প্রতিদিন যে খাবারগুলো হাড় ক্ষয় প্রতিরোধে করবে
সুত্র ঃ- সময়ের কণ্ঠস্বর-JAR-T-2017
স্বাস্থ্য ডেস্কঃ হাড় ক্ষয়ের সমস্যা আজকাল সবার মুখে শুনা যায়। এর ফলে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে এবং অনেক ক্ষেত্রে ভেঙে যায়। সাধারণত ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন ডি এর অভাবে এ রোগ হয়। সাধারণত চল্লিশের পর অস্টিওপরোসিস বা হাড় ক্ষয়রোগ শুরু হয়। এই রোগের নারীদের বেশি ভুগতে দেখা যায়। নারীদের মেনোপজের পর এই সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ অবস্থায় হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। হাড় শক্তিশালী বা মজবুত হলে অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধ করা যায়।
হাড়ের ভেতরের ঘনত্ব বাড়া-কমা একটি চলমান প্রক্রিয়া। ১৬-১৮ বছর বয়সের দিকে হাড়ের দৈঘ্য বৃদ্ধি হওয়া বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু ২০ বছর বয়স পর্যন্ত হাড়ের ভেতরের ঘনত্ব ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত হাড়ের গঠন ও ক্ষয় একসঙ্গে একই গতিতে চলতে থাকে। ৪০ বছর বয়সের পর থেকে প্রাকৃতিক নিয়মে বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাড় ক্ষয়ের মাত্রা একটু একটু করে বাড়তে থাকে। তাই নির্দিষ্ট বয়সে হাড়ের ক্ষয় একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। হাড়ের এই ক্ষয় বাড়তে বাড়তে হাড় যখন নরম ও ভঙ্গুর হয়ে যায় সেই অবস্থাকে অস্টিওপোরোসিস বলা হয়।
জীবনধারাবিষয়ক বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে জানানো হয়েছে হাড় ক্ষয় প্রতিরোধে খাবারগুলোর কথাঃ
১. দই
দই ভিটামিন-ডি’র ভালো উৎস। প্রতিদিন এক কাপ দই শরীরের ক্যালসিয়ামের চাহিদার অনেকটাই পূরণ করে; হাড়কে শক্তিশালী করে। নিয়মিত দই খেলে অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধ হয়।
২. দুধ
ক্যালসিয়ামের একটি চমৎকার উৎস দুধ। নিয়মিত দুধ খেলে হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। দুধ খেলে শরীরে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনের চাহিদার অনেকটাই পূরণ হয়।
৩. কাঠবাদাম
প্রতিদিন আধা কাপ কাঠবাদাম খেলে দৈনিক ক্যালসিয়ামের ১৮ ভাগ পূরণ করে। এটি কেবল হাড় মজবুতই করে না, এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং হার্টকে ভালোও রাখে।
ব্রকলির মধ্যে উচ্চ পরিমাণ ভিটামিন-কে ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। এটি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ব্রকলি রাখলে হাড় ক্ষয় প্রতিরোধ করা যায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
৫. কমলার রস
কমলার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন-সি। এতে হাড় শক্তিশালী করার উপাদান ক্যালসিয়ামও রয়েছে। এটি হাড়ের গঠনে কাজ করে। দৈনিক ক্যালসিয়ামের চাহিদার ৬ ভাগ পূরণ করতে পারে একটি কমলা।
এছাড়াও আরও কিছু টিপসঃ
_ ধূমপানের ফলে হাড়ের ক্ষয় বাড়তে থাকে এবং এরজন্য হাড়ের ভঙ্গুরতা বৃদ্ধি পায়। যারা নিয়মিত ধূমপান ও মদ্যপান করেন তাদের দেহ খাবারের পুষ্টি সঠিকভাবে দেহে সরবরাহ করতে পারে না। ফলে হাড় ক্ষয় হতে থাকে। তাই সুস্থ দেহ ও হাড়ের জন্য ধূমপান ও মদ্যপান বন্ধ করে দিন আজই।
– যারা একটানা বসার কাজ করেন তাদের দেহের হাড়ের ভঙ্গুরতা বৃদ্ধি পায় অন্যান্যদের তুলনায় অনেক বেশি। যারা একেবারেই শারীরিক পরিশ্রম করেন না তাদের হাড় অপেক্ষাকৃত নরম ও দুর্বল হয়ে পড়ে দ্রুতই। শারীরিক ব্যায়াম, খেলাধুলা, নাচ, সাইকেল চালানো, সাতার কাটা ইত্যাদি বেশ ভালো শারীরিক পরিশ্রম যা হাড়কে মজবুত করে তোলে এবং হাড়ের ক্ষয়রোধে সহায়তা করে।
– হাড়ের ক্ষয় রোধে খেজুর বেশ কার্যকরী। কেননা খেজুর ক্যালসিয়াম ম্যাঙ্গানিজের দারুন উৎস। আর কপার ও ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের জন্য উপকারী।
মানসিক চাপের সাথে হাড়ের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। মানসিক চাপে থাকলে আমাদের দেহে নিঃসরণ হয় কারটিসোল নামক একটি হরমোনের যা হাড়ের ক্ষয়ের জন্য বিশেষভাবে দায়ী। তাই মানসিক চাপ যতো দূরে রাখবেন আপনার জন্য ততই ভালো হবে।
Categories: আপনার স্বাস্থ্য
কপি পোস্ট
http://351224351224.blogspot.com/2018/06/blog-post_17.html?m=1
চলবে ----
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন