গত কাল চট্টগ্রাম লালদিঘী ময়দানে সরকারী পৃষ্টপোষকতায় তথা কথিত নবী প্রেমিক ,ভন্ড আশেকে রসুল দাবীদার , মাজার পন্থী , মাইজভান্ডারী মুশরীক , শিন্নি- বিরানী প্রেমিক তথা কথিত সুন্নি সমাবেশে হয়ে গেলে ,দেরীতে হলে ও মুখ বাচানোর জন্য একটি সমাবেশ করেছে , এ জন্য ধন্যবাদ জানাই ৷ তাদের ১২ দপা দাবী গুলোর মধ্য অনেকটাই হেফাজতে ইসলামের অনেক দাবীর সাথে মিল থাকলে ও অনেক ক্ষেত্রে হেফাজত কে কটাক্ষ্য করা হয়েছে ৷******
তবে এ গ্রুপটা সব সময়ই অন্যকে কটাক্ষ্য করা,গালি-গালাজ করা , অন্যকে সরাসরি মুনাফিক, কাফের হিসাবে ফতোয়া দেয়া নতুন ঘঠনা নয় , এটা তাদের স্বভাব জাত প্রক্রিয়ারই অংশ ৷
তবে আজকে আমি হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে করা কটাক্ষ্যের সংক্ষেপে জবাব দেয়ার চেষ্টা করবো ৷
{ ১} সুন্নী সমাবেশ উপলক্ষে “বিশ্বনবী (সা.) ও ইসলাম অবমাননাকারী ব্লগার এবং ওহাবী-কওমী হেফাজতি ও মওদুদীপন্থী একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ” নামে প্রকাশিত একটি পুস্তিকা বিতরণ করা হয়।
******************************************************** এখানে আমার বক্তব্য হলো :-------
কওমী ও হেফাজতে ইসলাম কে ওহাবী হিসাবে আখ্যায়িত করা দুঃখ জনক আসলে এটা একটা মিথ্যা অপবাদ কেননা ,এ গ্রুপটি সব সময় এ রকম প্রোপাগান্ডা করে আসছে , তবে কেউ এখন এদের কথায় কান দেইনা ৷কওমী ওলামাদেরকে ওহাবী বলার বা আখ্যা দেয়ার কোনই অবকাশ নেই ৷ কারন কওমী ওলামারাই একমাত্র ছহিহ আক্বিদার উপরেই আছেন ৷
এ সব কথা বলেই মানুষ কে হেফাজতের থেকে দূরে রখা যাবেনা ৷ তাছাডা বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে ছহী আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারী লাখো কুটি জনতা আছেন ও থাকবেন ,
কিন্তু বতমান নামধারী সুন্নিরাই মূলত যাবতীয় কুফর -শীরক-বেদাতে লিপ্ত আছেন , যা আহলে সুন্নাতের আক্বিদার পরিপন্থি ৷
যদিও তারা মুখে আহলে সুন্নাতের দাবীদার ৷
আসলে ওহাবী কারা এখন একটু পযালোচনা করি
***********************************************
আহলে হাদীস বনাম ওহহাবী ও মুহামমদী,,
দ্বাদশ শতাব্দীর প্রখ্যাত আলিম মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহ্হাব নজদী (রহঃ) (মৃতঃ ১২০৬ হিঃ) মূলত হাম্বলী মায্হাবেরই মুক্বাল্লিদ্ ছিলেন। তৎকালীন সৌদি আরবে বিশেষত নজ্দে শিরক্, বিদয়া’ত, কবরপূজা, মাযারপূজা, গাছপূজা, আগুনপূজা ও প্রতিমা-মানব ইত্যাদি পূজা-উপাসনার মোকাবিলা ও প্রতিরোধে তার কার্যকরী, সাহসী ও বীরবিক্রম পদক্ষেপ আসলেও গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশংসার দাবী রাখে। তাঁরই অবদানে তদানীন্তন আরব মধ্যযুগীয় বর্বরতা, সীমাহীন ভ্রষ্টতা ও শিরক কুফরের অতুলনীয় অন্ধকারাচ্ছন্নতা থেকে রেহাই পেয়েছে।
তবে অনেক বিষয়ে নিষ্প্রয়োজনীয় বাড়াবাড়ির ফলে তাঁর সঙ্গে তদানীন্তন সউদী আলেম উলামাদের মহামতানৈক্য সৃষ্টি হয়। তিনিই মহানবী (সঃ) এর রওজার উপর বিস্তৃত গম্বুজটি ভেঙ্গে দেয়ার পরিকল্পনা করেন এবং ভিন্ন মতাবল্মীদেরকে পবিত্র হজ্ব পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন ও তাদেরকে কাফির, মুশরিক ইত্যাদি জঘন্যতম আখ্যায় আখ্যায়িত করতে থাকেন। ফলে ভয়াবহ ফিৎনা-ফাসাদ ও বিশ্ব মুসলিম সমাজে পারস্পরিক কোন্দলের সূচনা হয়। পক্ষান্তরে যারা তার মতবাদের তাক্বলীদ করতে থাকে তাদেরকে মুসলমানগণ ওহ্হাবী বলে আখ্যায়িত করতে থাকেন।
এদিকে ভারতবর্ষের লা-মায্হাবীরাও যেহেতু নিছক ঝগড়া-বিবাদ ও মুসলমানদের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টির ষড়যন্ত্র হিসেবে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহ্হাব নজদীর অন্তঃসারশূণ্য বিচিত্র মতবাদ গ্রহণ করে যেত, তাই তাদেরকেও মুসলমানগণ ওহ্হাবী বলে আখ্যায়িত করতে থাকেন। আর তারা নিজেদেরকে মুহাম্মদী , আহলে হাদীস;; বলে প্রচারের চেষ্টায় মেতে উঠে। বতমান অন্য সকল নাম বাদ দিয়ে ; আহলে হাদীস আন্দোলন; নামের ব্যানারে নিজেদের কে প্রকাশ করছে ৷ এবং এ নামটি মূলত ইংরেজ কতৃক সীকৃত যা পরে আলোচনায় আসবে ,
সাথে একটি কথা সাধারনের জ্ঞাতাথে বলে রাখি বাংলাদেশের কোন কোন স্হানে দেওবন্দী ওলামাদের কে ওহহাবী বলে তিরস্কার করতে দেখা যায় কিন্তু দেওবন্দী ওলামাদের সাথে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহ্হাব নজদীর সাথে কোন সমপকই নেই , কারন একেতো তিনি হাম্বলী মাযহাবের অনুসারী আর সকল দেওবন্দী ওলামাগন হানাফী মাযহাব এর অনূসারী , যদিও হাম্বলী মাযহাব প্রসিদ্ধ ৪ মাযহাবের একটি , হাম্বলি মাযহাবের অনূসারীরা হক্বপন্থী ,এতেও কোন সন্দেহ নেই ৷আর তিনি হলেন লামাযহাবী গায়রেমোকল্লিদদের ইমাম , দেওবন্দীদের ইমাম নয় ,দেওবন্দীগন সঠিক আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত এর অনুসারী ৷ একমাত্র তথা কথিত মাজার ভক্ত সুন্নীরাই দেওবন্দীদের উপর এ অপবাদ টি দিয়ে থাকেন ৷**********************
কারন হিসাবে আমি যেটি মনে করি যে কওমী-দেওবন্দি ওলামারা কুফর-শীরক , মাজার , ভন্ডপীর ,ও ওরস শিন্নী বিরানী ইত্যাদির বিরুদ্ধে বলে থাকেন বলেই এ অপবাদ ৷
৷ ===============================
ভারতবর্ষে ইংরেজ-বিরোধী ও ইংরেজ বিতাড়নে জিহাদ যারা অংশ নিয়েছিলেন তাদেরকে ইংরেজ সরকার ওহহাবী বলে আখ্যায়িত করেছিল, তখন গাইরে মুক্বাল্লিদরা ওহহাবী নামের আখ্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল। তাই তারা তখন নিজেদের জন্য “মুহাম্মদী” এবং পরবর্তীতে “আহলে হাদীস” নাম বরাদ্দ করার সম্ভাব্য সকল অপতৎপরতা চালিয়ে গিয়েছিল। এরই অংশ হিসেবে গাইরে মুক্বাল্লিদদের তৎকালীন মুখমাত্র মৌলভী মুহাম্মদ হুসাইন বাটালভী লাহোরী বৃটিশ সরকারের প্রধান কার্যালয় এবং পাঞ্জাব, সি-পি, ইউ-পি, বোম্বাই, মাদ্রাজ ও বাঙ্গালসহ বিভিন্ন শাখা অফিসে ইংরেজ প্রশাসনের আনুগত্যতা ও বশ্যতা স্বীকার করত: তাদের জন্য “আহলে হাদীস” নাম বরাদ্দ দেয়ার দরখাস্ত পেশ করেন। এ দরখাস্তগুলোর প্রতি উত্তর সহ তারই সম্পাদনায় প্রকাশিত তৎকালীন “এশায়াতুস সুন্নাহ” পত্রিকায় (পৃ:২৪-২৬, সংখ্যা:২, খ:১১) প্রকাশ করা হয় যা পরে সাময়ীক নিবন্ধ আকারেও বাজারজাত করা হয়। তাদের মানসিকতা ও লক্ষ্য-উদ্দেশ্য কিছুটা আঁচ করার জন্য আপনাদের সমীপে সন্মধ্য হতে
একটি দরখাস্তের অনুবাদ নিম্নে পেশ করছি।
========================================
“বখেদমতে জনাব গভার্মেন্ট সেক্রেটারী,
আমি আপনার খেদমতে লাইন কয়েক লেখার অনুমতি এবং এর জন্য ক্ষমাও পার্থনা করছি। আমার সম্পাদিত মাসিক “এশায়াতুস সুন্নাহ” পত্রিকায় ১৮৮৬ ইংরেজিতে প্রকাশ করেছিলাম যে, ওহহাবী শব্দটি ইংরেজ সরকারের নিমক হারাম ও রাষ্ট্রদ্রোহীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। সুতরাং এ শব্দটি হিন্দুস্তানের মুসলমানদের ঐ অংশের জন্য ব্যবহার সমীচিন হবে না, যাদেরকে “আহলে হাদীস” বলা হয় এবং সর্বদা ইংরেজ সরকারের নিমক হালালী, আনুগত্যতা ও কল্যাণই প্রত্যাশা করে, যা বার বার প্রমাণও হয়েছে এবং সরকারী চিঠি প্রত্রে এর স্বীকৃতিও রয়েছে।
অতএব, এ দলের প্রতি ওহহাবী শব্দ ব্যবহারের জোর প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে এবং সাথে সাথে গভার্মেন্টের বরাবর অত্যন্ত আদব ও বিনয়ের সাথে আবেদন করা যাচ্ছে যে, সরকারীভাবে এ ওহহাবী শব্দ রহতি করে আমাদের উপর এর ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক এবং এ শব্দের পরিবর্তে “আহলে হাদীস” সম্বোধন করা হোক।
আপনার একান্ত অনুগত খাদেম
আবু সাঈদ মুহাম্মদ হুসাইন
সম্পাদক, এশায়াতুস সুন্নাহ . ******
দরখাস্ত মুতাবেক ইংরেজ সরকার তাদের জন্য “ওহহাব” শব্দের পরিবর্তে “আহলে হাদীস” নাম বরাদ্দ করেছে। এবং সরকারী কাগজ-চিঠিপত্র ও সকল পর্যায়ে তদের “আহলে হাদীস” সম্বোধনের নোটিশ জারি করে নিয়মতান্তিকভাবে দরখাস্তকারীকেও লিখিতভাবে মঞ্জুরী নোটিশে অবহিত করা হয়।
সর্বপ্রথম পাঞ্জাব গভার্মেন্ট সেক্রেটারী মি: ডব্লউ, এম, এন (W.M.N) বাহাদুর চিঠি নং-১৭৫৮ এর মাধ্যমে ৩রা ডিসেম্বর ১৮৮৬ ইংরেজিতে অনুমোদনপত্র প্রেরণ করেন। অতপর ১৪ই জুলাই ১৮৮৮ইং সি.পি গভার্মেন্ট চিঠি নং-৪০৭ এর মাধ্যমে এবং ২০শে জুলাই ১৮৮৮ইং ইউ.পি গভার্মেন্ট চিঠি নং-৩৮৬ এর মাধমে এবং ১৪ই আগষ্ট ১৮৮৮ইং বোম্বাই গভার্মেন্ট চিঠি নং-৭৩২ এর মাধ্যমে এবং ১৫ই আগষ্ট ১৮৮৮মাদ্রাজ গভার্মেন্ট চিঠি নং ১২৭ এর মাধ্যমে এবং ৪ঠা মার্চ ১৮৯০ইং বাঙ্গাল গভার্মেন্ট চিঠি নং-১৫৫ এর মাধ্যমে দরখাস্তকারী মৌলভী আবু সাইদ মুহাম্মদ বাটালভীকে অবহিত করা হয়।
(এশায়াতুস সুন্নাহ, পৃ:৩২-৩৯, সংখ্যা:২, খ:১১)
কোন মুসলিম জামাতের নাম অমুসলিম, মুসলামানদের চিরশত্রু খৃষ্টান নাছারাদের মাধ্যমে বরাদ্দ করা ঘটনা ইসলামী ইতিহাসের পৃষ্ঠায় বিরল। যা কেবল হিন্দুস্তানী গাইরে মুক্বাল্লিদদেরই গৌরব ও সৌভাগ্যের বিষয় (!!!!!!!!) তাই তারা এ ইতিহাসটা অত্যন্ত গৌরবের সহিত নিজেরদের পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ করে তৃপ্তি লাভ করেছেন। ==============্
সুতরাং যদি ওহাবী বলতে হয় তাহলে বতমান আহলে হাদীসদের কেই বলতে হবে ৷
ওলামায়ে দেওবন্দী ও ওহাবীদের মধ্যে ৮ টা পাথ্ক্য
এখানে দেখুন
http://351224351224.blogspot.com/
তবে এ গ্রুপটা সব সময়ই অন্যকে কটাক্ষ্য করা,গালি-গালাজ করা , অন্যকে সরাসরি মুনাফিক, কাফের হিসাবে ফতোয়া দেয়া নতুন ঘঠনা নয় , এটা তাদের স্বভাব জাত প্রক্রিয়ারই অংশ ৷
তবে আজকে আমি হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে করা কটাক্ষ্যের সংক্ষেপে জবাব দেয়ার চেষ্টা করবো ৷
{ ১} সুন্নী সমাবেশ উপলক্ষে “বিশ্বনবী (সা.) ও ইসলাম অবমাননাকারী ব্লগার এবং ওহাবী-কওমী হেফাজতি ও মওদুদীপন্থী একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ” নামে প্রকাশিত একটি পুস্তিকা বিতরণ করা হয়।
******************************************************** এখানে আমার বক্তব্য হলো :-------
কওমী ও হেফাজতে ইসলাম কে ওহাবী হিসাবে আখ্যায়িত করা দুঃখ জনক আসলে এটা একটা মিথ্যা অপবাদ কেননা ,এ গ্রুপটি সব সময় এ রকম প্রোপাগান্ডা করে আসছে , তবে কেউ এখন এদের কথায় কান দেইনা ৷কওমী ওলামাদেরকে ওহাবী বলার বা আখ্যা দেয়ার কোনই অবকাশ নেই ৷ কারন কওমী ওলামারাই একমাত্র ছহিহ আক্বিদার উপরেই আছেন ৷
এ সব কথা বলেই মানুষ কে হেফাজতের থেকে দূরে রখা যাবেনা ৷ তাছাডা বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে ছহী আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারী লাখো কুটি জনতা আছেন ও থাকবেন ,
কিন্তু বতমান নামধারী সুন্নিরাই মূলত যাবতীয় কুফর -শীরক-বেদাতে লিপ্ত আছেন , যা আহলে সুন্নাতের আক্বিদার পরিপন্থি ৷
যদিও তারা মুখে আহলে সুন্নাতের দাবীদার ৷
আসলে ওহাবী কারা এখন একটু পযালোচনা করি
***********************************************
আহলে হাদীস বনাম ওহহাবী ও মুহামমদী,,
দ্বাদশ শতাব্দীর প্রখ্যাত আলিম মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহ্হাব নজদী (রহঃ) (মৃতঃ ১২০৬ হিঃ) মূলত হাম্বলী মায্হাবেরই মুক্বাল্লিদ্ ছিলেন। তৎকালীন সৌদি আরবে বিশেষত নজ্দে শিরক্, বিদয়া’ত, কবরপূজা, মাযারপূজা, গাছপূজা, আগুনপূজা ও প্রতিমা-মানব ইত্যাদি পূজা-উপাসনার মোকাবিলা ও প্রতিরোধে তার কার্যকরী, সাহসী ও বীরবিক্রম পদক্ষেপ আসলেও গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশংসার দাবী রাখে। তাঁরই অবদানে তদানীন্তন আরব মধ্যযুগীয় বর্বরতা, সীমাহীন ভ্রষ্টতা ও শিরক কুফরের অতুলনীয় অন্ধকারাচ্ছন্নতা থেকে রেহাই পেয়েছে।
তবে অনেক বিষয়ে নিষ্প্রয়োজনীয় বাড়াবাড়ির ফলে তাঁর সঙ্গে তদানীন্তন সউদী আলেম উলামাদের মহামতানৈক্য সৃষ্টি হয়। তিনিই মহানবী (সঃ) এর রওজার উপর বিস্তৃত গম্বুজটি ভেঙ্গে দেয়ার পরিকল্পনা করেন এবং ভিন্ন মতাবল্মীদেরকে পবিত্র হজ্ব পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন ও তাদেরকে কাফির, মুশরিক ইত্যাদি জঘন্যতম আখ্যায় আখ্যায়িত করতে থাকেন। ফলে ভয়াবহ ফিৎনা-ফাসাদ ও বিশ্ব মুসলিম সমাজে পারস্পরিক কোন্দলের সূচনা হয়। পক্ষান্তরে যারা তার মতবাদের তাক্বলীদ করতে থাকে তাদেরকে মুসলমানগণ ওহ্হাবী বলে আখ্যায়িত করতে থাকেন।
এদিকে ভারতবর্ষের লা-মায্হাবীরাও যেহেতু নিছক ঝগড়া-বিবাদ ও মুসলমানদের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টির ষড়যন্ত্র হিসেবে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহ্হাব নজদীর অন্তঃসারশূণ্য বিচিত্র মতবাদ গ্রহণ করে যেত, তাই তাদেরকেও মুসলমানগণ ওহ্হাবী বলে আখ্যায়িত করতে থাকেন। আর তারা নিজেদেরকে মুহাম্মদী , আহলে হাদীস;; বলে প্রচারের চেষ্টায় মেতে উঠে। বতমান অন্য সকল নাম বাদ দিয়ে ; আহলে হাদীস আন্দোলন; নামের ব্যানারে নিজেদের কে প্রকাশ করছে ৷ এবং এ নামটি মূলত ইংরেজ কতৃক সীকৃত যা পরে আলোচনায় আসবে ,
সাথে একটি কথা সাধারনের জ্ঞাতাথে বলে রাখি বাংলাদেশের কোন কোন স্হানে দেওবন্দী ওলামাদের কে ওহহাবী বলে তিরস্কার করতে দেখা যায় কিন্তু দেওবন্দী ওলামাদের সাথে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহ্হাব নজদীর সাথে কোন সমপকই নেই , কারন একেতো তিনি হাম্বলী মাযহাবের অনুসারী আর সকল দেওবন্দী ওলামাগন হানাফী মাযহাব এর অনূসারী , যদিও হাম্বলী মাযহাব প্রসিদ্ধ ৪ মাযহাবের একটি , হাম্বলি মাযহাবের অনূসারীরা হক্বপন্থী ,এতেও কোন সন্দেহ নেই ৷আর তিনি হলেন লামাযহাবী গায়রেমোকল্লিদদের ইমাম , দেওবন্দীদের ইমাম নয় ,দেওবন্দীগন সঠিক আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত এর অনুসারী ৷ একমাত্র তথা কথিত মাজার ভক্ত সুন্নীরাই দেওবন্দীদের উপর এ অপবাদ টি দিয়ে থাকেন ৷**********************
কারন হিসাবে আমি যেটি মনে করি যে কওমী-দেওবন্দি ওলামারা কুফর-শীরক , মাজার , ভন্ডপীর ,ও ওরস শিন্নী বিরানী ইত্যাদির বিরুদ্ধে বলে থাকেন বলেই এ অপবাদ ৷
৷ ===============================
ভারতবর্ষে ইংরেজ-বিরোধী ও ইংরেজ বিতাড়নে জিহাদ যারা অংশ নিয়েছিলেন তাদেরকে ইংরেজ সরকার ওহহাবী বলে আখ্যায়িত করেছিল, তখন গাইরে মুক্বাল্লিদরা ওহহাবী নামের আখ্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল। তাই তারা তখন নিজেদের জন্য “মুহাম্মদী” এবং পরবর্তীতে “আহলে হাদীস” নাম বরাদ্দ করার সম্ভাব্য সকল অপতৎপরতা চালিয়ে গিয়েছিল। এরই অংশ হিসেবে গাইরে মুক্বাল্লিদদের তৎকালীন মুখমাত্র মৌলভী মুহাম্মদ হুসাইন বাটালভী লাহোরী বৃটিশ সরকারের প্রধান কার্যালয় এবং পাঞ্জাব, সি-পি, ইউ-পি, বোম্বাই, মাদ্রাজ ও বাঙ্গালসহ বিভিন্ন শাখা অফিসে ইংরেজ প্রশাসনের আনুগত্যতা ও বশ্যতা স্বীকার করত: তাদের জন্য “আহলে হাদীস” নাম বরাদ্দ দেয়ার দরখাস্ত পেশ করেন। এ দরখাস্তগুলোর প্রতি উত্তর সহ তারই সম্পাদনায় প্রকাশিত তৎকালীন “এশায়াতুস সুন্নাহ” পত্রিকায় (পৃ:২৪-২৬, সংখ্যা:২, খ:১১) প্রকাশ করা হয় যা পরে সাময়ীক নিবন্ধ আকারেও বাজারজাত করা হয়। তাদের মানসিকতা ও লক্ষ্য-উদ্দেশ্য কিছুটা আঁচ করার জন্য আপনাদের সমীপে সন্মধ্য হতে
একটি দরখাস্তের অনুবাদ নিম্নে পেশ করছি।
========================================
“বখেদমতে জনাব গভার্মেন্ট সেক্রেটারী,
আমি আপনার খেদমতে লাইন কয়েক লেখার অনুমতি এবং এর জন্য ক্ষমাও পার্থনা করছি। আমার সম্পাদিত মাসিক “এশায়াতুস সুন্নাহ” পত্রিকায় ১৮৮৬ ইংরেজিতে প্রকাশ করেছিলাম যে, ওহহাবী শব্দটি ইংরেজ সরকারের নিমক হারাম ও রাষ্ট্রদ্রোহীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। সুতরাং এ শব্দটি হিন্দুস্তানের মুসলমানদের ঐ অংশের জন্য ব্যবহার সমীচিন হবে না, যাদেরকে “আহলে হাদীস” বলা হয় এবং সর্বদা ইংরেজ সরকারের নিমক হালালী, আনুগত্যতা ও কল্যাণই প্রত্যাশা করে, যা বার বার প্রমাণও হয়েছে এবং সরকারী চিঠি প্রত্রে এর স্বীকৃতিও রয়েছে।
অতএব, এ দলের প্রতি ওহহাবী শব্দ ব্যবহারের জোর প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে এবং সাথে সাথে গভার্মেন্টের বরাবর অত্যন্ত আদব ও বিনয়ের সাথে আবেদন করা যাচ্ছে যে, সরকারীভাবে এ ওহহাবী শব্দ রহতি করে আমাদের উপর এর ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক এবং এ শব্দের পরিবর্তে “আহলে হাদীস” সম্বোধন করা হোক।
আপনার একান্ত অনুগত খাদেম
আবু সাঈদ মুহাম্মদ হুসাইন
সম্পাদক, এশায়াতুস সুন্নাহ . ******
দরখাস্ত মুতাবেক ইংরেজ সরকার তাদের জন্য “ওহহাব” শব্দের পরিবর্তে “আহলে হাদীস” নাম বরাদ্দ করেছে। এবং সরকারী কাগজ-চিঠিপত্র ও সকল পর্যায়ে তদের “আহলে হাদীস” সম্বোধনের নোটিশ জারি করে নিয়মতান্তিকভাবে দরখাস্তকারীকেও লিখিতভাবে মঞ্জুরী নোটিশে অবহিত করা হয়।
সর্বপ্রথম পাঞ্জাব গভার্মেন্ট সেক্রেটারী মি: ডব্লউ, এম, এন (W.M.N) বাহাদুর চিঠি নং-১৭৫৮ এর মাধ্যমে ৩রা ডিসেম্বর ১৮৮৬ ইংরেজিতে অনুমোদনপত্র প্রেরণ করেন। অতপর ১৪ই জুলাই ১৮৮৮ইং সি.পি গভার্মেন্ট চিঠি নং-৪০৭ এর মাধ্যমে এবং ২০শে জুলাই ১৮৮৮ইং ইউ.পি গভার্মেন্ট চিঠি নং-৩৮৬ এর মাধমে এবং ১৪ই আগষ্ট ১৮৮৮ইং বোম্বাই গভার্মেন্ট চিঠি নং-৭৩২ এর মাধ্যমে এবং ১৫ই আগষ্ট ১৮৮৮মাদ্রাজ গভার্মেন্ট চিঠি নং ১২৭ এর মাধ্যমে এবং ৪ঠা মার্চ ১৮৯০ইং বাঙ্গাল গভার্মেন্ট চিঠি নং-১৫৫ এর মাধ্যমে দরখাস্তকারী মৌলভী আবু সাইদ মুহাম্মদ বাটালভীকে অবহিত করা হয়।
(এশায়াতুস সুন্নাহ, পৃ:৩২-৩৯, সংখ্যা:২, খ:১১)
কোন মুসলিম জামাতের নাম অমুসলিম, মুসলামানদের চিরশত্রু খৃষ্টান নাছারাদের মাধ্যমে বরাদ্দ করা ঘটনা ইসলামী ইতিহাসের পৃষ্ঠায় বিরল। যা কেবল হিন্দুস্তানী গাইরে মুক্বাল্লিদদেরই গৌরব ও সৌভাগ্যের বিষয় (!!!!!!!!) তাই তারা এ ইতিহাসটা অত্যন্ত গৌরবের সহিত নিজেরদের পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ করে তৃপ্তি লাভ করেছেন। ==============্
সুতরাং যদি ওহাবী বলতে হয় তাহলে বতমান আহলে হাদীসদের কেই বলতে হবে ৷
ওলামায়ে দেওবন্দী ও ওহাবীদের মধ্যে ৮ টা পাথ্ক্য
এখানে দেখুন
http://351224351224.blogspot.com/
khoob bhalo likhechen bhai Abdullah Nizami. Eho o porokale Allah apnar mongol shadhon koroon. Apnar Elem-Helem, Rizque, Ibadah aar Likhoni te Allah Hajar Borkat din. Ameen!
উত্তরমুছুন