যুবক ও বৃদ্ধ লোকদের জন্য কালো খেযাব বা অন্য
রঙের খেযাব ব্যবহারের হুকুম কি ? এছাড়া
যুবকদের অসুস্থতা বা কোনো কারণে চুল
সাদা হয়ে গেলে তারা কালো খেযাব
ব্যবহার করতে পারবে কি ?
আসলে এ মাছয়ালাটি বর্তমান সময়ের খুবই গুরুত্ব পূর্ন মাছয়ালা এই জন্য ব্যাখার দাবী রাখে
বার্ধ্যকের কারনে চুল-দাড়ি পেকে গেলে
তাতে কালো খেযাব ব্যবহার করা নাজায়েয। এতে সন্দেহের অবকাশ নেই ।তবে কালো ছাডা হলুদ বা লাল রঙের মেহেদী ব্যবহার জায়েয।
একাধিক হাদীসে এ ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ার
এসেছে। হাদীস শরীফে এসেছে, মক্কা বিজয়ের দিন
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম হযরত আবু বকর সিদ্দীক রা.-এর
পিতা আবু কুহাফা রা.-এর চুল এবং দাড়ি পাকা
দেখে বললেন , এটাকে কোনো কিছু দ্বারা
পরিবর্তন কর। তবে কালো থেকে বিরত থাক।
সহীহ মুসলিম , হাদীস : ৫৪৬৬
অবশ্য কোনো যুবকের অসুস্থতা বা অন্য কোনো
কারণে যদি চুল-দাড়ি পাকার বয়সের আগেই
সাদা হয়ে যায় তবে সে কালো খেযাব ব্যবহার
করতে পারবে।তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন আবরন বা প্রলেফ যুক্ত খেযাব না হয়।
তবে এখানে বার্ধক্য বলতে কি বুঝায় বা কখন বা কত বৎসর বয়স থেকে বার্ধক্য শুরু তাও এখানে জানা দরকার
বন্ধুরা আপনারা জানেন যে রসুল সাঃ বলেছেন اعمار امنى ما بين ستين الى سبعين অর্থাৎ আমার উম্মতের বয়স ৬০ হইতে ৭০ বছরের মাঝামাঝি। সেই হিসাবে আমরা যদি ৬০/৭০ বছর বয়সকেই যদি বৃদ্ধ বয়সে হিসাাবে গননা করি তাহলে ভূল হবে কারন ৬০/৭০ বছর হল মৃত্যুর বয়স যদিও আল্লাহর বিশেষ রহমতে এর চেয়েও বেশী হায়াত কেউ পেয়ে থাকেন তা কিন্তু নাদের ।
যা হোক বৃদ্ধ বয়সের শুরু কিন্তু ৪০ বছর বয়স থেকেই শুরু হয়। কেননা আপনারা জানেন বৈজ্ঞানীক-ডাক্তারী গবেষনায় ৪০ বৎসর বয়স থেকে যৌবন এবং চোখের জ্যেতি কমতেই থাকে এর মানে হল চল্লিশে পৌঁছা মানে আপনি আমি বৃদ্ধা বয়সে পৌছে গিয়েছি।তাছাডা ৪০ এর একটা গুরুত্বও আছে তাইতো চল্লিশের নীচে কোন মানব সন্তানকে আল্লাহ নবুয়তও দান করেননি ।চল্লিশে পৌঁছা মানে সব দিক দিয়েই পরিপক্ক তাই সেই হিসাবে বার্ধক্যের হিসাব আমাদেরকে চল্লিশ থেকেই গননা করতে হবে।
কলপ বা খেযাব দু’ধরনের হয়ে থাকে।
প্রথমত: যেটা ব্যবহার করলে আবরণ বা প্রলেপ পড়েনা কিন্তু কালো হয়। তবে এ ধরনের কালো রঙের খেযাব বা কলপ ব্যবহার করাও শরীয়তে মাকরূহ তাহরীমী বলা হয়েছে। আর যে সকল কলপে আবরন থাকে নোখ পালিশের মত তা ব্যবহার হারাম কারন এতে চুলে পানি পৌঁছেনা যদি ওযু ও ফরয গোসলের সময় চুল দাডিতে পানি না পৌঁছে বরং উপর দিয়ে বহিয়া যায়। তা নিঃসন্দেহে না জায়েয। আর যে গুলো ব্যবহার করলে আবরন বা প্রলেপ পড়েনা কিন্তু হলুদ বা লাল হয় যেমন মেহেদী তা ব্যবহার জায়েয ।
আহমাদ আলী সাহারানপুরী রহঃ
বলেন , হাদীসে কালো খেযাব ব্যবহার করতে
নিষেধ করা হয়েছে। এর মূল কারণ অন্যদের
সামনে বয়স গোপন করা এবং অন্যকে ধোঁকা
দেওয়া। হাশিয়া সহীহ বুখারী ১/৫৩০
যুবকের ক্ষেত্রে ধোঁকার এই দিকটি অনুপস্থিত।
তাই কোনো কোনো ফকীহ যুবকদের জন্য কালো
খেযাব জায়েয হওয়ার মত দিয়েছেন। (ফায়যুল
কাদীর ১/৩৩৬ ; ইমদাদুল আহকাম ৩/৩৭৬) তবে শর্ত ফলেপ যূক্ত না হতে হবে।
তাবেয়ী
ইবনে শিহাব যুহরী রাহ. বলেন , আমাদের চেহারা
যখন সতেজ ছিল তখন আমরা কালো খেযাব
ব্যবহার করতাম। আর যখন আমাদের চেহারা
মলিন হয়ে গেল এবং দাঁত নড়বড়ে হয়ে গেল তখন
আমরা কালো খেযাব ছেড়ে দিয়েছি। ফাতহুল
বারী ১০/৩৬৭
অবশ্য হাদীসে যেহেতু কালো খেযাবকে
বিশেষভাবে নিষেধ করা হয়েছে তাই যুবকদের
জন্যও একেবারে কালো খেযাব ব্যবহার না
করে লাল কালো মিশ্রিত খেযাব ব্যবহার করাই
উচিত হবে। তুহফাতুল আহওয়াযী ৫/১৫৪ ; ফায়যুল
কাদীর ১/৩৩৬
আর বার্ধক্যের কারণে চুল পেকে গেলে কালো
খেযাব ছাড়া অন্য খেযাব ব্যবহার করা
মুস্তাহাব। যেমন রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু কুহাফা রা.কে
কালো খেযাব ছাড়া অন্য খেযাব ব্যবহার করতে
নির্দেশ দিয়েছিলেন।
অন্য এক হাদীসে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর
রা. বলেন , আমি রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হলুদ রং ব্যবহার করতে
দেখেছি তাই আমিও হলুদ রং ব্যবহার করতে
পছন্দ করি।
-সহীহ বুখারী, হাদীস, ১৬৬; ইমদাদুল ফাতাওয়া ৪/২১৫-২২০; জাওয়াহিরুল ফিকহ ৭/১৬৬-১৭০৷
সাদা চুল-দাড়ি মেহদী বা অন্য রং দিয়ে পরিবর্তন করা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সুন্নাত। তিনি সাদা চুলকে কালো রং বাদ দিয়ে অন্য রং দিয়ে পরিবর্তন করতে আদেশ দিয়েছেন।
আবু হুরায়রা [রা.] হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
إِنَّ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى لَا يَصْبُغُونَ فَخَالِفُوهُمْ
ইয়াহুদী ও নাসারারা চুল ও দাড়িতে খেযাব লাগায় না। সুতরাং তোমরা খেযাব লাগিয়ে তাদের বিপরীত কর। [বুখারি, অধ্যায় : আহাদিছুল আম্বিয়া|]
কিন্তু কিয়ামতের পূর্বে লোকেরা এ আদেশ অমান্য করে কালো রং দিয়ে খেজাব (কলপ) লাগাবে। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
يَكُونُ قَوْمٌ يَخْضِبُونَ فِي آخِرِ الزَّمَانِ بِالسَّوَادِ كَحَوَاصِلِ الْحَمَامِ لَا يَرِيحُونَ رَائِحَةَ الْجَنَّةِ
আখেরী যামানায় একদল লোকের আগমণ হবে যারা সাদা চুল-দাড়ি কালো রং দিয়ে পরিবর্তন করবে। তারা জান্নাতের গন্ধও পাবেনামুমিন। [আবু দাউদ, অধ্যায় : কিবাবুত তারাজ্জুল]
হাদীছের ভাষ্য বাস্তবে পরিণত হয়েছে। পুরুষদের মাঝে দাড়ি ও মাথার চুল কালো রং দিয়ে পরিবর্তন করার প্রবণতা ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করা এবং শত্রুর হৃদয়ে ভীতি সঞ্চার করার জন্য কালো খেযাব ব্যবহার করা সম্পর্কে বর্ণিত হাদীছটি ‘মুনকার’ বা ‘যঈফ’ (ইবনু মাজাহ হা/৩৬২৫; সিলসিলা যঈফাহ হা/২৯৭২)।
বর্তমানে বাজারে প্রচলিত কলপ আর প্রাকৃতিক মেহেদী এক রকম নয়। কারণ প্রাকৃতিক মেহেদী ব্যবহার করলে চুলে প্রলেপ পড়ে না।
কিন্তু বর্তমানে বাজারে প্রচলিত কলপ ব্যবহার করলে চুলে প্রলেপ পড়ে। বিধায় কলপ ব্যবহার করলে ওযু, গোসল, নামায কোনটাই শুদ্ধ হবে না।কেননা ওযু গোসলের সময় সমস্ত অঙ্গে পানি পৌঁছানো ফরজ । কিন্তু প্রলেপের কারণে অজু গোসলের অঙ্গে পানি পৌঁছায়না।
এই জন্যই যারা মুসলিম নামাজী তাদেরকে আবশ্যই পবিত্রতার দিকটাই আগে খেয়াল করতে হবে।সৌন্দর্য পরে।
যুবক ও বৃদ্ধ লোকদের জন্য কালো খেযাব বা অন্য
রঙের খেযাব ব্যবহারের হুকুম কি ? এছাড়া
যুবকদের অসুস্থতা বা কোনো কারণে চুল
সাদা হয়ে গেলে তারা কালো খেযাব
ব্যবহার করতে পারবে কি ?
তাতে কালো খেযাব ব্যবহার করা নাজায়েয। এতে সন্দেহের অবকাশ নেই ।তবে কালো ছাডা হলুদ বা লাল রঙের মেহেদী ব্যবহার জায়েয।
একাধিক হাদীসে এ ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ার
এসেছে। হাদীস শরীফে এসেছে, মক্কা বিজয়ের দিন
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম হযরত আবু বকর সিদ্দীক রা.-এর
পিতা আবু কুহাফা রা.-এর চুল এবং দাড়ি পাকা
দেখে বললেন , এটাকে কোনো কিছু দ্বারা
পরিবর্তন কর। তবে কালো থেকে বিরত থাক।
সহীহ মুসলিম , হাদীস : ৫৪৬৬
কারণে যদি চুল-দাড়ি পাকার বয়সের আগেই
সাদা হয়ে যায় তবে সে কালো খেযাব ব্যবহার
করতে পারবে।তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন আবরন বা প্রলেফ যুক্ত খেযাব না হয়।
যা হোক বৃদ্ধ বয়সের শুরু কিন্তু ৪০ বছর বয়স থেকেই শুরু হয়। কেননা আপনারা জানেন বৈজ্ঞানীক-ডাক্তারী গবেষনায় ৪০ বৎসর বয়স থেকে যৌবন এবং চোখের জ্যেতি কমতেই থাকে এর মানে হল চল্লিশে পৌঁছা মানে আপনি আমি বৃদ্ধা বয়সে পৌছে গিয়েছি।তাছাডা ৪০ এর একটা গুরুত্বও আছে তাইতো চল্লিশের নীচে কোন মানব সন্তানকে আল্লাহ নবুয়তও দান করেননি ।চল্লিশে পৌঁছা মানে সব দিক দিয়েই পরিপক্ক তাই সেই হিসাবে বার্ধক্যের হিসাব আমাদেরকে চল্লিশ থেকেই গননা করতে হবে।
বলেন , হাদীসে কালো খেযাব ব্যবহার করতে
নিষেধ করা হয়েছে। এর মূল কারণ অন্যদের
সামনে বয়স গোপন করা এবং অন্যকে ধোঁকা
দেওয়া। হাশিয়া সহীহ বুখারী ১/৫৩০
তাই কোনো কোনো ফকীহ যুবকদের জন্য কালো
খেযাব জায়েয হওয়ার মত দিয়েছেন। (ফায়যুল
কাদীর ১/৩৩৬ ; ইমদাদুল আহকাম ৩/৩৭৬) তবে শর্ত ফলেপ যূক্ত না হতে হবে।
ইবনে শিহাব যুহরী রাহ. বলেন , আমাদের চেহারা
যখন সতেজ ছিল তখন আমরা কালো খেযাব
ব্যবহার করতাম। আর যখন আমাদের চেহারা
মলিন হয়ে গেল এবং দাঁত নড়বড়ে হয়ে গেল তখন
আমরা কালো খেযাব ছেড়ে দিয়েছি। ফাতহুল
বারী ১০/৩৬৭
বিশেষভাবে নিষেধ করা হয়েছে তাই যুবকদের
জন্যও একেবারে কালো খেযাব ব্যবহার না
করে লাল কালো মিশ্রিত খেযাব ব্যবহার করাই
উচিত হবে। তুহফাতুল আহওয়াযী ৫/১৫৪ ; ফায়যুল
কাদীর ১/৩৩৬
আর বার্ধক্যের কারণে চুল পেকে গেলে কালো
খেযাব ছাড়া অন্য খেযাব ব্যবহার করা
মুস্তাহাব। যেমন রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু কুহাফা রা.কে
কালো খেযাব ছাড়া অন্য খেযাব ব্যবহার করতে
নির্দেশ দিয়েছিলেন।
রা. বলেন , আমি রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হলুদ রং ব্যবহার করতে
দেখেছি তাই আমিও হলুদ রং ব্যবহার করতে
পছন্দ করি।
-সহীহ বুখারী, হাদীস, ১৬৬; ইমদাদুল ফাতাওয়া ৪/২১৫-২২০; জাওয়াহিরুল ফিকহ ৭/১৬৬-১৭০৷
আবু হুরায়রা [রা.] হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
إِنَّ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى لَا يَصْبُغُونَ فَخَالِفُوهُمْ
ইয়াহুদী ও নাসারারা চুল ও দাড়িতে খেযাব লাগায় না। সুতরাং তোমরা খেযাব লাগিয়ে তাদের বিপরীত কর। [বুখারি, অধ্যায় : আহাদিছুল আম্বিয়া|]
কিন্তু কিয়ামতের পূর্বে লোকেরা এ আদেশ অমান্য করে কালো রং দিয়ে খেজাব (কলপ) লাগাবে। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
يَكُونُ قَوْمٌ يَخْضِبُونَ فِي آخِرِ الزَّمَانِ بِالسَّوَادِ كَحَوَاصِلِ الْحَمَامِ لَا يَرِيحُونَ رَائِحَةَ الْجَنَّةِ
আখেরী যামানায় একদল লোকের আগমণ হবে যারা সাদা চুল-দাড়ি কালো রং দিয়ে পরিবর্তন করবে। তারা জান্নাতের গন্ধও পাবেনামুমিন। [আবু দাউদ, অধ্যায় : কিবাবুত তারাজ্জুল]
বর্তমানে বাজারে প্রচলিত কলপ আর প্রাকৃতিক মেহেদী এক রকম নয়। কারণ প্রাকৃতিক মেহেদী ব্যবহার করলে চুলে প্রলেপ পড়ে না।
ওয়া-ছাল্লাল্লাহ আলা সাইয়্যেদেনা মুহাম্মাদ্ ওয়া-আলিহী ওয়া-আছাহাবিহী ওয়া-বারিক্
ওয়া-ছাল্লিম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন