জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া যাত্রাবাড়ী মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাহমুদুল হাসান বাংলামেইলকে বলেন,
**********************************************************************
স্বীকৃতির দাবিতে কওমি আলেমরা আন্দোলন করেছেন দীর্ঘ দিন ধরে। সর্বশেষ ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়। সেই কমিশনের চেয়ারম্যান মনোনীত হন হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ আহমাদ শফী। সেই কমিশন এক বছর পর্যন্ত আলোচনা, পর্যালোচনা ও জনমত যাচাই করে গত ১২ এপ্রিল একটি রিপোর্ট সরকারের কাছে জমা দেয়। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই সরকার পূর্ববর্তী খসড়া আইনকে বাতিল করে। কওমি মাদরাসার স্বাধীন ও স্বকীয়তা অক্ষুন্ন রেখে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়। এরপরই এ কমিশন বিলুপ্ত হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন কওমি মাদরাসা সূত্রে জানা গেছে, কওমি মাদরাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ গঠনের প্রথম খসড়ায় দারুল উলুম দেওবন্দের ৮টি ভিত্তি সংযোজিত না হওয়ায় এ কর্তৃপক্ষ গঠনের বিরোধিতা করেন হেফাজতের আমীর আহমাদ শফী এবং কওমি আলেমরা।
এ পর্যন্ত কওমি মাদরাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ গঠনের ৮টি খসড়া হয়ে। সর্বশেষ খসড়ায় দেওবন্দের ৮টি ভিত্তিতে মাদরাসার স্বাধীনতা ও স্বকীয়তা বিষয় সংযোজিত হয়েছে। এ সংশোধনীর আলোকেই স্বীকৃতির বিষয়টি চূড়ান্ত করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ খসড়া জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া যাত্রাবাড়ী মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও গুলশান আজাদ মসজিদের খতীব আল্লামা মাহমুদুল হাসান, সোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম আল্লামা ফরিদ উদ্দীন মাসঊদসহ কয়েকজন শীর্ষ কওমি আলেম বেশকিছু সংশোধনী দিয়েছেন।
সংশোধনী প্রসঙ্গে জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া যাত্রাবাড়ী মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাহমুদুল হাসান বাংলামেইলকে বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব চাওয়া হয়েছিল। কওমি মাদরাসার স্বীকৃতির জন্য অনেক বিষয় আমি সরকারের কাছে তুলে ধরেছি। মূলত দারুল উলুম দেওবন্দের ৮টি মূলনীতি (উসূলে হাশতে গানা) এবং কওমি মাদরাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষের স্বাধীনতা, স্বকীয়তা, সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত রাখার বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমার মনে হয় এতে কওমি মাদরাসার কোনো ক্ষতি হবে না। এ সব শর্ত মানা হলে দেশ ও ইসলামের জন্য ভালো হবে।’
সংশোধনীতে কী কী বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘কওমি আলেমদের উপস্থাপিত দাবিই সংশোধনীতে যুক্ত হয়েছে। এরমধ্যে পাঠ্যসূচি আলেমরা নিজেদের ইচ্ছামত প্রণয়ন, কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, সেক্রেটারি হবেন দেশে পরিচিত প্রায় ১৫টি কওমি বোর্ডের সদস্য আছেন এমন আলেম, কর্তৃপক্ষে থাকবেন মহিলা মাদরাসার প্রতিনিধি, সরকারের পক্ষ থেকে একজন যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কেউ সদস্য হিসেবে থাকতে পারবেন, তবে তাকে অবশ্যই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অনুসারী হতে হবে।’
এছাড়া, বোর্ডের বাইরে কমপক্ষে ৭ জন বিশিষ্ট আলেমকে সদস্য করার বিষয় সুংযুক্ত হয়েছে। এমনকি কোনো মাদরাসা স্বীকৃতি গ্রহণে ইচ্ছুক না হলে তবে তারা স্বীকৃতির বাইরে থাকতে পারবে। ফলে স্বীকৃতির নিতে মাদসারাকে বাধ্য করা হবে না। কওমি ছাত্রদের উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করতে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবনাও রয়েছে।
উপস্থাপিত সংশোধনী প্রসঙ্গে মাহমুদুল হাসান আরো বলেন, ‘কোনো মাদরাসা সরকারি অনুদানভুক্ত হবে না। তারা তাদের নিজস্ব আয়ের ভিত্তিতেই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করবেন। বর্তমানে দেশের কওমি বোর্ডগুলো স্বাধীনভাবে আঞ্চলিক কার্যালয় হিসেবে কাজ করবে। আঞ্চলিক কার্যালয় হিসেবে তারা প্রাথমিক স্তরের সনদ দিতে পারবেন।
এদিকে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৮ম সংশোধনীর পর সরকার কর্তৃপক্ষ গঠনের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে। দ্রুত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এ আইনটি পাস করতে উপস্থাপন করা হবে।
http://www.banglamail24.com/index.php?ref=ZGV0YWlscy0yMDEzXzExXzA2LTk4LTYxMTIy
প্রস্তাবিত আইনের খসড়া অনুসারে, কওমি মাদরাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষে একজন চেয়ারম্যান ও নয়জন সদস্য থাকবেন। তারা চার বছরের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন। এর মধ্যে সাতজন কওমি শীর্ষ আলেম, যুগ্মসচিব কিংবা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার একজন এবং মহিলা কওমি মাদরাসার একজন প্রতিনিধি। পদাধিকারবলে কর্তৃপক্ষের সদস্য হবেন বেফাকুল মাদারিস বাংলাদেশ, ইত্তেহাদুল মাদারিস চট্টগ্রাম, এদারায়ে তামিল সিলেট, তানজিমুল মাদারিস উত্তরবঙ্গ, গওহরডাঙ্গা বেফাক বোর্ড ফরিদপুরের প্রধানরা। কর্তৃপক্ষের কার্যালয় হবে রাজধানী ঢাকায়।
উল্লেখ্য, কওমি শিক্ষার ব্যবস্থাপনার জন্য ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীকে চেয়ারম্যান করে ১৭ সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়। সে সময় কো-চেয়ারম্যান করা হয় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহের খতিব মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ এবং সদস্য সচিব করা হয় গোপালগঞ্জের গওহরডাঙা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা রুহুল আমীনকে।
কিন্তু ফরিদ উদ্দিন মাসউদ ও মাওলানা রুহুল আমীনকে কমিশনে সম্পৃক্ত করায় এদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সম্পৃক্ততা আছে অভিযোগে অন্য আলেমরা আপত্তি তোলেন। পরবর্তীতে কো-চেয়ারম্যান-১ পদে মাওলানা আশরাফ আলীকে ও সদস্য সচিব পদে মাওলানা আবদুল জব্বারের নাম দিয়ে কমিশন পুনর্গঠন করার দাবি জানান আল্লামা আহমদ শফী। তখন আল্লামা শফী বেফাকের নামে কওমি সনদের স্বীকৃতি দেয়া, বেফাককে অ্যাফিলিয়েটিং বিশ্ববিদ্যালয় করা, সরকারি অনুদান গ্রহণ না করা ও কওমি মাদরাসার পাঠপদ্ধতি পরিবর্তন না করাসহ আটটি প্রস্তাব তুলে ধরেন। সরকারের সঙ্গে দুটি বৈঠকের পর এসব দাবি পূরণ না হওয়ায় আল্লামা আহমদ শফী কমিশনের কার্যক্রম থেকে সরে যান।
প্রসঙ্গত, ২৮ অক্টোবর ‘বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৩’ এর খসড়া মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দেশে কওমি মাদরাসার সংখ্যা ১৪ হাজার ৯৩১টি এমন তথ্য জাতীয় সংসদে দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। এই মাদরাসাগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ লাখ। এসব মাদারাসার নেই কোনো সরকারি স্বীকৃতি ও নিয়ন্ত্রণ, পাঠ্যসূচিও অনুমোদিত নয়। ১৭টি জাতীয় ও আঞ্চলিক বোর্ড নিয়ন্ত্রণ করে মাদরাসাগুলো। সরকারি স্বীকৃতি না থাকায় পড়াশোনা করেও কোনো সরকারি বা বেসরকারি চাকরি করতে পারে না কওমির শিক্ষার্থীরা।
http://www.banglamail24.com/index.php?ref=ZGV0YWlscy0yMDEzXzExXzAxLTY0LTYwMzgz
**********************************************************************
স্বীকৃতির দাবিতে কওমি আলেমরা আন্দোলন করেছেন দীর্ঘ দিন ধরে। সর্বশেষ ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়। সেই কমিশনের চেয়ারম্যান মনোনীত হন হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ আহমাদ শফী। সেই কমিশন এক বছর পর্যন্ত আলোচনা, পর্যালোচনা ও জনমত যাচাই করে গত ১২ এপ্রিল একটি রিপোর্ট সরকারের কাছে জমা দেয়। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই সরকার পূর্ববর্তী খসড়া আইনকে বাতিল করে। কওমি মাদরাসার স্বাধীন ও স্বকীয়তা অক্ষুন্ন রেখে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়। এরপরই এ কমিশন বিলুপ্ত হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন কওমি মাদরাসা সূত্রে জানা গেছে, কওমি মাদরাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ গঠনের প্রথম খসড়ায় দারুল উলুম দেওবন্দের ৮টি ভিত্তি সংযোজিত না হওয়ায় এ কর্তৃপক্ষ গঠনের বিরোধিতা করেন হেফাজতের আমীর আহমাদ শফী এবং কওমি আলেমরা।
এ পর্যন্ত কওমি মাদরাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ গঠনের ৮টি খসড়া হয়ে। সর্বশেষ খসড়ায় দেওবন্দের ৮টি ভিত্তিতে মাদরাসার স্বাধীনতা ও স্বকীয়তা বিষয় সংযোজিত হয়েছে। এ সংশোধনীর আলোকেই স্বীকৃতির বিষয়টি চূড়ান্ত করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ খসড়া জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া যাত্রাবাড়ী মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও গুলশান আজাদ মসজিদের খতীব আল্লামা মাহমুদুল হাসান, সোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম আল্লামা ফরিদ উদ্দীন মাসঊদসহ কয়েকজন শীর্ষ কওমি আলেম বেশকিছু সংশোধনী দিয়েছেন।
সংশোধনী প্রসঙ্গে জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া যাত্রাবাড়ী মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাহমুদুল হাসান বাংলামেইলকে বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব চাওয়া হয়েছিল। কওমি মাদরাসার স্বীকৃতির জন্য অনেক বিষয় আমি সরকারের কাছে তুলে ধরেছি। মূলত দারুল উলুম দেওবন্দের ৮টি মূলনীতি (উসূলে হাশতে গানা) এবং কওমি মাদরাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষের স্বাধীনতা, স্বকীয়তা, সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত রাখার বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমার মনে হয় এতে কওমি মাদরাসার কোনো ক্ষতি হবে না। এ সব শর্ত মানা হলে দেশ ও ইসলামের জন্য ভালো হবে।’
সংশোধনীতে কী কী বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘কওমি আলেমদের উপস্থাপিত দাবিই সংশোধনীতে যুক্ত হয়েছে। এরমধ্যে পাঠ্যসূচি আলেমরা নিজেদের ইচ্ছামত প্রণয়ন, কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, সেক্রেটারি হবেন দেশে পরিচিত প্রায় ১৫টি কওমি বোর্ডের সদস্য আছেন এমন আলেম, কর্তৃপক্ষে থাকবেন মহিলা মাদরাসার প্রতিনিধি, সরকারের পক্ষ থেকে একজন যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কেউ সদস্য হিসেবে থাকতে পারবেন, তবে তাকে অবশ্যই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অনুসারী হতে হবে।’
এছাড়া, বোর্ডের বাইরে কমপক্ষে ৭ জন বিশিষ্ট আলেমকে সদস্য করার বিষয় সুংযুক্ত হয়েছে। এমনকি কোনো মাদরাসা স্বীকৃতি গ্রহণে ইচ্ছুক না হলে তবে তারা স্বীকৃতির বাইরে থাকতে পারবে। ফলে স্বীকৃতির নিতে মাদসারাকে বাধ্য করা হবে না। কওমি ছাত্রদের উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করতে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবনাও রয়েছে।
উপস্থাপিত সংশোধনী প্রসঙ্গে মাহমুদুল হাসান আরো বলেন, ‘কোনো মাদরাসা সরকারি অনুদানভুক্ত হবে না। তারা তাদের নিজস্ব আয়ের ভিত্তিতেই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করবেন। বর্তমানে দেশের কওমি বোর্ডগুলো স্বাধীনভাবে আঞ্চলিক কার্যালয় হিসেবে কাজ করবে। আঞ্চলিক কার্যালয় হিসেবে তারা প্রাথমিক স্তরের সনদ দিতে পারবেন।
এদিকে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৮ম সংশোধনীর পর সরকার কর্তৃপক্ষ গঠনের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে। দ্রুত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এ আইনটি পাস করতে উপস্থাপন করা হবে।
http://www.banglamail24.com/index.php?ref=ZGV0YWlscy0yMDEzXzExXzA2LTk4LTYxMTIy
প্রস্তাবিত আইনের খসড়া অনুসারে, কওমি মাদরাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষে একজন চেয়ারম্যান ও নয়জন সদস্য থাকবেন। তারা চার বছরের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন। এর মধ্যে সাতজন কওমি শীর্ষ আলেম, যুগ্মসচিব কিংবা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার একজন এবং মহিলা কওমি মাদরাসার একজন প্রতিনিধি। পদাধিকারবলে কর্তৃপক্ষের সদস্য হবেন বেফাকুল মাদারিস বাংলাদেশ, ইত্তেহাদুল মাদারিস চট্টগ্রাম, এদারায়ে তামিল সিলেট, তানজিমুল মাদারিস উত্তরবঙ্গ, গওহরডাঙ্গা বেফাক বোর্ড ফরিদপুরের প্রধানরা। কর্তৃপক্ষের কার্যালয় হবে রাজধানী ঢাকায়।
উল্লেখ্য, কওমি শিক্ষার ব্যবস্থাপনার জন্য ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীকে চেয়ারম্যান করে ১৭ সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়। সে সময় কো-চেয়ারম্যান করা হয় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহের খতিব মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ এবং সদস্য সচিব করা হয় গোপালগঞ্জের গওহরডাঙা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা রুহুল আমীনকে।
কিন্তু ফরিদ উদ্দিন মাসউদ ও মাওলানা রুহুল আমীনকে কমিশনে সম্পৃক্ত করায় এদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সম্পৃক্ততা আছে অভিযোগে অন্য আলেমরা আপত্তি তোলেন। পরবর্তীতে কো-চেয়ারম্যান-১ পদে মাওলানা আশরাফ আলীকে ও সদস্য সচিব পদে মাওলানা আবদুল জব্বারের নাম দিয়ে কমিশন পুনর্গঠন করার দাবি জানান আল্লামা আহমদ শফী। তখন আল্লামা শফী বেফাকের নামে কওমি সনদের স্বীকৃতি দেয়া, বেফাককে অ্যাফিলিয়েটিং বিশ্ববিদ্যালয় করা, সরকারি অনুদান গ্রহণ না করা ও কওমি মাদরাসার পাঠপদ্ধতি পরিবর্তন না করাসহ আটটি প্রস্তাব তুলে ধরেন। সরকারের সঙ্গে দুটি বৈঠকের পর এসব দাবি পূরণ না হওয়ায় আল্লামা আহমদ শফী কমিশনের কার্যক্রম থেকে সরে যান।
প্রসঙ্গত, ২৮ অক্টোবর ‘বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৩’ এর খসড়া মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দেশে কওমি মাদরাসার সংখ্যা ১৪ হাজার ৯৩১টি এমন তথ্য জাতীয় সংসদে দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। এই মাদরাসাগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ লাখ। এসব মাদারাসার নেই কোনো সরকারি স্বীকৃতি ও নিয়ন্ত্রণ, পাঠ্যসূচিও অনুমোদিত নয়। ১৭টি জাতীয় ও আঞ্চলিক বোর্ড নিয়ন্ত্রণ করে মাদরাসাগুলো। সরকারি স্বীকৃতি না থাকায় পড়াশোনা করেও কোনো সরকারি বা বেসরকারি চাকরি করতে পারে না কওমির শিক্ষার্থীরা।
http://www.banglamail24.com/index.php?ref=ZGV0YWlscy0yMDEzXzExXzAxLTY0LTYwMzgz
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন