যারা বিভিন্ন মসজিদ মাদরাসা মাহফিল সহ গরীব অসহায়দের দান করেন তাদের জন্য সুখবর
আমাদের অনেকেই এমন আছি যাদের উপর জাকাত ফরজ নয় কিন্তু জাকাত ফরজ না হওয়ার কারনে তারা নিয়মতান্ত্রিক দান ছদকা করার সূযোগ পাননা কিন্তু যারা সচেতন কিন্তু তাদের উপর ফরজ না হওয়া সত্বেও নফলি ছদকা ইত্যাদিতে অগ্রগামী।তাই তারা সর্বদা মসজিদ মাদরাসা মাহফিল সহ গরীব দুঃখি মানুষের পাশে দাঁডান মূলত এরাই সূভাগ্যবান মানুষ।
কারণ মূলত হাদিসে পাকে ফাজায়েলে ছদকাত সম্পর্কিয় যত সব হাদিস পাওয়া যায় প্রায় নফলি ছদকাত সম্পর্কে।কারণ জাকাতের জন্য নির্ধারীত খাত রয়েছে । তাই আজকে এখানে কিছু ফাজায়েল আপনাদের জন্য উস্হাপন করছি।
তবে যে কোন দান অনুদানে ছহীহ নিয়তের বিকল্প নেই।
আমাদের দেশে সহ সারা পৃথিবীতে দ্বীনি কাজের অনেক গুলো খাত আছে তন্মধ্যে মসজিদ মাদরাসা অন্যতম কারণ এ গুলো হল দ্বীন ইসলামের প্রধান কেন্দ্র এ গুলো টিকিয়ে রাখা মানে পূথিবীর অস্হিত্বকে টিকিয়ে রাখর শামেল ।
এ জন্য সারা বছর যেখানে মসজিদ মাদরাসা ইসলামী সন্মেলন সহ দুস্হ গরীবদের সেবায় পরিচালিত বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে সেখানে যথাসাধ্য অংশ গ্রহন করা। কারণ স্বল্প আয়ের লোকদের বড আকারে কোন দান অনুদানের সূযোগ নাও হতে পারে কিন্তু আপনি যখন আপনি ৫/১০/১০০/৫০০ শত টাকা করে দান করতে থাকবেন এটাই কেয়ামতের ময়দানে বড বড পাহাডের মত উপস্হাপিত হবে।তখন আরও বেশী কেন করিনি এটা নিয়ে আপসোস করতে হবে।
নিন্মে ফাজায়েলে ছাদাকাত সম্পর্কিত কোরআন- হাদিস
আল্লাহ তায়ালা বলেন
“যারা রাতে-দিনে গোপনে ও প্রকাশ্যে তাদের
মাল-সম্পদ খরচ করে, তাদের জন্য তাদের
প্রতিপালকের নিকট বদলা রয়েছে, তাদের কোন
ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না।” [সূরা
বাকারাহ/২৭৪]
দান করতে নিরবে গোপনে করাই শ্রেয়
এবং দান ছদকা করার পর গ্রহীতা থেকে ধন্যবাদ পাওয়ার আসা ও না করা কারণ আল্লাহই উত্তম প্রতিদান কারী।
অনেক মনে করেন যে দান করলে কমে যাবে কিন্তু বাহ্যিক ভাবে কমলে ও কিন্তু বাস্তবে বৃদ্ধি পায় ।
১-সাদাকা ধন-সম্পদ ও রিজিক বৃদ্ধির কারণ:
আল্লাহ তায়ালা বলেন: (আল্লাহ তায়ালা সুদকে
বিলুপ্ত করেন এবং সাদাকাকে বৃদ্ধি করেন।)
[বাকারাহ/২৭৬] এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম বলেন: “সাদাকা কোনও মালকে
হ্রাস করে না”। [মুসলিম, নং ২৫৮৮]
২-সাদাকা বিপদ থেকে নিরাপদে রাখে এবং
আল্লাহর ক্রোধ নিভিয়ে দেয়: নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “
সওয়াবের কাজ বিপদাপদ থেকে নিরাপদে রাখে,
গোপন ভাবে সাদাকা করা প্রতিপালকের ক্রোধ
নিভিয়ে দেয় এবং আত্মীয়তা বজায় রাখা বয়স
বৃদ্ধি করে”। [স্বহীহুত্ তারগীব ওয়াত্
তারহীব]
৩-সাদাকা কিয়ামতের দিনে জাহান্নাম থেকে
বাঁচার কারণ: (আর তারা আল্লাহর প্রতি তাদের
ভালবাসার কারণে মিসকিন, ইয়াতীম ও
কয়েদীকে খাবার খাওয়ায়। …. যার ফলে আল্লাহ
তাদের সে দিনের অনিষ্ট হতে রক্ষা করবেন আর
তাদের দিবেন সজীবতা ও আনন্দ।) [সূরা
দাহর/৯ ও ১১]
হাদীসে বর্ণিত হয়েছে,
জাহান্নাম থেকে বেঁচে থাক যদিও অর্ধেক
খেজুরও সাদাকা করে হয়”। [মুত্তাফাক আলাইহি]
৪-সাদাকা রোগ থেকে আরোগ্যে পাওয়ার কারণ:
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
“সাদাকার মাধ্যমে রোগীদের চিকিৎসা
করো”। [স্বাহীহ আল জামি, শাইখ আলবানী
হাসান বলেছেন]
৫-সাদাকা সাদাকারীর সঠিক ঈমানের প্রমাণ:
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
“সাদাকা হচ্ছে প্রমাণ”। [মুসলিম, স্বহীহ আল
জামি নং ৩৯৫৭]
৬-সাদাকা পুণ্য ও তাকওয়া অর্জনের উপায়:
আল্লাহ তায়ালা বলেন: (তোমরা তোমাদের প্রিয়
বস্তু খরচ না করা পর্যন্ত কক্ষনো পুণ্য লাভ
করবে না) [আল্ ইমরান/৯২]
৭-সাদাকা আত্মাকে পাক ও পরিশুদ্ধ করে:
আল্লাহ তায়ালা বলেন: (তাদের সম্পদ থেকে
সাদাকাহ গ্রহণ করবে যাতে তা দিয়ে তাদের
পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করতে পার।) [তাওবা/১০৩]
৮-সাদাকা কিয়ামত দিবসে সাদাকাকারীকে
সূর্যের তাপ থেকে ছায়া করবে: নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “প্রত্যেক ব্যক্তি
তার সাদাকার ছায়াতলে থাকবে যতক্ষণে লোকদের
মাঝে ফয়সালা শেষ না হয়”। [আহমদ, শাইখ
আলবানী স্বহীহ বলেছেন, স্বহীহ আল জামি নং
৪৫১০]
অন্য হাদীসে সাত প্রকারের লোক
আরশের ছায়াতলে স্থান পাবে বলে উল্লেখ
হয়েছে, তন্মধ্যে এক ব্যক্তি সে যে, “গোপনে
এমন ভাবে সাদাকা করে যে, তার ডান হাত যা
খরচ করে তার বাম হাত জানতে পারে না”।
[বুখারী, (১৪২৩) মুসলিম(১০৩১)]
৯-সাদাকা করা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম এর বৈশিষ্ট: ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)
থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবচেয়ে বেশী দানশীল
ছিলেন এবং তাঁর দানশীলতা আরও বৃদ্ধি পেত,
যখন রামাযান মাসে ফেরেশতা জিবরীল তাঁর
সাথে সাক্ষাত করত”। [বুখারী, নং (৬) মুসলিম]
১০-সাদাকা অন্তরের নিষ্ঠুরতার চিকিৎসা:
একদা এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম এর নিকট তার অন্তরের
কঠোরতার অভিযোগ করলে নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বলেন: “ইয়াতীমের
মাথায় হাত বুলাও এবং মিসকিনদের খাদ্য দান
করো”। [আহমদ, নং (৭৫৬৬, হাসান স্বহীহ আল
জামি নং ১৪১০]
১১-সাদাকা পাপ মোচন করে এবং তা গুনাহের
কাফফারা স্বরূপ: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম বলেন: “এবং সাদাকা পাপ মুছে দেয়
যেমন পানি আগুনকে নিভিয়ে দেয়”।
[তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং আলবানী
স্বহীহ বলেছেন, স্বহীহ আল জামি নং ২৯৫১]
১২-সাদাকা আল্লাহর ভালবাসার কারণ: আল্লাহর
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
“আল্লাহর নিকট পছন্দনীয় সৎ কাজ হচ্ছে,
মুসলিম ব্যক্তিকে খুশী করা কিংবা তার কষ্ট
দূর করা কিংবা তার ক্ষুধা নিবারণ করা কিংবা
তার ঋণ পরিশোধ করা”। [স্বহীহুত তারগীব
ওয়াত্ তারহীব]
১৩-সাদাকাকারীর জন্য প্রত্যেক দিন ফেরেশতা
দুআ করেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম বলেন: “প্রতিদিন মানুষ যখন সকাল
করে, তখন দুই জন ফেরেশতা অবতরণ করে।
তাদের একজন বলে: হে আল্লাহ! তুমি (সৎ কাজে)
ব্যয়কারীকে তার প্রতিদান দাও। আর দ্বিতীয়
জন বলে: হে আল্লাহ! (আল্লাহ যা জরুরি
করেছেন তা) ব্যয় না কারীর (সম্পদকে) ধ্বংস
করে দাও”। [বুখারী, যাকাত অধ্যায়/১৩৭৪]
১৪-সাদাকার সওয়াব মৃত্যুর পরেও অব্যাহত
থাকে: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বলেন: “আদম সন্তান মারা গেলে তার সৎ আমল
সমাপ্ত হয়ে যায় তিনটি ব্যতীত: ১-সাদাকায়ে
জারিয়া ২-উপকারী ইলম ৩-সৎ সন্তান যে তার
জন্য দুআ করে”। [মুসলিম, অসিয়ত অধ্যায়]
১৫-সাদাকা জান্নাতে প্রবেশের কারণ: নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“হে লোকেরা! আপসে সালাম বিনিময় কর,
অন্যকে খাবার খাওয়াও, আত্মীয়তা বজায় রাখ
এবং রাত্রে নামায আদায় কর যখন লোকেরা
নিদ্রায় থাকে, তাহলে অভিবাদনের সাথে
জান্নাতে প্রবেশ করবে”। [হাদীসটি
তিরমিযী বর্ণনা করেছেন, নং (২৪৯০) এবং
শাইখ আলবানী স্বহীহ বলেছেন]
মহান আল্লাহ আমাদেরকে যাকাত আদায়ের
পাশাপাশি অধিক পরিমাণে নফল দান-সদকা করে তার
প্রিয়ভাজন বান্দাদের অন্তর্ভূক্ত করে নিন।
আমীন।
ওয়া স্বাল্লাল্লাহু আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মদ,
তাসলীমান মাযীদান।
আমাদের অনেকেই এমন আছি যাদের উপর জাকাত ফরজ নয় কিন্তু জাকাত ফরজ না হওয়ার কারনে তারা নিয়মতান্ত্রিক দান ছদকা করার সূযোগ পাননা কিন্তু যারা সচেতন কিন্তু তাদের উপর ফরজ না হওয়া সত্বেও নফলি ছদকা ইত্যাদিতে অগ্রগামী।তাই তারা সর্বদা মসজিদ মাদরাসা মাহফিল সহ গরীব দুঃখি মানুষের পাশে দাঁডান মূলত এরাই সূভাগ্যবান মানুষ।
কারণ মূলত হাদিসে পাকে ফাজায়েলে ছদকাত সম্পর্কিয় যত সব হাদিস পাওয়া যায় প্রায় নফলি ছদকাত সম্পর্কে।কারণ জাকাতের জন্য নির্ধারীত খাত রয়েছে । তাই আজকে এখানে কিছু ফাজায়েল আপনাদের জন্য উস্হাপন করছি।
তবে যে কোন দান অনুদানে ছহীহ নিয়তের বিকল্প নেই।
আমাদের দেশে সহ সারা পৃথিবীতে দ্বীনি কাজের অনেক গুলো খাত আছে তন্মধ্যে মসজিদ মাদরাসা অন্যতম কারণ এ গুলো হল দ্বীন ইসলামের প্রধান কেন্দ্র এ গুলো টিকিয়ে রাখা মানে পূথিবীর অস্হিত্বকে টিকিয়ে রাখর শামেল ।
এ জন্য সারা বছর যেখানে মসজিদ মাদরাসা ইসলামী সন্মেলন সহ দুস্হ গরীবদের সেবায় পরিচালিত বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে সেখানে যথাসাধ্য অংশ গ্রহন করা। কারণ স্বল্প আয়ের লোকদের বড আকারে কোন দান অনুদানের সূযোগ নাও হতে পারে কিন্তু আপনি যখন আপনি ৫/১০/১০০/৫০০ শত টাকা করে দান করতে থাকবেন এটাই কেয়ামতের ময়দানে বড বড পাহাডের মত উপস্হাপিত হবে।তখন আরও বেশী কেন করিনি এটা নিয়ে আপসোস করতে হবে।
নিন্মে ফাজায়েলে ছাদাকাত সম্পর্কিত কোরআন- হাদিস
আল্লাহ তায়ালা বলেন
“যারা রাতে-দিনে গোপনে ও প্রকাশ্যে তাদের
মাল-সম্পদ খরচ করে, তাদের জন্য তাদের
প্রতিপালকের নিকট বদলা রয়েছে, তাদের কোন
ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না।” [সূরা
বাকারাহ/২৭৪]
দান করতে নিরবে গোপনে করাই শ্রেয়
এবং দান ছদকা করার পর গ্রহীতা থেকে ধন্যবাদ পাওয়ার আসা ও না করা কারণ আল্লাহই উত্তম প্রতিদান কারী।
অনেক মনে করেন যে দান করলে কমে যাবে কিন্তু বাহ্যিক ভাবে কমলে ও কিন্তু বাস্তবে বৃদ্ধি পায় ।
১-সাদাকা ধন-সম্পদ ও রিজিক বৃদ্ধির কারণ:
আল্লাহ তায়ালা বলেন: (আল্লাহ তায়ালা সুদকে
বিলুপ্ত করেন এবং সাদাকাকে বৃদ্ধি করেন।)
[বাকারাহ/২৭৬] এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম বলেন: “সাদাকা কোনও মালকে
হ্রাস করে না”। [মুসলিম, নং ২৫৮৮]
২-সাদাকা বিপদ থেকে নিরাপদে রাখে এবং
আল্লাহর ক্রোধ নিভিয়ে দেয়: নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “
সওয়াবের কাজ বিপদাপদ থেকে নিরাপদে রাখে,
গোপন ভাবে সাদাকা করা প্রতিপালকের ক্রোধ
নিভিয়ে দেয় এবং আত্মীয়তা বজায় রাখা বয়স
বৃদ্ধি করে”। [স্বহীহুত্ তারগীব ওয়াত্
তারহীব]
৩-সাদাকা কিয়ামতের দিনে জাহান্নাম থেকে
বাঁচার কারণ: (আর তারা আল্লাহর প্রতি তাদের
ভালবাসার কারণে মিসকিন, ইয়াতীম ও
কয়েদীকে খাবার খাওয়ায়। …. যার ফলে আল্লাহ
তাদের সে দিনের অনিষ্ট হতে রক্ষা করবেন আর
তাদের দিবেন সজীবতা ও আনন্দ।) [সূরা
দাহর/৯ ও ১১]
হাদীসে বর্ণিত হয়েছে,
জাহান্নাম থেকে বেঁচে থাক যদিও অর্ধেক
খেজুরও সাদাকা করে হয়”। [মুত্তাফাক আলাইহি]
৪-সাদাকা রোগ থেকে আরোগ্যে পাওয়ার কারণ:
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
“সাদাকার মাধ্যমে রোগীদের চিকিৎসা
করো”। [স্বাহীহ আল জামি, শাইখ আলবানী
হাসান বলেছেন]
৫-সাদাকা সাদাকারীর সঠিক ঈমানের প্রমাণ:
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
“সাদাকা হচ্ছে প্রমাণ”। [মুসলিম, স্বহীহ আল
জামি নং ৩৯৫৭]
৬-সাদাকা পুণ্য ও তাকওয়া অর্জনের উপায়:
আল্লাহ তায়ালা বলেন: (তোমরা তোমাদের প্রিয়
বস্তু খরচ না করা পর্যন্ত কক্ষনো পুণ্য লাভ
করবে না) [আল্ ইমরান/৯২]
৭-সাদাকা আত্মাকে পাক ও পরিশুদ্ধ করে:
আল্লাহ তায়ালা বলেন: (তাদের সম্পদ থেকে
সাদাকাহ গ্রহণ করবে যাতে তা দিয়ে তাদের
পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করতে পার।) [তাওবা/১০৩]
৮-সাদাকা কিয়ামত দিবসে সাদাকাকারীকে
সূর্যের তাপ থেকে ছায়া করবে: নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “প্রত্যেক ব্যক্তি
তার সাদাকার ছায়াতলে থাকবে যতক্ষণে লোকদের
মাঝে ফয়সালা শেষ না হয়”। [আহমদ, শাইখ
আলবানী স্বহীহ বলেছেন, স্বহীহ আল জামি নং
৪৫১০]
অন্য হাদীসে সাত প্রকারের লোক
আরশের ছায়াতলে স্থান পাবে বলে উল্লেখ
হয়েছে, তন্মধ্যে এক ব্যক্তি সে যে, “গোপনে
এমন ভাবে সাদাকা করে যে, তার ডান হাত যা
খরচ করে তার বাম হাত জানতে পারে না”।
[বুখারী, (১৪২৩) মুসলিম(১০৩১)]
৯-সাদাকা করা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম এর বৈশিষ্ট: ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)
থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবচেয়ে বেশী দানশীল
ছিলেন এবং তাঁর দানশীলতা আরও বৃদ্ধি পেত,
যখন রামাযান মাসে ফেরেশতা জিবরীল তাঁর
সাথে সাক্ষাত করত”। [বুখারী, নং (৬) মুসলিম]
১০-সাদাকা অন্তরের নিষ্ঠুরতার চিকিৎসা:
একদা এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম এর নিকট তার অন্তরের
কঠোরতার অভিযোগ করলে নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বলেন: “ইয়াতীমের
মাথায় হাত বুলাও এবং মিসকিনদের খাদ্য দান
করো”। [আহমদ, নং (৭৫৬৬, হাসান স্বহীহ আল
জামি নং ১৪১০]
১১-সাদাকা পাপ মোচন করে এবং তা গুনাহের
কাফফারা স্বরূপ: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম বলেন: “এবং সাদাকা পাপ মুছে দেয়
যেমন পানি আগুনকে নিভিয়ে দেয়”।
[তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং আলবানী
স্বহীহ বলেছেন, স্বহীহ আল জামি নং ২৯৫১]
১২-সাদাকা আল্লাহর ভালবাসার কারণ: আল্লাহর
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
“আল্লাহর নিকট পছন্দনীয় সৎ কাজ হচ্ছে,
মুসলিম ব্যক্তিকে খুশী করা কিংবা তার কষ্ট
দূর করা কিংবা তার ক্ষুধা নিবারণ করা কিংবা
তার ঋণ পরিশোধ করা”। [স্বহীহুত তারগীব
ওয়াত্ তারহীব]
১৩-সাদাকাকারীর জন্য প্রত্যেক দিন ফেরেশতা
দুআ করেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম বলেন: “প্রতিদিন মানুষ যখন সকাল
করে, তখন দুই জন ফেরেশতা অবতরণ করে।
তাদের একজন বলে: হে আল্লাহ! তুমি (সৎ কাজে)
ব্যয়কারীকে তার প্রতিদান দাও। আর দ্বিতীয়
জন বলে: হে আল্লাহ! (আল্লাহ যা জরুরি
করেছেন তা) ব্যয় না কারীর (সম্পদকে) ধ্বংস
করে দাও”। [বুখারী, যাকাত অধ্যায়/১৩৭৪]
১৪-সাদাকার সওয়াব মৃত্যুর পরেও অব্যাহত
থাকে: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বলেন: “আদম সন্তান মারা গেলে তার সৎ আমল
সমাপ্ত হয়ে যায় তিনটি ব্যতীত: ১-সাদাকায়ে
জারিয়া ২-উপকারী ইলম ৩-সৎ সন্তান যে তার
জন্য দুআ করে”। [মুসলিম, অসিয়ত অধ্যায়]
১৫-সাদাকা জান্নাতে প্রবেশের কারণ: নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“হে লোকেরা! আপসে সালাম বিনিময় কর,
অন্যকে খাবার খাওয়াও, আত্মীয়তা বজায় রাখ
এবং রাত্রে নামায আদায় কর যখন লোকেরা
নিদ্রায় থাকে, তাহলে অভিবাদনের সাথে
জান্নাতে প্রবেশ করবে”। [হাদীসটি
তিরমিযী বর্ণনা করেছেন, নং (২৪৯০) এবং
শাইখ আলবানী স্বহীহ বলেছেন]
মহান আল্লাহ আমাদেরকে যাকাত আদায়ের
পাশাপাশি অধিক পরিমাণে নফল দান-সদকা করে তার
প্রিয়ভাজন বান্দাদের অন্তর্ভূক্ত করে নিন।
আমীন।
ওয়া স্বাল্লাল্লাহু আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মদ,
তাসলীমান মাযীদান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন