বেশ কয়েকটি ঔষধ যা অত্যধিক কার্যকরী ব্যবহারীত ও শংকামুক্ত, রুগিদের দেয়ার চিন্তা করেছি আরও ভাল ফলাফলের জন্য।


হাকিম জসিম উদ্দিন কর্তৃক আমদানীকৃত
বিস্তারিত জানতে অথবা অর্ডার করতে ফোন করুন ।
মোবাইল- +966504967863 ওয়াতসাফ/ ইমু

 বিঃ দ্রষ্টব্য
বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের যে কোন স্হানে বসে পন্য সংগ্রহ করতে পারবেন । পোষ্ট অফিস বা কুরিয়ার সার্ভিসের ঠিকানায় পৌছে যাবে।

সৌজন্যে
 প্রাকৃতিক চিকিৎসা নিতে আমাদের ভূবনে স্বাগতম
যোগাযোগ ০০৯৬৬৫০৪৯৬৭৮৬৩ ওয়াসাফ ও ইমু






                           ধাতুক্ষয় ও যৌন সমস্যা সমাধান
 আমাদের যুব সমাজের অনেকই কমন একটি সমস্যায় ভূগে থাকেন ১৮-হতে৩৫-৪০ বছর বয়স পর্যন্ত এটি যেমন অবিবাহিতদের হয়ে থাকে তেমনি বিবাহিতদের ও হয়ে থাকে বিশেষত যারা প্রবাসে বা ফ্যামেলি থেকে দূরে থাকেন তাহল ধাতু ক্ষয়   । এ রোগটি সাধারণত কোন জটিল সমস্যা না হলেও কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদী ভুগতে থাককে শারীরিক মানসিক অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে।      এটি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।



১,যে কোন ধাতুক্ষয় প্রমেহ, সমাধান ঃঃ-


অল্প উত্তজনায় লিঙ্গের মাথায় আঠালো  পানি আসা,যৌন কল্পনা করা বা কোন ছবি দেখা বা জীবন সঙ্গীনির সাথে ফোনালাপের সময় ও লিঙ্গ দিয়ে তরল পানি বের হয়ে আসা,পেশাব করার সময় ঝাকুনি দিয়ে কিছু বের হওয়া, পেশাবে সাথে বা আগে পরে সাদা আঠালো জাতীয় ধাতু নির্গত হওয়া সহ যে কোন ক্ষয় জনিত সমস্যায়
বিশেষ উপকারী।
"হরমোঘট" Hormo Ghout " tb আয়ুর্বেদিক  ফর্মুলায় তৈরী। পাশ্ব পতিক্রিয়া মুক্ত। দাম মাত্র  ৯০০ টাকা।

আল্লাহর রহমত হলে রোগ নতুন হলে১ /২ ফাইল আর পুরনো হলে ৪ ফাইল  যথেষ্ট ইনশাআল্লাহ।

বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে আপনার নিকটস্থ যে কোন কুরিয়া, পোস্ট অফিস মারফত আপনার ঠিকানায় পৌঁছে যাবে।
           

                                                 হাপানী চিকিতসা

হাপানী একটি মরন ব্যধি খুব কষ্টকর যা ২০% বিভিন্ন চিকিৎসার  দ্বারা সুস্হতা লাভ করা যায় আর ৮০% রুগি বিভিন্ন ঔষধ পথ্য ব্যববহারের  দ্বারা নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব।

নীচে আমি বিভিন্ন  ডাক্তার গবেষকদের  বই পুস্তক ইত্যাদি থেকে ছিডিয়ে ছিটিয়ে থাকা সব তথ্য  গুলোকে সুবিধার জন্য একত্র প্রকাশ করলাম, আশা করি উপকৃত হবেন। নীচের যে কোন পথ্য বা ফর্মুলা মোতাবেক আপনি ব্যবহার করতে পারেন যা আপনার জন্য সহজলভ্য হয়।

   
 ১/ জটিল হাপানি রোগের জন্য  ৫/৭ ফোটা কালোজিরার তৈল, ১ চামচ খাঁটি মধু সহ নিয়মিত সেবনে যথেষ্ট উপকার পাবেন।

২/ অথবা ৫/৭ ফোটা কালোজিরার তেল যে কোন হালকা গরম খাবারের সাথে যেমন গরম ভাত বা রং চা এর মিশিয়ে ও খেতে পারেন। এতে

ইনশাআল্লাহ রুগি আরাম পাবে।.

তাছাডা পরিমান মত তৈল বুকে পিঠে মালিশ ও করতে পারেন।

৩/দৈনিক  হাপানী রুগিদের আদা চা পান করা  অত্যন্ত জরুরী

৪/ হাপানী রুগিদের পকেটে বালিশের পাশে অফিসে বা কর্ম স্হলে সর্বদা আদা রাখতে পারেন, বেশী সমস্যা হলে কাশি বা টান ভাব লাগার সাথে সাথে একটু আদা মুখে দিয়ে চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন কিছুক্ষণের  হাপানী/ কাশি কমে যাবে।বিশ্বাস নাহলে পরীক্ষা করুন, যা আমার পরীক্ষিত।

৫/ যাদের গৃহে সর্দিকাশি ও হাপানী রুগি আছে তাদের বাডিতে তুলশি গাছ ও বাসকপাতার গাছ লাগানো অত্যন্ত জরুরী।

(ক)কারণ তুলশি পাতা বাসক পাতা,আদা ও পিপুল একত্র করে ১৫ গ্রাম পরিমান নিয়ে জাল দিয়ে চা'র মত করে নিয়মিত সেবন করলে হাপানী উপশম হয়।



(খ)অথবা তুলশি পাতা পুদিনা পাতা, আদা, পরিমান মত নিয়ে ভর্তা করে খেলেও কফ্ কাশি হাপানীর রোগের উপশম হয়।

গ) ১ চামচ তুলশি পাতার রস, ১ চামচ মধু সহ সেবন করে, সর্দিকাশি হাপানীকে বিদায় জানাতে পারেন,নিয়মিত সেবনে।

(ঘ) বাসক পাতা শুকিয়ে চুর্ণ করে ৩ গ্রাম পরিমান বা চা চামচ ১ চামচ  চুর্নের সাথে ২/৩ চামচ মধু ও সামান্য পরিমান পিপুল চুর্ণ মিশিয়ে দৈনিক ৩/৪ বার জিহবা দিয়ে ছেটে ছেটে সেবন করলে শ্বাস কষ্ট ও কফ রুগি আরোগ্য লাভ করবে।



(ঙ) ৪/৫ চামচ বাসক পাতার রস অথবা ছালের রসের সাথে ৩ চামচ মধু মিশিয়ে দৈনিক ৩/৪ বার সেবন করতে হবে।



৬/লোবান জকর্ (এরাবিক নাম) বয়স্কদের কফ্ কাশ হাপানীর জন্য  অত্যান্ত উপকারী। ৪/৫ টুকরা লোবান  ১ গ্লাস পানিতে রাতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে শুধু পানি টুকু সেব্য। অবশিষ্ট লুবান ফেলে দিন।

অথবা ১৫-২০ টুকরা লুবান জকর্  ১ কেজি পরিমান পানিতে ভিজিয়ে রেখে ২ দিন পর্যন্ত সেবন ও করতে পারেন।

অথবা পরিমান মত লুবান জকর দিয়ে গরম পানিতে জাল দিয়ে ও সেবন করা যায়।

এটা সৌদিআরব  সহ আরব দেশের " মহল্ আত্তার  " তথা পাশারী দোকান এ পাওয়া যায়।

৭/ ১ গ্রাম পিপুল চুর্নেরর সাথে পরিমান মত মধু মিশিয়ে  চেটে চেটে দৈনিক ২/৩ বার সেব্য।

৮/ ৫ গ্রাম আধা চুর্ণ তিল  ১ কাপ পরিমান পানিতে হালকা জালে জাল দিয়ে আধা কাপ থাকতে নামিয়ে ছেকে সমপরিমান তুকশি পাতার রস ও ৩/৪ চামচ  মধু মিশিয়ে দৈনিক ২/৩ বার সেবন  নিয়মিত ২০/২৫ দিন।



তাছাডা

চিকিৎসা মর্ডান হারবাল পথ্য

১/ কালোজিরার তৈল

২/  একোনাইট ন্যাপিলাস ( ডি কোল্ড)

৩/ শরবত এযাজ

৪/এ্যাজমালিন সিরাপ

৫/ এজমালিন ট্যাব

৬/ এজমালিন ক্যাপ ইত্যাদি।



৯/  এজমার সহায়ক চিকিৎসা যা খুব কার্যকরী

(ক) কালোজিরা মিহি চূর্ণ ১৫ গ্রাম,ও ৫০ গ্রাম পরিমান  মধু মিশিয়ে প্রতিদিন আধা চা চামচ করে ৩-৪ বার সেব্য।

(খ) আধার রস ১ চা চামচ হালকা গরম করে তার সাথে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে রাতে শোয়ার পুর্বে সেব্য।

( গ) নীম পাতার কলি ১২ টি ১২০ মিঃ পানিতে সিদ্ধ করে ছেকে রাতে সেব্য।

সূত্র:-

ডাঃ হেকিম ফয়জুল হক

 "বাংলাদেশ ইউনানী বোর্ড কর্তৃক গাইডবুক" থেকে।

উপরোক্ত সকল ঔষধ গুলো এজমার রোগের  সহায়ক হিসাবে ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।

তার সাথে অন্যান্য ঔষধ ও সেবন করতে পারবে।

তবে উপরোক্ত টিপস গুলো ব্যবহারেরর ফলে অন্যান্য ঔষধ ব্যবহারে কিছু টা হলেও স্বস্হি পাবেন ইনশাআল্লাহ।,

১০/  অর্জুন চাল চূর্ণ ১২ গ্রাম পরিমান দুধের ক্ষীর বা পায়েষের সাথে মিশিয়ে খেলে হাপানী আরোগ্য  হবেই।

মনে রাখতে হবে হাপানী পুরোপরী ভাল না হলেও এ সকল পথ্য গুলো সেবনে নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব।

তা ন্যাচরাল কোন প্রকারের সাইড এপেক্টছাডা।



এবার আলোচনা করব
শিশুদের(  ৩-১০ বাছর) হাপানীতে ভেষজের ব্যবহার নিয়ে ====[



১/ শুন্ঠি, পিপুল,ও গোলমরিচ,

এ তিনটি উপাদান এক চা চামচ পরিমান নিয়ে তার সাথে আধা চা চামচ  মধু মিশিয়ে  দৈনিক ৩ বার সেব্য।



২/ বাসক পাতার রস, =

১ চা চামচ বাসক পাতার রস  আধা চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে দৈনিক ৩ বার সেব্য।



৩/ তুলশি পাতা=

১ চা চামচ তুলশি পাতার রস, আধা চামচ যষ্টি মধু  ও আধা চা চামচ মধু মিশিয়ে দৈনিক ৩ বার সেব্য।



সূত্র "--

১/ মা ও শিশু চিকিৎসা গাইড

২/ প্রাথমিক চিকিৎসায়  ভেষজ

৩/ সুস্হ থাকার সোনালী উপায়

 ডাঃ আলমগীরমতি হারবাল গবেষক।

ইউনানী চিকিৎসা গাইড ডাঃ ফয়জুল হক।

ও বিভিন্ন ডাক্তারী চিকিৎসা বিষয়ক ওয়েবসাইড

সংকলক

এম এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া

২০১৮/১৪৩৯







                     ধাতুদুর্বলতা শুক্র তারল্ ও স্বপ্ন দোষ সমাধান
পুরুষের একটা কমন সমস্যা হল ক্ষয় রোগ এ রোগটি অনেক রোগের কারন ও বটে।তাই এর চিকিৎসা জরুরী।এ রোগটি প্রাপ্ত বয়স্ক যে কোন বয়সে হতে পারে। তবে এটি অবিবাহিত বা বিবাহিত হলেও যারা প্রবাসে বা ফ্যামেলী থেকে দূরে থাকেন তাদের বেলায় বেশি হয়।
অল্প উত্তজনায় লিঙ্গের মাথায় আঠালো পানি আসা,যৌন কল্পনা করা বা কোন ছবি দেখা বা জীবন সঙ্গীনির সাথে ফোনালাপের সময় লিঙ্গ দিয়ে তরল পানি বের হয়ে আসা,পেশাব করার সময় ঝাকুনি দিয়ে কিছু বের হওয়া, পায়খানার সময় কোথ দিলে লিঙ্গে তরল কিছু বের হওয়া, এমন কি কোন কোন ঔষধের পার্শপ্রতিক্রিয়ার কারনে ধাতু ক্ষয় সমস্যা সহ যে কোন ক্ষয় জনিত সমস্যায় বিশেষ উপকারী।
(১) "হরমোঘট" Hormo Ghout" tb আয়ুর্বেদিক ফর্মুলায় তৈরী। পাশ্ব পতিক্রিয়া মুক্ত। দাম মাত্র ৯০০ টাকা। আল্লাহর রহমততে রোগ নতুন হলে ১/২ ফাইল (১৫+১৫ টি ট্যাব)
আর পুরনো হলে ৪ ফাইল যথেষ্ট হবে। ইনশাআল্লাহ।

(২) আথবা
"কুশতা কলয়ী " ট্যাব ৬৫ ৳

শুক্র মেহ,শুক্র তারল্,স্বপ্ন দোষ,,ধাতু ক্ষয়রোগ, সাদা স্রাবে কার্যকরী,
নিয়মিত ৩/৬ মাস সেবন।

(৩) মাজুন আরদে খোরমা ৫০০ ৳।

মাজুন আরদে খোরমার কার্যকরীতাঃ-
যৌন দূর্বলতা,শুক্রানু বৃদ্ধি, শুক্র তার ল্, শুক্র স্বল্পতা,স্নায়বিক দূর্বলতা,স্বপ্ন দোষ,মেহ প্রমেহ ও শারীরিক দ্রুত শক্তি যোগাতে,লিঙ্গে রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধি করতে কার্যকরী।
মর্ডান হারবাল কোং

এটি নিয়মিত সেবন যোগ্য একটি খাদ্য /পথ্য /ঔষধ।
তাছাডা শারীরিক আবস্হা ভেদে রোগের জটিলতা বুঝে সাথে অন্যান্য ঔষধ ও সেবন করতে হবে।


(৪) দীনার সীরাপ

প্রয়োজনে আবস্হা ভেদে ডাক্তার অন্য ঔষধ ও দিবেন।
বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে আপনার নিকটস্থ যে কোন কুরিয়া, পোস্ট অফিস মারফত আপনার ঠিকানায় পৌঁছে যাবে।


                                    স্হায়ী ভাবে যৌন চিকিৎসা
1 " Jinsin" জিনসিং USA তৈরী-
এটা স্হায়ী ভাবেযৌন শক্তিবর্ধক হিসাবে কাজ করে, যারা অতিরিক্ত মাস্টারবেশন,স্বপ্ন দোষ বা অন্য কারণ যৌন শক্তি হারিয়ে ফেলছেন, মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুনের কারনে পেনিসের টিসু ডেমেজ হয়ে পেনিস নরম হয়ে গেছে ঠিকমত শক্ত হয়না, টাইমিং কম পান তাদের জন্য বিশেষ কার্যকর।
এটা সেবনে সাধারন দুর্বলতা, যৌন দুর্বলতা,উদ্দিপনা বাডাবে,স্হায়ীত্ব বা টাইমিং বাডাবে,বীর্য উতপাদন শুক্রানু বৃদ্ধি ও শক্তিশালী করবে, রক্ত সন্চালনের কারনে পেনিস শক্তিশালী হবে ক্রমান্নয়ে।
jinsin এর আরও উপকারিতা –
1-শক্তি বর্ধক হিসেবে জিনসেং দারুন কার্যকরী।
2-পুরুষের #যৌন সমস্যার একমাত্র সমাধান।
3-শারিরিক শক্তি বাড়ায় এবং দুশ্চিন্তা ও হতাশা দূর করে।
4-মানসিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
5-মনযোগ, স্মৃতিশক্তি, কথা শোনার সাথে সাথে বুঝতে পারার ক্ষমতা,শেখার ক্ষমতা,কল্পনাশক্তি, বিচারবুদ্ধি, চিন্তা শক্তি ও সমস্যা সমাধান করে কোন একটা সিদ্ধান্তে পৌছানোর ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
6-কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।
7-অনিদ্রা জনিত কারনে শারীরিক ও মানসিক সৃষ্ট রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
8-অস্থিরতা দূর করে মনকে সতেজ ও প্রফুল্ল রাখতে সাহায্য করে।
মূল্য 1 ফাইল ২৫০০৳, পুল কোর্স ৩ ফাইল ৭৫০০ ৳






(২) "MAX MAN " ( men Enlarging gel)
থাইল্যান্ড এর তৈরী এটা জেলী শুধু মাত্র লিঙ্গে মালিশ হিসাবে ব্যবহার,
এটা হস্তমৈথুনের কারনে পেনিসের টিসু ডেমেজ হয়ে ব্লাড সার্কুলেশন কমে গিয়ে লিঙ্গ ছোট হয়ে গেলে লিঙ্গকে পুনঃ শক্তিশালী মোটা তাজা করতে কার্যকর।
মূল্য ৩০০০৳।
সতর্কতা ঃ- কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই,
শুধু মাত্র প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য।
বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে দেশের যে কোন জায়গায় কুরিয়ার, পোস্ট অফিস, এস এ পরিবহন মাধ্যমে পাঠানো হয়ে থাকে।
সার্ভিস সার্জ ১৫০ টাকা।



                  মাসিকের বেদনা সাদা স্রাব চিকিৎসা ঃ-
মহিলাদের সাদা স্রাব বা লিকোরায়া ও মাসিকের সময় বেদনা একটি অসস্থিকর সমস্যা এর থেকে মুক্তি পেতে মর্ডান হারবাল কোং কর্তৃক
"পালসেটিলা " ঃ ৫০ ট্যাবলেট
উপকারীতা ঃ সাদা স্রাব, বাদক বেদনা,অনিয়মিত মাসিক, মাই গ্রেসন,রক্ত স্বল্পতা, জরায়ুতে ব্যথা,ডেলীভারীর পর সমস্যায় কার্যকর, ১০০৳ ফাইল
"ম্যানোস্রোজ " ঃ- ৫০ ট্যাবলেট
কার্যকরীতাঃ- সাদা স্রাব বাদক বেদনা,জরায়ু থেকে অস্বাভাবিক রক্ত স্রাব সহ বেদনা, ও শারীরিক দূর্বলতায় অত্যন্ত কার্যকরী । ১০০৳ ফাইল।
পুল কোর্স ৪ ফাইল করে। পরে প্রয়োজন মনে করলে আরও খেতে পারবেন।
বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে আপনার নিকটস্থ যে কোন কুরিয়া, পোস্ট অফিস মারফত আপনার ঠিকানায় পৌঁছে যাবে। সার্ভিস সার্জ ১৫০ টাকা।


        গাইনেকোমাস্টিয়াঃ পুরুষের অস্বাভাবিক স্তন বৃদ্ধি  কি ?
গাইনেকোমাস্টিয়া হলো পুরুষের অস্বাভাবিক স্তন বৃদ্ধি । গ্রিক শব্দথেকে গাইনেকোমাস্টিয়া শব্দটি এসেছে । ‘গাইনি’ শব্দের অর্থ ‘মহিলা’ এবং ‘মাস্টোস’ শব্দের অর্থ স্তন। অস্বাভাবিক স্তন বৃদ্ধি নবজাতক, বয়ঃসন্ধিকালে ও বৃদ্ধবয়সে শরীরবৃত্তীয় কারণে হতে পারে। বয়ঃসন্ধি কালে অনেক ছেলেদের এ অবস্থা হতে পারে , তবে অনেক ছেলের স্তনের বৃদ্ধি দু’বছরের মধ্যে ছোট হয় বা মিলিয়ে যায়।নয়। গাইনেকোমাস্টিয়া হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে পুরুষের শক্ত স্তন টিস্যু গঠিত হয়। এই স্তন টিস্যু সাধারণত দেড় ইঞ্চির ছোট হয় এবং সরাসরি এটা স্তনবৃত্তের নিচে অবস্থান করে। গাইনেকোমাস্টিয়া এক পাশে বা দু’পাশেই হতে পারে। এ অবস্থা স্তনে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।



কারন কি ?
@ সাধারণভাবে সেক্স হরমোনের বৈষম্যকে এর জন্য দায়ী করা হয়।
@ স্তন টিস্যুর বৃদ্ধির কারণেও স্তন বড় হতে পারে। অনেক সময় স্তনে অতিরিক্ত চর্বি জমলে স্তন বড় দেখায়, তবে এটা গাইনেকোমাস্টিয়া না ।
@ শারীরবৃত্তীয় গাইনেকোমাস্টিয়া নবজাতক, বয়ঃসন্ধিকালে বা বয়ঃসন্ধিকালের আগে এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে হতে পারে।
@ অনেক গাইনেকোমাস্টিয়ার কারণ অজানা, অর্থাৎ এদের নির্দিষ্ট কারণ জানা যায় না। ২৫% ক্ষেত্রে গাইনেকোমাস্টিয়ার কারণ জানা যায় নি।
@ হরমোনসহ বিভিন্ন ওষুধ গ্রহণ, সিরাম ইন্ট্রোজেনের বৃদ্ধি,
@ টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন কমে যাওয়া,
@ অ্যানড্রোজেন রিসেপ্টরের ত্রুটি,
@ দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ,
@ দীর্ঘস্থায় লিভারের রোগ, লিভার সিরোসিস অসুখে গাইনেকোমাস্টিয়া হতে পারে।
@ এইচআইভি এবং অন্যান্য দীর্ঘ মেয়াদি রোগ।
@ স্পাইনাল কর্ডে আঘাতের কারণে এবং দীর্ঘদিন অভুক থাকার পর খাওয়ার পরে গাইনেকোমাস্টিয়া হতে পারে।
@ বয়ঃসন্ধিকালের পরবর্তী পুরুষদের বিভিন্ন এলোপ্যাথিক ওষুধ ১০-২০% ক্ষেত্রে গাইনেকোমাস্টিয়া ঘটায়। এসব ওষুদের মধ্যে রয়েছে সিমেটিডিন, ওমিপ্রাজল, স্পাইরোনোল্যঅকটন, ইমাটিনিব মিসাইলেট, ফিনাস্টেরাইড এবং কিছু নির্দিষ্ট অ্যান্টি সাইকোটিক ওষুধ।
@ কিছু ওষুধ সরাসরি স্তন টিস্যুর উপর কাজ করে আবার কিছু এলোপ্যাথিক ওষুধ ডোপামিনের কাজ বন্ধ করার মাধ্যমে পিটুইটারি থেকে প্রোলাকটিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। উল্লেখ্য যে, প্রোলাকটিক হলো স্তন তৈরির হরমোন।
@ শক্তিবৃদ্ধিকারী ফুডসাপ্লিমেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত অ্যাড্রোসটেনেডিওন ইস্ট্রোজেনের অতিরিক্ত কারযকারিতার মাধ্যমে স্তনের বৃদ্ধি ঘটাতে পারে।
@ প্রোস্টেট ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত এলোপ্যাথিক ওষুধ যেমন অ্যান্টি অ্যানড্রোজেন এবং ডিএনআরএইচ অ্যানালগগুলো গাইনেকোমাস্টিয়া ঘটাতে পারে।
@ মারিজুয়ানা গাইনেকোমাস্টিয়া একটি কারণ, অবশ্য এ নিয়ে মতভেদ আছে।
@ কিছু নির্দিষ্ট অন্ডকোষের টিউমার এবং হাইপারথাইরয়েডিজম রোগে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বেড়ে যায়। কিছু অ্যাড্রেনাল টিউমার অ্যান্ড্রোসটেনেডিওনের মাত্রা বাড়ায়। এই অ্যান্ড্রোসটোনডিওন অ্যারোম্যাটেজ নামক এনজাইম দ্বারা ইস্ট্রোন-এ রূপান্তরিত হয়। এই ইস্ট্রোন হলো ইস্ট্রোজেনের একটি ধরন। অন্যান্য যেসব টিউমার এইচসিজি নিঃসরণ করে, তা ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ বাড়াতে পারে।
@ মোটা মানুষের গাইনেকোমাস্টিয়ার প্রবণতা থাকে।
@ পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরনের উৎপাদনের মাত্রা কমে গেলে গাইনেকোমাস্টিয়া হতে পারে। এই টেস্টেস্টেরনের উৎপাদনের মাত্রা কমে যেতে পারে। জন্মগত বা অর্জিত অন্ডকোষের সমস্যার কারণে। হাইপোথ্যালামাস কিংবা পিটুইটারির রোগও টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমাতে পারে। অ্যানাবলিক অ্যান্ড্রোজেনিক স্টেরয়েডের অপব্যবহারও একই প্রভাব ফেলে।
@ ধারণা করা হয় যে এসব তেল বা লোশন তাদের ইস্ট্রোজেন ও অ্যান্টি অ্যান্ড্রোজেন জনিত ক্রিয়াকলাপ বাড়িয়ে দেয়।



চিকিৎসাঃ
উল্ল্যেখিত ওষুধ গ্রহনকরলে , তা বন্ধ করে দেওয়া উচিত ।এলোপ্যাথিক একমাত্র চিকিৎসা হলো অপারেশন । হোমিওচিকিৎসায় অপারেশনের ঝুকি এড়ানো যায় । একজন অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ ব্যবহার করলে গাইনেকোমাস্টিয়ার লজ্জা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব ।

প্রিয় পাঠক এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।

সংকলিত।




     ঃ                             - একটি ভূল ধারণা নিরসন ঃ-
                   যৌন সমস্যার সমাধান কি ১ সাপ্তাহে সম্ভব??????



অনেকে মনে করেন যৌন সমস্যার সমাধান ১ সাপ্তাহে বা ১ মাসেই সম্ভব আসলে  কি তাই!  আসলে কিন্ত তা সম্পূর্ণ  ভূল ধারণা,

কারণ কারো যৌন সমস্যা ১ দিনে বা ১ মাসের সমস্যার কারণে হয়না বরং দীর্ঘ দিনের বিভিন্ন শারিরীক মানসিক  সমস্যা রোগ- শোক অনিয়ম,,হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ ও শরীরের উপর অপকল্পনীয় অত্যাচার সহ অপুষ্টি ইত্যাদির কারনে হয়ে থাকে । আর তার সমাধান ১ সাপ্তাহ বা ১ মাসের চিকিৎসায় স্হায়ী চিকিৎসা  কোন দিন সম্ভব না, তবে হতে পারে তা সাময়িক মাত্র।

স্হায়ী চিকিৎসা নিতে হলে বা স্হায়ী সমাধান পেতে হলে দীর্ঘ স্হায়ী নিয়মিত চিকিৎসার সাথে বিভিন্ন পুষ্টিকর খাদ্য -পথ্য সেবনের বিকল্প নেই। বাস্তব অভিগ্গতা তাই বলে।১/৩/৬ মাস সহ আবস্হা ভেদে ১ বছরও সময় লেগে যেতে পারে।

তাছাডা রাস্তার পাশে গাডিতে  বা বাজারে বিভিন্ন হেন্ডবিল  বা কেম্বাচারদের লিকচার শুনে কেউ প্রতারিত না হয়ে রেজিষ্টার্ড/হেকিম কবিরাজ/ ডাক্তারদের শরনাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নেয়া বুদ্ধি মানদের কাজ।



আমরা

MxN মডার্ণ হারবাল গ্রুপ তথা বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ও ১ নং এ লাইসেন্স প্রাপ্ত নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কোম্পানী। ডাঃআলমগির মতি স্যার  এর প্রতিষ্ঠিত ও গবেষণাকৃত ঔষুধ / পথ্য সহ প্রাকৃতিক পথ্য  দিয়ে যৌন চিকিৎসা সহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা /ও  ফ্রি পরামর্শ দিয়ে থাকি।

তাছাডা আবস্হা ভেদে বিভিন্ন দেশি- বিদেশী ঔষধ সেবনের মাধমে ও চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকি।অত এব আপনাদের যে কোন সমস্যা যোগাযোগ করতে পারেন।





                   
                         মুখের গন্ধ হওয়ার কারন ও সমাধান
মুখে বাজে গন্ধ হওয়ার মূল ৭টি কারণ ও সমাধান

মুখে দুর্গন্ধের অস্বস্তিকর সমস্যায় কমবেশি সবাইকেই পড়তে হয়। তবে এটা যদি আপনার দীর্ঘস্থায়ী বা পুরনো সমস্যা হয়ে থাকে, তবে এর মূলোৎপাটন করতে হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ডাক্তার মাউথ ওয়াশ বা এ ধরনের কিছু দিয়ে থাকেন। এতে কিছু সময়ের জন্য দুর্গন্ধ চলে যায়। মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার সাতটি মূল কারণ ও এর সম্ভাব্য সমাধান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ জেনে নিন।

১. আপনি দাঁতের যত্ন নিচ্ছেন না

২০১২ সালে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ওরাল সায়েন্সে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, দাঁতের পরিচ্ছন্নতা না থাকার জন্য শতকরা ৮৫ ভাগ দায়ী মানুষের বদ অভ্যাস। আর এর পেছনে কাজ করে মুখের ভেতরে খাদ্যকণা ঠিকমতো পরিষ্কার না করা। এর কারণে মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া জন্মায়, জানালেন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ মার্ক গিবার। আমেরিকান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশনের কনজ্যুমার অ্যাডভাইজার ডেন্টিস্ট রিচার্ড এইচ প্রাইস বলেন, জিহবার নিচে অক্সিজেন ছাড়া বেঁচে থাকা এ ব্যাকটেরিয়া সালফার কম্পাউন্ড উৎপাদন করে যার গন্ধ অনেকটা পচা ডিমের মতো। আর এ গন্ধ দূর করতে হলে দিনে অন্তত দুইবার দাঁত ব্রাশ করতে হবে।

২. যথেষ্ট পানি খান না

দেহে পানির অভাবে খুব অল্প পরিমাণ সেলিভা উৎপন্ন হয়। সেলিভা মুখের এসব ব্যাকটেরিয়াকে পরিষ্কার করে। পানির অভাবে মুখের ভেতর শুকনো থাকে এবং সেলিভা মরে যায়। এই মৃত সেলিভা কোষ থেকেও বাজে গন্ধ তৈরি হয়।

৩. অ্যালার্জিও দায়ী
অ্যালার্জির কারণে অনেকে নাক দিয়ে শ্বাস নিতে পারেন না। তখন মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হয় এবং এতে মুখের ভিতরটা শুকিয়ে যায়। ফলে সেই একই সমস্যা। নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ডেল আমান্ডা টেইলর বলেন, অ্যালার্জির সমস্যা থাকলেও মুখে দুর্গন্ধ হয়। অ্যালার্জির চিকিৎসা নিন।
৪. বাজে গন্ধ @
এটা বলে বোঝাতে হবে না যে, রসুন খেলে মুখে দুর্গন্ধ হবেই। আবার দুধ খুবই ভালো খাদ্য। কিন্তু এ দ্রব্য মুখে এক ধরনের শ্লেষ্মা উৎপন্ন করে যা দুর্গন্ধ তৈরি করে, জানালেন ডেন্টিস্ট মার্থা অ্যান কিলস। এ জাতীয় উচ্চমাত্রার কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ খাবার বেশি খেলে বাজে গন্ধের শ্লেষ্মা হয়। তাই এগুলো বেশি পরিমাণ খাবেন না।

৫. সাইনাস অথবা টনসিলে সংক্রমণ থাকলে
সাইনাসে সংক্রমণ ঘটলে বাজে গন্ধ আসে মুখ থেকে। ডাক্তারের পরামর্শ মতো অ্যান্টিবায়োটিক বা নেটি পট থেরাপির মাধ্যমে সাইনাসের বাজে শ্লেষ্মা দূর করা যায়, জানালেন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ জেমস এন পালমার। এ ছাড়া টনসিলে সংক্রমণ ঘটলে এক ধরনের ক্যালসিয়াম পাথর জন্মে যা কটু গন্ধ সৃষ্টি করে।

৬. এসিডিটির সমস্যা
এসিডিটির ফলে পাকস্থলীর জ্বালাপোড়া থেকে ভিনেগারের মতো গন্ধ তৈরি হয়। টক জাতীয় ঢেকুর হয়ে তা মুখে বাজে গন্ধ ছড়িয়ে দেয়।

৭. ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে

মুখে খুব বাজে ধরনের গন্ধ ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধির কারণে হতে পারে। তবে তা কদাচিৎ দেখা যায়। এ গন্ধের বৈশিষ্ট্য অনেকটা টক এবং পনিরের মতো। যে সব মানুষের নানা ব্যাধির কারণে বেশি পরিমাণ তেজক্রিয় রশ্মির পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়, তাদের এমনটি হতে পারে।

সমাধান:
প্রতিদিনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজের মতো দাতের যত্ন নেয়া ও দাত পরিষ্কার রাখা খুবই জরুরী। তবে উপরোক্ত সমস্যাগুলোর কারণে দাতের সঠিক যত্ন নিলেও বিব্রতকর দূর্গন্ধ এড়ানো যায়না। এসব ক্ষেত্রে মূল সমস্যা অনুধাবণ ও োরাগ নির্নয় করে সঠিক চিকিৎসা নেয়া উচিত। প্রথমে একজন দন্ত চিকিৎসকের সরণাপন্ন হয়ে তার পরামশ্য অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয় যেতে পারে। তবে রোগ নির্মূল হওয়ার আগ পর্যন্ত মাউথওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে।
তথ্যসূত্র: কালেরকণ্ঠ

                                            মুখের দুর্গন্ধে করনীয়।
মুখের দুর্গন্ধ  দুর করতে ঘরানা টিপস গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
তনমধ্যে অধিক কার্যকরি তাহল দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজের সময় মেসওয়াক ব্যবহার যা সুন্নত ওবটে।যদি পারেন জয়তুনেন ডাল তা নাহলে নিমের ডাল বা অন্য কিছুু। তাছাডা নিচের টিপস গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
যেমন-:
১/ খাঁটি মধু ১ চামচ, ১ চামচ কালোজিরার তেল  মিশিয়ে সকাল খালি পেটে সেব্য, ১ মাস (  হাকিম অানোয়ার অাবদুল্লাহ)  তাছাডা দৈনিক সকালে মধু খেলে মুখের দুর্গন্ধ, শরীরের দুর্গন্ধ, পায়ের  মুজার অযাচিত দুর্গন্ধ হতে মুক্তি পাবেন, পরীক্ষিত( খাঁটি মধু পেতে ০১৮২৯৩১৮১১৪)।
২/ অাম /পেযারা / বা কচি নিম পাতা চিবানো।
৩/ মাশরুম টুথপেষ্ট ব্যবহার
৪/ ভাতের সাথে ইসুব গুল, তিল, খাওয়া।
৫/ সালাদের সাথে জয়তুন তেল
৬/ সকালে মধু চেটে খান ১ মাস
৭/দৈনিক  লং বা   লবঙ্গ,দারুচিনি এলাচি অাদা চিবাতে পারেন মুখের দুর্গন্ধ  সেরে যাবে। অথবা সিদ্ব করে গরম পানি সেবন করতে পারেন।
           (ডাঃ অালমগির মতি)
উপরোক্ত টিপস্ থেকে সুবিধা মত ব্যবহার করা যেতে পারে।
সংকলক -:


            মাজুন আরদে খোরমার কার্যকরীতাঃ-

যৌন দূর্বলতা,শুক্রানু বৃদ্ধি, শুক্র তার ল্, শুক্র স্বল্পতা,স্নায়বিক দূর্বলতা,স্বপ্ন দোষ,মেহ প্রমেহ ও শারীরিক দ্রুত শক্তি যোগাতে,লিঙ্গে রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধি করতে কার্যকরী।
মর্ডান হারবাল কোং
মূল্য ৫০০,
৪৫০ গ্রাম।
এটি নিয়মিত সেবন যোগ্য একটি খাদ্য /পথ্য /ঔষধ।
তাছাডা শারীরিক আবস্হা ভেদে রোগের জটিলতা বুঝে সাথে অন্যান্য ঔষধ ও সেবন করতে হবে।





                                          ধাতুদুর্বলতা বা যে কোন ধাতুক্ষয় সমাধান ঃ-
পুরুষের একটা কমন সমস্যা হল ক্ষয় রোগ এ রোগটি অনেক রোগের কারন ও বটে।তাই এর চিকিৎসা জরুরী।এ রোগটি প্রাপ্ত বয়স্ক যে কোন বয়সে হতে পারে। তবে এটি অবিবাহিত বা বিবাহিত হলেও যারা প্রবাসে বা ফ্যামেলী থেকে দূরে থাকেন তাদের বেলায় বেশি হয়।
অল্প উত্তজনায় লিঙ্গের মাথায় আঠালো পানি আসা,যৌন কল্পনা করা বা কোন ছবি দেখা বা জীবন সঙ্গীনির সাথে ফোনালাপের সময় লিঙ্গ দিয়ে তরল পানি বের হয়ে আসা,পেশাব করার সময় ঝাকুনি দিয়ে কিছু বের হওয়া, পায়খানার সময় কোথ দিলে লিঙ্গে তরল কিছু বের হওয়া, এমন কি কোন কোন ঔষধের পার্শপ্রতিক্রিয়ার কারনে ধাতু ক্ষয় সমস্যা সহ যে কোন ক্ষয় জনিত সমস্যায় বিশেষ উপকারী।
"হরমোঘট" Hormo Ghout" tb আয়ুর্বেদিক ফর্মুলায় তৈরী। পাশ্ব পতিক্রিয়া মুক্ত। দাম মাত্১০৫০  টাকা। আল্লাহর রহমততে রোগ নতুন হলে ১/২ ফাইল (১৫+১৫ টি ট্যাব)
আর পুরনো হলে ৪ ফাইল যথেষ্ট হবে। ইনশাআল্লাহ।
বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে আপনার নিকটস্থ যে কোন কুরিয়া, পোস্ট অফিস মারফত আপনার ঠিকানায় পৌঁছে যাবে।
সার্ভিস সার্জ ১৫০ টাকা।




অর্শ, পায়ু পথ ফোলা , পায়ু পথে অর্শের ক্ষত,ব্যথা,জালাপোডা, গেজ, ইত্যাদি নিরাময়ে কার্যকরী ঃ- 

১ঃ- হাব্বে বা ওয়াসীর বাদী ক্যাপ্সুল
অর্শ রোগে বিশেষ কার্যকর ঃ
কোষ্ঠকাঠিন্য, বায়ুজনিত অর্শ,পায়ুপথ ফোলা,ব্যথা,জালা যন্ত্রণা ও আন্ত্রিক প্দাহে বিশেষ কার্যকর।
২ঃ- মরহম জাদীদ
ইহা অর্শের ক্ষতে বিশেষ কার্যকর।
অর্শের ব্যথা জালা যন্ত্রনা পায়ু পথ ফোলা, খোসপাচডা ইত্যাদি তে বিশেষ কার্যকরী শুধ মাত্র বাহ্যিক ব্যবহার।


3  পেস্টুলা
অর্শ- গেজ - ভগন্দর- পাইলস-পেস্টুলা নিরাময়ে
যাদের অর্শ,পায়ু পথ ফোলা,ব্যথা,জালাপোডা করে মলদ্বারে গেজ,ভগন্দর, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে,আন্ত্রিক প্রদাহ নিরাময়ে কার্যকর

শিশুদের স্বরন শক্তি বৃদ্ধি, মনোযোগ বৃদ্ধি, ভূলে যাওয়ার প্রবনতা মানসিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে।
যে সকল ছাত্র -ছাত্রী শতবার পডলেও মনে থাকেনা বা মুখস্থ হয়না তাদের জন্য
"নিউরো কেয়ার"
ভূলে যাওয়ার প্রবনতা রোধ করে,মনোযোগ বাডায়,স্বরনশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, সুনিদ্রিা আনয়ন করে,বারংবার পডা বা শুনার পরও স্বরন না থাকা রোধ করে।
(হোমিও- ৫০ ট্যাব ১০০ ৳)
আবস্হা ভেদ /৩ /৬/৯ মাস ব্যবহার করুন খুব ভাল ফলাফল পাবেন ইনশাআল্লাহ। ৮-১৫ বছরের বাচ্ছা সহ ছোট বড সকলে ব্যবহার করতে পারবেন,




তাছাডা প্রাপ্ত বয়স্কদের স্বরন শক্তি বৃদ্ধি, মনোযোগ বৃদ্ধি, ভূলে যাওয়ার প্রবনতা মানসিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে। ছাত্র -ছাত্রী দের বেলায় শতবার পডলেও মনে থাকেনা বা মুখস্থ হয়না তাদের জন্য রয়েছে
১, " জিংকো বাইলোবা " আয়র্বেদিক, ব্যবহার করতে পারেন।
বিশেষত পরীক্ষার্থী,অফিসিয়াল কর্মরত,বা ব্যবসা বানিজ্যি নিয়োজিত, দায়িত্বশীল, এমন ব্যক্তিদের জন্য খুব উপকারী টনিক। (৩০ ক্যাপ ৩০০ ৳)।


২, "হাই ড্রোকোটাইন এসিয়াটিকা ক্যাপ বা "( গোটু কোলা)ট্যাব হোমিও,
স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করে,মনোযোগ বাডাতে,সুনিদ্রা আনতে,মানসিক চাপ কমাতে,হজম শক্তি বাডাতে,কিডনী ত্বক সুরক্ষা করতে কার্যকরী।( ৬০ ক্যাপ ৯০৳)

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত।
সার্ভিস সার্জ ১৫০৳ প্রযোজ্,
বিকাশ পেমেন্ট করলে কুরিয়ার / পোস্ট অফিসে আপনার ঠিকানায় পেয়ে যাবেন।
যোগাযোগ ও
সৌজন্যে
প্রাকৃতিক চিকিৎসা নিতে আমাদের ভূবনে স্বাগতম
00966504967863 ওয়াতসাফ/ইমু


                         মহিলাদের যৌন আকাঙ্খা কমে যাওয়া সহবাসকালীন ব্যথা সমাধান
মহিলাদের যৌন আকাঙ্খা কমে যাওয়া সহবাসকালীন ব্যথা সমাধান +++++++
আমরা প্রায় সময় দেখি যত সব এড্ শুধু মাত্র পুরুষদের যৌন সংক্রান্ত, মনে হয় যেন মহিলাদের কোন যৌন সমস্যাই নেই। আসলে তাই নয় পৃথিবীর অর্ধেক জনসংখ্যাই নারী তাদের ও যৌন সমস্যা আছে কিন্তু লাজ্ শরমের কারণে তারা প্রকাশ করতে পারেনা বা করেন না।
তাই আজকে তাদের কমন কিছু যৌন সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে আলোচনা করব।
১. মহিলাদের যৌন আকাঙ্খা কমে যাওয়া,যৌনরসের স্বল্পতা,সহবাসকালীন ব্যথা ইত্যাদি।
কারণঃ- অপুষ্টি জনিত স্বাস্থ্যহানী,পেটের গোলোযোগ,অতিরিক্ত সাদা/ বা ঋতুস্রাব, সঙ্গীর প্রতি অনিহা বা অপছন্দ,সাংসারিক নিয়ে ঋগডা মনোমালিন্য, ধূমপান, নেশাদ্রব্য পান, জন্মনিয়ন্ত্রণে ফিল ব্যবহার, স্হায়ী ইত্যাদি কমন কিছু সমস্যার কারণে এমনটি হয়ে থাকে।
সর্ব প্রথম ঘরোয়া বা প্রাথমিক চিকিৎসা হিসাবে নিন্মের টিপস গুলো ব্যবহার করতে পারেন। এতে আশানুরুপ ফলাফল পাওয়া না গেলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে হবে।
১/ শিমুল মুল,শতমুলী অশ্বগন্ধা, দুধ,ডিম, পানিফল খেলে যৌন আকাঙ্খা বেডে যায়,,
শিমুল মুল খালি পেটে,একটাকরে ছিবিয়ে খেয়ে হালকা পানি সেবন।শুকনো হলে ৭-১২ গ্রাম পাউডার সমপরিমান চিনি সহ ২ বার,
শতমুলি পাউডার চর্ণ মধুর সাথে মিশিয়ে,আর কাচা হলে ৩-৪ চামচ রস ২৫০ মিলি দুধ সহ সেবন।অশ্বগন্ধা চুর্ণ মিচরী মধু ও ঘি ১ চামচ করে ৪ চামচ মিশ্রণ করে রেখে ২ চামচ করে সেবন।
দ্বিতীয় পর্যায়ের চিকিৎসা হিসাবে mxn মর্ডান পথ্য
এ ঔষধ গুলো সেবন করতে হবে তাও চিকিৎসকের পরামর্শে।


১ / জিংসিং +

২/ টিটানিয়াম


৩/ লিউকোরিয়া


৩/ এযাজ

তাছাডা সহবাসকালীন ব্যথায়
১/ টিটানিয়াম



২/ অশোকা 3 x

3/ হিপার সালফ ক্লাভাটাম


গ্যাস্টিক, আলসার, বদহজম, গ্যাসজনিত ব্যথা অরুচি চিকিৎসা ঃ
- কয়েকটি ঔষধের কার্যকরীতা নিন্মে দেয়া হল ডাক্তারের পরামর্শ ক্রমে ব্যবহার করতে পারেন।
(১) শরবত হাজমিনা সিরাপ ঃ- হজম কারক, বদহজম, পেট ফাঁফা,গেস জনিত পেট ব্যথা,কোষ্ঠকাঠিন্য, রুচি বৃদ্ধি, ক্ষুধা বর্ধক হিসাবে কাজ করে। (ইউনানী 180 ml -90৳)
(2) নৌশদারী ক্যাপ ঃ- (স্টমক কিউর)
গ্যাস্টিক আলসার,পেপটিক আলসার, গ্যাস জনিত বুকব্যথা, বুকজালা,কোষ্ঠকাঠিন্য এবং আইবিএস রোগে কার্যকর।
(ইউনানী ২০ cap -90৳)
(৩)নাক্স ভোমিকা ( গ্যাস্টিক কেয়ার) ক্যাপ,
পেটের গ্যাস, পেট ফাঁফা,বদহজম, চুকা ডেকুর,ও আমাশয় জনিত গ্যাস উপশম করে।
(হোমিওপ্যাথি ৩০ cap 169৳)
(4) আরখ নানখা - সিরাপ ঃ-
পেট ফাঁফা,বদহজম,অর্জীর্ণ,অরুচি,হজমের গোলমাল,পেট ব্যথায় কার্যকরী।
(ইউনানী ৪০০ml 130৳,180ml 65 ৳)
(5) মেথী ক্রাশ ঃ-
অরুচি,ডায়বেটিস,মেলিটাস,জরায়ু সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, কোষ্ঠকাঠিন্য বাত ব্যথা,মেদ কমাতে কার্যকর,
(৬) হাজমোলা ট্যাব ঃ-
বদহজম, পেটের গোলমাল দূর করে রুচি ও ক্ষধা বাডায়,
( আয়ুর্বেদিক ১০০ ট্যাব ১০০৳)
বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে দেশের যে কোন স্হানে কুরিয়ার বা পোস্ট অফিসে পার্শ্বেরএর মাধ্যমে আপনি
পেতে পারেন।                  




চলবে---

আমাদের ফেইজ   ভিজিট করুন।

  প্রাকৃতিক চিকিৎসা নিতে আমাদের ভূবনে স্বাগতম

https://www.facebook.com/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%A4%E0%A6%AE-327266534385923/




                                                         সৌজন্যে
                                          এম এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া
                            প্রাকৃতিক চিকিৎসা নিতে আমাদের ভূবনে স্বাগতম
                                     এন্ড মর্ডান হারবাল কোং লিঃ
                               ভূঁইয়া ন্যাচরাল এন্ড মর্ডান হারবাল কোং লিঃ
                                                সার্বিক যোগাযোগ ঃ-
                                                   ০১৮৭৪৩৮৯২৫৮//01829318114
                                     00966504967863 ওয়াতসাফ/ইমু

সোমবার, ২২ জুলাই, ২০১৯

ইসলামে হালাল ব্যবসার পূর্ণাঙ্গ রুপরেখা

আলহামদুলিল্লাহ ইসলাম আমাদের দিয়েছেন খুব সুন্দর জীবন বিধান যা পৃথিবীর কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। কিন্তু আমরা মুসলিম জাতি হিসাবে গর্বের বিষয় কিন্তু অধিকাংশ মানুষইি জানেনা জানার চেষ্টা ও করেনা আসুন আমরা জেনে নি ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে  কোরআন হাদিস কি নির্দেশনা দিয়েছেন।
আমরা জানি আল্লাহ তায়ালা ব্যবসাাকে করেছেন হালাল আর সুদকে করেছেন হারাম কিন্তু সই হালাল ব্যবসার নিয়ম পদ্ধতি সমপর্কে আমরা অবগত নই আসুন জেনে নেয়া যাক বিস্তারিত।

                            ইসলামে হালাল ব্যবসা-বাণিজ্য ৫ প্রকার

ইসলাম একটি শাশ্বত, সার্বজনীন ও পূর্ণাঙ্গ জীনব ব্যবস্থা। সৃষ্টি জগতে এমন কোন দিক ও বিভাগ নেই, যেখানে ইসলাম নিখুঁত ও স্বচ্ছ দিক-নির্দেশনা প্রদান করেনি। মহান আল্লাহ বলেন, مَا فَرَّطْنَا فِي الْكِتَابِ مِنْ شَيْءٍ ‘আমরা এ কিতাবে কোন কিছুই অবর্ণিত রাখিনি’ (মায়েদাহ ৫/৩৮)।
মানবতার মুক্তির দিশারী মুহাম্মাদ (ছাঃ) অন্ধকারাচ্ছন্ন, পাপ-পঙ্কিলতাময় এ বসুন্ধরায় জাহেলিয়াতের সকল অন্যায়-অত্যাচার, অবিচার-অশান্তি, অস্থিতিশীল অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ করে দিয়েছিলেন। বিশেষ করে মানব নিষ্পেষণ ও সমাজ বিধ্বংসী অন্যতম মাইন সূদ, ঘুষ, লটারী ও মজুতদারী প্রভৃতি তিরোহিত করেন। আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ অহি-র আলোকে হালাল ব্যবসা ভিত্তিক একটি সর্বোত্তম, অভূতপূর্ব আদর্শ সমাজ বিনির্মাণ করেছিলেন। ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, এক কথায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই ইসলামের রয়েছে সঠিক কল্যাণকামী দিক নির্দেশনা। The Quran in everyday life গ্রন্থকার বলেন, All individual, Social, political, Finential and others problems which relating with human being, human welfare or human nature have been Completely discussed in the Quran. ‘ব্যক্তিগত, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং অন্যান্য সমস্যাবলী যা মানবজাতি, মানবকল্যাণ অথবা মানব প্রকৃতির সাথে সম্পর্কিত তার সবই পূর্ণাঙ্গভাবে আলোচিত হয়েছে আল-কুরআনে’।
সূদ সমাজ শোষণের অন্যতম হাতিয়ার এবং মানব সভ্যতার সবচেয়ে নিষ্ঠুর শত্রু। সূদী কারবারের ফলে সমাজের বিত্তশালীরা সমাজের অসহায়, নিঃস্ব, দরিদ্র বনু আদমের সম্পদ জোঁকের মত চুষে চুষে খেয়ে পাহাড় গড়ে তুলে। পক্ষান্তরে সমাজের হতভাগ্য হতদরিদ্র মানুষগুলো দিন দিন অর্থশূন্য হয়ে ধুঁকে ধুঁকে মরে। কিন্তু ইসলাম সাম্যের ধর্ম। তাই সূদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতির সর্বনাশা রাহুগ্রাস থেকে মানব জাতিকে রক্ষা করতে ইসলাম সকল প্রকার সূদকে চিরতরে হারাম করে ইনছাফপূর্ণ সুষম অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কায়েম করেছে। সাথে ব্যবসা ভিত্তিক অর্থনৈতিক লেনদেনের নির্দেশ দিয়েছে।
হালাল উপার্জন ইবাদত কবুলের আবশ্যিক পূর্বশর্ত।[1] আর হালাল  উপার্জনের  অন্যতম  প্রধান  মাধ্যম  হ’ল বৈধ পন্থায় ব্যবসা-বাণিজ্য করা। হালাল ব্যবসা-বাণিজ্য জীবিকা নির্বাহের সর্বোত্তম মাধ্যম হওয়ায় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ), খুলাফায়ে রাশেদীন, আশারায়ে মুবাশশারা সহ অধিকাংশ ছাহাবী ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পক্ষান্তরে কারূণ, হামান, আবু জাহল, উতবা-শায়বা, উবাই ইবনে খালফ প্রমুখ কাফের মুশরিকরা ধোঁকা, প্রতারণামূলক সূদভিত্তিক হারাম ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করত। বস্ত্ততঃ হালাল-হারাম ব্যবসা-বাণিজ্যের রূপরেখা সম্পর্কে আমাদের সম্যক জ্ঞান থাকা অত্যন্ত যরূরী। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এ বিষয়ে আলোচনা করার প্রয়াস পাব ইনশাআল্লাহ।-
হালাল ব্যবসার বিষয়ে ইসলামের দিক নির্দেশনা :
হালাল ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন, أَحَلَّ اللهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا ‘আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল এবং সূদকে হারাম করেছেন’ (বাক্বারাহ ২/২৭৫)। অন্যত্র এরশাদ হচ্ছে, يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُواْ لاَ تَأْكُلُواْ أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ إِلاَّ أَن تَكُوْنَ تِجَارَةً عَنْ تَرَاضٍ مِّنْكُمْ ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না, কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ’ (নিসা ৪/২৯)।
উল্লিখিত আয়াতে لاَ تَأْكُلُواْ أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ (তোমরা পরস্পরের ধন-সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করো না) ‘অন্যায়ভাবে’ বলতে এখানে এমন সব পদ্ধতির কথা বুঝানো হয়েছে, যা সত্য ও ন্যায়নীতি বিরোধী এবং নৈতিক ও শরী‘আতের দৃষ্টিতে অবৈধ। লেনদেন অর্থ হচ্ছে পরস্পরের মধ্যে স্বার্থ ও মুনাফার বিনিময় করা। যেমন ব্যবসা, শিল্প ও কারিগরী ইত্যাদি ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। সেখানে একজন অন্য জনের প্রয়োজন সরবরাহ করার জন্য পরিশ্রম করে এবং তার বিনিময় দান করে। তাছাড়া আয়াতে أَنْ تَكُوْنَ تِجَارَةً عَنْ تَرَاضٍ مِّنكُمْ (পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে ব্যবসা-বাণিজ্য) বাক্যটি সংযুক্ত করে বলে দেয়া হয়েছে যে, যেসব ক্ষেত্রে ব্যবসার নামে সূদ, জুয়া, ধোঁকা-প্রতারণা ইত্যাদির আশ্রয় নিয়ে অন্যের সম্পদ হস্তগত করা হয়, সেসব পন্থায় সম্পদ অর্জন বৈধ ব্যবসার অন্তর্ভুক্ত নয়, বরং তা হারাম ও বাতিল পন্থা। তেমনি যদি স্বাভাবিক ব্যবসার ক্ষেত্রেও লেনদেনের মধ্যে উভয় পক্ষের আন্তরিক সন্তুষ্টি না থাকে, তবে সেরূপ ক্রয়-বিক্রয়ও বাতিল এবং হারাম।[2]
ব্যবসা-বাণিজ্যকে কলুষিত করার বিভিন্ন রূপ দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সতর্কবাণী উচ্চারিত হয়েছে এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সুনীতি ও ন্যায় বিচারের ভিত্তিতে পরিচালিত হবার প্রতি গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। পক্ষান্তরে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কে অপর এক দৃষ্টিভঙ্গিতে একে নিষিদ্ধ না বললেও বিষয়টি স্পষ্ট জানা যায় যে, ব্যবসা-বাণিজ্যের মধ্যে এরূপ কিছু বিষয় আছে যা মুমিনদেরকে আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত তথা ছালাত আদায় হ’তে বিরত রাখতে পারে। এ বিষয়ে কুরআন মাজীদে বর্ণিত হয়েছে, رِجَالٌ لاَّ تُلْهِيْهِمْ تِجَارَةٌ وَلاَ بَيْعٌ عَن ذِكْرِ اللهِ وَإِقَامِ الصَّلاَةِ وَإِيتَاء الزَّكَاةِ يَخَافُوْنَ يَوْماً تَتَقَلَّبُ فِيْهِ الْقُلُوْبُ وَالْأَبْصَارُ ‘সেসব লোক, যাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ক্রয়-বিক্রয় আল্লাহর স্মরণ থেকে এবং ছালাত কায়েম ও যাকাত প্রদান থেকে বিরত রাখে না, তারা ভয় করে সেদিনকে যেদিন অনেক অন্তর ও দৃষ্টি বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে’ (নূর ২৪/৩৭)।
মানুষের জীবন ধারণ এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যের গুরুত্ব আদিকাল থেকেই স্বীকৃত। তবে জীবনের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে এরূপ ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে নিজেদের রক্ষা করা মুমিনদের কর্তব্য। এজন্য জুম‘আর ছালাতের সময় ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রাখতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِذَا نُوْدِيْ لِلصَّلاَةِ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِنْ كُنتُمْ تَعْلَمُوْنَ- فَإِذَا قُضِيَتِ الصَّلاَةُ فَانْتَشِرُوْا فِي الْأَرْضِ وَابْتَغُوْا مِنْ فَضْلِ اللهِ وَاذْكُرُوا اللهَ كَثِيْراً لَّعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ-
‘হে ঈমানদারগণ! জুম‘আর দিনে যখন ছালাতের জন্য আহবান করা হয় তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ কর, এটাই তোমাদের জন্য শ্রেয় যদি তোমরা উপলব্ধি কর। আর ছালাত সমাপ্ত হ’লে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ অন্বেষণ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও’ (জুম‘আ ৬২/৯-১০)। উপরোক্ত আয়াতগুলোতে ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা রয়েছে।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, أَطْيَبُ الْكَسُبِ عَمَلُ الرَّجُلِ بِيَدِهِ، وَكُلُّ بَيْعٍ مَبْرُوْرٍ  ‘নিজ হাতে কাজ করা এবং হালাল পথে ব্যবসা করে যে উপার্জন করা হয় তাই সর্বোত্তম’।[3]
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি যখন ত্যাগ স্বীকার করে ছওয়াবের আশায় মুসলিম জনপদে কোন প্রয়োজনীয় দ্রব্য আমদানী করে এবং ন্যায্য মূল্যে তা বিক্রয় করে, আল্লাহর নিকট তিনি শহীদের মর্যাদা লাভ করেন।[4]
কুরআনুল কারীমে আল্লাহ তা‘আলা ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসঙ্গে তিজারাহ (ةجارة ), বায়উন (بيع ), শিরা (شراء ) এ তিনটি শব্দ ব্যবহার করেছেন। আল-কুরআনে ৮টি স্থানে তিজারাহ (ةجارة )[5] ৭টি স্থানে বায়‘ (بيع )[6] এবং ১৪টি স্থানে শিরা (شراء )[7] শব্দ উল্লিখিত হয়েছে।

হালাল ব্যবসা-বাণিজ্য : নিম্নোক্ত পাঁচটি পদ্ধতিতে ব্যবসা করলে তা হালাল হিসাবে ইসলামী শরী‘আত কর্তৃক অনুমোদিত হয়।
(১) বায়‘উ মুরাবাহ : লাভ-লোকসানের ভিত্তিতে নগদ মূল্যে ক্রয়-বিক্রয়ের একক ব্যবসা।
(২) বায়‘উ মুয়াজ্জাল : ভবিষ্যতে নির্ধারিত কোন সময়ে এক সাথে অথবা কিস্তিতে উভয় পক্ষের সম্মতিতে মূল্য পরিশোধের শর্তে ক্রয়-বিক্রয়।
(৩) বায়‘উস সালাম : ভবিষ্যতে নির্ধারিত কোন সময়ে সরবরাহের শর্তে এবং তাৎক্ষণিক উপযুক্ত মূল্য পরিশোধ সাপেক্ষে নির্দিষ্ট পরিমাণ শরী‘আত অনুমোদিত পণ্য সামগ্রীর অগ্রিম ক্রয়-বিক্রয়। আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন,
قَدِمَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِيْنَةَ، وَالنَّاسُ يُسْلِفُوْنَ فِى الثَّمَرِ الْعَامَ وَالْعَامَيْنِ أَوْ قَالَ عَامَيْنِ أَوْ ثَلاَثَةً. شَكَّ إِسْمَاعِيْلُ فَقَالَ مَنْ سَلَّفَ فِىْ تَمْرٍ فَلْيُسْلِفْ فِىْ كَيْلٍ مَعْلُوْمٍ، وَوَزْنٍ مَعْلُوْمٍ
‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন মদীনায় আসলেন তখন লোকেরা (ফল-ফসলের জন্য) অগ্রিমমূল্য প্রদান করত। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি অগ্রিম মূল্য প্রদান করবে সে যেন তা সুনির্দিষ্ট মাপের পাত্রের দ্বারা ও সুনির্দিষ্ট ওযনে প্রদান করে’।[8]
(৪) বায়‘উ মুযারাবা : এক পক্ষের মূলধন এবং অপরপক্ষের দৈহিক ও বুদ্ধিভিত্তিক শ্রমের সমন্বয়ে যৌথ ব্যবসা।[9] এ পদ্ধতিতে লভ্যাংশ তাদের মাঝে চুক্তিহারে বণ্টিত হবে।[10] রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) খাদীজা (রাঃ)-এর মূলধন দ্বারা এরূপ যৌথ ব্যবসা করেছিলেন। ছাহাবায়ে কেরাম অনেকেই এ পদ্ধতিতে ব্যবসা-বাণিজ্য করেছেন।[11]
মুযারাবায় যে ব্যক্তি পুঁজির যোগান দেয় তাকে ছাহিবুল মাল صاحب المال বা রাববুল মাল (رب المال ) এবং শ্রমদানকারী তথা ব্যবসা পরিচালককে মুযারিব (مضارب ) বা উদ্যোক্তা বলা হয়। এখানে ছাহিবুল মাল-এর পুঁজি হচ্ছে ব্যবসায় প্রদত্ত অর্থ-সম্পদ আর মুযারিবের পুঁজি হচ্ছে দৈহিক ও বুদ্ধিভিত্তিক শ্রম।
মুযারাবা কারবারে লাভ হ’লে ব্যবসায় শুরুতে কৃত চুক্তির শর্তানুসারে ছাহিবুল মাল এবং মুযারিব উভয়েই উক্ত লাভ ভাগ করে নেয়। পক্ষান্তরে ব্যবসায় লোকসান হ’লে সম্পূর্ণ লোকসান কেবল ছাহিবুল মাল তথা পুঁজি বিনিয়োগকারীকেই বহন করতে হয়। আর এ ক্ষেত্রে মুযারিবের ব্যয়িত শ্রম, বুদ্ধি ও সময় বৃথা যায়। মুযারিব কোন লাভ পায় না এটাই তার লোকসান। তবে ব্যবসা পরিচালনায় মুযারিবের অবহেলা কিংবা চুক্তির শর্ত ভঙ্গের কারণে লোকসান হ’লে সেক্ষেত্রে লোকসানের দায়ভার মুযারিবকেই বহন করতে হবে। কেননা এ ক্ষেত্রে পুঁজির মালিকের কোন ভূমিকা থাকে না।[12]
(৫) বায়‘উ মুশারাকা : মূলধন ও লভ্যাংশের ব্যাপারে দুই বা ততোধিক অংশীদারের মধ্যকার চুক্তি অনুসারে ব্যবসা।[13]
মুশারাকা পদ্ধতিতে ব্যবসায় লাভ হ’লে অংশীদারগণ পূর্ব নির্ধারিত অনুপাতে তা ভাগ করে নেয়। আর লোকসান হ’লে অংশীদারগণ নিজ নিজ পুঁজির আনুপাতিক হারে তা বহন করে।[14]
হালাল ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বরূপ :
ব্যবসা হালাল হওয়ার জন্য কতিপয় বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে এবং সেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। অন্যথা ব্যবসা বৈধ হবে না। এখানে সংক্ষেপে সেগুলি আলোচনা করা হ’ল।
সততা : সততা, আমানতদারী ও বিশ্বস্ততা ব্যবসা হালাল হওয়ার পূর্বশর্ত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, إن التجار يحشرون يوم القيامة فجارا إلا من اتقى وبر وصدق  ‘ক্বিয়ামতের দিন ব্যবসায়ীরা মহা অপরাধী হিসাবে উত্থিত হবে। তবে যারা আল্লাহকে ভয় করবে, সততা ও ন্যায় নিষ্ঠার সাথে ব্যবসা করবে তারা ব্যতীত’।[15]
মূল্য নির্ধারণ : মূল্য নির্ধারণ বলতে পণ্যের এমন একটি নির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণ বুঝায়, যাতে লভ্যাংশ থাকবে যেন পণ্যের মালিক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, আবার উক্ত পণ্যের ভোক্তাদের জন্যও কষ্টসাধ্য না হয়।
আনাস (রাঃ) বলেন, غَلاَ السِّعْرُ عَلَى عَهْدِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ سَعِّرْ لَنَا. فَقَالَ إِنَّ اللهَ هُوَ الْمُسَعِّرُ الْقَابِضُ الْبَاسِطُ الرَّزَّاقُ وَإِنِّىْ لأَرْجُو أَنْ أَلْقَى رَبِّىْ وَلَيْسَ أَحَدٌ مِنْكُمْ يَطْلُبُنِىْ بِمَظْلَمَةٍ فِىْ دَمٍ وَلاَ مَالٍ- ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যুগে (একবার পণ্যের) মূল্য বেড়ে গেল। তখন ছাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আমাদের জন্য মূল্য নির্ধারণ করে দিন। তখন তিনি বললেন, নিঃসন্দেহে আল্লাহই হচ্ছেন মূল্য নির্ধারণকারী; তিনি সঙ্কোচনকারী, সম্প্রসারণকারী ও রিযিকদাতা। আর আমি অবশ্যই এমন এক অবস্থায় আমার রবের সাথে সাক্ষাৎ করার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করি যাতে তোমাদের মধ্য থেকে কেউ আমার বিরুদ্ধে রক্ত (প্রাণ) ও সম্পদ সম্পর্কে যুলুমের অভিযোগ উত্থাপন করতে না পারে’।[16]
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, এক ব্যক্তি এসে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আমাদের দ্রব্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিন। তখন তিনি বললেন, بَلِ اللهُ يَخْفِضُ وَيَرْفَعُ وَإِنِّىْ لأَرْجُو أَنْ أَلْقَى اللهَ وَلَيْسَ لأَحَدٍ عِنْدِىْ مَظْلَمَةٌ  ‘বরং আল্লাহই সঙ্কোচন-সম্প্রসারণ করেন। আমি অবশ্যই এমতাবস্থায় আল্লাহর সাথে মিলিত হ’তে চাই যে, আমার পক্ষ থেকে কারো প্রতি সামান্যতম যুলুমও থাকবে না’।[17]
ইমাম শাফেঈ (রহঃ) তাঁর ‘কিতাবুল উম্ম’-এ ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হ’তে বর্ণনা করেন, তিনি একদা বাজারে হাতিব ইবনে আবী বালতা‘আর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন, তার কাছে ছিল কিসমিস ভর্তি দু’টি বস্তা। তখন ওমর (রাঃ) তার দাম জিজ্ঞেস করলেন। উত্তরে হাতিব (রাঃ) বললেন, এক দিরহাম। ওমর (রাঃ) বললেন, তায়েফ থেকে কিসমিস নিয়ে আসা একটি কাফেলার ব্যাপারে অবগত হ’লাম, তারা তোমাকে মূল্যে ঠকাচ্ছে। অর্থাৎ তারা এর চেয়ে বেশী দামে বিক্রি করছে। অতএব তুমি দাম বাড়িয়ে দাও অথবা বাড়ীতে গিয়ে যেভাবে ইচ্ছে বিক্রি কর। এ কথা শুনে হাতিব (রাঃ) বাড়ী চলে গেলেন। অতঃপর ওমর (রাঃ) বিষয়টি চিন্তা করে হাতিব (রাঃ)-এর বাড়ীতে আসলেন এবং তাকে বললেন, আমি তোমাকে যেটা বলেছিলাম সেটা শাসক হিসাবে, যা অবশ্য পালনীয় নয়; বরং এর মাধ্যমে আমি দেশবাসীর কল্যাণ চেয়েছিলাম। সুতরাং তুমি যেভাবে এবং যে দামে ইচ্ছা বিক্রি কর।[18]
ইমাম শাওকানী (রহঃ) বলেন, দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হারাম। কারণ তা যুলুমের নামান্তর। কেননা মানুষ তার সম্পদের উপর কর্তৃত্বের অধিকারী অথচ দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করে দেয়াটা এর প্রতিবন্ধক স্বরূপ। রাষ্ট্রপ্রধান জনগণের কল্যাণ হেতু দ্রব্যমূল্য কম রাখার ও উৎপাদন বৃদ্ধির যাবতীয় ব্যবস্থা করবে, এটাই তার বড় দায়িত্ব।[19]
লাভের পরিমাণ : কোন পণ্যে কত লাভ করা যাবে এরূপ কোন নির্দেশনা কুরআন-হাদীছে পাওয়া যায় না। আবার সকল পণ্যে এক রকম লাভ করা যাবে না এরূপ কোন নিষেধাজ্ঞাও নেই। আসলে শরী‘আতে বিষয়টিকে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। কারণ লাভ নির্ণয়ের বিষয়টি নির্ভর করে স্থান-কাল-পাত্র ভেদে পরিস্থিতি-পরিবেশের উপর। তবে লাভের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সীমা সম্পর্কে একটা ধারণা আমরা হাদীছ থেকে লাভ করতে পারি। উরওয়া ইবনে আবিল জাদ আল-বারেকী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
عَرَضَ لِلنَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم جَلَبٌ فَأَعْطَانِى دِيْنَاراً وَقَالَ أَىْ عُرْوَةُ ائْتِ الْجَلَبَ فَاشْتَرِ لَنَا شَاةً. فَأَتَيْتُ الْجَلَبَ فَسَاوَمْتُ صَاحِبَهُ فَاشْتَرَيْتُ مِنْهُ شَاتَيْنِ بِدِيْنَارٍ فَجِئْتُ أَسُوْقُهُمَا أَوْ قَالَ أَقُوْدُهُمَا فَلَقِيَنِىْ رَجُلٌ فَسَاوَمَنِىْ فَأَبِيْعُهُ شَاةً بِدِيْنَارٍ فَجِئْتُ بِالدِّيْنَارِ وَجِئْتُ بِالشَّاةِ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ هَذَا دِيْنَارُكُمْ وَهَذِهِ شَاتُكُمْ. قَالَ وَصَنَعْتَ كَيْفَ. قَالَ فَحَدَّثْتُهُ الْحَدِيْثَ فَقَالَ اللَّهُمَّ بَارِكْ لَهُ فِىْ صَفْقَةِ يَمِيْنِهِ.
‘নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট পশুর একটি চালানের সংবাদ আসল। তিনি আমাকে একটি দীনার দিয়ে বললেন, উরওয়া! তুমি চালানটির নিকট যাও এবং আমাদের জন্য একটি বকরী ক্রয় করে নিয়ে আস। তখন আমি চালানটির কাছে গেলাম এবং চালানের মালিকের সাথে দরদাম করে এক দীনার দিয়ে দুইটি বকরী ক্রয় করলাম। বকরী দু’টি নিয়ে আসার পথে এক লোকের সাথে দেখা হয়। লোকটি আমার থেকে বকরী ক্রয় করার জন্য আমার সাথে দরদাম করল। তখন আমি তার নিকট এক দীনারের বিনিময়ে একটি বকরী বিক্রয় করলাম এবং একটি বকরী ও একটি দীনার নিয়ে চলে এলাম। তখন আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! এই হচ্ছে আপনার দীনার এবং এই হচ্ছে আপনার বকরী। তখন রাসূল (ছাঃ) বললেন, এটা করলে কিভাবে? উরওয়া বলেন, আমি তখন তাঁকে ঘটনাটি বললাম। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, হে আল্লাহ! আপনি তার হাতের লেন-দেনে বরকত দিন’।[20]
উল্লেখ্য, উক্ত ছাহাবী রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর পক্ষে ১০০% লাভ করা সত্ত্বেও রাসূল (ছাঃ) তার জন্য বরকতের দো‘আ করেছেন এবং এ দো‘আর ফলে উক্ত ছাহাবী জীবনে প্রচুর বরকত লাভে ধন্য হয়েছেন। বুখারীর বর্ণনায় এসেছে, উক্ত ছাহাবী মাটি ক্রয় করলেও তাতে লাভ হ’ত। সুতরাং মজুতদারী না করে, প্রতারণার আশ্রয় না নিয়ে ক্রেতার স্বাভাবিক ও স্বেচ্ছা সম্মতির ভিত্তিতে কোন পণ্য বিক্রি করে বিক্রেতা ১০০% লাভ করলেও শরী‘আতে কোন বাধা নেই। তবে এক্ষেত্রে ক্রেতা বা ভোক্তা যেন যুলুমের শিকার না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা যরূরী।
লাভের সর্বনিম্ন সীমা সম্পর্কে ইসলামী চিন্তাবিদগণ বলেছেন, সম্পদ ব্যবসায় বিনিয়োগ করলে কমপক্ষে এতটুকু লাভ করা যায় যাতে ব্যবসায়ীর পরিবারের ভরণ-পোষণ, ব্যবসার কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদান ও ২.৫% যাকাত দেয়ার পর মূলধন অক্ষত থাকে। তবে ব্যবসা-বাণিজ্য ও পাওনা আদায়ের ক্ষেত্রে মানুষের সাথে দয়ার্দ্র, নম্র ও সদ্ব্যবহার পূর্বক ন্যায্য মূল্য গ্রহণ করা অত্যন্ত নেক কাজ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, رَحِمَ اللهُ رَجُلاً سَمْحًا إِذَا بَاعَ، وَإِذَا اشْتَرَى، وَإِذَا اقْتَضَى  ‘আল্লাহ ঐ মহানুভব মানুষের প্রতি দয়া করেন, যে ক্রয়-বিক্রয়ে এবং নিজের পাওনা আদায়ে নম্রতা ও সহনশীলতা প্রদর্শন করে’।[21]

                                             হারাম দ্রব্যের ব্যবসাও হারাম :
আল্লাহ তা‘আলা মদ, মৃত প্রাণী, রক্ত, প্রতিমা এবং শূকরের গোশত প্রভৃতি হারাম করেছেন। তিনি বলেন, حُرِّمَتْ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةُ وَالدَّمُ وَلَحْمُ الْخِنْزِيْرِ  ‘তোমাদের প্রতি মৃতপ্রাণী, রক্ত, শূকরের গোশত হারাম করা হয়েছে’ (মায়েদাহ ৫/৩)।
অন্যত্র তিনি বলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالْأَنْصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوْهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ ‘হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য নির্ধারক শরসমূহ শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ কিছুই নয়। অতএব এগুলো থেকে বিরত থাক, যাতে তোমরা সফলকাম হও’ (মায়েদাহ ৫/৯০)।
আল্লাহ তা‘আলা যেসব দ্রব্য হারাম করেছেন, সেসব দ্রব্যের ব্যবসাও হারাম করেছেন। জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে মক্কা বিজয়ের বছর এবং মক্কা থাকাবস্থায় বলতে শুনেছেন, তিনি বলেছেন,
إِنَّ اللهَ وَرَسُوْلَهُ حَرَّمَ بَيْعَ الْخَمْرِ وَالْمَيْتَةِ وَالْخِنْزِيْرِ وَالأَصْنَامِ. فَقِيْلَ يَا رَسُوْلَ اللهِ، أَرَأَيْتَ شُحُوْمَ الْمَيْتَةِ فَإِنَّهَا يُطْلَى بِهَا السُّفُنُ، وَيُدْهَنُ بِهَا الْجُلُوْدُ، وَيَسْتَصْبِحُ بِهَا النَّاسُ. فَقَالَ  لاَ، هُوَ حَرَامٌ. ثُمَّ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ ذَلِكَ قَاتَلَ اللهُ الْيَهُوْدَ، إِنَّ اللهَ لَمَّا حَرَّمَ شُحُوْمَهَا جَمَلُوْهُ ثُمَّ بَاعُوْهُ فَأَكَلُوْا ثَمَنَهُ.
‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর রাসূল মদ, মৃত দেহ, শূকর ও প্রতিমা বেচা-কেনাকে হারাম করেছেন। তখন বলা হ’ল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আপনি কি মনে করেন যে, লোকেরা মৃত পশুর চর্বি দ্বারা নৌকায় প্রলেপ দেয়, তা দিয়ে চামড়ায় বার্ণিশ করে এবং লোকেরা তা চকচকে করার কাজে ব্যবহার করে? তখন তিনি বললেন, না, তা হারাম। অতঃপর তিনি বললেন, আল্লাহ তা‘আলা ইহুদীদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দেন, কারণ মহান আল্লাহ তাদের জন্য চর্বি হারাম করেছেন অথচ তারা একে গলিয়ে নেয় এবং তা বিক্রি করে ও তার মূল্য ভক্ষণ করে’।[22] অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, لَعَنَ اللهُ الْخَمْرَ وَشَارِبَهَا وَسَاقِيَهَا وَبَائِعَهَا وَمُبْتَاعَهَا وَعَاصِرَهَا وَمُعْتَصِرَهَا وَحَامِلَهَا وَالْمَحْمُوْلَةَ إِلَيْهِ ‘আল্লাহ লা‘নত বর্ষণ করেন মদের উপর এবং যে তা পান করে, যে তা পরিবেশন করে, যে তা বিক্রি করে, যে তা ক্রয় করে, যে তার নির্যাস তৈরী করে, যার জন্য নির্যাস তৈরী করা হয়, যে তা বহন করে আর যার কাছে বহন করে নিয়ে যাওয়া হয় সবার উপর’।[23]
বায়‘উল ঈনা তথা পাতানো ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ :
ইসলামী শরী‘আত বায়‘উল ঈনা তথা পাতানো ক্রয়-বিক্রয়কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। বায়‘উল ঈনার প্রকৃতি সম্পর্কে শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেছেন,
والعينة ان يبيع ثيئا إلى غيره بثمن معين (مائة وعشريث ريمنار مثلا) إلى اجل (سنة مثلا) ويسلمه إلى المشترى ثم يشتريه قبل قبض الثمن بثمن اقلى من ذلك القدر (بمائة مثلا) يدفعه نقدًا-

* প্রধান মুহাদ্দিছ, বেলটিয়া কামিল মাদরাসা, জামালপুর।
[1]. মুসলিম, মিশকাত হা/২৭৬০।
[2]. মুফতী মুহাম্মদ শফী, তাফসীর মা‘আরেফুল কুরআন, অনুবাদ ও সম্পাদনা: মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, ২৪৪ পৃঃ।
[3]. আহমাদ, মিশকাত হা/২৭৮৩, সিলসিলা ছহীহাহ হা/৬০৭।
[4]. কুরতুবী, আল-জামি লিআহকামিল কুরআন (কায়রো: দারুশ শাব, ১৯৭২) ১৯/৫৬ পৃঃ।
[5]. বাক্বারাহ ২/১৬, ২৮২; নিসা ৪/২৯; তওবা ৯/২৪; নূর ২৪/৩৭; ফাতির ৩৫/২৯; ছফ ৬১/১০; জুম‘আহ ৬২/১১।
[6]. বাক্বারাহ ২৫৪, ২৭৫; তওবা ৯/১১১; ইবরাহীম ১৪/৩১; হজ্জ ২২/৪০; নূর ২৪/৩৭; জুম‘আ ৬২/৯।
[7]. বাক্বারাহ ৪১, ৮৬, ৯০, ১০২, ১৭৫, ২০৭; আলে ইমরান ১৭৭ ও ১৮৭; নিসা ৭৪; মায়েদাহ ৪৪; তাওবা ৯, ১১১; ইউসুফ ২০, ২১।
[8]. বুখারী হা/২২৩৯; মুসলিম হা/১৬০৪।
[9]. আব্দুর রহমান আল-জাযায়রী, কিতাবুল ফিকহ আলাল মাযাহিবিল আরবা‘আহ (বৈরুত : দারুল ইলামিয়্যাহ, তা.বি), ৩/৩৪; শাহ ওয়ালী উল্লাহ, হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা (বৈরুত : দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, তা.বি.) ২/১১৬।
[10]. মুওয়াত্ত্বা হা/২৫৩৫, দারাকুৎনী হা/৩০৭৭, ইরওয়াউল গালীল হা/১৪৭২, ৫/২৯২ পৃঃ; বুলূগুল মারাম হা/৮৯৫।
[11]. ইমাম শামসুদ্দীন আস-সারাখসী, আল-মাবসূত (বৈরুত : দারুল মা‘রিফাহ, ১৪১৪ হিঃ/১৯৯৩ ইং), ২২/১৮ পৃঃ।
[12]. আলী আল-খাফীফ, আশ-শিরকাতু ফী ফিকহিল ইসলামী (কায়রো : দারুন নশর, ১৯৬২ ইং), ৭৪ পৃঃ।
[13]. সা‘দী আবু হাবীব, আল-কামূসুল ফিকহ (পকিস্তান : ইদারাতুল কুরআন ওয়াল উলূমিল ইসলামিয়্যাহ, তাবি), ১৯৫ পৃঃ; মুফতী মুহাম্মাদ তাক্বী উছমানী, অনুঃ মুফতী মুহাম্মাদ জাবের হোসাইন, ইসলামী ব্যাংকিং ও অর্থায়ন পদ্ধতি : সমস্যা ও সমাধান, (ঢাকা : মাকতাবাতুল আশরাফ, ২০০৫ ইং), ২৭ পৃঃ।
[14]. আবুদাঊদ হা/৪৮৩৬, সনদ ছহীহ, বুলূগুল মারাম হা/৮৭০, নায়লুল আওত্বার হা/২৩৩৪-৩৫।
[15]. তিরমিযী হা/১২১০, ইবনু মাজাহ হা/২১৪৬, ছহীহাহ হা/১৪৫৮, মিশকাত হা/২৬৭৭।
[16]. তিরমিযী, মুসনাদে আহমাদ হা/১২৬১৯।
[17]. আবূদাঊদ হা/৩৪৫০; ছহীহুল জামে‘ হা/২৮৩৬।
[18]. ইমাম শাফেঈ (রহঃ), আল-উম্ম (কায়রো: দারুশ সাউব, ১৯৬৯), ২/২০৯ পৃঃ; মুছান্নাফ আব্দুর রায্যাক হা/১৪৯০৬, ৮/২০৭।
[19]. ইমাম শাওকানী (রহঃ), নায়লুল আওত্বার (কায়রো : মাকতাবাতুল হালাবী, ১৩৯১ হিঃ) ৫/৩৩৫।
[20]. বুখারী হা/৩৬৪২; আবূদাঊদ হা/৩৩৮৪; তিরমিযী হা/১২৫৮।
[21]. বুখারী হা/২০৭৬ ‘ক্রয়-বিক্রয়’ অধ্যায়; ইবনু মাজাহ হা/২২০৩; মিশকাত হা/২৭৯০।
[22]. বুখারী হা/২২৩৬; মুসলিম হা/১৫৮১; মিশকাত হা/২৭৬৬।
[23]. আবু দাঊদ হা/৩৬৭৪; মিশকাত হা/২৭৭৭; ছহীহুল জামে‘ হা/৫০৯১।


                      পরিমাপে কম-বেশী করা  নিষিদ্ধ :


পণ্য সামগ্রী  ক্রয়-বিক্রয়ের সময় ক্রেতাকে পরিমাপে কম দেয়া কিংবা মেপে নেয়ার সময় বেশী নেয়াকে  ইসলাম নিষিদ্ধ করেছে। কুরআন-হাদীছে এহেন কর্মকে অত্যন্ত নিন্দনীয় ও পরকালীন  দুর্ভোগের কারণ বলা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَيْلٌ  لِّلْمُطَفِّفِيْنَ، الَّذِيْنَ  إِذَا اكْتَالُواْ عَلَى النَّاسِ  يَسْتَوْفُوْنَ، وَإِذَا كَالُوْهُمْ  أَو وَّزَنُوْهُمْ يُخْسِرُوْنَ، أَلَا يَظُنُّ  أُولَئِكَ أَنَّهُم مَّبْعُوْثُوْنَ، لِيَوْمٍ  عَظِيْمٍ،  يَوْمَ يَقُوْمُ النَّاسُ لِرَبِّ الْعَالَمِيْنَ- ‘দুর্ভোগ তাদের জন্য যারা মাপে কম দেয়। যারা লোকদের কাছ থেকে মেপে নেয়ার  সময় পূর্ণমাত্রায় নেয়। আর যখন লোকদের মেপে দেয়, তখন কম দেয়। তারা কি চিন্তা করে না  যে, তারা পুনরুত্থিত হবে? সেই মহা দিবসে। যেদিন মানুষ দন্ডায়মান হবে বিশ্বপালকের সম্মুখে’ (মুতাফফিফীন ৮৩/১-৬)। তিনি আরও বলেন, وَالسَّمَاءَ رَفَعَهَا  وَوَضَعَ الْمِيْزَانَ،  أَلَّا تَطْغَوْا فِي الْمِيْزَانِ،  وَأَقِيْمُوا الْوَزْنَ بِالْقِسْطِ  وَلاَ تُخْسِرُوا الْمِيْزَانَ- ‘তিনি আকাশকে করেছেন সমুন্নত এবং স্থাপন করেছেন তুলাদন্ড (দাঁড়িপাল্লা)।  যাতে তোমরা সীমালংঘন না কর তুলাদন্ডে। তোমরা ন্যায্য ওযন কায়েম কর এবং ওযনে কম দিও  না’ (রহমান ৫৫/৭-৯)। অন্যত্র তিনি আরও বলেন, وَأَوْفُوا الْكَيْلَ وَالْمِيْزَانَ بِالْقِسْطِ  لاَ نُكَلِّفُ نَفْساً إِلاَّ  وُسْعَهَا ‘তোমরা মাপ ও  ওযন পূর্ণ করে দাও ন্যায়নিষ্ঠার সাথে। আমরা কাউকে তার সাধ্যের অতিরিক্ত কষ্ট দেই  না’ (আন‘আম ৫/১৫২)।

তিনি আরও বলেন, وَأَوْفُوا الْكَيْلَ إِذَا كِلْتُمْ وَزِنُواْ بِالقِسْطَاسِ الْمُسْتَقِيْمِ ذَلِكَ خَيْرٌ  وَأَحْسَنُ تَأْوِيْلاً ‘তোমরা মেপে দেয়ার সময় মাপ পূর্ণ করে দাও এবং সঠিক  দাঁড়িপাল্লায় ওযন কর। এটাই উত্তম ও পরিণামের দিক দিয়ে শুভ’ (বনী ইসরাঈল ১৭/৩৫)।

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,

خَمْسٌ بِخَمْسٍ: مَا نَقَضَ قَوْمٌ الْعَهْدَ  إِلاَّ سَلَّطَ اللهُ عَلَيْهِمْ عَدُوَّهُمْ  وَمَا حَكَمُوْا بِغَيْرِ مَا أَنْزَلَ  اللهُ إِلاَّ فَشَا فِيْهِمُ الْفَقْرُ  وَمَا ظَهَرَتْ فِيْهِمُ الْفَاحِشَةُ إِلاَّ فَشَا فِيْهِمُ الْمَوْتُ  (أَوْ إِلاَّ ظَهَرَ فِيْهِمُ الطَّاعُوْنُ) ولا طَفَّفُوا  المِكْيالَ إلا مُنِعُوا النَّباتَ وأُخِذُوا بالسِّنِينَ ولا مَنَعُوا الزَّكاةَ إلا  حُبِسَ عَنْهُمُ  الْمَطَرُ–



                   ‘পাঁচটি বস্ত্ত পাঁচটি  বস্ত্তর কারণে হয়ে থাকে-
 (১) কোন কওম চুক্তিভঙ্গ করলে আল্লাহ তাদের উপর তাদের  শত্রুকে বিজয়ী করে দেন। (২) কেউ আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানের বাইরে ফায়ছালা দিলে  তাদের মধ্যে দারিদ্র্য ছড়িয়ে পড়ে। (৩) কোন সম্প্রদায়ের মধ্যে অশ্লীল কাজ বিস্তৃত হ’লে  তাদের মধ্যে মৃত্যু অর্থাৎ মহামারী ছড়িয়ে পড়ে। (৪) কেউ মাপে বা ওযনে কম দিলে তাদের  জন্য খাদ্যশস্যের উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া হয় এবং দুর্ভিক্ষ তাদের গ্রাস করে। (৫) কেউ  যাকাত দেয়া বন্ধ করলে তাদের থেকে বৃষ্টি বন্ধ করে দেয়া হয়’।[1]

আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর  (রাঃ) যখন বাজারে যেতেন, তখন বিক্রেতাদের উদ্দেশ্যে বলতেন, اِتَّقِ اللهَ وَأَوْفِ الْكَيْلَ وَالْوَزْنَ بِالْقِسْطِ فَاِنَّ الْمُطَفِّفِيْنَ يَوْمَ  الْقِيَامَةِ يُوْقَفُوْنَ  حَتَّى إِنَّ الْعَرَقَ لَيُلْجِمُهُمْ  إِلَى أَنْصَافِ آذَانِهِمْ ‘আল্লাহকে ভয় কর। মাপ ও ওযন ন্যায্যভাবে কর। কেননা মাপে কম দানকারীরা  ক্বিয়ামতের দিন দন্ডায়মান থাকবে এমন অবস্থায় যে, ঘামে তাদের কানের অর্ধেক পর্যন্ত  ডুবে যাবে’।[2]

                                                     প্রতারণা বা ধোঁকা  নিষিদ্ধ :

মানুষ মানুষকে ঠকানোর  জন্য যেসব পদ্ধতি ও কৌশল অবলম্বন করে থাকে তন্মধ্যে অন্যতম হ’ল প্রতারণা-ধোঁকা।  এটি একটি জঘন্য অপরাধ। এর দ্বারা মানব সমাজে সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়। ইসলাম  ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ধোঁকা দিয়ে অর্থোপার্জন নিষিদ্ধ করেছে। আবু হুরায়রা  (রাঃ) বলেন,

أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّ عَلَى صُبْرَةِ طَعَامٍ  فَأَدْخَلَ يَدَهُ فِيْهَا فَنَالَتْ أَصَابِعُهُ بَلَلاً فَقَالَ: مَا هَذَا يَا صَاحِبَ  الطَّعَامِ. قَالَ أَصَابَتْهُ السَّمَاءُ يَا رَسُوْلَ اللهِ. قَالَ أَفَلاَ جَعَلْتَهُ  فَوْقَ الطَّعَامِ كَىْ يَرَاهُ النَّاسُ مَنْ غَشَّ فَلَيْسَ مِنِّىْ.

‘একদা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একটি খাদ্য স্তূপের পাশ দিয়ে  যাচ্ছিলেন। তিনি খাদ্য স্তূপের ভেতর হাত ঢুকিয়ে দিয়ে তাঁর হাত ভিজা পেলেন। তখন  তিনি বললেন, হে খাদ্যের মালিক! ব্যাপার কি? উত্তরে খাদ্যের মালিক বললেন, হে  আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! বৃষ্টিতে ভিজে গেছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে বললেন, তাহ’লে ভিজা  অংশটা শস্যের উপরে রাখলে না কেন? যাতে ক্রেতা তা দেখে ক্রয় করতে পারে। যে প্রতারণা  করে, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়’।[3]

সুতরাং ধোঁকা-প্রতারণা  বর্জন করা শুধু ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রেই ফরয নয়, বরং প্রত্যেক কারবারে এবং  শিল্পকর্মের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। কারণ ধোঁকাবাজি ও প্রতারণা সর্বাবস্থায় ও  সর্বক্ষেত্রেই হারাম।

উল্লেখ্য, যেসব পণ্যে  বিভিন্ন কারণে দোষ-ত্রুটি থেকে যায় সেগুলো গোপন রেখে বা কৌশলে তা বিক্রি করা  ইসলামে নিষিদ্ধ। এক্ষেত্রে ইসলামের বিধান হচ্ছে ক্রেতাকে উক্ত দোষ-ত্রুটি সম্পর্কে  জানাতে হবে। বিক্রয়ের সময় পণ্যের দোষ-ত্রুটি বলে দেয়া না হ’লে তা হালাল হবে না। আর  জানা সত্ত্বেও বিক্রেতা যদি না বলে তাহ’লে তা তার জন্য হালাল নয়।[4]

এ ব্যাপারে হাসান ইবনে  ছালেহ এর ক্রীতদাসী বিক্রয়ের ঘটনাটি একটি অনন্য উদাহরণ। তিনি একটি ক্রীতদাসী  বিক্রয় করলেন। ক্রেতাকে বললেন, মেয়েটি একবার থুথুর সাথে রক্ত ফেলেছিল। তা ছিল  মাত্র একবারের ঘটনা। কিন্তু তা সত্ত্বেও তার ঈমানী হৃদয় তা উল্লেখ না করে চুপ  থাকতে পারল না, যদিও তাতে মূল্য কম হওয়ার আশংকা ছিল।[5]

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)  বলেছেন,

اَلْبَيِّعَانِ  بِالْخِيَارِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا، فَإِنْ صَدَقَا وَبَيَّنَا بُوْرِكَ لَهُمَا فِىْ  بَيْعِهِمَا، وَإِنْ كَذَبَا وَكَتَمَا مُحِقَتْ بَرَكَةُ بَيْعِهِمَا-

‘ক্রেতা-বিক্রেতা যতক্ষণ  বিচ্ছিন্ন হয়ে না যায়, ততক্ষণ তাদের চুক্তি ভঙ্গ করার এখতিয়ার থাকবে। যদি তারা  উভয়েই সততা অবলম্বন করে এবং পণ্যের দোষ-ত্রুটি প্রকাশ করে, তাহ’লে তাদের  ক্রয়-বিক্রয়ে বরকত হবে। আর যদি তারা মিথ্যার আশ্রয় গ্রহণ করে এবং পণ্যের দোষ গোপন  করে, তাহ’লে তাদের এ ক্রয়-বিক্রয়ে বরকত দূর হয়ে যাবে’।[6]

পশুর স্তনে দুধ জমিয়ে রেখে ক্রেতাকে অধিক দুধাল গাভী হিসাবে বুঝিয়ে বিক্রি  করা প্রতারণার শামিল। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,مَنِ ابْتَاعَ شَاةً مُصَرَّاةً فَهُوَ  فِيْهَا بِالْخِيَارِ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ إِنْ شَاءَ أَمْسَكَهَا وَإِنْ شَاءَ رَدَّهَا  وَرَدَّ مَعَهَا صَاعًا مِنْ تَمْرٍ  ‘যে ব্যক্তি দুধ আটকে রাখা বকরী ক্রয় করেছে সে তিন দিনের মধ্যে এটির  ব্যাপারে (সিদ্ধান্ত গ্রহণের) এখতিয়ার রাখে। আর তা হচ্ছে যদি সে চায় তো সেটিকে  রেখে দিবে, অথবা ফিরিয়ে দিবে এক ছা‘ পরিমাণ খেজুরসহ।[7]

                                           এম.এল.এম ব্যবসা

একুশ শতকের প্রতারণার এক  নতুন ফাঁদ হ’ল মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এম.এল.এম ব্যবসা)। এম.এল.এম ব্যবসার  সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, MLM is  like a train with no brakes and no engineer headed full throttle towards a  termial. অর্থাৎ ‘সর্বোচ্চ গতিতে স্টেশনমুখী একটি ট্রেনের মত যার  কোন ব্রেক নেই, নেই কোন চালক’।[8]

ব্রেকবিহীন গাড়ী যেমন যে  কোন মুহূর্তে এ্যাকসিডেন্ট করতে পারে, মাঝিবিহীন নৌকা যেমন অপ্রত্যাশিত স্থানে চলে  যেতে পারে, মাল্টি লেভেল ব্যবসাও ঠিক তদ্রূপ। যা তার সংজ্ঞা থেকেই জানা যায়। আর  বাস্তবতাও তাই। এ প্রতারণার জাজবল্যমান উদাহরণ হ’ল ‘ডেসটিনি-২০০০ প্রাইভেট লিঃ’ ও ‘যুবক’  যা অগণিত মানুষের শেষ সম্বলটুকুও চুষে নিয়ে নিঃস্ব করে ছেড়েছে।

সঊদী আরবের জাতীয় গবেষণা  ও ফৎওয়া বিভাগের স্থায়ী কমিটি (লাজনা দায়েমাহ) এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে যে,  পিরামিড স্কীম, নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বা এমএলএম যে নামেই হোক না কেন এ ধরনের সকল  প্রকার লেনদেন নিষিদ্ধ। কেননা এর উদ্দেশ্য হ’ল কোম্পানীর জন্য নতুন নতুন সদস্য  সৃষ্টির মাধ্যমে কমিশন লাভ করা, পণ্যটি বিক্রি করে লভ্যাংশ গ্রহণ করা নয়। এ কারবার  থেকে বহুগুণ কমিশন লাভের প্রলোভন দেখানো হয়। স্বল্পমূল্যের একটি পণ্যের বিনিময়ে  এরূপ অস্বাভাবিক লাভ যে কোন মানুষকে প্ররোচিত করবে। আর এতে ক্রেতা-পরিবেশকদের  মাধ্যমে কোম্পানী এক বিরাট লাভের দেখা পায়। মূলতঃ পণ্যটি হ’ল কোম্পানীর কমিশন  লাভের হাতিয়ার মাত্র।[9]

একেক ব্যবসার প্রতারণার  কৌশল একেক রকম। যেমন পাট ব্যবসায়ীরা শুকনা পাটে পানি দিয়ে ওযন বাড়ায় ও নিম্নমানের  পাটে রং মিশিয়ে গুণগত মান বাড়ায়। চাউল ব্যবসায়ীরা মোটা চাউল মেশিনে সরু বানিয়ে  তাতে সেন্ট মিশিয়ে নামিদামী চিকন আতপ চাউল বানায়। ফল ব্যবসায়ীরা উপরে ভাল ফল  সাজিয়ে রেখে নীচ থেকে খারাপ ও পচা ফল ক্রেতাকে দিয়ে প্রতারণা করে।

                                                 ব্যবসায় দালালী :

ব্যবসা-বাণিজ্যে  প্রতারণার আরেক নাম হ’ল দালালী। দালালীর ফলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত  হয়। দালালীর মাধ্যমে কোন জিনিসের দাম ন্যায্য মূল্যের চেয়ে বাড়িয়ে বা কমিয়ে দেয়া  হয়। এমনও দেখা যায় যে, একই ব্যক্তি বিক্রেতার পক্ষেও দালালী করে আবার ক্রেতার  পক্ষেও দালালী করে এবং উভয়ের নিকট থেকেই কমিশন গ্রহণ করে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)  দালালীকে নিষিদ্ধ করে বলেছেন, وَلاَ تَنَاجَشُوْا ‘তোমরা দালালী কর না’।[10] জমি, ঘর-বাড়ী, গরু-ছাগল, পাইকারী দ্রব্যসামগ্রী বেচা-কেনায় দালালীর আধিক্য  লক্ষ্য করা যায়।

                                              মওজুদদারী :

মওজুদদারী, কালোবাজারী,  মুনাফাখোরী ইত্যাদি অত্যন্ত ঘৃণিত ও পাপ কাজ। এগুলোর মাধ্যমে বাজারে পণ্যের  কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়, হঠাৎ দ্রব্যের মূল্য আকাশচুম্বী হয়ে যায়, ক্রয়মূল্য  মানুষের সাধ্যের বাইরে চলে যায়। ফলে মানুষের ভোগান্তির শেষ থাকে না। তাই  রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, مَنِ احْتَكَرَ فَهُوَ خَاطِئٌ ‘যে ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্য গুদামজাত  করে, সে পাপিষ্ঠ’।[11] অন্যত্র তিনি বলেন, لاَ يَحْتَكِرُ إِلاَّ خَاطِئٌ ‘অপরাধী (পাপিষ্ঠ) ব্যক্তি ছাড়া  কেউ মওজুদদারী করে না’।[12]

                                                        মিথ্যা কসম :

ক্রয়-বিক্রয়ে মিথ্যা কসম  অত্যন্ত ঘৃণিত একটি কাজ। তাই মিথ্যা কসম পরিহার করা উচিত। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন,  আমি রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি,اَلْحَلِفُ مُنَفِّقَةٌ لِلسِّلْعَةِ  مُمْحِقَةٌ لِلْبَرَكَةِ   ‘কসম খাওয়ায়  মালের কাটতি বাড়ায়, কিন্তু বরকত কমে যায়’।[13] রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আরো বলেছেন,إِيَّاكُمْ وَكَثْرَةَ الْحَلِفِ فِى  الْبَيْعِ فَإِنَّهُ يُنَفِّقُ ثُمَّ يَمْحَقُ ‘ব্যবসায় অধিক কসম খাওয়া থেকে বিরত থাক। এর দ্বারা মাল বিক্রি বেশী হয়,  কিন্তু বরকত কমে যায়’।[14]

মিথ্যা কসমকারী ব্যবসায়ীর প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারী প্রদান পূর্বক রাসূলুল্লাহ  (ছাঃ) বলেছেন,

ثَلاَثَةٌ  لاَ يُكَلِّمُهُمُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلاَ يَنْظُرُ إِلَيْهِمْ وَلاَ يُزَكِّيْهِمْ  وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ، قَالَ أَبُو ذَرٍّ خَابُوْا وَخَسِرُوْا مَنْ هُمْ يَا رَسُوْلَ  اللهِ قَالَ الْمُسْبِلُ وَالْمَنَّانُ وَالْمُنَفِّقُ سِلْعَتَهُ بِالْحَلِفِ الْكَاذِبِ.

‘তিন শ্রেণীর লোকের সাথে আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামতের দিন কথা বলবেন না, তাদের  প্রতি দৃষ্টি দিবেন না এবং তাদেরকে পবিত্রও করবেন না। আর তাদের জন্য রয়েছে  যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। আবু যার (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! কারা ধ্বংসপ্রাপ্ত  ও ক্ষতিগ্রস্ত? তিনি বললেন, টাখনুর নীচে কাপড় পরিধানকারী, উপকার করে খোটা  প্রদানকারী এবং ঐ ব্যবসায়ী যে মিথ্যা কসম করে তার পণ্য বিক্রি করে’।[15]

                                                             খাদ্য ও ঔষধে ভেজাল :

বাংলাদেশে প্রায় প্রতিটি  খাদ্যদ্রব্য ও ঔষধে ভেজাল মেশানো হচ্ছে। মাছ-গোশত, শাক-সবজি, ফলমূল থেকে শুরু করে  মানুষের জীবন রক্ষাকারী ঔষধ পর্যন্ত ভেজালে সয়লাভ হয়ে গেছে। ২০০৯ সালের জুলাই মাসে  ‘রিড ফার্মা’ নামের একটি ঔষধ কোম্পানীর ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ খেয়ে ২৭টি শিশু  মারা যায়। এছাড়া অনেক কোম্পানীর ট্যাবলেট, ক্যাপসুল তৈরী হচ্ছে আটা-ময়দা বা  খড়িমাটি দিয়ে। সিরাপে দেয়া হচ্ছে কেমিক্যাল মিশানো রঙ। এমনকি ‘ভল্টারিন’-এর মত  নামকরা ব্যথানাশক ইনজেকশনের অ্যাম্পুলে ভরে দেয়া হচ্ছে স্রেফ ডিস্টিল্ড ওয়াটার।  বিভিন্ন নামি-দামী দেশী কোম্পানী এমনকি বিদেশী কোম্পানীর ঔষধও নকল করে চলছে অনেক  ঔষধ কোম্পানী লেভেল ও বোতল ঠিক রেখে! এভাবে বর্তমানে প্রায় ৪০০০ রকম নকল ঔষধ  বাজারে চলছে। সরল মনে এসব ঔষধ সেবন করে শরীরে দেখা দিচ্ছে উল্টো প্রতিক্রিয়া।  এভাবে অকালে ঝরে পড়ছে অনেক তরতাজা প্রাণ। ৯ জুলাই’১২ পত্রিকায় প্রকাশিত এক রিপোর্ট  মোতাবেক দেশে বর্তমানে ২৫৮টি এলোপ্যাথিক, ২২৪টি আয়ুর্বেদিক, ২৯৫টি ইউনানী ও ৭৭টি  হোমিওপ্যাথিসহ মোট ৮৫৪টি ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে’।[16]

বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য  অধিদফতর প্রকাশিত স্বাস্থ্য বুলেটিন ২০১১-তে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী গত এক দশক  ধরে বাজারে যেসব ভোগ্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে তার শতকরা ৫০ ভাগই ভেজাল মিশ্রিত। মহাখালী  জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের ফুড টেস্টিং ল্যাবরেটরীতে ২০০১ সাল থেকে ২০১০ সাল  পর্যন্ত রাজধানীসহ সারা দেশ থেকে নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, ভোগ্যপণ্যের  শতকরা ৪৮ ভাগই ভেজাল এবং ২০১০ সালে এর হার ছিল ৫২ ভাগ। উক্ত ল্যাবরেটরীর রিপোর্ট  মোতাবেক দেশের বিভিন্ন কোম্পানীর ঘি ও বাজারের মিষ্টির শতকরা ৯০ ভাগই ভেজাল যুক্ত।  তারা বলেন, মাছে ফরমালিন ও ফলমূলে হরহামেশা কার্বাইড, ইথাইনিল ও এথ্রিল মিশানো  হচ্ছে। কাঁঠাল, লিচু, আপেল, ডালিম, বেদানা, তরমুজ ইত্যাদি বিষাক্ত কেমিকেলে চুবিয়ে  উঠিয়ে সপ্তাহকাল তাযা রেখে বিক্রি করা হয়। আম, আনারস, লিচু, পেয়ারা, কলা ইত্যাদিতে  মুকুল আসার পর থেকে শুরু করে ৮/১০ বার বিষাক্ত কেমিক্যাল স্প্রে করা হয়। যা মানব  স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। অনেক ব্যবসায়ী শূকরের চর্বি দিয়ে সেমাই ভেজে ঘিয়ে  ভাজা টাটকা সেমাই বলে চালিয়ে দেয়। অনেক বেকারীতে পচা আটা, ময়দা, ডিম ব্যবহার করা  হয়। অনেক হোটেলে মরা গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগী, কুকুরের গোশত ইত্যাদি বিক্রি করা হয়।  অনেক ফার্মেসীতে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি করা হয়। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য দারুণ  ক্ষতিকর।[17]

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)  বলেছেন, لاَ ضَرَرَ وَلاَ ضِرَارَ ‘ক্ষতিগ্রস্ত হয়ো না এবং কারো ক্ষতি করো না’।[18]

                                কাছে না থাকা পণ্য  বিক্রয় না করা :

কোন পণ্য ক্রয় করার পর  নিজ আয়ত্বে আসার পূর্বে বিক্রি করতে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, مَنِ اشْتَرَى طَعَامًا فَلاَ  يَبِعْهُ حَتَّى يَسْتَوْفِيَهُ وَيَقْبِضَهُ ‘যে ব্যক্তি খাদ্যশস্য ক্রয় করেছে সে যেন তা  গ্রহণ ও তার উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পূর্বে বিক্রয় না করে’।[19]

                                           গাছে থাকা অপরিপক্ক ফল  বা শস্য বিক্রয় না করা :

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) গাছে থাকা অপরিপক্ক ফল বা ফসল পরিপক্ক না হওয়া পর্যন্ত  বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, أَنَّ رِسُوْلَ اللهِ صلى  الله عليه وسلم نَهَى عَنْ بَيْعِ النَّخْلِ حَتَّى يَزْهُوَ وَعَنِ السُّنْبُلِ حَتَّى  يَبْيَضَّ وَيَأْمَنَ الْعَاهَةَ نَهَى الْبَائِعَ وَالْمُشْتَرِىَ. ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) খেজুর গাছের ফল না পাকা  পর্যন্ত এবং দানা জাতীয় শস্যের ছড়া পেকে সাদা না হওয়া ও পোকা লাগা থেকে নিরাপদ না  হওয়া পর্যন্ত বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন। তিনি ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কেই নিষেধ  করেছেন’।[20]

অন্য বর্ণনায় এসেছে, نَهَى عَنْ بَيْعِ الثِّمَارِ  حَتَّى يَبْدُوَ صَلاَحُهَا، نَهَى الْبَائِعَ وَالْمُبْتَاعَ. ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ফল পরিপক্ক হওয়ার পূর্বে বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন।  তিনি বিক্রেতা ও ক্রেতা উভয়কেই নিষেধ করেছেন।[21] ইবনুল আরাবী বলেন, পরিপক্ক হওয়া মানে তার লাল বা হলুদ রং ধারণ করা’।[22]

                                         একজনের দামের উপর আরেকজন  দাম না করা :

ইসলাম সম্প্রীতি ও  ভ্রাতৃত্বের ধর্ম। তাই এক মুসলমানের সাথে অপর মুসলমানের সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব ও  সৌহার্দ্যের ক্ষেত্রে যাতে কোন বিঘ্ন সৃষ্টি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে।  বিধায় এক মুসলিমের দর-দামের উপর অপর মুসলমানকে দর-দাম করতে নিষেধ করা হয়েছে।  রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, لاَ  يَسُمِ الْمُسْلِمُ عَلَى سَوْمِ أَخِيهِ ‘কোন ব্যক্তি তার মুসলমান ভাইয়ের দর-দামের উপরে  দর-দাম করবে না’।[23]

তিনি আরও বলেছেন, لاَ يَبِعِ الرَّجُلُ عَلَى بَيْعِ أَخِيْهِ  وَلاَ يَخْطُبْ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيْهِ إِلاَّ أَنْ يَأْذَنَ لَهُ
‘কোন ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের ক্রয়-বিক্রয়ের উপরে ক্রয়-বিক্রয়ের কথা বলবে না এবং  মুসলিম ভাইয়ের বিবাহের প্রস্তাবের উপর নিজের প্রস্তাব দিবে না। হ্যাঁ, যদি ঐ ভাই  অনুমতি প্রদান করে তবে পারবে’।[24]

                                      অনুমানভিত্তিক  ক্রয়-বিক্রয় না করা :

অনুমানের উপর নির্ভর করে  ক্রয়-বিক্রয় করলে ক্রেতা বা বিক্রেতা যে কোন একজন ক্ষতিগ্রস্ত হ’তে পারে। তাই  রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) অনুমানভিত্তিক বা স্তূপ আকারে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে নিষেধ  করেছেন। জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, نَهَى عَنْ بَيْعِ الصُّبْرَةِ مِنَ التَّمْرِ  لاَ يُعْلَمُ مَكِيْلَتُهَا بِالْكَيْلِ الْمُسَمَّى مِنَ التَّمْرِ ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) খেজুর মাপার জন্য প্রচলিত  পরিমাপক দ্বারা না মেপে স্তূপ আকারে খেজুর বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন।[25]

                                                অগ্রগামী হয়ে  ক্রয়-বিক্রয় না করা :

বিক্রেতা বাজারে পেঁŠছতে না  পারলে সে বাজার দর সম্পর্কে অবগত হ’তে পারে না। এমতাবস্থায় পথিমধ্যে ক্রয়-বিক্রয়  করলে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই ক্রেতাকে বাজারে পৌঁছার পূর্বে  অগ্রগামী হয়ে পণ্য ক্রয় করতে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিষেধ করেছেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)  বলেছেন, وَلاَ  تَلَقَّوُا السِّلَعَ حَتَّى يُهْبَطَ بِهَا إِلَى السُّوْقِ ‘বিক্রির বস্ত্ত বাজারে উপস্থিত করার পূর্বে অগ্রগামী হয়ে তা ক্রয়ের জন্য  যাবে না’।[26] তিনি আরও বলেন,لاَ  تَلَقَّوُا الْجَلَبَ، فَمَنْ تَلَقَّاهُ فَاشْتَرَى مِنْهُ فَإِذَا أَتَى سَيِّدُهُ  السُّوْقَ فَهُوَ بِالْخِيَارِ. ‘যারা পণ্যদ্রব্য বাজারে বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসছে, এগিয়ে গিয়ে তাদের  সাথে মিলিত হবে না। যদি কেউ এমন করে এবং কোন বস্ত্ত ক্রয় করে, তবে ঐ বিক্রেতা  বাজারে পৌঁছার পর (উক্ত বিক্রয়কে বহাল রাখা বা ভঙ্গ করার) অবকাশ পাবে’।[27]

                         একই জাতীয় বস্ত্ত কমবেশী  করে বিনিময় করা নিষিদ্ধ :

একই জাতীয় বস্ত্ত কম-বেশী  করে বিক্রি করা নিষিদ্ধ, যা সূদের নামান্তর। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,

اَلذَّهَبُ بِالذَّهَبِ مِثْلاً بِمِثْلٍ  وَالْفِضَّةُ بِالْفِضَّةِ مِثْلاً بِمِثْلٍ وَالتَّمْرُ بِالتَّمْرِ مِثْلاً بِمِثْلٍ  وَالْبُرُّ بِالْبُرِّ مِثْلاً بِمِثْلٍ وَالْمِلْحُ بِالْمِلْحِ مِثْلاً بِمِثْلٍ  وَالشَّعِيرُ بِالشَّعِيرِ مِثْلاً بِمِثْلٍ فَمَنْ زَادَ أَوِ ازْدَادَ فَقَدْ أَرْبَى  بِيعُوا الذَّهَبَ بِالْفِضَّةِ كَيْفَ شِئْتُمْ يَدًا بِيَدٍ وَبِيعُوا الْبُرَّ بِالتَّمْرِ  كَيْفَ شِئْتُمْ يَدًا بِيَدٍ وَبِيعُوا الشَّعِيرَ بِالتَّمْرِ كَيْفَ شِئْتُمْ يَدًا  بِيَدٍ

‘স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ সমান  সমান, রৌপ্যের বিনিময়ে রৌপ্য সমান সমান, খেজুরের বিনিময়ে খেজুর সমান সমান, গমের  বিনিময়ে গম সমান সমান, লবণের বিনিময়ে লবণ সমান সমান, যবের বিনিময়ে যব সমান সমান  বিনিময় করা যাবে। এগুলো লেনদেনে যে ব্যক্তি বেশী দিল অথবা বেশী গ্রহণ করল, সে সূদে  লিপ্ত হ’ল। রুপার বিনিময়ে স্বর্ণ যেভাবে ইচ্ছা নগদে বিক্রি করতে পার। খেজুরের  বিনিময়ে গম যেভাবে ইচ্ছে নগদে বিক্রি করতে পার। খেজুরের বিনিময়ে যব যেভাবে ইচ্ছে  নগদে বিক্রি করতে পার’।[28]

বিষয়টি আরো সুস্পষ্ট  হয়েছে নিম্নোক্ত হাদীছে- আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বেলাল  (রাঃ) নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট উন্নতমানের কিছু খেজুর নিয়ে এলেন। তখন নবী করীম  (ছাঃ) তাকে বললেন, এগুলো কোথা থেকে এনেছ? বেলাল (রাঃ) জবাবে বললেন, আমাদের কিছু  নিম্নমানের খেজুর ছিল, সেগুলোর দুই ছা‘ দিয়ে এক ছা‘ ক্রয় করেছি। এটা করেছি নবী  করীম (ছাঃ)-কে খাওয়ানোর জন্য। তখন নবী করীম (ছাঃ) বললেন,

أَوَّهْ أَوَّهْ عَيْنُ الرِّبَا عَيْنُ  الرِّبَا، لاَ تَفْعَلْ، وَلَكِنْ إِذَا أَرَدْتَ أَنْ تَشْتَرِىَ فَبِعِ التَّمْرَ  بِبَيْعٍ آخَرَ ثُمَّ اشْتَرِهِ

‘ওহ! এটাই স্পষ্ট সূদ,  এটাই স্পষ্ট সূদ, এটা করো না। যদি উন্নত মানের খেজুর ক্রয় করতে চাও, তাহ’লে তোমার  কাছে যে খেজুর আছে তা প্রথমে বিক্রি করে দিবে। অতঃপর প্রাপ্ত মূল্য দিয়ে উন্নত  মানের খেজুর ক্রয় করবে’।[29]

                                    মুযাবানা পদ্ধতিতে  ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ :

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)  মুযাবানা পদ্ধতিতে ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন,

نَهَى  رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْمُزَابَنَةِ أَنْ يَبِيعَ ثَمَرَ حَائِطِهِ  إِنْ كَانَ نَخْلاً بِتَمْرٍ كَيْلاً، وَإِنْ كَانَ كَرْمًا أَنْ يَبِيْعَهُ بِزَبِيْبٍ  كَيْلاً وَإِنْ كَانَ زَرْعًا أَنْ يَبِيعَهُ بِكَيْلِ طَعَامٍ، وَنَهَى عَنْ ذَلِكَ  كُلِّهِ

‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মুযাবানা পদ্ধতিতে ক্রয়-বিক্রয় নিষেধ করেছেন। আর তা হ’ল  বাগানের ফল বিক্রয় করা। খেজুর হ’লে মেপে শুকনো খেজুরের বদলে, আঙ্গুর হ’লে মেপে  কিসমিসের বদলে, আর ফসল হলে মেপে খাদ্যের বদলে বিক্রি করা। তিনি এসব বিক্রি নিষেধ  করেছেন।[30]

পরিশেষে বলব, ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করা বৈধ ও উত্তম,  যদি সেটা হালাল উপায়ে সম্পন্ন হয়। হালাল ব্যবসার পদ্ধতি সম্যক অবগত হয়ে সে মোতাবেক  সকল কাজ সম্পন্ন করতে হবে। তাছাড়া যেসব কারণে ব্যবসা হারাম হ’তে পারে সেগুলি সর্বতোভাবে  বর্জন করার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। আল্লাহ আমাদের সকলকে তাওফীক্ব দান করুন- আমীন!

– কামারুযযামান বিন আব্দুল বারী

  [1]. কুরতুবী হা/৬২৬৫; ত্বাবারাণী কাবীর হা/১০৯৯২;  ছহীহুল জামে‘ হা/৩২৪০, সনদ হাসান।
  [2]. বুখারী হা/৪৯৩৮; মুসলিম হা/২৮৬২; কুরতুবী  হা/৬২৬৮।
  [3]. মুসলিম হা/১০২; তিরমিযী হা/১৩১৫; মিশকাত  হা/২৮৬০।
  [4]. ইউসুফ  আল-কারযাভী, ইসলামে হালাল-হারামের বিধান, অনুবাদ: মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম,  (ঢাকা : খায়রুন প্রকাশনী, ১৯৮৪ইং), পৃঃ ৩৬০।
  [5]. ঐ, পৃঃ ৩৪০।
  [6]. বুখারী হা/২০৭৯; মুসলিম হা/১৫৩২।
  [7]. মুসলিম হা/১৫২৪।
  [8]. WWW.  Vandruff. com/mlm.html
  [9]. মাসিক আত-তাহরীক, মার্চ’১২, ১/২০১ নং ফৎওয়া।
  [10]. বুখারী, মুসলিম, রিয়াযুছ ছালেহীন, হা/১৫৮১।
  [11]. মুসলিম হা/৪২০৬; মিশকাত হা/২৮৯২।
  [12]. মুসলিম হা/১৬০৫।
  [13]. মুত্তাফাক্ব আলাইহ, আবু দাঊদ হা/৩৩০২; মিশকাত  হা/২৭৯৪।
  [14]. মুসলিম, মিশকাত হা/২৭৯৩।
  [15]. মুসলিম হা/১০৫; মিশকাত হা/২৭৯৫।
  [16]. মাসিক আত-তাহরীক, আগস্ট ২০১২, পৃঃ ৭-৮।
  [17]. প্রাগুক্ত, পৃঃ ৮-৯।
  [18]. আহমাদ, ইবনু মাজাহ হা/২৩৪০, ছহীহাহ হা/২৫০।
  [19]. মুসলিম হা/১৫২৬।
  [20]. মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২৮৩৯।
  [21]. বুখারী হা/২১৯৪।
  [22]. মুসলিম হা/১৫৩৫-এর আলোচনা দ্রঃ।
  [23]. মুসলিম হা/২৭২৭।
  [24]. মুসলিম, মিশকাত হা/২৮৫০।
  [25]. মুসলিম হা/১৫৩০।
  [26]. বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৮৪৯।
  [27]. মুসলিম হা/২৭২৪।
  [28]. তিরমিযী হা/১২৪০; ইবনু মাজাহ হা/২২৫৪।
  [29]. বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৬৯১।
  [30]. বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৭১১।

কপি https://i-onlinemedia.net/6080
                       সংযোজক /
           এম এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া
নুরুলগনি ইসলামি একাডেমী কাটাছরা
মিরসরাই চট্টগ্রাম
২২/৬/২০১৯

ইসলাম হালাল ব্যবসা পাঁচ প্রকার

ইসলামে হালাল ব্যবসা-বাণিজ্য ৫ প্রকার
এম এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া

ইসলাম একটি শাশ্বত, সার্বজনীন ও পূর্ণাঙ্গ জীনব ব্যবস্থা। সৃষ্টি জগতে এমন কোন দিক ও বিভাগ নেই, যেখানে ইসলাম নিখুঁত ও স্বচ্ছ দিক-নির্দেশনা প্রদান করেনি। মহান আল্লাহ বলেন, مَا فَرَّطْنَا فِي الْكِتَابِ مِنْ شَيْءٍ ‘আমরা এ কিতাবে কোন কিছুই অবর্ণিত রাখিনি’ (মায়েদাহ ৫/৩৮)।
মানবতার মুক্তির দিশারী মুহাম্মাদ (ছাঃ) অন্ধকারাচ্ছন্ন, পাপ-পঙ্কিলতাময় এ বসুন্ধরায় জাহেলিয়াতের সকল অন্যায়-অত্যাচার, অবিচার-অশান্তি, অস্থিতিশীল অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ করে দিয়েছিলেন। বিশেষ করে মানব নিষ্পেষণ ও সমাজ বিধ্বংসী অন্যতম মাইন সূদ, ঘুষ, লটারী ও মজুতদারী প্রভৃতি তিরোহিত করেন। আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ অহি-র আলোকে হালাল ব্যবসা ভিত্তিক একটি সর্বোত্তম, অভূতপূর্ব আদর্শ সমাজ বিনির্মাণ করেছিলেন। ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, এক কথায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই ইসলামের রয়েছে সঠিক কল্যাণকামী দিক নির্দেশনা। The Quran in everyday life গ্রন্থকার বলেন, All individual, Social, political, Finential and others problems which relating with human being, human welfare or human nature have been Completely discussed in the Quran. ‘ব্যক্তিগত, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং অন্যান্য সমস্যাবলী যা মানবজাতি, মানবকল্যাণ অথবা মানব প্রকৃতির সাথে সম্পর্কিত তার সবই পূর্ণাঙ্গভাবে আলোচিত হয়েছে আল-কুরআনে’।
সূদ সমাজ শোষণের অন্যতম হাতিয়ার এবং মানব সভ্যতার সবচেয়ে নিষ্ঠুর শত্রু। সূদী কারবারের ফলে সমাজের বিত্তশালীরা সমাজের অসহায়, নিঃস্ব, দরিদ্র বনু আদমের সম্পদ জোঁকের মত চুষে চুষে খেয়ে পাহাড় গড়ে তুলে। পক্ষান্তরে সমাজের হতভাগ্য হতদরিদ্র মানুষগুলো দিন দিন অর্থশূন্য হয়ে ধুঁকে ধুঁকে মরে। কিন্তু ইসলাম সাম্যের ধর্ম। তাই সূদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতির সর্বনাশা রাহুগ্রাস থেকে মানব জাতিকে রক্ষা করতে ইসলাম সকল প্রকার সূদকে চিরতরে হারাম করে ইনছাফপূর্ণ সুষম অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কায়েম করেছে। সাথে ব্যবসা ভিত্তিক অর্থনৈতিক লেনদেনের নির্দেশ দিয়েছে।
হালাল উপার্জন ইবাদত কবুলের আবশ্যিক পূর্বশর্ত।[1] আর হালাল  উপার্জনের  অন্যতম  প্রধান  মাধ্যম  হ’ল বৈধ পন্থায় ব্যবসা-বাণিজ্য করা। হালাল ব্যবসা-বাণিজ্য জীবিকা নির্বাহের সর্বোত্তম মাধ্যম হওয়ায় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ), খুলাফায়ে রাশেদীন, আশারায়ে মুবাশশারা সহ অধিকাংশ ছাহাবী ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পক্ষান্তরে কারূণ, হামান, আবু জাহল, উতবা-শায়বা, উবাই ইবনে খালফ প্রমুখ কাফের মুশরিকরা ধোঁকা, প্রতারণামূলক সূদভিত্তিক হারাম ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করত। বস্ত্ততঃ হালাল-হারাম ব্যবসা-বাণিজ্যের রূপরেখা সম্পর্কে আমাদের সম্যক জ্ঞান থাকা অত্যন্ত যরূরী। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এ বিষয়ে আলোচনা করার প্রয়াস পাব ইনশাআল্লাহ।-
হালাল ব্যবসার বিষয়ে ইসলামের দিক নির্দেশনা :
হালাল ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন, أَحَلَّ اللهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا ‘আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল এবং সূদকে হারাম করেছেন’ (বাক্বারাহ ২/২৭৫)। অন্যত্র এরশাদ হচ্ছে, يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُواْ لاَ تَأْكُلُواْ أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ إِلاَّ أَن تَكُوْنَ تِجَارَةً عَنْ تَرَاضٍ مِّنْكُمْ ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না, কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ’ (নিসা ৪/২৯)।
উল্লিখিত আয়াতে لاَ تَأْكُلُواْ أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ (তোমরা পরস্পরের ধন-সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করো না) ‘অন্যায়ভাবে’ বলতে এখানে এমন সব পদ্ধতির কথা বুঝানো হয়েছে, যা সত্য ও ন্যায়নীতি বিরোধী এবং নৈতিক ও শরী‘আতের দৃষ্টিতে অবৈধ। লেনদেন অর্থ হচ্ছে পরস্পরের মধ্যে স্বার্থ ও মুনাফার বিনিময় করা। যেমন ব্যবসা, শিল্প ও কারিগরী ইত্যাদি ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। সেখানে একজন অন্য জনের প্রয়োজন সরবরাহ করার জন্য পরিশ্রম করে এবং তার বিনিময় দান করে। তাছাড়া আয়াতে أَنْ تَكُوْنَ تِجَارَةً عَنْ تَرَاضٍ مِّنكُمْ (পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে ব্যবসা-বাণিজ্য) বাক্যটি সংযুক্ত করে বলে দেয়া হয়েছে যে, যেসব ক্ষেত্রে ব্যবসার নামে সূদ, জুয়া, ধোঁকা-প্রতারণা ইত্যাদির আশ্রয় নিয়ে অন্যের সম্পদ হস্তগত করা হয়, সেসব পন্থায় সম্পদ অর্জন বৈধ ব্যবসার অন্তর্ভুক্ত নয়, বরং তা হারাম ও বাতিল পন্থা। তেমনি যদি স্বাভাবিক ব্যবসার ক্ষেত্রেও লেনদেনের মধ্যে উভয় পক্ষের আন্তরিক সন্তুষ্টি না থাকে, তবে সেরূপ ক্রয়-বিক্রয়ও বাতিল এবং হারাম।[2]
ব্যবসা-বাণিজ্যকে কলুষিত করার বিভিন্ন রূপ দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সতর্কবাণী উচ্চারিত হয়েছে এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সুনীতি ও ন্যায় বিচারের ভিত্তিতে পরিচালিত হবার প্রতি গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। পক্ষান্তরে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কে অপর এক দৃষ্টিভঙ্গিতে একে নিষিদ্ধ না বললেও বিষয়টি স্পষ্ট জানা যায় যে, ব্যবসা-বাণিজ্যের মধ্যে এরূপ কিছু বিষয় আছে যা মুমিনদেরকে আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত তথা ছালাত আদায় হ’তে বিরত রাখতে পারে। এ বিষয়ে কুরআন মাজীদে বর্ণিত হয়েছে, رِجَالٌ لاَّ تُلْهِيْهِمْ تِجَارَةٌ وَلاَ بَيْعٌ عَن ذِكْرِ اللهِ وَإِقَامِ الصَّلاَةِ وَإِيتَاء الزَّكَاةِ يَخَافُوْنَ يَوْماً تَتَقَلَّبُ فِيْهِ الْقُلُوْبُ وَالْأَبْصَارُ ‘সেসব লোক, যাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ক্রয়-বিক্রয় আল্লাহর স্মরণ থেকে এবং ছালাত কায়েম ও যাকাত প্রদান থেকে বিরত রাখে না, তারা ভয় করে সেদিনকে যেদিন অনেক অন্তর ও দৃষ্টি বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে’ (নূর ২৪/৩৭)।
মানুষের জীবন ধারণ এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যের গুরুত্ব আদিকাল থেকেই স্বীকৃত। তবে জীবনের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে এরূপ ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে নিজেদের রক্ষা করা মুমিনদের কর্তব্য। এজন্য জুম‘আর ছালাতের সময় ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রাখতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِذَا نُوْدِيْ لِلصَّلاَةِ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِنْ كُنتُمْ تَعْلَمُوْنَ- فَإِذَا قُضِيَتِ الصَّلاَةُ فَانْتَشِرُوْا فِي الْأَرْضِ وَابْتَغُوْا مِنْ فَضْلِ اللهِ وَاذْكُرُوا اللهَ كَثِيْراً لَّعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ-
‘হে ঈমানদারগণ! জুম‘আর দিনে যখন ছালাতের জন্য আহবান করা হয় তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ কর, এটাই তোমাদের জন্য শ্রেয় যদি তোমরা উপলব্ধি কর। আর ছালাত সমাপ্ত হ’লে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ অন্বেষণ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও’ (জুম‘আ ৬২/৯-১০)। উপরোক্ত আয়াতগুলোতে ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা রয়েছে।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, أَطْيَبُ الْكَسُبِ عَمَلُ الرَّجُلِ بِيَدِهِ، وَكُلُّ بَيْعٍ مَبْرُوْرٍ  ‘নিজ হাতে কাজ করা এবং হালাল পথে ব্যবসা করে যে উপার্জন করা হয় তাই সর্বোত্তম’।[3]
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি যখন ত্যাগ স্বীকার করে ছওয়াবের আশায় মুসলিম জনপদে কোন প্রয়োজনীয় দ্রব্য আমদানী করে এবং ন্যায্য মূল্যে তা বিক্রয় করে, আল্লাহর নিকট তিনি শহীদের মর্যাদা লাভ করেন।[4]
কুরআনুল কারীমে আল্লাহ তা‘আলা ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসঙ্গে তিজারাহ (ةجارة ), বায়উন (بيع ), শিরা (شراء ) এ তিনটি শব্দ ব্যবহার করেছেন। আল-কুরআনে ৮টি স্থানে তিজারাহ (ةجارة )[5] ৭টি স্থানে বায়‘ (بيع )[6] এবং ১৪টি স্থানে শিরা (شراء )[7] শব্দ উল্লিখিত হয়েছে।
হালাল ব্যবসা-বাণিজ্য : নিম্নোক্ত পাঁচটি পদ্ধতিতে ব্যবসা করলে তা হালাল হিসাবে ইসলামী শরী‘আত কর্তৃক অনুমোদিত হয়।
(১) বায়‘উ মুরাবাহ : লাভ-লোকসানের ভিত্তিতে নগদ মূল্যে ক্রয়-বিক্রয়ের একক ব্যবসা।
(২) বায়‘উ মুয়াজ্জাল : ভবিষ্যতে নির্ধারিত কোন সময়ে এক সাথে অথবা কিস্তিতে উভয় পক্ষের সম্মতিতে মূল্য পরিশোধের শর্তে ক্রয়-বিক্রয়।
(৩) বায়‘উস সালাম : ভবিষ্যতে নির্ধারিত কোন সময়ে সরবরাহের শর্তে এবং তাৎক্ষণিক উপযুক্ত মূল্য পরিশোধ সাপেক্ষে নির্দিষ্ট পরিমাণ শরী‘আত অনুমোদিত পণ্য সামগ্রীর অগ্রিম ক্রয়-বিক্রয়। আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন,
قَدِمَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِيْنَةَ، وَالنَّاسُ يُسْلِفُوْنَ فِى الثَّمَرِ الْعَامَ وَالْعَامَيْنِ أَوْ قَالَ عَامَيْنِ أَوْ ثَلاَثَةً. شَكَّ إِسْمَاعِيْلُ فَقَالَ مَنْ سَلَّفَ فِىْ تَمْرٍ فَلْيُسْلِفْ فِىْ كَيْلٍ مَعْلُوْمٍ، وَوَزْنٍ مَعْلُوْمٍ
‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন মদীনায় আসলেন তখন লোকেরা (ফল-ফসলের জন্য) অগ্রিমমূল্য প্রদান করত। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি অগ্রিম মূল্য প্রদান করবে সে যেন তা সুনির্দিষ্ট মাপের পাত্রের দ্বারা ও সুনির্দিষ্ট ওযনে প্রদান করে’।[8]
(৪) বায়‘উ মুযারাবা : এক পক্ষের মূলধন এবং অপরপক্ষের দৈহিক ও বুদ্ধিভিত্তিক শ্রমের সমন্বয়ে যৌথ ব্যবসা।[9] এ পদ্ধতিতে লভ্যাংশ তাদের মাঝে চুক্তিহারে বণ্টিত হবে।[10] রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) খাদীজা (রাঃ)-এর মূলধন দ্বারা এরূপ যৌথ ব্যবসা করেছিলেন। ছাহাবায়ে কেরাম অনেকেই এ পদ্ধতিতে ব্যবসা-বাণিজ্য করেছেন।[11]
মুযারাবায় যে ব্যক্তি পুঁজির যোগান দেয় তাকে ছাহিবুল মাল صاحب المال বা রাববুল মাল (رب المال ) এবং শ্রমদানকারী তথা ব্যবসা পরিচালককে মুযারিব (مضارب ) বা উদ্যোক্তা বলা হয়। এখানে ছাহিবুল মাল-এর পুঁজি হচ্ছে ব্যবসায় প্রদত্ত অর্থ-সম্পদ আর মুযারিবের পুঁজি হচ্ছে দৈহিক ও বুদ্ধিভিত্তিক শ্রম।
মুযারাবা কারবারে লাভ হ’লে ব্যবসায় শুরুতে কৃত চুক্তির শর্তানুসারে ছাহিবুল মাল এবং মুযারিব উভয়েই উক্ত লাভ ভাগ করে নেয়। পক্ষান্তরে ব্যবসায় লোকসান হ’লে সম্পূর্ণ লোকসান কেবল ছাহিবুল মাল তথা পুঁজি বিনিয়োগকারীকেই বহন করতে হয়। আর এ ক্ষেত্রে মুযারিবের ব্যয়িত শ্রম, বুদ্ধি ও সময় বৃথা যায়। মুযারিব কোন লাভ পায় না এটাই তার লোকসান। তবে ব্যবসা পরিচালনায় মুযারিবের অবহেলা কিংবা চুক্তির শর্ত ভঙ্গের কারণে লোকসান হ’লে সেক্ষেত্রে লোকসানের দায়ভার মুযারিবকেই বহন করতে হবে। কেননা এ ক্ষেত্রে পুঁজির মালিকের কোন ভূমিকা থাকে না।[12]
(৫) বায়‘উ মুশারাকা : মূলধন ও লভ্যাংশের ব্যাপারে দুই বা ততোধিক অংশীদারের মধ্যকার চুক্তি অনুসারে ব্যবসা।[13]
মুশারাকা পদ্ধতিতে ব্যবসায় লাভ হ’লে অংশীদারগণ পূর্ব নির্ধারিত অনুপাতে তা ভাগ করে নেয়। আর লোকসান হ’লে অংশীদারগণ নিজ নিজ পুঁজির আনুপাতিক হারে তা বহন করে।[14]
হালাল ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বরূপ :
ব্যবসা হালাল হওয়ার জন্য কতিপয় বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে এবং সেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। অন্যথা ব্যবসা বৈধ হবে না। এখানে সংক্ষেপে সেগুলি আলোচনা করা হ’ল।
সততা : সততা, আমানতদারী ও বিশ্বস্ততা ব্যবসা হালাল হওয়ার পূর্বশর্ত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, إن التجار يحشرون يوم القيامة فجارا إلا من اتقى وبر وصدق  ‘ক্বিয়ামতের দিন ব্যবসায়ীরা মহা অপরাধী হিসাবে উত্থিত হবে। তবে যারা আল্লাহকে ভয় করবে, সততা ও ন্যায় নিষ্ঠার সাথে ব্যবসা করবে তারা ব্যতীত’।[15]
মূল্য নির্ধারণ : মূল্য নির্ধারণ বলতে পণ্যের এমন একটি নির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণ বুঝায়, যাতে লভ্যাংশ থাকবে যেন পণ্যের মালিক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, আবার উক্ত পণ্যের ভোক্তাদের জন্যও কষ্টসাধ্য না হয়।
আনাস (রাঃ) বলেন, غَلاَ السِّعْرُ عَلَى عَهْدِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ سَعِّرْ لَنَا. فَقَالَ إِنَّ اللهَ هُوَ الْمُسَعِّرُ الْقَابِضُ الْبَاسِطُ الرَّزَّاقُ وَإِنِّىْ لأَرْجُو أَنْ أَلْقَى رَبِّىْ وَلَيْسَ أَحَدٌ مِنْكُمْ يَطْلُبُنِىْ بِمَظْلَمَةٍ فِىْ دَمٍ وَلاَ مَالٍ- ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যুগে (একবার পণ্যের) মূল্য বেড়ে গেল। তখন ছাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আমাদের জন্য মূল্য নির্ধারণ করে দিন। তখন তিনি বললেন, নিঃসন্দেহে আল্লাহই হচ্ছেন মূল্য নির্ধারণকারী; তিনি সঙ্কোচনকারী, সম্প্রসারণকারী ও রিযিকদাতা। আর আমি অবশ্যই এমন এক অবস্থায় আমার রবের সাথে সাক্ষাৎ করার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করি যাতে তোমাদের মধ্য থেকে কেউ আমার বিরুদ্ধে রক্ত (প্রাণ) ও সম্পদ সম্পর্কে যুলুমের অভিযোগ উত্থাপন করতে না পারে’।[16]
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, এক ব্যক্তি এসে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আমাদের দ্রব্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিন। তখন তিনি বললেন, بَلِ اللهُ يَخْفِضُ وَيَرْفَعُ وَإِنِّىْ لأَرْجُو أَنْ أَلْقَى اللهَ وَلَيْسَ لأَحَدٍ عِنْدِىْ مَظْلَمَةٌ  ‘বরং আল্লাহই সঙ্কোচন-সম্প্রসারণ করেন। আমি অবশ্যই এমতাবস্থায় আল্লাহর সাথে মিলিত হ’তে চাই যে, আমার পক্ষ থেকে কারো প্রতি সামান্যতম যুলুমও থাকবে না’।[17]
ইমাম শাফেঈ (রহঃ) তাঁর ‘কিতাবুল উম্ম’-এ ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হ’তে বর্ণনা করেন, তিনি একদা বাজারে হাতিব ইবনে আবী বালতা‘আর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন, তার কাছে ছিল কিসমিস ভর্তি দু’টি বস্তা। তখন ওমর (রাঃ) তার দাম জিজ্ঞেস করলেন। উত্তরে হাতিব (রাঃ) বললেন, এক দিরহাম। ওমর (রাঃ) বললেন, তায়েফ থেকে কিসমিস নিয়ে আসা একটি কাফেলার ব্যাপারে অবগত হ’লাম, তারা তোমাকে মূল্যে ঠকাচ্ছে। অর্থাৎ তারা এর চেয়ে বেশী দামে বিক্রি করছে। অতএব তুমি দাম বাড়িয়ে দাও অথবা বাড়ীতে গিয়ে যেভাবে ইচ্ছে বিক্রি কর। এ কথা শুনে হাতিব (রাঃ) বাড়ী চলে গেলেন। অতঃপর ওমর (রাঃ) বিষয়টি চিন্তা করে হাতিব (রাঃ)-এর বাড়ীতে আসলেন এবং তাকে বললেন, আমি তোমাকে যেটা বলেছিলাম সেটা শাসক হিসাবে, যা অবশ্য পালনীয় নয়; বরং এর মাধ্যমে আমি দেশবাসীর কল্যাণ চেয়েছিলাম। সুতরাং তুমি যেভাবে এবং যে দামে ইচ্ছা বিক্রি কর।[18]
ইমাম শাওকানী (রহঃ) বলেন, দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হারাম। কারণ তা যুলুমের নামান্তর। কেননা মানুষ তার সম্পদের উপর কর্তৃত্বের অধিকারী অথচ দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করে দেয়াটা এর প্রতিবন্ধক স্বরূপ। রাষ্ট্রপ্রধান জনগণের কল্যাণ হেতু দ্রব্যমূল্য কম রাখার ও উৎপাদন বৃদ্ধির যাবতীয় ব্যবস্থা করবে, এটাই তার বড় দায়িত্ব।[19]
লাভের পরিমাণ : কোন পণ্যে কত লাভ করা যাবে এরূপ কোন নির্দেশনা কুরআন-হাদীছে পাওয়া যায় না। আবার সকল পণ্যে এক রকম লাভ করা যাবে না এরূপ কোন নিষেধাজ্ঞাও নেই। আসলে শরী‘আতে বিষয়টিকে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। কারণ লাভ নির্ণয়ের বিষয়টি নির্ভর করে স্থান-কাল-পাত্র ভেদে পরিস্থিতি-পরিবেশের উপর। তবে লাভের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সীমা সম্পর্কে একটা ধারণা আমরা হাদীছ থেকে লাভ করতে পারি। উরওয়া ইবনে আবিল জাদ আল-বারেকী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
عَرَضَ لِلنَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم جَلَبٌ فَأَعْطَانِى دِيْنَاراً وَقَالَ أَىْ عُرْوَةُ ائْتِ الْجَلَبَ فَاشْتَرِ لَنَا شَاةً. فَأَتَيْتُ الْجَلَبَ فَسَاوَمْتُ صَاحِبَهُ فَاشْتَرَيْتُ مِنْهُ شَاتَيْنِ بِدِيْنَارٍ فَجِئْتُ أَسُوْقُهُمَا أَوْ قَالَ أَقُوْدُهُمَا فَلَقِيَنِىْ رَجُلٌ فَسَاوَمَنِىْ فَأَبِيْعُهُ شَاةً بِدِيْنَارٍ فَجِئْتُ بِالدِّيْنَارِ وَجِئْتُ بِالشَّاةِ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ هَذَا دِيْنَارُكُمْ وَهَذِهِ شَاتُكُمْ. قَالَ وَصَنَعْتَ كَيْفَ. قَالَ فَحَدَّثْتُهُ الْحَدِيْثَ فَقَالَ اللَّهُمَّ بَارِكْ لَهُ فِىْ صَفْقَةِ يَمِيْنِهِ.
‘নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট পশুর একটি চালানের সংবাদ আসল। তিনি আমাকে একটি দীনার দিয়ে বললেন, উরওয়া! তুমি চালানটির নিকট যাও এবং আমাদের জন্য একটি বকরী ক্রয় করে নিয়ে আস। তখন আমি চালানটির কাছে গেলাম এবং চালানের মালিকের সাথে দরদাম করে এক দীনার দিয়ে দুইটি বকরী ক্রয় করলাম। বকরী দু’টি নিয়ে আসার পথে এক লোকের সাথে দেখা হয়। লোকটি আমার থেকে বকরী ক্রয় করার জন্য আমার সাথে দরদাম করল। তখন আমি তার নিকট এক দীনারের বিনিময়ে একটি বকরী বিক্রয় করলাম এবং একটি বকরী ও একটি দীনার নিয়ে চলে এলাম। তখন আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! এই হচ্ছে আপনার দীনার এবং এই হচ্ছে আপনার বকরী। তখন রাসূল (ছাঃ) বললেন, এটা করলে কিভাবে? উরওয়া বলেন, আমি তখন তাঁকে ঘটনাটি বললাম। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, হে আল্লাহ! আপনি তার হাতের লেন-দেনে বরকত দিন’।[20]
উল্লেখ্য, উক্ত ছাহাবী রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর পক্ষে ১০০% লাভ করা সত্ত্বেও রাসূল (ছাঃ) তার জন্য বরকতের দো‘আ করেছেন এবং এ দো‘আর ফলে উক্ত ছাহাবী জীবনে প্রচুর বরকত লাভে ধন্য হয়েছেন। বুখারীর বর্ণনায় এসেছে, উক্ত ছাহাবী মাটি ক্রয় করলেও তাতে লাভ হ’ত। সুতরাং মজুতদারী না করে, প্রতারণার আশ্রয় না নিয়ে ক্রেতার স্বাভাবিক ও স্বেচ্ছা সম্মতির ভিত্তিতে কোন পণ্য বিক্রি করে বিক্রেতা ১০০% লাভ করলেও শরী‘আতে কোন বাধা নেই। তবে এক্ষেত্রে ক্রেতা বা ভোক্তা যেন যুলুমের শিকার না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা যরূরী।
লাভের সর্বনিম্ন সীমা সম্পর্কে ইসলামী চিন্তাবিদগণ বলেছেন, সম্পদ ব্যবসায় বিনিয়োগ করলে কমপক্ষে এতটুকু লাভ করা যায় যাতে ব্যবসায়ীর পরিবারের ভরণ-পোষণ, ব্যবসার কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদান ও ২.৫% যাকাত দেয়ার পর মূলধন অক্ষত থাকে। তবে ব্যবসা-বাণিজ্য ও পাওনা আদায়ের ক্ষেত্রে মানুষের সাথে দয়ার্দ্র, নম্র ও সদ্ব্যবহার পূর্বক ন্যায্য মূল্য গ্রহণ করা অত্যন্ত নেক কাজ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, رَحِمَ اللهُ رَجُلاً سَمْحًا إِذَا بَاعَ، وَإِذَا اشْتَرَى، وَإِذَا اقْتَضَى  ‘আল্লাহ ঐ মহানুভব মানুষের প্রতি দয়া করেন, যে ক্রয়-বিক্রয়ে এবং নিজের পাওনা আদায়ে নম্রতা ও সহনশীলতা প্রদর্শন করে’।[21]
হারাম দ্রব্যের ব্যবসাও হারাম :
আল্লাহ তা‘আলা মদ, মৃত প্রাণী, রক্ত, প্রতিমা এবং শূকরের গোশত প্রভৃতি হারাম করেছেন। তিনি বলেন, حُرِّمَتْ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةُ وَالدَّمُ وَلَحْمُ الْخِنْزِيْرِ  ‘তোমাদের প্রতি মৃতপ্রাণী, রক্ত, শূকরের গোশত হারাম করা হয়েছে’ (মায়েদাহ ৫/৩)।
অন্যত্র তিনি বলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالْأَنْصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوْهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ ‘হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য নির্ধারক শরসমূহ শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ কিছুই নয়। অতএব এগুলো থেকে বিরত থাক, যাতে তোমরা সফলকাম হও’ (মায়েদাহ ৫/৯০)।
আল্লাহ তা‘আলা যেসব দ্রব্য হারাম করেছেন, সেসব দ্রব্যের ব্যবসাও হারাম করেছেন। জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে মক্কা বিজয়ের বছর এবং মক্কা থাকাবস্থায় বলতে শুনেছেন, তিনি বলেছেন,
إِنَّ اللهَ وَرَسُوْلَهُ حَرَّمَ بَيْعَ الْخَمْرِ وَالْمَيْتَةِ وَالْخِنْزِيْرِ وَالأَصْنَامِ. فَقِيْلَ يَا رَسُوْلَ اللهِ، أَرَأَيْتَ شُحُوْمَ الْمَيْتَةِ فَإِنَّهَا يُطْلَى بِهَا السُّفُنُ، وَيُدْهَنُ بِهَا الْجُلُوْدُ، وَيَسْتَصْبِحُ بِهَا النَّاسُ. فَقَالَ  لاَ، هُوَ حَرَامٌ. ثُمَّ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ ذَلِكَ قَاتَلَ اللهُ الْيَهُوْدَ، إِنَّ اللهَ لَمَّا حَرَّمَ شُحُوْمَهَا جَمَلُوْهُ ثُمَّ بَاعُوْهُ فَأَكَلُوْا ثَمَنَهُ.
‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর রাসূল মদ, মৃত দেহ, শূকর ও প্রতিমা বেচা-কেনাকে হারাম করেছেন। তখন বলা হ’ল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আপনি কি মনে করেন যে, লোকেরা মৃত পশুর চর্বি দ্বারা নৌকায় প্রলেপ দেয়, তা দিয়ে চামড়ায় বার্ণিশ করে এবং লোকেরা তা চকচকে করার কাজে ব্যবহার করে? তখন তিনি বললেন, না, তা হারাম। অতঃপর তিনি বললেন, আল্লাহ তা‘আলা ইহুদীদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দেন, কারণ মহান আল্লাহ তাদের জন্য চর্বি হারাম করেছেন অথচ তারা একে গলিয়ে নেয় এবং তা বিক্রি করে ও তার মূল্য ভক্ষণ করে’।[22] অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, لَعَنَ اللهُ الْخَمْرَ وَشَارِبَهَا وَسَاقِيَهَا وَبَائِعَهَا وَمُبْتَاعَهَا وَعَاصِرَهَا وَمُعْتَصِرَهَا وَحَامِلَهَا وَالْمَحْمُوْلَةَ إِلَيْهِ ‘আল্লাহ লা‘নত বর্ষণ করেন মদের উপর এবং যে তা পান করে, যে তা পরিবেশন করে, যে তা বিক্রি করে, যে তা ক্রয় করে, যে তার নির্যাস তৈরী করে, যার জন্য নির্যাস তৈরী করা হয়, যে তা বহন করে আর যার কাছে বহন করে নিয়ে যাওয়া হয় সবার উপর’।[23]
বায়‘উল ঈনা তথা পাতানো ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ :
ইসলামী শরী‘আত বায়‘উল ঈনা তথা পাতানো ক্রয়-বিক্রয়কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। বায়‘উল ঈনার প্রকৃতি সম্পর্কে শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেছেন,
والعينة ان يبيع ثيئا إلى غيره بثمن معين (مائة وعشريث ريمنار مثلا) إلى اجل (سنة مثلا) ويسلمه إلى المشترى ثم يشتريه قبل قبض الثمن بثمن اقلى من ذلك القدر (بمائة مثلا) يدفعه نقدًا-

* প্রধান মুহাদ্দিছ, বেলটিয়া কামিল মাদরাসা, জামালপুর।
[1]. মুসলিম, মিশকাত হা/২৭৬০।
[2]. মুফতী মুহাম্মদ শফী, তাফসীর মা‘আরেফুল কুরআন, অনুবাদ ও সম্পাদনা: মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, ২৪৪ পৃঃ।
[3]. আহমাদ, মিশকাত হা/২৭৮৩, সিলসিলা ছহীহাহ হা/৬০৭।
[4]. কুরতুবী, আল-জামি লিআহকামিল কুরআন (কায়রো: দারুশ শাব, ১৯৭২) ১৯/৫৬ পৃঃ।
[5]. বাক্বারাহ ২/১৬, ২৮২; নিসা ৪/২৯; তওবা ৯/২৪; নূর ২৪/৩৭; ফাতির ৩৫/২৯; ছফ ৬১/১০; জুম‘আহ ৬২/১১।
[6]. বাক্বারাহ ২৫৪, ২৭৫; তওবা ৯/১১১; ইবরাহীম ১৪/৩১; হজ্জ ২২/৪০; নূর ২৪/৩৭; জুম‘আ ৬২/৯।
[7]. বাক্বারাহ ৪১, ৮৬, ৯০, ১০২, ১৭৫, ২০৭; আলে ইমরান ১৭৭ ও ১৮৭; নিসা ৭৪; মায়েদাহ ৪৪; তাওবা ৯, ১১১; ইউসুফ ২০, ২১।
[8]. বুখারী হা/২২৩৯; মুসলিম হা/১৬০৪।
[9]. আব্দুর রহমান আল-জাযায়রী, কিতাবুল ফিকহ আলাল মাযাহিবিল আরবা‘আহ (বৈরুত : দারুল ইলামিয়্যাহ, তা.বি), ৩/৩৪; শাহ ওয়ালী উল্লাহ, হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা (বৈরুত : দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, তা.বি.) ২/১১৬।
[10]. মুওয়াত্ত্বা হা/২৫৩৫, দারাকুৎনী হা/৩০৭৭, ইরওয়াউল গালীল হা/১৪৭২, ৫/২৯২ পৃঃ; বুলূগুল মারাম হা/৮৯৫।
[11]. ইমাম শামসুদ্দীন আস-সারাখসী, আল-মাবসূত (বৈরুত : দারুল মা‘রিফাহ, ১৪১৪ হিঃ/১৯৯৩ ইং), ২২/১৮ পৃঃ।
[12]. আলী আল-খাফীফ, আশ-শিরকাতু ফী ফিকহিল ইসলামী (কায়রো : দারুন নশর, ১৯৬২ ইং), ৭৪ পৃঃ।
[13]. সা‘দী আবু হাবীব, আল-কামূসুল ফিকহ (পকিস্তান : ইদারাতুল কুরআন ওয়াল উলূমিল ইসলামিয়্যাহ, তাবি), ১৯৫ পৃঃ; মুফতী মুহাম্মাদ তাক্বী উছমানী, অনুঃ মুফতী মুহাম্মাদ জাবের হোসাইন, ইসলামী ব্যাংকিং ও অর্থায়ন পদ্ধতি : সমস্যা ও সমাধান, (ঢাকা : মাকতাবাতুল আশরাফ, ২০০৫ ইং), ২৭ পৃঃ।
[14]. আবুদাঊদ হা/৪৮৩৬, সনদ ছহীহ, বুলূগুল মারাম হা/৮৭০, নায়লুল আওত্বার হা/২৩৩৪-৩৫।
[15]. তিরমিযী হা/১২১০, ইবনু মাজাহ হা/২১৪৬, ছহীহাহ হা/১৪৫৮, মিশকাত হা/২৬৭৭।
[16]. তিরমিযী, মুসনাদে আহমাদ হা/১২৬১৯।
[17]. আবূদাঊদ হা/৩৪৫০; ছহীহুল জামে‘ হা/২৮৩৬।
[18]. ইমাম শাফেঈ (রহঃ), আল-উম্ম (কায়রো: দারুশ সাউব, ১৯৬৯), ২/২০৯ পৃঃ; মুছান্নাফ আব্দুর রায্যাক হা/১৪৯০৬, ৮/২০৭।
[19]. ইমাম শাওকানী (রহঃ), নায়লুল আওত্বার (কায়রো : মাকতাবাতুল হালাবী, ১৩৯১ হিঃ) ৫/৩৩৫।
[20]. বুখারী হা/৩৬৪২; আবূদাঊদ হা/৩৩৮৪; তিরমিযী হা/১২৫৮।
[21]. বুখারী হা/২০৭৬ ‘ক্রয়-বিক্রয়’ অধ্যায়; ইবনু মাজাহ হা/২২০৩; মিশকাত হা/২৭৯০।
[22]. বুখারী হা/২২৩৬; মুসলিম হা/১৫৮১; মিশকাত হা/২৭৬৬।
[23]. আবু দাঊদ হা/৩৬৭৪; মিশকাত হা/২৭৭৭; ছহীহুল জামে‘ হা/৫০৯১।

সংকলিত
এম এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া