Translate

শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১২

আল-কোরআনে সম্প্রতি আবিষ্কৃত ”দুই সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত ”এবং বিস্ময়কর তথ্য !!

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ’


কেমন আছেন সবাই,আসা করি ভাল…সবাই ভাল থাকুন এই কামনা করে আজকের লেখনি



সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা মহাকাশে এমন একটি গ্রহ আবষ্কার করেছেন যা দুটি সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। ফলে সেখানে একই দিনে দুই সূর্যোদয় এবং দুই সূর্যাস্ত একটি গতানুগতিক বিষয়। নাসা জানিয়েছে যে, দূরবীক্ষণ যন্ত্র কেপলারের সহায়তায় পৃথিবী থেকে ২০০ আলোকবর্ষ দূরে 'কেপলার-১৬বি' নামের এরূপ একটি গ্রহ চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। খোদ বিজ্ঞানী মহলের কাছে এটি একটি চমকপ্রদ বিষয় বৈকি। শনি গ্রহের মতোই বিশাল শীতল এই গ্যাসীয় গ্রহটির দুটি সূর্য আমাদের সূর্যের চেয়ে ৬৯ ও ২০ মতাঙশ ছোট ও তুলনামূলকভাবে শীতল। তাই 'কেপলার- ১৬বি' এর ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা -৭৩ এবং -১০১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি ২২৯ দিনে একবার দুই সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে।



"দুই সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘোরা গ্রহ আবিষ্কার"- 'দৈনিক প্রথম আলো'- ১৭/৯/২০১১ ইং- পৃষ্ঠা-২৪

From double sunrise to double sunset the show goes on, always changing.



Where the Sun Sets Twice. NASA’s Kepler mission has discovered a world where two suns set over the horizon instead of just one. The planet, called Kepler-16b, is the most “Tatooine-like” planet yet found in our galaxy and is depicted here in this artist’s concept with its two stars. Tatooine is the name of Luke Skywalker’s home world in the science fiction movie Star Wars. In this case, the planet is not thought to be habitable. It is a cold world, with a gaseous surface, but like Tatooine, it circles two stars.

Sometimes the orange sun rises first. Sometimes it is the red one, although they are never far apart in the sky and you can see them moving around each other, casting double shadows across the firmament and periodically crossing right in front of each other.



A planet with two sunsets and two sunrises-







Tatooine comes true: An artist's concept of the planet Kepler-16b. — PHOTO: Reuters

From double sunrise to double sunset the show goes on, always changing. Sometimes the orange sun rises first. Or the red one, though they are never far apart and you can see them moving around each other, casting double shadows across the firmament and periodically crossing right in front of each other.

Astronomers discover planet orbiting a pair of stars-



The sunset on Kepler-16b would look something like the iconic double sunset depicted in Star Wars, only better, says astrophysicist Laurance Doyle of the SETI Institute in Mountain View, Calif. “Nature is always more amazing,” says Doyle, coauthor of a Sept. 16 Science paper that describes Kepler-16b. “There, you’d get a different sunset every day!”



আমাদের পৃথিবীটা নিজ অক্ষের উপর ঘুরতে ঘুরতে একটি নক্ষত্র অর্থাৎ সূর্যকে কেন্দ্র করে প্রদক্ষিণ করছে। ফলে এটি এমনি একটি স্থান যেখানে আমরা এক সূর্যের উদয় ও অস্তকে অবলোকন করি। সুতরাং এই পৃথিবী ও এর মত সৌরজগতের অন্য গ্রহগুলোকে এক সূর্যোদয় ও এক সূর্যাস্তের স্থান বলাটাই যুক্তিসংগত।



*নিচের আয়াতগুলোর বক্তব্য পৃথিবীর সাথে সম্পর্কিত। তাই এক্ষেত্রে এক সূর্যের উদয় ও অস্তগমনের কথা এক বচনে প্রকাশ করা হয়েছে-



আল-কোরআন-

সূরা বাকরা (মদীনায় অবতীর্ণ)



(০২:১১৫) অর্থ- (এক বচন- সূর্য) উদয়ের দিক (পূর্ব) ও (সূর্য) অস্তগমনের দিক (পশ্চিম) আল্লাহরই। অতএব, তোমরা যেদিকেই মুখ ফেরাও, সেদিকেই আল্লাহ বিরাজমান। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বব্যাপী, সর্বজ্ঞ।

(০২:১৪২) অর্থ- এখন নির্বোধেরা বলবে, কিসে মুসলমানদের ফিরিয়ে দিল তাদের ঐ কেবলা থেকে, যার উপর তারা ছিল? আপনি বলুন, (এক বচন- সূর্য) উদয়ের দিক (পূর্ব) ও (এক বচন- সূর্য) অস্তগমনের দিক (পশ্চিম) আল্লাহরই। তিনি যাকে ইচ্ছা সরল পথে চালান।



(০২:১৭৭) অর্থ- সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, (এক বচন- সূর্য) উদয়ের (পূর্ব) দিকে ও (এক বচন- সূর্য) অস্তগমনের (পশ্চিম) দিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই পরহেযগার।





(০২:২৫৮) অর্থ- তুমি কি সে লোককে দেখনি, যে পালনকর্তার ব্যাপারে বাদানুবাদ করেছিল ইব্রাহীমের সাথে এ কারণে যে, আল্লাহ সে ব্যাক্তিকে রাজ্য দান করেছিলেন? ইব্রাহীম যখন বললেন, আমার পালনকর্তা হলেন তিনি, যিনি জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান। সে বলল, আমি জীবন দান করি এবং মৃত্যু ঘটিয়ে থাকি। ইব্রাহীম বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ সুর্যকে নিয়ে আসেন (এক বচন- সূর্য) উদয়ের দিক (পূর্ব) থেকে, এবার তুমি তাকে (এক বচন- সূর্য) অস্তগমনের দিক (পশ্চিম) থেকে ফিরিয়ে আন দেখি। তখন সে অবিশ্বাসী হতভম্ব হয়ে গেল। আর আল্লাহ সীমালংঘণকারী সম্প্রদায়কে সরল পথ প্রদর্শন করেন না।





এই পৃথিবীতে বসে কিছুদিন আগেও দুই সূর্যোদয় ও দুই সূর্যাস্ত সম্পর্কে বাস্তব ধারনা নেয়া কঠিন ছিল।

=====================================================





তাই বিশেষ করে আল-কোরআনের (৫৫:১৭) নং আয়াত ও এরূপ অন্যান্য আয়াতের বক্তব্যকে শুধু এই পৃথিবীর সাথে সম্পর্কিত ভেবে বিভিন্ন জনে বিভিন্নভাবে অনুবাদ ও ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন। যেহেতু বিষয়টি অজ্ঞাত ছিল, তাই যে যেভাবেই বলে থাকুক না কেন, সেক্ষেত্রে কেউ ভুল বললেও এক কথায় তাকে দোষ দেবার পক্ষে আমি নই। বরং নিজের জ্ঞান মাফিক চেষ্টা করার জন্য অন্তত তারা প্রশংসা পাবার যোগ্য। তাছাড়া সৃষ্টিজগৎ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করলে আল্লাহতায়ালা বিশ্বাসীদের জন্য যোগ্য পুরষ্কারের ঘোষনা করেছেন।





কিন্তু যারা বিশ্বাস তো করেই না, বরং সর্বজ্ঞ আল্লাহতায়ালার বাণীকে অবাস্তব কল্পকাহীনি আখ্যা দিয়ে কটাক্ষ করে- স্রষ্টা তাদেরকে মোক্ষম জবাব দেবার ব্যবস্থা করেছেন। যতই দিন যাবে, তাদের কটাক্ষের কড়া প্রত্যুত্তর বিজ্ঞানের মাধ্যমেই তারা পেয়ে যাবে।



এবার দেখা যাক আল-কোরআনে দুই নক্ষত্র/সূর্য উদয় ও দুই নক্ষত্র/সূর্যাস্ত অস্তগমন সম্পর্কে আদৌ কোন ইংগিত আছে কি?

======================================================



আল-কোরআন

(Al-Quran) -

সূরা আর রহমান ( মদীনায় অবতীর্ণ )

(৫৫:১৭) রাব্বুল মাশরিকাইনি ওয়া রাব্বুল মাগরিবাইন

(৫৫:১৭) অর্থ- তিনি দুই (নক্ষত্র/সূর্য) উদয়ের (স্থানের) পালন-কর্তা এবং তিনি দুই (নক্ষত্র/সূর্য) অস্তগমনেরও (স্থানেরও)পালন-কর্তা।

(55:17) [He is] Lord of the (place of) two/double (Star/Sun) risings and Lord of the (place of) two/double (Star/Sun) settings.



(৫৫:১৭) নং আয়াতে 'মাশরিকাইন' ও 'মাগরিবাইন' শব্দ দুটি 'দ্বি-বচন' এবং দ্বৈত ভাব প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। 'মাশরিক' শব্দের অর্থ সাধারনত (এক) সূর্যোদয়ের স্থান/দিক হিসেবেই করা হয়ে থাকে। (০২:২৫৮) নং আয়াতের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, এখানে 'মাশরিক' শব্দটির অর্থ 'পূর্ব দিক' হিসেবে করা হয়ে থাকে। মূলত 'শার্ক' ও 'গার্ব' এই দুটি শব্দের অর্থ হলো 'পূর্ব' ও 'পশ্চিম'। কাজেই 'শার্কাইন' ও 'গার্বাইন' শব্দ দুটির অর্থ 'দুই পূর্ব' ও 'দুইপশ্চিম'। (০২:২৫৮) নং আয়াতে 'মাশরিক' ও 'মাগরিব' শব্দ দুটির সাথে যেহেতু 'শামসু' অর্থ 'সূর্য' শব্দটি এসেছে এবং 'পূর্ব দিক থেকে সূর্য উদয়' এবং 'পশ্চিম দিক থেকে সূর্যকে আবার ফিরিয়ে আনার' প্রসঙ্গটি এসেছে। তাই অন্যান্য আয়াতেও 'মাশরিক' ও 'মাগরিব' শব্দ দুটিকে 'সুর্যোদয়'

ও 'সূর্যাস্ত' হিসেবেই সরাসরি প্রকাশ করা হয়ে থাকে। কিন্তু মৌলিক ভাবে 'মাশরিক' ও 'মাগরিব' শব্দ দুটি দ্বারা শুধু সূর্য নয়, বরং যে কোন নক্ষত্রের 'উদয়ের দিক/স্থান' ও 'অস্তগমনের দিক/স্থান' -কে বোঝানো যেতে পারে।





*বিজ্ঞানের চমকপ্রদ আবিষ্কার-



দুটি নক্ষত্র/সূর্য-কেন্দ্রিক জগতের মাঝে অবস্থিত 'কেপলার-১৬বি' এমনি একটি গ্রহ যেখানে একই দিনে দুটি নক্ষত্র/সূর্য উদিত হয় ও অস্তগমন করে। তাই এই গ্রহটিকে তো বটেই এবং এরই মত আরও যে সব গ্রহ আবিষ্কৃত হবে সেগুলোকে 'দুই নক্ষত্র/সূর্য উদয়ের ও দুই নক্ষত্র/সূর্য অস্তগমনের স্থান' বলা হলে নিশ্চয় অযৌক্তিক হবে না।





শুধু তাই নয, আল-কোরআনে দুইয়ের অধিক নক্ষত্র/সূর্য উদয় ও দুইয়ের অধিক নক্ষত্র/সূর্য অস্তগমন সম্পর্কেও ইংগিত দেয়া হয়েছে-



আল-কোরআন



(Al-Quran) -



সূরা আস-সাফফাত (মক্কায় অবতীর্ণ)

(৩৭:০৫) অর্থ- তিনি আসমান সমূহ, পৃথিবী/ভূমির ও এ দুয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা এবং পালনকর্তা বহু (নক্ষত্র/সূর্য) উদয়েরও (স্থানেরও)।

(37:05) Lord of the heavens and the earth and that between them and Lord of the multiple (Star/Sun) risings.



সূরা আল মা’আরিজ (মক্কায় অবতীর্ণ)

(৭০:৪০) আমি শপথ করছি বহু (নক্ষত্র/সূর্য) উদয়ের (স্থানের) এবং বহু (নক্ষত্র/সূর্য) অস্তগমনের (স্থানের) পালন-কর্তার, নিশ্চয়ই আমরা সক্ষম-



(70:40) So, I swear by the Lord of the (place of) multiple (Star/Sun) risings and the (place of) multiple (Star/Sun) settings, that indeed We are able.



(৩৭:০৫) ও (৭০:৪০) নং আয়াতে 'আল-মাশারিকি' ও 'আল-মাগারিবি' এর অর্থ শুধুমাত্র আমাদের এই পৃথিবীতে এক সূর্যের উদয় ও অস্তের সাথেই সম্পৃক্ত নয়। বরং মৌলিকভাবে অনুবাদ করলে এর মাধ্যমে বহু-বচন বোঝায় এবং মহাবিশ্বের যে কোন স্থানে 'বহু নক্ষত্র/সূর্যের উদয়'('আল-মাশারিকি') এবং 'বহু নক্ষত্র/সূর্যের অস্তগমনের'('আল-মাগারিবি') ভাবই প্রকাশ পায়। কাজেই শুধুমাত্র পৃথিবীর সাথে সম্পৃক্ত করে অনুবাদ করা হলে, মহান স্রষ্টা এর মাধ্যমে যে ব্যাপক অর্থ প্রকাশ করতে চেয়েছেন তা ব্যহত হতে পারে। যেহেতু (৫৫:১৭) নং আয়াতে বিশেষ ভাবে দুই সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বক্তব্য এসেছে। সুতরাং (৩৭:০৫) ও (৭০:৪০) নং অয়াতে 'বহু' বলতে ২ এর অধিক অর্থাৎ ৩, ৪, ৫ বা তার অধিক সংখ্যক বুঝতে হবে।বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যে তিন সূর্যকে প্রদক্ষিণরত গ্রহও খুঁজে পেয়েছেন-





Triple Sunset: Planet Discovered in 3-Star System-

A newly discovered planet has bountiful sunshine, with not one, not two, but three suns glowing in its sky.

The triple-star system, HD 188753, is located 149 light-years away in the constellation Cygnus. The primary star is like our Sun, weighing 1.06 solar masses. The other two stars form a tightly bound pair, which is separated from the primary by approximately the Sun-Saturn distance

>>>First Planet Under Three Suns Is Discovered
 
 
http://www.sonarbangladesh.com/blog/DaliaNuzha/70879
 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন