আমাদের দেশে প্রায় ৯২ ভাগ মানুষই মুসলমান। আমাদের এই দেশের মুসলিম সংস্কৃতি অনুযায়ি সবাই শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে আব্বা কিংবা আম্মা আবার কেউ কেউ বাবা কিংবা মা বলে ডেকে থাকেন। এ বিষয়ে ইসলাম আসলে কি বলে এই নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে শ্বশুড়-শ্বাশুড়িকে আব্বা-আম্মা বলা যাবে কিনা বা যদি বলা যায় তাহলে ওই হাদিসের ব্যাখ্যা কী হবে, যে হাদিসে অন্যকে পিতা বলে সম্বোধন করতে নিষেধ করা হয়েছে?
তাহলে বিষয়টা আমাদেরকে কোরআন হাদিসের আলোকে বিশ্লেষনের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করি।তাহলে আসুন একটু ধীরস্হীর ভাবে জানার চেষ্টা করি । আমরা সকলেই জানি যে শরিয়তের বিধান মেনে শরিয়ত সন্মত পন্থায় বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে জন্মদাতাকে "পিতা" আর জন্মদানকারিনীকে "মাতা" বলা হয়।এবং অঞ্চল ভেদে আব্বা -আম্মা ,মা -বাবা ইত্যাদি শব্দে সন্বোধন করে থাকে।মূলত এরাই হল আব্বা- আম্মা বা মা-বাবা এবং এদের মাধ্যমেই মানব সমাজের বংশ পরিক্রমা বৃদ্ধি ও পরিচয় বহন করে থাকে । এরাই হল আসল আম্মা-আব্বা বা মা বাবা ।
পক্ষান্তরে কোন সন্মানি ব্যক্তিকে বা শ্বশুর-শাশুডীকে ‘আব্বা’ "আম্মা" বলে সম্বোধন করা হয় আসল আম্মা আব্বা মনে করে নয়,বরং সন্মানের দিক দিয়ে আম্মা আব্বার মত মনে করে ।কিন্তু এতে কোন দোষের কিছু নেই। যেমন দোষ নেই নিজের ছেলে ছাড়া অন্য কোন স্নেহ ভাজনকে ‘বেটা’ বলে সম্বোধন করা।কারণ এ সম্বোধনের উদ্দেশ্য থাকে পিতার মত শ্রদ্ধা এবং পুত্রের মতো স্নেহ প্রকাশ। পিতৃতুল্যকে ‘পিতা’ বলা এবং পুত্রতুল্যকে ‘বেটা’ বলা, তদনুরূপ মাতৃতুল্যকে ‘মাতা’ বা ‘মা’ বলা এবং কন্যাতুল্যকে ‘বেটি’ বলায় কোন বংশীয় সম্বন্ধ উদ্দিষ্ট থাকে না। তাই এটা না জায়েযের প্রশ্নই আসেনা।কারণ
(1) আল কোরআনে জন্মদাত্রী মা ছাড়া অন্য মহিলাকে ‘মা’ বলার কথা এসেছে। যেমন মহানবী (সঃ) এর স্ত্রীদেরকে মুমিনদের মা বলা হয়েছে। "উম্মুহাতুল মোমেনীন " অর্থাৎ (মুমিনদের মা )"যে নবী বিশ্বাসীদের নিকট তাদের প্রাণ অপেক্ষাও অধিক প্রিয় এবং তার স্ত্রীগণ তাদের মা। (আহযাবঃ ৬)
দেখুন এখানে নবী সাঃ এর স্ত্রীদের কে স্পষ্ট ভাষায় সকল মুমিনদের মা বলা হয়েছে অথচ এই মা বলাটা জন্ম সূত্রে নয় বরং সন্মানের ক্ষেত্রে ।
দেখুন এখানে নবী সাঃ এর স্ত্রীদের কে স্পষ্ট ভাষায় সকল মুমিনদের মা বলা হয়েছে অথচ এই মা বলাটা জন্ম সূত্রে নয় বরং সন্মানের ক্ষেত্রে ।
(2) অতঃপর তারা জখন ইউসুফের নিকট উপস্থিত হল, তখন সে তার পিতা মাতাকে নিজের কাছে স্থান দান করল এবং বলল, ‘আপনারা আল্লাহর ইচ্ছায় নিরাপদে মিসরে প্রবেশ করুন।’ (ইউসুফঃ ৯৯)
(3) ইউসুফ তার পিতামাতাকে সিংহাসনে বসাল। (ইউসুফঃ ১০০ ) উক্ত আয়াতে ইউসুফ (রঃ) এর পিতামাতা বলে তার পিতা ও খালাকে বুঝানো হয়েছে। কারণ তার মায়ের ইন্তিকাল পূর্বেই হয়ে গিয়েছিল।
(4) নিজ জন্মদাতা পিতা ছাড়া অন্যকে পিতা বলার কথাও এসেছে। মহান আল্লাহ বলেছেন, “ইয়াকুবের নিকট জখন মৃত্যু এসেছিল তোমরা কি তখন উপস্থিত ছিলে? সে জখন নিজ পুত্র গণকে জিজ্ঞাসা করেছিল, ‘আমার (মৃত্যুর) পর তোমরা কিসের উপাসনা করবে?’ তারা তখন বলেছিল, ‘আমরা আপনার উপাস্য ও আপনার পিতৃপুরুষ ইব্রাহিম, ইসমাইল ও ইসহাকের উপাস্য, সেই অদ্বিতীয় উপাস্যের উপাসনা করব। আর আমরা তার কাছে আত্মসমর্পণকারী।’ (বাকারাহঃ ১৩৩)
এখানে পিতৃব্য, পিতামহ -প্রপিতামহকেও ‘পিতা’ বলেই আখ্যায়ন করা হয়েছে। আর বিদিত যে, ইসমাইল (আঃ) ইয়াকুব (আঃ) এর চাচা ছিলেন।
(5) সংগ্রাম কর আল্লাহর পথে যেভাবে সংগ্রাম করা উচিত; তিনি তোমাদেরকে মনোনীত করেছেন। তিনি দ্বীনের ব্যাপারে
তোমাদের উপর কোন কঠিনটা আরোপ করেননি; এটা তোমাদের পিতা ইব্রাহিমের মিল্লাত (ধর্মাদর্শ); তিনি পূর্বে তোমাদের
নামকরণ করেছেন ‘মুসলিম’ এবং এই গ্রন্থেও ; যাতে রাসুল তোমাদের জন্য সাক্ষী সরূপ হয় এবং তোমরা সাক্ষী সরূপ হও
মানব জাতির জন্য। সুতরাং তোমরা নামাজ কায়েম কর, জাকাত আদায় কর এবং আল্লাহকে অবলম্বন কর; তিনিই তোমাদের অভিভাবক, কত উত্তম অভিভাবক এবং কত উত্তম সাহায্যকারী তিনি! (হাজ্জঃ ৭৮)
এখানে ইব্রাহিম (আঃ) কে মুসলিমদের ‘পিতা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যেহেতু তিনি উম্মাহর নিকট পিতৃতুল্য।
(6) আমাদের নবী (সঃ) ও বলেছেন, “আমি তো তোমাদের পিতৃতুল্য, তোমাদেরকে শিক্ষা দিয়ে থাকি...।” (আবু দাউদ) সুতরাং তিনি আমাদের পিতৃতুল্য। তবে তিনি কারো পিতা নন অর্থাৎ জনক নন। মহান আল্লাহ বলেছেন, “মুহাম্মাদ তোমাদের মধ্যে কোন পুরুষের পিতা নন, বরং সে আল্লাহর রাসুল ও শেষ নবী। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ।” (আহযাবঃ ৪০)
যেমন তার স্ত্রীগণ তোমাদের জননী না হয়েও ‘তোমাদের মাতা’। অনুরূপ তিনি তোমাদের জনক না হয়েও সন্মানে তোমাদের ‘পিতা’। কোন কোন কিরাতে এসেছে , “নবী বিশ্বাসীদের নিকট তাদের প্রাণ অপেক্ষাও অধিক প্রিয়
এবং এবং তাদের স্ত্রীগণ তাদের মাতা স্বরূপ। আর সে তাদের পিতা স্বরূপ। (আজহাবঃ ৬, ইবনে কাসিরাঃ ৬/৩৮১, ফাতহুল কাদির ৪/৩৭২)
(7) আনাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তাকে মহানবী (সঃ) বেটা বলে সম্বোধন করতেন। (মুসলিম ২১৫১)
(8) ইমাম নওয়াবি রাহঃ স্নেহাস্পদদেরকে বেটা বলে সম্বোধন করা মুস্তাহাব বলেছেন।
মোট কথা, পরস্পরের সম্বোধনে এই শ্রেণীর শ্রদ্ধা ও স্নেহ সূচক
শব্দ ব্যবহার করায় কোন দোষ নেই।
=====================================================================================
(1) রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, “সবচেয়ে বড়
মিথ্যারোপ হল সেই ব্যক্তির কাজ, যে পরের বাপকে নিজ বাপ বলে
দাবি করে অথবা তার চক্ষুকে তা দেখায়, যা সে (বাস্তবে) দেখেনি।
(অর্থাৎ স্বপ্ন দেখার মিথ্যা দাবি করে) অথবা আল্লাহর রাসুল
(সঃ) যা বলেননি, তা তার প্রতি মিথ্যাভাবে আরোপ
করে।” (বুখারি)
মিথ্যারোপ হল সেই ব্যক্তির কাজ, যে পরের বাপকে নিজ বাপ বলে
দাবি করে অথবা তার চক্ষুকে তা দেখায়, যা সে (বাস্তবে) দেখেনি।
(অর্থাৎ স্বপ্ন দেখার মিথ্যা দাবি করে) অথবা আল্লাহর রাসুল
(সঃ) যা বলেননি, তা তার প্রতি মিথ্যাভাবে আরোপ
করে।” (বুখারি)
(2) “যে ব্যক্তি পরের বাপকে নিজের বাপ বলে, অথচ সে জানে যে, সে
তার বাপ নয়, সে ব্যক্তির জন্য জান্নাত হারাম।” (বুখারি ৬৭৬৬,
৬৭৬৭, মুসলিম ৬৩ নং, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ )
(3) “যে ব্যক্তি পরের বাপকে নিজের বাপ বলে দাবী করে সে জানাতের
সুগন্ধও পাবে না। অথচ তার সুগন্ধই ৫০০ বছরের দূরবর্তী স্থান
থেকেও পাওয়া যাবে।” (আহমাদ ২/১৭১, ইবনে মাজাহ ২৬১১,
সহিহুল জামে ৫৯৮৮ নং)
(4) “যে ব্যক্তি পরের বাপকে নিজের বাপ বলে দাবী করে অথবা তার
(স্বাধীনকারী) প্রভু ছাড়া অন্য প্রভুর প্রতি সম্বন্ধ জুড়ে, সে
ব্যক্তির উপর কিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহর অবিরাম
অভিশাপ।” (আবু দাউদ, সহিহুল জামে ৫৯৮৭ নং)
দেখুন উপরোক্ত হাদিসে অন্যের বাপকে নিজের বাপ বলতে নিষেধ করা হয়েছে।তবে
এ সবের অর্থ সম্বোধনে বাপ বলা নয়। বরং এ সবের অর্থ হল,
*** নিজের বাপকে অস্বীকার করা যেমন আজকাল কিছু অপ্রদার্থ শিক্ষিত নামের কলংক কিছু লোক আছে যে , সে হয়তো লেখা পড়া শিখে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল ,ব্যারিষ্টার বা বড় কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বে পদ মর্যাদায় পৌছে গেছে কিন্তু তার পিতা গরীব বা অশিক্ষিত বা সমাজের সাধারণ পর্যায়ভূক্ত এক জন মানুষ এমতাবস্হায় ছেলে তার পিতার পরিচয় গোপন করে থাক এবং নিজের পিতাকে বাড়ির কর্মচারী, চাকর,বা প্রতিবেশী হিসাবে মানুষের সামনে প্রকাশ করে থাকে । বা পরিচয় করিয়ে দিয়ে থাকে । এ গুলো হারাম।
**** কোন স্বার্থ উদ্বারের জন্য ভিন্ন কোন পুরুষকে নিজের বাপ বলে দাবী করা। যা বর্তমানে অহরহ হচ্ছে যেমন জাল ভোট দান করার সময় ,আদালতে মিথ্যা সাক্ষি প্রদান করা কালীন,
****** নিজের বংশকে অস্বীকার করে অন্য বংশের সূত্র জুড়ে নেওয়া। এই জন্য হাদিসে এসেছে, নবী (সঃ) বলেছেন,
“অজ্ঞাত বংশের সম্বন্ধ দাবী করা অথবা ছোট বা নিচু হলে তা অস্বীকার করা মানুষের জন্য কুফুরি।” (আহমাদ প্রমুখ, সহিহুল
এ সবের অর্থ সম্বোধনে বাপ বলা নয়। বরং এ সবের অর্থ হল,
*** নিজের বাপকে অস্বীকার করা যেমন আজকাল কিছু অপ্রদার্থ শিক্ষিত নামের কলংক কিছু লোক আছে যে , সে হয়তো লেখা পড়া শিখে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল ,ব্যারিষ্টার বা বড় কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বে পদ মর্যাদায় পৌছে গেছে কিন্তু তার পিতা গরীব বা অশিক্ষিত বা সমাজের সাধারণ পর্যায়ভূক্ত এক জন মানুষ এমতাবস্হায় ছেলে তার পিতার পরিচয় গোপন করে থাক এবং নিজের পিতাকে বাড়ির কর্মচারী, চাকর,বা প্রতিবেশী হিসাবে মানুষের সামনে প্রকাশ করে থাকে । বা পরিচয় করিয়ে দিয়ে থাকে । এ গুলো হারাম।
**** কোন স্বার্থ উদ্বারের জন্য ভিন্ন কোন পুরুষকে নিজের বাপ বলে দাবী করা। যা বর্তমানে অহরহ হচ্ছে যেমন জাল ভোট দান করার সময় ,আদালতে মিথ্যা সাক্ষি প্রদান করা কালীন,
****** নিজের বংশকে অস্বীকার করে অন্য বংশের সূত্র জুড়ে নেওয়া। এই জন্য হাদিসে এসেছে, নবী (সঃ) বলেছেন,
“অজ্ঞাত বংশের সম্বন্ধ দাবী করা অথবা ছোট বা নিচু হলে তা অস্বীকার করা মানুষের জন্য কুফুরি।” (আহমাদ প্রমুখ, সহিহুল
জামে ৪৪৮৬ নং)
আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে এই ভাবেই বলা যায় যে, যে হাদিসে অন্যকে পিতা বলতে নিষেধ করা হয়েছে তার অর্থ হলো এই যে, বংশ পরিচয় প্রকাশ করার ক্ষেত্রে আসল পরিচয় গোপন রেখে নিজের পিতার নাম উল্লেখ না করে, অন্যের নাম প্রকাশ করা কখনোই যাবে না। যেমন-আইডি কার্ড, পাসপোর্ট, আকামা ,পারমিট কার্ড, জন্মনিবন্ধন অথবা কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তেমনি ভাবে কোন দালিলীক বিষয় বা স্থান, যেখানে কোনো ব্যক্তির জন্মদাতা পিতার নাম প্রকাশ করা জরুরি হয়।এমন স্হানে স্বীয় মাতা-পিতার নাম গোপন করে তার নামের স্হলে অন্যকে পিতা বানিয়ে তা লেখার মাধ্যমে হউক বা সন্বোধন করার মাধ্যমে হউক বুঝানো হয়েছে। তেমনি ভাবে পিতা অশিক্ষিত বা গরীব হলে নিজের সন্মানহানী হবে মর্মে পিতার পরিচয় গোপন করা। এই সকল ক্ষেত্রেই মূলত হাদিসে বর্ণিত নিষেধাজ্ঞার কথা বুঝানো হয়েছে।
আর স্বামী বা স্ত্রীর পিতা-মাতাকে সম্মানার্থে আব্বা-আম্মা বলে সম্বোধন করার দ্বারা বংশপরিচয় গোপন হয় না।তেমনি ভাবে অপরিচিত কাউকে সন্মানার্থে বেটা ,বেটি চাচা, চাচী মামা, বাবা ভাইয়া বোন খালা ইত্যাদি বলে সন্মোধন করাতে ও দোষের কিছু নেই শুধু মাত্র এগুলো মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সামাজীক সংস্কৃতির অংশ মাত্র।
তাই শ্বশুড়-শ্বাশুড়িকে আব্বা-আম্মা বলা হাদিসের নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত নয় এবং তা জায়েজ। তবে শুশুর শাশুডীকে আম্মা আব্বা ইত্যাদি বলার প্রচলন ভারত উপমহাদেশে থাকলেও কিন্তু আরব দেশ গুলোতে কিন্তু তা নেই।তবে সেখানে শুশুর কে আম্মী ( চাচা-খালু ) আর শাশুড়ীকে আম্মাতী (চাচী-খালা ) বলে সন্বোধন করা হয়ে থাকে ।
সূত্র: আহকামুল কুরআন, জাসসাস ৩/৩৫৪; সহীহ বুখারী, হাদীস : ৬৭৬৬; ৬৭৬৮, ৪৩২৬, ৪৩২৭,৩৫০৮; উমদাতুল কারী ১৬/৭৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১১২-১১৫; ইকমালুল মুলিম ১/৩১৯; আহমাদ প্রমুখ, সহিহুল
সূত্র: আহকামুল কুরআন, জাসসাস ৩/৩৫৪; সহীহ বুখারী, হাদীস : ৬৭৬৬; ৬৭৬৮, ৪৩২৬, ৪৩২৭,৩৫০৮; উমদাতুল কারী ১৬/৭৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১১২-১১৫; ইকমালুল মুলিম ১/৩১৯; আহমাদ প্রমুখ, সহিহুল
জামে ৪৪৮৬ নং)
লেখক:-
মৌলানা আবদুল্লাহ ভূঁইয়া
দাওরায়ে হাদিস (মাষ্টারস্ )
জামেয়া ইসলামিয়া পটিয়া
কলামিষ্ট ব্লগার এন্ড অনলাইন ইসলামীক এক্টিভিষ্ট
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন