‘জিহাদি বই’ শব্দটি ইসলামের ‘শত্রু’দের আবিষ্কার।
‘জিহাদি বই’ শব্দটির এ রকম ব্যবহার 20/30 বছর আগেও ছিল না। আগে তফসির, ফিকাহ, হাদিস গ্রন্থ, ইসলামের ইতিহাস বই, ইসলামি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বই, ইসলামি অর্থনীতির বই এভাবে বলা হতো। এখন বর্তমানে " ইসলামের ইতিহাস গ্রন্হ "এমন কি হাদিস বা তাফসীর গ্রন্হ কে জেহাদি বই হিসাবে চারিয়ে দেয়া হচ্ছে । এটা বড়ই দুঃখ জনক উদ্দেগের ব্যাপার
জিহাদ নানা ধরনের হতে পারে। যুদ্ধ বা জেহাদ তার একটি দিক মাত্র। নফসের বিরুদ্ধে, রিপুর বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ হতে পারে।
যুদ্ব মুখে হতে পারে কলমের সাহার্য্যে হতে পারে ,কেননা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলাও জেহাদ এ গুলো ও এক ধরনের জেহাদ, কেননা জেহাদের একটা অর্থ চেষ্টা করাও আছে সে হিসাবে কেউ সংসারের ব্যায় ভার বহন করার জন্য সন্তান সন্ততীর মুখে হাসি ফুটানোর দেশে-বিদেশে মাথার ঘাম পাতালে ফেলে হাড়ভাঙ্গা চেষ্টা মেহনত করছে ,সেটাও এক প্রকারের জেহাদ । তবে শত্রুর বিরুদ্ধে ঢাল-তলোয়ার অস্রসস্র দিয়ে মোকাবেলা করা জিহাদের চূড়ান্ত রূপ যুদ্ধ। এটা শুধু রাষ্ট্র করতে পারে, ব্যক্তিগত নয় -তাও এ যুগে আন্তর্জাতিক আইন মেনে করতে হয়। মুসলিম রাষ্ট্রগুলো আন্তর্জাতিক আইন মেনে নিয়েছে। ইসলাম বলেছে ওয়াদা-চুক্তি রক্ষা করতে হবে। এ কারণে কোনো মুসলিম রাষ্ট্র এখন যুদ্ধ/জেহাদ করতে চাইলেও করতে পারে না। যে কেউ এটা করে সে অন্যায় করে।
সে ইউরোপ আমেরিকাই করুক বা অন্য কোনো ইসলামি রাষ্ট্রই করুক।
সন্ত্রাস জিহাদ নয়, জিহাদ নয়, জিহাদ নয়। সন্ত্রাস সন্ত্রাসই ,সন্ত্রাসের সাথে ইসলামের দূরতম সম্পর্কও নেই ।ইসলাম কখনো সন্ত্রাস বা জঙ্গিবাদ কে প্রস্রয় দেনি দিবেওনা
বর্তমান জঙ্গিবাদ একটি কালচার যেমনি ভাবে নাস্তিক্যবাদ একটি কালচার ।এদুয়ের কোন দেশ জাতি বা ধর্ম নেই
টুডে ব্লগঃ ‘জিহাদি বই’ শব্দটি ইসলামের ‘শত্রু’দের আবিষ্কার।: ‘জিহাদি বই’ শব্দটি ইসলামের ‘শত্রু’দের আবিষ্কার।
‘জিহাদি বই’ শব্দটির এ রকম ব্যবহার 20/30 বছর আগেও ছিল না। আগে তফসির, ফিকাহ, হাদিস গ্রন্থ, ইসলামের ইতিহাস বই,
ফরজ জেহাদ রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রনেই হতে হবে লিখেছেন লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ০৯ আগস্ট, ২০১৬, ০১:১৬:১৩ রাত << আগের পোস্ট পরের পোস্ট >> ইসলাম জঙ্গিবাদকে সমর্থন করেনা বরং জঙ্গবাদকে নির্মূল করতে সহায়তা করে ।জঙ্গিবাদ নির্মূলে দল মত নির্বিশেষে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। আসুন সবাই জঙ্গিবাদ দমন করে ফুলের মত জীবন গড়ি।তার সাথে সাথে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সহ সর্বস্তরে ইসলামী শিক্ষাকে বাধ্যতা মূলক করে জঙ্গিবাদ নির্মূল করার জন্য এগিয়ে আসি। কিন্তু ধর্মীয় শিক্ষাকে সংকোচিত করে জঙ্গিবাদ দমনের ব্যর্থ চেষ্টা পরিহার করা উচিত।বিনা বিচারে মানুষ হত্যা মহাপাপ এই ভাবে মানুষ হত্যা ইসলাম সমর্থন করেনা। আর জঙ্গিবাদ আর ইসলাম এক নয়। জেহাদ ফরজ আর জঙ্গিবাদ কুফরী। কেউ আল্লাহু আকবার শ্লোগান দিয়ে হামলা করলে জেহাদী হয়ে যায়না।মুজাহীদ জান্নাতি আর জঙ্গি জাহান্নামী।অপর দিকে জেহাদ এটি ব্যাপক শব্দ এর অপ ব্যবহার যেন না হয় সে সম্পর্কে সকলকে সচেতন হতে হবে।অপর দিকে ঢাল তলোয়ার দিয়ে যেই জেহাদের কথা বলা হয়েছে সেটা কোন ব্যক্তির উপর ফরজ নয় বরং সমষ্টিগত ভাবে রাষ্ট্রের উপর ফরজ অর্থাৎ রাষ্ট্র নিয়নত্রিত হতে হবে।। রাষ্ট্র প্রধানের নেত্বত্বে হতে হবে। আর ব্যক্তি পর্যায়ের জেহাদ, তা হল হক কথা বলার ও লেখার মাধ্যমে মানুষকে হক পথে আনার চেষ্টা করার সাথে সাথে নিজের নফস শয়তানের সাথে মোকাবেলা করা।
উত্তরমুছুন“ইসলাম জঙ্গীবাদরে ধর্ম নয় এবং জঙ্গীবাদকে সমর্থনও করে না,বর্তমানে জঙ্গিবাদ এটা একটা আলাদা একটি ধর্ম-বা কালসার,যেমন বর্তমানে নাস্তিক্যবাদ একটি কালসার
।জেহাদের নামে যারা এই বর্বরতায় মত্ত, তারা কখনই প্রকৃত মুসলিম হতে পারে না মুষ্টিমেয় কিছু বর্বর ইসলামের নামে সন্ত্রাস করছে বলে, সব মুসলিমকে সন্ত্রাসবাদী তকমা দেওয়া মানবতার অপমান।কোন জঙ্গি বা সন্ত্রাসীর দেশ বা ধর্ম আছে বলে মনে হয়না ।ইসলাম বিচার বহির্ভূত যে কোন হত্যাকান্ডকে সমর্থন করেনা।ইহুদি খৃষ্টান চক্র মুসলমানদেরকে কোন ঠাসা করতে দেশে দেশে আইএসের মত উগ্র পন্থীর আবির্ভাব ঘটিয়ে নামে বে -নামে শাখা খুলে দেশে দেশে হামলা চালাচ্ছে,এর সকল অপকর্মের হোতা হল সেই ইহুদী-খৃষ্টান ।কারণ তালেবান যারাই সৃষ্টি করেছিল তারাই আই এস ও সৃষ্টি করেছে। তাইতো আইএসের উত্থানের জন্য জর্জ ডব্লিউ বুশকে দায়ী করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি অভিযোগ করেন বুশের আমলেই ইরাকে আক্রমণের ফলে ‘অনিচ্ছাকৃতভাবে’ আইএসের উত্থান ঘটেছে। ভাইস নিউজকে দেয়া এক বক্তব্যে এমন অভিযোগ করলেন ওবামা। Daily Inqilab ১৬-১১-২০১৫ ।
তাছাডা বর্তমান তথা কথিত আই এস নেতার মাতা পিতা হল ইহুদী।সে ইহুদীদের চক্রান্ত বায়বায়নে লিপ্ত তা একটি রিপোর্ট থেকে জানতে পারা যায়।
উত্তরমুছুনতাহল বর্তমানে ইরাকে সেই আই এস অধ্যষিত এলাকায় সমস্ত মানুষ ঘর বাডি বিক্রি করে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছে।কিন্তু ঐ সকল ঘর- বাডি -জমি জমা ক্রয় করার মত কোন লোক সেখানে অবশিষ্ট নেই কিন্তু সেই সুবাধে আই এস নিয়ন্ত্রিত কিছু লোক ঐ সকল জমি জমা ক্রয় করার জন্য অফিসআর এজেন্সী খুলেই বসেছে এবং অত্যন্ত কম মূল্যে ঐ সকল জমি জমা ক্রয় ও করছে। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য যে ঐ সকল জমি ভূমি আই এস কর্তৃক বিভিন্ন ইসরাইলি প্রভাব শালী এজেন্সীর কাছে বিভিন্ন কলে বলে কৌশলে বিক্রি করছে।
এতে করে অদূর ভবিষ্যতে সেই ফিলিস্তিনের মত এই ইরাকের ভূমিটিও কি তারা দাবী করে বসবেনা?
তাহলে আসলে তারা কাদের সার্থে ইরাকের এই ভুমি দখল! এই প্রশ্ন থেকেই যায়।
আজকে আমরা বিভিন্ন গবেষনায় জানতে পারি বিশ্বে যত গুলো সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে তন্মধ্যে ৯৪% ই অমুসলিমরাই ঘটিয়েছে। কিন্তু আপসোস এর বিষয় হল আজকে মুসলিমদের হাতে মিডিয়ার কতৃত্ব না থাকার কারনে , এ সত্যটা প্রকাশ পাচ্ছেনা বরং উল্টো মুসলমানদের সন্ত্রাসী বানানো হচ্ছে ।এই জন্য আজকে মুসলিমদের জন্য অপরিহার্য কাজ , যেটা তাহল বস্তু নিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের জন্য মিডিয়া প্রতিষ্ঠা করতে হবে, মিডিয়ার নিয়ন্ত্রন নিতে হবে । নতুবা এ ঘানী আরও কতকাল সইতে হবে আল্লাহই ভাল জানেন ।
মুসলিম সন্ত্রাসী'- এই শব্দযুগল ব্যবহার করে কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই যে কাউকে অভিযুক্ত করতে নিয়মিতই নিজেদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম। কোথাও কালে ভদ্রে দুয়েকটি হামলা/সন্ত্রাসের ঘটনা কোনো বিপথগামী মুসলমানের দ্বারা হলেই আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে হায় হায় রব উঠে।
উত্তরমুছুনযদিও প্রকৃত তথ্য এবং পরিসংখ্যান বলে ভিন্ন কথা। ২০১৩ সালে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এর একটি রিপোর্ট থেকে জানা যায়, সেদেশের মাটিতে গড়ে যত সংখ্যক হামলা হয় তার ৯০ শতাংশই ঘটিয়ে থাকে অমুসলমি সন্ত্রাসীরা।
এফবিআইয়ের ওই প্রতিবেদনে দেখানো হয়, ১৯৮০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত মোট হামলার ৯০ শতাংশই ঘটায় অমুসলিম সন্ত্রাসীরা।
সবচেয়ে বেশি হামলার ঘটনা ঘটিয়ে থাকে ল্যাটিন আমেরিকান সন্ত্রাসীরা। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হার শতকরা ৪২ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা চরম বামপন্থী সন্ত্রাসীরা ২৪ শতাংশ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটায়। ৭ শতাংশ সন্ত্রাসী কার্যক্রমের জন্য দায়ী ইহুদীবাদী সন্ত্রাসীরা। মুসলিম নামধারী সন্ত্রাসীরা দায়ী মাত্র ৬ শতাংশ ঘটনার জন্য। কমিউনিস্ট ৫ শতাংশ এবং অন্যান্যরা ঘটিয়ে থাকে ১৬ শতাংশ সন্ত্রাসী ঘটনা। সূত্র: ওয়াশিংটন ব্লগ -http://amarbangladesh-online.com