বুধবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৬

টিপ, তীলক ও সিঁদুর- ইতিহাসের আলোকে,এটা মূলত নমরুদ এর আমল থেকেই প্রচলন







হযরত ইবরাহীম আঃ কে যখন আগুনে পুড়িয়ে মারার জন্য নমরুদ ৮ মাইলপরিমান জায়গা আগুন জ্বালালো , তখন একটা নতুন সমস্যা দেখা দিল। 
আগুনের উত্তাপ এতই বেশি ছিল যে তার কাছে পৌছানো যাচ্ছিল না। তাই একটা চরক বানানো হল যার মাধ্যমে ইবরাহীম (আঃ) কে ছুড়ে আগুনে নিক্ষেপ করা যায়।
কিন্তু রহমতের ফেরেশতা রা চরকের একপাশে ভর করে থাকায় চরক ঘুরানো যাচ্ছিল না।
তখন শয়তান নমরুদকে কুবুদ্ধি দিল কিছু নগ্ন মেয়ে(পতিতা) এনে চরকের সামনে বসিয়ে দিতে, কারন এ অবস্থায় ফেরেশতারা থাকতে পারবে না। তাই করা হল এবং ফেরেশতারা চলে গেল, ইবরাহীম (আঃ) কে আগুনে নিক্ষেপ করতে তারা সক্ষম হলেন। 

পরবর্তিতে ঐ মেয়েগুলোকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দান করা হল এবং তাদের মাথায় তীলক পরানো হল। যেটা এখন আমাদের কাছে টিপ নামে পরিচিত।
অতএব যারা বলে— মহিলাদের সৌন্দর্য সব জায়গায় এবং এই দোহাই দিয়ে টিপ কে নিজেদের জন্য বৈধ মনে করেন, তারা যুগযুগ ধরে নিজেদের কোন পরিচয় বহন করছেন তা একবার ভেবে দেখবেন ?
পতিতার পরিচয় বোঝানোর জন্য যে টিপ ব্যবহার করা হত, তা আজ আমাদের উপমহাদেশে ফ্যাশন! ওহে! মুসলিম নারীরা, এই সত্য কথাটা জানার পর ও কি আপনি আপনাদের কপালে টিপ পড়বেন??
সূত্রঃ
* তাফসীরে মা-রেফুল কুরআন, হযরত ইবরাহিম (আঃ) মূলগ্রন্থ।
* তাবারী, তারীখ, ১খ, ১২৩-১২৪; ছালাবী
* আদি গ্রন্থ, কাসাসুল আম্বিয়া, পৃষ্ঠাঃ ৮১, আদি ইসলামী ইতিহাস
* ইবনে কাসীর 
টিপ, তীলক ও সিঁদুর- ইতিহাসের আলোকে
কপালে টিপ, বাঙ্গালী, তথা আধুনিক বাঙ্গালী নারীর প্রাত্যহিক জীবনের এক অবিচ্ছেদ্দ অংশ। স্থান কাল আর পাত্র, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষ নারীরা পুরুষের তুলনায় সৌন্দর্য চর্চা করেন বেশি। আমাদের সমাজে আধুনিক বাঙ্গালী নারীরা এ থেকে কোন মতেই পিছিয়ে নেই। বাঙ্গালী নারীদের ক্ষেত্রে কপালে বড় একটা টিপ দেয়া, তার সৌন্দর্য চর্চার অন্যতম এক অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে।
পাকভারতীয় উপমহাদেশে এটা প্রায় প্রতিটি নারীর জন্যই এক রকম বাধ্যতামূলক বিষয় যেন। বাংলাদেশে তথাকথিত আধুনিক ও প্রগতীশীল নামধারী নারীরা তো কপালের মধ্যেখানে ইয়া বড় একটা টিপ দেবেনই, এটা প্রমাণ করার জন্য যে, তিনি আধুনিক ও প্রগতীশীলা নারী।
আমাদের সমাজে এ প্রথাটা এলো কোথা হতে? এর উৎস খুঁজতে হলে আমাদেরকে ফিরে যেতে হবে বাল্মীকি যুগে।
বাল্মীকি যুগ হলো আজ হতে প্রায় ৯৫০০ হতে ১১৫০০ অর্থাৎ হযরত ইসা আ: এর জন্মেরও প্রায় ৭৫০০ থেকে ৯৫০০ বৎসর আগের সময়কালটা ভারতীয় সমাজে বাল্মীকি যুগ বলে পরিচিত। তৎকালীণ ভারতীয় সমাজ মোট চারটি শ্রেণীতে বিভক্ত ছিল; ব্রাহ্মণ, ক্ষৈত্রেয়, বৈশ্যেয় এবং শুদ্র (আজও তাই-ই আছ)।এ যুগটা ছিল উচ্চ শ্রেণীর ব্রাহ্মণদের স্বর্ণযুগ।
ভারতীয় হিন্দু সমাজে জাতিভেদ প্রথা এই আধুনিক যুগেও বিদ্যমান। আর আজ হতে হাজার হাজার বৎসর পূর্বেকার সমাজে এটা কতটা চরমতম পর্যায়ে ছিল, সেটা আমাদের পক্ষে কল্পনাও করা সম্ভব নয়। ব্রাহ্মণরা উচ্চ শ্রেণীর, তারা ইশ্বরের অতি নিকটজন, পূত পবিত্র। পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে তারা কপালে সাদা তীলক (চন্দন তীলক) দিতেন। এখনও দেন।
ক্ষৈত্রেয় হলো যোদ্ধা শ্রেণী, তাদেরকে বীর হিসেবে গণ্য করা হতো। ক্ষিপ্রতা, হিংস্রতা ও সাহসের প্রতীক হিসেবে তারা কপালে লাল টিপ দিতো। বৈশ্যেয় শ্রেণীর লোকজন হলো ব্যবসায়ী, পেশাই হলো ব্যবসা। এরা কপালে হলুদ রং এর টিপ ব্যবহার করতো। আর সমাজে সবচেয়ে নীচু শ্রেণীর মানুষ হলো শুদ্ররা। এরা হলো অপবিত্র, হীন নীচ। এই হীনতা, বর্বরতা এবং নীচুতার প্রতীক হিসেবে তাদের জন্য বরাদ্দ ছিল কালো রং এর টিপ। তারা কপালে কালো টিপ ব্যবহার করতে বাধ্য হতো।
নারীদের বেলায় এই টিপ ব্যবহারে একটু ভিন্নতা ছিল। সে যুগে নিম্ন বংশের নারীদের উচ্চ বর্ণের ব্রাহ্মণ ও ঠাকুর কিংবা মন্দীরের পূরোহিতের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হতো। এটা করা হতো ধর্মের নামে, ভগবানের উদ্দেশ্যে, মন্দীরের সেবাদাসী হিসেবে। ভগবানের সেবা করার জন্য, প্রকতৃ পক্ষে তারা মন্দীরের পূরোহিতদের ভোগের উপদান ছিল মাত্র। এরা ছিল পাবলিক প্রোপার্টি।
উচ্চ বংশে যে সব নারী জন্মাতো, ঠাকুররা কিন্তু তাদেরকে মন্দীরে ভগবানের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতো না! তাদের বিয়ে হতো। তারা ঠিকই ঘর সংসার করতো, তবে স্বামী আগে মরলে এইসব নারীর কেউ কোন দায়িত্ব নিতো না বলে, তাদেরকে মৃত স্বামীর সাথে চিতায় জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হতো, সতীদাহ প্রথা নাম ছিল তার। আর এটাও করা হতো সেই ধর্মের নামেই!
মন্দীরে ভগবানের উদ্দেশ্যে উৎসর্গকৃত সেবাদাসীরা ছিল পাবলিক প্রোপার্টির মত, সেটা আগেই বলেছি। পুরো ভারতীয় হিন্দু সমাজে হাজার হাজার এইসব নারীদের মুখ চিনে রাখা সবার পক্ষে সম্ভপর ছিল না, পাবলিক প্রোপার্টি মনে করে কখনও কোন পূরোহিত ঠাকুর যেন আবার উচ্চবংশের কোন নারীকে ভোগের জন্য আহ্বান করে না বসে, সে জন্য তারা এইসব নারীদের চিহ্নিত করার উপায় বের করে।
সেটা হলো, যে সব নারীকে ভগবানের উদ্দেশ্যে উৎসর্গকৃত করা হয়েছে, যেহেতু ভগবানের প্রতিনিধি হিসেবে মন্দীরের পুরোহিত, ঠাকুরগণ তাদের সেবা নিতে ও তাদের ভোগ করতে পারবে, তাই তাদের চিনতে যেন সুবিধা হয়, সে লক্ষ্যে এই সব নারীদের কপালে টিপ দেয়ার ব্যবস্থা প্রবর্তণ করে।
আর যারা উচ্চ বংশের,, যারা বিবাহিতা, যারা কোন পুরুষের স্বীকৃত স্ত্রী, তাদেরকে চিহ্নিত করার জন্য সেই সব নারীদের কপালে বা সিঁথিতে সিঁদুর ব্যবহরের বিধি চালু করা হয়।
এভাবেই এক সময় সমাজের পতিতা শ্রেণীর নারীদের চিন্হ; কপালের টিপ- আজকের এই আধুনিক ও আলোকিত (!) যুগে এসে আমাদের নারীরা নির্দ্বিধায় পালন করে যাচ্ছে! প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে, আসলেই এরা কী আলোকিত? আসলেই এরা কী আধুনিক?
==========
http://www.firstbd.net/newsdetail/detail/49/183911 

কপালে টিপ্ দেয়া পতিতাদের প্রতিক !, তবে এটা আমার কথা না ইতিহাস ও তাই বলে , আর যদি এ টিপ বদ নজর ইত্যাদি থেকে বাচার জন্যই হয় তাহলে হবে শীর্ক, এর থেকে বাঁচা সকলের জরুরী

প্রাচীন ভারতের অচ্ছুত সেবাদাসী ও ব্রাষ্মণদের মনোরঞ্জনের জন্য নীচু শ্রেণরি যে সব মহিলাক
ে তারা ভোগ করত, এবং ব্রাষ্মনসমাজের যে কোন পুরুষের জন্য তারা উন্মক্ত ছিল, তাদের সাথে যেন রাস্তা ঘাটে অন্য নারীদের থেকে পার্থক্য করা যায়, সে কারণেই এই বিশেষ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। আর যারা বিবাহ করে স্বামীর সংসারে স্ত্রীর মর্যাদায় অধিষ্ঠিত, তাদের সিঁথিতে সিঁদুর। এই ছির সে কালের সামাজিক প্রথা, অবিবাহিতা, বিবাহিতা এবং পতিতা চেনার উপায়

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন