১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের পটভূমিতে ১৮৬৬ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশে প্রতিষ্ঠিত দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসার অনুসারী কওমি মাদ্রাসা, ব্রিটিশ আমলে এই মাদ্রাসাগুলিকে বলা হইত খারিজি (অর্থাত্ সরকারি নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত) বা বেসরকারী মাদ্রাসা আবার এ মাদ্রাসা গুলো সাধারন কওম তথা সাধারন মানুষের দান-অনুদানে চলে বিধায় এদের কে বলা হয় কওমী মাদ্রাসা এরই ধারাবাহিকতায় গডে উঠেছে বাংলাদেশ, ভারত ,পাকিস্তান,শ্রীলংকা,আফগানিস্তান সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই দারুল উলুম দেওবন্দের ৷স্বকীয়তা ধরে রাখাই বাঞ্ছনীয় মনে করে অধ্যাবদী এ সকল কওমী মাদ্রাসা গুলো নিজস্ব গতিতে দারুল উলুম দেওবন্দের উসুলে হাসতেগানা তথা আটটি উসুলের উপর ভিত্তি করে পরিচালীত হয়ে আসছে ৷
তবে ইদানিং কওমি, নুরানি, হাফিজিয়াসহ সব অনিবন্ধিত মাদ্রাসাকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার চাপ রয়েছে। ****
এরই পরিপেক্ষিতে আওয়ামীলিগ সরকার ২০০৯ সালেই দেশের সব ডিসিকে চিঠি দিয়ে কওমি মাদ্রাসাসহ সব অনিবন্ধিত মাদ্রাসার নাম, ছাত্রসংখ্যা, শিক্ষক, দেশি-বিদেশি আয়ের উৎস শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। গতকাল পর্যন্ত এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন সব জেলা থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পৌঁছায়নি। কওমি মাদ্রাসার সংখ্যা কত এ নিয়েও রয়েছে নানা বিভ্রান্তি। তবে চলতি বছরের এপ্রিলে কওমি মাদ্রাসা কমিশন তাদের প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেয়। প্রতিবেদনটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছানোর জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে অবস্থান পত্র তৈরি করে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে দেশে কওমি মাদ্রাসার সংখ্যা ২৪ হাজারের কিছু বেশি।
কওমি মাদ্রাসার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, মানোন্নয়ন ও শিক্ষা সনদ দেওয়ার জন্য মাদ্রাসা বোর্ডের আদলে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ করা হবে। এই কর্তৃপক্ষ করার জন্যই 'বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৩' এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।
কি আছে এ '' কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৩' এর খসড়া "" আইনে
***************************************************************
বিঃ দ্রষ্টব্য :_-------------
{{বিভিন্ন অনলাইন সংস্করন পত্রিকা -ওয়েব থেকে পাওয়া গুরুত্বপূর্ন কথা গুলো পাঠকদের সুবিধার্থে সংক্ষেপে একত্র করা হলো তবে সরকারের কাছে থাকা খসডাতে আরও কি কি আছে তা আমাদের জানা নেই {{সংকলিত }}
{1 ] কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষের কার্যালয় ঢাকায় থাকবে।
{2} কর্তৃপক্ষে একজন চেয়ারম্যান ও নয়জন সদস্য থাকবেন। এর মধ্যে সাতজন কওমি শিক্ষা ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় আলেম, এই কর্তৃপক্ষের সদস্য থাকবেন।
কর্তৃপক্ষ একজন সচিব নিয়োগ দেবেন। চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সদস্য চার বছরের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন। চেয়ারম্যান অথবা কোনো সদস্যের প্রতি কর্তৃপক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য অনাস্থা প্রকাশ করলে সরকার তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করতে পারবে।
আবার চেয়ারম্যনের পদ শূন্য হলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে তিনি দায়িত্ব পালন করতে অসমর্থ হলে শূন্যপদে নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান দায়িত্বভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে মনোনীত কোনো সিনিয়র সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
1বেফাকুল মাদারিস বাংলাদেশ, 2 ইত্তেহাদুল মাদারিস চট্টগ্রাম, 3 এদারায়ে তামিল সিলেট, 4 তানজিমুল মাদারিস উত্তরবঙ্গ, 5 গওহরডাঙ্গা বেফাক বোর্ড ফরিদপুর- এ পাঁচটি বোর্ডের প্রধান/সচিবরা পদাধিকারবলে কর্তৃপক্ষের সদস্য হবেন।
{3} সরকারের একজন যুগ্ম সচিব, কিংবা তদূধর্্ব পদমর্যাদার একজন সদস্য
{4}মহিলা কওমি মাদ্রাসার একজন প্রতিনিধিও রাখা হয়েছে খসড়া আইনে।
***এই কর্তৃপক্ষ কওমি মাদ্রাসার বিভিন্ন বোর্ডের কাজ তদারকি করবে।
{5}দারুল উলুম দেওবন্ধের আটটি মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে কওমি মাদ্রাসার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করবে।
{6} কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক বা ইবতিদাইয়্যাহ, নিম্নমাধ্যমিক বা মুতাওয়াসসিতাহ, এসএসসি বা সানাবিয়্যাহ আম্মাহ এবং এইচএসসি বা সানাবিয়্যাহ খাসসাহ এই চার পর্যায়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
[7] যত দিন পর্যন্ত কওমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা না হবে তত দিন পর্যন্ত এই কর্তৃপক্ষই স্নাতক-সম্মান ও স্নাতকোত্তরের সনদ দেবে।
{8] এ ছাড়া এই কর্তৃপক্ষ শিক্ষাক্রম প্রণয়ন, শিক্ষা গবেষণা, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, অবকাঠামো স্থাপনসহ বিভিন্ন বিষয় তদারকি করবে।
{9} খসড়া আইনে কর্তৃপক্ষের সচিব, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ, বাজেট, বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে।
{10} এ ছাড়া একটি তহবিল গঠন করা হবে। এই তহবিলে সরকারের অনুদান, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে পাওয়া অর্থ, নিজস্ব আয়, স্থানীয় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুদান, বিদেশি সরকার, সংস্থা বা আন্তর্জাতিক সংস্থার অনুদান জমা হবে। কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকবে, যা নিয়মমাফিক নিবন্ধিত হবে।
{ 11 } কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ ইবতিদাইয়্যাহ (প্রাথমিক), মুতাওয়াসসিতাহ (নিম্ন মাধ্যমিক), সানাবিয়্যাহ আম্মাহ (এসএসসি), সানাবিয়্যাহ খাস্সাহ (এইচএসসি) স্তুরের শিক্ষা কার্যক্রম, সনদ প্রদান এবং এফিলিয়েটিং অথরিটি হিসেবে পাঁচটি শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমে তা পরিচালনা করবে।
{ 12 }তবে কর্তৃপক্ষের অধিভুক্ত কওমি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাই কেবল সনদ লাভের যোগ্য হবেন। পৃথক কওমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ মারহালাতুল ফজিলত (স্নাতক সম্মান) এবং মারহালাতুত তাকমিল (দাওরায়ে হাদিস-স্নাতকোত্তর) দুটি স্তুরের শিক্ষা কার্যক্রম এবং সনদ প্রদানকারী অথরিটি হিসেবে কাজ করবে।
{ 13} এ ছাড়াও এই কর্তৃপক্ষ বিধি মোতাবেক কওমি মাদ্রাসা স্থাপন, প্রয়োজনীয় ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
{ 14 } মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম নির্ধারণ করবে।
{ 15 } জ্ঞানের বিকাশ, বিস্তার ও অগ্রগতির লক্ষ্যে শিক্ষাদান ও গবেষণার ব্যবস্থা করবে।
{ 16 } শিক্ষকদের বুনিয়াদি, চাকরিকালীন এবং বিষয়ভিত্তিক প্রাগ্রসর জ্ঞানের প্রশিক্ষণ দানের ব্যবস্থা করবে।
{ 17 } শিক্ষার উন্নয়নের স্বার্থে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয় বা বিখ্যাত কোনো মাদ্রাসার সঙ্গে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও যৌথ একাডেমিক কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
{18 } যেসব মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অধিভুক্ত হবে না সেসব মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা সনদের স্বীকৃতি পাবেন না।
কোনো মাদরাসা স্বীকৃতি গ্রহণে ইচ্ছুক না হলে তবে তারা স্বীকৃতির বাইরে থাকতে পারবে। ফলে স্বীকৃতির নিতে মাদসারাকে বাধ্য করা হবে না।
{ 19 } শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, কওমি নিসাব অনুসরণ করেই কওমি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রম প্রস্তুত করবে।
**** তবে ইবতিদাইয়্যাহ (প্রাথমিক), **** মুতাওয়াসসিতাহ (নিম্ন মাধ্যমিক), ****সানাবিয়্যাহ আম্মাহ (এসএসসি),
****সানাবিয়্যাহ খাস্সাহ (এইচএসসি) পর্যন্ত প্রতিটি স্তরেই বাংলা, ইংরেজি, গণিত বাধ্যতামূলক বিষয় হিসেবে রাখা হচ্ছে।
*****মুতাওয়াসসিতাহ ও সানাবিয়্যাহ আম্মাহ স্তরে পর্যায়ক্রমে সমাজবিজ্ঞান, সাধারণ বিজ্ঞান, কম্পিউটার, ভূগোল, কৃষি ও গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বিষয় অন্তর্ভুক্ত হবে।
সানাবিয়্যাহ খাস্সাহ স্তরে যুক্তিবিদ্যা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাস বিষয়টি রাখা হচ্ছে।
{ 20 } কওমি ছাত্রদের উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করতে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবনাও রয়েছে।
যাহা পালনীয় অসম্ভব বলে কওমী ওলামাগন মনে করেন
********************************************
1******* উপরোক্ত প্রস্তাবিত আইনটির ৬ নং ধারার ৩ অনুচ্ছেদে বলা হইয়াছে যে, কোন সদস্যের (কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ) মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বেও সরকার যে কোন সময় তাঁহাকে তাঁহার দায়িত্ব হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবেন।
{{{{{{ইহাতে কওমি মাদ্রাসাগুলিতে সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা এবং দলীয় ও অনুগত লোক নিয়োগের পথ প্রশস্ত হইবে বলিয়া আশঙ্কা করা হইতেছে। }}}}}}-----------------------------
2***তাছাড়া ১০ নং ধারার ৭ অনুচ্ছেদে বলা হইয়াছে, ' কর্তৃপক্ষের প্রতিটি সভার কার্যবিবরণী ও গৃহীত সিদ্ধান্তের অনুলিপি সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে, এবং উক্ত সিদ্ধান্ত এই আইন বা জাতীয় শিক্ষানীতির পরিপন্থি হইলে উহা বাতিল বা সংশোধন করিবার জন্য বা কার্যকর না করিবার জন্য সরকার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং তদানুসারে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।'
{{{{{ সেক্যুলার শিক্ষার ঘোরবিরোধী কওমি মাদ্রাসার সংশ্লিষ্ট কাহারও পক্ষে ইহা না মানাই স্বাভাবিক। }}}}
ভারত ও পাকিস্তানে কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি আছে, কিন্তু কোনরূপ সরকারি নিয়ন্ত্রণ নাই।
বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসা মহল তাহাই চাহিতেছেন। এমনকি তাহারা এইজন্য সরকারি অনুদান বা সাহায্য-সহযোগিতার মুখাপেক্ষী নহেন। যদিও কওমি মাদ্রাসার সিলেবাস যুগোপযোগী করা ও ইসলামের আলোকেই প্রয়োজনীয় সংস্কারের কোন বিকল্প নাই।
**************************
3*** মুতাওয়াসসিতাহ ও সানাবিয়্যাহ আম্মাহ স্তরে পর্যায়ক্রমে সমাজবিজ্ঞান, সাধারণ বিজ্ঞান, কম্পিউটার, ভূগোল, কৃষি ও গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বিষয় অন্তর্ভুক্ত হবে।
সানাবিয়্যাহ খাস্সাহ স্তরে যুক্তিবিদ্যা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাস বিষয়টি রাখা হচ্ছে।
কারন জমাতে উলা {[মুতাওয়াসসিতাহ ও সানাবিয়্যাহ আম্মাহ স্তরে }} ও সানাবিয়্যাহ খাস্সাহ স্তরে {দাওরায়ে হাদীস এ} যদি অতিরিক্ত সাবজেট্ সংযোজন করা হয় তখন মাদ্রাসার শিক্ষার আসল বৈশিষ্ট হারিয়ে ফেলবে বলে অনেকেরই ধারনা , তবে নীচের দিকে কওমী সাবজেটের সাথে অন্যান্য বিষয়াদীতে সাধারন বিষয়াদী সংযোজন করা যেতে পারে ৷
কওমি মাদ্রাসা আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থা হইতে অনেক দিক দিয়াই স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। সম্পূর্ণ বেসরকারি ও সামাজিক ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত এবং সিলেবাসও আলাদা। এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, সারাদেশে বেফাকুল মাদারিসের নিবন্ধনভুক্ত কওমি মাদ্রাসার সংখ্যা ১৫ হাজার। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৪০ লক্ষ। শিক্ষকের সংখ্যা ২ লক্ষ। তবে ইহার বাহিরেও অনেক কওমি মাদ্রাসার অস্তিত্ব আছে। এই লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীর প্রধান সমস্যা হইল, তাহাদের শিক্ষা ব্যবস্থার কোন সরকারি স্বীকৃতি নাই। ফলে তাহাদের কর্মসংস্থানের পরিধি সীমিত।
প্রসঙ্গে জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া যাত্রাবাড়ী মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাহমুদুল হাসান কতৃক সংশোধনী ******************************************************************
সংশোধনী প্রসঙ্গে জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া যাত্রাবাড়ী মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাহমুদুল হাসান বাংলামেইলকে বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব চাওয়া হয়েছিল। কওমি মাদরাসার স্বীকৃতির জন্য অনেক বিষয় আমি সরকারের কাছে তুলে ধরেছি। মূলত দারুল উলুম দেওবন্দের ৮টি মূলনীতি (উসূলে হাশতে গানা) এবং কওমি মাদরাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষের স্বাধীনতা, স্বকীয়তা, সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত রাখার বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমার মনে হয় এতে কওমি মাদরাসার কোনো ক্ষতি হবে না। এ সব শর্ত মানা হলে দেশ ও ইসলামের জন্য ভালো হবে।’
সংশোধনীতে কী কী বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘কওমি আলেমদের উপস্থাপিত দাবিই সংশোধনীতে যুক্ত হয়েছে। এরমধ্যে পাঠ্যসূচি আলেমরা নিজেদের ইচ্ছামত প্রণয়ন, কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, সেক্রেটারি হবেন দেশে পরিচিত প্রায় ১৫টি কওমি বোর্ডের সদস্য আছেন এমন আলেম, কর্তৃপক্ষে থাকবেন মহিলা মাদরাসার প্রতিনিধি, সরকারের পক্ষ থেকে একজন যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কেউ সদস্য হিসেবে থাকতে পারবেন, তবে তাকে অবশ্যই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অনুসারী হতে হবে।’
এছাড়া, বোর্ডের বাইরে কমপক্ষে ৭ জন বিশিষ্ট আলেমকে সদস্য করার বিষয় সুংযুক্ত হয়েছে। এমনকি কোনো মাদরাসা স্বীকৃতি গ্রহণে ইচ্ছুক না হলে তবে তারা স্বীকৃতির বাইরে থাকতে পারবে। ফলে স্বীকৃতির নিতে মাদসারাকে বাধ্য করা হবে না। কওমি ছাত্রদের উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করতে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবনাও রয়েছে।
উপস্থাপিত সংশোধনী প্রসঙ্গে মাহমুদুল হাসান আরো বলেন, ‘কোনো মাদরাসা সরকারি অনুদানভুক্ত হবে না। তারা তাদের নিজস্ব আয়ের ভিত্তিতেই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করবেন। বর্তমানে দেশের কওমি বোর্ডগুলো স্বাধীনভাবে আঞ্চলিক কার্যালয় হিসেবে কাজ করবে। আঞ্চলিক কার্যালয় হিসেবে তারা প্রাথমিক স্তরের সনদ দিতে পারবেন।
এদিকে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৮ম সংশোধনীর পর সরকার কর্তৃপক্ষ গঠনের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে। দ্রুত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এ আইনটি পাস করতে উপস্থাপন করা হবে।
http://www.banglamail24.com/index.php?ref=ZGV0YWlscy0yMDEzXzExXzA2LTk4LTYxMTIy
প্রশ্ন :--------------------------------------------------------------------------------------------------------------
জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া যাত্রাবাড়ী মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাহমুদুল হাসান কতৃক সংশোধনী গুলো সমপূর্ন ভাবে উক্ত সংশোধীত খসডা আইনে ঠিক সংযোজন করা হয়েছে কিনা ?????????????
যদি ঐ প্রস্তাবনা গুলো সংযোজন করে স্বীকৃতি প্রধান করা হয় তাহলে স্বীকৃতি নিতে কওমী ওলামাদের সমস্যা হওয়ার কথা না ৷
*******গত চার দলীয় জোট সরকারের মেয়াদের শেষপ্রান্তে কওমি মাদ্রাসা সনদের স্বীকৃতির ওপর একটি সরকারি গেজেট প্রকাশিত হয়। উক্ত গেজেটে দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান দেওয়া হয়। কিন্তু তাহা সর্বত্র কার্যকরী হয় নাই। এইবারও খসড়া আইনে এই মূল বিষয়টিকেই এড়াইয়া যাওয়া হইয়াছে বলিয়া দাবি করা হইতেছে।
একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশে সরকার নিয়ন্ত্রিত মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন আলিয়া মাদ্রাসার বাইরে প্রায় ২৫ হাজার কওমি মাদ্রাসা রয়েছে। তবে এসব মাদ্রাসায় কতসংখ্যক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে তার সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান নেই। বেসরকারিভাবে পরিচালিত এসব কওমি মাদ্রাসা মূলত ভারতের দেওবন্দ মাদ্রাসার পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে থাকে। তবে জামায়াতপন্থি কিছু আলেমের নেতিবাচক ভূমিকার কারণে এত দিন কওমি মাদ্রাসাগুলোকে এক ছাদের নিচে নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি।
প্রেক্ষাপট : বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময় থেকেই কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা তাদের সনদের স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে আসছিলেন। বর্তমান সরকার গত বছরের ১৫ এপ্রিল কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে বেফাকের সভাপতি, চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক, হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীকে চেয়ারম্যান করে ১৭ সদস্যের কমিশন গঠন করে। এ কমিশনের কো-চেয়ারম্যান হন শোলাকিয়া ঈদগাহের খতিব মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। আর সদস্যসচিব করা হয় গোপালগঞ্জের গওহরডাঙা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা রুহুল আমীনকে। কিন্তু এ দুজনকে সরকার সমর্থক বলে অভিযোগ করেন কমিশনের অন্য আলেমরা। পরে কো-চেয়ারম্যান-১ পদে মাওলানা আশরাফ আলীকে ও সদস্যসচিব পদে মাওলানা আবদুল জব্বারের নাম দিয়ে কমিশন পুনর্গঠন করার দাবি জানান আল্লামা আহমদ শফী। একই সঙ্গে বেফাকের নামে কওমি সনদের স্বীকৃতি দেওয়া, বেফাককে অ্যাফিলিয়েটিং বিশ্ববিদ্যালয় করা, সরকারি অনুদান গ্রহণ না করা ও কওমি মাদ্রাসার পাঠপদ্ধতি পরিবর্তন না করাসহ আটটি প্রস্তাব তুলে ধরেন তিনি।
সরকারের সঙ্গে দুটি বৈঠকের পরেও এসব দাবি পূরণ না হওয়ায় আল্লামা আহমদ শফী কমিশন থেকে 'নিষ্ক্রিয়' হয়ে পড়েন। পরে এ কমিশন ১৩ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে 'কওমি মাদ্রাসা শিক্ষানীতি, ২০১২' হস্তান্তর করে। এর আগে তারা ২০ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিব, অতিরিক্ত শিক্ষা সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে খসড়া নীতিমালাবিষয়ক মতবিনিময় করেন।
**** দাবী :---একই সঙ্গে বেফাকের নামে কওমি সনদের স্বীকৃতি দেয়া, বেফাককে অ্যাফিলিয়েটিং বিশ্ববিদ্যালয় করা, সরকারি অনুদান গ্রহণ না করা ও কওমি মাদ্রাসার পাঠপদ্ধতি পরিবর্তন না করাসহ আটটি প্রস্তাব তুলে ধরেন কওমী ওলামারা
সূত্র
{1} http://www.dailyeducation.net/printNews.php?content_id=1516
{ 2 } http://www.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMTBfMjdfMTNfMV8zXzFfODEwNzg%3D
{ 3 } http://www.bd-pratidin.com/2013/10/27/23589
{4 } http://bangla.bdnews24.com/campus/article689653.bdnews
{5 } http://www.banglamail24.com/index.php?ref=ZGV0YWlscy0yMDEzXzExXzA2LTk4LTYxMTIy
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন