এইচআইভি/এইড্স কী ?
এইডস ইহা একটি মহা মারী ,. এইড্স (Acquired Immune Deficiency Syndrome-AIDS) নামক এক প্রকার ভাইরাস মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস করে দেয়। ফলে শরীরের রোগ সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা থাকে না। এ রোগের নির্দেশক লক্ষণসমূহের চূড়ান্ত অবস্থার নাম এইড্স। এইচআইভি দ্বারা কোন ব্যক্তি সংক্রমণের পর দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে পারে। এই ভাইরাস দেহের প্রতিরোধ কোষগুলোকে ধীরে ধীরে ধ্বংস করে দেয় এবং এক পর্যায়ে প্রতিরোধ ক্ষমতা বিনষ্ট হয়ে যায়। অতঃপর নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। এইড্স-এর প্রাথমিক অবস্থায় ৬০% রোগী লক্ষণশুন্য থাকে। এইচআইভি ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ৬ থেকে ১৫ বছর পরে এইড্স রোগ সনাক্ত করা সম্ভব হয়। জ্বর, উদরাময়, ওজন হ্রাস, শুষ্ককাশি, চর্মরোগ, লসিকাগ্রন্থির বৃদ্ধি, মাংশপেশীর বেদনা, ব্রেন টিউমার, মুখ গহ্বরে ক্ষত, ফাঙ্গি, প্যারাসাইটস, দুর্বলতা, স্মরণশক্তির ক্রম বিলুপ্তি এইড্স এইড্স-এর প্রধান লক্ষণ। এইচআইভি ভাইরাস মানবদেহের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে আক্রান্ত করে দেয়। [৩]
এইচআইভি/এইড্স কীভাবে ছড়ায়?
=========================
বয়স, জাতি, লিঙ্গ, সামাজিক, অবস্থান নির্বিশেষে সবাই এইচআইভি দ্বারা সমানভাবে আক্রান্ত হতে পারে। এইচআইভি মানুষের শরীরে চার ধরনের তরল পদার্থের মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। এগুলো হচ্ছেঃ রক্ত, বীর্য, যোনিরস, এবং মাতৃদুগ্ধ। যদি এইচআইভি আক্রান্ত পুরুষ বা মহিলার শরীরের তরল পদার্থ কোন সুস্থ ব্যক্তির রক্তে প্রবেশ করে তবেই তিনি এইচআইভি দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন।
১. এইচআইভি আক্রান্ত সঙ্গীর সাথে অনিরাপদ যৌনমিলন এইচআইভি সংক্রমণের প্রধান উপায়- এই
যৌনমিলন, যোনিপথ, মুখগহ্বরসহ যেকোনো ধরনের হোক না কেন।
২. এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত সূচঁ ও সিরিঞ্জ পরিশোধিত না করে ব্যবহার করলে এইচআইভি সংক্রমণ
হতে পারে। এই সূচঁ নেশা জাতীয় ওষুধ, সাধারণ ওষুধ, উল্কি বা ত্বকচ্ছেদসহ যে কোন কারণেই ব্যবহার করা হোক
না কেন এইচআইভি সংক্রমণ হতে পারে।
৩. গর্ভাবস্থায় এইচআইভি বহনকারী মা তার গর্ভস্থ সন্তানকে এইচআইভি সংক্রমণ করতে পারে। গর্ভস্থ সন্তান
জন্মের সময় এবং জন্মের পর মাতৃদুগ্ধের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে।
৪. রক্ত পরিসঞ্চালনের মাধ্যমেও এইচআইভি সংক্রমণ হতে পারে, যদি দানকৃত রক্ত পরীক্ষিত না হয়।
৫. মাদকদ্রব্য গ্রহণ অনেক কারণে বিপদজনক তবে এইচআইভি সংক্রমণ সবচেয়ে ভয়ংকর পরিণতি। এইচআইভি সংক্রমণের জন্য সবচাইতে কার্যকর পদ্ধতি হচ্ছে সরাসরি মাদকদ্রব্য শরীরের রক্তে প্রবেশ করানো। এই পদ্ধতি অনিরাপদ যৌন মিলনের চাইতেও বেশী বিপদজনক। [৪]
এই কথা মনে রাখা দরকার এইচআইভি পজিটিভ এর ভাইরাস বহনকারী অনেক ব্যক্তি বহু বছর যাবত অসুস্থ নাও হতে পারেন। অনেকের শারীরিক কোন রোগ উপসর্গ দেখা দেয় না। এইচআইভি ভাইরাস দেহে দীর্ঘকাল অবস্থান করলে ধীরে ধীরে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে (Immune System) নিঃশেষ করে দেয়। দেহে এইড্স শনাক্তের পর অল্প সংখ্যক মানুষ স্বল্প সময়ের ব্যবধানে মৃত্যুবরণ করে। আবার অধিক সংখ্যক মানুষ বেশ কয়েক বছর জীবন অতিবাহিত করার পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। [৫]
এইডস এর বিশ্ব ব্যাপী ধ্বংসযজ্ঞ
====================
এইড্স এখন বিশ্বব্যাপী মহামারীর রূপ ধারণ করেছে। ২০০৭ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গোটা দুনিয়ায় ৩ কোটি ৩২ লাখ এইড্স-এ আক্রান্ত হয়। এইড্স-এ আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে ৩ লাখ ৩০ হাজার শিশুসহ মারা গেছে ২ কোটি এক লাখ মানুষ। এর মধ্যে তিন চতুর্থাংশ মৃত্যু সংঘটিত হয় সাব সাহারান আফ্রিকায়, ফলে এতদঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও মানব সম্পদ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। [৬]
সিডিসি (Centre for Disease Control and Prevention) কর্তৃক প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে জানা যায় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১২ লাখ মানুষের দেহে এইচআইভি/এইড্স-এর ইনফেকশান রয়েছে। তদ্বমধ্যে ৪ লাখ মানুষ জানেই না যে, তাদের দেহে ঘাতক ব্যাধির ভাইরাস আছে। প্রতি বছর নতুনভাবে এইডস-এ আক্রান্ত ৪০ হাজার মানুষের মধ্যে ৭৫% মানুষ পুরুষ এবং ৫০% মানুষ কৃষ্ণাঙ্গ। [৭]
এশিয়া এবং প্যাসিফিক অঞ্চলের কোন দেশই এইচআইভি/এইড্স থেকে নিরাপদ নয়। থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার মত দেশগুলোতে নব্বই দশকের প্রথম দিক থেকেই উচ্চ হারে সংক্রমণ পরিলক্ষিত হয়েছে। আবার চীন ও ইন্দোনেশিয়ার কোন কোন স্থানে মহামারী আকারে সংক্রমণ হচ্ছে। এশিয়া এবং প্যাসিফিক অঞ্চলে কেবলমাত্র ২০০২ সনে ১,২০০ লোক এইচআইভি/এইড্স জনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেছে। মোট বার্ষিক মৃত্যুর হার দাঁড়িয়েছে ৪,৩৫,০০০ এ। একই সঙ্গে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২,৭০০ নতুন এইচআইভি/এইড্স সংক্রমণ হচ্ছে। এর মানে দাঁড়াচ্ছে এশিয়া এবং প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রতি বৎসর প্রায় ১০,০০,০০০ (দশলাখ) লোক নতুনভাবে এইচআইভি দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে।
এইচআইভি/এইড্স মহামারী অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। সাধারণ জনগণের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের নিম্নহার উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর মারাত্মক মহামারীকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। এশিয়ায় উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর উদাহরণ হচ্ছে তরুণ ও কিশোর সম্প্রদায়, যৌনকর্মী ও তাদের খদ্দের, নেশগ্রহণকারী, সমকামী পুরুষ, চলমান জনগোষ্ঠী, পথশিশু প্রভৃতি। এরা সবাই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। তথাপি ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণ জনসাধারণের তুলনায় অনেক বেশী। চীনের কোন কোন অংশে ইনজেকশনের মাধ্যমে নেশা গ্রহণকারীদের এইচআইভি সংক্রমণের হার ৭০% এর বেশী।
“বিভিন্ন প্রজেকশন মডেল” থেকে প্রতীয়মান হয় যে, যদি প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার না করা হয় তবে আগামী ২০১০ সালে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আরও এক কোটি পঁচাশি লাখ লোক এইচআইভি দ্বারা আক্রান্ত হবে। সম্প্রতি বিভিন্ন দিক হিসেব করে অনুমান করা হয়েছে যে, যদি প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার না করা হয় অথবা প্রতিরোধ কার্যক্রম সফল না হয় তবে, আগামী ২০১০ সালে কেবলমাত্র চীনে এক থেকে দেড়কোটি লোক এবং ভারতে দু’ থেকে আড়াই কোটি লোক এইচআইভি দ্বারা আক্রান্ত হবে। অবশ্য জরুরী ভিত্তিতে গৃহীত কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে ৬৯% সংক্রমণ প্রতিহত করা যেতে পারে। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে ২০১০ সালে নতুন আরও এককোটি পঁচাশি লাখ সংক্রমণের পরিবর্তে কেবলমাত্র সাতান্ন লাখ নতুন সংক্রমণ হতে পারে। কার্যকর প্রতিরোধ কার্যক্রম এর মাধ্যমে এইচআইভি মহামারীকে দমন করা যেতে পারে। [৮]
চলব-------------------------
এইডস ইহা একটি মহা মারী ,. এইড্স (Acquired Immune Deficiency Syndrome-AIDS) নামক এক প্রকার ভাইরাস মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস করে দেয়। ফলে শরীরের রোগ সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা থাকে না। এ রোগের নির্দেশক লক্ষণসমূহের চূড়ান্ত অবস্থার নাম এইড্স। এইচআইভি দ্বারা কোন ব্যক্তি সংক্রমণের পর দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে পারে। এই ভাইরাস দেহের প্রতিরোধ কোষগুলোকে ধীরে ধীরে ধ্বংস করে দেয় এবং এক পর্যায়ে প্রতিরোধ ক্ষমতা বিনষ্ট হয়ে যায়। অতঃপর নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। এইড্স-এর প্রাথমিক অবস্থায় ৬০% রোগী লক্ষণশুন্য থাকে। এইচআইভি ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ৬ থেকে ১৫ বছর পরে এইড্স রোগ সনাক্ত করা সম্ভব হয়। জ্বর, উদরাময়, ওজন হ্রাস, শুষ্ককাশি, চর্মরোগ, লসিকাগ্রন্থির বৃদ্ধি, মাংশপেশীর বেদনা, ব্রেন টিউমার, মুখ গহ্বরে ক্ষত, ফাঙ্গি, প্যারাসাইটস, দুর্বলতা, স্মরণশক্তির ক্রম বিলুপ্তি এইড্স এইড্স-এর প্রধান লক্ষণ। এইচআইভি ভাইরাস মানবদেহের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে আক্রান্ত করে দেয়। [৩]
এইচআইভি/এইড্স কীভাবে ছড়ায়?
=========================
বয়স, জাতি, লিঙ্গ, সামাজিক, অবস্থান নির্বিশেষে সবাই এইচআইভি দ্বারা সমানভাবে আক্রান্ত হতে পারে। এইচআইভি মানুষের শরীরে চার ধরনের তরল পদার্থের মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। এগুলো হচ্ছেঃ রক্ত, বীর্য, যোনিরস, এবং মাতৃদুগ্ধ। যদি এইচআইভি আক্রান্ত পুরুষ বা মহিলার শরীরের তরল পদার্থ কোন সুস্থ ব্যক্তির রক্তে প্রবেশ করে তবেই তিনি এইচআইভি দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন।
১. এইচআইভি আক্রান্ত সঙ্গীর সাথে অনিরাপদ যৌনমিলন এইচআইভি সংক্রমণের প্রধান উপায়- এই
যৌনমিলন, যোনিপথ, মুখগহ্বরসহ যেকোনো ধরনের হোক না কেন।
২. এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত সূচঁ ও সিরিঞ্জ পরিশোধিত না করে ব্যবহার করলে এইচআইভি সংক্রমণ
হতে পারে। এই সূচঁ নেশা জাতীয় ওষুধ, সাধারণ ওষুধ, উল্কি বা ত্বকচ্ছেদসহ যে কোন কারণেই ব্যবহার করা হোক
না কেন এইচআইভি সংক্রমণ হতে পারে।
৩. গর্ভাবস্থায় এইচআইভি বহনকারী মা তার গর্ভস্থ সন্তানকে এইচআইভি সংক্রমণ করতে পারে। গর্ভস্থ সন্তান
জন্মের সময় এবং জন্মের পর মাতৃদুগ্ধের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে।
৪. রক্ত পরিসঞ্চালনের মাধ্যমেও এইচআইভি সংক্রমণ হতে পারে, যদি দানকৃত রক্ত পরীক্ষিত না হয়।
৫. মাদকদ্রব্য গ্রহণ অনেক কারণে বিপদজনক তবে এইচআইভি সংক্রমণ সবচেয়ে ভয়ংকর পরিণতি। এইচআইভি সংক্রমণের জন্য সবচাইতে কার্যকর পদ্ধতি হচ্ছে সরাসরি মাদকদ্রব্য শরীরের রক্তে প্রবেশ করানো। এই পদ্ধতি অনিরাপদ যৌন মিলনের চাইতেও বেশী বিপদজনক। [৪]
এই কথা মনে রাখা দরকার এইচআইভি পজিটিভ এর ভাইরাস বহনকারী অনেক ব্যক্তি বহু বছর যাবত অসুস্থ নাও হতে পারেন। অনেকের শারীরিক কোন রোগ উপসর্গ দেখা দেয় না। এইচআইভি ভাইরাস দেহে দীর্ঘকাল অবস্থান করলে ধীরে ধীরে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে (Immune System) নিঃশেষ করে দেয়। দেহে এইড্স শনাক্তের পর অল্প সংখ্যক মানুষ স্বল্প সময়ের ব্যবধানে মৃত্যুবরণ করে। আবার অধিক সংখ্যক মানুষ বেশ কয়েক বছর জীবন অতিবাহিত করার পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। [৫]
এইডস এর বিশ্ব ব্যাপী ধ্বংসযজ্ঞ
====================
এইড্স এখন বিশ্বব্যাপী মহামারীর রূপ ধারণ করেছে। ২০০৭ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গোটা দুনিয়ায় ৩ কোটি ৩২ লাখ এইড্স-এ আক্রান্ত হয়। এইড্স-এ আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে ৩ লাখ ৩০ হাজার শিশুসহ মারা গেছে ২ কোটি এক লাখ মানুষ। এর মধ্যে তিন চতুর্থাংশ মৃত্যু সংঘটিত হয় সাব সাহারান আফ্রিকায়, ফলে এতদঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও মানব সম্পদ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। [৬]
সিডিসি (Centre for Disease Control and Prevention) কর্তৃক প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে জানা যায় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১২ লাখ মানুষের দেহে এইচআইভি/এইড্স-এর ইনফেকশান রয়েছে। তদ্বমধ্যে ৪ লাখ মানুষ জানেই না যে, তাদের দেহে ঘাতক ব্যাধির ভাইরাস আছে। প্রতি বছর নতুনভাবে এইডস-এ আক্রান্ত ৪০ হাজার মানুষের মধ্যে ৭৫% মানুষ পুরুষ এবং ৫০% মানুষ কৃষ্ণাঙ্গ। [৭]
এশিয়া এবং প্যাসিফিক অঞ্চলের কোন দেশই এইচআইভি/এইড্স থেকে নিরাপদ নয়। থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার মত দেশগুলোতে নব্বই দশকের প্রথম দিক থেকেই উচ্চ হারে সংক্রমণ পরিলক্ষিত হয়েছে। আবার চীন ও ইন্দোনেশিয়ার কোন কোন স্থানে মহামারী আকারে সংক্রমণ হচ্ছে। এশিয়া এবং প্যাসিফিক অঞ্চলে কেবলমাত্র ২০০২ সনে ১,২০০ লোক এইচআইভি/এইড্স জনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেছে। মোট বার্ষিক মৃত্যুর হার দাঁড়িয়েছে ৪,৩৫,০০০ এ। একই সঙ্গে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২,৭০০ নতুন এইচআইভি/এইড্স সংক্রমণ হচ্ছে। এর মানে দাঁড়াচ্ছে এশিয়া এবং প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রতি বৎসর প্রায় ১০,০০,০০০ (দশলাখ) লোক নতুনভাবে এইচআইভি দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে।
এইচআইভি/এইড্স মহামারী অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। সাধারণ জনগণের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের নিম্নহার উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর মারাত্মক মহামারীকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। এশিয়ায় উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর উদাহরণ হচ্ছে তরুণ ও কিশোর সম্প্রদায়, যৌনকর্মী ও তাদের খদ্দের, নেশগ্রহণকারী, সমকামী পুরুষ, চলমান জনগোষ্ঠী, পথশিশু প্রভৃতি। এরা সবাই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। তথাপি ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণ জনসাধারণের তুলনায় অনেক বেশী। চীনের কোন কোন অংশে ইনজেকশনের মাধ্যমে নেশা গ্রহণকারীদের এইচআইভি সংক্রমণের হার ৭০% এর বেশী।
“বিভিন্ন প্রজেকশন মডেল” থেকে প্রতীয়মান হয় যে, যদি প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার না করা হয় তবে আগামী ২০১০ সালে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আরও এক কোটি পঁচাশি লাখ লোক এইচআইভি দ্বারা আক্রান্ত হবে। সম্প্রতি বিভিন্ন দিক হিসেব করে অনুমান করা হয়েছে যে, যদি প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার না করা হয় অথবা প্রতিরোধ কার্যক্রম সফল না হয় তবে, আগামী ২০১০ সালে কেবলমাত্র চীনে এক থেকে দেড়কোটি লোক এবং ভারতে দু’ থেকে আড়াই কোটি লোক এইচআইভি দ্বারা আক্রান্ত হবে। অবশ্য জরুরী ভিত্তিতে গৃহীত কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে ৬৯% সংক্রমণ প্রতিহত করা যেতে পারে। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে ২০১০ সালে নতুন আরও এককোটি পঁচাশি লাখ সংক্রমণের পরিবর্তে কেবলমাত্র সাতান্ন লাখ নতুন সংক্রমণ হতে পারে। কার্যকর প্রতিরোধ কার্যক্রম এর মাধ্যমে এইচআইভি মহামারীকে দমন করা যেতে পারে। [৮]
চলব-------------------------
28 Dec, 2013
উত্তরমুছুনবাংলাদেশে এইড্স সংক্রমণের হার ২৫ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৩ সালে ৩৭০ জন এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৮২ জন। এর মধ্যে সংক্রমণের মধ্যে পুরুষের হার ৬৩ শতাংশ, মহিলা ৩৫.৯ শতাংশ এবং ট্রান্স জেন্ডার ১.৫ শতাংশ।
শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডির ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ভবন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এইচআইভি(এইড্স) সম্পর্কিত মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের সাথে এ্যাডভোকেসি কর্মশালায় বক্তারা এ সব তথ্য জানিয়েছেন।