বুধবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৩

হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের দাঁত ভাঙ্গা জবাব , কপি পোষ্ট

''কেন আমি হেফাজতে ইসলামের বিরোধিতা করছি?পোষ্টের লেখক'মুক্তার ইবনে রফিক' এর গুপ্তধন

 
হেফাজতে ইসলামের দুষমনের অভাব নাই তেমনি এক গুপ্ত শয়তান দুশমন সমন্ধে লিখতে যাচ্ছি যদিও তার সাথে আমার কোন পরিচয় নেই।বন্ধুগন -আমার একটা বাজে অভ্যাস যখনি কেন লেখকের লেখা পড়ি তখন সাথে সাথে লেখক সম্পর্কে একটু জানার চেষ্টাও করি।গতকাল বিশ্ব ভণ্ড আশেকে রাসুল জাকের মঞ্জিলের এক ভাই আমাকে 'মুক্তার ইবনে রফিক' এর লেখা একটি নোট-' কেন আমি হেফাজতে ইসলামের বিরোধিতা করছি? কমেন্ট করে লিঙ্ক দেন যার প্রতিটা শব্দ আমি মনোযোগ দিয়ে পড়েছি কিন্তু অবাক হলাম এটা পড়ে যে একজন লোক কি সুন্দর করে তার জাহেলি কথা গুলো সুন্দর ভাষায় ছড়িয়ে দিতে চাইলো আর সেটা আমাদের দেশের কিছু সাধারণ পাবলিক লাইক,কমেন্ট, সেয়ার করে আনন্দবোধ করতে লাগলো ! বুঝতেই পারছেন ভণ্ড জাকের মঞ্জিলের ভক্ত আমাকে লিঙ্ক দিয়েছে সেহেতু কাদের এই নোট ভাল লেগেছে তা বোঝার অপেক্ষা রাখে না।এখন আমি আমার নোটে লেখকের আসল চেহেরা সহ হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে তার সব গুলো অভিযোগের জবাব আমার নিজের ভাষাতে দিতে চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ তাই আমার ভাষা আপনাদের ভাল নাও লাগতে পারে যেহেতু আমি আবার কোন আলেম না বা হেফাজতে ইসলাম অথবা অন্য কোন রাজনীতির সাথে জড়িত না,বিদেশ হতে ডিগ্রি নিতে এখনো পড়াশোনা করে যাচ্ছি সাথে ইসলাম এবং ইসলামের পক্ষে যারা কাজ করে তাদের ভালবাসা বুকের মধ্যে লালন করে বেঁচে আছি 'আলহামদুলিল্লাহ্‌' এবং নিজেও মানার চেষ্টা করি ।যাই হোক হেফাজতে ইসলামের বিপক্ষে লেখা বিতর্কিত নোটের লেখক 'মুক্তার ইবনে রফিক' এর ইসলাম বিদ্বেষী এবং কুরআন আবমাননাকারির প্রতি তার ভক্তি এবং নোটের ব্যাপারে আমার মূল্যায়ন একে একে তুলে ধরছি সকলকে আমার কথা গুলো ভাল ভাবে একজন মুসলিম হিসেবে পড়ার অনুরোধ করছি,বাকি মহান আল্লাহ্‌র ইচ্ছা।
কে এই নোটের লেখক-মুক্তার ইবনে রফিক ?

বন্ধু গন আপনি হয়তো এতক্ষণে একটু অবাক হবেন যে এখানে দু-জন কেন ? লেখক তো একজন! হাঁ আমি আগে বলেছি আমি কারো লেখা পড়লে লেখকের সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি আর এ ভাবেই আমি খুঁজে পেলাম এই ফটোটি এখন আমি আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেই যদিও আপনারা ফটোর সাথে লেখা গুলো নিজেই পড়ে বুঝতে পারেন যে হেফাজতে ইসলামের লং মার্চ নিয়ে বিতর্কিত মিথ্যা, বানোয়াট নোট লিখেছে সে আর কেউ নয় তিনি হচ্ছেন ফটোর আনিসুর হকের একান্ত ভক্ত শুদু তাই নয় তার পোষ্টে সে নিজেই লিখেছে আমি ''স্যারের পা ছুঁয়ে সালাম করে বলব একটু দোয়া করে দিতে যেন তাঁর মত মহান মানুষের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দেশের জন্য কিছু করতে পারি !!'' আবার আনিসুল হকের ব্যাপারে কিছু কথা না বললে নয় তিনি ‘ছহি রাজাকারনামা’ নামে তার একটি ব্যঙ্গাত্মক রচনায় পবিত্র কোরআনের কয়েকটি আয়াতকে সম্পূর্ণ বিদ্রূপাত্মক ভাষায় লিখেছেন যার কিছু আমি আপনাদেরকে জানানর জন্য দিলাম-পবিত্র কোরআনের প্রথম সুরার প্রথম আয়াতে বলা হয়েছে—‘সমস্ত প্রশংসা জগতের প্রতিপালক আল্লাহর’। আনিসুল হক তার ‘সহি রাজাকারনামা’য় লিখেছেন, ‘সমস্ত প্রশংসা রাজাকারগণের’। সুরা ফাতেহার আরেকটি আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আমরা কেবল তোমারই ইবাদত করি এবং তোমারই কাছে সাহায্য চাই।’ আনিসুল হক ব্যঙ্গ ও বিকৃত করে লিখেছেন, ‘আর তোমরা রাজাকারের প্রশংসা করো, আর রাজাকারদের সাহায্য প্রার্থনা করো।’
পবিত্র কোরআনের সুরা দোহার ৪ নম্বর আয়াতে বলা হয়—‘নিঃসন্দেহে তোমাদের জন্য পরবর্তী যুগ পূর্ববর্তী যুগের চেয়ে ভালো।’ আনিসুল হক বিদ্রূপ করে লিখেছেন, ‘নিশ্চয়ই রাজাকারগণের জন্য অতীতের চাইতে ভবিষ্যেক উত্তম করিয়া সৃজন করা হইয়াছে।’পবিত্র কোরআনের সুরা নিসার ৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়, ‘আর তোমরা ভয় কর যে, ইয়াতিম মেয়েদের হক যথাযথভাবে পূর্ণ করতে পারবে না; তবে সেসব মেয়েদের মধ্য থেকে যাদের ভালো লাগে বিয়ে করে নাও দুই, তিন বা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায়সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে একজনকেই (বিবাহ কর), অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদের (বিবাহ কর)।’ আনিসুল হক এ আয়াতের বিপরীতে ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, ‘সেই ব্যক্তিই উত্তম রাজাকার, যে বিবাহ করিবে, একটি, দুইটি, তিনটি, চারটি, যেরূপ সে ইচ্ছে করে আর তাহার জন্য বৈধ করা হইয়াছে ডান হাতের অধিকারভুক্ত দাসীদের, আর তাহারা ভোগ করিতে পারিবে বাঙালিরমণীগণকে, অপিচ তাহাদের সহিত আদল করিবার দরকার হইবে না। স্মরণ রাখিও, মালেগণিমতগণের সহিত মিলিত হইবার পথে কোনোরূপ বাধা থাকিলো না।’
আনিসুল হকের ‘ছহি রাজাকারনামা’ লেখাটির প্রতিটি বাক্যেই পবিত্র কোরআনের বাকভঙ্গি ও কোরআনের বাংলা অনুবাদের ক্লাসিক ভাষা ব্যবহার করে কোরআনের আয়াতকে ব্যঙ্গ ও বিকৃত করা হয়েছে।পাঠক আপনাদের কাছে আমি একজন মুসলিম ভাই হিসেবে প্রশ্ন রাখতে চাই এই মুক্তার হেফাজতে ইসলামের বিরুধিতা করার মুল কারন কি কুরআন বিরুধি নয় ?যার কাছে আদর্শ আমাদের রাসুল সঃ নয় বরং আনিসুল হকের মত কুরআন অবমাননাকারী !

লেখককের আরও কিছু ভণ্ডামি গুন..................

মানুষের দুষ বা ভুল ত্রুটি থাকতেই পারে এমনকি আমিও দুশ-ত্রুটি মুক্ত নয় কিন্তু এই বিতর্কিত ভণ্ড লেখক, যার আদর্শ  আনিসুল হকের মত কুরআন অবমাননা কারী সে হেফাজতের ব্যাপারে বাজে বলার অধিকার রাখে না কিন্তু সে কাজটি করেছে তাই আমিও তার একান্ত ব্যাপার গুলো বললাম এই কারনে যে হেফাজতে ইসলামের মত লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রানের আন্দোলনের বিপক্ষে লিখতে পারে সে কত বড় ভণ্ড এটাও আমাদের জানা দরকার ?শুদু তাই না তার লাইক অপশনে গিয়ে বুঝলাম হিন্দি সংস্কৃতি প্রেমিক এই ছেলে হেফাজতে ইসলামের দাবির বিরুধিতা করার আসলে কি ?

হেফাজতে ইসলামের বিপক্ষে মিথ্যা অভিযোগে লেখা নোটের সঠিক বিশ্লেষণঃ......
লেখক বার বার জামাতি ইসলামী আর হেফাজতে ইসলামকে এক বলে অভিযোগ করেছে যা মিথ্যা।আমি এত বড় হয়েছি কোনদিন জামাতি ইসলামের আশে-পাশেও যাই নি না তাদের সাথে আমি এবং আমার ১৪ পুরুষের কোন সম্পর্ক আছে বলে মনে হয় না। তবে আজ সত্য কিছু কথা না বললেই নয় কেননা বিতর্কিত ভণ্ড এই লেখক বার বার হেফাজতে ইসলামকে জামাতের সাথে সংযুক্ত করার চেষ্টা করেছে।তাই তার কথা গুলোর কারনে জামাতে ইসলামির কিছু কথা আমার ইচ্ছার বাহিরে লিখতেই হবে।নিচে তার পয়েন্ট গুলো উল্লেখ করেই আমি আমার কথা গুলো লেখার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ।

# প্রসঙ্গঃ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হেফাজতে ইসলাম বিরুধিতা করে বলে মিথ্যা অভিযোগঃ
কওমি মাদরাসার সাথে আকিদা গত ভাবে জামাতি ইসলামের দন্ধ অনেক আগের শুধু তাই নয় শত শত বই কওমি আলেমরা জামাতের ব্যাপারে লিখেছেন তবুও মুক্তার ইবনে রফিক এর মত যারা কওমি আকিদার হেফাজতে ইসলামকে জামাতের সাথে এক করে কথা বলে বুঝতে হবে তাদের মুল সমস্যা হচ্ছে আওমিলিগ বা বাম দলের নাস্তিকদের দালালি করা কারন হেফাজতে ইসলাম এসব নাস্তিকদের বিরুদ্ধে কঠিন আন্দোলন করে যাচ্ছে।তাছাড়া একাধিকবার ট্রাইবুনালের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। সরকারের উচ্চ মহল থেকেও বিচারের রায় সম্পর্কে অগ্রীম ভবিষ্যৎবানী করা হয়েছে একাধিকবার। সব কিছু মিলেই এখানে (যুদ্ধাপরাধী বিচার প্রশ্নে) একটা বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতী সৃষ্টি হয়েছে। যারা নিজেদেরকে মুসলিম হিসাবে দাবী করেন তারা পবিত্র কোরানের নিম্নের আয়াত পড়েছেন কি না আমার যতেষ্ট সন্দেহ হয়। সুরা বনী ইসরাইলের ৩৩ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, “ যে কেহ অন্যায়ভাবে নিহত হইলে তাহার উত্তরাধিকারীকে তো আমি উহার প্রতিকারের অধিকার দিয়াছি কিন্তু সে যেন হত্যার ব্যাপারে সীমা লঙ্ঘন না করে। নিশ্চয় সে সাহায্যপ্রাপ্ত।”আমাদের বুঝতে হবে যদি কোন অসৎ সরকারের প্রভাবিত বিচার ব্যবস্থার সঠিক সামর্থ বা capacity না থাকে এবং যাকে আসামী বলে ধরে নেয়া হয় তার সমর্থনে দলিল প্রমান flimsy হয়, অথবা সরাসরি অসম্পর্কিত হয়, সেখানে ‘দূর্বল পথে চলতে গিয়ে এক সমস্যার সাথে দশ সমস্যার সৃষ্টি হবে, এটাই স্বাভাবিক এবং জাতি আজ তা’ই দেখতে পাচ্ছে।র্তমান প্রশাসনের যে বিচার ব্যবস্থা চোখের সামনে ‘আজকের’ ধর্ষক, হত্যাকারী, গুমকারী, চুর ও ডাকাতদের ধরে বিচারাধীন করতে পারছে না – যেখানে পুলিশ, র্যাব থেকে শুরু করে আদালত ও বিচার ব্যস্থা দলীয়করন,প্রশাসনের সর্বত্র করাপশনে ভরপুর সেখানে ৪২ বৎসর আগের বিচার কীভাবে এদেশে সম্ভব হবে নিরপেক্ষভাবে? সে প্রশ্ন অবশ্যই উঠবে বিবেকবান মানুষের মনে। আজ যদি সরকার এ ট্রাইবুন্যালকে জাতিসঙ্গের সাহায্য নিয়ে হেগের আদালতের বিচারকদেরকে সম্পৃক্ত করে সত্যিকার অর্থে আর্ন্তজাতিক মানের একটি ট্রাইবুন্যাল করে এ বিচার কাজটি পরিচালিত করত তাহলে কি যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তা হত? প্রশ্ন হচ্ছে আপনি কাদের কাছে এ আশা করতে পারেন? আমরা যদি সত্যিকারভাবে শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই তাহলে এ দাবী করতে বাঁধা কোথায়? Justice hurried justice berried।  প্রজন্মের তথাকথিত জাগরনের চত্তরে যারা জড়ো হয়েছে তাদের কি উচিৎ ছিলনা এরকম একটা দাবী করা?এমন একটি বিতর্কিত বিচারে সাঈদি সাহেবকে যে রায় দেওয়া হয়েছে সেই বিচারের সচ্ছতার দাবি তোলা কি অপরাধ নাকি মানবতার কাজ ?

তার আরেকটি দাবি হচ্ছে ''হেফাজতে ইসলামকে জামায়াতে ইসলামের বিপক্ষে কিছু বলতে দেখলাম না কেন ?''

আমি জবাবে এই জাহেল এবং কুরআন অবমাননাকারী আনিসুল হকের আদর্শ লালনকারী লেখকে বলতে চাই, দেশে জামাতের এই অপরাধ বন্ধ করার জন্য সরকার আছে , প্রশাসন আছে ,জনগণের টাকা খেয়ে যারা দেশের নানা দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে তারা আছে, এ গুলো কি হেফাজতে ইসলামের কাজ নাকি সরকারের কাজ ?এমন হলে এই দোষে ১৬ কোটি বাঙালীও দোষী  হবে,যে প্রশ্ন করেছে সে এবং তার মা-বাবা ১৪ পুরুষও দুষি হবে কারন হেফাজত ইসলাম কোন রাজনিতিক দল নয়,তারা দেশের অন্য ১০ জন নাগরিকের মত সাধারণ নাগরিক, তাছারা যে কাজ পুলিশের সে কাজ হেফাজতে ইসলাম কেন করবে?আর এমন কেউ এটা বলতে পারবে না যে, হেফাজতে ইসলামের কেউ বলেছে আমরা যুদ্ধ অপরাধীর বিচার চাই না ? বিচার আমি সহ হেফাজতের সবাই চায় কিন্তু ইন্সাফের কথা বিচারটা হতে হবে সচ্ছ ,ন্যায়ের ভিওিতে।

## প্রসঙ্গঃ কুরআনের আয়াত দিয়ে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের ভুল প্রমান করার বৃথা চেষ্টাঃ-বন্ধুগন এই প্রতারক কুরআনের কিছু আয়াত দিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাতেল ও নাস্তিকদের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন করে যাচ্ছে সেই আন্দোলনকে ভুল প্রমান করতে চেয়েছিল, এমনকি জাহেল কাফেরের আয়াত এনে মুসলমানের শানে লাগিয়ে দিয়েছে।তাই এখন আমি আপনাদের সামনে কুরআন ও হাদিস হতে বাতেলের বিরুদ্ধে লড়াই করার যে আন্দোলন তার সত্যতা দলিল সহকারে তুলে ধরবো ইনশাল্লাহ।
জুলুম এবং বাতেলের বিরুদ্ধে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের ব্যাপারে কুরআন এবং হাদিস কি বলে ?

''তারা যেসব গর্হিত কাজ করত তা হতে তারা একে অন্যকে বারণ করত না।তারা যা করত তা কতই না নিকৃষ্ট।’ {সূরা আল-মায়িদা, আয়াত : ৭৯}
আল্লাহ বলেন: তোমাদের মধ্যে এমন কিছু লোক থাকতেই হবে যারা (মানুষকে) কল্যাণের দিকে আহ্বান করবে। ভাল কাজের আদেশ দিবে এবং মন্দ কাজ হতে নিষেধ করবে। যারা এই কাজ করবে তারাই সফলকাম হবে। (সূরা আলে ইমরান: ১০৪)
'সর্বোত্তমজিহাদ ওই ব্যক্তি করে যে অত্যাচারী শাসকের সামনে সত্য কথা বলে।(মুসনাদ আহমদ : ১৮৮৩০)
'সেই মহান আল্লাহর শপথ যার হাতে আমার (মুহাম্মাদ) জান। অবশ্যই তোমরা সত্য ও ন্যায়ের নির্দেশ দিবে এবং অন্যায় ও অসত্যের কাজে বাধা দিবে। তা না হলে অচিরেই আল্লাহ তোমাদেরকে শাস্তি দিবেন। তোমরা প্রার্থনা করবে কিন্তু তোমাদের ডাকে সারা দেওয়া হবে না। (তিরমিযী -হাদীস নং ১৯৮)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ)কে আমি (আবু বকর) বলতে শুনেছি, “লোকেরা যখন দেখে অত্যাচারী অত্যাচার করছে কিন্তু তার প্রতিরোধ তারা করল না আল্লাহ তা‘আলা শীঘ্রই এমন লোকদের উপর আযাব পাঠাবেন”। (আবু দাউদ)
পাঠক আমি বর্তমান আন্দোলন সমন্ধে আর কি প্রমান দিতে পারি আমার জানা নাই ????????????????/
নাস্তিদের কটূক্তি ব্যাপারে বিশ্ব উলামা কেরামের ঐক্যমতঃ-প্রত্যেক মাযহাবের আলেম, যারাবলেন, ঈমান হচ্ছে কথা ও কাজের নাম, তাদের নিকট আল্লাহকে গালি দেওয়া কুফরি। সুস্পষ্টভাবেগালি দেওয়া বা মানহানির ব্যাপারে গালিদাতার কোনো অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়।
হারব রহ.তার মাসায়েল গ্রন্থে মুজাহিদ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, ওমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেছেন:“যে আল্লাহকে কিংবা কোনো নবীকে গালমন্দ করল, তাকে হত্যা কর”।-আস-সারেমুল মাসলুল: (পৃ.১০২)
ইব্‌নআব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মুজাহিদ রহ. বর্ণনা করেন: “যে কোনো মুসলিম আল্লাহকেকিংবা কোনো নবীকে গালমন্দ করল, সে আল্লাহর রাসূলকে মিথ্যারোপ করল, এটা তার ধর্মত্যাগ। তার নিকট তওবা তলব করা হবে, যদি সে ফিরে আসে ভাল, অন্যথায় তাকে হত্যা করা হবে।অবাধ্য হল ও আল্লাহকে গালমন্দ করল, কিংবা কোনো নবীকে গালমন্দ করল, অথবা গালমন্দপ্রকাশ করল, সে চুক্তি ভঙ্গ করল, অতএব তোমরা তাকে হত্যা কর”।(আস-সারেমুলমাসলুল: (পৃ.১০২))
আল্লাহকেগালমন্দকারী সম্পর্কে ইমাম আহমদকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তিনি বলেন: “আল্লাহকেগালমন্দকারী মুরতাদ, তাকে হত্যা করা হবে”।(আস-সারেমুলমাসলুল: (পৃ.৪৩১)
ইব্‌নরাহাওয়ায়হে রাহিমাহুল্লাহ বলেন: “সকল মুসলিম একমত যে, আল্লাহকে যে গালি দিল, অথবাতার রাসূলকে গালি দিল, অথবা আল্লাহর নাযিলকৃত কোন বস্তু প্রত্যাখ্যান করল, অথবাতার কোনো নবীকে হত্যা করল, সে কাফের; যদিও সে আল্লাহর নাযিলকৃত অহি বিশ্বাস করে”।-(আত-তামহিদ লি-ইব্‌ন আব্দুল বারর: (৪/২২৬)
তাহলে হত্যা বাদ দিলাম আমরা তাদের বিচারও দাবি করতে পারবো না ????????????????????????
### প্রসঙ্গঃ তাদের ১৩ দফা দাবীর মাঝে ৩টি দাবীর ব্যাপারে বিকৃত বক্তব্য ও সঠিক ব্যাখ্যাঃ...............।।


১) মসজিদের নগর ঢাকাকে মূর্তির নগরে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করা।


লেখক এই দাবির বিপক্ষে মিথ্যা প্রমান করতে চেয়েছে মূর্তি বা ভাস্কর্য  বানানো জায়েজ এবং হেফাজতে ইসলাম দেশের সংস্কৃতির প্রতীক যত ভাস্কর্য আছে তা ভেঙে ফেলার কথা বলেছে যা চরম মিথ্যা। প্রথম কথা হল-হেফাজতে ইসলামের দাবিটিতে এটা বলা হয় নি দেশের সংস্কৃতিতে থাকা ভাস্কর্য গুলো ভেঙে ফেলতে হবে বরং নতুন করে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি বানানো বন্ধ করতে হবে এটা বলা হয়েছে কেননা এমন ভাবে চলতে থাকলে শেখ হাছিনা বলবে আমারটা বানান, আবার খালেদা জিয়া এসে বলবে আমার পরিবারের মূর্তি বানান, এ ভাবে সকল রাজনিতিক, শিক্ষাবিদ্‌ বুদ্ধিজিবিরা দাবি তোলা যদি শুরু করে তাহলে ভাবতে পারেন এ দেশের অবস্থা কি হতে পারে ?সেটা বন্ধ করার ব্যাপারে মুসলিম হিসেবে দাবি করা কোন মতে অপরাধ হতে পারে না। আরেকটি কথা ছাত্র হিসেবে বলতে চাই ,মূর্তি বা ভাস্কর্য মধ্যে কোন পার্থক্য নেই এটা আমার নয় বরং 'oxford dictionary' তেও একি শব্দ বলে গণ্য হয়।

মূর্তির বা ভাস্কর্যের ব্যাপারে ইসলামের কঠোর নির্দেশন ঃ-
প্রথমে নিম্নের আয়াত ও সহীহ হাদীসগুলোর উপর নজর বুলিয়ে নিন।
৩. আব্দুল্লাহ বিন উমর রা: বলেন, নবী স: বলেছেন, “এই সব প্রতিকৃতির শিল্পীদের খুব শাস্তি দেয়া হবে। বলা হবে, তোমরা যা সৃষ্টি করেছ, তাতে প্রাণ দাও তো।” (বুখারী:২য় খন্ড, পৃ:৮৮০, মুসলিম:২য় খন্ড, পৃ:২০১, রশীদীয়া লাইব্রেরী দিল্লী) (বুখারী:৫৯৫১, মুসলিম:২১০৭)
৪. ইবনে আব্বাস রা: বলেন, আমি নবীজী স: কে বলতে শুনেছি যে, “যে কেউ দুনিয়াতে কোন প্রতিকৃতি তৈরি করবে তাকে কিয়ামতের দিন বাধ্য করা হবে যেন সে তাতে প্রাণ সঞ্চার করে, অথচ সে তা করতে সক্ষম হবে না।” (বুখারী:৫৯৬৩, মুসলিম:২১১০)
৬. আয়েশা রা: বলেন, “নবী স: ঘরে কোন ছবি-মূর্তি কিছু পেলে ছাড়তেন না, বরং তা সাথে সাথে ভেঙে ফেলতেন বা নষ্ট করে ফেলতেন।” (বুখারী:২:৮৮০,আবু দাউদ)
আবু জুহায়ফা রা: বলেন, “নবী স: প্রতিকৃতি নির্মাণকারীদের কঠোর ভাষায় অভিসম্পাত করেছেন।” (বুখারী:২:৮৮১, আবু দাউদ)(বুখারী:৫৯৬২)
“তিনিই আল্লাহ, স্রষ্টা, উদ্ভাবক, আকৃতি দানকারী।” (সূরা হাশর:২৪)
“তিনিই সেই সত্তা যিনি তোমাদের মাতৃগর্ভে যেমন ইচ্ছে তেমন আকৃতি দেন”। (সূরা আলে ইমরান:৬)
“আমি তোমাদের সৃষ্টি করেছি, তারপর তোমাদের আকৃতি দিয়েছি”। (সূরা আ’রাফ:১১)
তিনি এক, তার বৈচিত্র্যময় সৃষ্টিতে সর্বক্ষেত্রে “এক”-ই থাকতে চান। তিনি “মুতাকাব্বির” বা অহংকারী। অহংকার তাঁর গুণ, তা তো তাকেই মানায়। বান্দার এতে সামান্য প্রশ্ন তোলারও অবকাশ নেই।
এসব হাদীসের ভিত্তিতেই প্রখ্যাত হাদীসবেত্তা ইমাম নববী বলেন, এ ব্যাপারে হাদীস বিশারদগণ একমত যে রূহ বিশিষ্ট প্রাণীর প্রতিকৃতি বানানো নিষিদ্ধ এবং হারাম। (ফাতাওয়াল ইসলাম, প্রশ্ন নং:৭২২২ ও ২০৮৯৪, মাকতাবা শামেলা)


পাঠক আমাদের সংস্কৃতি হিসেবে কোন মূর্তি বা ভাস্কর্য ভাঙ্গার কথা হেফাজতে ইসলাম বলে নি বরং এ ভাবে যেন মূর্তি বা ভাস্কর্য বানানোর প্রতিযোগীতা না শুরু হয় সে জন্য ইসালামের নির্দেশনা সামনে রেখে দাবি টি করা হয়েছে তাহলে এটার মধ্যে ভুল খুজা অপ সংস্কৃতি দালালরাই করতে পারে ।ইরান ও লিবিয়ায় এবং শেখ সাদী ও শেখ ফরিদদুদ্দীন আত্তার (রহঃ)-এর মাজারের সামনে ভাস্কর্যের কথা উল্লেখ করেছেন। কোথায় কি ভাস্কর্য আছে তা ইসলামের দলিল নয়। দলিল হলো কোরআন ও হাদিস।
২য় দাবিটি -ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বালনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করা।

তার দাবি হলো হেফাজতে ইসলাম নারীকে বন্দি করে রাখতে চাইছে যার ফলে দেশে নারীরা কোন কাজ কর্ম করতে পারবে না।বন্ধু গন হেফাজতে ইসলামের ব্যাপারে এত বড় মিথ্যা কোন ইসলামের চরম দুশমনি বলতে পারে।মুলত এই প্রতারক কুরআনে যেখানে পর্দা করতে বলা হয়েছে নারী -পুরুষের মধ্যে সে আয়াত গুলো অস্বীকার করেছে কারন সে নিজেও এমন অপকর্মের সাথে জড়িত যা আল্লাহ্‌ এবং রাসুল সঃ বার বার নিষেধ করে গেছেন,নারী- পুরুষের অবাধ মিলামিশার কুফল কেমন ? সেটা কোন বাঙালি কে বুঝাতে হবে বলে মনে করি না কারন প্রতিদিন স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে এ ভাবে অবাধ মিলা মিশার কারনে কি ধরনের,প্রেম -ভালবাসা,ধর্ষণ,আত্মহত্যা  ঘটনা দেখা যায় তা কারো অজানা নয় যদিও হেফাজতে ইসলামের মুল দাবির উদ্দেশ্য এমন ছিল না।
প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরন সমন্ধে হেফাজতে ইসলামের দাবির সঠিক ব্যাখ্যাঃসংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন- অবাধ মেলামেশা বলতে লিভ টুগেদার বা নারী-পুরুষের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ককে বোঝানো হয়েছে। যার ভূরি ভূরি নজির শাহবাগের কথিত জাগরণ মঞ্চে দেখা গেছে। সেখানে প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়েরা দিনরাত যেভাবে অবস্থান করেছে, যেসব অশালীন অশ্লীল কর্মকাণ্ড চালিয়েছে তা শরিয়ত এবং মুসলিম সমাজ ব্যবস্থায় গ্রহণযোগ্য নয়। যে কোন নারীর জন্য অবমাননাকর অমর্যাদাকর এ ধরনের বেহায়াপনা বেলেল্লাপনা বন্ধের দাবি জানাচ্ছি আমরা।  মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, নারীকে সর্বোচ্চ সম্মান-মর্যাদা দিয়েছে ইসলাম। মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত একথা বলেছে ইসলাম। আমরা হাটে ঘাটে মার্কেটে রাস্তায় চলার পথে কর্মক্ষেত্রে পার্কে নারীর পবিত্রতা শালীনতা সংরক্ষণের কথা বলছি। আমরা ইভটিজিং, ধর্ষণের সেঞ্চুরি বন্ধের কথা বলছি। তিনি বলেন, নারী কাজ করবে, লেখাপড়া করবে তার ইজ্জত আব্রু ও স্বাতন্ত্র্যতা বজায় রেখে। গড্ডলিকা প্রবাহে নিজেকে ভাসিয়ে দিয়ে নয়। তিনি বলেন, নারী-পুরুষের দৃষ্টিকটু অবাধ মেলামেশা বন্ধ করার দাবির অর্থ এই নয় যে, নারীরা শিক্ষার্জন করতে, কর্মক্ষেত্রে যেতে বা ঘর থেকে বের হতে পারবে না। আমাদের উদ্দেশ্য হলো নগ্নতা ও বেহায়াপনা বন্ধ করা।শাহবাগে যেভাবে নারী-পুরুষের একসঙ্গে রাত্রিযাপন, অবস্থান এবং বেহায়াপনা হয়েছে, তা জাতির জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনবে। কাজেই আমাদের কথা পরিষ্কার, হিজাব বা শালীনতার সঙ্গে নারীদের নিরাপদ কর্মক্ষেত্রে যেতে কোন বাধা নেই।কিন্তু এই গাঁদা এত সুন্দর ইসলাম সমর্থিত দাবিটি নিয়ে লাগিয়েছে শিশুদের মেলা মেশার সাথে, অবাক কাণ্ড নারী -পুরুষ আর শিশুদের মেলা-মেশা কি এক হতে পারে ?

প্রসঙ্গঃ লং মার্চ নিয়ে এই লোকটির চরম মিথ্যাচারের সীমা অতিক্রম ঃ=এই লোকটি তার নোটে মানুষের কাছে কত বড় জঘন্য মিথ্যাচার করেছে দেখুন সে বলেছে -লং মার্চ নাস্তিকদের কর্মসুচি কিনা এই প্রশ্নের জবাবে ইসলামের হেফাজতকারী আল্লামা শফী বলেন-" হযরত মুহাম্মদ (সা।)মক্কা থেকে মদীনা পর্যন্ত লং মার্চ করেছিলেন। "আমার কথা হল এটা কখন আল্লামা আহমদ শফি বলেছেন ? কোথায় বলেছেন ? তিনি মদিনা থেকে মক্কা নাকি মক্কা হতে মদিনা বলেছেন ?আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে রাসুল (সা) মদিনা থেকে ১০০০০ সাহাবীর পায়ে হেঁটে  নিয়ে মক্কায় প্রবেশ করেন। আমার কথা হল - হেফাজতে ইসলাম যে লং মার্চ ঘোষণা করেছে তা রাসুল সঃ এর সেই আদর্শকে সামনে রেখেই করা হয়েছে তাছাড়া  রাসুল সঃ কাজটি করেছেন আজ থেকে ১৪৫০ বছর আগে আর কথিত প্রবর্তক নাস্তিক কমিউনিস্ট মাও  সেতু যদি ইংরেজি নাম ' লং মার্চ ' দিয়ে সেই কাজটিই করেন রাসুল সঃ পর তাহলে সেটার মুল প্রবর্তক আমি মুসলিম হিসেবে তাকে মানতে পারি না ?যেমন কিছুদিন আগে ডঃ অরিভিয়ার রাসুল সঃ ২ টি কাজ দেখে মুসলিম হয়েছেন এবং স্বীকার করেছেন যে, সারাজীবন  কষ্ট করে আমরা যা আবিষ্কার করি তা ইসলামের নবী ১৪৫০ বছর আগেই করে গেছেন।তাই বলে মেডিক্যাল সাইন্সও সেই ২ টি কাজের পায়দা আবিষ্কার করেছেন এখন আমি মুসলিম হিসেবে প্রবর্তক আমাদের নবীজি সঃ কে মানবো কোন ডাক্তারকে নয় এটাই ছিল ঈমানের দাবি কিন্তু এই জাহেল রাসুল কে না মেনে নাস্তিককে প্রবর্তক মনে করে ।
প্রসঙ্গঃ ব্লগার নিয়ে তার বিকৃত বক্তব্য ও জবাবঃ-সে বলতে চেয়েছে হেফাজতের অনেক কর্মী ব্লগ কি জানে না তাই তাদের নাস্তিকদের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন তা করতে পারবে না ,এখন কথা হল নেতার নির্দেশ মানা আমার কাজ যদি শেখ হাছিনা হরতাল ডাকে আর সব পিকেটাররা প্রশ্ন করে হরতাল কি বা কেন? তাহলে হরতাল না করে গণতন্ত্র নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে।ব্লগ কি এটা আমাকে জিজ্ঞেস করা হোক ,যে যেটা জানে না সেটা ব্যাপারে প্রশ্ন করা মূর্খের শামিল ।কারন যে ইতিহাস পড়ে তাকে বিজ্ঞানের প্রশ্ন করা কেমন ?এই প্রতারক কে যদি হেফাজতের ছোট একটা ছেলে কুরআন থেকে কোন প্রশ্ন করে তাহলে কি জবাব দিতে পারবে বলুন ?যারা কুরআন ও হাদিস পড়ে তারা ব্লগ কি এটা জানবে নাকি কুরআনের আইন জানবে ???///
হেফাজতের এমন হাজারো সাথী আছে যারা ব্লগে নানা বিষয় নিয়ে লিখে যাচ্ছেন কিন্তু ব্লগ এমন কোন কিছু নয় যে সবাই জানতে হবে ব্লগ কি ? আর না জানলে ব্লগে ইসলামের বিরুদ্ধে বললে প্রতিবাদ করা যাবে না ।
প্রসঙ্গঃ মুসলমানের সার্টিফিকেট ঃ তার কথা মতে কাউকে মুনাফিক, কাফির কিংবা নাস্তিক বলার এখতিয়ার হেফাজতে ইসলাম রাখে না বলে তার অভিযোগ আসলে এটা তার জাহেলি কথা । আল্লাহ্‌ তালাহ কি কুরআনে গুন বর্ণনা করেন নি কে মুনাফেক ? কে কাফের ? কে নাস্তিক ?এখন নাস্তিককে নাস্তিক বলবে না তো কি বলবে ?আল্লাহ্‌ রিযিকের মালিক তাই বলে আমি ঘুমিয়ে থাকবো? তাহলে ইসলামী আইন দিয়ে বিচারের জন্য ফতোয়া দিবে কি করে যদি অপরাধীর অপরাধ অনুযায়ী নাম নেওয়া না যায়  ?প্রসঙ্গঃ মহিলা সাংবাদিক মারধরের নামে মিথ্যাচার:-
এখানে সে হেফাজতে ইসলামের নামে অভিযোগ তুলেছে তারা নারীদের সম্মান করে না কিন্তু বাস্তুব সত্য কথা হল দেশে যত নারী নির্যাতন হয় সব তার মত ভণ্ডদের দিয়ে কোন আলেম -উলামা দিয়ে নয় তবে অল্প কিছু বেতিক্রম থাকতেই পারে।একজন নারী সাংবাদিককে হেফাজতে ইসলামের মারধর 'এমন নিউস টাইটেল দেখলে সাংবাদিকরের বলতে মন চায় 'কথাটা কি হেফাজতের মারধর নাকি হেফাজতের লং মার্চে আসা বিশাল জনতার অল্প কয়েক জনের মারধর হবে ? কেননা পুরো হেফাজতের সকলে যদি এই মেয়েকে মার তো দুরে ফু দিলেই ও সেদিন মারা যেতো! হেফাজতের কোন সেচ্ছাসেবক মারলেও বুঝতাম কিন্তু কোন আওমীলীগ মেরে বদনাম করার জন্য এই অপবাদ দেওয়া হচ্ছে তাও বোঝার বিষয় আছে আর এই মহিলা সাংবাদিক ইতিহাসের প্রথম মহিলা যে, বিশাল হেফাজতের জনতার ধোলাই খেয়েও এখনো বেচেঁ আছে "
প্রসঙ্গঃ হেফাজতে ইসলামের ইসলাম অবমাননার একটি ভিডিও নামে চরম মিথ্যা ঃ- আমি কি বলবো সে এখানে অভিযোগ করেছে নিচের ভিডিও দিয়ে ''আল্লামা শফিকে শেষ নবী বলা হয়েছে এর চেয়ে জঘন্য মিথ্যা আর কিছু হতে পারে না।
ভিডিও লিংকঃ https://www.facebook.com/photo.php?v=10152710449440099&set=vb.648840098&type=2&theater
 তার কথা মতে ,হেফাজতে ইসলাম মহাসচীব মুহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরী আল্লামা শফিকে নবীদের সাথে তুলনা করেছেন এমন
জঘন্য মিথ্যা আর হতে পারে না।
আমি এই হারামিকে চ্যালেঞ্জ করলাম যদি ভিডিও অনুযায়ী 'নবী' শব্দটা প্রমান করতে পারে তাহলে আমি তার সব কথা মেনে নিবো-আল্লাহ্ তালাহ ইসলাম হেফাজত তার প্রিয় বান্দাদের দিয়ে করেন, নবীদের পাঠিয়েছেন, তারপর আমাদের শেষ নবী স : চলে যাবার পর সোয়া লক্ষ সাহাবী বাতেলের বিরুদ্ধে লড়েছেন, তারপর কখনো সালাউদ্দিন আয়ুবী, মোহাম্মদ বিন কাসেম, ভারতে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনেও হকের পক্ষে আল্লাহ্ কাউকে না কাউকে দাড় করিয়েছেন তাহলে বাংলাদেশ যদি বাতেলের বিরুদ্ধে আল্লাহ্ তালাহ আল্লামা আহমদ শফিকে ইসলামের পক্ষে কাজ করার জন্য নির্বাচন করেন সেটা নবী দাবি করা হবে ? নবীজির মত নামাজ, দাঁড়ি রাখলে নবী দাবি করা হবে নাকি সুন্নাত পালন করা হবে ?ভিডিও তে আল্লামা শফিকে যদি নবী বলা হতো তাহলে আমি বুঝতাম ভুল, বাতেলের বিরুদ্ধে রাসুলের উম্মত হিসেবে 90 বছরের এই মানুষটি আল্লাহ্ দাড় না করালে শহীদ হবার জন্য ঘর হতে বের হতে পারতেন?কেউ ইসলামের জন্য কিছু আল্লাহ্ তওফিক ছাড়া কিছু করতে পারে ?তাহলে কোন এত মিথ্যাচার ?

অবশেষে আমি আল্লামা আহমদ শফির কিছু কথা বলে শেষ করতে চাইঃ সত্য সমাগত মিথ্যা অপসৃত, নিশ্চয়ই মিথ্যা অপসৃয়মাণ (আল-কোরআন)। সত্যের কথা বললে, ন্যায় ও ইনসাফের কথা বললে বাতিল অপশক্তির গাত্রদাহ শুরু হয়, সত্যের টুঁটি চেপে ধরে হত্যা করার অপচেষ্টা করা হয়; কিন্তু বাতিল অপশক্তি কোনোকালেই টিকে থাকতে পারেনি, অত্যন্ত গ্লানিকর অবস্থায় তাদের পরাজয় হয়েছে, ইতিহাস তার জ্বলন্ত সাক্ষী। এখনও কোনো বাতিল শক্তি টিকে থাকতে পারবে না। তারাই ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। বিজয় হবে সত্যবাদীদের এই বিশ্বাস আমাদের আছে। কেননা আল্লাহর ইরশাদ : ‘সত্য সমাগত মিথ্যা অপসৃত নিশ্চয়ই মিথ্যা অপসৃয়মাণ।’ এই বাণী অচিরেই বাংলার মাটিতে বাস্তবায়িত হবে ইনশাল্লাহ! আপনারা হিম্মত করে বাতিলকে রুখে দাঁড়ান, বাতিল অপশক্তি আপনাদের পায়ের নিচে মাথানত করতে বাধ্য হবেই হবে।
শয়তান হজরত আদম (আ.)-কে মিথ্যার পথে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল। হজরত আদম (আ.) শয়তানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন বলেই শয়তান হয়েছে অভিশপ্ত, লানতপ্রাপ্ত ও বিতাড়িত। হজরত নূহ (আ.) সত্যের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন বলেই তার বিপথগামী জাতি ধ্বংস হয়েছিল। হজরত লুত (আ.), হজরত ইউনুস (আ.) সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন বলেই তাদের বিজয় অর্জিত হয়েছে। হজরত মুসা (আ.) সত্যের পতাকা বহন করেছিলেন বলেই ফেরাউন ও তার বাহিনী সাগরে নিমজ্জিত হয়ে ধ্বংস হয়েছে। হজরত ইবরাহিম (আ.) সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন বলেই আগুন তাকে জ্বালাতে পারেনি; বরং একটি সামান্য মশার আক্রমণে নমরূদের অপমানজনক মৃত্যু হয়েছে। ইতিহাস সাক্ষী, আবরাহা আল্লাহর ঘর ধ্বংস করতে বিশাল হস্তিবাহিনী নিয়ে এগিয়ে এলে তাকে এবং তার বাহিনীকে ছোট পাখির দ্বারা আল্লাহতায়ালা ধ্বংস করে দিয়েছেন। আমাদের প্রিয়নবী হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সত্যের আহ্বানকে স্তিমিত করার হীন মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে এসেছিল আবু জাহেল, আবু লাহাবসহ আরবের কাফের মুশরিকচক্র; কিন্তু তারাই পৃথিবীর আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। আর ইসলামের আলো ছড়িয়ে পড়েছে সমগ্র বিশ্ব-জাহানে।
এরপর বহুবার চেষ্টা করা হয়েছে ইসলামের আলোকে নিভিয়ে দেয়ার; কিন্তু ইসলামের আলো নেভাতে সক্ষম হয়নি ইসলামের দুশমনরা। সত্যের পতাকাবাহীরা বাতিল শক্তিকে চুরমার করে দিয়ে তাদের ষড়যন্ত্রের জালকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন সব যুগেই। সেই ইতিহাস সবারই জানা।
বাতিলের এই আক্রমণ কিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে; কিন্তু সাময়িক সফলতার আস্ফাালন দেখালেও চূড়ান্ত সফলতা মুসলমানদেরই হবে।
আন্দোলনের সূচনা হয়ে গেছে, মনজিলে মকসুদে পৌঁছার আগপর্যন্ত আমাদের আর ঘরে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই।


(যাদের ভিবিন্ন লেখা তো হেল্প নিয়েছি তাদের প্রতি মন থকে আল্লাহ্‌ কাছে দোয়া থাকলো )






https://www.facebook.com/notes/jahid-shohag/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BF-%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A7%8B%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A7%E0%A6%A8/548881618490119 



 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন