মিসরের খসড়া সংবিধানের উপর দ্বিতীয় দফা ভোটে ১৭ জেলায় ৭১.৬ শতাংশ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চূড়ান্ত বিজয় লাভ করেছে মুসলিম ব্রাদারহুডসহ ইসলামপন্থীরা। বিপরীতে বামপন্থীরা পেয়েছে ২৮.৪ শতাংশ। ২৫ মিলিয়ন ৪৯০ হাজার ২৩৭ জন ভোটারের মধ্যে দ্বিতীয় দফা নির্বাচন সম্পন্ন হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের নির্বাচনে ৬৪.৫ শতাংশ ভোটে বিজয় লাভ করে ইসলামপন্থীরা।
সংবিধানের পক্ষে মিসরের গণরায়কে স্বাগত জানিয়েছেন প্রাচীন আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়য়ের প্রধান ড. আহমদ তইয়্যেব ও মুসলিম ব্রাদারহুড প্রধান ড. মুহাম্মাদ বদিইসহ বিশিষ্টজনেরা। তাছাড়া আল আযহারী সংগঠন শুকরিয়া আদায়ের লক্ষ্যে সমাবেশ করেছে। তবে আল বারাদী, আমর মুসা ও হামদীন সবাহীসহ বামজোট সরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণার আগে কোন মন্তব্য করতে নারাজ।
কাফরুশ শেখ কেন্দ্রে কারচুপির অভিযোগ তুলে বামজোট। ফলে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণায় দেরী হবে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার। তাছাড়া গণভোটের পরিপন্থী কোন অন্যায় মেনে নেবে না বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান আব্দুল ফাত্তাহ সিসি। অন্যদিকে নতুন সংবিধানে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদবী না থাকায় ফলাফল ঘোষণার এক ঘণ্টা আগেই পদত্যাগ করেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ মাক্কী। মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিষ্ঠাতা হাসান আল বান্নার স্মৃতি বিজড়ীত ইসমাইলিয়াতে সংবিধানের পক্ষে পেয়েছে ১,৭৯,৯০৫ ভোট আর বিপক্ষে পেয়েছে ৭৬,৯০৫ ভোট লুকচুর জেলায় পক্ষে পেয়েছে ১,৩৩,৭৬৪ ভোট আর বিপক্ষে পেয়েছে ৪০,৭০৭ ভোট। লোহিত সাগর জেলায় ৬৪ টি ভোট কেন্দ্রের পক্ষে পেয়েছে ৪৪,১৩৭ ভোট আর বিপক্ষে পেয়েছে ২৬,৩১৫ ভোট। গিজা জেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ১,৪৮,২৬০২ জনের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৭০ শতাংশ আর বিপক্ষে ৩০ শতাংশ। বুহায়রা জেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ১০,৮৫,১৬১ জনের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৭৫ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ২৫ শতাংশ। আল মিনিয়ায় ভোটারের সংখ্যা ১০,৫২,২২৪ জনের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৮৪ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ১৬ শতাংশ। কালুবিয়া জেলায় ৮,৩২,৫২০ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৬০ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ৪০ শতাংশ। মুনুফিয়াতে ৭,৪৬,৩৮৫ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৪৯ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ৫১ শতাংশ। কাফরুশ শেখ ৫৫,৩১২ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৬৭ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ৩৩ শতাংশ। কেনায় ৩,৬২,৩২৯ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৮৫ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ১৫ শতাংশ। ফাইয়ুম ৫,৪৩,১৮৯ ভোটারেরে মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৮৯ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ১১ শতাংশ। বনি সুইফ জেলায় ৫,৪৬,৯১৭ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৮৫ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ১৫ শতাংশ। দুমিয়াতে ৩,১৯,৪৯২ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৬৪ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ৩৬ শতাংশ। লুকচুরে ১,৮৫,৫৪৮ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৭৭ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ২৩ শতাংশ।
পোর্ট সৈয়দ জেলায় ১,৬৬,৯৩১ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৫১ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ৪৯ শতাংশ। সুয়েচ জেলায় সরকারিভাবে ১,৪৪,২৮৫ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৭০ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ৩০ শতাংশ। মাসরা মাত্রুহ জেলায় ৭৬,৭০৯ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৯২ শতাংশ আর বিপক্ষে ৮ শতাংশ। লোহিত সাগর জেলায় ৭০,৩৭৬ ভোটাররে মধ্যে পক্ষে ৬৩ শতাংশ আর বিপক্ষে ৩৭ শতাংশ। আল ওয়াদী জাদিদ জেলায় ৪৭,৭৭৫ ভোটারেরে মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৮৭ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ১৩ শতাংশ। আল মিনিয়াতে ৭,৬৩,৭২৯ ভোটারের মধ্যে পক্ষে ৮৪ শতাংশ আর বিপক্ষে ১৬ শতাংশ। খসড়া সংবিধানের গত নির্বাচনে ইসলামপন্থীরা ৫৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে আর এবারে ৭১ শতাংশ ভোটে বিজয় লাভ করেছে সংবিধানের পক্ষের শক্তি। সরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হবে সোমবার। এই সংবিধানে কোন বিপক্ষ নেই বরং সকল নাগরিকের অধিকার সংরক্ষণ হবে বলে জানান কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়য়ের সংবিধান বিশেষজ্ঞ হামজা মাহমুদ। তিনি বলেন, এর ফলে বিশ্বে মুসলিমদের পক্ষে বিশাল শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ হল। আর মিসর যে আসলেই ইসলামপন্থীদের ঘাঁটি তা আবার প্রমাণিত হয়েছে। ইসলামপন্থীদের বিজয়ের ফলে মিসরজুড়ে সিয়াম পালনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে তারা।
http://www.dailysangram.com/news_details.php?news_id=104840
সংবিধানের পক্ষে মিসরের গণরায়কে স্বাগত জানিয়েছেন প্রাচীন আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়য়ের প্রধান ড. আহমদ তইয়্যেব ও মুসলিম ব্রাদারহুড প্রধান ড. মুহাম্মাদ বদিইসহ বিশিষ্টজনেরা। তাছাড়া আল আযহারী সংগঠন শুকরিয়া আদায়ের লক্ষ্যে সমাবেশ করেছে। তবে আল বারাদী, আমর মুসা ও হামদীন সবাহীসহ বামজোট সরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণার আগে কোন মন্তব্য করতে নারাজ।
কাফরুশ শেখ কেন্দ্রে কারচুপির অভিযোগ তুলে বামজোট। ফলে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণায় দেরী হবে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার। তাছাড়া গণভোটের পরিপন্থী কোন অন্যায় মেনে নেবে না বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান আব্দুল ফাত্তাহ সিসি। অন্যদিকে নতুন সংবিধানে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদবী না থাকায় ফলাফল ঘোষণার এক ঘণ্টা আগেই পদত্যাগ করেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ মাক্কী। মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিষ্ঠাতা হাসান আল বান্নার স্মৃতি বিজড়ীত ইসমাইলিয়াতে সংবিধানের পক্ষে পেয়েছে ১,৭৯,৯০৫ ভোট আর বিপক্ষে পেয়েছে ৭৬,৯০৫ ভোট লুকচুর জেলায় পক্ষে পেয়েছে ১,৩৩,৭৬৪ ভোট আর বিপক্ষে পেয়েছে ৪০,৭০৭ ভোট। লোহিত সাগর জেলায় ৬৪ টি ভোট কেন্দ্রের পক্ষে পেয়েছে ৪৪,১৩৭ ভোট আর বিপক্ষে পেয়েছে ২৬,৩১৫ ভোট। গিজা জেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ১,৪৮,২৬০২ জনের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৭০ শতাংশ আর বিপক্ষে ৩০ শতাংশ। বুহায়রা জেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ১০,৮৫,১৬১ জনের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৭৫ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ২৫ শতাংশ। আল মিনিয়ায় ভোটারের সংখ্যা ১০,৫২,২২৪ জনের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৮৪ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ১৬ শতাংশ। কালুবিয়া জেলায় ৮,৩২,৫২০ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৬০ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ৪০ শতাংশ। মুনুফিয়াতে ৭,৪৬,৩৮৫ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৪৯ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ৫১ শতাংশ। কাফরুশ শেখ ৫৫,৩১২ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৬৭ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ৩৩ শতাংশ। কেনায় ৩,৬২,৩২৯ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৮৫ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ১৫ শতাংশ। ফাইয়ুম ৫,৪৩,১৮৯ ভোটারেরে মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৮৯ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ১১ শতাংশ। বনি সুইফ জেলায় ৫,৪৬,৯১৭ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৮৫ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ১৫ শতাংশ। দুমিয়াতে ৩,১৯,৪৯২ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৬৪ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ৩৬ শতাংশ। লুকচুরে ১,৮৫,৫৪৮ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৭৭ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ২৩ শতাংশ।
পোর্ট সৈয়দ জেলায় ১,৬৬,৯৩১ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৫১ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ৪৯ শতাংশ। সুয়েচ জেলায় সরকারিভাবে ১,৪৪,২৮৫ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৭০ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ৩০ শতাংশ। মাসরা মাত্রুহ জেলায় ৭৬,৭০৯ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৯২ শতাংশ আর বিপক্ষে ৮ শতাংশ। লোহিত সাগর জেলায় ৭০,৩৭৬ ভোটাররে মধ্যে পক্ষে ৬৩ শতাংশ আর বিপক্ষে ৩৭ শতাংশ। আল ওয়াদী জাদিদ জেলায় ৪৭,৭৭৫ ভোটারেরে মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৮৭ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ১৩ শতাংশ। আল মিনিয়াতে ৭,৬৩,৭২৯ ভোটারের মধ্যে পক্ষে ৮৪ শতাংশ আর বিপক্ষে ১৬ শতাংশ। খসড়া সংবিধানের গত নির্বাচনে ইসলামপন্থীরা ৫৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে আর এবারে ৭১ শতাংশ ভোটে বিজয় লাভ করেছে সংবিধানের পক্ষের শক্তি। সরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হবে সোমবার। এই সংবিধানে কোন বিপক্ষ নেই বরং সকল নাগরিকের অধিকার সংরক্ষণ হবে বলে জানান কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়য়ের সংবিধান বিশেষজ্ঞ হামজা মাহমুদ। তিনি বলেন, এর ফলে বিশ্বে মুসলিমদের পক্ষে বিশাল শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ হল। আর মিসর যে আসলেই ইসলামপন্থীদের ঘাঁটি তা আবার প্রমাণিত হয়েছে। ইসলামপন্থীদের বিজয়ের ফলে মিসরজুড়ে সিয়াম পালনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে তারা।
http://www.dailysangram.com/news_details.php?news_id=104840
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন