খাটি মধু চেনার উপায়
মধু হলো একটি উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন একটি প্রাকৃতিক তরল। মধু প্রকৃতি প্রদত্ত এক বিশুদ্ধ মিষ্টি খাদ্য, যা চিনির চাইতে অনেক গুণ মিষ্টি। মধু হলো খাদ্য উপাদানগুলোর মাঝে একটি, যা কিনা কখনো নষ্ট হয় না। কিন্তু বাজারে থাকা মধুগুলো বেশিরভাগই ভেজাল পদার্থযুক্ত। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে চিনবেন খাঁটি মধু।
1.শীতের দিনে খাঁটি মধু দানা বেঁধে যায়। অনেকটা নারকেল তেলের মতো,
বিশেষত সরিষা ফুল ধনিয়া ফুলের মধু, তাছাডা অন্যান্য মধু গ্রেড 1হলে সামান্য বসবে,
আর কুকুর কখনো খাঁটি মধু খায় না। যদি কুকুরকে মধু দিলে সে তা খেয়ে নেয়, বুঝবেন মধু খাঁটি নয়। কুকুর মিষ্টিজাতীয় খাবার পছন্দ করে কিন্তু মধুতে একটি প্রাকৃতিক গন্ধ রয়েছে যা কুকুর পছন্দ করে না।
2. মধুতে কখনো কটু গন্ধ থাকবে না। খাঁটি মধুর গন্ধ হবে মিষ্টি ও আকর্ষণীয়। মধুর স্বাদ হবে মিষ্টি, এতে কোনও ঝাঁঝালো ভাব থাকবে না। তাছাড়া এই মধু খাওয়ার সময় আপনার নাকে একটি মিষ্টি গন্ধ লাগবে। বাজারে পাওয়া মধুতে যদি আপনি এই ধরনের কটু গন্ধ পেয়ে থাকেন কিংবা মধুর স্বাদে যদি কিছুটা ঝাঁঝালো ভাব থাকে তবে বুঝবেন এটি খাঁটি মধু না।
দি ঢাকা টাইমস্!
৩. পরিস্কার সাদা কাপড়ে অল্প একটু মধু লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। একটু পর কাপড়টি ধুয়ে ফেলুন। কাপড়ে দাগ থেকে গেলে বুঝতে হবে এই মধু নকল। আর কাপড়ে দাগ না থাকলে সেটা খাঁটি মধু।
৪. একটি মোমবাতি নিন। মোমবাতির সলতে তে মধু লাগিয়ে মোমবাতি টি জ্বালানোর চেষ্টা করুন,যদি মোমবাতি টি ভাল ভাবে জ্বলে তাহলে মধুটি খাঁটি আর যদি ভাল ভাবে না জ্বলে তাহলে বুঝতে হবে মধুটি তে ভ্যাজাল আছে।
৫. একটি ব্লটিং কাগজ নিন, এবং তাতে কয়েক ফোঁটা মধু ফেলুন, যদি কাগজ মধু শুষে নেয় তাহলে মধুটি তে ভ্যাজাল আছে আর যদি কাগজের উপর মধু ফোঁটা আকারে রয়ে যায় তাহলে মধুটি খাঁটি।
৬. যদি দেখেন মধু তলানীতে চিনি গুডোর মত বসে আছে, বা ঠান্ডার কারনে বা ফ্রিজে রাখার কারনে চিনি বা মেসরীর মত কনা কনা বসে গেছে তাহলে খাঁটি।
৭. রুটি বা অন্য যে কোন জিনিষ যা কুুকুর খায় এমন জিনিষের সাথে মদু মিশিয়ে কুকুরকে দিন যদি কুকুর খায় তাহলে বুঝবেন আপনার কেনা মদুতে বেজাল, আর যদি না খায় তাহলে বুঝবেন আপনার কেনা মধু ১০০% খাটি।
৮.
১. এক গ্লাস পানিতে এক চামচ পরিমাণ মধু দিন। তারপর আস্তে আস্তে গ্লাসটি নাড়া দিন। মধু পানির সঙ্গে মিশে গেলে নিশ্চিত হবেন সেটা ভেজাল মধু। আর মধু যদি ছোট পিণ্ডের মতো গ্লাসের পানিতে ছড়িয়ে যায়, তাহলে বুঝবেন সেটা খাঁটি মধু।
মধু জমে কেন?হাজারো লোকের প্রশ্ন
অনেকে মধু জমে গেলে সন্ধেহ করেন যে এটা খাঁটি কিনা? প্রথমত অঞ্জতা বশত অামরা অনেক কিছু বলে থাকি বাস্তবতা চিন্তা করিনা।
অাসলে কথা হল মধুর প্রকার ভেদে জমবে বা জমবেনা। মধু খাঁটি কিনা তা পরীক্ষা করার অনেক পদ্ধতির মধ্যে একটা হল ফ্রিজিং পদ্ধতি অর্থাৎ ফ্রিজে রেখে যাচাই করা যে মধু জমে কিনা, যদি জমে তাহলে বুঝতে হবে যে, মধু খাঁটি গ্রেড ওয়ান।
যেমন সরিষা ফুলের মধুতে প্রোটিন বেশী থাকে বিধায় বেশী জমাট বেধে , এমন কি ফ্রিজিং ছাডা নীচে হালকা চিনির কনার মত বা জেলীর মত জমে যাবে।
ধনিয়া ফুলের মধু তুলনা মুলক ভাবে কম জমবে। অপর দিকে কালোজিরা ফুলের মধু জমবেনা।
অপর দিকে সুন্দরবনের মধু যেহেতু হাজারো ফুল অার ফলের থেকে তাও কিন্তু জমেনা। কিন্তু গ্রেড বেশী হলে জমবে ।
তাছাডা যে মধু গ্রেড ওয়ান সে মধু বেশী জমবে। গবেষনা বা বাস্তব অভিগ্গতা তাই বলে। কারন মধু অারোহন করাকালীন সময়ের পার্থক্যের কারনেও কিন্তু গ্রেড নির্নয় হয়।যেমন ফসলের শুরু অার শেষ সময় , অপর দিকে বাক্স থেকে মধু অারোহনের সময় যেমন ৮-১০-১২- বা ১৫ দিন পর যখন বাক্স খোলা হবে বা মধু অারোহন করা হবে সে হিসাবে গ্রেড নির্ণয় হয়।তাই অনেক কিছু এখানে অামাদের জানার বুঝার অাছে।
তাই মধু জমেনা এটা ঠিক না।
তাছাডা চিনির শীরা তৈরী করার পর তা কিন্তু জমেনা বিশ্বাস না হলে পরীক্ষা করুন।
মধু জমে গেছে বলে চিনি অাছে বলে সন্দেহের অবকাশ নেই। অার চিনি থাকলেও কিন্তু মধুর চিনি , তবে এটা চিনি বলতে কেউ যেন ভুল না বুঝি যে, এটা অাখের তৈরী সাধারণ চিনি বরং এটা প্রোটিন। যেমনটা নারিকেল তৈল জেলীর মত বসে যায়, তাই বলে কি জেলী বলবো?
মর্ডান হার্বাল গবেষক ডাঃ অালমগির মতি স্যার তাই বলেন।তাছাডা সরাসরি মধু চাষি সহ গবেষকদের সাথে অালাপকালে এমন তথ্যই উঠে অাসে। তাই প্রকৃত মধু হলে অাবশ্যই হালকা জমে যাবে।
৯.
বিঃ দ্রবঃ অনেক সময় এ সকল আলামত ও সঠিক হয়না বলে অনেকে মনে করেন তবে সব চেয়ে খাটি কথা হল যদি আপনি নিজে স্পট থেকে সরাসরি সংগ্রহ করেন সেটাই মুল বা আসল বা খাঁটি তবে আমরা কোন পরীক্ষার তোয়াক্কা করিনা কারন আমরা নিজেরাই সরাসরি স্পট থেকে সংগ্রহ করে থাকি তাই বলে থাকি আমাদেরটা ১০০% খাঁটি।
মধু খাঁটি হওয়া সত্বেও কেন এত সংশয় সন্ধেহ !
একটি পর্যালোচনা।
অামরা অনেকে খাঁটি মধুর সন্ধান করি এবং সংগ্রহ ও করে থাকি, ব্যবহার ও করে থাকি। তার পরও অনেকের প্রশ্ন থেকে যায় যে, মধু খাঁটি কিনা?
এমন প্রশ্নের কিছু কারনও অাছে যা অামার ব্যক্তিগত অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।
প্রথমত:- অামাদের দেশ সহ সারা পৃথিবীতে অাজ যেখানে সেখানে দুর্নীতি অার প্রতারনার সয়লাব, খাঁটি পাওয়া দুস্কর যার জন্য কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে চায়না। কিন্তু তার পরও মিটি মিটি করে অানাচে- কানাচে কিছু সত্যসন্ধানী ন্যায়-পরায়ন লোক এখনও অাছে, ও থাকবে। যাদের মাধ্যমে অাজও অামরা খাঁটি জিনিষ পেয়ে থাকি।কিন্তু সত্যকে বেচে নেয়া খুবই দুস্কর।
যার কারনে অাপনি ১০০% খাটি জিনিষ সরবরাহ করার পরও মনে সন্দেহ থেকে যায়। কিন্তু অামরা সরাসরি স্পট থেকে সংগ্রহ কৃত মধু যখন সরবরাহ করে থাকি তখন ও এমন প্রশ্নের সন্মুখিন হতে হচ্ছে। একমাত্র সামাজিক অবক্ষয়ের কারনে।
দ্বিতীয়ত-: মধু সম্পর্কে অনভিজ্ঞ হওয়ার কারনে,
কারণ মধু বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে।
১' প্রাকৃতিক তথা বাসা কাটা মধু , যা মৌমাছিরা স্বাধীন ভাবে বাসা বেদে মৌচাক তৈরির মাধ্যমে সংগ্রহ করে থাকে। এটা ১০০% খাঁটি মধু।
অন্যটি প্রাকৃতিক চাষের মধু যা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুস্বরন করে বাক্স তৈরীর মাধ্যমে মৌমাছি পালনের মাধ্যমে করে থাকে তন্মধ্যে
২' কালোজিরা ফুলের মধু
৩' সরিষা ফুলের মধু
৪' লিচু ফুলের মধু
৫'বরই ফুলের মধু
৬' ধনিয়া ফুলের মধু
ইত্যাদি।
যা মৌসুমে খেতে বাক্স বসিয়ে চাষের মাধ্যমে মধু সংগ্রহ করে থাকে। এটাও ১০০% খাঁটি মধু। এবং স্হাস্হকরী যা কিনা হাতের স্পর্শ ব্যতিরেকে মেশিনের মাধ্যমে সংগ্রহ করে থাকে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় এচাষের মধু নিয়েও অনেকে প্রশ্ন করে খাকেন যে এটা খাঁটি কিনা?
এখানে ও সন্ধেহের কারন হল, যা অামি মনে করি যে, চাষের মধু এক এক ফুলের মধু এক এক রকম হয়। যেমন স্বাদে ভিন্ন তেমন কালার ও ঘনত্ব ও পাতলায় ভিন্নতা রয়েছে।
তাই কেউ যদি শুধুমাত্র প্রাকৃতিক তথা বাসা কাটা মধু খেয়ে থাকেন তার সামনে যখন অন্যান্য মধু উপস্হাপন করা হবে তার কাছে কিন্তু অন্য গুলো ভেজাল মনে হবে।
তেমনি ভাবে কেউ যদি কালোজিরা ফুলের মধু খেয়ে থাকেন তার কাছে অন্যান্য মধু ভেজাল মনে হবে, বাস্তবতা কিন্তু ভিন্ন। কারন এক এক ফল অার ফুলের গ্রান অার স্বাদ যেমন ভিন্ন তেমনি তার মধুর স্বাদ অার গ্রান এমন কি কালারে ও ভিন্নতা অাছে।
এজন্য যারা সব ধরনের মধু ব্যবহার করেছেন তারাই একমাত্র খাঁটি বা ভেজাল নিরুপনে সামর্থ হবেন। তাছাডা যারা সরাসরি স্পট থেকে সরাসরি মধু সংগ্রহ করেন তারাইই বলতে পারবেন মধু খাঁটি কিনা। তবে যারা অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার কথা বলে থাকেন কোনটাই একুরিট্ না।
তাছাডা অামাদের মুরুব্বিদের কাছে মধুর অনেক ভাল গুনাগুনের কথা শুনে থাকি। যে প্রাকৃতিক মধু খেতে এমন এমন লাগে, কিন্তু তাদের কথা ওপালানোর মত নয় কারন অাজ থেকে ৩০/৪০ বছর অাগে প্রকৃতির যে অাবস্হা ছিল তা কিন্তু বর্তমানে নেই।তখন মধু বা অন্যান্য ফল বা খাদ্য শষ্যের যে গুনগত মান বা স্বাদ ছিল বর্তমানে কল্পনাও করা যায়না।সব কিছুতে রাসায়নিক কীটনাশক সহ বিভিন্ন ক্যমিক্যাল ব্যবহারের ফলে যেখানে সারা পৃথিবীতে জলবায়ু পরিবর্তন সহ পরিবেশের উপর কিরুপ প্রভাব ফেলেছে তা সকলের জানা। এর প্রভাব থেকে মধুও কিন্তু বাদ পডেনি। তাই যে সময় যে পরিবেশ, বা প্রকৃতি তার সাথে মিলেমিশে চলতে হবে অামাদেরকে।
৭' মৌমাছির খাদ্য সংকটকালে চিনির শীরা রেখে মৌমাছির খাদ্য স্ংগ্রহ করে মধু উতপাদন বা
অাবদ্ধ ঘরে শুধু চিনির শীরা দিয়ে মৌমাছি পালন করে মধু উতপাদন।যা বিভিন্ন কোম্পানি করে থাকেন।
এগুলোকে খাঁটি বলা হলেও কিন্তু প্রাকৃতিক না।
৮' কিছু অসাধু যারা হালকা কিছু মধুর সাথে চিনির শীরা সহ অন্যান্য উপাদানের সংমিশ্রণ করে মধু তৈরী করে সস্হা দামে বিক্রি করে তারা অাবশ্যই প্রতারক।
অালহামদুলিল্লাহ
অামরা সরাসরি স্পট থেকে সংগ্রহকৃত ১০০% খাঁটি মধু সরবরাহ করে থাকি। তাই অামাদের উপর অাস্হা রাখতে পারেন।তাছাডা অসাধু উপায়ে টাকা উপার্জন করে বা ব্যবসা করে বড লোক হতে চাই না।অাল্লাহর কাছে পানাহ চাই।
D X N abdullah bhuiyan bd
Abdullah bhuiyan
01829318114
https://www.facebook.com/%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87-842742305906000/
উত্তরমুছুন০০৮৮০১৮২৯৩১৮১১৪
https://www.facebook.com/%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87-842742305906000/
উত্তরমুছুন০০৮৮০১৮২৯৩১৮১১৪