হেফাজতে ইসলামের আমির দেশের সর্বজনশ্রদ্ধেয় আলেমে দ্বীন, শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী গত ৪ এপ্রিল রাজধানীর লালবাগ মাদরাসায় আয়োজিত জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে আজকের (৬ এপ্রিল) বহুল আলোচিত-আলোড়িত লংমার্চ সম্পর্কে যখন বলছিলেন—‘আমাদের এই লংমার্চ কাউকে গদি থেকে হটানো বা কাউকে গদিতে বসানোর উদ্দেশ্যে নয়। নিরেট ঈমানের তাগিদে দেশ ও ইসলামের সুরক্ষার জন্য নিয়মতান্ত্রিক অহিংস ও অসহিংস আন্দোলন। আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ সব দলের মুসলমানকে এ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। তা না হলে আমাদের ওপর খোদায়ি গজব অনিবার্য। এ ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতেই এ বৃদ্ধ বয়সে আমি ময়দানে নামতে বাধ্য হয়েছি। কারও এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য নয়, বরং আল্লাহ, তাঁর রাসুল (সা.) এবং ইসলামের অর্পিত দায়িত্ব পালন নিয়ে, ঈমানের তাগিদ ও শাহাদাতের তামান্না নিয়ে ময়দানে নেমেছি।’
আল্লামা শফী সারা দেশের ঈমানদার জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘ঢাকামুখী লংমার্চকে স্বাগত জানাতে আমি ঢাকা চলে এসেছি। আপনারা ইসলাম ও দেশরক্ষার এই লংমার্চকে সর্বাত্মকভাবে সফলের জন্য চিড়া-মুড়ি, শুকনো খাবার আর হাতে তসবিহ ও জায়নামাজ, মুখে আল্লাহর নামের জিকির করতে করতে ঢাকায় আসুন। যেখানে বাধা আসবে সেখানেই জায়নামাজ বিছিয়ে আল্লাহর নাম স্মরণ করে বসে পড়ুন। ইনশাআল্লাহ কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে হেফাজতে ইসলামের এই কর্মসূচিকে বানচাল করা যাবে না।’
এই বর্ষীয়ান মহাপুরুষ আবেগ ও বেদনা ভারাক্রান্ত কণ্ঠে বলেন, ‘এই ৯৩ বছরের বৃদ্ধ বয়সে এখন আমার রাজপথে থাকার কথা ছিল না। এখন আমার প্রয়োজন ছিল বিশ্রামে থাকার। কিন্তু আরামকে হারাম করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাকে আজ রাজপথে নামতে বাধ্য করেছে। শুধু বাধ্যই বলবো কেন, আসলে আমার এবং এদেশের আলেম সমাজের এছাড়া আর কোনো পথ ছিল না। আল্লাহ জাল্লাশানুহু, আমার পেয়ারা নবী হজরত রাসুলে করিম (সা.) না থাকলে, মসজিদ না থাকলে, আমার বেঁচে থাকার, কোনো মুসলমানের বেঁচে থাকার অধিকার নেই। এখন শহীদ নয়তো গাজী হওয়া ছাড়া কোনো মুসলমানের জন্য ঘরে বসে থাকা জায়েজ নেই। প্রত্যেকের নিজ নিজ শক্তি-সামর্থ্য অনুযায়ী এর প্রতিবাদ না করলে এদেশের ওপর আল্লাহর গজব নেমে আসবে। কেননা নব্বই ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত আমাদের এ দেশে বর্তমানে আল্লাহ ও রাসুল (স.)-কে কটাক্ষ করে যে ভয়ঙ্কর ও জঘন্য ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে, তা পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে এ পর্যন্ত কেউ করতে পেরেছে বলে আমার জানা নেই।’
সেজন্যই সেই অন্যায় অন্যায্য অযৌক্তিক জুলুমের বিরুদ্ধে সংবিধানে ‘মহান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনস্থাপন, কোরআনবিরোধী নারী ও শিক্ষানীতি বাতিল, আল্লাহ-রাসুলের (সা.) ও ইসলামের অবমানাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস, শাহবাগি নাস্তিক-মুরতাদ, প্রিয় নবী (স.)-এর শানে কুত্সা রটনাকারী ব্লগার ও ইসলামবিদ্বেষীদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থাসহ ১৩ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমার এই লংমার্চ।
লেখক, সন্মানীত কলামিষ্ট ও সাংবাদিক আ ব দু ল হা ই শি ক দা র
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2013/04/06/195364#.UV-9cx_pfIU
আল্লামা শফী সারা দেশের ঈমানদার জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘ঢাকামুখী লংমার্চকে স্বাগত জানাতে আমি ঢাকা চলে এসেছি। আপনারা ইসলাম ও দেশরক্ষার এই লংমার্চকে সর্বাত্মকভাবে সফলের জন্য চিড়া-মুড়ি, শুকনো খাবার আর হাতে তসবিহ ও জায়নামাজ, মুখে আল্লাহর নামের জিকির করতে করতে ঢাকায় আসুন। যেখানে বাধা আসবে সেখানেই জায়নামাজ বিছিয়ে আল্লাহর নাম স্মরণ করে বসে পড়ুন। ইনশাআল্লাহ কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে হেফাজতে ইসলামের এই কর্মসূচিকে বানচাল করা যাবে না।’
এই বর্ষীয়ান মহাপুরুষ আবেগ ও বেদনা ভারাক্রান্ত কণ্ঠে বলেন, ‘এই ৯৩ বছরের বৃদ্ধ বয়সে এখন আমার রাজপথে থাকার কথা ছিল না। এখন আমার প্রয়োজন ছিল বিশ্রামে থাকার। কিন্তু আরামকে হারাম করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাকে আজ রাজপথে নামতে বাধ্য করেছে। শুধু বাধ্যই বলবো কেন, আসলে আমার এবং এদেশের আলেম সমাজের এছাড়া আর কোনো পথ ছিল না। আল্লাহ জাল্লাশানুহু, আমার পেয়ারা নবী হজরত রাসুলে করিম (সা.) না থাকলে, মসজিদ না থাকলে, আমার বেঁচে থাকার, কোনো মুসলমানের বেঁচে থাকার অধিকার নেই। এখন শহীদ নয়তো গাজী হওয়া ছাড়া কোনো মুসলমানের জন্য ঘরে বসে থাকা জায়েজ নেই। প্রত্যেকের নিজ নিজ শক্তি-সামর্থ্য অনুযায়ী এর প্রতিবাদ না করলে এদেশের ওপর আল্লাহর গজব নেমে আসবে। কেননা নব্বই ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত আমাদের এ দেশে বর্তমানে আল্লাহ ও রাসুল (স.)-কে কটাক্ষ করে যে ভয়ঙ্কর ও জঘন্য ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে, তা পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে এ পর্যন্ত কেউ করতে পেরেছে বলে আমার জানা নেই।’
সেজন্যই সেই অন্যায় অন্যায্য অযৌক্তিক জুলুমের বিরুদ্ধে সংবিধানে ‘মহান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনস্থাপন, কোরআনবিরোধী নারী ও শিক্ষানীতি বাতিল, আল্লাহ-রাসুলের (সা.) ও ইসলামের অবমানাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস, শাহবাগি নাস্তিক-মুরতাদ, প্রিয় নবী (স.)-এর শানে কুত্সা রটনাকারী ব্লগার ও ইসলামবিদ্বেষীদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থাসহ ১৩ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমার এই লংমার্চ।
লেখক, সন্মানীত কলামিষ্ট ও সাংবাদিক আ ব দু ল হা ই শি ক দা র
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2013/04/06/195364#.UV-9cx_pfIU
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন